আজঃ রবিবার ১২ মে ২০২৪
শিরোনাম

স্বরূপকাঠির বলদিয়া ইউনিয়নে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ

প্রকাশিত:রবিবার ২০ আগস্ট ২০23 | হালনাগাদ:রবিবার ২০ আগস্ট ২০23 | অনলাইন সংস্করণ
হযরত আলী হিরু, স্বরূপকাঠি

Image

পিরোজপুরের স্বরূপকাঠি (নেছারাবাদ) উপজেলার ১নং বলদিয়া ইউনিয়নে দিন দিন অস্বাভাবিক হারে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলছে। ওই ইউনিয়নের ৭০ শতাংশ বাড়িতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলেও ওষুধ স্প্রে করা সহ ডেঙ্গু নিধনে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছেনা।

সম্প্রতি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল ও এডিসবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির আওতায় এডিস মশার লার্ভা নিয়ে জরিপে ওই ওই ইউনিয়নের ৭০ শতাংশ বাড়িতে এডিস মশার লার্ভার উপস্থিতি পাওয়া যায়। এছাড়াও ওই ইউনিয়নের গড় ব্রুটো ইনডেক্স (বিআই) ৮০ শতাংশ। গত এক মাসে এই ওই ইউনিয়নে তিন শতাধীক ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছেন। যাদের অধিকাংশই শ্রমিক ও দিনমজুর।

হাসপাতালে গিয়ে জানা গেছে, প্রতিদিন গড়ে ২৫ থেকে ৩০ জন রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এর মধ্যে বলদিয়া ইউনিয়ন থেকে গড়ে প্রতিদিন অন্তত ১০ জন রোগী আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। সর্বশেষ গত ২৪ ঘন্টায় ওই ইউনিয়ন থেকে ১২ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হয়েছেন।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই ইউনিয়নের ডুবি গ্রামের নৌকা চালক দিনমজুর আব্দুর রব মিয়া জানান, তিনি ও তার স্ত্রী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৮ দিন ধরে এই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। দুজনের চিকিৎসা খরচ চালাতে গিয়ে তিনি এখন হিমসিম খাচ্ছেন।

একই ইউনিয়নের উড়িবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা রোগী পলাশ জানান, তিনি পেশায় একজন শ্রমিক। এলাকার আমড়ার আড়তে তিনি কাজ করেন। আড়তের পাশে ময়লা আবর্জনার ভাগাড়ে প্রচুর মশা। সেই মশার কামড়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৫ দিন ধরে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এখন পর্যন্ত তার শরীরে কোন পরিবর্তন আসছেনা।

ওই ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের রাজাবাড়ি এলাকার বাসিন্দা মুক্তা বেগম পেশায় ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকর্মী। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত এক সপ্তাহ ধরে  তিনিও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। তিনি জানান, তার ইউনিয়নের বাড়ি বাড়ি গিয়ে টিকাদান কার্যক্রম করতে গিয়ে তিনি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন।

উপজেলার বলদিয়া ইউনিয়নটি খুবই অনুন্নত এলাকা। যোগাযোগ ব্যবস্থা খারাপ হওয়ায় এলাকাটিতে সরকারি লোকজনের আসা-যাওয়া কম। ফলে নাগরিকের বহু সুবিধা থেকে তারা বঞ্চিত হচ্ছে প্রতিনিয়ত। আয়তনে উপজেলার সর্ববৃহৎ ওই এলাকার অধিকাংশ লোকই কৃষিকাজ, কাঠের মিস্ত্রী ও নানা ধরনের কাজে শ্রমিকের কাজ করে থাকেন। ওই এলাকায় কচুরিপানা পচিয়ে সেটা দিয়ে ভাসমান সবজি চাষ করা হয়। এছাড়াও নানা ধরনের কাঠ পুকুর বা ডোবায় ভিজিয়ে রেখে সেটা দিয়ে নৌকা সহ নানা ধরনের ফার্নিচার তৈরি করা হয় ওই এলাকায়। ধারনা করা হচ্ছে পচা কচুরীপানা ও কাঠ ভিজানো পুকুর বা ডোবার পানিতে এমনকি ভিজা কাঠের গুড়িতই এডিস মশার জন্ম হচ্ছে।

বলদিয়া ইউনিয়নের জিরবাড়ী প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ওই ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. আমির হোসেন জানান, আমাদের ইউনিয়নে দিনদিন ডেঙ্গু মারাত্মক আকার ধারণ করছে। প্রতিদিনই বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা। এভাবে চলতে থাকলে খুব দ্রুতই প্রতিটি ঘরে রোগীতে সয়লাব হয়ে যাবে। এখন পর্যন্ত এই এলাকায় ডেঙ্গু প্রতিরোধে কোন কার্যক্রম নেয়া হয়নি।

এ ব্যাপারে বলদিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. সাইদুর রহমান জানান, আমাদের এই এলাকাটি ডোবা নালায় ভর্তি এখানকার লোকজনের মধ্যে সচেতনতার চরম অভাব রয়েছে। এলাকার ডোবা নালা ও বিভিন্ন পচনশীল দ্রব্যের মাধ্যেমে এলাকায় মশা সহ নানা ধরনের রোগের জীবানু তৈরি হয় বলে এই ইউনিয়নে নানা রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেশি। বর্তমানে এই ইউনিয়নে ডেঙ্গু একটি মহামারির রূপ নিচ্ছে। এখন পর্যন্ত আমার এলাকায় ডেঙ্গু প্রতিরোধে সরকারের পক্ষ থেকে কোন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। সরকারের পক্ষ থেকে অতিদ্রুত এই এলাকার মানুষদের মধ্যে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতা তৈরিসহ মশা নিধক ওষুধ স্প্রে করার দাবী জানান তিনি।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফিরোজ কিবরিয়া জানান, আমাদের এই হাসপাতালের ভবনটি মাত্র ১৯ বেডের হলেও এখানে প্রতিদিন গড়ে ২৫ থেকে ৩০ জন রোগী চিকিৎসার জন্য ভর্তি হচ্ছেন। বর্তমানে ডেঙ্গু রোগী বেড়ে যাওয়ায় হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের চাপ বহুগুনে বেড়ে গেছে। তাই রোগীদের চিকিৎসা দিতে ডাক্তার ও নার্সদের চরম বেগ পোহাতে হচ্ছে।

নিউজ ট্যাগ: স্বরূপকাঠি

আরও খবর



এফডিসিতে সাংবাদিকের ওপর হামলা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন বা এফডিসিতে সাংবাদিকের ওপর হামলা চালিয়েছেন শিল্পীরা। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। হামলায় ২৭ এর বেশি সাংবাদিক আহত হয়েছেন। এর মধ্যে সাতজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

জানা গেছে, এ হামলার মূল হোতা খল অভিনেতা শিবা শানু। এর পর জয় চৌধুরী ও আলেকজান্ডার বো হামলা চালান। হামলার একপর্যায়ে পুরো এফডিসির ফাইট ডিরেক্টরাও হামলায় অংশ নেন।

তবে ঠিক কী কারণে সাংবাদিকদের ওপর শিল্পীরা হামলা চালান, সে বিষয়ে স্পষ্ট কিছু জানা যায়নি।

এদিন বিকেলে ২০২৪-২৬ এর শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত কমিটি শপথ গ্রহণ করে। সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগরকে শপথ বাক্য পাঠ করান প্রধান নির্বাচন কমিশনার খোরশেদ আলম খসরু। এরপর বাকি সদস্যরা মিশা সওদাগরের নেতৃত্বে শপথ গ্রহণ করেন।

শিল্পী সমিতির ২০২৪-২০২৬ মেয়াদের নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে মিশা-ডিপজল পরিষদ। সভাপতি পদে মিশা সওদাগর পেয়েছেন ২৬৫ ভোট। নিকটতম প্রার্থী মাহমুদ কলি পেয়েছেন ১৭০ ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে মনোয়ার হোসেন ডিপজল পেয়েছেন ২২৫ ভোট। একই পদে ২০৯ ভোট পেয়েছেন নিপুণ আক্তার। মাত্র ১৭ ভোটে পরাজিত হয়েছেন গতবারের এই সাধারণ সম্পাদক।


আরও খবর



রোহিঙ্গাদের ফেরাতে আইওএমকে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রোহিঙ্গাদের নিজ মাতৃভূমি মিয়ানমারে ফেরাতে আন্তর্জাতিক অভিভাসন সংস্থাকে (আইওএম) উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পাশাপাশি নতুন অংশীজন খোঁজার মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের জন্য আরও তহবিল সংগ্রহেরও আহ্বান জানান তিনি।

আজ মঙ্গলবার সকালে প্রধানমন্ত্রী তার বাসভবন গণভবনে আইওএমের মহাপরিচালক অ্যামি পোপের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ আহ্বান জানান।

এ সময় আইওএমর মহাপরিচালক অ্যামি পোপ রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনের কথা উল্লেখ করে ক্যাম্পের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কথা প্রধানমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরেন।

এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেখানে ক্যাম্পগুলো অত্যধিক ঘনবসতিপূর্ণ। মিয়ানমারে সংঘাত চলছে, ক্যাম্পগুলোর ভেতরে নানান দল-উপদল আছে, গ্রুপিং আছে, তাদের মধ্যে অভ্যন্তরীণ দ্বন্ধ-সংঘাত আছে। সেগুলোর কারণে তাদের মধ্যে অনেক সংর্ঘষ হয়।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকারের নেওয়া পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য সেখানে পর্যাপ্ত সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

ভাষাণচরে অধিকতর ভালো আবাসন ব্যবস্থা করার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ভাসানচরে সব ধরনের সুবিধা সম্বলিত অবকাঠামো তৈরি করেছি। সেখানে রোহিঙ্গাদের চিকিৎসা, বাচ্চাদের শিক্ষা এবং কর্মসংস্থানেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। ওখানে আরও মানুষের আবাসনের সুযোগ আছে। সেখানে এক লাখ মানুষের আবাসনের ব্যবস্থা আছে।

প্রবাসী শ্রমিকরা দুই দেশের অর্থনীতি এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, তারা যেহেতু দুই দেশেরই অর্থনীতি ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখছে, উভয়েরই দায়িত্ব তাদের স্বার্থ সংরক্ষণ করা। প্রবাসী শ্রমিকদের কল্যাণে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের মাধ্যমে ঋণের ব্যবস্থাসহ বাংলাদেশ সরকারের অনেকগুলো কর্মসূচি হাতে নেওয়ার কথা উল্লেখ করেন তিনি।

আইওএম মহাপরিচালক অ্যামি পোপ অভিভাসী শ্রমিকদের দক্ষতা উন্নয়ন, ভাষা-সংস্কৃতি শিক্ষা এবং যে দেশে যাবে সেই দেশের চাহিদা অনুযায়ী প্রশিক্ষিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

সাক্ষাৎকালে অন্যান্যের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. রুহুল আমিন উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



আলুর দাম বাড়ার কারণ জানা গেল

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঈদের পর থেকে হিলি স্থলবন্দর এলাকায় বৃদ্ধি পেয়েছে আলুর দাম। প্রতিকেজি আলুর দাম বেড়েছে ১০-১২ টাকা। চাহিদার তুলনায় দেশীয় আলুর সরবরাহ কম এবং ভারত অভ্যন্তরে বৈরী আবহাওয়ার কারণে আলু ক্ষেত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে দেশটির অভ্যন্তরে দেখা দিয়েছে সংকট। দামও বেড়েছে। এতে কেজিতে ৬-৭ টাকা বেশি দামে আমদানি করতে হচ্ছে।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) হিলি স্থলবন্দরে গিয়ে দেখা যায়, ভারত থেকে আলু আমদানি পূর্বের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে। ঈদের আগে যে ভারতীয় আলু বন্দর অভ্যন্তরে পাইকাররা কেজিতে ২৮-৩০ টাকা কেজিতে কিনেছে। সেই আলুর দাম হাঁকা হচ্ছে ৩৮-৪০ টাকা। আমদানিকৃত এসব আলুর মান অনেকটাই খারাপ।

কারণ হিসেবে আমদানিকারকরা জানান, ভারত অভ্যন্তরে বৃষ্টি হওয়ার কারণে কিছুটা পচন ধরেছে। আলু আমদানিকারক মেসার্স সততা বাণিজ্যালয়ের স্বত্বাধিকারী সেলিম হোসেন বলেন, ঈদের আগে ভারতে আলুর দাম ছিল ২৮-২৯ টাকা। ভারতে কৃষকরা আলু কোল্ড স্টোরে সংরক্ষণ করার কারণে সেখানে আলুর সংকট। তাই পূর্বের তুলনায় কেজিতে ৭-৮ টাকা বেশি দরে কিনতে হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, ভারত থেকে আলু আমদানি না হলে দেশে আলুর দাম ৭০/৮০ টাকা হবে।

হিলি স্থলবন্দরে আলু কিনতে আসা পাইকার আইয়ুব আলী জানান, ঈদের ছুটি শেষে সোমবার প্রথম আলু আমদানি হয়। ওই দিন ৩৬-৩৮ টাকা দরে আলু কিনে বিভিন্ন মোকামে পাঠানো হয়েছে। আজ আলুর দাম হাঁকা হচ্ছে ৩৮-৩৯ টাকা। তাছাড়া আলুর মানও খারাপ।

হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ হারুন জানান, হিলি স্থলবন্দরে আলু আমদানি স্বাভাবিক রয়েছে। রমজানে আলু আমদানিতে খরচ পড়তো ২৮-২৯ টাকা। সম্প্রতি ভারত অভ্যন্তরে বৈরী আবহাওয়ার কারণে সেখানে আলুর আবাদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে দেশটির অভ্যন্তরে আলুর সংকট দেখা দিয়েছে। এতে পূর্বের তুলনায় অন্তত ৫-৭ টাকা বেশি দরে কিনতে হচ্ছে।

এদিকে হিলি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ভারতীয় আমদানিকৃত আলু ৪২ টাকা। হল্যান্ড (দেশীয় হাইব্রিড) ৪৮ টাকা, এবং দেশীয় আলু ৫২ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

হিলি স্থলবন্দরের তথ্য মতে, গত ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ৪ হাজার ৭১৭ মেট্রিকটন আলু আমদানি হয়েছে এ বন্দর দিয়ে।

নিউজ ট্যাগ: আলু আগাম আলু

আরও খবর



কক্সবাজারে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কক্সবাজার প্রতিনিধি

Image

কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলায় যাত্রীবাহী বাস ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন। এ দুর্ঘটনায় অন্ততপক্ষে ৮ জন আহত হয়েছেন।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে উপজেলা খোদাইবাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

ঈদগাঁও থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শুভ রঞ্জন চাকমা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বিস্তারিত আসছে...


আরও খবর



তরমুজের বীজ খেয়ে নিজের ক্ষতি করছেন না তো?

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

গরমে জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে পরলেও এই মৌসুমেই কিন্তু বিভিন্ন রসালো স্বাদের ফল পাওয়া যায়। এগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি ফল তরমুজ। গোটা কিংবা জুস যেভাবেই হোক তরমুজ পছন্দ করেন না এমন মানুষ পাওয়া দায়। তবে তরমুজ খাওয়ার বাধ সাধে তরমুজের বীজ।

একদম সাবধানভাবে বীজ ছাড়া তরমুজ খাওয়া বেশিরভাগ সময় সম্ভব হয় না। তাই দেখা যায় অনেকেই তরমুজের বীজ খেয়ে ফেলেন। বিশেষ করে শিশুরা। এখন প্রশ্ন আসে তরমুজের বীজ কী মানবশরীরের ক্ষতির কারণ হতে পারে। এর জবাব হচ্ছে একেবারেই না। 

অনেকেই ভাবেন, তরমুজের বীজ খেলে বোধ হয় পেটে সমস্যা হতে পারে। পুষ্টিবিদের মতে, তরমুজের বীজের ক্ষতিকর তো নয়ই উল্টো এটা স্বাস্থ্যকর। এই বীজে প্রোটিনের পরিমাণ অনেকটাই বেশি। সুস্থ থাকতে সারা দিনে যে পরিমাণে প্রোটিনের প্রয়োজন হয় তার ৬০ শতাংশই মিলতে পারে এক কাপ তরমুজের বীজ থেকে।

পুষ্টিবিদের থেকে জানা যায়, তরমুজের বীজে আছে আয়রন, ফোলেট, লাইকোপেন এবং নিয়াসিনের মতো উপাদান। তবে যাদের হজমের সমস্যা রয়েছে তাদের কারও কারও ক্ষেত্রে এটা সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াতেই পারে। কারও আবার কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও হয়ে থাকে।

তরমুজের বীজ খেলে শরীরে নানান উপকার হয়। ভারতীয় গণমাধ্যম এ নিয়ে এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এক নজরে দেখে নিন সেগুলো।

১. প্রোটিনের পাশাপাশি তরমুজের বীজে রয়েছে ফ্যাটি অ্যাসিড, যা ত্বক এবং চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। ত্বকে কোনও প্রদাহ হলে তা-ও কমাতে সাহায্য করে। তাই ত্বক ও চুলের যত্ন নিতে খাদ্য তালিকায় যুক্ত করতে পারেন তরমুজের বীজ।

২. রক্তে থাকা এলডিএল কোলেস্টেরল হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ার কারণ। অন্যদিকে তরমুজের বীজে রয়েছে মনোস্যাচুরেটেড এবং পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড, যা রক্তে এই খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। যাদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে, তাদের জন্য কিন্তু বেশ উপকারী ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ তরমুজের বীজ।

৩. হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে গেলে ক্যালসিয়াম ছাড়াও বেশ কিছু খনিজের প্রয়োজন হয়, এই খনিজগুলি যথেষ্ট পরিমাণে রয়েছে তরমুজের বীজে। এ ছাড়াও তরমুজের বীজ পেশির গঠনের প্রয়োজনীয় এই খনিজগুলোর অন্যতম উৎসব ।


আরও খবর