আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস

প্রকাশিত:সোমবার ৩১ জানুয়ারী ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ৩১ জানুয়ারী ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

দিনাজপুরে চলমান শৈত্যপ্রবাহটি অব্যাহত রয়েছে। সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৮.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তেঁতুলিয়ায় ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সোমবার (৩১ জানুয়ারি) সকাল ৬ টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

দিনাজপুর আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তা তোফাজ্জাল হোসেন জানান, আজ (সোমবার) বাতাসের আদ্রতা রেকর্ড হয়েছে ৯১ শতাংশ। বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৪-৫ কিলোমিটার। তবে বেলা বাড়লে এটি উত্তর বা উত্তর পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮-১০ কিলোমিটার গতিতে বাড়তে পারে।

এছাড়া রংপুরে ৯.২, সৈয়দপুরে ৮.২, রাজারহাট ৭.৭, ডিমলায় ১০.০, নওগাঁয় ৮.৪, চুয়াডাঙ্গায় ৯.৩, শ্রীমঙ্গলে ৯.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে।


আরও খবর



জিআই সনদ পেল দেশের ১৪ পণ্য

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

টাঙ্গাইল শাড়িসহ ১৪ পণ্যের ভৌগলিক নির্দেশক বা জিআই সনদ দিয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাজধানীর বেইলি রোডে বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস একাডেমির মাল্টিপারপাস হলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর হাতে সনদ তুলে দেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।

শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর (ডিপিডিটি) আয়োজিত অনুষ্ঠানে টাঙ্গাইল শাড়ি, গোপালগঞ্জের রসগোল্লা, নরসিংদীর অমৃত সাগর কলা, টাঙ্গাইলের পোড়াবাড়ির চমচম, কুমিল্লার রসমালাই, কুষ্টিয়ার তিলের খাজা, বাংলাদেশের ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল, রংপুরের হাঁড়িভাঙ্গা আম, মৌলভীবাজারের আগর, মৌলভীবাজারের আগর আতর, মুক্তাগাছার মণ্ডা, যশোরের খেজুরের গুড়, রাজশাহীর মিষ্টি পান এবং জামালপুরের নকশীকাঁথার জিআই সনদ তুলে দেওয়া হয়।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, এ দেশের মেহনতি মানুষ শৈল্পিক কারুকার্যের মাধ্যমে অনন্য সাধারণ সামগ্রী প্রস্তুত করে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের সুনাম ও খ্যাতি বৃদ্ধি করেছে। মাটি, বায়ু, পানি, পরিবেশ, কারিগরদের দক্ষতা প্রভৃতি স্বতন্ত্র ও অনন্য বৈশিষ্ট্যের কারণে ছোট এ ভূখণ্ডের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে রয়েছে অসংখ্য ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই পণ্য। ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা এসব পণ্যকে জিআই হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানের পাশাপাশি এর গুণগত মান ও টেকসই সংরক্ষণের দিকে নজর দিতে হবে।

ভারতের শিল্প মন্ত্রণালয় কিছুদিন আগে বাংলার টাঙ্গাইল শাড়ি বা টাঙ্গাইল শাড়ি অব বেঙ্গল নামে একটি শাড়িকে জিআই স্বীকৃতি দেয়। ওয়ার্ল্ড ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি অর্গানাইজেশন (ডব্লিউআইপিও) এর কাছ থেকে অনুমোদনও পেয়ে যায় তারা। বিষয়টি বাংলাদেশে তীব্র প্রতিক্রিয়ার জন্ম দেয়। টাঙ্গাইল বাংলাদেশের এলাকা এবং টাঙ্গাইল শাড়ি বাংলাদেশের নিজস্ব পণ্য হওয়ার পরও ভারত কীভাবে তা নিজেদের পণ্য হিসেবে জিআই স্বীকৃতি পায়, সেট প্রশ্ন তোলেন শাড়ির ব্যবসায়ী, আইনজ্ঞ ও অধিকার কর্মীরা।

এরপর বাংলাদেশ সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো উদ্যোগী হয়। টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসন ৬ ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই স্বীকৃতির আবেদন করে। পরে তা অনুমোদন করে গেজেট প্রকাশ করে পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর। এরপর ১১ ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাইল শাড়ি, নরসিংদীর অমৃত সাগর কলা ও গোপালগঞ্জের রসগোল্লার ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতির সনদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে হস্তান্তর করেন শিল্পমন্ত্রী।


আরও খবর



পাটের আবাদ কমেছে মেহেরপুরে

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আব্দুল আলিম, মেহেরপুর

Image

পাটের ন্যায্যমূল্য না পাওয়া, অনাবৃষ্টি আর পাট পচানোর পানি সংকটের কারণে পাটের আবাদ কমেছে মেহেরপুরে। চলতি বছরে পাটের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। চাষিদের দাবী, প্রতি বছরে পাট চাষে একরকম লোকসান গুণতে হয়। বাধ্য হয়ে অন্য ফসল আবাদ করছেন তারা। তবে কৃষি অফিস বলছে, পাট চাষে চাষিদেরকে উদ্বুদ্ধ করতে দেয়া হচ্ছে প্রণোদনা ও বিকল্প পদ্ধতিতে পাট পচানোর পরামর্শও দেয়া হচ্ছে।

মেহেরপুর জেলা কৃষি অফিসের তথ্যনুযায়ি, কৃষি নির্ভরশীল এ জেলায় চাষিদের অর্থনৈতিক ফসল হিসেবে বিবেচিত সোনালী আঁশ পাট। চলতি বছরে এ জেলায় পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ২২ হাজার হেক্টর। আর পাট চাষ করা হয়েছে ১৬ হাজার ৬৩০ হেক্টর যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫ হাজার ৩৭০ হেক্টর কম। চাষিরা জেআরও ৫২৪, বি জে আর আই তোষাপাট-৮, ভারতীয় কৃষি কল্যাণ, মহারাষ্ট্র ও চাকা জাতের পাট আবাদ করে থাকেন।

চাষিরা জানান, গেল বছর অনাবৃষ্টি থাকলেও তেমন তাপদাহ ছিল না তাই সেচ দিয়ে পাট চাষ করেছেন চাষিরা। কিন্তু পাট জাগ দেয়ার মতো পানির ব্যবস্থা ছিল না। অনেকেই কাদা মাটি দিয়ে পাট জাগ দেয়ার পাটের মান নষ্ট হওয়ায় ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হয়। চলতি মৌসুমে অনাবৃষ্টির সাথে যোগ হয় তীব্র তাপদাহ। ফলে অনেকেই পাট চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়। উপরন্ত পাট পচানোর জন্য কোন উম্মুক্ত জলাশয় না থাকায় চাষিরা পাট চাষ করতে অনীহা প্রকাশ করছেন। অনেকেই খাল বিল সংস্কার ও দখল হয়ে যাওয়া জলাশয় উম্মুক্ত ঘোষণা করার আহবান জানান।

গাংনীর পলাশীপাড়ার পাট চাষি জুলফিকার আলী জানান, প্রতিবছর চাষিরা এ পাট আবাদ করে মোটা অংকের টাকা আয় করেন। কিন্তু পানি সংকটের কারণে চাষিদের পাট পচাতে সইতে হয় নানা বিড়ম্বনা। অনেকেই খালে বিলে পানি না পেয়ে বাড়ির পাশে গর্তে সামান্য পানি দিয়ে পাট পচাতে দেন। এতে এক দিকে যেমন চাষিদের খরচ বেড়ে যায় তেমনি পাটের রং নষ্ট হয়। ফলে পাটের ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হন।

পাট চাষি তেতুঁলবাড়িয়ার মিজান জানান, গেল বছর তিনি ৪ বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছিলেন। চলতি মৌসুমে তিনি দুই বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছেন। অনাবৃষ্টি ও তাপদাহের কারণে পানির স্তর নেমে যাওয়ায় পাট বীজ বপন করতে পারেনি। উপরন্তু পাটক্ষেতে সেচ দিতে না পারায় পানির অভাবে পাট গাছ বাড়ছে না। অন্যদিকে পাট পচানোর ব্যবস্থা না করতে পারলে সামনে বছর আর পাট চাষ করবেন না বলেও জানান এই চাষি।

চাষিদের দাবি, হাজা মজা খাল বিল সংস্কার করে পানি প্রবাহ ঠিক রাখলে পাট পচানো সম্ভব। চাষিরা উম্মুক্ত জলাশয়ে পাট জাগ দিতে পারলে পাট চাষ বৃদ্ধি পাবে।

গাংনী উপজেলা কৃষি অফিসার ইমরান হোসেন জানান, চলতি মৌসুমে পাটের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। অনাবৃষ্টির কারণে অনেকেই পাট বীজ বপন করতে পারেনি। আর যারা আবাদ করেছেন পানির অভাবে পাটগাছ বাড়েনি। অন্যদিকে পাট পচানো নিয়েও চাষিরা নানা বিড়ম্বনায় পড়েন। তবুও চাষিদেরকে প্রণোদনাসহ অন্যান্য সুবিধা দেয়া হচ্ছে পাট চাষে আগ্রহী করে তোলার জন্য। বিকল্প পদ্ধতিতে পাট পচানোর পরামর্শ দেয়া হচ্ছে বলেও জানালেন এই কর্মকর্তা।


আরও খবর



চাকরি দেওয়ার নামে ২৪ লাখ টাকা আত্মসাৎ, দম্পতি গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সুজন কুমার মন্ডল, জয়পুরহাট

Image

জয়পুরহাটে চাকরি দেওয়ার নামে অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় এক দম্পতিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ মে) সন্ধ্যায় জয়পুরহাট শহরের নতুনহাট সরদারপাড়ার নিজ বাসা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

এর আগে নাটোরের লালপুর উপজেলার গৌরিপুর গ্রামের বাসিন্দা জাহিদুল ইসলাম জুয়েল বাদী হয়ে জয়পুরহাট থানায় দম্পতিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা করেন। জাহিদুল ইসলাম কর্মসংস্থান ব্যাংক ক্ষেতলাল শাখায় কর্মরত আছেন। তিনি পরিবার নিয়ে জয়পুরহাট শহরের নতুনহাট সরদারপাড়া মহল্লায় বসবাস করেন।

গ্রেপ্তার দম্পতি হলেন আবু হেনা ফুল মিয়া (৪৬) ও তার স্ত্রী সেলিনা আক্তার (৪০)। তারা জয়পুরহাট শহরের নতুনহাট সরদারপাড়া মহল্লায় বসবাস করেন।

মামলার এজাহার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, জাহিদুল ইসলামের স্ত্রী ফারহানা মোস্তারী জয়পুরহাট শহরের নতুনহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষিকা পদে চাকরি করেন। তারা সরদারপাড়া মহল্লার একটি পাঁচতলার বাসার তিনতলায় ভাড়া থাকতেন। এ সুবাদে একই মহল্লার আবু হেনা ফুল মিয়া, তার স্ত্রী সেলিনা আক্তার ও আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে তাদের সখ্যতা গড়ে ওঠে। এরপর তারা জাহিদুল ইসলামকে এসেনসিয়াল ড্রাগস ওষুধ কোম্পানিতে চাকরির প্রলোভন দেখান। তাদের কথায় প্রলুব্ধ হয়ে ২০২০ সালের ১ অক্টোবর জাহিদুল ইসলাম তার শ্বশুরবাড়ি এলাকার ৬ জন ব্যক্তির কাছ থেকে ২৪ লাখ এনে দেন। টাকা দেওয়ার পরও অভিযুক্তরা আর চাকরি দিতে পারেননি। পরে টাকা ফেরত দিতে তালবাহনা শুরু করেন।

চলতি বছরের গত ২২ এপ্রিল আবু হেনা ফুল মিয়া তার নামীয় ব্র্যাক জয়পুরহাট শাখার দুটি চেক জাহিদুলের স্ত্রী ফারহানাকে দেন। ব্যাংকে প্রয়োজনীয় অঙ্কের টাকা না থাকায় দুটি চেক নগদায়ন হয়নি। পরে গত ২৭ এপ্রিল ওই দম্পতি ও আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধ প্রতারণার অভিযোগ এনে জয়পুরহাট জজ আদালতের আইনজীবী ফরিদুজ্জামান সংবাদ সম্মেলন করেন।

আইনজীবী ফরিদুজ্জামান বলেন, হজে যাওয়ার জন্য টাকা রেখেছিলাম। সেখান থেকে আবু হেনা ফুল মিয়া, তার স্ত্রী সেলিনা ও আনোয়ার হোসেন আমার কাছ থেকে ২০ দিনে ৫ লাখ টাকা ধার নেন। তারা আমাকে ধারের টাকা ফেরত দেননি। পরে আমাকে চেক দিয়েছিল। সেই চেক নিয়ে ব্যাংকে গিয়ে টাকা পাইনি। এ ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন করেছি।

মামলার বাদি জাহিদুল ইসলাম বলেন, ছয় জনকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে আমার কাছে আবু হেনা ফুল মিয়া, তার স্ত্রী ও ফুল মিয়ার শ্বশুর আনোয়ার হোসেন ২৪ লাখ টাকা নিয়েছেন। তারা চাকরি দিতে পারেননি, টাকাও ফেরত দেননি। এ ঘটনায় থানায় মামলা করেছি।

জয়পুরহাট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ূন কবির বলেন, প্রতারণার মামলায় এক দম্পতিকে রোববার ভোরে নতুনহাট সরদারপাড়ার নিজ বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদেরকে রোববার দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে।


আরও খবর



কাতারের আমির শেখ তামিম ঢাকায় আসছেন আজ

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

Image

কাতারের আমির শেখ তামিম বিন-হামাদ আল থানিকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত বাংলাদেশ। দুদিনের সফরে আজ তিনি বিশেষ বিমানযোগে ঢাকা আসছেন। এ সফরে দুই দেশের মধ্যে ছয়টি চুক্তি এবং পাঁচটি সমঝোতা স্মারক সই হচ্ছে। এ ছাড়া ঢাকায় একটি সড়ক এবং একটি পার্কের নামাকরণ কাতারের আমিরের নামে করা হবে।

দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির মাধ্যমে কাতার থেকে বাংলাদেশ গ্যাস (এলএনজি) আমদানি করে থাকে। তবে এবার ডলার সংকটের কারণে গ্যাসের দাম এক বছর পর্যন্ত বাকি রাখতে চায় বাংলাদেশ। এই প্রস্তাব কাতারের আমিরের সফরকালে দেওয়া হবে। তার সঙ্গে মন্ত্রী এবং গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তারা বাংলাদেশ সফর করবেন। এটি কাতারের আমিরের এশিয়া সফরের অংশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চতুর্থ মেয়াদের নতুন সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর মধ্যপ্রাচ্যের এই গুরুত্বপূর্ণ নেতার সফরটি রাজনৈতিকভাবেও খুবই তাৎপর্যপূর্ণ।

সফরকালে যে ছয়টি চুক্তি সই হবে সেগুলো হলো-১. দ্বৈতকর পরিহার ও কর ফাঁকি সংক্রান্ত ২. আইনগত বিষয়ে সহযোগিতা ৩. সাগরপথে পরিবহণ ৪. উভয় দেশের পারস্পরিক বিনিয়োগ উন্নয়ন ও সুরক্ষা সংক্রান্ত ৫. দুই দেশের দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের বদলি এবং ৬. যৌথ ব্যবসা পরিষদ গঠন সংক্রান্ত চুক্তি।

এ ছাড়া যে পাঁচটি সমঝোতা স্মারক সই হবে সেগুলো হলো-১. শ্রমশক্তি বিষয়ক ২. বন্দর পরিচালনা সংক্রান্ত ৩. উচ্চশিক্ষা ও বৈজ্ঞানিক গবেষণা ৪. যুব ক্রীড়াক্ষেত্রে সমঝোতা স্মারক এবং ৫. কূটনৈতিক প্রশিক্ষণে সহযোগিতা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক।

এদিকে, ঢাকায় কালশি এলাকায় বালুর মাঠে নির্মিতব্য পার্ক এবং ইসিবি চত্বর থেকে কালশি উড়াল সেতু পর্যন্ত সড়কটি কাতারের আমির শেখ তামিম বিন-হামাদ আল থানির নামে নামকারণ করা হবে। ২৩ এপ্রিল বিকালে কাতারের আমির নিজে উভয় স্থাপনার উদ্বোধন করবেন।

রাষ্টপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে ২২ ও ২৩ এপ্রিল ২০২৪ কাতারের আমির শেখ তামিম বিন-হামাদ আল থানি এই সফর করছেন। তিনি একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে সরকার গঠনের পর মধ্যপ্রাচ্যের দেশসমূহ হতে এটি প্রথম উচ্চ পর্যায়ের রাষ্ট্রীয় সফর।

কাতারের আমিরের সফর উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর, বন্ধুত্বপূর্ণ ও বহুমুখী। কাতার বঙ্গবন্ধুর সময়কালীন সময়ে ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশকে স্বীকৃতিদানকারী অন্যতম মুসলিম রাষ্ট্র। গ্যাস আমদানির বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সৌদি আরব থেকে বাকিতে গ্যাস আমদানি করে বাংলাদেশ। কাতারের কাছ থেকেও বাকিতে গ্যাস আমদানির প্রস্তাব করা হতে পারে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২৩ সালের মার্চ ও মে মাসে দুইবার কাতার সফরের মাধ্যমে উভয় দেশের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক সুদৃঢ় অবস্থানে উপনীত হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় কাতারের আমির বাংলাদেশ সফর করছেন।

সাম্প্রতিককালে কাতারের সঙ্গে বিভিন্ন পর্যায়ে কূটনৈতিক যোগাযোগ ও আলোচনার মাধ্যমে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার পরিধি সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি, জ্বালানি, বিমান চলাচল, কৃষি, খাদ্য নিরাপত্তা, জলবায়ু পরিবর্তন ইত্যাদি ক্ষেত্রসমূহ চিহ্নিত করা হয়েছে।

কাতারের আমির আজ বিকালে বিশেষ বিমানে ঢাকায় আগমন করবেন। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানাবেন। এ সময় তাকে গার্ড অব অনার জানানো হবে।

আগামী ২৩ এপ্রিল সকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ কাতারের আমিরের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। তারপর গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাতারের আমিরের সঙ্গে প্রথমে একান্ত বৈঠক এবং পরে আনুষ্ঠানিক দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। বৈঠক শেষে দুই দেশের মধ্যে ছয়টি চুক্তি ও পাঁচটি সমঝোতা স্মারক সই হবে। রাষ্ট্রপতি সাহাবউদ্দিন বঙ্গভবনে কাতারের আমিরের সৌজন্যে মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করবেন। ওই দিন সন্ধ্যায় বিশেষ বিমানযোগে তিনি ঢাকা ত্যাগ করবেন।

কাতারের আমিরের এই সফর তার এশিয়া সফরের অংশ। পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাসসমৃদ্ধ কাতার সর্বোচ্চ গড় মাথাপিছু আয়ের দেশ। দেশটির শক্তিশালী অর্থনীতি, ভূ-রাজনৈতিক অবস্থান ও কূটনৈতিক তৎপরতা ও মধ্যস্থতার কারণে মধ্যপ্রাচ্যে একটি প্রভাবশালী দেশ হিসাবে বিবেচিত।

কাতার মধ্যপ্রাচ্যে বাংলাদেশের অন্যতম শ্রমবাজার, যেখানে প্রায় চার লাখ বাংলাদেশি কর্মরত। পাশাপাশি বিপুল পরিমাণ সার্বভৌম তহবিলের অধিকারী কাতার বাংলাদেশের জন্য একটি সম্ভাবনাময় বিনিয়োগের উৎস হিসাবে বিবেচিত। তদুপরি কাতার বাংলাদেশের জন্য জ্বালানি আমদানির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উৎস। কাতারের আমিরের আসন্ন সফর তাই দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের জন্যে এক বিরাট মাইলফলক।


আরও খবর



বিএনপি নেতাদের সঙ্গে দেখা করবেন না ডোনাল্ড লু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

Image

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু ঢাকা সফরে আসছেন আজ। ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পর মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের উচ্চপর্যায়ের কোনো কর্মকর্তার এটি প্রথম সফর।

লুর এই সফরকে ঘিরে কয়েকদিন ধরেই আলোচনা চলছে দেশের রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক অঙ্গনে। তবে এবারের সফরে বিএনপিসহ রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কোনো বৈঠক করবে না বলে জানা গেছে। কী কারণে এমন সিদ্ধান্ত বিষয়টি জানতে চাওয়া হয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রেস ব্রিফিংয়ে।

সোমবার (১৩ মে, স্থানীয় সময়) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রেস সচিব বেদান্ত প্যাটেল বিষয়টি পরিষ্কার করেন সাংবাদিকের সামনে।

প্যাটেলের কাছে প্রশ্ন করা হয়, ১৭ মাসের মধ্যে বাংলাদেশে তৃতীয়বারের মতো সফর করছেন সহকারী সচিব। তার আগের দুটি সফরে তিনি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। কিন্তু এবারের সফরে বিএনপিসহ রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক না করার কোনো সুনির্দিষ্ট কারণ আছে কি না?

অপর আরেক প্রশ্নে জানতে চাওয়া হয়, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র অবস্থান পরিবর্তন করেছে কি না?

জবাবে এম আর প্যাটেল বলেন, আমাদের সরকারি কর্মকর্তারা কাদের সঙ্গে মিলিত হবেন বা হবেন না, তার মধ্যে অনেকগুলো কারণ রয়েছে - এর মধ্যে সফরের সময়সূচিসহ অন্যান্য অনেক বিষয় থাকে।

প্যাটেল আরও বলেন, সহকারী সেক্রেটারি লু দক্ষিণ এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশ– বিশেষ করে ভারত, শ্রীলঙ্কা এবং বাংলাদেশে যাচ্ছেন। তিনি প্রতিটি দেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা জোরদার এবং একটি মুক্ত, উন্মুক্ত এবং সমৃদ্ধ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের জন্য মার্কিন সমর্থনের বিষয়টি প্রদর্শন করছেন।

বাংলাদেশে তিনি সরকারি কর্মকর্তা, সুশীল সমাজের নেতা এবং অন্যান্য নাগরিকের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সহযোগিতাকে কীভাবে আরও গভীর করার যায় সে বিষয়ে কথা বলবেন। যার মাধ্যমে অর্থনৈতিক সম্পর্ককে আরও গভীর করা সহ জলবায়ু সমস্যা মোকাবিলায় আমরা আরও সহযোগিতা করতে পারব।

উল্লেখ্য, ডোনাল্ড লু এর আগে গত বছরের জুলাইতে সর্বশেষ বাংলাদেশ সফর করেন। সে সময় তিনি যুক্তরাষ্ট্রের বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি আজরা জেয়ার সঙ্গী হয়ে ঢাকায় আসেন। বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে এবং মার্কিন ভিসানীতিসহ নানামুখী তৎপরতার মধ্য দিয়ে সেই সফরটি আলোচিত ছিল।

এই সফরকে ঘিরে আবারও সরগরম রাজনৈতিক অঙ্গন। আওয়ামী লীগ বলছে, দুই দেশের সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিতে এ সফর গুরুত্বপূর্ণ। অন্যদিকে ডোনাল্ড লুর এই সফর নিয়ে কোনো আগ্রহই নেই, এমন দাবি বিএনপির।

তবে তার এবারের সফর যতটা না রাজনৈতিক তার চেয়েও বেশি কূটনৈতিক বলে জানিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর। আলোচনা হবে জলবায়ু সংকট ও দ্বিপক্ষীয় অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদারের বিষয়ে। এ ছাড়া সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গেও বৈঠক করবেন তিনি।


আরও খবর