আজঃ শনিবার ১৮ মে ২০২৪
শিরোনাম

টিকানো গেল না বাঁধ, ফসল তলিয়ে সারা

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ এপ্রিল ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ১৮ এপ্রিল ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বাঁধ বাঁচাতে টানা ১৭ দিন পানির সঙ্গে যুদ্ধ করেছেন সুনামগঞ্জ প্রশাসন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা, পিআইসি ও হাওরপাড়ের মানুষ। কিন্তু, হলো না শেষ রক্ষা। গুরমার হাওরের বাঁধ ভেঙে তলিয়ে গেল হাজার হাজার হেক্টর ফসল। চোখের সামনেই যেন ডুবে গেল কৃষকের স্বপ্ন। স্থানীয় কয়েকটি সূত্রে জানা যায়।  ওয়াচ টাওয়ার-সংলগ্ন বাঁধের ওপর দিয়েও গুরমা হাওরে পানি প্রবেশ শুরু করে।

সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা যায়, সেসময় সুনামগঞ্জে সুরমা নদীর পানির উচ্চতা ছিল পাঁচ দশমিক ৮৭ মিটার। গত ২৪ ঘণ্টায় সুরমা নদীর পানি বেড়েছে ৪০ সেন্টিমিটার। এ ছাড়া জেলার সীমান্তবর্তী যাদুকাটায় এ সময়ে পানি বেড়েছে ৭১ সেন্টিমিটার ও পাটলাই নদে ৪৩ মেন্টিমিটার। এ ছাড়া সুনামগঞ্জে ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টি হয়েছে ১৩ মিলিমিটার।

জানা গেছে, জেলার তাহিরপুরের টাঙ্গুয়ারের নজর খালী বাঁধটি গত ১ এপ্রিল ভেঙ্গে যায়। এরপর টাঙ্গুয়ার হাওরের পাশের গুরমার হাওরের বাঁধ রক্ষায় রাতদিন প্রশাসনের সঙ্গে হাওরে কাজ করেছেন এলাকাবাসীও। ফসল বাঁচাতে তাঁরা ছিলেন মরিয়া। বাঁধ রক্ষায় স্থানীয় কৃষক, প্রশাসনের কর্মকর্তা, পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা ও পিআইসির মানুষ রোজার মধ্যেও নেননি বিরতি। ইফতার থেকে সেহরি, সার্বক্ষণিক বাঁধের নজরদারীতে থাকতেন তাঁরা। এক রকম পানির সঙ্গে যুদ্ধ করছিলেন নিজেদের সম্বল ফসল রক্ষায়। কিন্তু, গত কয়েকদিনের টানা ভারি বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের চাপ সামলাতে না পেরে বিকেলে তাহিরপুরের টাঙ্গুয়ার হাওরের পাশের গুরমার হাওরের বাঁধটি ভেঙে যায়। এতে করে দুই হাজার হেক্টর বোরো ফসল তলিয়ে যাবার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, গত ১৭ দিন এই বাঁধ টিকাতে সর্বাত্মক চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু, প্রকৃতির সঙ্গে যুদ্ধ করে বাঁধ রক্ষা করা যায়নি। তবে, বাকি যে হাওরগুলো আছে, সেগুলো রক্ষা করতে সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে। পানি গুরমার হাওরের যতটা না ক্ষতি হবে, তার থেকে বেশি ধর্মপাশা ও জামালগঞ্জের হাওরের ফসলের ক্ষতি হবে। আর গুরমার হাওরের বাঁধ ভেঙে যওয়ায় কৃষক বাঁধ রেখে হাওরে আধাপাকা ধান কাটতে চলে গেছেন।

এর আগে প্রশাসন সুনামগঞ্জে আকস্মিক বন্যার সতর্কতা জারি করে। ১০ থেকে ১৭ এপ্রিল ভারি বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা করা হয়। এ সময় কৃষকদেরকে ৮০ শতাংশ পাকা ধান কাটারও নির্দেশ দেওয়া হয়।

সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জহিরুল ইসলাম বাঁধ ভাঙার খবর নিশ্চিত করে বলেন, নদ-নদীতে গত তিন দিন ধরে পানি বাড়ছে। আপরমারা বাঁধ উপচে সকাল থেকে পানি প্রবেশ করছে। এই বাঁধটি রামসার নীতিমালার কারণে পাউবো সেখানে কাজ করে না।’

জানা গেছে, গুরমা এক্সটেনশন বাঁধে এবার ১৩টি পিআইসি কাজ করেছে। বরাদ্দ ছিল প্রায় আড়াই কোটি টাকা।

নিউজ ট্যাগ: গুরমার হাওর

আরও খবর



ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কেন্দ্র দখলের চেষ্টা, পোলিং অফিসারকে মারধর

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোঃ রাসেল আহমেদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

Image

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসরিনগরে প্রথম দফার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চাতলপাড় ইউনিয়নের এক ভোটকেন্দ্র দখলের চেষ্টার সময় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় একজন পোলিং অফিসার গুরুতর আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। 

বুধবার বেলা ১১টার দিকে রতনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় কেন্দ্র দখল করে ভোট দেওয়ার চেষ্টা করে চশমা প্রতীকের প্রার্থী উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান  শেখ হুমায়ুন ও তার কর্মী সমর্থকরা।

এ ঘটনায় একজন পোলিং অফিসার গুরুতর আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রটির প্রিসাইডিং অফিসার পলাশ সরকার। আহত পোলিং অফিসের নাম মো. ফয়সাল আহমদ। তিনি চাতলপার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।

স্থানীয় ও পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, চাতলপাড় ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড রতনপুর কেন্দ্রে ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী শেখ হুমায়ূনের পক্ষের লোকজন পূর্বপ্রস্তুতি নিয়ে কেন্দ্রের দখল নিতে চায়। সকাল ১০টার দিকে কেন্দ্র দখল করতে গেলে পোলিং অফিসার প্রথমে বাধা দেন। তখন তারা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করে ওই কেন্দ্রের পোলিং অফিসারের ওপর। এ ঘটনায় কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ প্রায় ৩০ মিনিট বন্ধ থাকার পর আবার শুরু হয়।

স্থানীয় বাসিন্দা আসাদুল করিম রানা বলেন, কেন্দ্রের ভেতর অবৈতনিক সুবিধা না পেয়ে পোলিং অফিসারকে মারধর করা হয়েছে। এটা খুবই অন্যায়।

নাসিরনগর উপজেলা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শহীদুল ইসলাম জানান, ভোট কেন্দ্রে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার কথা শুনেছি, এখন নির্বাচনী পরিবেশ স্বাভাবিক রয়েছে।


আরও খবর



জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) গাছের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় জিসান আহম্মেদ নামের এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের আল-বেরুনী হলের কর্মচারী মো. নজরুল ইসলামের মেজো ছেলে৷

সোমবার (৬ মে) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের সালাম বরকত ও তাজউদ্দিন হলগামী সড়কের পার্শ্ববর্তী একটি গাছে একজনকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান পথচারীরা। পরে পুলিশে খবর দিলে আশুলিয়া থানার পুলিশ এসে মৃতদেহটি উদ্ধার করে।

আল-বেরুনী হলের কর্মচারীদের সূত্রে জানা গেছে, জিসান পরিবারের সঙ্গে ক্যাম্পাসের পার্শ্ববর্তী কলাবাগান এলাকায় আনসার ক্যাম্পের পেছনে থাকতেন। তাদের পৈত্রিক নিবাস শেরপুর জেলার সদর থানায়। স্থানীয় একটি কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত পড়াশোনা শেষে তিনি একটা গরুর খামার দেখাশুনা করতেন। পারিবারিক কলহের জেরে তিনি আত্মহত্যা করতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

মৃতের পিতা নজরুল ইসলাম বলেন, সে সন্ধ্যার সময় বাসা থেকে বেরিয়েছিল এবং আনুমানিক রাত সাড়ে ৯টার দিকে বাসায় ফেরে। তার মা তাকে বলছিল, এতো রাতে কোথায় ছিলি, গরুগুলোকে এখনো পানি খাওয়ানো হয়নি। এনিয়ে তার মায়ের সঙ্গে একটু রাগারাগি হয় এবং সে বাসা থেকে বেরিয়ে যায়। পরে রাতে তাকে অনেক খোঁজাখুঁজি করা হলেও কোথাও পাওয়া যায়নি।

এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এ ছেলে কোনো ধরনের অপকর্মের সঙ্গে যুক্ত ছিল না, নেহাত ভদ্র ছেলে। কিন্তু এ রকম কেনো করলো, তারা বুঝতে পারছে না।

ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা শাখার প্রধান সুদীপ্ত শাহীন বলেন, এই ছেলেকে আমি ব্যাক্তিগতভাবে চিনি। সে খুবই ভদ্র ছেলে। মায়ের সঙ্গে একটু কথা কাটাকাটি হলে সে ঘর থেকে বেরিয়ে যায়। পরে তার খোঁজ করেও পাওয়া যায় নি। এখানে তার পরিবারের কারো কোনো অভিযোগ নেই। এলাকাবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে পুলিশ অপমৃত্যুর মামলা নিয়ে লাশ দাফনের অনুমতি দিয়েছে।

তিনি আরও জানান, আনসার ক্যাম্পের পিছনে ঘটনাস্থল হওয়ায় তাদের এখানে থেকে সরাসরি দেখা যায়। আমি এসে দেখে পুলিশকে খবর দেই। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে গাছ থেকে মরদেহ নামায়।

আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জিএম আসলামুজ্জামান জানান, এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হবে। পরিবার ও এলাকাবাসীর কোনো অভিযোগ না থাকায় মরদেহ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে কোনো অভিযোগ পাওয়া গেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




মোটরসাইকেলের গতিসীমার বিষয়ে যা বললেন ডিএমপি কমিশনার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন, গাড়ির চালক রাস্তার অবস্থা বুঝে গাড়ি চালাবেন। ঢাকা মহানগরীতে বড় গাড়ির জন্য ৪০ কিলোমিটার এবং মোটরসাইকেলের জন্য ৩০ কিলোমিটার গতি নির্ধারণ করা হলেও ঢাকা মহানগরীতে বৈধ ওভারটেকিংয়ের কোথাও ব্যবস্থা নেই। পরিস্থিতি বুঝে  বুদ্ধিমত্তা প্রয়োগ করে ওভারটেকিং করলে সমস্যা হবে না।

মঙ্গলবার (১৪ মে) দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত ট্রাফিক সেফটি অ্যাওয়ারনেস প্রোগ্রাম ও রোড সেফটি স্লোগান প্রতিযোগিতা-২০২৪ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

গতিসীমা ভঙ্গ করলে মামলার বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, যেসব যাত্রীবাহী গাড়ি রয়েছে, সেসব গাড়িকে কোনো সার্জেন্ট আটকাবে না। তবে, সেই গাড়ি যদি গতিসীমা ভঙ্গ করে ও দুর্ঘটনা ঘটায় সেক্ষেত্রে আটকানো হবে।

তিনি বলেন, গেটলক চেকিং সিস্টেমে টার্মিনাল থেকে নির্দিষ্ট সংখ্যক যাত্রী নিয়ে বাস গন্তব্যে ছেড়ে যাওয়ার পর নির্দিষ্ট স্থান ছাড়া আর কোথাও দাঁড়াতে পারবে না। যত্রতত্র দাঁড়িয়ে যাত্রী ওঠা-নামা করলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

অনুষ্ঠানে আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রোফেসর ড. মো. মাহবুবুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) ঢাকা রোড সেফটি প্রজেক্টের প্রজেক্ট ডিরেক্টর মো. মুনিবুর রহমান ও অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক-অ্যাডমিন অ্যান্ড রিসার্চ) ঢাকা রোড সেফটি প্রজেক্টের প্রজেক্ট ম্যানেজার মো. জাহাঙ্গীর আলমসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



বন্যায় কেনিয়াতে ৭০ জনের মৃত্যু

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভারী বর্ষণ ও বন্যায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে কেনিয়া। গত মার্চের পর থেকে এখন পর্যন্ত দেশটিতে বন্যায় ৭০ জন মারা গেছে। দেশটির সরকারের একজন মুখপাত্র একথা জানিয়েছেন।

কেনিয়াসহ পূর্ব আফ্রিকার দেশগুলো চরম প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখোমুখি হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা এ অবস্থার জন্য জলবায়ু পরিবর্তনকে দোষ দিচ্ছেন।

গতকাল শুক্রবার এক এক্স বার্তায় কেনিয়া সরকারের মুখপাত্র আইজ্যাক মাউরা বলেন, বৃষ্টিবন্যায় নিহতের সংখ্যা ৭০ ছুঁয়েছে। চলতি সপ্তাহে রাজধানী নাইরোবিতে টানা বৃষ্টিতে ৩২ জনের প্রাণ গেছে।

এ ছাড়া দেশটির রিফ্ট ভ্যালি অঞ্চলে আরও ১৫ জনের প্রাণ গেছে। সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে শুক্রবার কেনিয়ার দুর্যোগ প্রতিক্রিয়া কমিটি বৈঠক করেছে।

সরকারি প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, কেনিয়ায় বন্যার কারণে ১ লাখ ২০ হাজারের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এছাড়া ২২ জন আহত হয়েছেন এবং আরও ৮ জন নিখোঁজ রয়েছেন।

কেনিয়া সরকার জরুরি সাড়া দেওয়ার জন্য ২ কোটি ৪৫ লাখ ডলারের তহবিল ছাড় করার চেষ্টা করছে। এ অর্থ দিয়ে অবকাঠামো সংস্কার, ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য জরুরিভিত্তিতে আবাসন তৈরি করা এবং খাদ্য সহায়তা দেওয়া হবে।

দেশটির শিক্ষা বিভাগের মুখ্যসচিব বেলিও কিপসাং জানান, বন্যায় নাইরোবিতে ৬৪টি সরকারি বিদ্যালয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

সরকারের পক্ষ থেকে দেশবাসীকে সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কেননা, আগামী দিনগুলোতেও কেনিয়াসহ পূর্ব আফ্রিকায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।

শুধু কেনিয়া নয়, পাশের দেশ তানজানিয়ায় বন্যাভূমিধসে অন্তত ১৫৫ জনের প্রাণ গেছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী কাসিম মাজালিওয়া গত বৃহস্পতিবার বলেন, দুর্যোগে ২ লাখের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তিনি আরও জানান, বন্যা ও ভূমিধসে বাড়ি, রাস্তাঘাট, সেতু, রেলপথ ও বিদ্যালয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কিংবা ভেঙে পড়েছে।


আরও খবর



ভারতকে নিষেধাজ্ঞার হুমকি যুক্তরাষ্ট্রের

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

তেহরানের চাবাহার বন্দর পরিচালনার জন্য ভারত ১০ বছরের চুক্তিতে স্বাক্ষরের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই নয়াদিল্লির বিরুদ্ধে সম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ওয়াশিংটন বলছে, ইরানের সঙ্গে বাণিজ্যিক কার্যক্রমের বিষয়ে বিবেচনা করছে, এমন যেকোনও দেশের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হতে পারে।

পাকিস্তান লাগোয়া ইরানের সীমান্তের কাছের কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ চাবাহার বন্দরের উন্নয়নের জন্য তেহরান-নয়াদিল্লির মাঝে ২০১৬ সালে একটি প্রাথমিক চুক্তি হয়। সোমবার এই বন্দরের উন্নয়ন ও পরিচালনার জন্য ইরানের সাথে দীর্ঘমেয়াদী চুক্তি স্বাক্ষর করেছে ভারত। ভারতের নৌপরিবহন মন্ত্রী এই চুক্তিকে ‘‘ভারত-ইরান সম্পর্কের ঐতিহাসিক মুহূর্ত’’ বলে অভিহিত করেছেন।

তবে ইরানের সাথে ভারতের চুক্তির বিষয়টিকে ভালোভাবে নেয়নি যুক্তরাষ্ট্র। ইরান-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির বিরুদ্ধে গত তিন বছরে ছয় শতাধিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ওয়াশিংটন।

মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে এই চুক্তির বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের উপ-মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেন, ইরানের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা এখনও বহাল রয়েছে এবং ওয়াশিংটন সেগুলোর প্রয়োগ অব্যাহত রাখবে।

তিনি বলেন, ‘‘যেকোনও ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যারাই ইরানের সাথে বাণিজ্যিক কার্যক্রমের বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা করছে; তাদের সম্ভাব্য ঝুঁকি সম্পর্কে জানতে হবে যে, তারা নিষেধাজ্ঞার সম্ভাব্য ঝুঁকির মাঝে নিজেদেরই উন্মুক্ত করে দিচ্ছে।’’

তবে ওয়াশিংটনের এই বিবৃতির বিষয়ে ভারতের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।

২০১৮ সালের শেষের দিকে ইরানের চাবাহার বন্দরের কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করে ভারত। বন্দরটি পাকিস্তানের স্থলপথ এড়িয়ে আফগানিস্তান এবং মধ্য-এশিয়ায় ভারতীয় পণ্য পরিবহন ও সরবরাহের একটি নতুন ট্রানজিট রুট খুলে দেয়। কর্মকর্তারা বলছেন, এখন পর্যন্ত চাবাহার বন্দরের মাধ্যমে ভারত থেকে আফগানিস্তানে ২৫ লাখ টন গম ও ২ হাজার টন ডাল পাঠানো হয়েছে।

ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান ইন্ডিয়ান পোর্টস গ্লোবাল লিমিটেড (আইপিজিএল) এবং ইরানের পোর্ট অ্যান্ড মেরিটাইম অর্গানাইজেশন চাবাহার বন্দরের উন্নয়নে দীর্ঘমেয়াদী এক চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে বলে সোমবার ভারতের নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

ইরানের সড়ক ও নগর উন্নয়নমন্ত্রী মেহরদাদ বজরপাশ বলেছেন, চুক্তি অনুযায়ী চাবাহার বন্দরের উন্নয়নে আইপিজিএল অতিরিক্ত ২৫০ মিলিয়ন ডলার অর্থায়নের পাশাপাশি আরও প্রায় ১২০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে। এর ফলে এই বন্দরে ভারতের মোট বিনিয়োগ দাঁড়াবে ৩৭০ মিলিয়ন ডলারে। আর ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছেন, চুক্তিটি চাবাহার বন্দরে বড় বিনিয়োগের পথ পরিষ্কার করবে।


আরও খবর