আজঃ শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

স্বাধীনতা বিরোধীদের রুখতে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে: রাষ্ট্রপতি

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ সেপ্টেম্বর 20২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৩ সেপ্টেম্বর 20২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

স্বাধীনতা বিরোধীরা যাতে কোন মতেই ক্ষমতা আসতে না পারে সেজন্য সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন।

তিনি আজ রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে "সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম - মুক্তিযুদ্ধে ৭১" এর "ষষ্ঠ জাতীয় সম্মেলনের" উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে সেক্টরস কমান্ডার্স ফোরামের কার্যনির্বাহী সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ নুরুল আলম, সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাক্তার সারওয়ার আলী, সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ম, হামিদ এবং মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুন হাবিব বক্তব্য রাখেন।

রাষ্ট্রপতি ও মুক্তিযোদ্ধা সাহাবুদ্দিন বলেন, "আমি বিশ্বাস করি আমরা সকলে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যাবো, যারা চক্রান্ত করবে তাদের বিরোধিতা করবো।  সম্মিলিত কাজ করে যেতে হবে।"

জাতীয় সম্মেলনে যোগদানকারী বীর মুক্তিযোদ্ধা ও নতুন প্রজন্মের প্রতিনিধি উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রপতি বলেন, যারা স্বাধীনতা বিরোধীতা করেছে তারা যাতে কোনোভাবেই ক্ষমতায় আসতে না পারে সেই দিকে  খেয়াল রাখতে হবে।

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।

দেশের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করতে রাষ্ট্রপতি বলেন, ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, রাজনৈতিক ও রাষ্ট্রীয় প্রতিটি কাজে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়ে, বলিষ্ঠ নেতৃত্বের মাধ্যমে এগিয়ে যেতে হবে।

দেশের কষ্টার্জিত স্বাধীনতাকে অর্থবহ করতে হলে এবং স্বাধীনতার সুফল জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছাতে মুক্তিযোদ্ধাদের উত্তরসূরী সহ সবাইকে  ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করারও  অনুরোধ করেন রাষ্ট্রপতি।

বীর মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশ্য রাষ্ট্রপতি বলেন, "দীর্ঘ সংগ্রামের ফলশ্রুতিতে আপনারা মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন এই আন্দোলনের মধ্যমণি এবং নেতা।"

রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন তাঁর ভাষণে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও উন্নয়নে মুক্তিযুদ্ধের মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, এটা অনস্বীকার্য যে, বাংলাদেশের রাজনীতিতে অনেক খেলা হয়েছে, অনেক নেতৃত্ব এসেছে কিন্তু এই খেলায় বিজয়ী হচ্ছেন জাতির সর্বকালের শ্রেষ্ঠ সন্তান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

মুক্তিযোদ্ধা সাহাবুদ্দিন বলেন, বঙ্গবন্ধু জাতীয়তাবাদী চেতনায় বিশ্বাসী ছিলেন। তিনি জানতেন কিভাবে ধারাবাহিকভাবে রাজনীতি করতে হয় ।

বঙ্গবন্ধুর রাজনীতিতে কোন রসায়ন কাজ করেনি। বঙ্গবন্ধু ছিলেন জাতির পিতা তিনি মানুষের অন্তরের কথা তিনি বুঝতেন এবং জানতেন, তিনি উল্লেখ করেন।

বাংলাদেশের রাজনীতি ইতিহাসের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ১৯৪৮ সালে মাতৃভাষা বাংলা অধিকার আদায়ের আন্দোলনের মাধ্যমে যে দুর্গম পথের যাত্রা শুরু হয়েছিল বা ৫২-এর ভাষা আন্দোলন ৫৪-এর যুক্ত ফ্রন্ট নির্বাচন, ৫৮-এর সামরিক শাসন বিরোধী আন্দোলন, ৬২ এর শিক্ষা কমিশন বিরোধী আন্দোলন, ৬৬এর ছয় দফা, ৬৯এরনির্বাচন ও ৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে তার পরিসমাপ্তি ঘটে।

তিনি বলেন, "আপনারা জানেন, বঙ্গবন্ধু ছোটবেলা অনেক মানবিক ছিলেন। যারা ক্ষুধার্ত তাদের অন্ন দিতেন। তিনি প্রতিটি ধাপে ধাপে  বাঙালি চেতনাকে লালন করেছেন। তাঁর অসাম্প্রদায়িক চেতনা তার এই জাতীয়তাবাদী মনোভাব,  সামাজিক ন্যায়বিচার ও মানবিক মূল্যবোধ সবকিছুতেই ছিলেন অন্যান্য  সাধারণ ।"

রাষ্ট্রপতি বলেন, "একটি অঙ্গুলির হেলানে সমস্ত জাতীয় ঐক্যবদ্ধ হয় এরকম উদাহরণ পৃথিবীতে আমরা খুঁজে পাই নাই।"

তিনি বলেন দীর্ঘ লড়াই সংগ্রামের মাধ্যমে বাংলাদেশ কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা লাভ করলেও স্বাধীনতা বিরোধীদের চক্রান্ত থেমে থাকেনি। তারা এখনো সক্রিয় রয়েছে।

তাঁরা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সংবিধানকে তছনছ করা হয়েছে। ১৯৭১ সালে পরাজিত  শত্রুরাই  এসব করেছে, তিনি উল্লেখ করেন।

তিনি সবাইকে সজাগ ও সতর্ক থাকারও আহ্বান জানান ।

১৯৭১ সালের গণহত্যার প্রসঙ্গ টেনে রাষ্ট্রপতি বলেন, ১৯৭১ সালের বাংলার মাটিতে সংগঠিত এই গণহত্যা বিংশ শতাব্দীর জঘন্যতম বৃহৎ গণহত্যা।

১৯৭১ সালের ১৩ জুন বিশ্ব সাংবাদিক এন্থনি মাসকারেনহাস এর লেখা যুক্তরাজ্যের "দি সানডে টাইমস" পত্রিকা "গণহত্যা" বিস্তারিত বিবরণ ছাপা হয়েছে, উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, বাঙালির গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির দাবিতে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে জোরালো করা প্রয়োজন।

এই দাবি নিয়ে সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের কার্যক্রমকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, সরকার ও এক্ষেত্রে সার্বিক সহযোগিতা করবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি তুলে ধরে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন বলেন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশে এখন মর্যাদার আসনে আসীন।

দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে বেগবান করতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে কাজ করার কথা বলেন রাষ্ট্রপতি।

তিনি বাংলাদেশের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির উপর সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম কর্তৃক প্রকাশিত "এবহড়পরফব ১৯৭১" গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন।


আরও খবর



দিল্লির ১০০ স্কুল বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভারতের রাজধানী দিল্লির ১০০ স্কুল বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে। বুধবার (০১ মে) সকালে ই-মেইলে এই হুমকি দেওয়া হয়।

এ ঘটনার পর স্কুলগুলোতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে কয়েকটি স্কুল চত্বর খালি করে দেওয়া হয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বোম্ব স্কোয়াড এবং দমকল বাহিনী। পুরো ঘটনায় তদন্ত করছে দিল্লি পুলিশ।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, সকালের দিকে দ্বারকার স্কুল, চাণক্য়পুরীর সংস্কৃতি স্কুল, নয়ডা দিল্লি পাবলিক স্কুল, ময়ূর বিহারের মাদার মেরি স্কুল, পুষ্প বিহারের অ্য়ামিটি স্কুল, ডিএভি স্কুলে মেইল আসে। এরপর থেকে প্রায় ১০০টি স্কুলেই একই উড়ো ই-মেইল আসে।

স্কুলগুলোকে তল্লাশি চালাতে পৌঁছায় বোম্ব স্কোয়াড। পরে দমকল বাহিনীকেও খবর দেওয়া হয়। তবে এখন পর্যন্ত কোনো স্কুলেই বোমা খুঁজে পাওয়া যায়নি।

দিল্লি পুলিশের মুখপাত্র সুমন নালওয়া এনডিটিভিকে বলেন, যেসব স্কুলে বোমা হামলার হুমকি দেওয়া হয়েছে, আমরা সেখানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি। অভিভাবকদের আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি, কারণ সন্দেহজনক কিছু পাওয়া যায়নি।’

পুলিশের মতে, হুমকিমূলক ই-মেলের আইপি অ্যাড্রেস খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কে এবং কোথায় থেকে ই-মেইলটি পাঠানো হয়েছে তা শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।


আরও খবর



কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী ২ দিনের রিমান্ডে

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আলী আকবর খানের স্ত্রী মোছা. সেহেলা পারভীনের (৫৪) দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। রোববার (২১ এপ্রিল) ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালত তার রিমান্ডের আদেশ দেন।

এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা লালবাগ গোয়েন্দা বিভাগের পরিদর্শক মো. আমিরুল ইসলাম তাকে আদালতে হাজির করে ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। তার পক্ষে আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গত ১ এপ্রিল একই অভিযোগে গ্রেপ্তার হন কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সিস্টেম অ্যানালিস্ট প্রকৌশলী এ কে এম শামসুজ্জামান। শামসুজ্জামানকে জিজ্ঞাসাবাদে শেহেলা পারভীনের নাম উঠে আসে। শনিবার সেহেলা পারভীনকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।


আরও খবর



জলাবদ্ধতা নিরসনে কুইক রেসপন্স টিম গঠনের প্রস্তাব চসিক মেয়রের

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

Image

চট্টগ্রাম নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে চসিক, সিডিএ, ওয়াসা, পাউবো, বন্দরসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাদের নিয়ে একটি শক্তিশালী কুইক রেসপন্স টিম গঠন করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী। 

সোমবার টাইগারপাসস্থ চসিকের সম্মেলন কক্ষে চট্টগ্রাম মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে চলমান প্রকল্প সমূহের অগ্রগতি সংক্রান্ত এক পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।

চসিক মেয়র বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে জলাবদ্ধতা এখন বিশ্বব্যাপী সাধারণ সমস্যায় পরিণত হয়েছে। এমনকি দুবাই, নিউ ইয়র্কের মতো আধুনিক শহরও ডুবে যাচ্ছে। এজন্য চট্টগ্রাম মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে চলমান প্রকল্প সমূহ দ্রুত শেষ করতে হবে এবং জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হলে তা দ্রুত নিরসণে চসিক, সিডিএ, ওয়াসা, পাউবো, বন্দরসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো নিয়ে একটি শক্তিশালী কুইক রেসপন্স টিম গঠন করতে হবে।

সভায় সিডিএ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউনুছ বলেন, চসিক-সিডিএ মধ্যে আগে যে দূরত্ব ছিল এখন তা আর নেই। সিটি মেয়র এবং আমি মিলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য জলাবদ্ধতামুক্ত, বসবাসযোগ্য চট্টগ্রাম গড়তে একসাথে কাজ করব। আমি ইতোমধ্যে চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসণে নালাগুলোতে থাকা ওয়াসার পাইপসহ বিভিন্ন সমস্যা চিহ্নিত করতে সিডিএর প্রকৌশলীদের নির্দেশ দিয়েছি। আশা করি সবাই একসাথে কাজ করে চট্টগ্রামকে জলাবদ্ধতামুক্ত করতে পারব।   

চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী একেএম ফজলুল্লাহ বলেন, সিডিএ খাল খননের প্রকল্প শেষ হওয়ার পর তা চসিককে বুঝিয়ে দিবে শুনছি। কিন্তু এ প্রকল্প পরবর্তীতে ব্যবস্থাপনার জন্য চসিককে আলাদাভাবে ফাণ্ড দিতে হবে এবং কর্মীদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে। অন্যথায় এ প্রকল্পের সুফল পাওয়া যাবেনা।

সভায় চসিকের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোবারক আলী বলেন, প্লাস্টিক, পলিথিন, বোতলসহ বিভিন্ন অপচনশীল দ্রব্য খাল-নালায় গিয়ে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করছে। এজন্য বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান সমূহ যাতে প্লাস্টিক-পলিথিন ইত্যাদি রিসাইক্লিংএ যাতে এগিয়ে আসে সে ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে হবে।

কাউন্সিলর আবুল হাসনাত মো. বেলাল জলাবদ্ধতা নিরসনে সংস্থাগুলোর মধ্যে কর্মবন্টন নিশ্চিত করার পাশাপাশি পরিকল্পিত নগরায়ণের উপর জোর দেন।

চসিকের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা লতিফুল হক কাজমি বলেন, প্লাস্টিক-পলিথিন এখন জলাবদ্ধতা নিরসণের ক্ষেত্রে বড় চ্যালেঞ্জ। আমরা বিভিন্ন খাল-নালা পরিস্কার করার পর দেখা যাচ্ছে ১০ দিনের মধ্যে আবারো প্লাস্টিক-পলিথিনে সে খাল ভরাট হয়ে যাচ্ছে। কর্ণফুলী নদীর নাব্যতাও এখন পলিথিনের কারণে হুমকির মুখে। এজন্য পলিথিন বন্ধে ব্যাপক অভিযান ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম প্রয়োজন।

সভায় বারইপাড়া খাল খনন প্রকল্পের পরিচালক ফরহাদুল আলম প্রকল্পের অগ্রগতি এবং জলাবদ্ধতা নিরসণে চসিকের কার্যক্রম তুলে ধরেন।

চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় সভায় প্যানেল মেয়র গিয়াস উদ্দিন, আফরোজা কালাম, কাউন্সিলরবৃন্দসহ নগরীর বিভিন্ন সেবা সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ অংশ নেন। বিভিন্ন সংস্থা জলাবদ্ধতা নিরসনে চলমান প্রকল্প সমূহের অগ্রগতি এবং করণীয় সম্পর্কে মতামত তুলে ধরে।


আরও খবর



শিল্প-সংস্কৃতির উন্নয়নে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

শিল্প ও সংস্কৃতির উন্নয়নের জন্য বিনিয়োগ বাড়াতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে মুক্তি ও মানবাধিকার বিষয়ক আন্তর্জাতিক প্রামাণ্যচিত্র উৎসব দ্বাদশ লিবারেশন ডকফেস্ট বাংলাদেশ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় চলচ্চিত্র নির্মাতা ও মেন্টর এক্সপোজিশন অব ইয়াং ফিল্ম ট্যালেন্ট নীলোৎপল মজুমদার এবং ভারতের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কার প্রাপ্ত চলচ্চিত্র নির্মাতা হাওবাম পবন কুমার। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য প্রদান করেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি আসাদুজ্জামান নূর এমপি এবং মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ও উৎসব পরিচালক মফিদুল হক। অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য প্রদান করেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ও সদস্য সচিব সারা যাকের।

তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশ যে চিন্তা-চেতনা নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ করে স্বাধীন হয়েছে সেটি হলো একটি অসাম্প্রদায়িক, আধুনিক ও শান্তিপূর্ণ সমাজ তৈরি হবে, যেখানে উগ্রবাদ-মৌলবাদের কোনো জায়গা থাকবে না। এ রকম একটি সমাজ তৈরি করতে গেলে আমাদের শিল্প ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে অনেক বেশি বিনিয়োগ দরকার।

তিনি আরও বলেন, ২০৪১ সালে উন্নত বাংলাদেশ হওয়ার জন্য কতগুলো ভিত্তি দরকার। এ ভিত্তিগুলো তৈরি করার জন্য আমাদের অনেক অর্জন ইতোমধ্যে হয়েছে। গত পনেরো বছরে আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়ন অনেক হয়েছে, আরও উন্নয়ন করতে হবে। তবে আগামী পাঁচ বছর শিল্প ও সংস্কৃতির উন্নয়নের জন্য আমাদের বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। কারণ আমরা যদি উগ্রবাদ, মৌলবাদ ও অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করতে চাই, তাহলে শিল্প ও সাংস্কৃতির চেয়ে বড় কোন অস্ত্র হতে পারে না। শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতি উন্নয়ন এখন আমাদের দরকার। একইসাথে শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতি অঙ্গণে উদ্ভাবনী মেধা খুবই দরকার।

প্রতিমন্ত্রী আরও যোগ করেন, রাষ্ট্রের কাজ অর্থনৈতিকভাবে শিল্পকে সহযোগিতা দেওয়া এবং এগিয়ে নেয়া যাতে যে মেধার জন্ম হয় সমাজে সেটা বিকশিত হতে পারে, শিল্পের মাধ্যমে আরো মানবতা ও মানবিকতা ছড়িয়ে যেতে পারে। দিন শেষে আমরা মানবিক বিশ্ব গড়তে চাই ও বিশ্ব নাগরিক হতে চাই।

তিনি আরও বলেন, আমরা সুস্থ শিল্প বিকাশের পরিবেশ দেশে নিশ্চিত করতে চাই। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আমরা এই কাজটি করার চেষ্টা করবো।


আরও খবর



ইতিহাসের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা দেখলো মিয়ানমার

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইতিহাসের সবচেয়ে উষ্ণতম এপ্রিল মাসের মুখোমুখি হয়েছে মিয়ানমার। দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে রোববার রেকর্ড ৪৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১১৮.৭৬ ফারেনহাইট) তাপমাত্রার নতুন রেকর্ড হয়েছে। সোমবার মিয়ানমারের আবহাওয়া বিভাগ দেশটিতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ডের এই তথ্য জানিয়েছে।

আবহাওয়া বিভাগের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রোববার মিয়ানমারের মধ্যাঞ্চলীয় ম্যাগওয়ে রাজ্যের চাউক শহরে তাপমাত্রা পারদ ৪৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছে। ৫৬ বছর আগে রেকর্ড সংরক্ষণ শুরু করার পর মিয়ানমারের ইতিহাসে এটাই সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

একই দিন দেশটির বাণিজ্যিক রাজধানী খ্যাত ইয়াঙ্গুনে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ছুঁয়েছে। এছাড়া দেশটির আরেক শহর মান্দালয়ে তাপমাত্রা ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।

মিয়ানমারের মধ্যাঞ্চলের শুষ্ক সমতলে অবস্থিত চাউক শহরের একজন বাসিন্দা বলেছেন, ‘‘এখানে অত্যন্ত গরম এবং আমরা সবাই বাড়িতেই ছিলাম।’’ নাম প্রকাশ না করার শর্তে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘‘এই পরিস্থিতিতে আমরা কিছুই করতে পারছি না।’’

দেশটির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, গত বৃহস্পতিবার মিয়ানমারের মধ্যাঞ্চলীয় এলাকাগুলোতে দিনের তাপমাত্রা এপ্রিলের গড়ের তুলনায় ৩ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি ছিল।

জাতিসংঘের বৈশ্বিক আবহাওয়া ও জলবায়ু নিরাপত্তা বিষয়ক সংস্থা ওয়ার্ল্ড মেটেরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউএমও) বলেছে, ২০২৩ সালে বিশ্বজুড়ে তাপমাত্রা রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে। অন্যান্য মহাদেশের চেয়ে এশিয়ায় বৈশ্বিক উষ্ণায়নের প্রভাব পড়েছে বেশি। এ কারণে এই মহাদেশের তাপমাত্রাও বাড়ছে। ১৯৯১ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে এশিয়ার গড় তাপমাত্রা বেড়েছে ১ দশমিক ৮৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এমনকি ২০২০ সালের তুলনায় গত বছর এশিয়ার গড় তাপমাত্রা ছিল দশমিক ৯১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি।

ডব্লিউএমওর তথ্য অনুয়ায়ী, তাপমাত্রা বাড়ছে সাইবেরিয়া থেকে মধ্য এশিয়া, পূর্ব চীন থেকে জাপান পর্যন্ত। জাপানের ইতিহাসে উষ্ণতম বছর ছিল ২০২৩ সাল। একই সঙ্গে এ সময় প্রশান্ত মহাসাগরের উত্তর পশ্চিমাঞ্চল অর্থাৎ এশীয় অংশের তাপমাত্রা ছিল সর্বোচ্চ।

গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধির জেরে এশিয়ার হিমালয় পবর্তমালা এবং এই পর্বতমালার হিন্দুকুশ ও তিব্বত রেঞ্জের ২২ টি হিমবাহের মধ্যে অন্তত ২০টির বরফের মজুত ২০২৩ সালে ব্যাপকভাবে হ্রাস পেয়েছে।

তাপমাত্রা বৃদ্ধির পাশাপাশি জলসৃষ্ট দুর্যোগও মোকাবিলা করতে হচ্ছে এশিয়াকে। ২০২৩ সালে এশিয়ায় বড় আকারের ঝড়, বন্যা ও তুমুল বর্ষণের ঘটনা ঘটেছে অন্তত ৭৯টি। এতে প্রাণ হারিয়েছেন ২ হাজারেরও বেশি মানুষ এবং সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন অন্তত ৯০ লাখ।


আরও খবর