আজঃ সোমবার ১৩ মে ২০২৪
শিরোনাম

শ্রীপুরে প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার ২

প্রকাশিত:শুক্রবার ১১ জুন ২০২১ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১১ জুন ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
Image

শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি:

গাজীপুরের শ্রীপুরে প্রতারণার অভিযোগে দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযুক্তরা হলেন শ্রীপুর পৌরসভার ভাংনাহাটি (নজালীপাড়া) গ্রামের ছিদ্দিকুর রহমানের ছেলে সাব্বির আহম্মেদ ফরিদ (৩০) ও বাঘমারা গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে তানভীর আহমেদ (৩৫)।

সাব্বির আহম্মেদ ফরিদ শ্রীপুর মুক্তিযোদ্ধা রহমত আলী সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এবং তানভীর আহমেদ নিজেকে একটি দৈনিক পত্রিকার প্রতিনিধি হিসেবে পুলিশ ও স্থানীয়দের কাছে পরিচয় দেয়।

বৃহস্পতিবার (১০জুন) রাত ১০ টায় শ্রীপুর পৌরসভার কেওয়া পূর্বখন্ড এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। মিথ্যা মামলার নথি দেখিয়ে ও তা থেকে অব্যাহতির জন্য এক ব্যাক্তির কাছ থেকে টাকা নেয়ার সময় দুই যুবককে স্থানীয়রা আটক করে। পরে পুলিশ গিয়ে তাদের গ্রেফতার করে এ সংক্রান্ত একটি মামলা রুজু করে। মামলাটি করেন কেওয়া পূর্বখন্ড গ্রামের জসীম উদ্দিনের ছেলে বৈরাগীরচালা ফাতেমাতুজ জহুরা (রা:) জামে মসজিদের ইমাম আব্দুল হালিম।

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোন্দকার ইমাম হোসেনের ভাষ্য ও মামলার বিবরণে জানা গেছে, গত ১৮ এপ্রিল রাত সাড়ে ১০ টায় অভিযুক্তরা তাদের ৫ সহযোগীকে নিয়ে বৈরাগীরচালা গ্রামের আনোয়ারা মান্নানা ও আনোয়ারা প্যাকেজিং কারখানার (দুই ফ্যাক্টরির) মাঝে র‌্যাব ও পুলিশের লোক পরিচয়ে ভিকটিমের পথরোধ করে। অভিযুক্তরা ভিকটিমকে তার বিরুদ্ধে একটি হত্যা, একটি ধর্ষণ ও একটি রাষ্ট্রদ্রোহীর ভুয়া মামলার নথি দেখায়। ওই মামলাগুলোর কারণে ভিকটিমকে তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেয়। পরে তিন লাখ টাকা দাবি করে একদিনের সময় দিয়ে চলে যায়। পরে ১৯ এপ্রিল রাত সাড়ে ১০ টায় ওই অভিযুক্তরা ভিকটিমের বাড়ির সামনে এসে নগদ এক লাখ টাকা নিয়ে যায়। পরদিন ২০ এপ্রিল রাতের একই সময়ে ওই একই স্থানে বৈরাগীরচালা এলাকায় ভিকটিমের পথরোধ করে আরো এক লাখ টাকা দাবি করে। ওই রাতে তাদরেকে ভিকটিম নগদ ৫০ হাজার টাকা ও ইসলামী ব্যাংক মাওনা শাখার ৫০ হাজার টাকার একটি চেক প্রদান করে। পরে ওই টাকা তারা ২১ এপ্রিল ব্যাংক থেকে উত্তোলন করে। শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে এ ঘটনায় আরো ৩ লাখ টাকা দিতে হবে বলে বিভিন্ন সময় ভিকটিমকে ফোন করে দাবি করতে থাকে।

ভিকটিম আব্দুল হালিম জানায়, ১০ জুন বৃহস্পতিবার রাত ৮ টার দিকে অভিযুক্তরা ওসির জন্য ওই তিন লাখ টাকা নিতে আসে। পরে তাদের আচার-আচরণ সন্দেহ হলে তাদেরকে একটি কক্ষে বসিয়ে কথাবার্তা বলার সময় স্থানীয় অনেক লোক জড়ো হয়। পরে তাদের সাথে থাকা ওই দুইজন অভিযুক্ত ছাড়া কৌশলে পালিয়ে যায়। পরে থানায় ঘটনা অবগত করলে পুলিশ এসে ওই দুই যুবককে আটক করে নিয়ে যায়।

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোন্দকার ইমাম হোসেন জানান, অভিযুক্তরা ঘটনা পুলিশ এবং উপস্থিত স্থানীয় লোকদের কাছে স্বীকার করে। এ ব্যাপারে একটি মামলা রুজু করে আদালতের মাধ্যমে অভিযুক্তদের জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।


আরও খবর



ইসরায়েলজুড়ে ইরানের নজিরবিহীন হামলা

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো শুরু করেছে ইরান। সম্প্রতি সিরিয়ার রাজধানীতে ইরানি কনস্যুলেটে হামলার জবাবে শনিবার (১৩ এপ্রিল) গভীর রাতে সরাসরি ইসরায়েলের ওপর এই হামলা শুরু করে তেহরান।

ইরানের নজিরবিহীন এই হামলায় ইসরায়েলজুড়ে ব্যাপক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটছে। জেরুজালেম ও তেল আবিবসহ পুরো ইসরায়েলজুড়ে বাজছে বিমান হামলার সাইরেন। এমন অবস্থায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের বোমা হামলার শেল্টারের কাছাকাছি থাকার নির্দেশ দিয়েছে। রোববার এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ইরান নজিরবিহীন হামলা চালানো শুরু করেছে এবং তেল আবিব ও জেরুজালেমসহ ইসরায়েলজুড়ে শহরগুলোতে বিমান হামলার সাইরেন এবং বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছে।

এদিকে ইরান থেকে উৎক্ষেপণ করা ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোনগুলোকে গুলি করে ধ্বংস করার কাজে ইসরায়েলি, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যের সঙ্গে জর্ডানের বাহিনীও কাজ করছে।

তেহরান বলেছে, তারা সিরিয়ায় ইরানের কনস্যুলেটে ইসরায়েলি হামলার প্রতিক্রিয়ায় এই হামলা চালিয়েছে। দেশটি আরও বলেছে, বিষয়টি এখন সমাপ্ত বলে মনে করা যেতে পারে

এদিকে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের বোমা শেল্টারের কাছাকাছি থাকার নির্দেশ দিয়েছে।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী সতর্কতা জারি করে বলেছে, অধিকৃত গোলান মালভূমি, নেভাটিম, ডিমোনা এবং ইলাতের বাসিন্দাদের পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত প্রতিরক্ষামূলক স্থানের কাছাকাছি অবস্থান করতে হবে।

নেভাটিম এমন একটি স্থান যেখানে ইসরায়েলি বিমানঘাঁটির অবস্থান রয়েছে। দিমোনার উপকণ্ঠে ইসরায়েলের একটি পারমাণবিক চুল্লি রয়েছে। ইলাত হলো ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলীয় লোহিত সাগর তীরবর্তী বন্দরনগরী। গাজায় চলমান যুদ্ধের সময় ইয়েমেনের হুথিদের বারবার আক্রমণের শিকার হয়েছে এই শহরটি।

অন্যদিকে জাতিসংঘে নিযুক্ত ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত সংস্থাটির নিরাপত্তা পরিষদে জরুরি বৈঠকের অনুরোধ করেছেন। আল জাজিরা বলছে, ইসরায়েলের জাতিসংঘ রাষ্ট্রদূত গিলাদ এরদান ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ইরানের ড্রোন হামলার বিষয়ে একটি জরুরি বৈঠকের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে নিরাপত্তা পরিষদের প্রেসিডেন্টকে চিঠি লিখেছেন।

চিঠিতে এরদান বলেছেন, ইরানের হামলা বিশ্ব শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য একটি গুরুতর হুমকি এবং আমি আশা করি কাউন্সিল ইরানের বিরুদ্ধে দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে সব উপায় ব্যবহার করবে।

এমন অবস্থায় রোববার বিকেলে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের বর্তমান সভাপতি মাল্টা বলেছে, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ (ইউএনএসসি) রোববার নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় বিকেল ৪টায় একটি জরুরি বৈঠকে বসবে। ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ইরানের ড্রোন হামলার বিষয়ে জরুরি বৈঠকের জন্য জাতিসংঘে ইসরায়েলি দূতের আনুষ্ঠানিক অনুরোধের পরপরই বৈঠকটি ডাকা হয়।

উল্লেখ্য, সিরিয়ার রাজধানী দামেস্ককে ইরানি কনস্যুলেটে চালানো হামলার প্রতিশোধ নিতে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে শতাধিক ড্রোন ছুড়েছে ইরান। রোববার রাতে দখলদার ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে একের পর এক ড্রোন ছুড়তে থাকে ইরানের চৌকস বাহিনী ইসলামিক বিপ্লবী গার্ডের (আইআরজিসি) সেনারা। এসব ড্রোন একে একে ইসরায়েলের দিকে ছুটে যায়।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, তাদের বিমানবাহিনী শতাধিক ড্রোন শনাক্ত করেছে। যেগুলোর ওপর নজর রাখা হচ্ছে। ড্রোনের পর ইরান ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়েছে বলেও জানা গেছে।


আরও খবর



১০ কোটি টাকার অনিয়ম: অগ্রণী ব্যাংকের গ্রেপ্তার ৩ কর্মকর্তা সাময়িক বরখাস্ত

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

১০ কোটি টাকা আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে পাবনায় অগ্রণী ব্যাংক কাশিনাথপুর শাখার ব্যবস্থাপকসহ আটক ৩ জনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। শনিবার (২৭ এপ্রিল) এই তথ্য জানা গেছে। এর আগে বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) মধ্যরাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) অগ্রণী ব্যাংকের রাজশাহী বিভাগীয় অফিস থেকে ৫ সদস্য বিশিষ্ট অডিট টিম সাঁথিয়ায় উপজেলার কাশিনাথপুর শাখায় অডিটে যান। অডিটে ১০ কোটি ১৩ লাখ ৬২ হাজার ৩৭৮ টাকা আর্থিক অনিয়ম ধরা পড়ে।

এ বিষয়ে ওই শাখার ব্যবস্থাপক (সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার) হারুন বিন সালাম, ক্যাশ অফিসার সুব্রত চক্রবর্তী ও সিনিয়র অফিসার আবু জাফরকে অভিযুক্ত করে সাঁথিয়া থানায় অভিযোগ দেয় অডিট টিম। পরে পুলিশ মধ্যরাতে তাদের তিনজনকে গ্রেপ্তার করে।

এদিকে শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে তাদেরকে আদালতে প্রেরণ করে সাঁথিয়া থানা পুলিশ। পরে বিকেলে সাড়ে ৫টার দিকে তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আনোয়ার হোসেন সাগর।

বিষয়টি নিশ্চিত করে আদালতের জিআরও এএসআই মাহবুবুর রহমান জানান, বিকেলে সাঁথিয়া থানা থেকে এনে তাদের আদালতে তোলা হয়। এ সময় কেউ তাদের জন্য জামিন আবেদন করেননি। ফলে আদালত তাদের জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।


আরও খবর



জাজিরায় ককটেল বিস্ফোরণে আহত যুবকের মৃত্যু

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

জাজিরা (শরীয়তপুর) প্রতিনিধি:

শরীয়তপুরের জাজিরায় বোমা বিস্ফোরণে আহত সৈকত সরদার (১৯) নামের এক যুবক চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিকাল ৫টার সময় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) হাফিজুর রহমান। এ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি বলেও জানিয়েছেন তিনি।

নিহত সৈকত সরদার (১৯) জাজিরা উপজেলার বিলাসপুর ইউনিয়নের মুলাই বেপারী কান্দি গ্রামের কাসেম সরদারের ছেলে। তিনি বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ কুদ্দুস বেপারীর সমর্থক ছিল।

এর আগে গত ২৪ এপ্রিল সাহাবুদ্দিন নামে এক যুবক নড়িয়া থেকে তার বাড়িতে আসার সময় সারেং কান্দি বাজারে আসলে বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ কুদ্দুস বেপারীর কিছু লোক তাকে গতিরোধ করে। এরপরে তাকে সেখানে গণধোলাই দিলে স্থানীয়রা জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে প্রেরণ করে।

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঐদিনই স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আঃ জলিল মাদবর ও বর্তমান ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ কুদ্দুস বেপারীর সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষে নিহত সৈকত বোমা বিস্ফোরণে গুরুতর আহত হলে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে প্রেরণ করেন।

এবিষয়ে বিলাসপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ কুদ্দুস বেপারী মুঠোফোনে বলেন, সংঘর্ষের সময় আমার সমর্থক সৈকতের পিঠে, গলায় ও মাথায় বোমার আঘাত লেগে গুরুতর আহত হওয়ার পর এখন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেলো। আমি চেয়ারম্যান হিসেবে এমন সংঘর্ষ কখনোই সমর্থন করিনা। কিন্তু জলিল মাদবরের সমর্থকরা খুবই বেপরোয়া প্রকৃতির। জলিল মাদবরের আস্কারায় এলাকায় তারা এই অরাজকতা চালিয়ে যাচ্ছে।

বিষয়টি নিয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আঃ জলিল মাদবরের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা চেষ্টা করলে তিনি ফোন ধরেননি।

উল্লেখ্য: গত ২৭ মার্চ দু'পক্ষের সংঘর্ষে বোমার আঘাতে সজীব মুন্সী নামের এক যুবক গুরুতর আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেলে ৫ দিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তিনি জলিল মাদবরের সমর্থক ছিলেন।

নিউজ ট্যাগ: ককটেল বিস্ফোরণ

আরও খবর



যশোরে গরমে অসুস্থ হয়ে স্কুলশিক্ষকের মৃত্যু

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
যশোর প্রতিনিধি

Image

যশোরে ধান কেটে বাড়ি আসার পর আহসান হাবিব (৩৭) নামে একজন শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে। আজ রোববার সকাল ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। মৃত্যুবরণকারী শিক্ষক যশোর সদরের আমদাবাদ হাইস্কুলের সহকারী শিক্ষক।

স্থানীরা বলছেন, হিট স্ট্রোকে তিনি মারা গেছেন। সংশ্লিষ্ট ডাক্তার বলছেন, ময়নাতদন্ত রিপোর্ট ছাড়া তাঁর মৃত্যুর কারণ বলা যাচ্ছে না।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহারুল ইসলাম বলেন, আহসান হাবিব সকালে মাঠে ধান কেটে বাড়িতে আসেন। বাড়িতে এসেই সকাল পৌনে ৯টার দিকে হঠাৎ করেই বুকে ব্যথা এবং শরীর জ্বলে যাচ্ছে বলে কাতরাতে থাকেন। এরপর পরিবারের সদস্যরা তাঁকে দ্রুত যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। আমাদের ধারণা, প্রচণ্ড তাপের কারণে হিট স্ট্রোকে তিনি মারা গেছেন। আসরের নামাজের জানাজা শেষে তাঁকে দাফন করা হবে।

যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক হাসিব মোহাম্মদ আল হাসান জানান, হাসপাতালে আসার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। কী কারণে মৃত্যু হয়েছে তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ছাড়া বলা সম্ভব নয়।

এদিকে স্থানীয় একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শিক্ষক আহসান হাবিব মাদকাসক্তও ছিলেন। নিয়মিত মাদক সেবন করতেন। ফলে তাপপ্রবাহে মাঠে কাজ করার প্রভাবে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন।


আরও খবর



নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশ আজ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার চিকিৎসা ও নিঃশর্ত মুক্তি এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ কারাবন্দি নেতাদের মুক্তির দাবিতে নয়াপল্টনে সমাবেশ করবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি।

আজ (শুক্রবার) বিকেল ৩টায় নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এ সমাবেশে অনুষ্ঠিত হবে।

বিএনপির চেয়ারপার্সনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার জানান, সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। এছাড়া বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা সমাবেশে বক্তব্য রাখবেন।

দিদার বলেন, সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। পূর্বের ঘোষণা অনুযায়ী সমাবেশ হবে।

এদিকে সমাবেশ সফল করতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি কয়েক দফায় যৌথ সভাও করেছে।

উল্লেখ্য, গতকাল বৃহস্পতিবার ১৯টি শর্তে নয়াপল্টনে বিএনপিকে সমাবেশ করার অনুমতি দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (অপারেশন্স) মো. আবু ইউসুফের স্বাক্ষর করা এক চিঠিতে বলা হয়, বিএনপির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ১৯ শর্ত যথাযথভাবে পালন সাপেক্ষে ১০ মে বিকেল ৩টায় নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হলো।

ডিএমপির শর্তগুলো হলো—

১. এই অনুমতিপত্র স্থান ব্যবহারের অনুমতি নয়, স্থান ব্যবহারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট থেকে অনুমোদন নিতে হবে।

২. স্থান ব্যবহারের অনুমতিপত্রে উল্লেখিত শর্তাবলী যথাযথভাবে পালন করতে হবে।

৩. অনুমোদিত স্থানের মধ্যেই সমাবেশের যাবতীয় কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখতে হবে।

৪. নিরাপত্তার জন্য নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পর্যাপ্ত সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক (দৃশ্যমান আইডি কার্ডসহ) নিয়োগ করতে হবে।

৫. অনুমোদিত স্থানের বাইরে বা সড়কের পাশে মাইক/সাউন্ডবক্স ব্যবহার করা যাবে না।

৬. অনুমোদিত স্থানের বাইরে বা সড়কের পাশে প্রজেক্টর স্থাপন করা যাবে না।

৭. অনুমোদিত স্থানের বাইরে রাস্তায় বা ফুটপাতে কোথাও লোক সমবেত হওয়া যাবে না।

৮. আযান, নামাজ ও অন্যান্য ধর্মীয় সংবেদনশীল সময় মাইক/শব্দযন্ত্র ব্যবহার করা যাবে না।

৯. ধর্মীয় অনুভূতির উপর আঘাত আনতে পারে এমন কোন বিষয়ে ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন বক্তব্য প্রদান বা প্রচার করা যাবে না।

১০. অনুমোদিত স্থানের আশপাশসহ রাস্তায় কোনো অবস্থাতেই সমবেত হওয়াসহ যান ও জন চলাচলে কোন প্রকার প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা যাবে না।

১১. সমাবেশস্থলে পতাকা, ব্যানার, ফেস্টুন বহনের আড়ালে কোন ধরণের লাঠি-সোটা, রড ব্যবহার করা যাবে না।

১২. আইন-শৃঙ্খলা পরিপন্থি ও জননিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় এমন কার্যকলাপ করা যাবে না।

১৩. রাষ্ট্র বিরোধী কোনো কার্যকলাপ ও বক্তব্য প্রদান করা যাবে না।

১৪. উস্কানিমূলক কোনো বক্তব্য প্রদান বা প্রচারপত্র বিলি করা যাবে না।

১৫. জন দুর্ভোগ সৃষ্টি করে মিছিল সহকারে সমাবেশস্থলে আসা যাবে না।

১৬. পার্কিংয়ের জন্য নির্ধারিত স্থানে গাড়ি পার্কিং করতে হবে, মূল সড়কে কোনো গাড়ি পার্কিং করা যাবে না।

১৭. সমাবেশস্থলে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি হলে আয়োজনকারী কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবেন।

১৮. উল্লিখিত শর্তাবলী যথাযথভাবে পালন না করলে তাৎক্ষণিকভাবে এই অনুমতির আদেশ বাতিল বলে গণ্য হবে।

১৯. জনস্বার্থে কর্তৃপক্ষ কোনো কারণ দর্শানো ব্যতিরেকে এই অনুমতি আদেশ বাতিল করার ক্ষমতা সংরক্ষণ করেন।


আরও খবর