আজঃ শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

থাইল্যান্ডে একটি বৌদ্ধমন্দিরের সব সন্ন্যাসী মাদকাসক্ত

প্রকাশিত:বুধবার ৩০ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ নভেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

থাইল্যান্ডের একটি বৌদ্ধমন্দিরে সন্ন্যাসীরা মাদক গ্রহণ করেন কি না, তা জানতে পরীক্ষা চালানো হয়েছিল। ওই পরীক্ষায় কেউ কৃতকার্য হননি। তাই সন্ন্যাসীদের সবাইকে পাঠানো হয়েছে মাদক নিরাময়কেন্দ্রে। বার্তা সংস্থা এএফপির বরাতে এ খবর জানিয়েছে বিবিসি।

মন্দিরটির অবস্থান মধ্য থাইল্যান্ডের ফেটচাবুন প্রদেশের বুং সাম ফান জেলায়। সেখানে মোট চার জন সন্ন্যাসী ছিলেন। গতকাল সোমবার তাঁদের সবার শরীরে মেথামফেটামিন নামের এক ধরনের মাদকের উপস্থিতি পাওয়া যায়। মাদকাসক্ত হিসেবে শনাক্ত হওয়ার পর ওই চার সন্ন্যাসীর ধর্মীয় আচারে অংশ নেওয়ার ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া হয়েছে।

বুং সাম ফান জেলার কর্মকর্তা বোনলার্ট থিনটাপথই বলেন, ওই মন্দিরে এখন কোনো সন্ন্যাসী নেই। ধর্মীয় আচার কীভাবে পালন করবেন, তা নিয়ে স্থানীয়রা চিন্তায় রয়েছেন। তবে ওই মন্দিরে অন্য সন্ন্যাসীদের পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।

থাইল্যান্ডে মাদক বেশ সহজলভ্য। ২০ ভাট (প্রায় ৬০ টাকা) খরচ করলে রাস্তাঘাটেই পাওয়া যায় মেথামফেটামিনের একটি ট্যাবলেট। জাতিসংঘের মাদক ও অপরাধবিষয়ক দপ্তরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, মিয়ানমার থেকে মাদক পাচারের জন্য মূল পথগুলোর একটি থাইল্যান্ড।


আরও খবর



খারকিভে ‘কঠিন লড়াই’ চলছে: জেলেনস্কি

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন দেশটির খারকিভ শহর ঘিরে কঠিন লড়াই চলছে। তিনি বলেছেন, পরিস্থিতি অত্যন্ত কঠিন, তবে তা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১৬ মে) খারকিভের শীর্ষস্থানীয় সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপের পর জেলেনস্কি এসব কথা বলেন।

এর আগে গত সপ্তাহে ইউক্রেনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় খারকিভ সীমান্তে আকস্মিক অভিযান শুরু করে রুশ বাহিনী। ইতোমধ্যে তারা বেশকিছু এলাকা নিজেদের দখলে নিয়েছে, যা গত ১৮ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ বলে মনে করা হচ্ছে।

ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি বলছে, বার্তা আদান-প্রদানের অ্যাপ টেলিগ্রামে জেলেনস্কি লিখেছেন, ইউক্রেনের সেনারা রুশ বাহিনীর উল্লেখযোগ্য ক্ষতি করার চেষ্টা করছে। এলাকাটির বর্তমান পরিস্থিতি ভয়াবহ। সেখানে আমাদের আরও সেনা মোতায়েন করা হচ্ছে।

মূলত ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে হামলার শুরুতেই খারকিভ শহরের উপকণ্ঠে পৌঁছে যায় রুশ বাহিনী। তবে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর তীব্র প্রতিরোধের মুখে তারা আবারও সীমান্তে ফিরে যেতে বাধ্য হয়। নতুন করে খারকিভ সীমান্তে রাশিয়ার আকস্মিক হামলায় কিছুটা হকচকিত হয়ে পড়ে সেনা ও অস্ত্র সংকটে ভুগতে থাকা ইউক্রেনীয় বাহিনী।

২০২২ সালের মধ্য ডিসেম্বরের পর এই প্রথম ভূখণ্ড দখলে বড় সাফল্য পেয়েছে রুশ বাহিনী। বুধবারও খারকিভের দুটি গ্রাম দখলে নেয়ার দাবি করেছে রাশিয়া। ইনস্টিটিউট ফর দ্য স্টাডি অব ওয়ারের তথ্য বিশ্লেষণ করে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, ৯ থেকে ১৫ মে পর্যন্ত ইউক্রেনের ২৭৮ বর্গ কিলোমিটার এলাকা দখলে নিয়েছে রাশিয়া।

তবে ইউক্রেনের দাবি, কিছু কিছু স্থানে রুশ বাহিনীকে তারা প্রতিরোধ করতে সক্ষম হয়েছে। ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাজার ভলোশিন বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে বলেন, তাদের সেনারা রুশ দখলদার বাহিনীর তৎপরতা উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে এনেছে। তবে শত্রুরা অগ্রসর হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।


আরও খবর



সনদ জালিয়াতি: অভিযুক্ত সাংবাদিকরা ডিবির মুখোমুখি হতে পারেন

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সার্টিফিকেট জালিয়াত চক্রের মূলহোতা বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সিস্টেম এনালিস্ট প্রকৌশলী এ কে এম শামসুজ্জামান যেসব সাংবাদিকের নাম বলেছেন সেসব সাংবাদিক চাইলে তার মুখোমুখি হতে পারেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

শনিবার (১১ মে) নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন ডিবিপ্রধান।

মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে জালিয়াতির সঙ্গে জড়িতদের নাম বলেছেন এ কে এম শামসুজ্জামান। সার্টিফিকেট জালিয়াতির ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে সাংবাদিক, দুদক কর্মকর্তা ও বোর্ডের চেয়ারম্যানের আশপাশে থাকা দালাল শ্রেণির লোকদের মোটা অংকের অর্থ দিতেন তিনি।

ডিবিপ্রধান বলেন, সাংবাদিকরা ডিবির শত্রু বা প্রতিপক্ষ নয়। আমরা অন্যায়ভাবে কোনো সাংবাদিকদের নাম বলতে চাই না। শামসুজ্জামান গুটিকয়েক সাংবাদিকের নাম বলেছেন। কখন কোন সাংবাদিককে কোথায় কত টাকা দিয়েছেন তা সবকিছু স্বীকার করেছেন তিনি।

তিনি বলেন, যেসব সাংবাদিকের নাম এসেছে তারা চাইলে শামসুজ্জামানের মুখোমুখি হতে পারেন অথবা ডিবির মুখোমুখিও হতে পারেন। যদি তাদের (সাংবাদিকদের) স্বপক্ষে কোনো প্রমাণ থাকে, তা উপস্থাপন করতে পারেন। যাদের নাম এসেছে প্রয়োজন হলে আমরাও তাদের সঙ্গে কথা বলবো। সার্টিফিকেট বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনা হবে এবং তাদের যথাযথ কর্তৃপক্ষকে চিঠি পাঠাবো।

শামসুজ্জামানকে জিজ্ঞাসাবাদে যাদের নাম আসছে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের আওতায় আনা হবে কি না জানতে চাইলে ডিবিপ্রধান বলেন, ঈদের আগে যখন প্রথম রিমান্ডে ছিল তখন এক সাংবাদিক শামসুজ্জামানের মোবাইলে ফোন করে বলেন, ঈদ চলে এসেছে টাকা কবে দেবেন? সেই মুহূর্তে শামসুজ্জামানকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়, তোমার কাছে সাংবাদিক টাকা চাইছে কেন? তখন শামসুজ্জামান আমাদের কাছে খোলামেলা জানান, তার এ পদ ধরে রাখার জন্য তাকে অনেককে ম্যানেজ করতে হয়েছে। তাদের ম্যানেজ না করলে এ পদ থেকে সরিয়ে দিতো।

রিমান্ডে থাকা শামসুজ্জামান গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ডিবির কাছে দিয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সচিব ও সংশ্লিষ্টদের সবকিছু জানানো হবে। এছাড়া বুয়েটের অভিজ্ঞদের সঙ্গে নিয়ে কতগুলো সার্টিফিকেট ও মার্কশিট তৈরি করে তারা বিক্রি করেছেন সবগুলো বিষয় তদন্তে চলবে।

ডিবিপ্রধান বলেন, জালিয়াতির অভিযোগে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে শামসুজ্জামানের বিরুদ্ধে তিন সদস্যদের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। উচ্চপর্যায়ের এ তদন্ত কমিটির কাছে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ও ডিজিটাল তথ্য থাকার পরেও তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বিলম্ব করে। অভিযুক্ত শামসুজ্জামান কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চাকরিচ্যুত ফয়সালকে দিয়ে একটি বাসা ভাড়া করে সার্টিফিকেট ও মার্কশিট তৈরি করছিল। জাল সার্টিফিকেট ও মার্কশিট বোর্ডের ওয়েবসাইটে তারা আপলোড করেন। যা দেশ ও দেশের বাইরে থেকে যাচাইয়ের জন্য বৈধ বলে ওয়েবসাইট থেকে প্রমাণ করতো।

তিনি বলেন, দুদকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তাদের তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি রয়েছে। দুদক সম্পর্কে শামসুজ্জামান যা বলেছেন যদি সেগুলো দুদক যাচাই-বাছাই করতে চায় তবে তারা প্রয়োজন মনে করলে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে।

দুদকের কর্মকর্তারা কীভাবে জড়িত। এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কারিগরি বোর্ডের চেয়ারম্যানের চারপাশে দালাল শ্রেণির লোক, শিক্ষা বিটের সাংবাদিক এবং দুদকের তদন্ত কর্মকর্তা যদি শামসুজ্জামানের সঙ্গে থাকে তবে সে তার সার্টিফিকেট বাণিজ্য আরও বড় আকারে করতে পারে। এ উদ্দেশ্যে সে ফয়সালকে সঙ্গে নিয়ে তার বাসার ভেতর সার্টিফিকেট বাণিজ্যের কারখানা গড়ে তুলেছিল।


আরও খবর



৯ মাসে মুনাফা বেড়েছে ৫১২ কোটি টাকা

দৃঢ় নেতৃত্বে রেকর্ড ও টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জন করছে ওয়ালটন

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

দৃঢ় নেতৃত্বের মাধ্যমে বিগত বছরগুলোর প্রতিকূলতা কাটিয়ে রেকর্ড ও টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জন করে চলেছে পুঁজিবাজারে প্রকৌশল খাতের তালিকাভুক্ত কোম্পানি ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি। চলতি বছর ওয়ালটন পণ্যের বিক্রয় বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। যার প্রেক্ষিতে চলতি হিসাববছরের প্রথম ৯ মাসে (জুলাই ২০২৩-মার্চ ২০২৪) আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ওয়ালটন হাই-টেকের মুনাফা বেড়েছে ৫১২.৪২ কোটি টাকা বা ২০৫ শতাংশ। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির মুনাফা ব্যাপক বৃদ্ধিসহ আর্থিক প্রায় সব সূচকেই উন্নতি হয়েছে।  

ওয়ালটন হাই-টেকের চলতি হিসাববছরের জুলাই-২০২৩ থেকে মার্চ-২০২৪ পর্যন্ত সময়ের প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানা গেছে।

রোববার (২১ এপ্রিল) কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের ৩৮তম সভায় আলোচ্য সময়ের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর আর্থিক ফলাফল প্রকাশ করা হয়।

প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩-২০২৪ হিসাববছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত সময়ে অর্থাৎ প্রথম নয় মাসে কোম্পানিটির মুনাফার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৭৬২.৩৪ কোটি টাকা। যেখানে আগের হিসাব বছরের একই সময়ে প্রতিষ্ঠানটির মুনাফা হয়েছিল ২৪৯.৯১ কোটি টাকা। সেই হিসাবে আলোচ্য সময়ে প্রতিষ্ঠানটির মুনাফা বেড়েছে ৫১২.৪২ কোটি টাকা। শতকরা হিসেবে প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ২০৫ শতাংশ।

এদিকে, চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ ২০২৪) ওয়ালটনের মুনাফা হয়েছে ৪২১.৯৮ কোটি টাকা। আগের হিসাববছরের একই সময়ে প্রতিষ্ঠানটির মুনাফা হয়েছিল ২৩৫.৫৫ কোটি টাকা।

বিক্রয় বৃদ্ধির পাশাপাশি কস্ট অব গুড্স সোল্ড উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পাওয়ায় কোম্পানিটির মোট মুনাফার শতকরা হার পূর্বের তুলনায় বৃদ্ধি হয়েছে। পাশাপাশি অন্যান্য আর্থিক সূচকেও ব্যাপক উন্নতি হয়েছে ওয়ালটন হাই-টেকের। তাছাড়া মার্কিন ডলারের বিপরীতে বাংলাদেশি মুদ্রার মান কমে যাওয়ার ফলে সৃষ্ট আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ব্যাপক হারে হ্রাস পাওয়ায় কোম্পানিটির কর পরবর্তী নিট মুনাফার পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি মুনাফা (ইপিএস), শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস)।

প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত সমাপ্ত সময়ে (জুলাই ২০২৩-মার্চ ২০২৪) প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার প্রতি মুনাফা (ইপিএস) বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫.১৭ টাকা; যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৮.২৫ টাকা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানির এনএভিপিএস পুনর্মূল্যায়ন ব্যতীত দাঁড়িয়েছে ২৫৮.২২ টাকা এবং পুনর্মূল্যায়নসহ ৩৫৯.৬৮ টাকা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ২২.৮৮ টাকা।

চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিক শেষে কোম্পানির আর্থিক ব্যয়ের পরিমাণ ও শতকরা হার আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় অনেকাংশে হ্রাস পেয়েছে। প্রথম নয় মাসে বিক্রয়ের বিপরীতে আর্থিক ব্যয়ের শতকরা হার দাঁড়িয়েছে ৬.১৪ শতাংশ। যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১৪.৭৯ শতাংশ।

এ ছাড়াও মার্কিন ডলারের বিপরীতে বাংলাদেশি মুদ্রার মান কমে যাওয়ায় গত অর্থ বছরের প্রথম নয় মাসে কোম্পানিটি ৩৯২.৭৩ কোটি টাকার সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রার আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছিল। সেই ক্ষতি চলতি বছরের আলোচ্য সময়ে উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পেয়ে মাত্র ৪১.৬০ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে।

এদিকে জুলাই-২০২৩ থেকে মার্চ-২০২৪ পর্যন্ত সময়ে কোম্পানির মোট আর্থিক ব্যয়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৬৩.০৭ কোটি টাকা, যা পূর্বের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৬০৪.৭৯ কোটি টাকা। এ ছাড়া, শেষ প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন ২০২৪) কোম্পানির মুনাফা আরো দৃঢ় অবস্থানে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন ওয়ালটন ম্যানেজমেন্ট। 


আরও খবর



বাবার চিকিৎসায় কিডনি বিক্রি করতে চান জবি শিক্ষার্থী!

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

বাবার চিকিৎসার জন্য কিডনি বিক্রি করতে চায় ছেলে ফাতেহ আলী খান আকাশ। তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) সংগীত বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের (১১ ব্যাচ) শিক্ষার্থী। বাবা হায়দার আলী খান বর্তমানে হৃদরোগের সমস্যা নিয়ে জীবনের সঙ্গে লড়ছেন।

মঙ্গলবার (১৪ মে) রাতে এ শিক্ষার্থী নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে কিডনি বিক্রি করার জন্য সহযোগিতা চেয়ে একটি পোস্ট দেন। পোস্টটি দ্রুতই ভাইরাল হয়ে যায়।

ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, 'আব্বুর হার্টে ব্লক ধরা পড়েছে। অক্সিজেন মিটার ৩৫% এ নেমে আসছে। জরুরি ভর্তি করাতে হবে। ডাক্তার বলছে পেইসমেকার লাগাতে হবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব। কিন্তু এই মুহুর্তে পেইসমেকার লাগানোর মত এত টাকা আমার কাছে নাই। তাই আমি আমার একটা কিডনি বিক্রি করে দিতে চাচ্ছি। ঢাকায় কোথায় কিডনি বিক্রি হয়? এক কিডনি নিয়ে বেঁচে থাকতে পারবো, আব্বুকেও বাঁচাতে পারবো।'

এ বিষয়ে ফাতেহ আলী খানের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, আজ (বুধবার) সকালে বাবাকে শেরে বাংলায় হৃদ্‌রোগ হাসপাতালে ভর্তি করাবো। সেখানে বাবার চিকিৎসা শুরু হবে। বাবার শরীরে পেসমেকার লাগানোর কথা বলছেন চিকিৎসকেরা। কিন্তু এ মুহূর্তে পেসমেকার লাগানোর মতো টাকা আমার কাছে নেই। সেজন্যই কিডনি বিক্রি করার জন্য ফেসবুকে আমার পোস্ট দেওয়া। আমার কিডনি বিক্রি করে হলেও বাবার চিকিৎসা করাতে চাই।

এবিষয়ে ফাতেহ আলীর বন্ধু মহিউদ্দিন রিফাত বলেন, গান পাগল ছেলে বন্ধু ফাতেহ আলী খান আকাশ। সারাদিন গান নিয়ে মেতে থাকে। পড়াশোনা করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগে। কতটা অসহায় পরিস্থিতির স্বীকার হলে ছেলে তাঁর বাবার জন্য নিজের কিডনি বিক্রি করতে চায়? আকাশের বাবা (হায়দার আলী খান) আঙ্কেলের জীবন বাঁচতে সবাইকে মানবিক সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসতে অনুরোধ করছি।

তিনি আরও বলেন, সাহায্য পাঠানোর জন্য ফাতেহ আলী খানের বিকাশ: 01799510783, নগদ: 01603581638, ডিবিবিএল: 7017341975820 এ নাম্বারগুলো ব্যবহার করা যাবে।

উল্লেখ্য, ফাতেহ আলী খান ক্যাম্পাসে গানের জন্য জনপ্রিয় এছাড়া তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) বিভিন্ন ব্যান্ড দলের সমন্বয়ে গঠিত ব্যান্ড মিউজিক এসোসিয়েশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক।


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪

একাদশের ক্লাস শুরু ৩০ জুলাই

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




বিএনপি রাজনীতি করছে পরিবর্তনের জন্য: মঈন খান

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, দেশকে নতুন করে গড়ে তুলতে চাইলে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে। বিএনপি রাজনীতি করছে পরিবর্তনের জন্য। শনিবার (৪ মে) সকালে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক প্রেসিডেন্ট শহীদ জিয়াউর রহমানের মাজার জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

ড. আবদুল মঈন খান বলেন, ১৫ বছরের একদলীয় শাসন, বাকশালের কারণে দেশের মানুষ আজ নির্যাতিত। তাদের মানবাধিকার, ভোটের অধিকার নেই। দেশে একদলীয় শাসন চলতে পারে না। কারণ এই শাসনে জনগণ বিশ্বাস করে না। দেশের মানুষ অর্থনৈতিক সাম্য ফিরে পেতে চায় কিন্তু সরকার মুষ্টিমেয় কয়েকজনের হতে সব সম্পদ কুক্ষিগত করার ব্যবস্থা করে দিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে জনগণ কিছু বলেনি। জনগণ যা বলার সরাসরি বলছে। তাহলে ষড়যন্ত্রের কথা বলা হচ্ছে কেন? সরকার কি জনগণকে ভয় পায়? ডান বাম সবাই বলছে সরকার এদেশকে ধ্বংস করে দিয়েছে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক মো. আবদুস সালাম, জয়নুল আবদিন ফারুক, বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক জেড রিয়াজ উদ্দিন খান নসু, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জামাল, ওলামা দলের সাবেক আহ্বায়ক মাওলানা শাহ মোহাম্মদ নেছারুল হক, ওলামা দলের নতুন কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক মাওলানা কাজী মো. সেলিম রেজা, সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট মাওলানা আবুল হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মাওলানা মো. আলমগীর হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক মাওলানা ক্বারী গোলাম মোস্তফা, যুগ্ম আহ্বায়ক মাওলানা মো. দেলোয়ার হোসেইনসহ সাবেক কমিটির শতাধিক নেতাকর্মী।


আরও খবর