আজঃ সোমবার ১৩ মে ২০২৪
শিরোনাম

শ্রীলঙ্কার অর্থনীতির হাল কোন দিকে

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্টের ভাষায় দেশটি দেউলিয়া। গেল বছরের মে মাসে ভারত মহাসাগরের এই দ্বীপদেশটি সার্বভৌম ঋণ পরিশোধে খেলাপি হয়ে পড়ে। এক গভীর অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক দুর্দশার মধ্যে পড়ে যায়। পরে দেশটি অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের জন্য আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছে থেকে ২৯৯ কোটি ডলারের ঋণ পায়। কিন্তু এ অর্থ এখনো ছাড় হয়নি।

কারণ, দেশটির অন্যতম দুই ঋণদাতা চীন ও ভারতের কাছ থেকে দ্বিপক্ষীয় ঋণ পুনর্গঠন না হওয়া পর্যন্ত আইএমএফ ঋণ ছাড় করবে না। তবে এতে কোনো অগ্রগতি নেই। তাই দেশটির মানুষের কষ্টও লাঘব হচ্ছে না।

আগামী কিছুদিনের মধ্যে শ্রীলঙ্কা আর্থিক সহায়তার অর্থ পেলেও দেশটির অর্থনীতির পুনর্গঠনের কাজ যে দ্রুত সম্ভব হবে, তাও বলা যাচ্ছে না। বরং এটা একটা শুরুমাত্র। শ্রীলঙ্কার অর্থনীতির মডেলের একটা মৌলিক পরিবর্তন দরকার বলে মনে করা হয়। বিচ্ছিন্নতাবাদী তামিল টাইগারদের সঙ্গে ২৫ বছরের গৃহযুদ্ধের পর ২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কা অর্থনৈতিক দিক থেকে একধরনের শান্তির লভ্যাংশ পায়।

সেই সময় দেশটি বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে সমর্থ হয়। শুধু চীন নয়, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানও ঋণ দিতে আগ্রহী হয়। অর্থনীতির এই প্রবাহ দেশীয় অর্থনীতির প্রবৃদ্ধিকে বাড়িয়ে তোলে। তবে এর ফলে নানা ধরনের ভারসাম্যহীনতাও সৃষ্টি হয়। দেশটির রপ্তানি ২০০০ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত সাড়ে ছয় শ ডলার কোটি থেকে বেড়ে প্রায় দুই হাজার কোটি ডলারে গিয়ে পৌঁছায়। ওই সময় দেশটির অর্থনীতিতে রপ্তানির অবদান ২৩ শতাংশ থেকে লাফিয়ে ৩৯ শতাংশে গিয়ে ঠেকে।

২০২০ সালে করোনা অতিমারি আঘাত হানার আগপর্যন্ত শ্রীলঙ্কার বাণিজ্যঘাটতি জিডিপির ৬ শতাংশের বেশি ছিল। শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি এতটা জোরে ধাক্কা খাওয়ার একটি বড় কারণ এই ভারসাম্যহীনতা। এ সময় খাদ্য ও জ্বালানি আমদানির জন্য প্রয়োজনীয় বৈদেশিক মুদ্রার সংকট দেখা দেয়। অর্থনীতির এই নাজুক অবস্থায় দেশটির রাজনীতি চরম সংকটে পড়ে। ব্যাপক জনবিক্ষোভ সামাল দিতে না পেরে গত বছরের জুলাই মাসে প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে দেশ ছেড়ে পালান। ক্ষমতায় আসেন রনিল বিক্রমাসিংহে। তাঁর কাছে এটি পরিষ্কার ছিল, শ্রীলঙ্কার অর্থনীতির উত্তরণ ঘটাতে হলে সংকটের উৎসে যে ভারসাম্যহীনতা, তা কমাতে হবে। মূল কথা, রপ্তানি বাড়াতে হবে।

গত বছর শ্রীলঙ্কার স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে এক সভায় রনিল বিক্রমাসিংহে বলেন, আমাদের বড় ধরনের প্রতিযোগিতামূলক রপ্তানিমুখী অর্থনীতির দিকে যেতে হবে। এ ছাড়া কোনো গত্যন্তর নেই। ২ কোটি ২০ লাখ মানুষের দেশ এটি। আমাদের দেশের বাইরের বাজার দেখতে হবে। এখন শ্রীলঙ্কার অর্থনীতির বড় প্রশ্ন হলো, আদৌ কি শ্রীলঙ্কায় প্রয়োজনীয় সংস্কার হয়েছে? দেশটি কি উন্নতির দিকে সত্যিই যাচ্ছে?

শ্রীলঙ্কার রপ্তানির প্রথাগতভাবে কৃষিপণ্যকেন্দ্রিক। ষোড়শ শতকে শ্রীলঙ্কার দারুচিনি ইউরোপীয় অনেক ঔপনিবেশিক শক্তিকে আকর্ষণ করেছিল। এখন দেশটির সবচেয়ে বড় রপ্তানি পণ্য হলো চা। তবে বাইরের দেশ থেকে রাসায়নিক সার আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞার কারণে এ খাতে ২০২১ সালে ভয়াবহ বিপর্যয় নেমে আসে। উৎপাদন কমে যায় এক-পঞ্চমাংশ। ভবিষ্যতে রপ্তানি বাড়ানোর জন্য কৃষিপণ্য উৎপাদন বৃদ্ধিকে অগ্রাধিকার দিতে হবে নীতিনির্ধারকদের। দুই শতাব্দী পুরোনো চাশিল্পে এখনো পুরোনো যন্ত্রপাতি দিয়ে কাজ চলে। হাত দিয়েই চাপাতা তোলার রীতি চালু আছে।

শ্রীলঙ্কার চাশিল্পের শীর্ষে থাকা নুয়ারু এলিয়া এলাকার পেড্রো চাবাগানের প্রধান রোশন রাজাদুরাই বলেন, প্রথাগত রীতির বাইরে তিনি নতুন ধারা আনতে চান চাশিল্পে। কিন্তু শ্রমিকেরা এ ধারায় বাধার সৃষ্টি করছে। চায়ের বাইরে শ্রীলঙ্কার রপ্তানি পণ্যের মধ্যে আছে পোশাকশিল্প। কিন্তু এ শিল্পের কাঁচামাল ও জ্বালানির জন্য দেশটিকে পুরোপুরি বাইরের মুখাপেক্ষী থাকতে হয়।

রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধের কারণে কাঁচামালের দাম বেড়েছে ব্যাপকভাবে। এসব সামগ্রীর দাম কমলেও শ্রীলঙ্কার অর্থনীতির গতি আসবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ আছে। তাহলে শ্রীলঙ্কা এখন কি রপ্তানি করতে পারে? মালয়েশিয়া বা ভিয়েতনামের মতো ইলেকট্রনিক সামগ্রীর উৎপাদন শ্রীলঙ্কায় হয় না। তাই এ ক্ষেত্রে শ্রীলঙ্কার অর্থনীতিতে প্রাণের সঞ্চার করতে পারে বন্দরগুলো। দেশটির ভৌগোলিক অবস্থান এসব বন্দরের ব্যবহার আরও বাড়ানোর উপযোগী।

শ্রীলঙ্কার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর নন্দলাল বীরাসিংহে বলেন, ভারত মহাসাগরে যেখানে শ্রীলঙ্কার অবস্থান, সেখানে অন্য দেশের পণ্য পরিবহনের একটি কেন্দ্র হতে পারে দেশটি। এখানে বন্দর ও আনুষঙ্গিক সুবিধা আছে। এভাবে রপ্তানির গতিও বাড়তে পারে। ধারণা করা হয়, ভারত মহাসাগর দিয়ে বিশ্বের খোলা পণ্যের এক-তৃতীয়াংশ পরিবহন হয়। কিন্তু জাতীয় পরিকল্পনার অভাবে এর সুযোগ নিতে পারছে না দেশটি। গত বছর অর্থনৈতিক সংকটের সময় মার্কিন ডলারের সঙ্গে শ্রীলঙ্কার মুদ্রার মূল্যমান অর্ধেকে নেমে যায়। এতে রপ্তানি বাড়বে বলে আশা করা হয়েছিল। দেশটির আরেকটি সংস্কারের দিক তুলে ধরেছে বিশ্বব্যাংক। সেটা হলো আমদানি শুল্ক কমানো। বেশি শুল্কের কারণে আমদানি পণ্যের দাম অনেক বেশি হয়ে যায়। ভোক্তা পণ্যে আমদানি শুল্ক আরোপের দিক থেকে শ্রীলঙ্কা বিশ্বের সবচেয়ে রক্ষণশীল অর্থনীতির দেশ হিসেবে চিহ্নিত।

রপ্তানির ক্ষেত্রে এসব বাধা দূর করার উদ্যোগ বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে পারে। দেশের শিল্পকে আরও দক্ষ করতে পারে, সেই সঙ্গে বাড়তে পারে রপ্তানিও। কিন্তু প্রশ্ন হলো, সরকার বদলের পরও রনিল বিক্রমাসিংহে বাণিজ্যের বাধাগুলো দূর করার মতো রাজনৈতিক সমর্থন পাবেন কি না। তবে আশার দিক হলো, গত বছরের ভয়াবহ পরিস্থিতির পর সংস্কারের ভাবনা এখন জোরোশোরেই ভাবা হচ্ছে।


আরও খবর



ঢাকার বাতাসের মান আজও ‘অস্বাস্থ্যকর’

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আজও ঢাকার বাতাসের মান অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকাল ৮টা ৫৯ মিনিটে ১৫৬ এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শহরটির অবস্থান নবম।

পাকিস্তানের লাহোর, ভারতের দিল্লি ও নেপালের কাঠমান্ডু যথাক্রমে ২০৬, ১৯১ ও ১৭৮ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম তিনটি স্থান দখল করেছে।

১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে বাতাসের মান সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’, ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়।

২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়, ৩০১+ একিউআই স্কোরকে ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের ৫টি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।

দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।


আরও খবর



ওবায়দুল কাদেরের ভাইয়ের মনোনয়নপত্র বাতিল

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হওয়া আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই শাহদাত হোসেনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে।

রোববার (৫ মে) দুপুর ১২টায় রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ইসমাঈল হলফনামায় মামলা ও আয় বিবরণীর তথ্য গোপন করায় মনোনয়নপত্র বাতিল করেন।

জানা যায়, আগামী ২৯ মে তৃতীয় ধাপে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ, সদর ও বেগমগঞ্জ উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। কোম্পানীগঞ্জে চেয়ারম্যান পদে সেতুমন্ত্রীর ভাইসহ চারজন প্রার্থী হয়েছেন। তারা হলেন- ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই শাহদাত হোসেন, উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক ও ব্যবসায়ী মোহাম্মদ গোলাম শরীফ চৌধুরী পিপুল, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদল এবং যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী ওমর আলী। ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই শাহদাত হোসেন ছাড়া বাকি তিনজনের মনোনয়ন বৈধ হয়েছে।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ইসমাঈল বলেন, যাচাই-বাছাই শেষে হলফনামায় মামলা ও আয় বিবরণীর তথ্য গোপন করায় চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহাদাত হোসেনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। সংশোধন পূর্বক জেলা প্রশাসক মহোদয় বরাবর আপিলের পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে।

ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই শাহদাত হোসেন বলেন, আমার নামে যে মামলা ছিল তা আমার জানা ছিল না। এ ছাড়া আয় বিবরণীর হিসাব দেওয়া হয়েছে, রিটার্নিং কর্মকর্তা তা খেয়াল করেননি। আপিল করার সুযোগ আছে। আমি আপিল করবো। আশা করি আমার মনোনয়ন বৈধ হবে।

তিনি আরও বলেন, আমার ভাই মন্ত্রী। স্বজন বলতে সন্তান-স্ত্রীকে বলা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী সেটা ক্লিয়ার করেছেন। আমার ভাই ওবায়দুল কাদের সাহেবও সেটা ক্লিয়ার করেছেন। আশা করি স্বজনের ভুল ব্যাখ্যা থেকে সবাই সরে আসবে।

প্রসঙ্গত, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপের তফসিল অনুযায়ী প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১২ মে, প্রতীক বরাদ্দ ১৩ মে। ভোটগ্রহণ হবে আগামী ২৯ মে। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোট ১০ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে চারজন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন এবং সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন। একমাত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহদাত হোসেন ছাড়া বাকি সবার মনোনয়ন বৈধ হয়েছে।


আরও খবর



চুয়েটের ২ শিক্ষার্থীক চাপা দেয়া সেই বাসচালক গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

Image

বাসের ধাক্কায় চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় বাসচালক তাজুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বাড়ি চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার পৌরসভার উত্তর ঘাটচেক এলাকায়।

চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (জেলা বিশেষ শাখা) আবু তৈয়ব মোহাম্মদ আরিফ হোসেন গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গত সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকেলে কাপ্তাই সেলিনা কাদের চৌধুরী কলেজ সংলগ্ন এলাকায় বাসের ধাক্কায় চুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শান্ত সাহা এবং গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান একই বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী তৌফিক হোসাইন। একই ঘটনায় আহত হয়ে জাকারিয়া নামের আরেক চুয়েট শিক্ষার্থী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

এ ঘটনায় ওই দিন রাত ৮টার দিকে উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে বাস ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।


আরও খবর



সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীদের গাউন পরা শিথিল হলো

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

দেশজুড়ে চলমান তীব্র তাপদাহের কারণে সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগে মামলার শুনানিতে আইনজীবীদের গাউন পরার আবশ্যকতা শিথিল করা হয়েছে। আজ শনিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের আদেশ অনুসারে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. গোলাম রব্বানীর সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগে মামলার শুনানিকালে আইনজীবীদের গাউন পরিধানের আবশ্যকতা শিথিল করা হলো।

প্রচণ্ড তাপপ্রবাহের কারণে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ বিচারপতিদের আলোচনাক্রমে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়। এ নির্দেশনা ২১ এপ্রিল (রোববার) থেকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।


আরও খবর



৯ মে ঢাকায় আসছেন ভারতীয় পররাষ্ট্রস‌চিব

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আগামী ৯ মে (বৃহস্প‌তিবার) ঢাকা সফরে আস‌ছেন ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিনয় কোয়াত্রা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে দিল্লি সফরের আমন্ত্রণ পৌঁছে দেওয়ার কথা রয়েছে তার।

ঢাকার এক‌টি কূটনৈ‌তিক সূত্র কোয়াত্রার সফরের তথ্য নি‌শ্চিত করেছে। সূত্র জানায়, আগামী ৯ মে ভারতীয় পররাষ্ট্রস‌চিবের ঢাকায় আসার তা‌রিখ চূড়ান্ত হয়েছে। ঢাকা সফরে তার মূল বৈঠক হবে পররাষ্ট্রস‌চিব মাসুদ বিন মোমেনের স‌ঙ্গে।

গত ২০ এ‌প্রিল ঢাকায় আসার কথা ছিল ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিনয় কোয়াত্রার। তবে অনিবার্য কারণে ভারতের পররাষ্ট্রসচিবের পূর্বনির্ধারিত সেই সফর স্থগিত হয়।

জানা গেছে, এক‌দিনের আসন্ন ঢাকা সফরে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রস‌চিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে বৈঠক করবেন কোয়াত্রা। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর দি‌ল্লি সফরসহ দুই দে‌শের স্বার্থ সং‌শ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনার কথা রয়েছে। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হা‌সিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন কোয়াত্রা।

আশা করা হচ্ছে, সরকারপ্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে দিল্লি সফরের আমন্ত্রণপত্র পৌঁছে দেবেন তি‌নি।


আরও খবর