আজঃ শনিবার ১৮ মে ২০২৪
শিরোনাম

তিন চাকার যান নিয়ে অসহায় পুলিশ

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মার্চ ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

উত্তরাঞ্চল মহাসড়কে এখন বড় বিপদ ত্রিচক্র যান। দূরপাল্লার যানবাহনের সঙ্গে গতির পাল্লা দিয়ে চলছে এই ঝুঁকিপূর্ণ বাহনগুলো। শুধু তাই নয়, এসব অবৈধ যানের স্ট্যান্ডও করা হয়েছে মহাসড়কের ওপরই। প্রধান সড়কগুলোতে সকাল থেকে গভীর রাত অব্দি দেখা যাচ্ছে তিনচাকার যানবাহনের রাজত্ব।

বগুড়াসহ উত্তরের বিভিন্ন জেলার মহাসড়কে গত তিন বছরে সিএনজি, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও ভটভটি দুর্ঘটনায় মারা গেছে দুই শতাধিক মানুষ। আহত হয়েছে এক হাজারেরও বেশি। অর্থাৎ প্রতি সপ্তাহে দুজন করে মানুষ মারা যাচ্ছে এবং সাতজন আহত হচ্ছে। হাইওয়ে পুলিশ, যাত্রী কল্যাণ সমিতি ও বেসরকারি একাধিক এনজিওর তথ্য থেকে মিলেছে এই চিত্র।

যাত্রীকল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক জানান, সরকারি আদেশ অমান্য করে জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে অবাধে চলাচল করছে ইজিবাইক, সিএনজিসহ অন্য থ্রি-হুইলার। অতীতের চেয়ে এই চলাচল বেড়ে যাওয়ার কারণে অহরহ দুর্ঘটনায় মৃত্যু ও আহতের সংখ্যা লাফিয়ে বাড়ছে। এটা বন্ধ করা না গেলে সড়কে অরাজকতা কমবে না।

হাইওয়ে পুলিশ বগুড়া রিজিয়নের পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান জানান, তাদের সব রকমের চেষ্টার পরেও মহাসড়কে ত্রিচক্র যান চলাচল বন্ধ করা যাচ্ছে না। তারা প্রতিনিয়ন অভিযান চালাচ্ছেন, চালকদের সচেতন করছেন, মামলা দিচ্ছেন। কিন্তু তারপরেও এই যানের দৌরাত্ম কমছে না। উল্টো মহাসড়কে থাকা পুলিশ সদস্যরা দুর্ঘটনার শিকার হয়ে প্রাণ দিচ্ছেন।

তিনি বলেন, মহাসড়ক নিরাপদ করতে হলে এখন পুলিশের পাশাপাশি সাধারণ মানুষেরও উদ্যোগ নিতে হবে।

দেখা গেছে, বগুড়া-ঢাকা মহাসড়কের শাজাহানপুর উপজেলা অংশে মহাসড়ক দখল করে থাকে নিষিদ্ধ সিএনজিচালিত অটোরিকশা। এই সড়কেই রয়েছে সিএনজির একাধিক অবৈধ স্ট্যান্ড। সেখানে এলোমেলোভাবে পার্কিং করা হচ্ছে শতশত অটোরিকশা।

যাত্রীরা বলছেন, মহাসড়কে অটোরিকশা ওঠা নিষিদ্ধ হলেও সংশ্লিষ্ট দপ্তর তা বাস্তবায়নে ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে। আবার তিনজনের আসনে বসছেন পাঁচজন। যেখানে-সেখানে যাত্রী ওঠা-নামা করা হচ্ছে। এতে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।

আব্দুল কাদের নামে এক অটোরিকশাচালক বলেন, বগুড়া থেকে বিভিন্ন রুটে অন্তত তিনশ অটোরিকশা চলাচল করে। মহাসড়কের উভয়পাশ দিয়ে বগুড়া শহর এবং অন্য উপজেলার সঙ্গে যোগাযোগের শাখা সড়ক আছে। এতে সময় একটু বেশি লাগে, তবে দুর্ঘটনার আশঙ্কা কম থাকে। কিন্তু রিজার্ভ না নিলে কেউ ছোট সড়ক দিয়ে যাতায়াত করে না। মহাসড়কেই চলাচল করে।

উত্তরের জেলাগুলোর মধ্যে সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল, বগুড়ার শেরপুর, নন্দীগ্রামের কুন্দারহাট ও গোবিন্দগঞ্জের ফাঁসিতলায় রয়েছে হাইয়ের পুলিশের থানা ও ক্যাম্প। অভিযোগ রয়েছে এসব থানা ও পুলিশ ক্যাম্পে দায়িত্বরত কিছু অসাধু পুলিশ সদস্য মাসিক চুক্তির ভিত্তিতে অবৈধ যানবাহনকে মহাসড়কে চলাচলের সুযোগ দিয়ে থাকেন। যার কারণে গোপনে নয়, বরং প্রকাশ্যে শোডাউন করে দূরপাল্লার যানবাহনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলেন তারা। গতির দিক থেকেও বাস-ট্রাককে পেছনে ফেলে রীতিমতো ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করেন। আর বেপরোয়া গতির কারণে প্রায়ই বড় ধরনের দুর্ঘটনার মুখোমুখি হতে হয় যাত্রীদের।

অটোরিকশার যাত্রী শেরপুরের মীর্জাপুর গ্রামের আবুল হোসেন বলেন, মহাসড়কে চালকরা কারও কথা শোনেন না। তারা কেউই প্রশিক্ষিত নন। যাত্রীদের অনুরোধ উপক্ষো করে দ্রুতগতিতে চালানোর কারণে দুর্ঘটনা ঘটে।

আমেনা বেগম একটি এনজিওতে চাকরি করেন। তিনি বলেন, মহাসড়কে মাঝে মাঝে পুলিশকে তৎপর হতে দেখি। এটা হঠাৎ কেন আবার বন্ধ হয়ে যায়, সেটা বুঝতে কষ্ট হয় না। আসলে পুলিশের সঙ্গে চালকদের একটা মাসিক চুক্তি আছে। এটা অনেক চালক অবলীলায় স্বীকারও করেন। আবার কেউ স্বীকার করেন না। কিন্তু আমরা যারা নিয়মিত যাত্রী তারা মহাসড়কে পুলিশের এই হঠাৎ তৎপরতা বেশ ভালোই বুঝি। পুলিশ ব্যবস্থা নিলে ঝুঁকি অনেক কমে যেত।

শেরপুরের ধুনট মোড় এলাকার বাসিন্দা আকবর মিয়া বলেন, সকাল সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত স্ট্যান্ড এবং বাজারের মুখগুলোতে সিএনজি অটোরিকশা ঠাসাঠাসি করে থাকে। তিনজনের বসার আসন থাকলেও পাঁচজন যাত্রী নিয়ে চলাচল করে। যেখানে-সেখানে যাত্রী ওঠা-নামা করা হয়। বছরের পর বছর এই অবস্থা চলে আসছে। অথচ এই মহাসড়ক দিয়ে উত্তরাঞ্চলের ১১টি জেলার শতশত ভারী যানবাহন চলাচল করে। পাশেই হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা বিষয়গুলো দেখেও না দেখার ভান করে থাকেন।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে বগুড়ার শেরপুর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জয়নাল আবেদিন বলেন, মাসিক কোনো চুক্তি করা হয় না। আমরা সিএনজির বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছি। মামলা দিচ্ছি। আসলে এরা পুলিশের চোখে ফাঁকি দিয়ে চলাচল করে।

দেশের মহাসড়কগুলোতে দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি বেড়ে যাওয়ায় ২০১৫ সালের ১ আগস্ট থেকে সব মহাসড়কে থ্রি-হুইলার অটোরিকশা, অটোটেম্পু ও সব শ্রেণির অযান্ত্রিক যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ করে আদেশ জারি করে সরকার। আদেশ জারির পর পুলিশ অভিযান চালালেও এখন তা অনেকটাই কমে এসেছে।

বগুড়া জেলা অটোটেম্পু, অটোরিকশা ও সিএনজি পরিবহন মালিক সমন্বয় কমিটির সাবেক সভাপতি আসাদুর রহমান দুলু দাবি করেন, এ জেলায় সবমিলিয়ে অন্তত ২০ হাজার থ্রি-হুইলার সড়ক ও মহাসড়কে চলাচল করে। এতে অন্তত ৩০ হাজার মানুষের জীবিকার ব্যবস্থা হয়। তবে আমরাও চাই এটা চলাচলে শৃঙ্খলা ফিরে আসুক। এ বিষয়ে সবার আগে মহাসড়কে দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যদের স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করতে হবে।

সম্প্রতি বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলা সদরে গিয়ে দেখা গেছে, অন্ধকার মহাসড়কে শুধু সিএনজি অটোরিকশা নয়, ব্যাটারি ও পায়েচালিত রিকশা-ভ্যান চলাচল করছে। তাদের বেপরোয়া গতিতে চলাচলের কারণে দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে।

বিআরটিএ বগুড়া অফিসের সহকারী পরিচালক মাইনুল হাসান বলেন, দেশের ২২টি জাতীয় মহাসড়কে থ্রি-হুইলার চলাচল বন্ধে সরকারি নির্দেশ রয়েছে। মাঝে মাঝে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে জরিমানা করা হয়। অনেক সময় মহাসড়কে গিয়ে কোনো থ্রি-হুইলার গাড়ি দেখা যায় না। আবার কখনো কখনো এত গাড়ি থাকে যে অভিযান চালাতে আমাদের হিমশিম অবস্থায় পড়তে হয়।


আরও খবর



হিটস্ট্রোকে যে ফল ভুলেও খাওয়া যাবে না

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

হিটস্ট্রোক মানে হলো অতিরিক্ত গরমে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া, ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা ১০৪ -১০৫ ডিগ্রি ফারেনহাইটের ওপরে ওঠা, যা সাধারণত প্রচণ্ড জ্বরে হয়। হিটস্ট্রোকের ফলে অস্বাভাবিক মানসিক আচরণ দেখা দিতে পারে। যেমন কনফিউশান, বিড় বিড় করা, অসংলগ্ন কথাবার্তা বলা, হ্যালুসিনেশন, মাথাব্যথা হওয়া, ঝিম ঝিম করা, হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেরা।

হিটস্ট্রোকে মূলত শরীরের কুলিং সিস্টেম ফেইল করে। এতে ঘাম কমে গিয়ে শরীর শুষ্ক হয়ে যায়, বমি বমি ভাব হয়, শ্বাস-প্রশ্বাস দ্রুত হয়, হৃদস্পন্দন বেড়ে যায়, ডিহাইড্রেশনের ফলে ইলেকট্রোলাইটস ইম ব্যালেন্স হয়, মানুষ অজ্ঞান হয়ে যায়। এমনকি শুরু হতে পারে খিচুনি। মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

ফল কি হিটস্ট্রোকের জন্য উপকারী : ফল খাওয়া হিট স্ট্রোকের জন্য উপকারী হলেও কিছু ফল হিটস্ট্রোকে বিপদ ডেকে আনতে পারে। তাই হিট স্ট্রোকে কোন ফল উপকারী এবং কোন ফল অপকারী এটা না জেনে ফল খেলে হতে বিপরীত হয়ে যেতে পারে।

হিটস্ট্রোকে এড়াতে উপকারী ফল : কম ক্যালরি যুক্ত এবং কম চিনিযুক্ত রসাল ফল হিটস্ট্রোকের জন্য উপকারী। এর মধ্যে প্রথমেই রয়েছে শসা, জাম্বুরা, আনারস, তরমুজ। এ ছাড়া নাশপাতি, কাঁচাআম (সবুজ আম), কাঁচা পেঁপে (সবুজ পেঁপে) , আপেল, স্ট্রবেরি, গোলাপ, জাম্বুরা, লেবুও কম ক্যালরি যুক্ত ফল। এসব ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, যা শরীরের জন্য খুবই  উপকারী।

হিটস্ট্রোকের জন্য অপকারী বা ক্ষতিকর ফল : সাধারণত প্রচুর চিনিযুক্ত ফল এবং উচ্চ ক্যালরি উৎপন্নকারী ফল যেমন পাকা কাঁঠাল, পেয়ারা, পাকা আম, আঙুর, লংগান, লিচু, পাকা কলা, পাকা পেঁপে (হলুদ পেঁপে), প্যাশন ফল, লাল ডালিম, মিষ্টি তেঁতুল, পেয়ারা। মনে রাখবেন পাকা পেঁপে ও পাঁকা কাঁঠাল হিট স্ট্রোকের বিপত্তি বাড়িয়ে দেবে এবং গরম পানীয় যেমন চা ও কফি পান করা যাবে না।

হিটস্ট্রোকে করণীয় : শরীরকে ঠান্ডা করা অর্থাৎ ঠান্ডা পানি দিয়ে মুছে দেওয়া বারবার, ছায়া ও বাতাসযুক্ত স্থানে বসা, ঠান্ডা পানি দিয়ে তোয়ালে বা গামছা ভিজিয়ে ঘাড় মাথা, উরু স্পঞ্জিং করা। ঘাড়ে ঠান্ডা পানিতে ভিজানো রুমাল রাখা যেতে পারে। ডিহাইড্রেশন ও পিপাসা কমাতে নরমাল ঠান্ডা পানি, লেবুর শরবত এবং খাবার স্যালাইন খুবই উপকারী। তবে খাবার স্যালাইন নিয়মমতো বানাতে হবে।


আরও খবর



শিল্পী সমিতির নির্বাচন: ভোটগ্রহণ শেষ, চলছে গণনা

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনের ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়ে এক ঘণ্টা বিরতি দিয়ে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলে।

২০২৪-২৬ মেয়াদের এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে দুটি প্যানেল। একটিতে আছেন মিশা সওদাগর ও মনোয়ার হোসেন ডিপজল। অন্যটিতে সোনালি দিনের নায়ক মাহমুদ কলি ও চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার।

মাহমুদ কলি-নিপুণ পরিষদ থেকে সহ-সভাপতি পদে লড়ছেন ড্যানি সিডাক ও অমিত হাসান। সহ-সাধারণ সম্পাদক বাপ্পি সাহা, সাংগঠনিক সম্পাদক অঞ্জনা রহমান, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মারুফ আকিব, দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক কাবিলা, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক মামনুন হাসান ইমন ও কোষাধ্যক্ষ পদে আজাদ খান।

কার্যকরী পরিষদের সদস্য পদে থাকছেন সুজাতা আজিম, সাদিয়া মির্জা, নাদের চৌধুরী, জেসমিন আক্তার, তানভীর তনু, পীরজাদা হারুন, পলি, মো.সাইফুল, সনি রহমান, হেলেনা জাহাঙ্গীর ও সাইফ খান।

অন্যদিকে, মিশা-ডিপজল প্যানেলের হয়ে নির্বাচনে সহ-সভাপতির পদে লড়বেন মাসুম পারভেজ রুবেল ও ডি এ তায়েব। এছাড়া সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে আরমান, সাংগঠনিক সম্পাদক জয় চৌধুরী, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আলেকজান্ডার বো, দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক জ্যাকি আলমগীর, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক ডন এবং কোষাধ্যক্ষ পদপ্রার্থী কমল।

এছাড়া কার্যকরী পরিষদের সদস্য পদে নির্বাচন করছেন নানা শাহ, সুচরিতা, দিলারা ইয়াসমিন, শাহনূর, রোজিনা, আলীরাজ, সুব্রত, রত্না কবির, চুন্নু, সাঞ্জু জন, ফিরোজ মিয়া।

প্রসঙ্গত, ২১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটিতে স্থান পেতে এবারের নির্বাচনে ৬ জন স্বতন্ত্রসহ ২টি প্যানেল থেকে মোট ৪৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এবারের মোট ভোটার ৫৭০ জন। নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্বে রয়েছেন খোরশেদ আলম খসরু।


আরও খবর



বিশ্ববাজারে বাড়লো জ্বালানি তেলের দাম

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম সামান্য বেড়েছে। এর আগে, মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনাকে কেন্দ্র করে তেলের দাম কিছুটা বাড়লেও পরে আবার কিছুটা কমেও যায়।

শুক্রবার সকালের দিকে ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ব্যারেলপ্রতি ৩৪ সেন্ট বা শূন্য দশমিক ৩৮ শতাংশ বেড়ে ৮৯ দশমিক ৩৫ ডলারে দাঁড়িয়েছে। ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের দাম ৩৩ সেন্ট বা শূন্য দশমিক ৩৯ শতাংশ বেড়ে ৮৩ দশমিক ৯০ ডলার হয়েছে। খবর রয়টার্সর।

এদিকে, তেলের এ মূল্যবৃদ্ধির প্রেক্ষিতে পূর্বাভাসের চেয়ে মার্কিন অর্থনীতি শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির ট্রেজারি সেক্রেটারি।

ট্রেজারি সেক্রেটারি জ্যানেট ইয়েলেন রয়টার্সকে বলেন, মার্কিন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি শক্তিশালী অবস্থানের রয়েছে।

এর আগে, ইরান ও ইসরাইলের মধ্যে উত্তেজনাকে কেন্দ্র করে তেলের দাম বেড়েছিল। কিন্তু দেশ দুইটির মধ্যে সংঘাত না বাড়ায় তেলের দাম কিছুটা কমে যায়। যদিও এখন আবার তা বাড়তে শুরু করেছে।

শেষ প্রান্তিকে এক দশমিক ছয় শতাংশ মার্কিন জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছে বলে বাণিজ্য বিভাগের এক প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি অনেক ভালো করছে।


আরও খবর



চাঁদপুর ১৮ কেজি গাঁজাসহ আটক এক

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

১৮ কেজি গাজা সহ একজন মাদক কারবারিকে আটক করেছে কোস্টগার্ড স্টেশন চাঁদপুর। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে কোস্ট গার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার খন্দকার মুনিফ তকি এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের একটি দল আজ ৩০ এপ্রিল ভোর ৬টায় চাঁদপুর জেলার সদর থানাধীন চাঁদপুর লঞ্চঘাট এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযান চলাকালীন রাজদূত প্রাইম নামক একটি যাত্রীবাহী লঞ্চের অভ্যন্তরে এক ব্যক্তির গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হলে কোস্ট গার্ডের অভিযানিক দল উক্ত ব্যক্তিকে থামার সংকেত প্রদান করে। অতঃপর উক্ত ব্যক্তির সাথে থাকা ২টি ব্যাগ তল্লাশি করে ১৮ কেজি গাঁজা জব্দ করা হয়।

তিনি আরও বলেন, জব্দকৃত গাঁজা ও আটককৃত মাদক ব্যবসায়ীকে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চাঁদপুর সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়।


আরও খবর



ভারতের লোকসভা নির্বাচনে তৃতীয় দফার ভোট গ্রহণ চলছে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভারতের লোকসভা নির্বাচনের তৃতীয় দফার ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। ১১ রাজ্যে ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৯৩ লোকসভা আসনের ভোট গ্রহণ চলছে। আজ মঙ্গলবার (০৭ মে) দেশটির স্থানীয় সময় সকাল ৭টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে; যা চলবে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। তৃতীয় দফার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১ হাজার ৩০০ জনেরও বেশি প্রার্থী। যাদের মধ্যে ১২০ জন নারী।

তৃতীয় দফার নির্বাচনে গুজরাটের ২৬টি, কর্নাটকের ১৪টি, মহারাষ্ট্রের ১১টি, উত্তর প্রদেশের ১০টি, মধ্যপ্রদেশের আটটি, ছত্তিশগড়ে সাতটি, বিহারের পাঁচটি, আসামের চারটি, পশ্চিমবঙ্গের চারটি, গোয়ার দুইটি, দাদরা অ্যান্ড নগর হাভেলি এবং দম অ্যান্ড দিউরের দুইটি আসনে ভোট গ্রহণ হবে।

আজকের ভোটের হেভিওয়েট প্রার্থীরা হলেন- কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া এবং সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী। মোদি সরকারের শীর্ষ মন্ত্রীরা ছাড়াও শরদ পাওয়ারের মেয়ে সুপ্রিয়া সুলে এবং অজিত পাওয়ারের স্ত্রী সুনেত্রা পাওয়ারও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আজ।

তৃতীয় দফার ভোটের মধ্যদিয়ে নির্বাচন কমিশন ২৮৪ লোকসভা আসনের ভোট গ্রহণ সম্পন্ন করবে। আর চার দফায় বাকি থাকবে ২৫৯ আসন। ভোট বিশ্লেষকরা তৃতীয় দফার ভোটে উত্তরপূর্ব রাজ্য আসামের চার লোকসভার মধ্যে কোকরাঝড় ও ধুবড়ীর ভোটকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন।

ভারতের লোকসভা নির্বাচনের সাত দফার ভোট গ্রহণ শুরু হয় গত ১৯ এপ্রিল। আর তা শেষ হবে আগামী১ জুন। নির্বাচনের ফল ঘোষণা করা হবে ৪ জুন।

এবার ২ হাজার ৬৬৬টি নথিভুক্ত রাজনৈতিক দল লোকসভা ভোটের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। এর মধ্যে বিজেপি, কংগ্রেস, আম আদমি পার্টি, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি, বহুজন সমাজবাদি পার্টির মতো জাতীয় রাজনৈতিক দল যেমন রয়েছে; তেমনই রয়েছে মমতার তৃণমূল, লালু প্রসাদ যাদবের রাষ্ট্রীয় জনতা দলের মতোর শক্তিশালী প্রাদেশিক দলও।


আরও খবর