আজঃ মঙ্গলবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

সর্বাত্মক সহযোগিতায় ফিরছে পুলিশ সদস্যরা, বাধার তথ্য গুজব

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৮ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৮ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

সদ্য যোগ দেওয়া বাংলাদেশ পুলিশের নবনিযুক্ত ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) মো. ময়নুল ইসলাম পুলিশ সদস্যদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে স্ব-স্ব কর্মস্থলে যোগদানের আহ্বান জানিয়েছিলেন। তার আহ্বানে সাড়া দিয়ে যেসব পুলিশ সদস্য কর্মস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন তাদেরকে আসার পথে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ, রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, ছাত্র-ছাত্রী এবং আপামর জনসাধারণ যাতে পুলিশ সদস্যরা নিরাপদে কর্মস্থলে আসতে পারেন সেজন্য সর্বাত্মক সহযোগিতা করছেন।

পুলিশ সদর দপ্তর থেকে ক্ষুদে বার্তায় জানানো হয়েছে, পুলিশ সদস্যরা কর্মস্থলে আসার পথে বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন মর্মে যে সংবাদ প্রচার করা হচ্ছে সেগুলোর সত্যতা পাওয়া যায়নি। সুতরাং গুজবে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য সবার প্রতি অনুরোধ করা হলো।

এর আগে, বুধবার (৭ আগস্ট) আইজিপি হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর এক প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সদস্যদের ব্যারাকে ফেরার নির্দেশনা দিয়ে আইজিপি মো. ময়নুল ইসলাম বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের যৌক্তিক আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশবাসীর প্রত্যাশা অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করতে পারিনি। এ কারণে অনেকে ক্ষুব্ধ হয়েছেন। অনেকেই স্ব স্ব ইউনিটে নেই। জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিতে আমরা নতুন করে সব শুরু করতে চাই। তাই সবাইকে আগামী ২৪ ঘণ্টা অর্থাৎ ৮ আগস্ট বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার মধ্যে স্ব স্ব কর্মস্থলে ফেরার নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে।

ছাত্র আন্দোলন দমনে অপারেশনাল ভুলত্রুটি থাকার কথা স্বীকার করে আইজিপি বলেন, ছাত্র-সাধারণ মানুষ, পুলিশসহ অনেকেই নিহত হয়েছেন। সবকিছুর জন্য আইজিপি হিসেবে আমি দুঃখ প্রকাশ করছি।


আরও খবর
পেট্রোবাংলায় তিতাস গ্যাস কর্মীদের হামলা

মঙ্গলবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪




সাংবাদিকতায় দক্ষতা ও নৈতিকতার প্রয়োজন সবচেয়ে বেশি

প্রকাশিত:শনিবার ৩১ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ৩১ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সাংবাদিকতা দক্ষতা ও নৈতিকতার প্রয়োজন সবচেয়ে বেশি বলে মন্তব্য করেছেন, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ আলতাফউল-আলম।

শনিবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে পিআইবির সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত পিআইবির গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতা বিষয়ে মাস্টার্স (১ম পর্ব) ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।

প্রধান অতিথি বলেন, ইন্টারনেট ও তথ্যপ্রযুক্তির এযুগে নিজেকে প্রযুক্তির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে হবে। নতুবা পেশায় টিকে থাকা চ্যালেঞ্জ হয়ে যাবে।

তিনি বলেন, অস্ট্রেলিয়ান একজন নাগরিকের পুত্র ইরাকে নিহত হয়। নিহতের বাবার নিকট প্রত্যাশার কথা মিডিয়া জানতে চাইলে ইরাকে যুদ্ধ না করার পক্ষে মত দেন। তিনি বলেন আমার সন্তান হারিয়েছি, এজন্য আমি যুদ্ধ কামনা করতে পারি না। এটা দ্বারা প্রধান অতিথি নৈতিকতার ভিত্তি কতটা শাক্তিশালী হওয়া প্রয়োজন সেটা বুঝাতে চেয়েছেন।

মোহাম্মদ আলতাফউল-আলম পিআইবির গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতা বিষয়ে মাস্টার্স কোর্সের একাডেমিক বিষয়ে আলোচনা করেন ও কোর্সের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন।

অনুষ্ঠানে সভাপ্রধানের বক্তব্যে পিআইবির মহাপরিচালক (রুটিন দায়িত্ব) আবুল কালাম মোহাম্মদ শামসু্দ্দিন সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে জবাবদিহিতা ও দায়বদ্ধতার কথা বলেন। তিনি বলেন, প্রচলিত গণমাধ্যমসমূহের জবাবদিহিতা ও দায়বদ্ধতা থাকলেও সামাজিক মাধ্যমসমূহের সেটা মানসম্মত পর্যায়ে নেই। তাই আমাদের প্রয়োজন প্রচলিত গণমাধ্যমসমূহকে আরো বেশি পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়া।

পিআইবি মহাপরিচালক আরো বলেন, বর্তমান চ্যালেঞ্জিং সময়ে আমাদের গণমাধ্যমের প্রশিক্ষিত গণমাধ্যম কর্মী ও সঠিক রাষ্ট্রীয় নীতি সহায়তা দরকার। আর এই প্রশিক্ষিত গণমাধ্যম কর্মী গড়ে তুলতে কাজ করে পিআইবি। আর রাষ্ট্রীয় নীতি সহায়তা তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় করে থাকে।

আবুল কালাম মোহাম্মদ শামসু্দ্দিন বলেন, গণমাধ্যমের উপযোগীতা ও সমালোচনা উভয়ই আছে। নৈতিকতার অবক্ষয় থেকেই হলুদ সাংবাদিকতার বিস্তৃতি। তাই গণমাধ্যম কর্মীদের দৃঢ় নৈতিকতা থাকাও জরুরী। তথ্য ও সমপ্রচার মন্ত্রণালয়ের পিআইবি একমাত্র প্রতিষ্ঠান যেটি সাংবাদিকতায় মাস্টার্স ডিগ্রী দিয়ে থাকে। তবে আমাদের কিছু সীমাবদ্ধতাও রয়েছে।

আবুল কালাম মোহাম্মদ শামসু্দ্দিন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে আরো বলেন, প্রযুক্তিগত দক্ষতা থাকলে ছবি, সংবাদ ও অন্যান্য বিষয়াদি খুব সহজে সত্য উদঘাটনে সাহায্য করতে পারবে। তাই বর্তমান সময়ের প্রেক্ষিতে সাংবাদিকদের গুজব প্রতিরোধে কারিগরী জ্ঞান আহরণ করা উচিৎ।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পিআইবির গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতা বিষয়ে মাস্টার্স প্রোগ্রামের সমন্বয়কারী পংকজ কর্মকার। এছাড়া পিআইবির অধ্যয়ন শাখার প্রভাষক লাজিনা আক্তার জ্যাসলিনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন পিআইবির গবেষণা ও তথ্য সংরক্ষণ বিভাগের পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ড. কামরুল হক, সহকারী সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান ও প্রশিক্ষক পারভীন সুলতানা রাব্বি, নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাছির উদ্দীন চৌধুরী ও প্রভাষক শুভ কর্মকার । এছাড়া অনুষ্ঠানে পিআইবির রিসার্চ অফিসার শেখ মজলিশ ফুয়াদ, সহকারী সম্পাদক শাহেলা আক্তার, জ্যেষ্ঠ্ গবেষক কামরুন নাহার, প্রশিক্ষক (চলতি দায়িত্ব) মোহাম্মদ শাহ আলম, মেইনটেন্যান্স ইঞ্জিনিয়ার অতিরিক্ত দায়িত্ব মোহাম্মদ আফতাব উদ্দীন ভূঁঞাসহ পিআইবির কর্মকর্তা কর্মচারীগণ উপস্থিতি ছিলেন।

অনুষ্ঠানে পিআইবির গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতা বিষয়ে মাস্টার্স (১ম পর্ব) ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামে শিক্ষার্থী ও পূর্ববর্তী ব্যাচের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। এরপূর্বে গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতা বিষয়ে মাস্টার্স (১ম পর্ব) ২০২২ শিক্ষাবর্ষ ও সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমা ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্সের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন পিআইবি মহাপরিচালক।


আরও খবর



তালতলীতে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
উপজেলা প্রতিনিধি

Image

বরগুনার তালতলীতে ইউপি সদস্যকে বিবস্ত্র করে মারধরের সংবাদ প্রকাশ করার জেরে ৫ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে। শুক্রবার (৬ সেপ্টম্বর) সকাল ১০ টার দিকে উপজেলার নিদ্রা বাজারে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন এলাকাবাসী।

এ মানববন্ধনে গত শনিবার (৫ সেপ্টম্বর) আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যজিস্ট্রেট আদালতে তালতলী প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. খাইরুল ইসলাম, দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকার প্রতিনিধি মোস্তাফিজ, এশিয়ান টিভির প্রতিনিধি জলিল আহমেদ, আজকের দর্পণ পত্রিকার প্রতিনিধি হাফিজুর রহমান, দৈনিক মানজমিন পত্রিকার প্রতিনিধি মাহমুদুল হাসান ও হামলার শিকার ইউপি সদস্য জামাল খান এবং তার চাচাতো ভাই ফেরদাউস এর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করা হয়। আদালত মামলাটি বরগুনা গোয়েন্দা শাখাকে (ডিবি) তদন্ত করার দায়িত্ব দেন। মানববন্ধনে মিথ্যা মামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়। মামলা প্রত্যাহারসহ এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবি জানান বক্তারা।

জানা যায়, গত শনিবার ৩১ আগস্ট  উপজেলার নিশান বাড়িয়া ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জামাল খানের বাড়ির সামনে নিদ্রা স্লুইজঘাট খালে একটি চোরাই ইঞ্জিন চালিত স্টিলবডি ট্রলার নোঙর করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।

বিষয়টি স্থানীয়রা ইউপি সদস্য জামাল খানকে জানালে তিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানান। পরে ইঞ্জিন চালিত স্টিলবডি ট্রলারটি ইউপি সদস্যর জিম্মায় রাখার নির্দেশ দেন। এ খবর পেয়ে রাত ১০ টার দিকে চোরাই ট্রলারটি অনৈতিকভাবে নেওয়ার জন্য টাকার প্রস্তাব দেয়। এতে রাজি না হলে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে।

এ সময় ইউপি সদস্য বাধা দিলে আবুল কালাম, মিজানুর রহমান, বশির, নাইম ইসলাম ও শাহাদাতসহ এক দল সন্ত্রাসী এলোপাতাড়ি মারধর ও কুপিয়ে জখম করেন জামাল খানকে। পরে এ ঘটনায় বিভিন্ন গনমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ করা হয়। এ সংবাদ প্রকাশের জের ধরে মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে ৫ সংবাদিক ও ইউপি সদস্যসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ এনে আদালতে মামলা করেছেন শাহদাত হোসেন নামের এক হামলাকারী।

বরগুনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এডভোকেট গোলাম মোস্তফা কাদের বলেন, এই মিথ্যা মামলা গনমাধ্যমের জন্য হুমকি স্বরূপ। মিথ্যা মামলার তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ জানাচ্ছি এখই সাথে মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাই।


আরও খবর



অবশেষে কক্সবাজার নার্সিং ও মিড‌ওয়াইফারি কলেজের শিক্ষকদের পদত্যাগ

প্রকাশিত:সোমবার ০২ সেপ্টেম্বর 2০২4 | হালনাগাদ:সোমবার ০২ সেপ্টেম্বর 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
মোহাম্মদ ফারুক, কক্সবাজার

Image

টানা সাড়ে ৮ ঘণ্টা আটকে রেখে কক্সবাজার নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কলেজের ৫ শিক্ষককে অবশেষে পদত্যাগে বাধ্য করেছে শিক্ষার্থীরা।

রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১১টায় শিক্ষকরা পদত্যাগ করেন।

জানা যায়, কক্সবাজার নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কলেজের শিক্ষার্থীরা ফ্যাকাল্টির পুরো কমিটির পদত্যাগ চেয়ে একদফা দাবি উপস্থাপন করেন। দাবি না মেনে উল্টো নারী শিক্ষার্থীদের ওপর ছেলে শিক্ষার্থীরা অতর্কিত হামলা করে- এমন অভিযোগ এনে রবিবার বেলা ৩টায় ৫ শিক্ষিকা এবং ১১ ছাত্রকে প্রতিষ্ঠানের ওয়াশরুমে আটকে রাখা হয়। যার সূত্র ধরে দুই আবাসিক মেডিকেল অফিসার, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, সেনাবাহিনী, র‍্যাব এসে বৈঠক শেষে সকল শিক্ষক পদত্যাগ করে কলেজ থেকে।

কক্সবাজার সদর হাসপাতালের দুই আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. জিআরএম জিহাদুল ইসলাম এবং ডা. আশিকুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবাসিক মেডিকেল অফিসার আশিকুর রহমান বলেন, কয়েক ঘণ্টা বৈঠকে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের দাবি শিক্ষকরা মেনে নিয়েছেন। তাদের দাবি অনুযায়ী পদত্যাগ করেছেন সকল শিক্ষক। এখন কলেজটি শিক্ষক শূন্য হয়ে গেছে। কীভাবে এই সংকট দূর করা যাবে সেটি নিয়ে সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক উচ্চ পর্যায়ে অবহিত করেছেন।

এ বিষয়ে আন্দোলন সমন্বয়কারী শিক্ষার্থী উর্মী আক্তার বলেন, আমরা দুর্নীতিমুক্ত ক্যাম্পাসের দাবি জানিয়েছিলাম। যেহেতু দুর্নীতিতে পুরো ফ্যাকাল্টি জড়িত ছিল তাদের পদত্যাগ আমরা চেয়েছি। আমাদের দাবি মেনে নিয়েছে, এতে আমরা সন্তুষ্ট কিন্তু আমাদের আন্দোলন এখনো শেষ হয়নি। যেহেতু শিক্ষক শূন্য হয়ে গেল সেহেতু আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হোক।

নিউজ ট্যাগ: কক্সবাজার

আরও খবর



বাইডেন-মোদি ফোনালাপ: যা বলল হোয়াইট হাউস

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৭ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৭ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে বাইডেনের সঙ্গে কথা হয়েছে বলে দাবি করেন মোদি। যদিও বাইডেন ও মোদির মধ্যকার এই ফোনালাপের বিষয়ে দেওয়া হোয়াইট হাউসের বিবৃতিতে বাংলাদেশ ইস্যু উল্লেখ করা হয়নি।

অর্থাৎ মোদির সঙ্গে প্রেসিডেন্ট বাইডেন ইউক্রেনসহ অন্যান্য ইস্যুতে আলোচনা করেছেন বলে জানানো হলেও বাংলাদেশ ইস্যুতে উভয় নেতা কোনো কথা বলেছেন কিনা, এবিষয়ে কোনো কথা উল্লেখ করা হয়নি।

সোমবার (২৬ আগস্ট) রাতে সামাজিকমাধ্যম এক্সে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে আলাপের বিষয়টি জানিয়ে পোস্ট করেন মোদি।

তিনি বলেন, আজ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে ফোনালাপ হয়েছে। ফোনালাপে ইউক্রেনের পরিস্থিতিসহ আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক নানা বিষয়ে বিশদভাবে মতবিনিময় করা হয়েছে। আমি শান্তি ও স্থিতিশীলতার দ্রুত ফিরে আসার বিষয়ে ভারতের পূর্ণ সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছি।

তিনি আরও লেখেন, বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়েও আমরা আলোচনা করেছি এবং দেশটিতে দ্রুত স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছি। পাশাপাশি বাংলাদেশের সংখ্যালঘু বিশেষ করে হিন্দুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

অন্যদিকে মোদির সঙ্গে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের ফোনালাপের পর হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। তবে এতে বাইডেন ও মোদি মধ্যকার এই ফোনালাপে বাংলাদেশ ইস্যুতে কোনো আলোচনা হয়েছে কিনা তা উল্লেখ করা হয়নি।

মূলত বাংলাদেশ নিয়ে তাদের মধ্যে কোনো কথা হয়েছে, এমনটি উল্লেখ নেই হোয়াইট হাউসের বিবৃতিতে। যদিও ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি টুইটে এই বিষয়টি দাবি করেছেন এবং ভারতীয় গণমাধ্যমসহ বাংলাদেশের অনেক গণমাধ্যমে বাংলাদেশ প্রসঙ্গটি উল্লেখ করে শিরোনাম করা হয়েছে।

হোয়াইট হাউসের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আজ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে কথা বলেছেন। মোদির সাম্প্রতিক পোল্যান্ড ও ইউক্রেন সফরের পাশাপাশি আগামী সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের বৈঠক নিয়ে আলোচনা হয়েছে। পোল্যান্ড এবং ইউক্রেনে তার ঐতিহাসিক সফর ও জ্বালানি সেক্টরসহ ইউক্রেনের জন্য শান্তি ও চলমান মানবিক সহায়তার বার্তা দেওয়ায় প্রেসিডেন্ট বাইডেন মোদির প্রশংসা করেছেন।

এতে আরও বলা হয়, নেতৃবৃন্দ জাতিসংঘ সনদের ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য তাদের অব্যাহত সমর্থনের প্রতিশ্রুতি দেন। এছাড়া উভয় নেতা ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে শান্তি ও সমৃদ্ধিতে অবদান রাখতে কোয়াডের মতো আঞ্চলিক গোষ্ঠীর মাধ্যমে একসঙ্গে কাজ করার জন্য তাদের অব্যাহত প্রতিশ্রুতির ওপর জোর দিয়েছেন।


আরও খবর



কাঠ ব্যবসায়ীদের জন্য অস্তিত্ব হারাচ্ছে রাউজানের নামকরা প্রসিদ্ধ কালাচাঁন চৌধুরী হাট

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
শাহাদার হোসেন সাজ্জাদ, রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

Image

উত্তর চট্টগ্রামের নামকরা প্রসিদ্ধ কালাচাঁন চৌধুরী হাটের অস্তিত্ব হারাচ্ছে কাঠ ব্যবসায়ীদের জন্য। হাটের জায়গায় অবৈধ দখল নিয়ে কাঠ ব্যবসায়ীরা স্তূপ করে রাখেন কাঠ। ফলে কাঁচাবাজার বসার কোনো জায়গায় না সাপ্তাহিক বাজার বসে না।

তৎকালীন ব্রিটিশ শাসন আমলে চিকদাইর ইউনিয়নের দক্ষিণ সর্তা গ্রামের জমিদার কালাচাঁন চৌধুরী সর্তা খালের পাশে বাজারটি  প্রতিষ্ঠা করেন।সপ্তাহে বুধ-রবিবার দুই দিন এই হাটে নানা ধরনের শাক সবজি পাওয়া যেতো। হাটহাজারী, ফটিকছড়ি ও রাউজানের মানুষের কাছে কাঁচা বাজারের জন্য প্রসিদ্ধ ছিল কালাচাঁন চৌধুরী হাট।সপ্তাহিক এই হাটে দূর- দূরান্ত থেকে এলাকার কৃষকের উৎপাদিত শাক-সবজি বিক্রির জন্য নিয়ে আসতো ব্যবসায়ীরা। শাক সবজির পাশাপাশি এই হাটে মাছ, মাংসসহ অনন্য নিত্যপণ্য ইত্যাদি পাওয়া যেতো। দূর-দূরান্ত থেকে আসা ব্যবসায়ী, ক্রেতা- বিক্রেতার পদচারণায় মুখর থাকতো এই কালাচাঁন চৌধুরী হাট। অদূরে শুনা যেতো বাজারে আসা মানুষের শব্দ।কিন্তু এখন আর আগের মতো নেই সেই প্রাণচাঞ্চল্য হাটটি। বাজারের জায়গা বেদখল হয়ে গেছে কাঠ ব্যবসায়ীদের হাতে। কাঠ ব্যবসায়ীরা জলপথে ও গাড়ি যোগে প্রতিদিন বিপুল পরিমান কাঠ গহিরা কালাচাঁন চৌধুরী হাটে এনে বাজারের বিশাল জায়গা দখল নিয়ে স্তুূপ করে রাখেন কাঠের পাহাড়। ফলে কাঁচা বাজার বসার কোন জায়গায় থাকে না।

তবে ২০১৩ সালে রাউজানের সংসদ সদস্য এবি এম ফজলে করিম চৌধুরী সরকারি অর্থায়নে কালাচাঁন চৌধুরী হাটে তিনটি বাজার শেঠ নির্মাণ করে দিলেও এক যুগধরে মিলে না কালাচাঁন চৌধুরী হাট। সরকারি অর্থায়নে নির্মাণ করা দুইটি বাজার শেঠ দখল করে ফার্নিচারের দোকান ও কারখানা গড়ে তুলেছে কাঠ ব্যবসায়ীরা। আরেকটি বাজার শেঠে স্থানীয় দুই-তিন জন সবজি বিক্রেতা তাদের জমিনের উৎপাদিত শাক-সবজি বিক্রি করতে দেখা গেছে।

বুধবার বাজারে শাক-সবজি বিক্রি করতে আসা বৃদ্ধ আনোয়ার পাশা বলেন, এক সময় কালাচাঁন চৌধুরী হাটে যে জৌলুস ছিল, এখন তা আগের মত নেই।অবৈধ দখলদারদের কবলে পড়ে ক্রমেই অস্তিত্ব হারাচ্ছে দেড়শত বছরের ঐতিহ্যবাহী কালাচাঁন চৌধুরী  হাট।

স্থানীয় লোকজন ও হাটের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কালাচাঁন চৌধুরী হাট লাখ টাকার মূল্য ইজারা ডাক হতো।সরকার পেতো রাজস্ব আয়। এখন হাটের ইজারা ডাক হলেও কেউ দিতে চাই না ইজারা। ফলে রাজস্ব আয় পাচ্ছে না।

গহিরা কাঠ ব্যবসায়ী জাহেদ মেম্বার বলেন, গহিরা চৌমুহনীতে প্রতিদিন সকাল বিকাল কাঁচা বাজার বসে। যার কারণে এই হাটে ব্যবসায়ীরা আসে না। কাঠ ব্যবসায়ীদের দখলে থাকার প্রসঙ্গে জানতে চাই তিনি বলেন, কাঠ ব্যবসায়ীদের জায়গায় তাঁরা কাঠ স্তূপ করে রেখেছে। বাজারের জায়গা দখল করেনি। স্থানীয়রা কালাচাঁন চৌধুরী হাটের ঐতিহ্য ফিরে আনতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।

এবিষয়ে রাউজান  উপজেলা সরকারি কমিশনার (ভূমি) রিদুয়ানুল ইসলাম বলেন, কালাচাঁন চৌধুরী হাটের জায়গা দখল করার কোনো সুযোগ নেই। যদি কালাচাঁন চৌধুরী হাটের জায়গায় গহিরা কাঠ ব্যবসায়ীদের দখলে থাকলে খতিয়ান দেখে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরও খবর