আজঃ বৃহস্পতিবার ০৪ জুলাই ২০২৪
শিরোনাম

সুপ্রিম কোর্টের নতুন রেজিস্ট্রার জেনারেল আজিজ আহমদ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ জুলাই 2০২4 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০২ জুলাই 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

চট্টগ্রামের জেলা ও দায়রা জজ আজিজ আহমদ ভূঞাকে সুপ্রিম কোর্টের নতুন রেজিস্ট্রার জেনারেল হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. গোলাম রব্বানীকে চট্টগ্রামের জেলা জজ হিসেবে বদলি করা হয়েছে। সোমবার (১ জুলাই) আইন মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

আজিজ আহমদ ভূঞা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি (অনার্স) ও এলএলএম ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি ১৯৯১ সালে বাংলাদেশ বিসিএস (বিচার) পরীক্ষায় মেধা তালিকায় প্রথম হয়ে জুডিসিয়াল সার্ভিসে যোগদান করেন।

এর আগে ২০০৫ সালে যুক্তরাজ্যের বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফেলোশিপ, ২০০৮ সালে কোরিয়া সিভিল সার্ভিস একাডেমি থেকে জনপ্রশাসনে উচ্চতর প্রশিক্ষণ এবং ২০১৯ সালে অস্ট্রেলিয়ার ওয়েস্টার্ন সিডনি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন ও বিচার বিষয়ে উচ্চতর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। তিনি সম্প্রতি ন্যাশনাল জুডিসিয়াল একাডেমি ভূপাল, ভারতের প্রশিক্ষণে বাংলাদেশ থেকে দলনেতা হিসেবে অংশগ্রহণ করেন।

২০২২ সালের ৪ অক্টোবর হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার (সিনিয়র জেলা জজ) মো. গোলাম রব্বানীকে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। এর আগে তিনি হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার ছিলেন।


আরও খবর



একযুগে চামড়ার দাম কমেছে ৩৩ শতাংশ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

গত একযুগে গরুর চামড়ার সরকার নির্ধারিত দাম কমেছে ৩৩ শতাংশের বেশি। এবারও নির্ধারিত দামে বিক্রি হয়নি কাঁচা চামড়া। প্রতিটি গরুর চামড়া আকারভেদে বিক্রি হয়েছে ৩০০ থেকে ৯০০ টাকার মধ্যে। আড়তদাররা বলছেন, ট্যানারিতে চাহিদা না থাকায় দাম কম। ট্যানারি মালিকদের দাবি, চামড়ার রপ্তানিমূল্যও কমেছে।

২০১৩ সালে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করে ঢাকায় লবণযুক্ত প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়ার দাম ৮৫ থেকে ৯০ টাকা নির্ধারণ করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। আর ঢাকার বাইরে ৭৫ থেকে ৮০ টাকা। এরপর কমতে কমতে ২০২০ সালে চামড়ার দাম ঠেকে ৩৫ টাকা বর্গফুটে। এ বছর কোরবানির গরুর চামড়ার দাম নির্ধারিত হয় ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়।

ঢাকায় একেকটি গরুর লবণজাত চামড়ার সর্বনিম্ন দাম ধরা হয় এক হাজার ২০০ টাকা। প্রতি পিস চামড়ায় লবণ দিতে খরচ হয় ৩০০ টাকার মতো। সে হিসেবে লবণ ছাড়া চামড়ার দামে সন্তুষ্ট নন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। 

বাংলাদেশ হাইড অ্যান্ড স্কিন মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব টিপু সুলতান বলেন, আন্তর্জাতিক ব্যবসায়িক প্রেক্ষাপট যদি বিবেচনায় নিই, বহির্বিশ্বে কিন্তু চামড়ার দাম বাড়েনি। সবকিছুই তো ডিমান্ড-সাপ্লাই চেইনের ওপর নির্ভরশীল। আন্তর্জাতিক অর্থনীতিতেও মূল্যস্ফীতি আছে। ফলে পাশ্চাত্যের দেশগুলো, যারা আমাদের চামড়া খাতের মূল ক্রেতা, তাদের ওখানে চাহিদা কমে গেছে। আবার চীনে আর্টিফিশিয়াল লেদার, সিনথেটিক লেদারের ব্যবহার বেড়েছে। কেডসে ফেব্রিকসের ব্যবহার বেড়েছে। ফলে চামড়ার চাহিদাটাই কমে গেছে।

ধারণা করা হয়, এক লাখ টাকার নিচের গরুর চামড়া ২০-২৪ বর্গফুট। দেড় লাখ টাকার গরুর চামড়া ২৬ থেকে ৩০ বর্গফুট, আর ২ লাখ টাকা দামের ওপরে কেনা গরুর চামড়া হতে পারে ৩২ থেকে ৩৮ বর্গফুট। প্রক্রিয়াজাতের কয়েক ধাপে রাসায়নিকসহ বিভিন্ন খরচ বাড়ায় কাঁচা চামড়ার দাম বাড়ানো সম্ভব নয় বলে দাবি ট্যানারি মালিকদের।

বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেন, হেমায়েতপুরের চামড়াশিল্প নগরের দূষণ বন্ধ না হওয়ায় ইউরোপ-আমেরিকার বিশ্বখ্যাত ব্র্যান্ড ও ক্রেতাপ্রতিষ্ঠানগুলো সরাসরি বাংলাদেশি চামড়া কিনছে না। ফলে বাংলাদেশি চামড়া বড় ক্রেতা বর্তমানে চীনারা। তারা কম দাম দেয়। সেটির প্রভাব কাঁচা চামড়ার দামেও পড়ছে।

লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি ইনস্টিটিউট পরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, দূষণ রোধ ও চামড়ার বাজার বৃদ্ধি নিয়ে সরকারি-বেসরকারি পরিকল্পনা থাকলেও বাস্তবায়ন নেই। এ জন্য সরকারকে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাবে পশ্চিমা দেশগুলোতে চামড়ার চাহিদা কমেছে। সেই সাথে চীনের সিনথেটিক লেদার, বিশ্ববাজারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে বলে মত পর্যবেক্ষকদের।


আরও খবর



মক্কায় ছাদ থেকে পড়ে ভাইরাল শিশু হজযাত্রীর মৃত্যু

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৩ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

সৌদি আরবের মক্কায় ছাদ থেকে পড়ে ইয়াহিয়া মোহাম্মাদ রামাদান নামে এক শিশু হজযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে বলে খবর প্রকাশ করেছে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক একাধিক সংবাদমাধ্যম। এবার বাবা-মায়ের সঙ্গে হজ পালন করার কথা ছিল ইয়াহিয়ার।

বুধবার (১২ জুন) গালফ নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, এবারের হজ মৌসুমে মারা যাওয়া সবচেয়ে কমবয়সি হজযাত্রী ইয়াহিয়া মোহাম্মদ রামাদান। তার বাড়ি মিশরের কাফর আল শেখ প্রদেশে। তবে কাজের সুবাদে তার বাবা সৌদি আরবে থাকেন।

কয়েকদিন আগে ইয়াহিয়ার মা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইয়াহিয়ার ইহরাম পরা একটি ছবিও পোস্ট করেন, যেটি মন কেড়েছিল নেটিজেনদের। পরে ছবিটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ ভাইরাল হয়।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, ছবিগুলো প্রকাশের পর মক্কার একটি ভবনের ছাদ থেকে পড়ে ইয়াহিয়ার মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। জানাজার পর তাকে মক্কাতেই দাফন করা হয়েছে।

তবে মধ্যপ্রাচ্যের বেশকিছু সংবাদমাধ্যম বলেছে, গ্র্যান্ড মসজিদের মাত্রাতিরিক্ত তাপমাত্রা সহ্য করতে না পেরে ইয়াহিয়ার মৃত্যু হয়। তবে প্রকৃতপক্ষে কী কারণে ইয়াহিয়ার মৃত্যু হয়েছে তা সংবাদমাধ্যমকে নিশ্চিত করেনি তার পরিবার বা সৌদি আরব কর্তৃপক্ষ।


আরও খবর



কারাগারের ছাদ ফুটো করে পালানোর চেষ্টা, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৪ কয়েদি গ্রেফতার

প্রকাশিত:বুধবার ২৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

বগুড়া জেলা কারাগারের ছাদ ফুটো করে ও দেয়াল টপকে পালানোর সময় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৪ কয়েদিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২৫ জুন) দিবাগত রাতে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতার কয়েদিরা হলেন: কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারীর দিয়াডাঙ্গা এলাকার মৃত আজিজুল হকের ছেলে মো. নজরুল মজনু ওরফে মঞ্জু (৬৮) (কয়েদি নং- ৯৯৮/এ), নরসিংদীর মাধবদীর ফজরকান্দি এলাকার মৃত ইসরাফিল খাঁর ছেলে মো. আমির হামজা ওরফে আমির হোসেন (কয়েদি নং- ৫১০৫/এ), বগুড়ার কাহালুর উলট্র পূর্বপাড়ার মো. মান্নানের ছেলে মো. জাকারিয়া (৩৪) (কয়েদি নং- ৩৬৮৫/এ) ও একই জেলার কুটুরবাড়ি পশ্চিমপাড়ার মৃত ইসরাইল শেখের ছেলে মো. ফরিদ শেখ (৩০) (কয়েদি নং-৪২৫২/এ)।

পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত ৪ কয়েদি জেলা কারাগারের ছাদ ফুটো করে ও দেয়াল টপকে পালানোর চেষ্টা করলে কারা পুলিশ বিষয়টি টের পায়। এরপর তাদের গ্রেফতার করে গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) হেফাজতে নেয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে পরে সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানান পুলিশ সুপার।


আরও খবর
শেরপুরে মহারশি নদী এখন জনগণের মরণ ফাঁদ

বৃহস্পতিবার ০৪ জুলাই ২০২৪




নৌকাডুবিতে ৭২ জনের প্রাণহানির পর সেই ঘাটে নির্মাণ হচ্ছে সেতু

প্রকাশিত:শনিবার ২৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

রেদওয়ানুল হক মিলন, পঞ্চগড় থেকে ফিরে:

পঞ্চগড়ে বোদা উপজেলার মাড়েয়া ইউনিয়নের করতোয়া নদীর আউলিয়া ঘাটে নৌকাডুবির ৭২ জনের প্রাণহানির পর নির্মাণ হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন নান্দনিক ডিজাইনের ওয়াই আকৃতির সেতু। এ সেতু নির্মাণের মধ্য দিয়ে বোদা উপজেলার মানুষের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে। সেতু নির্মাণ কাজ শুরু হওয়ায় স্থানীয়দের মধ্যে বিরাজ করছে আনন্দের আমেজ। নির্মাণ কাজ শেষ হলেই এ সেতুর উপর দিয়ে চলাচল করতে পারবে দুই ইউনিয়নের মানুষ।

জানা গেছে, বোদা উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের মধ্যে দুইটি ইউনিয়ন করতোয়ার অপরপ্রান্তে। একটি বড়শশী, অপরটি কালিয়াগঞ্জ। এ দুটি ইউনিয়নের বিপুল সংখ্যক মানুষের উপজেলা শহরে যেতে নদী পারাপার হতে নৌকাই ভরসা। যাতায়াত নির্বিঘ্নে করতে দীর্ঘদিন ধরেই এ উপজেলার মানুষরা দাবি করে আসছেন করতোয়া নদীর এই ঘাটে সেতু নির্মাণের।

গত ২০২২ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের উৎসব দূর্গাপূজার আগে মহালয়ায় অংশ নিতে বড়শশী ইউনিয়নের বোদেশ্বরী শক্তিপীঠ মন্দিরে যেতে মাড়েয়া ঘাটে একটি সেলো ইঞ্জিন চালিত নৌকায় উঠেছিলেন ধারণক্ষমতার অধিক যাত্রী। এতে করে নৌকাটি মাঝপথে গিয়ে ডুবে গেলে প্রাণহানি ঘটে নারী-শিশুসহ ৭২ জনের। নৌকাডুবির এ ঘটনার পর মাড়েয়া ঘাটে পঞ্চগড় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক রেলপথমন্ত্রী এডভোকেট মো.নুরুল ইসলাম সুজন (এমপি) সেতু নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেন।

সেই প্রতিশ্রুতির দুই বছরের মাথায় মাড়েয়া বামনহাট ইউনিয়নের আউলিয়াঘাটে ১১০ কোটি টাকা ব্যয়ে গত বছর ১৮ অক্টোবর ৮৯১ মিটার পিসি গার্ডার ওয়াই আকৃতির সেতুর ভিত্তিপ্রস্তুর স্থাপন করেন সাবেক রেলপথ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন। এর মধ্য দিয়ে ৩১ ডিসেম্বর থেকে নদীর ওপর দৃশ্যমান হয় সেতু নির্মাণ। সেতু নির্মাণে ব্যস্ত সময় পার করছে শ্রমিকসহ সংশ্লিষ্টরা।

বর্তমানে সেতুর ২৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন পঞ্চগড় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি)। সেতুটির শুরুর অংশ মাড়েয়ার দিকে থাকবে এবং অপর দুই অংশের একটি বড়শশী ও অপরটি কালিয়াগঞ্জের দিকে থাকবে।

স্থানীয়রা বলছেন, সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হলে ভাগ্য খুলে যাবে। দুটি ইউনিয়নের মানুষদের শহরে যেতে নদী পার হতে ভরসা করতে হয় নৌকার। এতে করে ঘাটে নৌকা পার হতে যেমন বিরম্বনায় পড়তে হয় তেমনি দীর্ঘকাল ধরে ভোগান্তি নিয়ে বসবাস করতে হচ্ছে তাদের। বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া দুটি ইউনিয়নের মানুষ নদীর তিনপারের মানুষ সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হলে একই সঙ্গে চলাচল করতে পারবেন। এর আগে তারা যাতায়াত ব্যবস্থা ঠিক না থাকায় কৃষি ও চিকিৎসাসেবা থেকে শুরু করে শিক্ষাসহ সব সেবা থেকে পিছিয়ে রয়েছেন। এ সেতু নির্মাণের ফলে তারা কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবাসহ যোগাযোগ ব্যবস্থায় সহজীকরণে তারা অনেক সুফল ভোগ করবেন। এ সেতু বাস্তবায়ন হচ্ছে আউলিয়াঘাটে নৌকা ডুবিতে প্রায় শতাধিক মানুষের মৃত্যু দিয়ে।

এই আউলিয়া ঘাটেই নৌকা ডুবিতে দুই স্বজন হারানো চন্দ্র্রমোহন বর্মন বলেন, সেদিন মহালয়ায় যাওয়ার সময় নৌকা ডুবিতে ৭২ জনের মৃত্যু হয়েছিল। আমার ভাতিজা ও তার স্ত্রী তিন সন্তান রেখে নৌকা ডুবিতে মারা গেছে। তা ভুলতে পারছি না। আমরা দীর্ঘদিন ধরেই এই মাড়েয়া ঘাটে করতোয়া নদীতে ব্রীজ নির্মাণের জন্য দাবি জানিয়ে আসছিলাম। অবশেষে নৌকা ডুবির ঘটনার পর সেতুটি নির্মান হচ্ছে।

সেতু নির্মাণ প্রতিষ্ঠান এনডিই লিমিটেডের প্রজেক্ট ম্যানেজার মো.ওয়াসিম জানান, সেতু নির্মাণের কাজ হাই লেভেলে চলছে। ইতিমধ্যে আমাদের ৩০ শতাংশের বেশি কাজ এগিয়েছে।

পঞ্চগড় এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মাহমুদ জামান সাংবাদিকদের বলেন, সেতুটি দ্রুত নির্মাণে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ১১০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৮৯০ মিটার দৈর্ঘ্যের ওয়াই আকৃতির সেতু নির্মাণের কাজ দৃশ্যমান হয়েছে। সেতুর মাঝ পথ থেকে দুই অংশে বিভক্ত হয়েছে। এক অংশ ৫৪৫ মিটার, আরেক অংশ হবে ৩৪৫ মিটার দৈর্ঘ্য। আশা করছি আগামী দুবছরের মধ্যেই কাজ সমাপ্ত হবে।

এদিকে আউলিয়ার ঘাটে নৌকাডুবির ঘটনায় নৌ অধিদপ্তরের দায়ের করা মামলায় ঘাট ইজারাদার আবদুল জব্বার (৫৮) ও নৌকার মাঝি বাচ্চু মিয়াকে (৫২) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বর্তমানে তাঁরা কারাগারে আছেন। এর আগে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি নৌ অধিদপ্তরের মুখ্য পরিদর্শক শফিকুর রহমান বাদী হয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের স্পেশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ) আদালত-২ও ভারপ্রাপ্ত নৌ আদালতে আউলিয়ার ঘাটে নৌকাডুবির ঘটনায় তিনজনকে আসামি করে একটি মামলা করেন।


আরও খবর
শেরপুরে মহারশি নদী এখন জনগণের মরণ ফাঁদ

বৃহস্পতিবার ০৪ জুলাই ২০২৪




তিল ধারণের ঠাঁই নেই ট্রেনে, দরজায় ঝুলে বাড়ি ফিরছে মানুষ

প্রকাশিত:শনিবার ১৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

কোরবানি ঈদের বাকি আর মাত্র দুইদিন। স্বজনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে এরই মধ্যে রাজধানী ছাড়তে শুরু করেছেন নগরবাসী। ঘরমুখো মানুষের উপচেপড়া ভিড় দেখা যাচ্ছে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে। ট্রেনে জায়গা সংকুলান না হলেও যে কোনো মূল্যে বাড়ি ফিরতে চান সবাই। উপায় না পেয়ে দরজায় ঝুলেও ট্রেনের সঙ্গে স্টেশন ছাড়ছেন অনেকে।

শনিবার (১৫ জুন) সকাল ১০টার দিকে রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে দেখা যায়, স্টেশনের ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মে অপেক্ষা করছে পঞ্চগড়গামী একতা এক্সপ্রেস। ট্রেন থামার পর যাত্রীরা একে একে আসতে থাকেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই যাত্রীতে পরিপূর্ণ হয়ে যায় বগি। এরপরও আসতে থাকেন যাত্রীরা। বগিতে জায়গা না পেয়ে ট্রেনের টয়লেটের সামনে, দুই বগির মাঝখানে ও দরজায় অবস্থান নেন অনেকেই।

ট্রেন ছাড়ার কিছুক্ষণ আগে দরজায় ঝুলতে থাকেন অনেকেই। সকাল ১০টা ১৮ মিনিটে স্টেশন ছেড়ে যায় একতা এক্সপ্রেস। এসময় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রেনের দরজায় ঝুলে থাকতে দেখা যায় অনেক যাত্রীকে। কেউ কেউ দরজায় ঝুলে থাকার জায়গাও না পেয়ে নিরাশ হয়ে স্টেশনে অপেক্ষা করতে থাকেন পরের ট্রেনের জন্য।

এমনই একজন মিনহাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, যদি ঝুলে যাওয়ার একটু জায়গা পেতাম তাও ট্রেনে উঠে পড়তাম। এখন কী করবো ভাবছি, বাড়ি তো যেতেই হবে। আগে তো মানুষ ট্রেনের ছাদে উঠেও বাড়ি যেত। কিন্তু এবার নিরাপত্তাকর্মীরা ট্রেনের ছাদে অবস্থান নেওয়ায় কোনো যাত্রী ছাদে উঠতে পারেননি।


আরও খবর