আজ ১৩ আগস্ট। বাংলাদেশের জন্য এক দুঃসংবাদের
দিন। ২০১১ সালের এই দিনে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার জোকা এলাকায়
এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান প্রখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা তারেক মাসুদ,
এটিএন নিউজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মিশুক মুনীরসহ পাঁচ জন। দেশে ও দেশের
বাইরে নিজেদের কাজের মাধ্যমে বাংলাদেশকে পরিচিত করেছিলেন এ দুই গুণী ব্যক্তি।
ওই ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ঘিওর থানায় মামলা
করে। দুর্ঘটনার প্রায় ছয় বছর পর ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে এক রায়ে মানিকগঞ্জের অতিরিক্ত
দায়রা জজ বাসচালক জামির হোসেনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি জরিমানা করেন। কারাবন্দি
ওই বাসচালক চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২০২০ সালের ১ আগস্ট মারা যান।
মামলাটি ছিল দেশের সড়ক দুর্ঘটনায় আলোচিত
একটি মামলা। ২০১২ সালের ২১ মার্চ মামলাটির অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। বাসের চালক জামির হোসেনকে
দুর্ঘটনার পরদিন চুয়াডাঙ্গা থেকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। আর, দুর্ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী
সাক্ষী ব্যোমকেশ সরকার, তারেক মাসুদের সহকারী ফারুক হোসেন ও তাঁর স্ত্রী সাথী সরকার
মারা গেছেন।
২০১১ সালের ১৩ আগস্ট মানিকগঞ্জের শিবালয়
উপজেলার সালজানা গ্রামে ‘কাগজের ফুল’ ছবির লোকেশন
দেখে ঢাকা ফেরার পথে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে প্রচণ্ড বৃষ্টির মধ্যে তারেক মাসুদ-মিশুক
মুনীরদের বহনকারী মাইক্রোবাসের (ঢাকা মেট্রো-চ-১৩-০৩০২) সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা
চুয়াডাঙ্গাগামী চুয়াডাঙ্গা ডিলাক্স পরিবহনের একটি বাসের (ঢাকা মেট্রো-ব-১৪-৪২৮৮) মুখোমুখি
সংঘর্ষ হয়।
এতে ঘটনাস্থলেই তারেক মাসুদ, মিশুক মুনীর, মাইক্রোবাসের চালক মোস্তাফিজুর রহমান, প্রোডাকশন সহকারী মোতাহার হোসেন ওয়াসিম ও জামাল হোসেন নিহত হন। এ দুর্ঘটনায় তারেক মাসুদের স্ত্রী ক্যাথরিন মাসুদ, শিল্পী ঢালী আল-মামুন ও তাঁর স্ত্রী দিলারা বেগম জলি এবং তারেক মাসুদের সহকারী মনীশ রফিক আহত হন।