সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি:
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ধাপাচিলা এম ইউ দাখিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মনের অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার আব্দুর রউফ মিয়ার নিয়োগ বাণিজ্যসহ মাদ্রাসার বই, ফ্যান, মোটর, ইট, টিন, গ্রিলের দরজা, জানালা ও শিক্ষকদের চাঁদার টাকার আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। অত্র মাদ্রাসার অফিস সহকারি নিয়োগ দিয়ে মাদ্রাসার উন্নয়নের জন্য মিজানুর রহমানের কাছে থেকে ১৪ লাখ টাকা গ্রহণ করে। গভার্নিং বডির কমিটির সদস্যের না জানিয়ে সেই টাকা মাদ্রাসার কোন প্রকার উন্নয়নমূলক কাজ না করে সুপার নিজের কাছে রেখে দেয়। মাদ্সায় সরকারিভাবে চারতলার ভবনের বরাদ্দ আসলে পরিত্যাক্ত ক্লাস রুমসহ জায়গা ফাঁকা করার উদ্দেশ্যে সকল অফিস রুমসহ সকল শ্রেণিকক্ষ ভাংচুর করেন এবং মাদ্রাসার অফিসরুম ও শ্রেণিকক্ষে থাকা ফ্যান, মোটর পাম্প, টিন, গ্রিলের দরজা, জানালাসহ পুরাতন ইট (হাজার হিসাবে), সরকার কর্তৃক প্রদানের সরকারি বই মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের বিতরণ না করে বর্ণিত কমিটির সিন্ধান্ত ব্যতিত রেখে নিজ স্বার্থ চরিতার্থে করার উদ্দেশে রাতের আঁধারে মজুমদার বাজারে ভাংগারির দোকানে কেজি দরে ৮ লাখ ১০ হাজার টাকা বিক্রয় করে।
এবিষয়ে মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার আব্দুর রউফ জানান, আমি কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অফিস সহকারি নিয়োগ দিয়েছি। নিয়োগে কোনো অর্থ লেনদেন করি নাই এবং মাদ্সার পুরাতন বই, ফ্যান, মোটর পাম্প, টিন, গ্রিলের দরজা, জানালা ও পুরাতন ইট বিক্রয় করা সব টাকা আমরা মাদ্সার উন্নয়নমূলক কাজে ব্যবহার করেছি। তবে নতুন বই এখনো সম্পূর্ণ দেয়া হয়নি কিছু বই নিরাপদ স্থানে রেখে দেয়া হয়েছে।
এবিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মাহামুদ হাসান মন্ডল জানান, এখনো আমাদের কাছে এমন অভিযোগ আসেনি অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।