আজঃ বুধবার ০৩ জুলাই ২০২৪
শিরোনাম

টেকসই সমাধান খুঁজতে দুই দলকেই বসতে হবে

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আসন্ন জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানে একটি টেকসই পথ বের করতে খোলা মনে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলকে এগিয়ে আসতে হবে। নির্বাচনকালীন সংকট নিরসনে স্থায়ী সমাধান খুঁজতে আওয়ামী লীগ-বিএনপিকে বসতে হবে। সমস্যা নিয়ে বিতর্ক না বাড়িয়ে সমাধানের পথ খুঁজতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোর আস্থার সংকট দূর করতে হবে।

রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিরপেক্ষ ভূমিকায় থাকার সব ধরনের পদক্ষেপ নিতে হবে। এই কাজগুলো করতে পারলে সুষ্ঠু নির্বাচনের পথ তৈরি হবে, যা গণতন্ত্রের প্রথম ধাপ। এজন্য সংশ্লিষ্টদের উদ্যোগী হয়ে কাজ করতে হবে। আর যদি এই কাজগুলো করা না যায় তাহলে কেবল বিদেশিদের তৎপরতার মাধ্যমে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের প্রত্যাশা করা অবান্তর হবে। এতে দেশ বিপজ্জনক পরিস্থিতির দিকে যেতে পারে।

শনিবার রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে আয়োজিত এক সেমিনারে বিশেষজ্ঞ ও রাজনৈতিক দলের নেতারা এই মতামত দেন। সোসাইটি ফর গ্লোবাল অ্যান্ড বাংলাদেশ স্টাডিজ (এসজিবিএস) এবং এক্সপার্টস একাডেমি লিমিটেড বাংলাদেশ : গণতান্ত্রিক অগ্রগতির পথ শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করে। ইউএনবি সম্পাদক ফরিদ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন এসজিবিএসের নির্বাহী পরিচালক উপস্থাপক মিথিলা ফারজানা। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) ব্যুরো প্রধান জুলহাস আলম।

সেমিনারে সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, দেশের প্রধান সমস্যা হচ্ছে প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ করছে না। আমরা বাইরের দেশের হস্তক্ষেপের কথা বলছি। কিন্তু এর পেছনের কারণ কী? আমাদের রাজনৈতিক দলগুলোর একে অপরের প্রতি আস্থা নেই। এ অবস্থায় আমরা গণতন্ত্র পাব কি না তা নিয়ে আলোচনা করছি। এটা নিয়ে আমার সন্দেহ আছে। আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলোকে কার্যকর করার জন্য পদক্ষেপ নিতে হবে।

জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, রাজনীতিবিদরা এখনো গণতন্ত্রের সংজ্ঞা নির্ধারণ করতে পারেননি। যখন যারা ক্ষমতায় আসে তখন তাদের মতো গণতন্ত্রের ব্যাখ্যা দেয়। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থেকে বলছে গণতন্ত্র আছে, ক্ষমতার বাইরে গেলেই বলবে গণতন্ত্র নেই। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, রাজনীতিকদের হাতে খুব বেশি কিছু নেই। এখন দেশ চালায় আমলারা। ডিসি-এসপিরা দেশ চালায়। দুঃখের সঙ্গে বলতে হয়, প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের সাত-আটশ কর্মচারীর একজন পিয়নেরও যে ক্ষমতা আছে, আমাদের (রাজনীতিবিদদের) তা নেই। প্রধানমন্ত্রীর নিম্নমানের একজন সহকারী জেলায় গেলেও ডিসিরা অভ্যর্থনা দেওয়ার জন্য দাঁড়িয়ে থাকে। আমরা গেলে তারা খবরও রাখে না। আমলারা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী। তাদের কখনো অসুবিধা হয় না। সমস্যা হয় রাজনীতিবিদদের। সরকার না থাকলে লাখ লাখ মানুষ মারা যাবে বলা হচ্ছে। কিন্তু আমলাদের কিছু হবে না। কারণ যেই আমলা বঙ্গবন্ধুর সময়ে ছিলেন, তিনি খন্দকার মোশতাকের সময়েও ছিলেন আবার বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার উপদেষ্টা হয়ে সব সুযোগ-সুবিধা নিয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। মোশতাকের মন্ত্রিসভায় আওয়ামী লীগের ২৩ সদস্য ছিলেন। পরে তাদের অনেকেই আওয়ামী লীগে ফিরে এসেছেন। বহাল তবিয়তে বিজয়ের মালা নিয়ে ঘুরেছেন। তিনি বলেন, এই প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করেছি আমরা।

সাবেক পররাষ্ট্র সচিব ও রাষ্ট্রদূত শমসের মবিন চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ দায়িত্বশীল প্রতিবেশী, নির্ভরশীল দেশ হিসাবে বিশ্বে স্বীকৃতি পেয়েছে। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে আমাদের একটা ভূমিকা রয়েছে। একই সঙ্গে আসিয়ান, ব্রিকস, জি-২০ তে বাংলাদেশের আমন্ত্রণ পাওয়া বাংলাদেশের বিশ্ব ভূ-রাজনীতিতে, আঞ্চলিক রাজনীতিতে যে একটা মতামত রয়েছে এরই বার্তা দেয়। এটা আমাদের জন্য বড় অর্জন। তবে অনেক বেশি পথ বাকি আছে।

স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমেদ বলেন, দেশের দুই প্রধান রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। বিভিন্ন নির্বাচনে ভোটের হিসাব অনুযায়ী, উভয় দলই বড় জনসমর্থন নিয়ে নির্বাচিত হয়েছে। এজন্য একটি দল অন্য দলকে নির্মূল করে দেবে, এটা হবে না। একটি দলকে নিশ্চিহ্ন করে অন্য দল দেশ শাসন করবে, এটা সম্ভব নয়। আর এটা করতে গেলে বড় ক্ষতি হয়ে যাবে। তিনি মনে করেন, বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে ক্ষমতাসীনদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করা উচিত।

নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ মেজর জেনারেল (অব.) এম আবদুর রশিদ বলেন, কিছু দল বিদেশি শক্তির ওপর নির্ভর করে আগামী নির্বাচন আয়োজনের চেষ্টা করছে। আমরা আমাদের ভাগ্য নির্ধারণের দায়িত্ব অন্যদের দিয়ে দিচ্ছি। এটা গণতন্ত্র হতে পারে না।

সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, আসন্ন নির্বাচন সুষ্ঠু করতে হলে ভোট গ্রহণের পুরো প্রক্রিয়াটি কারসাজিমুক্ত ও গ্রহণযোগ্য করতে হবে। এটি করবে কতগুলো প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে প্রথম ও প্রধান হলো নির্বাচন কমিশন। তারপর আছে সরকার তথা প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, গণমাধ্যম, নাগরিক সমাজ। এদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষাপাতহীনভাবে কাজ করার ওপর নির্ভর করবে নির্বাচন প্রক্রিয়া সঠিক কি না। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আমাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো এই প্রতিষ্ঠানগুলোর নিরপেক্ষতার অভাব। নির্বাচন কমিশনই আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে করা হয়েছে। প্রশাসন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে ব্যাপক দলীয়করণ হয়েছে। আমরা আইনকে অস্ত্রে পরিণত করে ফেলেছি। পালটাপালটি অভিযোগ না করে আলাপ-আলোচনা অব্যাহত রাখতে হবে।

মূল প্রবন্ধে জুলহাস আলম বলেন, বাণিজ্য স্বার্থ আদায়, অবকাঠামো উন্নয়নে প্রযুক্তি ও বিনিয়োগ আনয়নসহ বহুবিধ কারণে নিজেদের লাভ-লোকসানের হিসাব মিলিয়ে এগোতে না পারলে বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে বাংলাদেশকে। সেক্ষেত্রে জাতীয় রাজনীতি ও অর্থনীতিও পড়বে চ্যালেঞ্জের মুখে। জ্বালানি নিরাপত্তার চ্যালেঞ্জ তার মধ্যে অন্যতম। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে কৌশলগত অবস্থানের হিসাব-নিকাশে ভুল করলে দেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রার গতিপথও জটিলতার আবর্তে পড়ে যেতে বাধ্য। তিনি বলেন, দিনশেষে রাজনীতিই ভরসা, রাজনৈতিক প্রক্রিয়াতেই আস্থা রাখতে হবে।

প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক সোহরাব হাসান বলেন, গণতন্ত্রের সংকট দেশে বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন আয়োজনে বাধা সৃষ্টি করেছে। রাজনৈতিক দলগুলো এর জন্য দায়ী। রাজনীতিবিদরা কি বলতে পারবেন, তারা প্রশাসন ও প্রতিষ্ঠানকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দিচ্ছেন? এটাই বর্তমান সংকটের মূল কারণ। তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে এখন দেশের স্বার্থে একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের পথ খুঁজে বের করতে হবে।

আওয়ামী লীগের সংসদ-সদস্য মোহাম্মদ এ আরাফাত বলেন, চিন্তার মতপার্থক্য, বিপরীতমুখী চিন্তা এগুলো থাকবে। এর মধ্যেই একটা সমাধানের জায়গায় আসতে হবে।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন আমাদের নতুন সময় পত্রিকার ইমেরিটাস সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম খান, ইউজিসির সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান, আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আহমেদ, ক্ষমতাসীন দলের সংসদ-সদস্য নাহিম রাজ্জাক, ফেমার সভাপতি মুনিরা খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সাদেকা হালিম, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞ পিএসসির সদস্য অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন, সাংবাদিক আজিজুল হক ভূঁইয়া, এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি ও যুবলীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলে ফাহিম, এক্সপার্ট একাডেমির উপদেষ্টা সিরাজুল ইসলাম এবং আর্টিকেল ১৯-এর আঞ্চলিক পরিচালক ফারুক ফয়সল প্রমুখ।


আরও খবর



সুরমা-কুশিয়ারার পানি বিপদসীমার ওপরে

প্রকাশিত:শনিবার ১৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
এস এ শফি, সিলেট

Image

সিলেটে বৃষ্টিপাত ও ভারতের চেরাপুঞ্জিতে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে উজানের ঢলে আবারও বাড়তে শুরু করছে নদ-নদীর পানি। শনিবার (১৫ জুন) সকাল নয়টায় সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপদসীমা ছাড়িয়ে গেছে। অন্যদিকে কুশিয়ারা নদীর পানি ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্ট বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়াও সিলেটের সকল নদ-নদীর পানিও বাড়তে শুরু করেছে। এ অবস্থায় আবারও বন্যার আশঙ্কা করছেন নিম্নাঞ্চলের মানুষজন।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ বলেন, সিলেটে ও উজানে ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ার কারণে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে সিলেটের সবকটি নদ-নদীর পানি আবারো বিপদসীমার উপরে চলে যাবে। এতে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের শনিবার সকাল ৯টায় তথ্য অনুযায়ী, সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে পানি বিপদসীমার শূন্য দশমিক ৩০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত কাল সন্ধ্যা ৬টায় ওই পয়েন্টে পানি ১১ দশমিক ৮৫ সেন্টিমিটারে অবস্থান করছিল। সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে পানির বিপদসীমা ১২ দশমিক ৭৫ সেন্টিমিটার। নদীর সিলেট পয়েন্টে পানি ৯ দশমিক ৯৫ সেন্টিমিটারে অবস্থান করছে, গত কাল সন্ধ্যা ৬টায় ওই পয়েন্টে পানি ৯ দশমিক ৭০ সেন্টিমিটারে অবস্থান করছিল। ওই পয়েন্ট বিপদসীমা ১০ দশমিক ৮০ সেন্টিমিটার। কুশিয়ারা নদীর আমলশীদ পয়েন্টে পানি ১৩ দশমিক ৮৬ সেন্টিমিটারে অবস্থান করছে, গত কাল সন্ধ্যা ৬টায় ওই পয়েন্টে পানি ১৩ দশমিক ৫৯ সেন্টিমিটারে অবস্থান করছিল। ওই পয়েন্ট বিপদসীমা ১৫ দশমিক ৪০ সেন্টিমিটার। কুশিয়ারা নদীর ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে পানি ৯ দশমিক ৯৫ সেন্টিমিটারে অবস্থান করছে, গতকাল সন্ধ্যা ৬টায় ওই পয়েন্টে পানি ৯ দশমিক ৯৪ সেন্টিমিটারে অবস্থান করছিল। ওই পয়েন্ট বিপদসীমা ৯ দশমিক ৪৫ সেন্টিমিটার।

কুশিয়ারা নদীর শেওলা পয়েন্টে পানি ১০ দশমিক ৯৫ সেন্টিমিটারে অবস্থান করছে, গতকাল সন্ধ্যা ৬টায় ওই পয়েন্টে পানি ১০ দশমিক ৭৪ সেন্টিমিটারে অবস্থান করছিল। ওই পয়েন্ট বিপদসীমা ১৩ দশমিক ০৫ সেন্টিমিটার। তাছাড়া লোভা নদীর পানি ১৩ দশমিক ৭৫ সেন্টিমিটার, সারি নদীর পানি ১২ দশমিক ১৬ সেন্টিমিটার, ডাউকি নদীর পানি ১০ দশমিক ৬৩ সেন্টিমিটার ও সারি গোয়াইন নদীর পানি ৯ দশমিক ৯২ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।

সিলেট আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজীব হোসাইন বলেন, শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে আজ শনিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২০২ মিলিমিটার এবং আজ সকাল ৬টা থেকে সকাল নয়টা পর্যন্ত ৪৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। সিলেটে আরও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

ভারতীয় আবহাওয়া সংস্থার তথ্য অনুযায়ী ভারতের মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জি গত ২৪ ঘণ্টায় ৫১৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে সালিক রুমাইয়া বলেন, নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে এসব নদীর পানি এখনো বিপদসীমার নিচে রয়েছে। আমরা সবাইকে বন্যা সম্পর্কে সতর্কবার্তা প্রচার করছি। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সবরকম প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হয়েছে।

গোয়াইনঘাট উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, জরুরি ভিত্তিতে উপজেলার ১৩ টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, ইউনিয়নের দুর্যোগ মোকাবেলা কার্যক্রম সমন্বয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত সংশ্লিষ্ট ট্যাগ কর্মকর্তাগণ, ইউপি সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবী দল অগ্রিম লোকজনকে বন্যা সম্পর্কে সতর্কবার্তা প্রচার করছেন। কুইক রেসপন্স ডিজিস্টার ম্যানেজমেন্ট টিম ৪৭টি নৌকা প্রস্তুত রেখেছে উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম সমন্বয়ে। আমাদের পক্ষ থেকে বন্যা পরিস্থিতির মোকাবেলায় সবরকম প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হয়েছে।

সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ মোবারক হোসেন বলেন, বৃষ্টির কিছু পূর্বাভাস রয়েছে, তাছাড়া ভারতের চেরাপুঞ্জিতেও বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এ পরিস্থিতি বিবেচনায় উপজেলারগুলোর ইউএনওদের সতর্ক করা হয়েছে। তাছাড়া বিভিন্ন দপ্তরে আমরা পত্র দিয়েছি, ঈদের সময় যদি বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় তাহলে তারা যেন প্রস্তুত থাকেন। তাছাড়া আমাদের কাছে পর্যাপ্ত ত্রাণ বরাদ্দ আছে, এরকম পরিস্থিতি হলে আমরা ত্রাণ বিতরণ করতে পারব। পাশাপাশি জেলার সকল আশ্রয়কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত রয়েছে।


আরও খবর



বাজেট: বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা বাড়ল

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

বর্তমানে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীরা ৯৫০ টাকা করে উপবৃত্তি পান। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে তা ১০০ টাকা বাড়িয়ে ১০৫০ টাকা করা হচ্ছে। এছাড়া, আসন্ন অর্থবছরে দেশের প্রায় সব অসচ্ছল বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিকে ভাতার আওতায় আনার পরিকল্পনা করেছে সরকার। বৃহস্পতিবার (৬ জুন) সংসদে বাজেট বক্তৃতায় এসব তথ্য জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ২০১৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের উপবৃত্তির হার বিদ্যমান ৯৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে এক হাজার ৫০ টাকায় উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, অর্থবছরে দেশের প্রায় সব অসচ্ছল প্রতিবন্ধীকে ভাতার আওতায় আনার পরিকল্পনা করেছে সরকার। এজন্য সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় নতুন করে তিন লাখ ৩৪ হাজার অসচ্ছল প্রতিবন্ধীকে ভাতার আওতায় আনা হচ্ছে।

যেসব প্রতিবন্ধীর বার্ষিক আয় ৩৬ হাজার টাকার বেশি নয়, তাদের অস্বচ্ছল প্রতিবন্ধী হিসেবে চিহ্নিত করেছে সরকার। ছয় বছরের ঊর্ধ্বে সব অস্বচ্ছল প্রতিবন্ধী এ ভাতা পাওয়ার যোগ্য হবেন।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসাব অনুযায়ী, দেশে মোট বিশেষ চাহিদসম্পন্ন ব্যক্তির সংখ্যা ৪৬ লাখ। ২০২৪-২৫ অর্থবছর উপকারভোগী বাড়ানোর মাধ্যমে প্রায় সব অস্বচ্ছল প্রতিবন্ধীকে ভাতার আওতায় আনা হচ্ছে বলে মনে করছেন অর্থবিভাগের কর্মকর্তারা।


আরও খবর



ট্রেনে জানালার পাশে বসা নিয়ে মারামারি, ঘুসিতে প্রাণ গেল যাত্রীর

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নরসিংদী প্রতিনিধি

Image

ট্রেনে জানালার পাশে বসা নিয়ে দুই যাত্রীর মারামারির ঘটনায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৬ জুন) সকালে নরসিংদী রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেন দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় মারামারির ঘটনা ঘটে। নিহত ওই যাত্রী নরসিংদী সদরের বীরপুর এলাকার প্রত্যুত কুমার বাউলের ছেলে ঝুমুর কান্তি বাউল (৪২)। অন্যদিকে অভিযুক্ত যাত্রীর নাম মনজুর মিয়া (৫৫)। তিনি চট্রগ্রামের সীতাকুণ্ডের বাসিন্দা।

ট্রেনের যাত্রীরা জানান, চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ঢাকা অভিমুখী ঢাকা মেইল এক্সপ্রেস ট্রেনটি নরসিংদী রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছানোর পর ঝুমুর কান্তি বাউল নামের ওই যাত্রী ট্রেনের শেষ বগিতে ওঠেন এবং জানালার পাশে দাঁড়াতে চান। সেই জানালার পাশের সিটে বসা মনজুর মিয়া নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে এ নিয়ে তার বচসা শুরু হয়। একপর্যায়ে মনজুর মিয়া ঝুমুর কান্তি বাউলকে লাথি এবং ঘুসি দিলে সঙ্গে সঙ্গেই তিনি অজ্ঞান হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এসময় বগির অন্যান্য যাত্রীরা অজ্ঞান হওয়া ঝুমুর কান্তি বাউলকে নরসিংদী রেলওয়ে স্টেশনে নামিয়ে দিলে ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। এরপর স্টেশন কর্তৃপক্ষ অজ্ঞান হওয়া যাত্রী ঝুমুর কান্তিকে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নরসিংদী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) মো. শহিদুল্লা বলেন, অভিযুক্ত ব্যক্তিকে কমলাপুর রেলওয়ে পুলিশ আটক করেছে। নিহতের লাশ হাসপাতাল থেকে নিজ বাড়িতে নিয়ে গেছেন স্বজনরা।


আরও খবর



দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বাজেট প্রস্তাব উত্থাপন আজ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

মূল্যস্ফীতির লাগাম টানা, আর প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর চ্যালেঞ্জ সামনে রেখে আজ বৃহস্পতিবার (৬ জুন) ঘোষণা করা হবে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব। এর আকার হতে পারে ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা, যা হবে দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় বাজেট প্রস্তাব।

এদিন বিকেল ৩টায় জাতীয় সংসদে আগামী অর্থবছরের এ বাজেট প্রস্তাব পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী র আবুল হাসান মাহমুদ আলী। পাস হলে এটি হবে দেশের ৫৩তম, আওয়ামী লীগ সরকারের ২৫তম এবং এ অর্থমন্ত্রীর প্রথম বাজেট।

নতুন এ বাজেটে সরকার আগের অর্থবছরের (২০২৩-২৪) চেয়ে ৩৬ হাজার কোটি টাকার মতো ব্যয় বাড়াতে চায়। চলতি অর্থবছরের বাজেটের আকার ছিল ৭ লাখ ৬১ হাজার কোটি টাকা।

বড় অঙ্কের এ বাজেট বাস্তবায়নে সরকারের রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ধরা হতে পারে ৫ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা। তবে চলতি অর্থবছরে সরকারের রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫ লাখ কোটি টাকা। আর ব্যয়ের যোগান দিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) দেয়া হতে পারে ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকার টার্গেট, যা চলতি অর্থবছরের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৭০ হাজার কোটি টাকা বেশি।

বাজেটে মোট ঘাটতি থাকার আশঙ্কা আছে ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকার। আর চলতি (২০২৩-২৪) অর্থবছরের জন্য সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সাত লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার যে বাজেট প্রস্তাব দিয়েছিলেন, তাতে অনুদান ছাড়া সামগ্রিক ঘাটতি ধরা হয় দুই লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা।

সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের অঙ্গীকার নিয়ে করা এবারের বাজেটের আকার বাড়ছে ৪.৬ শতাংশ; আগের দুবছর অবশ্য বেড়েছে প্রায় সাড়ে ১২ শতাংশ করে। সংকোচনমুখী এ বাজেট উত্থাপনে ঘোষণা আসতে পারে আগামী এক বছর আরও বাড়তে পারে মূল্যস্ফীতি। কারণ এবার সরকারি লক্ষ্যমাত্রাই ৬ থেকে বাড়িয়ে করা হতে পারে সাড়ে ৬ শতাংশ। যদিও বর্তমানে মূল্যস্ফীতি চড়ে আছে প্রায় ১০ শতাংশে।

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের প্রথম পদক্ষেপ হিসাবে জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা সাড়ে ৭ থেকে কমিয়ে আনা হতে পারে ৬.৭৫ শতাংশে। বিশাল এ কর্মযজ্ঞে দেশের সরাসরি উন্নয়নে অবকাঠামো নির্মাণসহ বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আওতায় ব্যয় করা হবে ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা। ব্যয় সংকোচনের নামে চলতি অর্থবছরের চেয়ে ৩২৬টি প্রকল্প কমানো হলেও বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকা।

আগামী অর্থবছরে ফের সুযোগ দেয়া হতে পারে কালো টাকা সাদা করার। এ ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ কর দিয়ে বিনা প্রশ্নে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ আসতে পারে। এ সুযোগ দেয়া হতে পারে এক বছরের জন্য।

জনগণের উন্নয়নে এ ব্যয় বরাদ্দের বিপরীতে সুদ পরিশোধ বাবদ ১ লাখ ১৩ হাজার কোটি, ভর্তুকি প্রণোদনায় ১ লাখ ১১ হাজার কোটি, আর সরকারি কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দেয়ার মতো অনুন্নয়ন খাতে মোট বরাদ্দ রাখা হতে পারে ৩ লাখ ১৪ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। অর্থাৎ উন্নয়নের চেয়ে অনুন্নয়ন খাতে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা বেশি ব্যয় করতে যাচ্ছে সরকার।

এদিকে, রাজস্ব আদায় বাড়াতে করমুক্ত আয়সীমা না বাড়িয়ে ব্যক্তির শ্রেণির করকাঠামোত পরিবর্তন আনার ইঙ্গিত দিয়েছে এনবিআর। এতে কর আদায়ের স্তর বাড়ানো হতে পারে বেশি আয় করাদের কাছে। বাড়তে পারে ব্যাংকে সঞ্চিত অর্থের ওপর আরোপিত আবগারি শুল্কের পরিমাণ।

ধনী-গরিবের আয় বৈষম্যে নিয়ন্ত্রণহীন বাজার ব্যবস্থায় যেন ভেসে না যায় নিম্ন আয়ের মানুষ, সেজন্য সামাজিক সুরক্ষা খাতের সুবিধাভোগীর সংখ্যা ৫ লাখ বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে মা ও শিশু সহায়তা ভাতা ২০০ টাকা, ৮০ বছরের বেশি বয়ষ্ক নাগরিকের ভাতা ৩০০ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব আসতে পারে উত্থাপিত বাজেটে।

এবারের বাজেটে নতুন করে যোগ হবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) নানা রকমের পরামর্শ। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের গবেষণা পরিচালক ড. মাহফুজ কবীর বলেন, গতবছর বাজেট প্রণয়নের সময় সরকার আইএমএফের প্রেসক্রিপশন অনুসরণ করেনি; এজন্য সরকারের ওপর তেমন চাপও ছিল না। সরকার তার ইচ্ছেমতোই বাজেট প্রণয়ন করেছে। তবে এবার কিন্তু আইএমএফের পরামর্শ ও বিভিন্ন শর্ত মেনেই বাজেট প্রণয়ন করতে হবে।

সরকারের আগের বছরগুলোতে নেয়া ঋণের প্রভাব আসন্ন বাজেটে পড়বে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা। সরকারকে ১ লাখ কোটি টাকার ওপর শুধু সুদই পরিশোধ করতে হবে এ বছর। ঋণ পরিশোধ করে নানাভাবে সরকার রাজস্ব আদায়ের প্রচেষ্টা জোরদার করবে বলে মত তাদের।


আরও খবর



যশোরে সাপের কামড়ে শিশুর মৃত্যু

প্রকাশিত:শনিবার ২৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
এম এ রহিম, বেনাপোল (যশোর)

Image

যশোরের শার্শা উপজেলায় বিষধর সাপের কামড়ে প্রান্তি খাতুন নামে (৬) বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার বেলা ১২ টার সময় খুলনায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটি মারা যায়। প্রান্তি নিজামপুর ইউনিয়নের একঝালা গ্রামের প্রাবাসী সোহাগ মিয়ার মেয়ে। সে স্থানীয় এসএম গাতিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।

শিশুটির স্বজন ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে ঘরে খাটের কাছে বসা ছিল প্রান্তি। এ সময় তার হাতে বিষধর একটি সাপ কামড় দিয়ে চলে যায়। প্রান্তি চিৎকারে পরিবারের লোকজন ছুটে আসেন। তার হাতের ক্ষতস্থানের ওপরে বেঁধে তাকে প্রথমে শার্শা উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে প্রথমে উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ও পরে খুলনা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল নেওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় প্রান্তির মৃত্যু হয়।

নিজামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সেলিম রেজা বিপুল বলেন, ছোট মেয়েটি সাপের কামড়ে মারা গেল। ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। এলাকার মানুষের মধ্যে শোকের পাশাপাশি সাপের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এলাকায় সাপের উপদ্রব বেড়েছে। সবাইকে সচেতন হওয়ার অনুরোধ করছি।


আরও খবর