সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাত্রা শুরু করলো এলিট ক্লাব। বিশ্বের অন্যতম কালচারাল শহর শারজায় গত বৃহস্পতিবার যাত্রা শুরু করেছে প্রবাসী নারীদের ক্লাবটি।
অনুষ্ঠানের কথামালা পর্বে এলিট ক্লাব প্রতিষ্ঠাতা সাবিনা সুলতানা ক্লাবের ভবিষ্যৎ পথযাত্রায় মানবিক আভিজাত শ্রেণির লোকদের সহযোগিতা কামনা করেন। এসময় তিনি বলেন এই ক্লাব টাকার দৃষ্টিতে এলিট নয় এই ক্লাব মানবিক ও হৃদয়বানদের এলিট ক্লাব হিসেবে যাত্রা শুরু করেছে।
অনুষ্ঠানে সাবিনা সুলতানা ক্লাবের বিস্তারিত বিষয় উল্লেখ করে বলেন, ক্লাব শব্দটা বলতে আমরা কিন্তু ইয়াং ইয়াং জেনারেশনের বিলাসিতার জীবনের একটি ভুবন মনে করি। আসলে কিন্তু তাইই সত্যি। বয়স্ক লোকের ওখানে গিয়ে কি কাজ? উনাদের ঘরে থাকায় উচিত। আমি এই বাক্যকে বিরোধ করে কিছু বলতে চাই। জীবনের সমস্ত সঞ্চয় দিয়ে সন্তানদের মানুষ করার পাশাপাশি তাদের বাড়ি গাড়ি তৈরী করে তাদের ভবিষ্যতের আরাম আয়েশের কথা চিন্তা করে নিজেদের জীবনটাকে আমরা ঘরের একটি ফার্নিচারের মত বানিয়ে ফেলি। ফলে কি দাড়ায়? বৃথা আশ্রম অথবা পুরোনো ঘরের একাকিত্ব জীবন। আমরা কি এটাকে বদলাতে পারিনা? চল এমন জায়গায় যায় যেখানে মন খুলে হাসতে পারবো বন্ধুদের সাথে দাবা কেরাম ইত্যাদি খেলবো। অনেক কথা বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবো পিকনিক যাবো আরো কত কি ইস ভাবতেই কত ভাল লাগে। আসলে এমন কি কোন জায়গা নেই? এটা কিন্তু হওয়া উচিত। আরে ওটাকে তো ক্লাব বলে। হ্যা তবে সেই ক্লাব হবে আমাদের মত মানুষের জন্য এবং সেটা সব কমিউনিটি হওয়া উচিত। যারা অবসর নিয়েছে তাদের কর্ম জীবন থেকে। সমাজে কিন্তু তাদের কথা কেও ভাবেনা। সম্পূর্ণ এড়িয়ে চলে। সেই সাথে তার জীবন সঙ্গীর ও মনের অবসর ঘটে। আবার আমাদের সন্তানরা যখন দেশের বাইরে উচ্চশিক্ষার জন্য যায় তখনো কিন্তু আমরা অনেকটা একা হয়ে যাই। তাই আমরা যদি এখন থেকেই উদ্যোগ নিয়ে কিছু নিয়ম তৈরী করি তাহলে কেমন হয়? আমাদের মধ্যে যারা অভিজ্ঞতা সম্পূর্ণ মানুষ আছেন তাঁরাই এলিট ক্লাব খোলার মত ক্ষমতা রাখেন। কারণ তাদের বুদ্ধি বিবেচনা হয় অনেক মানসম্মত। আর যেখানে মান সম্মত অভিজ্ঞতা আছে আমি মনে করি সেখানেই এলিটের সৃষ্টি অর্থাৎ অভিজাত্যর সৃষ্টি। আমরা অভিজাত? আমরা তো আর ধনী ব্যাক্তি না তাহলে অভিজাত কিভাবে? আমাদের মনের দিক খেকে আমরা অভিজাত। হ্যা আমার সাথে একমত হলে একবার বলুন হ্যা আমরা অভিজাত গোষ্ঠি আমরা এলিট। এই দৃষ্টিকোন থেকে নতুন কিছু করার চিন্তা মাথায় আসে।
মোহাম্মেদ নাজমুল হক ও মমতাজ আইয়ুবের যৌথ সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দুবাইয়ে নিযুক্ত কনসাল জেনারেলের সহধর্মিনি মিসেস আবিদা হোসাইন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাহবুবুল আলম মানিক সিআইপি, জেসমিন মাহবুব সিআইপি, ইয়াসমিন ইসলাম মেরুনাসহ কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
অনুষ্ঠানের শেষাংশে আরিক ও সোহানির যৌথ সঞ্চালনায় প্রবাসী শিল্পীরা গান, ফ্যাশন শো ও কবিতা আবৃত্তি পরিবেশন করেন।