আজঃ শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪
শিরোনাম
উত্তরবঙ্গের মিল মালিকরা

শর্ট মেসেজের মাধ্যমে চালের বাজার অস্থির করে ফেলে : ভোক্তা ডিজি

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ জানুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ জানুয়ারী ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বরিশাল প্রতিনিধি

Image

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম শফিকুজ্জামান বলেছেন, 'উত্তরবঙ্গের মিল মালিকরা শর্ট মেসেজ সার্ভিসের (এসএমএস) মাধ্যমে চালের বাজার অস্থির করে ফেলেন। তারা যেখানে চালের বাজার অস্থির করছে সেখানেই ব্যবস্থা নিচ্ছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসন।'

শনিবার (২৭ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টায় বরিশাল নগরীর ফরিয়াপট্টিতে চালের আড়তে অভিযানকালে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন শফিকুজ্জামান।

তিনি আরও বলেন, 'বরিশালের আড়তদাররা উত্তরবঙ্গের মিল থেকে যে দরে চাল কিনেছেন সেই দরের সঙ্গে ৫০ পয়সা থেকে ১ টাকা লাভ রেখে বিক্রি করবেন। ট্রাক ভাড়া সহ আনুষাঙ্গিক খরচ না বাড়লেও বরিশালের আড়তে প্রতি কেজি চালের দামে ৪ টাকা ব্যবধান পাওয়া গেছে।'

শফিকুজ্জামান আরও বলেন, 'চালের মূল্য বাড়ার পেছনে যারা ধানের মূল্য বৃদ্ধিকে দায়ী করছে তারা মিথ্যা বলছে। নতুন মূল্যের ধানের চাল বাজারে আসতে আরও অন্তত দুই মাস সময় লাগবে। সুতরাং ধানের দাম বৃদ্ধির কারণে চালের দাম বেড়েছে এ কথাটা ঠিক নয়। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে বাজার মনিটরিংয়ের জন্য সকলের সমন্বয়ে ভোক্তা অধিকার সব সময় মাঠে থাকবে। রমজানে দ্রব্য মূল্যের ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে ভোক্তা অধিকার নতুন কৌশলে কাজ করবে। এবার কোন উৎস্য থেকে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ঘটানো হচ্ছে তা অনুসন্ধান করবেন তারা।'

আগামীতে খোলা ভোজ্য তেল উঠিয়ে দিয়ে বোতল এবং প্যাকেটজাত সয়াবিন তেল বাজারজাত করার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, "ব্যারেলে তেলের উৎপাদন, মেয়াদোর্ত্তীণের তারিখ কিছুই থাকে না। ব্যারেলের তেলে ভিটামিন র অস্তিত্ব নেই। ভোক্তাকে গুণগত মান সম্পন্ন ভিটামিন সমৃদ্ধ সয়াবিন খাওয়াতেই খোলা ভোজ্য তেল উঠিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে জানান ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক।"

অভিযানকালে চালের আড়তের পাশাপাশি তেলের আড়তের ক্রয় ও বিক্রয় রসিদ খতিয়ে দেখেন তিনি।

অভিযান শেষে নগরীর ফরিয়াপট্টিতে বরিশালের চাল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম শফিকুজ্জামান। এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মনদীপ ঘরাই ও বিভাগীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক অপূর্ব অধিকারী সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



আমাদের উদ্দেশ্য সড়কে মৃত্যুহার কমানো : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সড়কে মৃত্যুহার কমানো সরকারের উদ্দেশ্যে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। শনিবার (১১ মে) সকালে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) এর দশম মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, স্বজন হারানোর বেদনা ইলিয়াস ভাই যেমন বুঝেন, আমরাও তেমন বুঝি। সড়কে কেউ হারিয়ে যাক, সেটা আমরা চাই না। কারো অঙ্গহানি হোক, সেটাও আমরা চাই না। আমরা সতর্কতামূলকভাবে ব্যবস্থা নিতে চাই। আমরা একটা আধুনিক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে চাই। সেজন্য আমরা সহযোগিতা চাই। আপনাদের সম্মেলনে সফল হোক। এ আশাবাদ ব্যক্ত করছি।

আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, প্রতিদিন সড়ক দুর্ঘটনায় মানুষ আহত হচ্ছে, নিহত হচ্ছে। সড়কে খালি হচ্ছে হাজারো মায়ের কোল। এসব সমস্যা সমাধানে সমন্বিত পদক্ষেপ প্রয়োজন। দুর্ঘটনার কারণ চিহ্নিত করে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে বিভিন্ন সময় দাবি করে আসছে নিরাপদ সড়ক চাই। এ বিষয়ে সরকার ২২ অক্টোবর নিরাপদ সড়ক দিবস ঘোষণা করে। যা দেশে গুরুত্ব সহকারে পালিত হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

মন্ত্রী বলেন, আমরা চাই দুর্ঘটনা কম হোক, দুর্ঘটনায় আর যেন কেউ মৃত্যুবরণ না করে। পৃথিবীর সব দেশে দুর্ঘটনা ঘটে, মানুষের মৃত্যু হয়। বাংলাদেশে যাতে সড়ক দুর্ঘটনা কমে সেজন্যই কাজ করে যাচ্ছি। আইনে গাড়িচালক, হেলপার, মালিক এবং বিভিন্ন ট্রান্সপোর্ট এজেন্সি সবার দায়িত্ব যথাযথভাবে বিশ্লেষণ করা হয়েছে। যে যেই দায়িত্বে থাকবে তার গাফিলতি হলে কী ধরনের শাস্তি হবে তার সবকিছুই আইনে পরিষ্কার করা হয়েছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, একটি আধুনিক শহরে ২৫ শতাংশ সড়ক থাকতে হয়। আমাদের দেশের কোনো শহরে ২৫ শতাংশ সড়ক নেই। প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছিলেন ঢাকাকে যানজটমুক্ত করার। সেজন্য তিনি এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, মেট্রোরেল, ফ্লাইওভার চালুর ঘোষণা দেন। এগুলো দৃশ্যমান হয়েছে এবং যানজট অনেকখানি হালকা হয়েছে। সড়ক দুর্ঘটনা রোধে প্রধানমন্ত্রী ২০১৮ সালের জুন মাসে ৬ দফা নির্দেশনা দিয়েছিলেন। আমরা আশা করছি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনাগুলো বাস্তবায়ন হলে সড়ক দুর্ঘটনা কমে যাবে।

সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নুরী জানান, সড়ককে নিরাপদ করতে মানুষকে সচেতন করা জরুরি। এজন্য সবাইকে কাজ করতে হবে।

এতে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। মহাসমাবেশে সভাপতিত্ব করেন নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) এর প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন।


আরও খবর



বরিশালে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুই সন্তানসহ মায়ের মৃত্যু

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার নিয়ামতি ইউনিয়নে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুই সন্তানসহ মায়ের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে ডালমারা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

নিয়ামতি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ূন কবির বিষয়টি  নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাচ্ছি। ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিস্তারিত জানাতে পারব।

বাকেরগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফজাল হোসেন বলেন, আজ বেলা ১১টার দিকে নিয়ামতি ইউনিয়নের ডালমারা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। এতে গৃহবধূ সোনিয়া বেগম (৩১), তার ৯ বছরের মেয়ে রেজমি আক্তার ও ৫ বছরের ছেলে সালমান মোল্লা নিহত হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।


আরও খবর



ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস আজ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

আজ ১৬ মে, ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস। ১৯৭৬ সালের এই দিনে ফারাক্কা ব্যারাজ অভিমুখে লংমার্চ কোরে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সাড়া ফেলে দেন মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী। নদীর পানির ন্যায্য হিস্যার দাবিতে এমন সোচ্চার জনমত ফারাক্কা লংমার্চের আগেও দেখা যায়নি, পরেও নয়। ৯৫ বছরের শারীরিক অসুস্থতা বা রাজনৈতিক চাপ, দমাতে পারেনি লংমার্চের প্রধান নেতা ও সংগঠক মাওলানা ভাসানীকে।

গঙ্গার পানি বণ্টন নিয়ে আলাপ-আলোচনা শুরু হয়েছে পাকিস্তান আমলে ১৯৫২ সাল থেকে। তখন থেকে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত পাকিস্তান সরকার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে নেয়নি, ফলে ভারত তার-মতো কাজ করে গেছে। একবারই তারা গুরুত্ব সহকারে নিয়েছে যখন ভাসানী ফারাক্কা লংমার্চ করে।

তিস্তা ব্যারেজ দিয়ে ভারত ১৯৭৫ এ পরীক্ষামূলক অল্প কদিনের কথা বলে পানি প্রত্যাহার শুরু করে, পরবর্তীতে তা আর বন্ধ হয়নি। ফল হয়েছে ৪৮ বছর ধরে ফারাক্কা ব্যারাজের প্রভাবে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে পানির হাহাকার।

অবশ্য ১১২ ডিসেম্বর ভারতের গঙ্গা নদীর পানি ভাগাভাগির নিয়ে ঢাকা ও নয়াদিল্লীর মধ্যে ৩০ বছর মেয়াদি চুক্তি হয়। যা কিছুটা হলেও প্রাপ্য পানি নিশ্চিত করতে ভূমিকা রাখছে। তবে এই চুক্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে আর দু'বছর পর। চুক্তি অনুযায়ী, বাংলাদেশকে প্রতিবছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ মে পর্যন্ত ৩৫ হাজার কিউসেক পানি দেবে ভারত।

ফারাক্কা ব্যারাজের মাধ্যমে নদীর পানি সরানোয় শুধু বাংলাদেশ নয়, ভারতের মালদহ, মুর্শিদাবাদসহ আরও উজানে বিহার ও উত্তরপ্রদেশে আকস্মিক বন্যা, নদী ভাঙনে প্রতিবছর ক্ষয়ক্ষতির শিকার হচ্ছে বহু মানুষ।


আরও খবর



ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সমর্থকদের সংঘর্ষ

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসের ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার (ইউসিএলএ) ক্যাম্পাসে ফিলিস্তিন সমর্থক ও ইসরায়েল সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাতে এ সংঘাতের ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে বিবিসি।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ডেইলি ব্রুইনের সংবাদকর্মী ডিলান উইনওয়ার্ড জানিয়েছেন, ইসরায়েলপন্থীরা স্থানীয় সময় রাত ১০টার দিকে ক্যাম্পাসে ফিলিস্তিনপন্থীদের ক্যাম্পের সামনে হাজির হয়। তারা ক্যাম্পের দিকে আতশবাজি, একটি স্কুটার, পানির বোতল এবং টিয়ার গ্যাসসহ অন্যান্য জিনিসপত্র ছুঁড়েছে।

কী কারণে সংঘাতের সূত্রপাত হয়েছে তা এখনও জানা যায়নি। তবে ইসরায়েলপন্থীরা প্রথমে হামলা চালিয়েছিল বলে জানা গেছে।

বিশ্ববিদ্যালেয়ের উপ-উপাচার্য মেরি ওসাকো বলেছেন আজ রাতে শিবিরে ভয়াবহ সহিংসতা ঘটেছে এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে তলব করা হয়েছে।

এদিকে, মঙ্গলবার রাতে পুলিশ কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের হ্যামিল্টন হলে প্রবেশ করে। কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটি এবং নিউইয়র্কের সিটি কলেজ থেকে শতাধিক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

দুই সপ্তাহ আগে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ক্যাম্পাসে ফিলিস্তিনিপন্থী বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদের অংশ হিসাবে তাবু গেড়ে অবস্থান নেওয়া শুরু করে। বিক্ষোভকারীদের মূল দাবি হচ্ছে, যেসব ইসরায়েল সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান গাজার যুদ্ধ থেকে লাভবান হচ্ছে, তাদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে।


আরও খবর



বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো। কিন্তু অবৈধভাবে সংবিধান লঙ্ঘন করে যারা বারবার ক্ষমতায় এসেছে, তারা কেউ এ দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি, এটাই দুর্ভাগ্য।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) রাজধানীর পুরাতন বাণিজ্য মেলা মাঠে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী-২০২৪ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে আমি যখন সরকার গঠন করলাম, তখন দেখলাম ৪০ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য ঘাটতি। এই অবস্থায় আমরা যাত্রা শুরু করেছি। তখন রিজার্ভও তেমন ছিল না। এশিয়াতে তখন খাদ্য মন্দা। আমাদের লক্ষ্য ছিল, আমরা কারো কাছে হাত পেতে চলব না। নিজের ফসল নিজে উৎপাদন করব।’

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সবসময় বলতেন- আমরা কারো কাছে ভিক্ষা চাইব না, কারণ ভিক্ষুক জাতির ইজ্জত থাকে না। আমরা মান-সম্মান নিয়েই বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে চলতে চাই। সেই আদর্শে আমরা দেশকে এগিয়ে নেওয়ার পদক্ষেপ নিয়েছি।’

এর আগে সকাল ১০টায় শেরে বাংলা নগরে পুরাতন বাণিজ্য মেলার মাঠে আয়োজিত প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান।

১৮ ও ১৯ এপ্রিল ঢাকার আগারগাঁও এর পুরাতন বাণিজ্যমেলার মাঠে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর অংশ হিসেবে মোট ৬ টি সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে। সেমিনারের মূল বিষয় থাকবে- প্রাণিসম্পদের বর্তমান অবস্থা, ভবিষ্যৎ ভাবনা এবং করণীয়, ক্লাইমেট স্মার্ট ডেইরি সেক্টর, এন্টি মাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স ও খাদ্য নিরাপত্তা, পশুপাখির রোগ-বালাই নিয়ন্ত্রণসহ অন্যান্য বিষয়।

প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনীর পুরষ্কার বিতরণী ও সমাপনী অনুষ্ঠান পুরাতন বাণিজ্য মেলার মাঠে অনুষ্ঠিত হবে ১৯ এপ্রিল। আর প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহের সমাপনী অনুষ্ঠান আগামী ২২ এপ্রিল রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইন্সটিটিউট অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে।


আরও খবর