আজঃ বৃহস্পতিবার ০৪ জুলাই ২০২৪
শিরোনাম

টালমাটাল এনবিআর: মতিউর-ফয়সালের পর ফাঁসছেন আরেক কর্মকর্তা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ জুলাই 2০২4 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০২ জুলাই 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ছাগলকাণ্ডে টালমাটাল অবস্থা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর)। সাদিক এগ্রোর ১৫ লাখ টাকার ওই ছাগল কিনে নেট দুনিয়ায় ঝড় তুলে দেন মুশফিকুর রহমান ইফাত নামে এক তরুণ। এ নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই সামনে চলে আসে তারা বাবা মতিউর রহমানের নাম। এনবিআরের উচ্চপদস্ত একজন কর্মকর্তা তিনি। এরপরই বের হতে থাকে তার একের পর এক অবৈধ আয়ের খবর। একদিকে হারান স্বীয় পদ, অন্যদিকে জোর তদন্তে নামে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

অনুসন্ধানে খোঁজ মেলে মতিউর আর তার পরিবারের অবৈধ সম্পদের পাহাড়ের। এই অনুসন্ধান চলাকালেই দুদকের নজরে পড়ে এনবিআরের প্রথম সচিব ও অতিরিক্ত কর কমিশনার কাজী আবু মাহমুদ ফয়সালের ওপর। নিজের এবং স্বজনদের নামে কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ গড়েছেন তিনিও। মতিউর ও ফয়সালের বিশাল অবৈধ সম্পদ অর্জনের খবর যখন মানুষের মুখে মুখে, ঠিক তখনই অবৈধভাবে কোটি টাকা অর্জনকারী আরেক এনবিআর কর্মকর্তার খোঁজ পেল দুদক।

প্রাথমিক অবস্থায় প্রায় ৪ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাস্টমস বিভাগের সাবেক সহকারী কমিশনার মোখলেছুর রহমান, তার স্ত্রী কান্তি রহমান ও ছেলে ফাইজুর রহমানের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে অভিযোগপত্র দেওয়ার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। কমিশনের পক্ষ থেকে অভিযোগপত্র অনুমোদন পাওয়ার পর এখন চলছে আদালতে দাখিল করার প্রক্রিয়া।

দুদক সূত্রে জানা গেছে, শিগগির এনবিআরের এ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত কর্মকর্তা ও দুদকের সহকারী পরিচালক আলমগীর হোসেন আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করবেন। এনবিআরের কাস্টমস বিভাগের সদস্য আলোচিত মতিউর রহমান ও কর বিভাগের প্রথম সচিব কাজী আবু মাহমুদ ফয়সালের বিরুদ্ধেও অনুসন্ধান চলছে।

এদিকে সোমবার (১ জুলাই) রাজস্ব বোর্ডের সাবেক আরেক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে মামলা হয়েছে। ৭ কোটি ৭৫ লাখ ৭ হাজার ৪৯৯ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক সহকারী পরিচালক বদরুন নাহারের নামে মামলা করেছে দুদক।

দুদক সূত্রে জানা গেছে, সাবেক এনবিআর কর্মকর্তা মোখলেছুর ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে চার কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের খোঁজ পাওয়া গেছে। মোখলেছুর রহমান ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত অর্থ দিয়ে স্ত্রী ও ছেলের নামে সম্পদ গড়ে নিজেকে রক্ষার চেষ্টা করেছেন। এমনকি দুদকের কাজে বাধা তৈরি করতে বিভিন্ন সময়ে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। অবশ্য আইনগত সব জটিলতা কাটিয়ে শেষ পর্যন্ত মোখলেছুর রহমানের পরিবারের তিন সদস্যকে এখন চার্জশিটভুক্ত করতে সক্ষম হয়েছে কমিশন।

জানা গেছে, গত ২৫ জুন কমিশনের পক্ষ থেকে কাস্টমস কর্মকর্তা মোখলেছুর রহমানসহ তিন জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিলের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ২০২১ সালের ২ নভেম্বর দুদকের ময়মনসিংহ জেলা কার্যালয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছিল।

তদন্ত প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, মো. মোখলেছুর রহমান খান ১৯৮০ সালের কাস্টমস ও এক্সসাইজ অফিস বিভাগে পরিদর্শক পদে যোগদান করেন। ২০১২ সালে সহকারী কমিশনার পদে পদোন্নতি পান তিনি। ২০১৬ সালের ৫ আগস্ট সহকারী কমিশনার হিসেবে ঢাকা দক্ষিণ কাস্টমস এক্সসাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট থেকে অবসর গ্রহণ করেন। চার্জশিটে দ্বিতীয় আসামি মোখলেছুরের স্ত্রী কান্তি রহমান। তাদের দুই ছেলের মধ্যে একজন ব্রিটিশ পাসপোর্টধারী এবং অন্যজন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন।

মোখলেছুর রহমান চাকরিকালে নিজ নামে ৫৪ লাখ ৯৮ হাজার ৪০৬ টাকার স্থাবর এবং দুই কোটি ৭৭ লাখ ৮৮ হাজার ৬৭৫ টাকার অস্থাবর সম্পদের মালিকানা অর্জন করেছেন। তার মোট স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ তিন কোটি ৩২ লাখ ৮৭ হাজার ৮১ টাকা। তার পারিবারিক ব্যয় এক কোটি ৬৩ লাখ ৪২ হাজার ২৪৬ টাকাসহ মোট অর্জিত সম্পদের পরিমাণ ৪ কোটি ৯৬ লাখ ২৯ হাজার ৩৩৩ টাকা। এর বিপরীতে তার মোট আয় পাওয়া যায় ৪ কোটি ৩০ লাখ ৮২ হাজার ২২০ টাকা। অর্থাৎ ৬৫ লাখ ৪৭ হাজার ১১৩ টাকা অবৈধ হিসাব হিসেবে প্রমাণ পাওয়া গেছে। যা দুদক আইন ২০০৪ এর ২৭(১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

মোখলেছুরের স্ত্রী কান্তি রহমানের নামে তিন কোটি ৪১ লাখ ৭০ হাজার ২০৫ টাকার স্থাবর এবং ৬ লাখ ৭৯ হাজার টাকার অস্থাবর সম্পদসহ মোট তিন কোটি ৪৮ লাখ ৪৯ হাজার ২০৫ টাকার সম্পদের বিবরণ পেয়েছে দুদক। যা পারিবারিক ব্যয়সহ মোট চার কোটি ২৯ লাখ ৩৬ হাজার ৩৭১ টাকা হয়। আর ওই সম্পদের বিপরীতে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ অর্থাৎ গ্রহণযোগ্য আয় পাওয়া যায় মাত্র এক কোটি ১৮ লাখ ৯ হাজার ৭১৮ টাকা। অর্থাৎ ৩ কোটি ১১ লাখ ২৬ হাজার ৬৫৩ টাকা অবৈধ হিসাবে প্রমাণিত হয়েছে দুদকের তদন্তে।

এদিকে, তৃতীয় আসামি ও মো. মোখলেছুর রহমান খানের বড় ছেলে মো. ফয়জুর রহমান খান বর্তমানে বিদেশে থাকলেও তার বিরুদ্ধে আইনগত অপরাধ মিলেছে দুদকের তদন্তে। একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরিরত অবস্থায় ফয়জুর রহমান ২০০৯ সালের ২৫ নভেম্বর গুলশান মডেল টাউন আবাসিক এলাকার সিডব্লিউএন (বি) ব্লকের ৩৬ নং রোডে জেনেটিক রিচমন্ড নামের একটি ভবনে কার পার্কিং স্পেসসহ ২১ লাখ ৩৮ হাজার ৮১৯ টাকায় ১৯৫০ বর্গফুটের ফ্ল্যাট ক্রয় করেন। দালিলিক মূল্য ওই টাকা হলেও বাস্তবে ফ্ল্যাটের মূল্য ছিল দুই থেকে তিন কোটি টাকা। এছাড়া, তার নামে কিশোরগঞ্জে ৫০ শতক জমি ও ৫ লাখ ৭৯ হাজার ৮০০ টাকা ব্যাংক ব্যালেন্সসহ অস্থাবর সম্পদ মিলিয়ে মোট ২৭ লাখ ৮৩ হাজার ৬১৯ টাকার সম্পদের সন্ধান মিলেছে। যার বিপরীতে তার প্রমাণযোগ্য মোট আয় পাওয়া যায় ৪০ হাজার টাকা। এখানে ২৭ লাখ ৪৩ হাজার ৬১৯ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনে তার বাবা মো. মোখলেছুর রহমান খান তাকে প্রত্যক্ষভাবে সহযোগিতা করেছেন এবং তিনি তার বাবার অবৈধ উপায়ে অর্জিত সম্পদকে বৈধ করার অপচেষ্টা করেছেন। কৌশল হিসেবে নিজের নামে রেখে তার বাবাকে আমমোক্তার নিয়োগ করেছেন। সে কারণে মো. ফাইজুর রহমান খানকে সহযোগী আসামি করা হয়েছে।


আরও খবর



শিশুদের মেধা বিকাশে নতুন শিক্ষা কারিকুলাম হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৭ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শিশুদের মেধা বিকাশে নতুন শিক্ষা কারিকুলাম তৈরি করা হচ্ছে। আর দারিদ্র্য মুক্তির মূল শক্তি হবে শিক্ষা।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে প্রাথমিক শিক্ষা পদক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রাথমিক পর্যায়ে প্রতিটি স্কুলে কম্পিউটার ল্যাব করা হবে। সুষম-জনকল্যাণমুখী শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে।

তিনি বলেন, শিশুদের প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা দুই বছরের করার পরিকল্পনা করছে সরকার। শুধু পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা নয়, সার্বজনীন মানসম্পন্ন শিক্ষা চায় সরকার।

গত ১৫ বছরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নারী শিক্ষকের সংখ্যা তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে উল্লেখ্য করে তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার শিক্ষাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন করেছে এবং মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলী টুসি।


আরও খবর



দেশে ফিরেছেন ৪০ হাজার ১১৫ হাজি, মৃত্যু বেড়ে ৫৭

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ জুলাই 2০২4 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০২ জুলাই 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চলতি বছর পবিত্র হজ পালন করতে গিয়ে আরও একজন বাংলাদেশি হাজির মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৭ জনে। হজ পালন শেষে এখন পর্যন্ত ৪০ হাজার ১১৫ জন হাজি দেশে ফিরেছেন।

আজ মঙ্গলবার ভোর রাতে হজ পোর্টালের সবশেষ বুলেটিনে এসব তথ্য জানানো হয়।

বুলেটিনে বলা হয়, পবিত্র হজ পালন করতে গিয়ে এখন পর্যন্ত ৫৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে পুরুষ ৪৪ এবং নারী ১৩ জন। তাদের মধ্যে মক্কায় ৪৬ জন, মদিনায় ৪ জন, মিনায় ৬ জন ও জেদ্দায় একজন মারা গেছেন। সৌদি আরবের আইন অনুযায়ী মারা যাওয়া ব্যক্তিদের সে দেশে দাফন করা হচ্ছে।

বুলেটিনে আরও বলা হয়। পবিত্র হজ পালন শেষে এখন পর্যন্ত ৪০ হাজার ১১৫ জন হাজি দেশে ফিরেছেন। সৌদি থেকে ১০২টি ফ্লাইটে এসব হাজি বাংলাদেশে এসেছেন। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ৩৬টি, সৌদি এয়ারলাইন্স ৪০টি এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্স ২৬টি ফ্লাইট পরিচালনা করে।

হজ শেষে গত ২০ জুন থেকে দেশে ফেরার ফ্লাইট শুরু হয়। ওইদিন বাংলাদেশ বিমানের প্রথম ফিরতি ফ্লাইট ৪১৭ হাজি নিয়ে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। আগামী ২২ জুলাই পর্যন্ত হাজিদের ফিরতি ফ্লাইট অব্যাহত থাকবে।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ থেকে মোট ৮৫ হাজার ২২৫ জন (ব্যবস্থাপনা সদস্যসহ) হজযাত্রী সৌদি আরবে গেছেন। আগামী বছর (২০২৫) বাংলাদেশের জন্য এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জনের কোটা দিয়েছে সৌদি আরব।

এদিকে, চলতি বছর প্রখর তাপপ্রবাহ ও অসহনীয় গরমের জেরে হজ করতে গিয়ে সৌদি আরবে রেকর্ড মৃত্যু হয়েছে। হজ পালন করতে গিয়ে এখন পর্যন্ত ৫৭ বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।‌ এর মধ্যে হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরুর আগে ১৭ জন, বাকি ৪০ জন হজের আনুষ্ঠানিকতার শুরুর পর মারা গেছেন। মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ৫৪ জনের পরিচয় প্রকাশ করেছে হজ পোর্টাল। সর্বশেষ ২৯ জুন ফরিদপুর নগরকান্দার সৈয়দ লিয়াকত আলী (৬৭) নামে একজন হাজি মারা গেছেন।

সৌদি আরবের আইন অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি হজ করতে গিয়ে যদি মারা যান, তাহলে তার মরদেহ সৌদি আরবে দাফন করা হয়। নিজ দেশে আনতে দেওয়া হয় না। এমনকি পরিবার-পরিজনের কোনো আপত্তি গ্রাহ্য করা হয় না। মক্কায় হজ যাত্রী মারা গেলে মসজিদুল হারামে নামাজে জানাজা হয়।

নিউজ ট্যাগ: পবিত্র হজ পালন

আরও খবর



ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে শেখ হাসিনাকে রাজকীয় সংবর্ধনা

প্রকাশিত:শনিবার ২২ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২২ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

Image

নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে দ্বিপক্ষীয় সফরে দিল্লিতে পৌঁছেই ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই ধারাবাহিকতায় ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে গেছেন শেখ হাসিনা। সেখানে তাকে রাজকীয় সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে।

শনিবার (২২ জুন) দিল্লির স্থানীয় সময় সকাল ৯টার দিকে রাষ্ট্রপতি ভবনে পৌঁছান শেখ হাসিনা। সেখানে আগে থেকেই উপস্থিত ছিলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি, সরকারের মন্ত্রীসহ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।

এরপর প্রধানমন্ত্রীকে দেয়া হয় রাজকীয় সংবর্ধনা ও গার্ড অব অনার। এরপর শেখ হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিসহ দেশটির মন্ত্রী ও পদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। এ সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও সেখানে উপস্থিত বাংলাদেশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।

এদিকে আর কয়েক ঘণ্টা পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকে বসবেন বাংলাদেশের সরকার প্রধান। দিল্লির হায়দরাবাদ হাউসে অনুষ্ঠিত এ দ্বিপক্ষীয় বৈঠক নিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এবারের বৈঠকে নির্ধারণ হতে পারে ২০২২ সালের চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকের বাস্তবতা এবং আগামী ৫ বছরের রূপরেখা। তবে তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি নিয়ে সফরে চুক্তি স্বাক্ষর না হলেও এ বিষয়ে নিজেদের স্পষ্ট অবস্থান জানাতে পারে ভারত। আসতে পারে বড় ধরনের বিনিয়োগের খবরও।

হাসিনা-মোদির বৈঠকে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের ভারসাম্যহীন বাণিজ্যিক সম্পর্কে কিছুটা স্থিতিশীলতার কৌশল বের হতে পারে। এ ক্ষেত্রে কমপ্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ অ্যাগ্রিমেন্ট শতভাগ কার্যকরের সিদ্ধান্তও আসতে পারে।

এর আগে শুক্রবার (২১ জুন) নয়াদিল্লির তাজ হোটেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করেছেন ভারতের শিল্পপতিদের সংগঠন কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রি (সিআইআই)। এই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়াতে ভারতের শিল্পপতিদের আহ্বান জানান।

সন্ধ্যায় একই হোটেলে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর। পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রাসহ দুদেশের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী চলে এই সৌজন্য বৈঠক। মূলত শনিবার হাসিনা-মোদি শীর্ষ বৈঠকে যেসব বিষয় উপস্থাপিত হবে, সেসব নিয়েই বিস্তৃত পরিসরে আলোচনা করেন তারা।

এই বৈঠকের পর তাজ প্যালেসেই সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া। তিনি জানান, অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই সফরের বহুমাত্রিক তাৎপর্য রয়েছে। বাংলাদেশ নিয়ে ভারতের বিশেষ আগ্রহ স্পষ্ট হচ্ছে আঞ্চলিক প্রেক্ষাপটেও।


আরও খবর



বাস-অটোরিকশার সংঘর্ষে জাবি শিক্ষার্থীসহ নিহত ৩

প্রকাশিত:শনিবার ০৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৮ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রংপুর প্রতিনিধি

Image

রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলায় বাস ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার সংঘর্ষে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন পাঁচজন।

শনিবার (৮ জুন) দুপুর ২টার দিকে উপজেলার খলেয়া গঞ্জিপুর চেয়ারম্যান মোড় এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- জাবির ভূতাত্ত্বিক বিজ্ঞানবিভাগের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষ ও বেগম রোকেয়া হলের আবাসিক শিক্ষার্থী মোছা. আজমুদা আক্তার (রুমু)। তিনি উপজেলার পুটিমারী ইউনিয়নের ভেরভেরী গ্রামের বাসিন্দা।

অন্য দুজন হলেন- কিশোরগঞ্জ উপজেলার ইউএনও কার্যালয়ের আনসার সদস্য ও তারাগঞ্জ উপজেলার বসুনিয়া হাজীপাড়া গ্রামের মেহেরুল ইসলাম, কিশোরগঞ্জ সরকারি ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক ও গাড়াগ্রাম ইউনিয়নের গণেশের বাজার এলাকার দিবা রানী সরকার। তারা সবাই অটোরিকশার যাত্রী ছিলেন।

গঙ্গাচড়া মডেল থানার ওসি মাসুমুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, নীলফামারীর জলঢাকা থেকে রংপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা একটি বাস এবং রংপুরের পাগলাপীর থেকে কিশোরগঞ্জের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা একটি অটোরিকশা খলেয়া গঞ্জিপুরের চেয়ারম্যান মোড় এলাকায় আসলে দুটির মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে অটোরিকশায় থাকা মেহেরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে নিহত হন। এ সময় বাসের হেলপারসহ কয়েকজন গুরুতর আহত হলে তাদের রংপুর মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে পাঠায় স্থানীয়রা। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই দিবা রানী সরকার ও রিমু আক্তারের মৃত্যু হয়।

ওসি মাসুমুর রহমান বলেন, বাস ও অটোরিকশার সংঘর্ষে ঘটনাস্থলে একজনের মৃত্যু হয়। আমরা খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আহতদের উদ্ধার করে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠাই। হাসপাতালে পাঠানোর পথে আরও দুজনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর



জাতিসংঘের দ্বিতীয় কমিটির সভাপতি হলেন রাষ্ট্রদূত মুহিত

প্রকাশিত:শনিবার ০৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৮ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবদুল মুহিত সর্বসম্মতিক্রমে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের আসন্ন ৭৯তম অধিবেশনের দ্বিতীয় কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার রাতে নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

রাষ্ট্রদূত মুহিত গুরুত্বপূর্ণ এ পদে তার নির্বাচিত হওয়াকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নানাবিধ উদ্ভাবনী উদ্যোগের মাধ্যমে বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়ন ও অভাবনীয় অগ্রযাত্রার স্বীকৃতি তথা বাংলাদেশের ওপর আন্তর্জাতিক সমপ্রদায়ের বিশ্বাস ও আস্থার প্রতিফলন হিসেবে অভিহিত করেন। জাতিসংঘের দ্বিতীয় কমিটিতে বাংলাদেশের নেতৃত্ব বৈশ্বিক নানাবিধ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ নীতিনির্ধারণে অবদান রাখতে এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন অভিযাত্রায় বাংলাদেশের অগ্রাধিকারগুলো আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে তুলে ধরতে সাহায্য করবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

দ্বিতীয় কমিটি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি কমিটি। জাতিসংঘের আর্থিক ও পরিবেশগত বিভিন্ন বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও কার্যক্রম তদারকি করে দ্বিতীয় কমিটি। আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও উন্নয়ন, দারিদ্র্য দূরীকরণ, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা, জলবায়ু পরিবর্তন, সাউথ-সাউথ কো-অপারেশন, কিছু দেশের বিশেষ পরিস্থিতি, কৃষি উন্নয়ন, খাদ্য নিরাপত্তা অর্জন এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির মতো বিষয় এই কমিটির আওতাধীন।

পেশাদার কূটনীতিক রাষ্ট্রদূত মুহিত ২০২২ সালের জুলাইয়ে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে যোগ দেন।

বর্তমানে তিনি ইউএনডিপি ইউএনএফপিএ ইউএন অপসের নির্বাহী বোর্ডের ২০২৪ সালের সভাপতি হিসেবে জাতিসংঘের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ সংস্থার নীতিনির্ধারণে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এর আগে তিনি জাতিসংঘ শান্তি বিনির্মাণ কমিশনের ২০২২ সালের সভাপতি এবং ২০২৩ সালের সহসভাপতি, ইউএনউইমেনের নির্বাহী বোর্ডের সভাপতি এবং ইউএনডিপি ইউএনএফপিএ ইউএন অপসের নির্বাহী বোর্ডের সহসভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।


আরও খবর