আজঃ মঙ্গলবার ০২ জুলাই 2০২4
শিরোনাম

স্টোকসের দলে চার নম্বরে ব্যাট করবেন রুট

প্রকাশিত:সোমবার ০৯ মে ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ০৯ মে ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ইংল্যান্ডের নতুন টেস্ট অধিনায়ক বেন স্টোকস নিশ্চিত করলেন, তার দলের ব্যাটিং অর্ডারে চার নম্বরে ফিরবেন জো রুট। নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে আসন্ন সিরিজেই পুরোনো পজিশনে দেখা যাবে সাবেক অধিনায়ককে, যেখানে তার ব্যাটিং গড় ৫১.২৭। তিন নম্বরে তার গড় ৩৯.৬৭। পাঁচ বছরের অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেওয়া রুট সবশেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে তিন নম্বরে ব্যাট করেন। ছয় ইনিংসে দুটি সেঞ্চুরি করলেও স্টোকস জানালেন, দীর্ঘদিনের ফরম্যাটে ইংল্যান্ডের ভাগ্য ফেরাতে আবারো রুটকে চারে ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনা তার।

অ্যাশেজে তিন নম্বরে ব্যাটিং করেছিলেন ডেভিড মালান। ব্যর্থতা থেকে বের হতে বেশ কয়েকজনকে এই পজিশনে চেষ্টা করানো হলেও আস্থা রাখতে পারেননি কেউ। সেখানেও নিজেকে মেলে ধরেন রুট। ব্যাটিং অর্ডারে আগের জায়গায় তাকে ফেরত পাঠাতে তার সঙ্গে কথাও হয়েছে স্টোকসের।

ইংল্যান্ডের এই অলরাউন্ডার বলেছেন, আমি তার সঙ্গে এরই মধ্যে কথা বলেছি। আমি তাকে চারে ফিরে যেতে বলেছি এবং আমি খেলতে যাচ্ছি ছয়ে। জো যেখানেই ব্যাট করে, রান পায়। কিন্তু তার সেরা পজিশন হচ্ছে চারে। আমি মনে করি চারে সে এবং আমি ছয়ে, আমাদের ভালো অভিজ্ঞতা দিবে।

সিডনি ও অ্যান্টিগায় ছয়ে নেমে টানা শতক হাঁকানো জনি বেয়ারস্টোকে তিনে দেখা যেতে পারে। আর ওপেনিংয়ে অ্যালেক্স লিসের সঙ্গে থাকতে পারেন ফর্মে থাকা টম হেইনেস। পাঁচ নম্বরের জন্য লড়াই হবে ওলি পোপ, ড্যান লরেন্স ও আনক্যাপড হ্যারি ব্রুকের মধ্যে। ক্যারিবিয়ান সফর থেকে বাদ পড়া জেমস অ্যান্ডারসন ও স্টুয়ার্ট ব্রডের ফেরার আশ্বাস পেয়েই অধিনায়কত্ব নিয়েছেন স্টোকস। স্বাভাবিকভাবে তাদের দেখা যাবে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে। তবে জোফরা আর্চার, ওলি স্টোন ও মার্ক উড এবারও থাকবেন সাইডলাইনে।

নিউজ ট্যাগ: বেন স্টোকস

আরও খবর



পানি বাড়ায় খুলে দেওয়া হয়েছে তিস্তার ৪৪ জলকপাট

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৪ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৪ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে তিস্তার পানি বাড়তে শুরু করেছে। ইতোমধ্যে ডালিয়ায় তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি প্রবাহিত হওয়ায় নদীপাড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য মতে, সন্ধ্যা ৬ টায় কাউনিয়া পয়েন্টে ২৮ দশমিক ৭০ সেন্টিমিটার পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয়। ফলে দশমিক পাঁচ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে তিস্তা নদীর পানি। বিকেল ৩টায় ২৮ দশমিক ৬৩ সেন্টিমিটার, ভোর ৬ টায় ২৮ দশমিক ৪০ সেন্টিমিটার ও সকাল ৯টায় ২৮ দশমিক ৫০ সেন্টিমিটার ও দুপুর ১২ টায় ২৮ দশমিক ৫৫ সেন্টিমিটার।

অপরদিকে একইদিন বিকেল ৩ টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ৫১ দশমিক ৩০ সেন্টিমিটার। যা বিপৎসীমার দশমিক ৮৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এরআগে এ পয়েন্টে সকাল ৬টায় ৫১ দশমিক ৭৫ সেন্টিমিটার, সকাল ৯টায় ৫১ দশমিক ৬০ সেন্টিমিটার ও দুপুর ১২টায় ২৮ দশমিক ৪৬ সেন্টিমিটার পানির প্রবাহ রেকর্ড করা হয়।

কাউনিয়া উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনছার আলী জানান, ভোর থেকে তিস্তার পানি হু হু করে বাড়ছে। বর্ষার আগে তিস্তায় পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তীরবর্তী ও চরাঞ্চল গ্রামের মানুষদের মাঝে কিছুটা আতঙ্ক বিরাজ করে। এসময় বন্যা হলে নদীপাড়ের মানুষেরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। পাশাপাশি নদীর তীরবর্তী আবাদি জমিগুলো তলিয়ে বাদাম ও শাক-সবজিসহ উঠতি বিভিন্ন ফসলের কিছুটা ক্ষতি হবে।

কাউনিয়ার চরগনাই গ্রামের বাসিন্দা আফতার আলী বলেন, ভোর থাকি নদীত পানি বারবের নাগছে। হামরা ভয়ত আছি। পানি কোনো সময় বা সময় বাড়িত ঢোকে। ঈদের আগত বন্যা হইলে খুব বিপদে পড়ি যামো।

রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, উজানের ঢল আর গত কয়েকদিন ধরে বৃষ্টিপাতে বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তায় পানি বাড়তে থাকে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ব্যারাজের ৪৪ গেটই খুলে রাখা হয়েছে। শুক্রবার বিকেলের দিকে ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি কিছুটা কমতে শুরু করেছে। তবে ভাটিরদিকে রংপুর জেলার কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপদসীমার কাছ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তাই ভাটির অঞ্চলে সার্বক্ষণিক নদীপাড়ের পরিস্থিতির খোঁজখবর রাখা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, এখন পর্যন্ত বন্যার কোনো আভাস পাওয়া যায়নি। ভারতে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বেশি হলে উজান থেকে নেমে আসা ঢলে আমাদের এখানে নদীর পানি আরও বাড়তে পারে। তবে বর্ষা মওসুমের আগে তিস্তায় পানি বাড়ায় নদী পাড়ের মানুষের মাঝে কিছুটা আতঙ্ক বিরাজ করে।

কাউনিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মহিদুল হক বলেন, বন্যার এখন পর্যন্ত আভাস পাওয়া যায়নি। তবে বন্যায় যাতে কেউ ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে ব্যাপারে সরকারিভাবে সব ধরনের আগাম প্রস্তুতি নেওয়া আছে। পাশাপশি স্থানীয় প্রতিনিধিদের সার্বক্ষণিক নদীপাড়ের পরিস্থিতির খোঁজখবর রাখতে বলা হয়েছে।


আরও খবর



ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ করে সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে রাবি শিক্ষকরা

প্রকাশিত:সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আসিক আদনান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

Image

সর্বজনীন পেনশন স্কিম সংক্রান্ত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার ও প্রতিশ্রুত সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রবর্তনের বিষয়ে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের দাবিতে সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ও কর্মচারীরা। ফলে বন্ধ রয়েছে সকল প্রকার ক্লাস-পরীক্ষা।

সোমবার (১ জুলাই) সকাল থেকে এ কর্মসূচি ঘোষণা করে বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবন চত্বরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়।

অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসার সমিতিও ১ থেকে ৩ জুলাই পর্যন্ত লাগাতার কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন।

অবস্থান কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মোজাম্মেল হোসেন বকুল বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিভিন্ন সময়ে শিক্ষকদের অনেক সুবিধা উঠিয়ে দেওয়া ও আর্থিক সুবিধা দেওয়ার ক্ষেত্রে কার্পণ্য হতে দেখেছি। উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান যদি সঠিকভাবে না চলে তাহলে জাতির সামনে অশনি সংকেত অপেক্ষা করে। যেসব মেধাবী শিক্ষার্থী পড়ালেখা করছে তারা যদি মেধাবী শিক্ষক না পান তাহলে তারা দেশকে কিছুই দিতে পারবে না। মেধাবী শিক্ষক পেতে গেলে মেধাবী শিক্ষার্থীদের আকর্ষণ করতে হবে। যেন তারা উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসেন। তাদের আকর্ষণ করার জন্য আর্থিক সুযোগ-সুবিধা দিতে হবে। আরও কত সুযোগ-সুবিধা দেওয়া যায় সেই চেষ্টা করবেন। প্রতিবেশী অনেক দেশে শিক্ষকদের বেতন সাধারণ চাকরি থেকে অনেক বেশি৷ কিন্তু বাংলাদেশে স্বতন্ত্র বেতন স্কেলের কথা বারবার বলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি৷

রাবির শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. হাবিবুর রহমান বলেন, গত দুই মাস থেকে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি। ভেবেছিলাম এমন পরিস্থিতি আসবে যে আমাদের আর লাগাতার কর্মসূচির মধ্যে যেতে হবে না। যেহেতু তেমন কিছু হয়নি তাই আমাদের লাগাতার কর্মসূচিতে যেতে হচ্ছে এবং সরকারের অবস্থান খুব অনড় বলেই মনে হচ্ছে। এজন্য আমাদের এটা আরও চালিয়ে যেতে হবে। গতকাল থেকে আন্তঃকর্মকর্তা ও কর্মচারী পরিষদ আছে তারাও আমাদের সাথে একাগ্রতা প্রকাশ করেছে।

তিনি আরও বলেন, দেশে যখনি কোনো কিছু ঘটে তখন সবকিছু শিক্ষকদের ওপরেই সব সময় আসে। আর্থিক খাত থেকে বিভিন্ন জায়গায় বঞ্চিত করা হয়েছে। আপনারা জানেন ২০১৫ সালে অবনবন করা হয়েছে। আবার সর্বজনীন পেনশন স্কিমের নামে আর্থিকভাবে ক্ষতি করছে। শুধু আর্থিকভাবে নয় আমি মনে করি এটার সুদূরপ্রসারী প্রভাব রয়েছে। এটা উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংসের ষড়যন্ত্র বলে মনে করি। সরকার এগিয়ে যাচ্ছে কিন্তু সরকারের মধ্যে থাকা কিছু ষড়যন্ত্রী আমাদের সরকারের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিচ্ছে। আমরা দ্রুত এর প্রত্যাহার চাই।

প্রসঙ্গত, গত ১৩ মার্চ অর্থ মন্ত্রণালয়ের এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারির পর থেকে বিবৃতি প্রদান, গণস্বাক্ষর সংগ্রহ, মানববন্ধন, প্রতীকী কর্মবিরতি, স্মারকলিপি প্রদান এবং অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়। এ সময়ে সরকারের তরফ থেকে কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় গত ২৫, ২৬ ও ২৭ জুন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালিত হয় এবং ৩০ জুন পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করেন। আজ ১ জুলাই সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করছেন তারা।


আরও খবর



চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪৩৯ কোটি টাকার রাজস্ব বাজেট অনুমোদন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৩ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ফাইন্যান্স কমিটি (এফসি) ও সিন্ডিকেটের ৬০ তম যৌথ সভায় ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের সংশোধিত রাজস্ব বাজেট এবং ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের প্রাক্কলিত ৪৩৯ কোটি ১৬ লক্ষ টাকার রাজস্ব বাজেট অনুমোদন করা হয়।

বৃহস্পতিবার সকালে চবি উপাচার্যের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সভায় সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ আবু তাহের।  চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সম্প্রতি জাতিসংঘ ঘোষিত টেক্সই উন্নয়ন লক্ষমাত্রা অর্জনে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকান্ড, গবেষণা, উদ্ভাবন ও সফলতার ভিত্তিতে টাইমস এবং কিউএস দুটি আন্তর্জাতিক র‌্যাঙ্কিং এ সেরাদের তালিকায় স্থান পাওয়ায় ফাইন্যান্স কমিটি, সিন্ডিকেট সদস্য ও র‌্যাঙ্কিং কমিটিসহ বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন জানানো হয়।

 চবি উপাচার্য বলেন, আমি দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম এবং ভৌত অবকাঠামো উন্নয়নকে গুরুত্ব দিয়ে কাজ শুরু করেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের মুল লক্ষ্য শিক্ষা-গবেষণা ও উদ্ভাবনকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিভিন্ন কর্ম-পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি যার ফলে ইতোমধ্যে দৃশ্যমান ফলাফল আসতে শুরু করেছে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্য ও গৌরব বৃদ্ধি করতে চেষ্টা করছি। এ লক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর এর সম্মতিক্রমে ৫ম সমাবর্তনের আগামভ ৮ ডিসেম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে দায়িত্ব নেবার পর সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা ও জবাবদিহীতার মাধ্যমে অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে পালন করে যাব।

 এফসি ও সিন্ডিকেটের যৌথ সভায় সদস্যবৃন্দের সুচিন্তিত মতামত ও সুপারিশ বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিতে অধিকতর সহায়ক ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

এফসি ও সিন্ডিকেটের যৌথ সভায় চবি উপ-উপাচার্যবৃন্দ, এফসি ও সিন্ডিকেট সদস্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবুল মনছুর, এফসি সদস্য প্রফেসর আবু মুহাম্মদ আতিকুর রহমান, প্রফেসর (অবসরপ্রাপ্ত) ড. সুলতান আহমেদ, প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবদুল্লাহ মামুন এবং সিন্ডিকেট সদস্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান, প্রফেসর ড. মোহাম্মদ খাইরুল ইসলাম, ড. নঈম উদ্দিন হাছান আওরঙ্গজেব চৌধুরী, মোহাম্মদ আলী, মোঃ মোয়াজ্জেম হোসাইন, এস এম ফজলুল হক এবং সিন্ডিকেট সচিব চবি রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) কে এম নুর আহমদ উপস্থিত ছিলেন। সভায় অনলাইনে অংশগ্রহণ করেন সিন্ডিকেট সদস্য ড. মোঃ ওমর ফারুক।

সভায় বাজেটের বিভিন্ন বিষয়ের ওপর স্বতঃস্ফূর্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন এবং মতামত পেশ করেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা-গবেষণার চলমান উন্নয়নসহ প্রশাসনিক ও অবকাঠামো উন্নয়নে একটি সময়োপযোগী বাজেট পেশ করায় চবি উপাচার্যকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানানো হয়।

সভায় চবি হিসাব নিয়ামক (ভারপ্রাপ্ত) ও এফসি সচিব মোঃ আমিরুল ইসলাম বাজেট উপস্থাপন করেন এবং তা আগামী সিনেট সভায় পেশ করার জন্য অনুমোদন করা হয়।



আরও খবর



তৃতীয় দফায় বেনজিরের ৮ ফ্ল্যাট, ৯১ একর জমি ক্রোকের নির্দেশ

প্রকাশিত:বুধবার ১২ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজির আহমেদের পরিবারের সদস্যদের নামে আরও সম্পত্তি ও ফ্ল্যাট জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার (১২ জুন) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।

জব্দ হওয়া সম্পদ ও ফ্ল্যাটের মধ্যে- রুপগঞ্জে ২৪ কাঠা জমি, উত্তরায় ৩ কাঠা, বাড্ডায় ৩৯ দশমিক ৩০ জমির ওপর দুটি ফ্ল্যাট, বান্দরবান জেলায় ২৫ একর জমি, স্ত্রী জিসানের নামে আদাবর থানার পিসিকালচার এলাকায় ৬টি ফ্ল্যাট, গুলশানে বাবার কাছ থেকে পাওয়ার অব অ্যাটর্নি মূলে সম্পত্তিতে ৬ তলা ভবন, সিটিজেন টিভির শেয়ার ও টাইগার এপারেলসের শেয়ার রয়েছে।

মামলার অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচাল হাফিজুল ইসলাম এ আবেদন করেন। আবেদনে বলা হয়, বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজির আহমেদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে নিজ নামে, স্ত্রী জীশান মীর্জা ও কন্যাদের নামে দেশ-বিদেশে শত শত কোটি টাকার জ্ঞাত আয় বর্হিভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ করা হয়েছে।

অনুসন্ধানকালে বিশ্বস্তসূত্রে জানা যাচ্ছে, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা তাদের মালিকানাধীন ও তাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নামীয় স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তরের চেষ্টা করছেন। যা করতে পারলে মামলার অনুসন্ধানের ধারাবাহিকতায় মামলা দায়ের, চার্জশিট দাখিল, আদালত কর্তৃক বিচার শেষে সাজা অংশ হিসেবে অপরাধলব্ধ আয় থেকে অর্জিত সম্পত্তি সরকারের অনুকূলে বাজেয়াপ্তকরণসহ সকল উদ্দেশ্যই ব্যর্থ হবে।

তাই অনুসন্ধান শেষে মামলা দায়ের, তদন্ত শেষে চার্জশিট দাখিল, এরপর আদালত কর্তৃক বিচার শেষে সরকারের অনুকূলে বাজেয়াপ্তের সুবিধার্থে তথা সুষ্ঠু অনুসন্ধান ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার স্বার্থে স্থাবর সম্পত্তিসমূহ ক্রোক ও অস্থাবর সম্পত্তি ফ্রিজ করা একান্ত প্রয়োজন। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর।

এর আগে গত ২৩ ও ২৬ মে দুই দফায় বেনজির আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের ৬২১ বিঘা জমি জব্দের আদেশ দেন আদালত। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি জমির মালিক বেনজিরের স্ত্রী জীশান মীর্জা। তার নামে প্রায় ৫২১ বিঘা জমি খুঁজে পেয়েছে দুদক। বাকি ১০০ বিঘার মতো জমি রয়েছে বেনজির, তার তিন মেয়ে ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজির, তাহসিন রাইশা বিনতে বেনজির ও জারা জেরিন বিনতে বেনজির এবং স্বজন আবু সাঈদ মো. খালেদের নামে।

বেনজির আহমেদের স্ত্রী জীশান মীর্জার নামে মাদারীপুরের সাতপাড় ডুমুরিয়া মৌজায় ২৭৬ বিঘা জমি পাওয়া গেছে। ২০২১ ও ২০২২ সালের বিভিন্ন সময় ১১৩টি দলিলে এসব জমি কেনা হয়। দলিলমূল্য দেখানো হয় মোট ১০ কোটি ২২ লাখ টাকা। ৮৩টি দলিলে ৩৪৫ বিঘা জমি জব্দের আদেশ দেন আদালত। যার দলিলমূল্য দেখানো হয়েছিল ১৬ কোটি ১৫ টাকার কিছু বেশি।

এছাড়া বেনজির আহমেদের পরিবারের সদস্যদের নামে গুলশানে যে চারটি ফ্ল্যাট জব্দের আদেশ দেন আদালত। তার মধ্যে তিনটি তার স্ত্রীর নামে এবং একটি ছোট মেয়ের নামে। দুটি ফ্ল্যাটের আয়তন ২ হাজার ৩৫৩ বর্গফুট, দাম ৫৬ লাখ টাকা করে। বাকি দুই ফ্ল্যাটের আয়তন ২ হাজার ২৪৩ বর্গফুট করে, দাম সাড়ে ৫৩ লাখ টাকা করে। চারটি ফ্ল্যাট কেনা হয়েছে একই দিন একই ভবনে। ভবনটির নাম র‍্যানকন আইকন টাওয়ার।

নিউজ ট্যাগ: ড. বেনজির আহমেদ

আরও খবর



বুড়িগঙ্গায় তেলবাহী জাহাজে আগুন, বিস্ফোরণে নিহত ১

প্রকাশিত:বুধবার ২৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বুড়িগঙ্গা নদীতে জ্বালানি তেলের ড্রামবাহী জাহাজে ভয়াবহ বিস্ফোরণে একজন নিহত হয়েছেন। আগুন নিয়ন্ত্রণের পর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তার মরদেহ উদ্ধার করেন। বুধবার (২৬ জুন) দুপুরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার রাশেদ বিন খালিদ বিকেলে গণমাধ্যমকে জানান, জ্বালানি তেলের ড্রামবাহী জাহাজে ভয়াবহ বিস্ফোরণে একজন নিহত হয়েছেন। আগুন নিয়ন্ত্রণের পর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তার মরদেহ উদ্ধার করেন।

এর আগে দুপুর দেড়টার দিকে বুড়িগঙ্গা নদীতে জ্বালানি তেলের ড্রামবাহী একটি জাহাজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। আগুনে তেলের ড্রামগুলো বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে আশপাশের মসজিদ, বাসাবাড়ি সংলগ্ন থানা এলাকা কেঁপে ওঠে। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা।

মেঘনা ডিপোর ডিএস জিয়াউর রহমান জানান, জাহাজে করে তেল নিয়ে তারা বরিশাল মনপুরায় যাচ্ছিলেন। জাহাজের ভেতরে চারজন ছিল। তারা ভেতরে রান্না করছিলেন। সেখান থেকে এ দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

তিনি আরও জানান, জাহাজটিতে ৮৬ ড্রাম পেট্রোল ও ৭০ ড্রাম ডিজেল ছিল। প্রায় সব ড্রাম বিস্ফোরণ হয়। এ সময় ধোঁয়ায় চারপাশ আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে।

নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক মুহম্মদ ফখর উদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, খবর পেয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট কাজ শুরু করে। আগুন প্রায় নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে আমরা ডাম্পিংয়ের কাজ করছি।


আরও খবর