আজঃ শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

সন্তানদেরকে জড়িয়ে ধরার দিবস আজ

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ জুলাই ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ জুলাই ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

প্রত্যেক বাবা-মায়ের কাছেই তার সন্তান প্রিয়। পরম যত্নে ও আদরে সন্তানকে লালন-পালন করেন তারা। সন্তানের ছোট-বড় আবদার পূরণে বাবা-মা কঠোর পরিশ্রম করেন শুধু সন্তানের মুখের হাসি ফোটাতে।

বাবা-মায়ের আত্মত্যাগের মর্যাদা হয়তো সন্তানরা আজীবনেও পূরণ করতে পারেন না। তবে এর বিনিময়ে সন্তানের কাছে কিছুই চান না বাবা-মা। শুধু চান একটু ভালোবাসা ও সম্মান। এটুকু দিতেই হয়তো ব্যর্থ হন অনেক সন্তান।

তবে আজ কিন্তু বাবা-মা ও সন্তানের মধ্যকার সব রাগ-অভিমান কাটিয়ে বুকে জড়িয়ে ধরার দিন। এজন্য প্রতিবছর পালিত হয় গ্লোবাল হাগ ইওর কিডস ডে বা বিশ্বব্যাপী সন্তানদেরকে জড়িয়ে ধরার দিবসটি। প্রতিবছর জুলাই মাসের তৃতীয় সোমবার বিশ্বব্যাপী পালিত হয় এই দিবস।

একটি হাগ, আলিঙ্গন বা জড়িয়ে ধরার মাধ্যমে আপনি সন্তানদেরকে কতটা ভালোবাসেন তা বুঝিয়ে দিতেন পারেন। আর সন্তানরাও আলিঙ্গন পেলে আরাম অনুভব করে, নিরাপত্তা ও আস্থা পায়।

আলিঙ্গন হলো ভালবাসার স্বাভাবিক প্রকাশ। এটি স্ট্রেস রিলিভার বা দুশ্চিন্তা কাটাতেও সাহায্য করে। জানলে অবাক হবেন, সন্তান হোক বা প্রিয়জনকে আলতো করে স্পর্শ করার আছে নানা উপকারিতা।

জড়িয়ে ধরার মাধ্যমে মনে ভিন্ন এক সুখ ও শান্তি হয়। যখন কেউ প্রিয়জনকে জড়িয়ে ধরেন তখন অক্সিটসিন হরমোন নিঃসারণ হয়। এই হরমোন আমাদেরকে মানসিকভাবে সুখের অনুভূতি দেয়। এমনকি এই হরমোন সামাজিক বন্ধন বাড়াতেও সাহায্য করে। নিউরো-পেপটাইড অক্সিটক্সিন হরমোন আমাদের মধ্যে সততা ও অনুরাগ বাড়িয়ে তোলে।

যে কোনো সম্পর্ককে মজবুত করতেও আলিঙ্গন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বিশেষজ্ঞদের মতে, জড়িয়ে ধরার মাধ্যমে শুধু মনকেই নয় বরং শরীরকেও ভালো রাখতে পারেন। যখন কেউ প্রিয় মানুষটিকে জড়িয়ে ধরেন তখন ত্বকের মধ্যে থাকা পাসিনিয়ান কর্পাসেলস নামক প্রেসার রিসেপটর মস্তিষ্কে সংকেত পাঠিয়ে রক্তচাপ কমিয়ে দেয়। যা হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।

বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, হৃদযন্ত্র ভালো রাখতে আলিঙ্গনের চেয়ে ভালো ওষুধ আর হয় না। কারণ প্রিয়জনের সামান্য স্পর্শ প্রতি মিনিটে হার্টের গতিবেগ বাড়িয়ে তোলে অন্তত ১০ বিট। কোনো কাজ করার আগে, প্রিয়জনকে জড়িয়ে ধরলে আত্মবিশ্বাস বাড়ে ও ভয় কমে যায়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওহিও বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় প্রকাশ বয়সের সঙ্গে একাকিত্ব বাড়তে থাকে, যা স্ট্রেস বাড়িয়ে তোলে। প্রিয়জনকে আলিঙ্গন করার মাধ্যমে কাটানো যায়।

আমরা যখন কাউকে জড়িয়ে ধরি, তখন স্ট্রেস হরমোন কর্টিসোল নিঃসারিত হয়। এই হরমোন স্ট্রেস ও মানসিক অস্থিরতা বাড়িয়ে তোলে। প্রিয়জনকে যত বেশি জড়িয়ে ধরবেন, ততই কমবে কর্টিসোল হরমোনের পরিমাণ। মানসিকভাবে শান্ত রাখতে পারে একটি ছোট্ট হাগ বা আলিঙ্গন।


আরও খবর



শেখ হাসিনার স্বৈরাচারিতায় দেশের সব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস হয়ে গেছে: ড. ইউনূস

প্রকাশিত:রবিবার ১৮ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৮ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বৈরাচারিতার জন্য দেশের সব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

রোববার (১৮ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও মিশন প্রধানদের ব্রিফিংকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, দুর্নীতির কারণে দেশের সব শেষ হয়ে গেছে। বিচার বিভাগ ভেঙে পড়েছে, দীর্ঘ সময় ধরে গণতান্ত্রিক অধিকার ক্ষুণ্ন করা হয়েছে, পাতানো নির্বাচন করা হয়েছে। ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হয়ে তরুণ সমাজ বেড়ে উঠেছে। রাজনৌতিক প্রভাবে ব্যাংক ডাকাতি হয়েছে।

এ সময় ছাত্রজনতার আন্দোলনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সরকারের ছাত্র সংগঠন মিলে ছাত্রদের ওপর হামলা করা হয়েছে উল্লেখ করে সেই হামলায় তরুণদের মৃত্যুর ঘটনা বর্ণনা করতে গিয়ে শোকে বিহ্বল হয়ে পড়েন তিনি।

ড. ইউনূস বলেন, বাংলাদেশের বন্ধু রাষ্ট্রের কাছে কৃতজ্ঞ, সংকটকালীন তারা আমাদের সহায়তা করেছে। বর্তমানে একটি চ্যালেঞ্জিং সময় পার করছি। দুই সপ্তাহ হলো বাংলাদেশে দ্বিতীয় বিপ্লব সাধিত হয়েছে। হাজার হাজার মানুষ স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে। তিনি দেশে থেকে পালিয়ে গেছেন।

তিনি বলেন, সাধারণ মানুষের স্বাধীনতার জন্য ছাত্রজনতা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। শত শত মানুষ মারা গেছে, হাজার হাজার মানুষ আহত। আমি আশা করি আপনারা আমাদের সহায়তা করতে পারেন। অনেক শিক্ষার্থী বুলেটের আঘাতে আহত হয়েছেন, অনেকের রাবার বুলেট চোখে লেগেছে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমি তরুণদের সম্মান জানাই যারা দেশের জন্য আত্মত্যাগ করেছেন। গণতান্ত্রিক মত প্রকাশের জন্য তারা এই আত্মত্যাগ করেছেন। বৈষম্যহীন, বন্ধুত্বপূর্ণ দেশ চায় তরুণ সমাজ।

এর আগে, ড. ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের চার দিনের মাথায় বিদেশি কূটনীতিকদের ব্রিফ করেন পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। সেদিন রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বিদেশি কূটনীতিকদের ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা অন্তর্বর্তী সরকারের ক্ষমতায় আসার প্রেক্ষাপট, উদ্দেশ্য, দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় ইস্যুতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন।


আরও খবর



কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চলছে কমপ্লিট শাটডাউন

প্রকাশিত:বুধবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোহাম্মদ ফারুক, কক্সবাজার

Image

কক্সবাজার সরকারি হাসপাতালে সিসিইউতে চিকিৎসাধীন এক রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে মারধরের শিকার হয়েছেন ডা. সজীব কাজী নামে এক চিকিৎসক।

মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাত ১টা থেকে কক্সবাজার সরকারি হাসপাতালের জরুরি বিভাগসহ কমপ্লিট শাটডাউন ঘোষণা করেছেন ইন্টার্ন চিকিৎসক ও মেডিকেল অফিসাররা।

হামলার শিকার সজীব কাজী হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ও সিসিইউতে কর্মরত ছিলেন। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, রোগীর মৃত্যুর পর স্বজনরা সিসিইউতে প্রবেশ করে প্রথমে ভাঙচুর চালায়। পরে চিকিৎসক সজীবকে মারধর করতে থাকে। একপর্যায়ে তাকে টেনহেঁচড়ে মারতে মারতে চারতলা থেকে নিচে নামিয়েও মারধর করতে থাকে। এ সময় হাসপাতালে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে অন্য চিকিৎসকরা এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে। রাত একটার দিকে চিকিৎসকের উপর হামলা ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে অভিযুক্তদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের দাবিতে জরুরি বিভাগসহ কমপ্লিট শাটডাউন ঘোষণা করে চিকিৎসকরা।

কক্সবাজার হাসপাতালের সব ইন্টার্ন চিকিৎসক এবং মেডিকেল অফিসাররা জানান, হাসপাতালে চিকিৎসকের কোনো নিরাপত্তা নেই। কোন কারণ ছাড়া হামলার শিকার হতে হচ্ছে চিকিৎসকদের। রাতে একজন চিকিৎসককে অমানবিকভাবে মারধর করা হয়েছে। যেভাবে তাকে মারা হয়েছে তাতে তার মৃত্যু হতে পারতো। আল্লাহ তাকে রক্ষা করেছেন। তাই যতক্ষণ ডাক্তারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা না হবে ততক্ষণ আমরা কর্মবিরতি করবো। তারা সেনাবাহিনী মোতায়েন করে সকল ডাক্তারদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছেন।

হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) আশিকুর রহমান বলেন, রাতে এক রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে দায়িত্বরত চিকিৎসক সজীবের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। চিকিৎসকরা তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবিতে এখন জরুরি বিভাগসহ সব ধরনের সেবা বন্ধ করে দিয়েছে। ডাক্তার সেবা না দিলে সমস্যা তো হবেই। আমরা চেষ্টা করছি বিষয়টি সমাধানের।

নিউজ ট্যাগ: কক্সবাজার

আরও খবর



ডিএমপির ডিবি প্রধান হলেন রেজাউল করিম মল্লিক

প্রকাশিত:রবিবার ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা (ডিবি) প্রধান হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক। রোববার (১ সেপ্টেম্বর) ডিএমপি কমিশনার মো. মাইনুল হাসান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ পদায়ন করা হয়।

রেজাউল করিম মল্লিক ১৯৯৮ সালে বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করেন। তিনি ১৭তম বিসিএস ব্যাচের কর্মকর্তা (ডিআইজি)।

এদিকে, আজ রোববার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের (পুলিশ-১ শাখা) উপসচিব মো. মাহাবুর রহমান শেখ স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে বাংলাদেশ পুলিশের উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শক (ডিআইজি) ও অতিরিক্ত ডিআইজি পদমর্যাদার ২৬ কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে।

এর আগে ২০২২ সালের জুলাই মাসে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা (ডিবি) বিভাগের প্রধান হিসেবে মোহাম্মদ হারুন অর রশীদকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল।


আরও খবর



সাবেক ৬৫ মন্ত্রী-এমপির দুর্নীতির অনুসন্ধানে আবেদন

প্রকাশিত:সোমবার ১৯ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৯ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের প্রভাবশালী ৬৫ জন মন্ত্রী-এমপির দুর্নীতি অনুসন্ধান করতে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) আবেদন করেছেন সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী।

১৮ আগস্ট দুদক চেয়ারম্যানের কাছে তাদের তালিকা ও অস্বাভাবিক সম্পদ বৃদ্ধির বিষয়টি উল্লেখ করে এ আবেদন করেন ব্যারিস্টার এম সরোয়ার হোসেন নামে এক আইনজীবী।

কমিশনে করা আবেদনের বিষয়ে জানতে চাইলে দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন বলেন, কমিশনে অভিযোগ করে থাকলে কমিশন সেটি তার বিধি অনুযায়ী দেখবে, এটা কমিশনের নৈমিত্তিক কাজ। দুদক সুনির্দিষ্ট তথ্য পেলে অবশ্যই কাজ করবে।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার এম সরোয়ার হোসেনের পাঠানো আবেদনে প্রায় ৬৫ জনের বিষয়ে অভিযোগ আনা হয়। গত ৫ থেকে ১৫ বছরে সংসদ সদস্য ও মন্ত্রী থাকা অবস্থায় তাদের সম্পদ বৃদ্ধির একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরেন আবেদনে।

পরিসংখ্যানে উল্লেখ করা হয়, গত ১৫ বছরে মন্ত্রী-এমপিদের মধ্যে কারও আয় বেড়েছে, কারও বেড়েছে স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ। এ ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ১০০ গুণ থেকে কয়েক হাজার গুণ বেড়েছে সম্পদ। কারও ক্ষেত্রে সম্পদ ও আয় বেড়েছে লক্ষ গুণ পর্যন্ত।

সাবেক মন্ত্রীদের মধ্যে যাদের নাম রয়েছে

সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশী, সাবেক বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, সাবেক ত্রাণ ও দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এবং সাবেক স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম।

এ ছাড়াও জুনাইদ আহমেদ পলক, মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, খালিদ মাহমুদ, চৌধুরী ফরিদুল হক, গোলাম দস্তগীর গাজী, ইমরান আহমদ, জাকির হোসেন, কামাল আহমেদ মজুমদার, জাহিদ আহসান রাসেল, নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, শাজাহান খান, হাছান মাহমুদ, কামরুল ইসলাম, হাসানুল হক ইনুর নামও রয়েছে।

সাবেক সংসদ সদস্যদের মধ্যে এই তালিকায় রয়েছেন বেনজির আহমেদ, সরওয়ার জাহান, শরিফুল ইসলাম জিন্না, শহিদুল ইসলাম বকুল, শেখ আফিল উদ্দিন, ছলিম উদ্দীন তরফদার, কাজী নাবিল আহমেদ, এনামুল হক, মেহের আফরোজ চুমকী, নূর আলম চৌধুরী শাওন, শেখ হেলাল উদ্দীন, স্বপন ভট্টাচার্য, কাজিম উদ্দীন আহমেদ, কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, মুহিবুর রহমান, মামুনুর রশীদ কিরন, জিয়াউর রহমান প্রমুখ।

নির্বাচনী হলফনামার তথ্য নিয়ে টিআইবির করা এক প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করে এই আইনজীবী তার চিঠিতে আরও উল্লেখ করেন, টিআইবির সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী-এমপিদের দুর্নীতির তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। এমন সম্পদবৃদ্ধির চিত্র রূপকথার গল্পকেও হার মানায়। অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পরও দুদক অনুসন্ধান শুরু না করায় প্রতিষ্ঠানটির প্রতি মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস ক্ষুণ্ন করে এবং জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে। এ বিষয়ে দ্রুত অনুসন্ধান করতে অনুরোধ জানিয়ে তিনি চিঠির সঙ্গে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের অনুলিপিও যুক্ত করেছেন।


আরও খবর



বিডিআর বিদ্রোহ: শেখ হাসিনাসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন

প্রকাশিত:রবিবার ২৫ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৫ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

২০০৯ সালে বাংলাদেশ রাইফেলসের (বিডিআর) সদর দপ্তর পিলখানায় বিদ্রোহের ঘটনায় মামলার আসামি বিডিআরের উপ-সহকারী পরিচালক (ডিএডি) বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুর রহিমের কারাগারে মৃত্যুর ঘটনায় তৎকালীন সরকার প্রধান শেখ হাসিনাসহ ১৩ জনের নামে হত্যা মামলার আবেদন করা হয়েছে।

রোববার (২৫ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আক্তারুজ্জামানের আদালতে মৃত আব্দুর রহিমের ছেলে অ্যাডভোকেট আব্দুল আজিজ এই মামলার আবেদন করেন।

এসময় আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে আদেশ অপেক্ষমাণ রেখেছেন।

মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক বিজিবি মহা-পরিচালক ও সাবেক সেনাপ্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আজিজ আহমেদ এবং পিলখানা বিদ্রোহ মামলায় রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী মোশারফ হোসেন কাজলসহ ১৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলায় অন্য আসামিরা হলেন সাবেক কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আশরাফুল ইসলাম খান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, সংসদ সদস্য শেখ সেলিম, নুর আলম চৌধুরী লিটন, শেখ হেলাল, জাহাঙ্গীর কবির নানক, মির্জা আজম, হাসানুল হক ইনু ও ২০১০ সালের জুলাইয়ে কেন্দ্রীয় কারাগারের তৎকালীন জেল সুপার এবং চিকিৎসক ডা. রফিকুল ইসলাম।

বাদীর আইনজীবী মো. দেলোয়ার হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মামলায় বাদী অ্যাডভোকেট আব্দুল আজিজ উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগসহ ১৪ দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা সরকার ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন বিডিআর সদর দপ্তর পিলখানায় সুপরিকল্পিতভাবে বিদেশি এজেন্ট নিয়োগ করে ৫৭ জন সেনা অফিসারসহ ৭৪ জনকে হত্যা করে। পরে বিডিআর বিদ্রোহের অভিযোগে চকবাজার থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।

বাদী অভিযোগ করেন, তার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহিম ডিএডি হিসেবে পিলখানায় কর্মরত ছিলেন। তাকেও বিডিআর বিদ্রোহের মামলায় আসামি করে আটক করা হয়।


আরও খবর
দ্বিতীয় দফায় রিমান্ডে পুলিশ কর্মকর্তা কাফি

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪