আজঃ শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪
শিরোনাম
সাগরে লঘুচাপ, চার বন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত কেরু থেকে মদ তৈরির ১৩ হাজার লিটার স্পিরিট গায়েব, গোডাউন সিলগালা হাজার কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন, ৭ শতাধিক অ্যাকাউন্টে লেনদেন ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস, পাহাড় ও সমুদ্রবন্দরে সতর্কতা জাতিসংঘ পুলিশের কার্যক্রমে অবদান রাখার অঙ্গীকার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পেরুতে ৭.২ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প, সুনামি সতর্কতা জারি প্রাক্তন স্বামীকে প্রশংসায় ভাসালেন অভিনেত্রী শোলাঙ্কি রায় দেশে ফিরে বিশ্বকাপ ব্যর্থতা নিয়ে মুখ খুললেন তাসকিন আমিরাতে ১০ মিনিটে জুমার খুতবা ও নামাজ শেষ করার নির্দেশনা বাজারে প্রতিটি পণ্যের দামেই আগুন, ক্রেতাদের কপালে ভাঁজ

শৈলকুপার ‘রসগোল্লা চা’ ফেসবুকেই সুস্বাদু !

প্রকাশিত:সোমবার ২৪ জুন 20২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৪ জুন 20২৪ | পত্রিকায় প্রকাশিত
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

Image

রসগোল্লা দিয়ে চা! এ যেন স্বাদে টুইটুম্বর। ফেসবুকে যেন ভাইরাল। দেখলেই খেতে ইচ্ছে করে। গত কয়েকদিন ধরে এমন রসগোল্লা চায়ের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তা দেখে অনেকেই ছুটছেন সেই চায়ের দোকানে। কিন্তু সেখানে গিয়ে হচ্ছেন হতাশ। যেমন আশা করে যাচ্ছেন চায়ের স্বাদ নিতে গিয়েও হতাশ হচ্ছেন চা প্রেমীরা।

জানা যায়, শৈলকুপার কাতলাগাড়ী বাজারে শুভ ইশান হুজাইফা নামের চায়ের দোকানে গত কয়েকদিন যাবত বিক্রি শুরু করেছেন রসগোল্লা দিয়ে চা। দুধ আর চা দিয়ে তার মধ্যে ছেড়ে দিচ্ছেন স্থানীয় ভাবে তৈরী একটি রসগোল্লা। এতেই যেন বেড়ে যাচ্ছে স্বাদ। দামও হাকাচ্ছেন ৮০ টাকা। যেখানে চায়ের কোন অস্তিত্ব পাওয়া দুস্কর। সেই সাথে নিন্মমানের রসগোল্লা দিয়ে চা তৈরী করায় যাচ্ছেতাই স্বাদ পাচ্ছেন চা প্রেমীরা। সম্প্রতি ভিউপ্রেমী কিছু ইউটিউবার এই চায়ের সুনাম করে ভিডিও দিয়েছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এতেই সেখানে হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন চা প্রেমীরা। কিন্তু গিয়ে চায়ের মান নিন্মমানের হওয়ায় হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন।

কালীগঞ্জ উপজেলা থেকে চা থেকে যাওয়া এক নারী বলেন, ফেসবুকে দেখে স্বামীর সাথে এখানে চা খেতে এলাম। ভাবলাম একটু ঘোরাও হবে চা খাওয়াও হবে। কিন্তু এখানে এসে এই চা খেতে খুব হতাশ হলাম। রসগোল্লাটা খুবই নিন্মমানের। আর চায়ের তেমন স্বাদই নেই। যেন শরবত খাচ্ছি। চায়ের দাম নিচ্ছে ৮০ টাকা।  চায়ের নামের পুরোটা প্রতারণা।

কুষ্টিয়ার কুমারখালী থেকে আসা রিপন নামের এক যুবক বলেন, ফেসবুকে দেখে বন্ধুদের সাথে চা খেতে এলাম। এসে দেখি দোকানদার তো খুব ব্যস্ত। রসগোল্লা চা দিলেন আধাঘন্টা পরে। কিন্তু চায়ের কোন স্বাদ পেলাম না। নামেই শুনেছি রসগোল্লা চা। এর চেয়ে শরবত খাওয়া ভালো। আর এই দোকানদার এই চায়ের নাম করে দুধ চা বিক্রি করছে। রসগোল্লা চা চাইলে দেরীতে দিচ্ছে। অনেকে ফিরে যাচ্ছে। যারা আসছেন তাদের দুধ চা খেতে হচ্ছে। তারপরও দুধ চা যেন দুধ আর চিনি দিয়ে জালানো। চায়ের কোন স্বাদ নেই।

স্থানীয় যুবক রাইদুল বলেন, এর আগেও এই দোকানে নানা পদের চা বিক্রি করা হতো। কিন্তু বেশিদিন ধরে বিক্রি করেন না ইনি। কিছুদিন চলার পর ক্রেতা আকর্ষণ করতে নতুন নতুন কৌশল নেন চা দোকানী খাইরুল। তাই বলব, যারা দুর-দুরান্ত থেকে চা খেতে আসবেন একটু খোঁজ খবর নিয়ে আসবেন।

এ ব্যাপারে চা দোকানী খাইরুল ইসলাম বলেন, খুব ব্যস্ততা চলছে আমাদের। আগুনের জিনিস। স্বাদ একটু এদিক সেদিক হতেই পারে।

নিউজ ট্যাগ: ঝিনাইদহ

আরও খবর



দুপুর ১টার মধ্যে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আভাস

প্রকাশিত:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

দেশের তিন বিভাগের জেলাগুলোতে দুপুর ১টার মধ্যে সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। একইসঙ্গে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে জানানো হয়েছে। আজ বুধবার দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরের জন্য দেয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানা যায়।

এতে বলা হয়, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়া বয়ে যেতে পারে। সেইসঙ্গে বজ্রবৃষ্টিও হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে এক নম্বর সতর্ক সংকেত দেখানো হয়েছে।

এদিকে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টায় দেয়া এক পূর্বাভাসে বলা হয়, আগামী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

সেই সঙ্গে রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে। ঢাকা, রাজশাহী, খুলনা, যশোর ও চুয়াডাঙ্গা জেলাসমূহের উপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।


আরও খবর



সারদা পুলিশ একাডেমি থেকে ১৬টি রাসেলস ভাইপার উদ্ধার

প্রকাশিত:সোমবার ২৪ জুন 20২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৪ জুন 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাজশাহী প্রতিনিধি

Image

রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার সারদায় বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমি থেকে ১৬টি রাসেলস ভাইপার বা চন্দ্রবোড়া সাপ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি সাপ মেরে ফেলা হয়েছে। বাকি কয়েকটি সাপ বন বিভাগে দেয়া হয়েছে বলে জানান একাডেমির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আব্দুল মাবুদ দুলাল।

রবিবার (২৩ জুন) সকাল থেকে দুই দফায় সাপগুলো জনসমক্ষে চলে আসে বলে জানা গেছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আব্দুল মাবুদ দুলাল বলেন, রবিবার সকাল থেকে দুই দফায় রাসেলস ভাইপার সাপের বাচ্চাগুলো জনসমক্ষে বের হয়ে আসে। প্রথমে সকাল ১০টার দিকে ৯টি সাপের বাচ্চা বের হয়। এরপর দ্বিতীয় দফায় ৭টি সাপের বাচ্চা দেখা যায়। সাপগুলো পুলিশ একাডেমির ভেতরেই ছিল। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি সাপ মেরে ফেলা হয়েছে। বাকি কয়েকটি সাপ বন বিভাগের কর্মকর্তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন জেলার লোকালয়ে এই সাপ দেখা যাচ্ছে, যা নিয়ে জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।


আরও খবর



সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি: ১৬ লাখ মানুষ পানিবন্দি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
এস এ শফি, সিলেট

Image

বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হওয়ায় একদিনের ব্যবধানে সিলেট বিভাগের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় বাড়ছে পানিবন্দি মানুষের সংখ্যা। সিলেট, সুনামগঞ্জ ও মৌলভীবাজারে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়ে এরই মধ্যে ১৬ লাখের অধিক মানুষ বন্যা আক্রান্ত হয়েছেন। যত সময় গড়াচ্ছে, ততই বাড়ছে বন্যা দুর্গত মানুষের সংখ্যা।

বুধবার (১৯ জুন) বিকেল পর্যন্ত সিলেট নগরসহ জেলার ১৩ উপজেলায় পানিবন্দি মানুষের সংখ্যা বেড়ে সোয়া ৮ লাখে পৌঁছেছে। আগের দিন মঙ্গলবার (১৮ জুন) বিকেলে এই সংখ্যা ছিল পৌনে ৪ লাখে। এর কয়েক ঘণ্টার পর রাতে পানিবন্দি মানুষের সংখ্যা পৌনে সাত লাখে পৌঁছায়। আর ২৮ ঘণ্টার ব্যবধানে বন্যা আক্রান্ত ৮ লাখ ছাড়িয়ে যায়। আর সুনামগঞ্জে উপদ্রুত এলাকায় পাঁচ লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে।

এর আগে ২৯ মে অকাল বন্যায় সিলেটে আক্রান্ত হয়েছিলেন ৭ লাখ ৩৯ হাজার ৩৬২ জন। এছাড়া মৌলভীবাজার সদরসহ বিভিন্ন উপজেলায় অন্তত তিন লাখের বেশি মানুষ পানিবন্দি হয়েছেন বলে জানা গেছে। এবার অবিরাম হালকা ও ভারী বর্ষণ এবং ভারতের মেঘালয়া থেকে নেমে আসা ঢলে আবারও ফের বন্যাকবলিত হয়ে সিলেট নগরসহ ১৩ উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে।

জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, বুধবার পর্যন্ত সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন এলাকাসহ জেলার ১৩টি উপজেলায় ৪১ লাখ ১১হাজার ৮৩৫ জনের জনসংখ্যার ৮ লাখ ২৫ হাজার ২৫৬ জন মানুষ পানিবন্দি হয়েছেন। প্লাবিত হয়েছে সিসিকের ৪২টি ওয়ার্ড। পাঁচটি পৌরসভা ও ১৩টি উপজেলার ১৫৩ ইউনিয়নের মধ্যে ১২৯টির এক হাজার ৫৪৮টি গ্রাম। আশ্রয়কেন্দ্র ৬১৯টি থেকে বাড়ানো হয়েছে ৬৫৬টি। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে ১৯ হাজার ৯৪৯ জন আশ্রয় নিয়েছেন। মঙ্গলবার পর্যন্ত এই সংখ্যা ছিল তিন হাজার ৯২৪ জন।

জেলা প্রশাসন সূত্র আরও জানায়, জেলা প্রশাসনে একটি এবং প্রতিটি উপজেলা একটি করে কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে। দুর্গত এলাকায় প্রতিটি ইউনিয়নে একটি করে মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। সেইসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের মাধ্যমে উপদ্রুত এলাকা খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করা ও উদ্ধার কাজে ভলেন্টিয়ার টিম কাজ করছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যের ভিত্তিতে আগামী তিনদিন ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকতে পারে। সেই কারণে সংশ্লিষ্টদের সার্বিক পরিস্থিতির ওপর সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থা রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন সিলেটের জেলা প্রশাসক (ডিসি) শেখ রাসেল হাসান।

এদিকে সিলেটের তিনটি নদীর পানি পাঁচটি পয়েন্টে বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। বুধবার বিকেল পর্যন্ত জেলার সুরমা, কুশিয়ারা, সারি ও সারি-গোয়াইন নদীর ছয়টি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য মতে, বুধবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সুরমার পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ৯৬ সেন্টিমিটার ওপরে, সুরমার পানি সিলেট পয়েন্টে ৩৭ সেন্টিমিটার ওপরে, অমলসীদ পয়েন্টে কুশিয়ারার পানি বিপৎসীমার ৬২ সেন্টিমিটার ওপরে এবং ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে বিপৎসীমার ১শ সেন্টিমিটার ও শেরপুরে ২১ সেন্টিমিটার ওপরে, সারি নদীর পানি ২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহমান ছিল।

বিশেষ করে সিলেট নগর এলাকা, গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পৃথকভাবে লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়েছেন। নগরের তালতলা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনও পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। পানি ওঠার আগেই সংশ্লিষ্টরা জরুরি জিনিসপত্র সরিয়ে নিয়েছেন।

তবে বন্যা আক্রান্ত এলাকার জনপ্রতিনিধিদের তথ্য মতে, উপজেলাগুলোর গ্রামীণ অনেক রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। অনেক কৃষি জমির ফসল তলিয়ে গেছে, ভেসে গেছে পুকুরের মাছ।

সুরমার পানি নগর সংলগ্ন পয়েন্টে বিপৎসীমা অতিক্রম করায় সিলেট নগরের উপশহর, তেরোরতন, সোনারপাড়া, লামাপাড়া, শিবগঞ্জ, মেজরটিলা, কেওয়াপাড়া, তালতলা, জামতলা, সোবহানীঘাট, যতরপুর, মাছিমপুর, পাঠানটুলা, দরগামহল্লা, পায়রাসহ অর্ধশতাধিক এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। অনেক এলাকায় বাসা ও দোকানে পানি ঢুকে পড়েছে। কোথাও কোথাও হাঁটু থেকে কোমরসমান পানি।

সিলেট আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য মতে, গত ২৪ ঘণ্টায় (মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে বুধবার ৬টা পর্যন্ত) সিলেটে ১শ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। আর বুধবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ১১০ দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।

এদিকে সুনামগঞ্জের ৬৯টি ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভার প্রায় চার লাখের অধিক মানুষ বন্যাকবলিত। এর মধ্যে প্রায় ১২ হাজার ৪৩৯ জন আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন। পানিতে তলিয়ে গেছে তাহিরপুর-বিশ্বম্ভরপুর-সুনামগঞ্জ সড়ক। ছাতক-গোবিন্দগঞ্জ সড়ক, দোয়ারাবাজার-ছাতক সড়ক, জামালগঞ্জ-সুনামগঞ্জ সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।

সুনামগঞ্জ সদর উপজেলায় পাঁচ হাজার জন, বিশ্বম্ভরপুরে ২২ হাজার, শান্তিগঞ্জে ১৫ হাজার, তাহিরপুরে ১ লাখ ৪০ হাজার, জামালগঞ্জে ১২ হাজার ৬৭০, জগন্নাথপুরে ৩৭ হাজার ৩১০, দিরাইয়ে ৭৮ হাজার ২৫০, শাল্লায় ১১৭, ছাতকে ২ লাখ ও দোয়ারা বাজার উপজেলায় ৫০ হাজার লোক বন্যাকবলিত হয়েছে। বন্যার্তদের জন্য ৫৩১টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত আছে। এর মধ্যে ১২ হাজার ৪৩৯ জন আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন।

এদিকে বুধবার বিকেলে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসন সূত্রে পাওয়া তথ্য মতে, জেলা সদরসহ সাতটি উপজেলায় গত কয়েকদিনের ভারী বর্ষণে, উজানের পাহাড়ি ঢল ও নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। জেলাজুড়ে ৪৭৪টি গ্রাম প্লাবিত, আক্রান্ত হয়েছে ২ লাখ ৮১ হাজার ৯২০ জন মানুষ। তবে রাতে এই সংখ্যা তিন লাখ ছাড়াতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ২০৪টি আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছেন এক হাজার ৫১৩টি পরিবার। মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে ৭০টি।

নিউজ ট্যাগ: সিলেটে বন্যা

আরও খবর



বাজেট: দাম বাড়ছে এসি-ফ্রিজের

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (এসি) উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান এত দিন রেয়াতি হারে কম্প্রেসর আমদানি করতে পারত। তবে প্রস্তাবিত বাজেটে সেই রেয়াতি সুবিধা প্রত্যাহার করার সুপারিশ করা হয়েছে। একই সঙ্গে ফ্রিজে ভ্যাট বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে পণ্য দুটির দাম বাড়তে পারে।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।

অর্থমন্ত্রী বলেন, এয়ারকন্ডিশনার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানসমূহ বিদ্যমান প্রজ্ঞাপন অনুসারে রেয়াতি হারে কম্প্রেসর আমদানি করতে পারে। এয়ারকন্ডিশনার স্বল্প আয়ের জনগণ ব্যবহার করে না বিধায় এর আমদানি শুল্কে রেয়াতি সুবিধা প্রত্যাহার করার সুপারিশ করছি। এছাড়া বর্তমানে দেশে রেফ্রিজারেটর উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় কম্প্রেসর উৎপাদন হয় বিধায় এ ধরনের শিল্প প্রতিষ্ঠানের জন্য বিদ্যমান প্রজ্ঞাপন হতে কম্প্রেসর প্রত্যাহার করার সুপারিশ করছি।

মন্ত্রী আরও বলেন, এয়ারকন্ডিশনার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট বিদ্যমান প্রজ্ঞাপনটি জুন, ২০২৬ পর্যন্ত বলবৎ রাখার লক্ষ্যে এর কার্যকারিতার মেয়াদ উল্লেখ করার সুপারিশ করছি। এছাড়া দেশীয় কম্প্রেসর প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানকে সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে রেফ্রিজারেটর ও এয়ার কন্ডিশনারে ব্যবহৃত কম্প্রেসর আমদানিতে ন্যূনতম মূল্য ধার্য করার প্রস্তাব করছি।

দেশের বাজারে যত ফ্রিজ বা রেফ্রিজারেটর বিক্রি হয়, তার ৯০ শতাংশই দেশে উৎপাদিত। দেশীয় ব্র্যান্ডগুলো যেমন দেশে ফ্রিজ উৎপাদন করছে, তেমনি বিদেশি ব্র্যান্ডের কারখানাও হয়েছে। দেশি তৈরি ফ্রিজে ভ্যাট আড়াই শতাংশ বেড়ে সাড়ে ৭ শতাংশ হয়েছে। 


আরও খবর



সিলেটে স্ত্রীকে কুপিয়ে স্বামীর আত্মহত্যা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
এস এ শফি, সিলেট

Image

সিলেটের ওসমানীনগরে স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টার পর নিজের গলায় ও পেটে কোপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন এক ব্যক্তি। মঙ্গলবার (২৫ জুন) ভোরে উপজেলার বুরুঙ্গা ইউনিয়নের কামারগাঁও গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।

নিহত ছায়াদ মিয়া (৫২) উপজেলার জহিরপুর গ্রামের মৃত আব্দুস ছাত্তারের ছেলে। তিনি ৪ বছর ধরে স্ত্রী ও তিন মেয়ে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি কামারগাঁও গ্রামে থাকেন। গত এক বছর ধরে মানসিক রোগে ভুগছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী শাহনাজ আক্তার পলিকে গুরুতর আহত অবস্থায় সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার ভোর সাড়ে চারটার দিকে ছায়াদ মিয়া ঘুম থেকে উঠে বটি ও দা দিয়ে তার ঘুমন্ত স্ত্রীর কানে ও পেটে কোপ দিয়ে মারাত্মক জখম করেন। পরে সেই দা দিয়ে নিজের গলায় ও পেটে আঘাত করে আত্মহত্যা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। এ সময় গুরুতর আহতাবস্থায় নিহতের স্ত্রীকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

এ বিষয়ে সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ওসমানীনগর-বিশ্বনাথ সার্কেল) মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান বলেন, এরকম একটি ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করেছে। একইসঙ্গে নিহতের স্ত্রীকে গুরুতর আহতাবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এটি হত্যাকাণ্ড কী না নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।


আরও খবর