আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

সরকার অভিনয়ের কালো আইন তুলে দিয়েছে: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশের বিভক্ত রাজনীতিতে সেতু তৈরি না হয়ে দেয়াল উঁচু থেকে উঁচু হচ্ছে। এই অলঙ্ঘনীয় দেয়াল ভেঙ্গে সম্প্রীতির সেতু তৈরি করতে হবে। বাংলাদেশের অস্তিত্বের জন্য জীবনধারায় ও গণতন্ত্র চর্চার জন্য রাজনীতিতে সেতু নির্মাণ আবশ্যক হয়ে উঠেছে।

আজ শনিবার গাজীপুরের কালীগঞ্জে বাংলাদেশ অভিনয় শিল্পী সংঘ আয়োজিত সাধারণ সভায় এসব কথা বলেন তিনি। প্রতিবেশী ভারতের পশ্চিমবঙ্গের চেয়ে বাংলাদেশের নাটক গুণে-মানে, অভিনয়ে, সংলাপে অনেক সমৃদ্ধ উল্লেখ করে- সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, সংস্কৃতি নিয়ন্ত্রণের কোনো বিষয় নয়। শেখ হাসিনার সরকার অভিনয়ের কালো আইন তুলে দিয়েছে। এই সরকার যতদিন ক্ষমতায় আছে, অভিনয় শিল্পীদের কোনো কালো আইন নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না।

অভিনয় শিল্পী সংঘের সভাপতি আহসান হাবিব নাসিমের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী পর্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন অভিনয় শিল্পী মামুনুর রশিদ, তারিক আনাম খান, দিলারা জামান, ডলি জহুর, শহিদুল আলম সাচ্চু ও আমিনুল হক চৌধুরী। পরে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী মঙ্গলপ্রদীপ প্রজ্বলন করে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন।


আরও খবর



১৯ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৪০৯৬ কোটি টাকা

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চলতি এপ্রিল মাসের প্রথম ১৯ দিনে বৈধ পথে দেশে ১২৮ কোটি ১৫ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। দেশীয় মুদ্রায় যার (প্রতি এক ডলার সমান ১১০ টাকা ধরে) পরিমাণ প্রায় ১৪ হাজার ৯৬ কোটি টাকার বেশি। এ হিসাবে গত ১৯ দিনে দৈনিক গড়ে ৬ কোটি ৭৪ লাখ ডলার বা ৭৪১ কোটি টাকার বেশি রেমিট্যান্স এসেছে। প্রবাসী আয়ের এ ধারা অব্যাহত থাকলে পুরো মাস শেষে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় দুই বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি এপ্রিল মাসের ১৯ দিনে ব্যাংকিং চ্যানেলে ১২৮ কোটি ১৫ লাখ ১০ হাজার ডলার এসেছে। তার মধ্যে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১১ কোটি ৩২ হাজার ডলার, বিশেষায়িত দুই ব্যাংকের মধ্যে একটি ব্যাংকের (কৃষি ব্যাংক) মাধ্যমে ৭ কোটি ৯০ লাখ মার্কিন ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১০৮ কোটি ৮১ লাখ ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৩৯ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার।

অন্যদিকে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি এমন ব্যাংকের সংখ্যা রয়েছে ৯টি। যার মধ্যে রয়েছে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বা বিডিবিএল, বিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক বা রাকাব। বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে রয়েছে কমিউনিটি ব্যাংক, সিটিজেন্স ব্যাংক ও আইসিবি ইসলামী ব্যাংক। বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলোর মধ্যে রয়েছে হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান, স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া এবং উরি ব্যাংক।

এর আগে বিদায়ী মার্চ মাসের পুরো সময়ে বৈধ পথে প্রায় দুই বিলিয়ন (১ দশমিক ৯৯ বিলিয়ন) ডলারের রেমিট্যান্স আসে। ওই মাসটির পুরো সময়ে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বা বিডিবিএল, বিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক বা রাকাব, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে কমিউনিটি ব্যাংক, সিটিজেন্স ব্যাংক, বিদেশি খাতের হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান এবং স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার মাধ্যমে।

এর আগে চলতি বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে ২১০ কোটি বা ২ দশমিক ১০ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল এবং দ্বিতীয় মাস ফেব্রুয়ারিতে এসেছিল ২১৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার। ২০২৩ সালের শেষ মাস ডিসেম্বরে এসেছিল ১৯৯ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স।

গত বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৯৫ কোটি ৮৮ লাখ ডলার, ফেব্রুয়ারিতে আসে ১৫৬ কোটি ডলার, মার্চে ২০২ কোটি, এপ্রিলে ১৬৮ কোটি, মে মাসে ১৬৯ কোটি, জুনে ২২০ কোটি, জুলাইয়ে ১৯৭ কোটি, আগস্টে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ, সেপ্টেম্বর মাসে ১৩৩ কোটি, অক্টোবরে ১৯৭ কোটি, নভেম্বর মাসে এসেছিল ১৯৩ কোটি ডলার এবং শেষ মাস ডিসেম্বরে আসে ১৯৯ কোটি ডলার রেমিট্যান্স।

২০২০ সালে হুন্ডি বন্ধ থাকায় ব্যাংকিং চ্যানেলে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছিল। বিদায়ী ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ২ হাজার ১৬১ কোটি মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স। এটি এ যাবৎকালের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এর আগে করোনাকালীন ২০২০-২০২১ অর্থবছরে সর্বোচ্চ দুই হাজার ৪৭৭ কোটি ডলারের রেমিটেন্স এসেছিল দেশে।


আরও খবর



সাত জেলার ওপর দিয়ে বইছে তাপপ্রবাহ

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশের সাত জেলার বিভিন্ন অঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু তাপপ্রবাহ। সেটি আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকবে। তাপপ্রবাহ চলমান জেলাগুলো হচ্ছে টাঙ্গাইল, রাজশাহী, পাবনা, যশোর, নীলফামারী, রাঙ্গামাটি ও ফেনী। সোমবার (১৩ মে) সন্ধ্যা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদের সই করা পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ থেকে উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। তবে আগামী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা ও সিলেট বিভাগসমূহের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা, ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

এ সময়ের মধ্যে সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।

পূর্বাভাসে আগামীকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগগুলোর দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা বলা হয়েছে।

একইসঙ্গে ওই দিনও চলমান তাপপ্রবাহ পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে এবং তা কিছু কিছু জায়গায় বিস্তার লাভ করতে পারে বলেও জানানো হয়েছে। সেইসঙ্গে সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রাও সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।

আজ (সোমবার) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে রাজশাহী বিভাগের ঈশ্বরদীতে ৩৭ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে রংপুর বিভাগের তেঁতুলিয়ায় ২১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে পটুয়াখালীতে। যার পরিমাণ ২০ মিলিমিটার।


আরও খবর
বৃষ্টির পর আসছে হিট ওয়েভ

শনিবার ১৮ মে ২০২৪




চসিকের নগর ভবনের নির্মাণকাজের উদ্বোধন

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

Image

নতুন নগর ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করেছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)। এর মধ্য দিয়ে ১৪ বছর ধরে লালিত চসিকের আইকনিক' নগর ভবন নির্মাণ হতে চলেছে।

আজ সোমবার দুপুরে নগরীর আন্দরকিল্লায় চসিকের নিজস্ব জমির উপর এই ভবন নির্মাণকাজের উদ্বোধন করবেন মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী।

উদ্বোধনকালে মেয়র বলেন, পুরাতন নগর ভবনের স্থানে পার্শ্ববর্তী আরো দু'টি ভবনের স্থান সংযুক্ত করে এই আইকনিক নগর ভবন নির্মাণ করা হবে। তিনটি বেইসমেন্টসহ পুরো নগর ভবন হবে ২১ তলা। এ ভবনের প্রথম ধাপের কাজ উদ্বোধন করা হলো। আমাদের লক্ষ্য ২৮ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা ব্যয়ের প্রথম ধাপের কাজের অংশ হিসেবে ৫-৬ তলা আগামী জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারির মধ্যে শেষ করে টাইগারপাস থেকে আন্দরকিল্লায় চলে আসা বাকী অংশ ধাপে ধাপে সম্পন্ন করা হবে।

তিনি বলেন, স্থায়ী নগর ভবন না থাকায় বিদেশি অতিথিরা আসলে আমাদের বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হত, নাগরিকদেরও সেবা প্রদান বিঘ্নিত হত৷ এজন্য নিজস্ব ফান্ডে নগর ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছি৷ এ ভবনে নাগরিকরা স্বাচ্ছন্দে সেবা নিতে পারবেন৷ এছাড়া এ ভবনের একটি ফ্লোরে চট্টগ্রামের ইতিহাস-ঐতিহ্য তুলে ধরতে গড়ে তোলা হবে জাদুঘর।

চসিকের প্রকৌশল বিভাগ জানায়, ৩৮ হাজার ৪৯০ বর্গফুট বা ৫৩ দশমিক ৪৫ কাঠা জায়গায় নগর ভবন নির্মাণ করা হবে। প্রণয়ন নামে একটি কনসালটেন্ট ফার্ম আইকনিক এ ভবনের নকশা করেছে। ভবনের উপরে থাকবে সিটি ক্লক। ভবনের তিন পাশে সাজানো বাগান থাকবে। নির্মাণ করা হবে ফোয়ারা। থাকবে মাল্টিপারপাস হল, কনফারেন্স হল ও ব্যাংকুয়েট হল। তবে পুরো নগর ভবন নির্মাণ করা হবে ধাপে ধাপে। শুরুতে বেইসমেন্টসহ তিনটি ফ্লোর নির্মাণ করা হবে।

জানা গেছে, নগরীর আন্দরকিল্লায় ১৯৬৪ সালে নির্মিত একটি ভবন চসিকের প্রধান কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার হতো। ভবনটি জরাজীর্ণ হয়ে উঠায় ২০১০ সালের ১১ মার্চ নতুন নগর ভবন নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তৎকালীন মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী। তবে নানা জটিলতায় এই কাজ আটকে যায়। এরপর মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করা মোহাম্মদ মনজুর আলম ও আ জ ম নাছির উদ্দীনও নতুন নগর ভবন নির্মাণকাজ শুরুর উদ্যোগ নেন। এরই অংশ হিসেবে ২০১৯ সালের ২০ জুন চসিকের প্রধান কার্যালয় টাইগারপাসের অস্থায়ী কার্যালয়ে স্থানান্তর করা হয়। তবে অর্থছাড় না পাওয়ায় নির্মাণকাজ শুরু করা যায়নি।

বর্তমান মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী দায়িত্ব নেওয়ার পর ফের নগর ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেন। জটিলতা এড়াতে তিনি চসিকের নিজস্ব অর্থায়নে নতুন নগর ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করেন।

চসিকের নিজস্ব অর্থায়নে বহুতল নগর ভবন নির্মাণ হচ্ছে। চসিকের একসাথে ৩০ কোটি টাকার বেশি কাজ করার সুযোগ নেই। তাই ধাপে ধাপে নগর ভবন নির্মাণকাজ শেষ করব। প্রথমে তিনটি ফ্লোর করব।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্যানেল মেয়র গিয়াস উদ্দিন, কাউন্সিলর জহর লাল হাজারী, হাসান মুরাদ বিপ্লব, শৈবাল দাশ সুমন, মোঃ ইলিয়াছ, মোঃ আবদুস সালাম মাসুম, আতাউল্লা চৌধুরী, রুমকি সেনগুপ্ত, মেয়রের একান্ত সচিব আবুল হাশেম, প্রধান প্রকৌশলী শাহীন-উল ইসলাম চৌধুরী, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আকবর আলী, ফরহাদুল আলম, জসিম উদ্দিন, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও এস্টেট অফিসার মোঃ রেজাউল করিম, নির্বাহী প্রকৌশলী ফারজানা মুক্তা, রেজাউল বারী ভূইঁয়া, মীর্জা ফজলুল কাদের, আশিকুল ইসলাম, রিফাতুল করিম, তাসমিয়া তাহসীন, তৌহিদুল ইসলাম, সালমা খাতুন, সহকারী প্রকৌশলী আসীর হামীম।


আরও খবর



নতুন খবর দিলেন বিদ্যা সিনহা মিম

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

অভিনয়শিল্পী বিদ্যা সিনহা মিমের ব্যস্ততার কোনো শেষ নেই। নাটক সিনেমা নিয়েই ব্যস্ততা তার। তবে এবারের ঈদে তার সিনেমা মুক্তি পায়নি। ঈদের নাটকেও দেখা যায়নি এই অভিনয়শিল্পীর। পরিবারের সঙ্গে রোজার ঈদ কাটিয়ে করেছেন সিঙ্গাপুরে। নতুন সিনেমায় কবে দেখা যাবে তাকে এই নিয়ে মিম ভক্তদের প্রশ্নের শেষ নেই। এবারে মিম নিজেই দিলেন সে জবাব। একটি  সংবাদপত্রের সঙ্গে আসন্ন সিনেমা এবং নানান বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন বিদ্যা সিনহা মিম।

রায়হান রাফী পরিচালিত পরাণ দিয়ে ২০২২ আলোচনার সৃষ্টি করেছিলেন বিদ্যা সিনহা মিম। গত বছর অন্তর্জাল সিনেমায় দেখা মিলেছিল তার। এরপর প্রায় এক বছর পর্দায় দেখা মিলছে না মিমের। জানান পরাণের পর অনেক সিনেমার প্রস্তাব পেয়েছিলেন তিনি তবে গল্প ভালো না লাগায় আর কথা এগোয়নি। মিমের না করা সিনেমাগুলো অনেকেই করেছেন তবে পরাণে মত আলোচনায় আসেনি। এই নিয়ে জানতে চাইলে মিম বলেন, সিনেমাগুলোতে আমি অভিনয় করলেও ফল একই হতো। হয়তো সংখ্যা বাড়ত, কিন্তু সাফল্য জুটত না। তার চেয়ে বসে ছিলাম, এটাই ভালো হয়েছে।

গতবছর দিগন্তে ফুলের আগুন সিনেমার শুটিং পর্ব শেষ করেছেন মিম। এটি পরিচালনা করছেন ওয়াহিদ তারেক। শহীদজায়া পান্না কায়সারের জীবন অবলম্বনে নির্মাণ হচ্ছে দিগন্তে ফুলের আগুন। এতে পান্না কায়সারের চরিত্রে অভিনয় করছেন বিদ্যা সিনহা মিম। আর এবছরের নতুন সিনেমার খবর জানতে চাইলে মিম বলেন, তিনটি নতুন সিনেমা হাতে নিয়েছি। একটার শুটিং জুন থেকে, বাকি দুটির শুটিং জুলাই-আগস্টে। তিনটি তিনটি পরিচালনা করবেন নামি তিন নির্মাতা। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানও দেশের শীর্ষস্থানীয়। তবে এখনই নাম বলতে পারছি না। চুক্তিতে নিষেধ করা আছে।

বিদ্যা সিনহা মিমের বড় পর্দায় অভিষেক হয়েছিল হুমায়ূন আহমেদের সিনেমার মধ্যে দিয়ে। ২০০৭ সালের লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান লাভ করেছিলেন মিম। তার পরের বছর গুণী নির্মাতা ও কথা সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ পরিচালিত আমার আছে জল সিনেমার মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক ঘটে তার। এরপর একের পর এক সিনেমা ও নাটক নিয়ে হাজির হয়েছেন মিম।


আরও খবর



ওপারের গোলার বিকট শব্দে কেঁপে উঠছে টেকনাফ

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোহাম্মদ ফারুক, কক্সবাজার

Image

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মি এবং সামরিক বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ অব্যাহত আছে। নিজেদের নিয়ন্ত্রণ টিকিয়ে রাখতে দু'পক্ষ সব ধরনের আক্রমণ চালাচ্ছে। এর ধারাবাহিকতায় সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ও সাবরাং সীমান্তসহ পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় ওপারের মুহুর্মুহু বোমা বিস্ফোরণ এবং মর্টারশেলের বিকট শব্দ শোনা যাচ্ছে। গোলার শব্দের স্থানীয় লোকজন আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন।

টেকনাফ পৌরসভার বাসিন্দা রুহুল আমিন বলেন, সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারে ব্যাপক গোলার শব্দে এপার কেঁপে উঠছে। দীর্ঘদিন এই এলাকায় গোলার শব্দ শোনা না গেলেও আজ ভোর থেকে বড় ধরনের গোলার শব্দ পাচ্ছি। মনে হচ্ছে বোমা এসে এপারে পড়ছে।

সকাল থেকে ভারী গোলার বিকট শব্দ পাওয়া যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন টেকনাফ পৌরসভার কাউন্সিলার মো. মনিরুজ্জামান। তিনি বলেন, রাখাইনের চলমান যুদ্ধে এপারে ভারী গোলার বিকট শব্দ শোনা যাচ্ছে। এ ধরনের গোলার আওয়াজে মানুষের মাঝে আতঙ্ক বাড়াচ্ছে।

হ্নীলা সীমান্তের আব্দুর গফুর বলেন, ওপার থেকে সকালে ভয়ংকর কয়েকটি শব্দ শুনেছি। মনে হয়েছে বোমা বিস্ফোরণের শব্দ। দিনের বিভিন্ন সময়ে বড় ধরনের কয়েকটি বিকট শব্দ শোনা গেছে।

টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার আব্দুস সালাম বলেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে গোলাগুলির শব্দ এপারে শোনা যাচ্ছে বলে স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন। সীমান্তে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।

এদিকে, মিয়ানমারে বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন আরাকান আর্মির সঙ্গে দেশটির সেনাবাহিনীর তুমুল সংঘর্ষ চলছে। আরাকান আর্মি মংডু টাউনশিপ দখল করে নেয় বলে খবর পাওয়া গেছে। টিকতে না পেরে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিজিপি সদস্যরা দলে দলে বাংলাদেশে পালিয়ে এসে আশ্রয় নিচ্ছে। গত দুই দিনে টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে শতাধিক মিয়ানমারের বিজিপি সদস্য এপারে আশ্রয় নিয়েছে।

এ বিষয়ে কোস্টগার্ড চট্টগ্রাম পূর্ব জোনের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট তাহসিন রহমান বলেন, মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা ৮৮ বিজিপিকে আমরা বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-এর কাছে হস্তান্তর করেছি। সীমান্তে যেকোনও পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমরা প্রস্তুত আছি।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত দুই দিনে নাফ নদ পেরিয়ে টেকনাফের সাবরাং সীমান্তে নৌকায় করে ১০০ বিজিপি সদস্য অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে টেকনাফ কোস্টগার্ড সদস্যদের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। পরে তাদের নিরস্ত্র করে হেফাজতে নেওয়া হয়।

এদিকে, টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং থেকে শাহপরীর দ্বীপ পর্যন্ত ৫৪ কিলোমিটার এলাকায় নাফ নদে বিজিবি এবং কোস্টগার্ড টহল বৃদ্ধি করেছে। সেটি চলমান এবং যেকোনও পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে সবসময় প্রস্তুত কোস্টগার্ড ও বিজিবি।

এ বিষয়ে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (বিজিবি-২) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, রাখাইনে সংঘাত মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তবে এর জের ধরে যাতে রোহিঙ্গা বা অন্য কোনও গোষ্ঠী বাংলাদেশে ঢুকতে না পারে সেজন্য সীমান্তে অতিরিক্ত বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।'


আরও খবর