আজঃ রবিবার ৩০ জুন ২০২৪
শিরোনাম

স্থলভাগে উঠে তাণ্ডব শুরু করেছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঘণ্টায় ৯০ থেকে ১২০ কিলোমিটার গতিতে রেমাল স্থলভাগে উঠছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সংস্থাটি বলছে, সন্ধ্যা ৬টার পরপরই রিমালের কেন্দ্র উপকূল অঞ্চলে ছুঁয়েছে। রোববার (২৬ মে) রাতে আবহাওয়ার বিশেষ ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান ড. শামিম হাসান ভূঁইয়া।

তিনি বলেন, রেমাল স্থলভাগে উঠতে শুরু করেছে। এর অগ্রভাগ উপকূল ছুঁয়েছে। এর কেন্দ্র আগামী দেড় থেকে দুই ঘণ্টার মধ্যে পুরোপুরি উপকূলে প্রবেশ করবে। প্রবল ঘূর্ণিঝড়টি উপকূল অতিক্রম করতে সাত থেকে আট ঘণ্টা সময় নেবে।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমাল উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় (২১.২° উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯.২° পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) অবস্থান করছে। এটি আজ (২৬ মে) সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৩১০ কি.মি. পশ্চিম- দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৩১০ কি.মি. পশ্চিম, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ১৪৫ কি.মি. দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৫০ কি.মি. পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল।

সংস্থাটি আরও জানায়, প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্র মোংলার দক্ষিণপশ্চিম দিক দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ খেপুপাড়া উপকূল অতিক্রম শুরু করেছে। ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্র আরও উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে ১ থেকে ২ ঘণ্টার মধ্যে উপকূল অতিক্রম করে সম্পূর্ণ ঘূর্ণিঝড়টি পরবর্তী ৫ থেকে ৭ ঘণ্টার মধ্যে উপকূল অতিক্রম সম্পন্ন করতে পারে।

এদিকে ঘূর্ণিঝড় রিমালে প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় ৮-১২ ফুট উঁচু জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হওয়ার শঙ্কাও রয়েছে। আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে (ক্রমিক নম্বর-১৩) এ তথ্যানুসারে, ঘূর্ণিঝড়টির আকার ৪০০ থেকে ৫০০ কিলোমিটার হতে পারে। আর ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে ৮ থেকে ১২ ফুট জলোচ্ছ্বাসেরও আশঙ্কা রয়েছে।

একই সঙ্গে মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে ১০ এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে ৯ নম্বর মহাবিপৎসংকেত বহাল রয়েছে। রেমাল-এর অগ্রভাগের প্রভাবে ইতোমধ্যে দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে দমকা বাতাস বইছে, সঙ্গে আছে বৃষ্টি। বাতাসসহ বৃষ্টি হচ্ছে ঢাকায়ও।

পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেতের আওতায় থাকবে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৯ নম্বর মহাবিপৎসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ৯ নম্বর মহাবিপৎসংকেতের আওতায় থাকবে।

আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক জানিয়েছেন খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার নদী বন্দরগুলোকে ৪ নম্বর নৌ-মহাবিপৎসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশ ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৮-১২ ফুটের বেশি উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ ভারী (৪৪-৮৮ মিমি/২৪ ঘণ্টা) থেকে অতিভারী (৮৯ মিমির বেশি/২৪ ঘণ্টা) বর্ষণ হতে পারে। অতিভারী বর্ষণের প্রভাবে কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামের পাহাড়ি অঞ্চলের কোথাও কোথাও ভূমিধস হতে পারে বলেও জানিয়েছেন ওমর ফারুক।

তিনি আরও জানান, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হলো।


আরও খবর



গরমে চোখ ভালো রাখবে যে ৩ ভিটামিন

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ৩১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

গরম রাতারাতি কমে যাবে না, বরং আরও কিছু মাস এরকম আবহাওয়াতেই আপনাকে থাকতে হবে। বাইরে রোদের ভয়, ঘরে ভ্যাপসা গরম। এমন অবস্থায় নিজের দিকে খেয়াল না দিলেই নয় যেন। গরমের নিজের স্বাস্থ্যের দিকে নজর তো রাখবেনই, বিশেষ নজর রাখবেন চোখের দিকেও। আমাদের চোখের যত্নে আমরা অনেকটাই উদাসীন থাকি। কিন্তু এই অভ্যাস আমাদের চোখকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। তাই গরমে খেতে হবে প্রয়োজনীয় ভিটামিনযুক্ত সব খাবার। যাতে চোখ ভালো রাখা সহজ হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক-

১. ভিটামিন এ

ভিটামিন এ সম্ভবত চোখের স্বাস্থ্যের জন্য সবচেয়ে পরিচিত পুষ্টি। এটি কর্নিয়া পরিষ্কার রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কর্নিয়া হলো চোখের বাইরের আবরণ। গবেষণা অনুসারে, ভিটামিন এ হলো রোডোপসিনের একটি উপাদান, এটি চোখের একটি প্রোটিন যা কম আলোতেও দেখতে সাহায্য করে। তাপপ্রবাহের সময়, পানিশূন্যতা এবং অতিরিক্ত রোদের কারণে শুষ্ক চোখের ঝুঁকি বেড়ে যায়। ভিটামিন এ চোখের টিস্যু বজায় রাখতে সাহায্য করে। এটি রেটিনার সঠিক কার্যকারিতার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় পিগমেন্ট তৈরির জন্য প্রয়োজনীয়। আপনার খাবারের তালিকায় ভিটামিন এ-সমৃদ্ধ খাবার যোগ করুন। এটি আপনার চোখকে লুব্রিকেটেড রাখতে এবং সামগ্রিক দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করবে।

২. ভিটামিন সি

এক গবেষণায় দাবি করা হয়েছে যে, ভিটামিন সি-এর অক্সিডেন্ট সূর্যের ফ্রি র‌্যাডিক্যাল এবং অতিবেগুনী (UV) রশ্মির কারণে হওয়া ক্ষতি থেকে চোখকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। এটি ছানি এবং ম্যাকুলার ডিজেনারেশনের ঝুঁকি কমাতেও ভূমিকা পালন করে। এই দুই সমস্যা অতিরিক্ত রোদে আরও বেড়ে যেতে পারে। তাপপ্রবাহের সময় বাইরে বের হলে ক্ষতিকারক UV রশ্মির সংস্পর্শ বৃদ্ধি পায়। ভিটামিন সি নিয়মিত গ্রহণ করলে তা আপনার চোখের রক্তনালীগুলোকে শক্তিশালী করতে এবং রেটিনাল কোষের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে সহায়তা করে। এটি রোদের কারণে সৃষ্ট ক্ষতি কমাতে সাহায্য করে।

৩. ভিটামিন ই

ভিটামিন ই আরেকটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আপনার চোখকে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকে রক্ষা করে। এটি স্বাস্থ্যকর কোষের ঝিল্লি বজায় রাখতে এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে, যা তাপপ্রবাহের সময় বিশেষভাবে উপকারী হতে পারে। এসময় চোখে শুষ্কতা এবং জ্বালাপোড়ার প্রবণতা বেশি থাকে। অতিরিক্ত গরমে অশ্রু উৎপাদন কমে যেতে পারে, যার ফলে চোখ শুকিয়ে যায়। ভিটামিন ই টিয়ার ফিল্মের লিপিড স্তর বজায় রাখতে সাহায্য করে, যাতে চোখ আর্দ্র এবং আরামদায়ক থাকে। খাবারের তালিকায় ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাবার যোগ করুন। এ জাতীয় খাবার আপনার চোখকে হাইড্রেটেড রাখতে এবং জ্বালা হওয়ার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করবে।


আরও খবর



সুপার এইটে উঠেছি, এখন যা পাবো সবই বোনাস: হাথুরুসিংহে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

বিশ্বকাপে বাংলাদেশের লক্ষ্য ছিল প্রথম রাউন্ড পেরিয়ে সুপার এইটে খেলা, সেই লক্ষ্য পূরণ হয়েছে। এখন আর হারানোর কিছু নেই। এই পর্বে যা পাওয়া যাবে সবই বোনাস বলে মন্তব্য করেছেন দলের হেড কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে।

হাথুরু বলেন, যখন আমরা টুর্নামেন্টে আসি, আমাদের প্রথম লক্ষ্য ছিল এই সুপার এইটে উঠা। তাই আমি মনে করি, আমরা দারুণভাবে তা অর্জন করেছি... । আমি বলতে পারি, বোলাররা আমাদের এখন পর্যন্ত প্রতিযোগিতায় টিকিয়ে রেখেছে? যে কারণে আমরা অবস্থান নিয়েই খেলেছি। সত্যিই ভালো; কন্ডিশন আমাদের পক্ষে কাজ করেছে।

সুতরাং আমাদের এগিয়ে যাওয়া এবং এই পর্যায়ে আসতে পেরে আমরা খুব খুশি। এখান থেকে আমাদের যা কিছু আসবে, সবকিছুই বোনাস। তাই, আমরা অনেক স্বাধীনতা নিয়ে খেলি। আমরা তিনটি দলকেই চ্যালেঞ্জ জানাতে যাচ্ছি। আমরা আমাদের সেরাটাই দিতে পারি- যোগ করেন হাথুরু।

বাংলাদেশের সুপার এইটের যাত্রা শুরু হবে আগামীকাল শুক্রবার ভোর সাড়ে ৬টায়। প্রতিপক্ষ গেল বছরের ওয়ানডে বিশ্বকাপজয়ী অস্ট্রেলিয়া। এরইমধ্যে দুই দলই সেরে নিয়েছে নিজেদের প্রস্তুতি। বিশ্ব আসরে অসিদের কাছে হারের বৃত্ত থেকে বাংলাদেশ বের হতে পারে কিনা, সেটিই এখন দেখার।


আরও খবর



ভাঙনের কবলে সুন্দরবনের উপকূলীয় অঞ্চল

প্রকাশিত:শনিবার ০৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৮ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

জলবায়ু পরিবর্তন, ঘন ঘন প্রাকৃতিক দুর্যোগ, উচ্চ জলোচ্ছ্বাস, লবণাক্ততা বৃদ্ধি ও মনুষ্যসৃষ্ট দূষণসহ নানা ধরনের সংকট মোকাবিলা করতে হচ্ছে বিশ্বের সর্ববৃহৎ বাদাবন (ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট) সুন্দরবন ও বনের জীববৈচিত্র্যকে। ফলে অনিরাপদ হয়ে পড়ছে সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য।

সুন্দরবন বন বিভাগ সূত্র জানায়, ঘূর্ণিঝড় রেমালের সময় অস্বাভাবিক জলোচ্ছ্বাসে ১৩৪টি মৃত হরিণ ও চারটি বন্য শুকরের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে, সুন্দরবন বন বিভাগের মতে, বন্যপ্রাণী মৃতের সংখ্যা আরও কয়েক গুণ বেশি হবে। কারণ ঘূর্ণিঝড়ের পর বঙ্গবন্ধুর চর, পুটনির চরসহ গহীন সুন্দরবন ও বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন বন এলাকায় বন বিভাগের কর্মীরা যেতে পারেনি।

তাদের মতে, গত ২৬ মে ভোরে বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন সুন্দরবনে ঘূর্ণিঝড় রেমাল আঘাত হানে। এ সময় বঙ্গবন্ধুর চর, পুটনির চরসহ সুন্দরবনের বঙ্গোপসাগর অংশে ২০ ফুট পর্যন্ত জলোচ্ছ্বাস হয়েছিল। এতে বহু হরিণ সাগরে ভেসে গেছে। যার খোঁজ পাওয়া যায়নি। ওগুলো পচে-গলে পানিতে মিশে গেছে। উদ্ধার করা মৃত বন্যপ্রাণীগুলো মূলত-সুন্দরবনের কটকা, কচিখালী, দুবলা, নীলকমল, আলোরকোল, ডিমের চর, পক্ষীর চর, জ্ঞানপাড়া, শেলার চর এবং বিভিন্ন নদী-খাল থেকে ভাসমান অবস্থায় পাওয়া যায়। এর আগে ২০০৭ সালের ঘূর্ণিঝড় সিডরের পর একটি বাঘ ও ২৭টি হরিণের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। এছাড়া ২০০৯ সালে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের পর তিনটি হরিণ ও একটি বন্য শুকরের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। ২০১৩ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত সুন্দরবনের প্রাণীর মৃত্যুর কোনো খতিয়ান নেই।

বনজীবীরা জানান, প্রতি বছর ঘূর্ণিঝড়ে সুন্দরবনের গাছপালা ও বন্যপ্রাণীর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। তবে এবারই ঘূর্ণিঝড়ে সুন্দরবনের গাছপালার চেয়ে বন্যপ্রাণীর ক্ষতি বেশি হয়েছে।

বিভাগীয় বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ খুলনার কর্মকর্তা মফিজুর রহমান চৌধুরী জানান, এবারের ঘূর্ণিঝড় রেমালের সময় জলোচ্ছ্বাসে সুন্দরবনের গাছপালার চেয়ে পশুপাখির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বেশি। সুন্দরবনের যেসব জায়গা উঁচু তা সর্বোচ্চ আট ফুট। অথচ সেখানে পানি উঠেছিল ১০-১২ ফুট। টানা ৩৬-৩৭ ঘণ্টা পুরো সুন্দরবন লবণপানির নিচে ছিল। এর আগে এ রকম জলোচ্ছ্বাস সুন্দরবনে কখনো হয়নি। যা জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকির বিষয়।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ও প্রাণী বিজ্ঞানী প্রফেসর ড. এম এ আজিজ বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনে এখন যে অভিঘাত হচ্ছে, এগুলো ধীরে ধীরে বাড়বে। উচ্চ জলোচ্ছ্বাস ছাড়াও আমরা যে অসুবিধাগুলো দেখছি, সুন্দরবনের উপকূলীয় এলাকা ভেঙে যাচ্ছে। বিশেষ করে সাতক্ষীরা অঞ্চলের সুন্দরবন। সাতক্ষীরা থেকে মান্দারবাড়ী হয়ে দুবলারচর, কটকা পর্যন্ত অনেক এলাকা ভেঙে যাচ্ছে। এটা সুন্দরবনের জন্য দৃশ্যমান ক্ষতি হচ্ছে। ঐ অঞ্চলে ভেঙে গিয়ে বন কমে যাচ্ছে। তবে সুন্দরবনের বলেশ্বরের দিকে কিছু কিছু চর জাগছে। সুন্দরবনের দক্ষিণ-পশ্চিম এলাকায় গত ১০-১২ বছর ধরে ভাঙন অনেক বেশি হচ্ছে। এই ক্ষতি দীর্ঘমেয়াদি এবং ধীরে ধীরে এই ক্ষতি বাড়ছে। হয়তো এখন ক্ষতিটা অত নজরে আসছে না; নজরে আসে যখন ঘূর্ণিঝড়ের মতো কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ হয় তখন।

তিনি বলেন, গত ২০ বছরের অভিজ্ঞতায় দেখি, দীর্ঘ সময় ধরে সুন্দরবন জলোচ্ছ্বাসে তলিয়ে থাকা এবারই প্রথম দেখা গেল। জলবায়ুর যে অভিঘাতগুলো আনপ্রেডিক্টেবল (অপ্রত্যাশিত)। যা আমরা আগে থেকে প্রেডিক্ট (প্রত্যাশা) করতে পারি না। ফলে বাঘ ও বন্যপ্রাণীসহ জলজ প্রাণীরও ক্ষতি হচ্ছে। কারণ লবণাক্ততা বাড়ছে।

সুন্দরবনের বন সংরক্ষক (সিএফ) মিহির কুমার দো বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন আগের তুলনায় ধীরে ধীরে প্রকট হচ্ছে। জলবায়ুর বিরূপ প্রতিক্রিয়ার কারণেই এবার উচ্চ জলোচ্ছ্বাস হয়েছে বলে আমরা মনে করছি। স্বাভাবিক জোয়ারের সময় এখন পানি অনেক উঁচু হয়ে যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, এবারই প্রথম সুন্দরবন একটানা প্রায় ৩৬ ঘণ্টা লোনাপানিতে প্লাবিত ছিল, যা আমরা আগে ধারণাও করতে পারিনি। সুন্দরবনে এবারের দুর্যোগ আমাদের ভাবিয়ে তুলেছে। ঘূর্ণিঝড়-জলোচ্ছ্বাস মোকাবিলায় কী করা যায়, তা নিয়ে আমরা ভাবছি।


আরও খবর



মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম মৃত্যু

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৩ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

এমপক্স বা মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় একজন মারা গেছেন। মাঙ্কিপক্স সংক্রমণে আফ্রিকার এই দেশটিতে এটিই প্রথম মৃত্যু। এছাড়া দেশটিতে চলতি বছর আরও কয়েকজনের শরীরে এই রোগ শনাক্ত হয়েছে। বুধবার (১২ জুন) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ আফ্রিকায় এমপক্সে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যুর তথ্য রেকর্ড করা হয়েছে বলে দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন। মন্ত্রী জো ফাহলা বলেছেন, তিন দিন আগে গাউতেংপ্রদেশের একটি হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরে গত সোমবার ৩৭ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি মারা যান।

জো ফাহলা বলছেন, এই বছর দেশে পাঁচজন এমপক্সে সংক্রমিত হয়েছেন, যার মধ্যে গাউতেংয়ের আরও এক ব্যক্তি রয়েছেন। এছাড়া অন্য তিনজন কোয়াজুলু-নাটালের বাসিন্দা।

তিনি বলেন, সংক্রমিত সকলেই ৩০ থেকে ৩৯ বছর বয়সী পুরুষ। তারা প্রাদুর্ভাবের সম্মুখীন হওয়া অন্য কোনও দেশে যাননি। ফলে এই রোগটি স্থানীয়ভাবে মানুষের মধ্যে ছড়াচ্ছে বলে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।

এমপক্স রোগটি আগে মাঙ্কিপক্স নামে পরিচিত ছিল এবং ২০২২ সালের প্রথমার্ধে এটি বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। এরপর একই বছরের জুলাই মাসে মাঙ্কিপক্স বা এমপক্সকে বৈশ্বিক স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও। কিন্তু তারপর থেকে এই রোগে সংক্রমিত মানুষের সংখ্যা ধারাবাহিকভাবে কমেছে। এর প্রায় এক বছরের মাথায় এই সংক্রমণকে বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা থেকে বাদ দেওয়ার কথা ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।

উল্লেখ্য, মাঙ্কিপক্স ভাইরাসজনিত অসুখ। স্মলপক্স ভাইরাস শ্রেণির একটি ভাইরাস এ রোগের জন্য দায়ী। ভাইরাসটির দু’টি রূপান্তরিত ধরন রয়েছে— মধ্য আফ্রিকান ও পশ্চিম আফ্রিকান।

রোগটির বিভিন্ন লক্ষণের মধ্যে রয়েছে জ্বর, মাথাব্যথা, ঘেমে যাওয়া, পিঠে ব্যথা, মাংসপেশির টান ও অবসাদ। প্রথম পর্যায়ে রোগীর জ্বর আসে, পাশাপাশি শরীরে দেখা দেয় ফোস্কা ও অধিকাংশ ঘটনায় শুরুতে মুখে ফুসকুড়ি ওঠে। পরে শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়ে; বিশেষ করে হাত ও পায়ের তালুতে।

যুক্তরাষ্ট্রের একজন জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তার মতে, এই ভাইরাল সংক্রমণের সাথে গুটিবসন্তের সম্পর্ক আছে। তবে সংক্রমণ সাধারণত মৃদু হয়। বিশেষ করে পশ্চিম আফ্রিকান ভাইরাসের প্রজাতিটি মৃদু ধরনের; যা যুক্তরাষ্ট্রে শনাক্ত হয়েছিল। এই প্রজাতিতে আক্রান্তদের মৃত্যুর হার প্রায় ১ শতাংশ। বেশিরভাগ মানুষ দুই থেকে চার সপ্তাহের মধ্যে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠেন।


আরও খবর



বাজেট: রূপচর্চায় খরচ বাড়ছে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

২০২৩-২৪ অর্থবছরের চেয়ে এবারের বাজেটের আকার বাড়েছে প্রায় ১১ শতাংশ। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেট অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা।

বৃহস্পতিবার (৬ জুন) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদ ভবনে নতুন অর্থবছরের প্রস্তাবিত এই বাজেট অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা। এবার বাজেটের আকার ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা।

বিকেল ৩টায় প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করা শুরু করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। তিনি সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অঙ্গীকার শীর্ষক বাজেট বক্তব্য উপস্থাপন শুরু করেন।

চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে রূপচর্চা সামগ্রীর ওপরে ভ্যাট বাড়ানো হচ্ছে। হাত, নখ, পায়ের প্রসাধন সামগ্রী, লিপস্টিক, চুল পরিচর্যা সামগ্রীর সম্পূরক শুল্ক বাড়ানো হচ্ছে। ফলে প্রসাধন পণ্যের দাম বাড়তে পারে।


আরও খবর