যুক্তরাষ্ট্রের
ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির দর সর্বকালের সর্বনিম্নে নেমে গেছে। সোমবার ( প্রতি ডলারের
বিনিময় হার ৭৭.৪০ রুপি রেকর্ড করা হয়। এর আগে গত মার্চে রুপির রেকর্ড দরপতন হয়। ডলারের
বিপরীতে রুপির মান সর্বনিম্ন ৭৭.০৫-এ নেমে আসে।
সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি,
পিটিআই ও রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, চীনের করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে লকডাউন ঘোষণায়
নিরাপদ বিনিয়োগের শঙ্কা, ইউরোপে যুদ্ধ ও উচ্চ সুদের হারের শঙ্কায় বাজারে রুপির এমন
দরপতন হয়। এদিকে রুপির আরও দরপতন হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা।
নিরাপদ বিনিয়োগের
সন্ধানে ঝুঁকিপূর্ণ ব্যবসা থেকে মূলধন সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা, ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার
ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় ও জ্বালানি সরবরাহে ঝুঁকি এবং বিশ্বজুড়ে সুদের উচ্চ হারে মন্দাভাব
আরও তীব্র হবে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে, ভারতীয়
রুপির বিপরীতে যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের মান গত দুই দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে উন্নীত
হয়েছে। দেশটিতে পঞ্চম সপ্তাহের মতো ধারাবাহিকভাবে ডলারের মান বাড়ছে।
দেশটির মাথাপিছু
আয়ের উর্ধ্বমুখী ধারা অব্যাহত থাকা সত্ত্বেও বিদেশি বিনিয়োগকারীরা ৬৪০০ কোটি রুপির
সমপরিমাণ অর্থ পুঁজিবাজার থেকে সরিয়ে নেয় চলতি মে মাসের প্রথম চার কর্মদিবসে।
এর আগে ২০২০ সালের
১৩ মার্চ যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির রেকর্ড দরপতন হয়। সেদিন প্রতি
ডলারের বিনিময় হার ৭৪.৫০ রুপিতে ওঠে। শতাংশের হিসাবে যা ০.৪-এর কম। এটি ছিল তখন পর্যন্ত
ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির সর্বনিম্ন দর।
করোনাভাইরাস মহামারির
কারণে রুপির মুদ্রামানের এই অবস্থা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্লেষকরা। চীন থেকে ছড়ানো
ভাইরাসটির বিস্তার ঠেকাতে নয়াদিল্লি সব ধরনের ভিসা দেয়ার কার্যক্রম সাময়িক সময়ের জন্য
স্থগিত করে। এদিকে সেদিন বিদেশি বিনিয়োগকারীরা ভারত থেকে ২.৭ বিলিয়ন ডলার মূলধন তুলে
নেন।
এর আগে ২০১৩ সালের
৬ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির রেকর্ড দরপতন হয়। সেদিন প্রতি
ডলারের বিনিময় হার ৬১.৮০ রুপিতে উঠে। তখন পর্যন্ত এটি ছিল ডলারের বিপরীতে রুপির সর্বনিম্ন
দর।