আজঃ শনিবার ১১ মে ২০২৪
শিরোনাম
মেঘনার তীররক্ষা বাঁধ

তিন হাজার ৯০ কোটি টাকার প্রকল্পে সুফল মিলবে কি?

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২০ জুলাই ২০23 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২০ জুলাই ২০23 | অনলাইন সংস্করণ
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

Image

লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার মতিরহাট থেকে রামগতি উপজেলা পর্যন্ত ৩৭ কিলোমিটার মেঘনা নদীর উপকূল। খরস্রোতা হওয়ায় বর্ষা কিংবা শুষ্ক- দুই মৌসুমেই নদীতে বিলীন হচ্ছে বসতভিটা, ফসলি জমি, রাস্তাঘাটসহ নানা অবকাঠামো। গত ৩০ বছরে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে কয়েক কিলোমিটার এলাকা।

উত্তাল মেঘনার এ করালগ্রাস থেকে দুই উপজেলার বড়খেরী ও লুধুয়াবাজার এবং কাদিরপণ্ডিতেরহাট এলাকা রক্ষায় সরকার একটি প্রকল্প হাতে নেয়। ব্যয় ধরা হয় ৩ হাজার ৮৯ কোটি ৯৬ লাখ ৯৯ হাজার টাকা। গত বছরের শুরুর দিকে নির্মাণকাজ শুরু হলেও ঠিকাদারের গাফিলতি ও কাজের ধীরগতির কারণে প্রতিনিয়তই ভাঙনের কবলে পড়ছে উপকূলবাসী। এবারের বর্ষায় ভাঙন আরো তীব্র আকার ধারণ করেছে।

মেঘনার তীররক্ষা বাঁধ প্রকল্পের সব প্যাকেজের কাজ একযোগে শুরু না হওয়ায় ভাঙনের মুখে পড়তে হচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। আবার বিপুল অর্থ ব্যয়ে নির্মাণাধীন প্রকল্পের কাজের মান নিয়েও উঠছে নানা প্রশ্ন। কমলনগরের পাটওয়ারীহাট রাস্তার মাথার দক্ষিণাংশের বাঁধের ওপর দিয়ে গত কয়েকদিন জোয়ারের পানি আসা-যাওয়া করছে। এতে বাঁধ টেকসই ও সুফল মেলা নিয়ে শঙ্কিত নদীতীরের বাসিন্দারা। কাজের ধীরগতির কথা স্বীকার করেছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কর্তাব্যক্তিরাও। তবে তাদের যুক্তি হলো, বর্ষার আগে বালি সংকটের কারণে প্রকল্পের কাজ ঠিকমতো করা যায়নি। এখন নদীর স্রোতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় বাঁধ নির্মাণকাজ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

জানা গেছে, মেঘনার ৩৩ দশমিক ২৬ কিলোমিটার দীর্ঘ বাঁধ নির্মাণের প্রকল্পটি ২০২১ সালের ১ জুন জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে পাস হয়। এটি বাস্তবায়নে পুরো প্রকল্পকে ৯৯টি প্যাকেজে ভাগ করে একই বছরের আগস্টে টেন্ডার আহ্বান করা হয়। এ প্রকল্পের আওতায় এখন পর্যন্ত পাউবোর পক্ষ থেকে ৪৩টি লটের বা সাড়ে ১৩ কিলোমিটার এলাকার জন্য ওয়ার্ক অর্ডার দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে কমলনগরে আট ও রামগতিতে সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার। কমলনগর অংশে ২৬টি ও রামগতি অংশে ১৭টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তীররক্ষা বাঁধ নির্মাণে কাজ করছে। নতুন করে আরো ৩৪টি লটের ওয়ার্ক অর্ডারের কাজ অনুমোদনের অপেক্ষায় বলে জানিয়েছেন পাউবোর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

স্থানীয়দের অভিযোগ, উদ্বোধনের পর ১৩টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু করলেও তিন মাসের মাথায় বালি সংকটসহ নানা অজুহাতে তীররক্ষা বাঁধ বন্ধ রাখে। সম্প্রতি চাপের মুখে ঠিকাদাররা কাজ শুরু করলেও তেমন কোনো অগ্রগতি নেই নির্মাণকাজে। বিভিন্ন স্থানে বাঁধ ভেঙে ঢুকে পড়ছে জোয়ারের পানি। প্লাবিত হচ্ছে বিস্তীর্ণ এলাকা। এতে কাজের মান নিয়ে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে স্থানীয়দের মাঝে। কমলনগর উপজেলার পাটওয়ারীহাট রাস্তার মাথার দক্ষিণাংশের নির্মাণাধীন বাঁধের ওপর দিয়ে কয়েকদিন জোয়ারের পানি গড়াচ্ছে। এতে বাঁধ টেকসই হওয়া নিয়ে শঙ্কিত নদীতীরের বাসিন্দারা। নির্মাণাধীন বাঁধের ওই অংশের দায়িত্বে রয়েছে ওয়েস্টার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

এদিকে উপকূলের বাসিন্দারা জানায়, ৩ হাজার ৯০ কোটি টাকার তীররক্ষা বাঁধ প্রকল্পের আগেও রামগতি ও কমলনগর উপজেলার ভাঙন ঠেকাতে প্রায় ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয় সরকার। সেনাবাহিনী বাঁধ নির্মাণ করায় রামগতি বাজার ও আলেকজান্ডারের সাড়ে তিন কিলোমিটার এলাকা ভাঙন থেকে রেহাই পায়। তবে একই প্রকল্পে কমলনগর উপজেলার মাতাব্বরহাট এলাকায় ঠিকাদারের মাধ্যমে নির্মিত এক কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণের পর আটবার ধসে পড়েছে।

সরেজমিন কমলনগর ও রামগতি উপজেলার কয়েকটি অরক্ষিত এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বর্ষায় তীব্র স্রোতে নদীর পাড় ভেঙে পড়ছে। বিলীন হচ্ছে গাছপালা, রাস্তাঘাটসহ বিভিন্ন স্থাপনা। ঘরবাড়ি ও দোকানপাট সরিয়ে নিচ্ছে উপকূলের বাসিন্দারা। দ্রুত সময়ের মধ্যে বাকি লটগুলোর বাঁধ নির্মাণকাজ শুরু না হলে ভয়াবহ ভাঙনের কবলে পড়বে উপকূলবাসী। এতে ভেস্তে যেতে পারে সরকারের ৩ হাজার ৯০ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প।

কমলনগরের উপকূলীয় সাংবাদিক সাজ্জাদুর রহমান জানান, রক্ষাবাঁধ নির্মাণকাজের উদ্বোধন হলেও যথাসময়ে একযোগে কাজ শুরু করা হয়নি। উদ্বোধনের পর দীর্ঘদিন কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। এরপর জিও ব্যাগ ডাম্পিং হচ্ছে। এখনো অনেক স্থানেই জিও ব্যাগ ডাম্পিংই করা হয়নি। যথাসময়ে রামগতি-কমলনগর তীররক্ষা বাঁধ বাস্তবায়ন না হলে এখানকার মানুষ সুফল থেকে বঞ্চিত হবে। বর্ষা মৌসুম এলেই তীররক্ষা বাঁধ না থাকার কারণে জোয়ারের পানিতে বিস্তীর্ণ জনপদ প্লাবিত হয়। অরক্ষিত হয়ে পড়ে উপকূল। মেঘনাপাড়ের মানুষের সুরক্ষায় দ্রুত নদীর তীররক্ষা বাঁধ নির্মাণকাজ শুরু করা জরুরি।

স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, সেনাবাহিনীকে দিয়ে নদীর তীররক্ষা বাঁধ প্রকল্প বাস্তবায়নের দাবি থাকলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমেই কাজ শুরু করা হয়। এখানে শুষ্ক মৌসুমেও নদীভাঙন অব্যাহত ছিল। বর্ষার আগে পর্যাপ্ত পরিমাণ জিও ব্যাগ ডাম্পিং না করায় বর্ষায় কমলনগর-রামগতির বিস্তীর্ণ জনপদ এখন নদীতে বিলীন হওয়ার পথে। নদীর তীররক্ষা বাঁধ নির্মাণকাজের দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন তারা।

কমলনগরের চরলরেঞ্জ ইউনিয়নের নবীগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা সফিক মাঝি বলেন, পুরান সাহেবের হাট থেকে শুরু করে হাজিগঞ্জ ও নবীগঞ্জ ১০ বছর ধরে ভাঙছে। এবারের বর্ষায়ও ভাঙছে, কিন্তু রক্ষাবাঁধ নির্মাণ বা জিও ব্যাগ ডাম্পিংয়ের কোনো উদ্যোগ নেই সংশ্লিষ্টদের। তারা এসে এসে শুধু দেখেই যায়।

নদীপাড়ের তেল ব্যবসায়ী রাশেদ বলেন, হাজিগঞ্জ থেকে প্রায় এক কিলোমিটার নদী ভেঙেছে। এতে ১৫ বার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান সরাতে হয়েছে। এখন আবার ভাঙনের কবলে পড়তে হচ্ছে। অথচ দুই পাশের ইউনিয়নে দুই লটে দুজন ঠিকাদারের লোকজন জিও ব্যাগ ডাম্পিং কাজ করছেন। কিন্তু ভাঙন এলাকায় কারো চোখ পড়ে না।

এদিকে কমলনগর উপজেলায় চারটি প্যাকেজের কাজ করছেন মেসার্স সালেহ আহম্মদ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ডেপুটি প্রজেক্ট ম্যানেজার সিরাজুল ইসলাম জানান, সাড়ে ১২ মিটার বাঁধ নির্মাণকাজ পেয়েছেন তারা। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১১৪ কোটি টাকা। এরই মধ্যে জিও ব্যাগ ডাম্পিং ও মাটি ভরাট করে বাঁধের নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়েছে। বর্তমানে ব্লক নির্মাণকাজ করা হচ্ছে। বর্ষায় কিছুটা বেগ পেতে হচ্ছে। তবে সরকারের উন্নয়ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে যথাসময়ের মধ্যে তীররক্ষা বাঁধ নির্মাণকাজ সম্পন্ন হবে।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ৩০০ মিটার কাজের ওয়ার্ক অর্ডার পায় মেসার্স এম আর কনস্ট্রাকশন ও কে কে এন্টারপ্রাইজ নামে দুটি প্রতিষ্ঠান। চরলরেঞ্জ ইউনিয়নের চরলরেঞ্জ গ্রামে নদীপাড়ের জিও ব্যাগ ডাম্পিং কাজ করছে তারা। জানতে চাইলে যৌথ প্রতিষ্ঠানের সাব-ঠিকাদার কবির হোসেন জানান, কাজের ওয়ার্ক অর্ডার দেরিতে পাওয়ায় কাজও দেরিতে শুরু করেছেন তিনি। আগামী বছরের জুনের মধ্যে বাঁধ নির্মাণকাজ শেষ করার কথা রয়েছে তার। বর্ষার শেষে মাটি ফেলে ও ব্লক স্থাপন করে বাঁধ নির্মাণকাজ সম্পন্ন করা হবে। তবে কাজে কোনো গাফিলতি হচ্ছে না। 

লক্ষ্মীপুর পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী ফারুক আহমেদ জানান, রামগতি-কমলনগর মেঘনা নদীর তীররক্ষা বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পে ১৩ কিলোমিটার এলাকায় এখন পর্যন্ত ৪৩টি লটের কার্যাদেশ দেয়া হয়েছে। বর্তমানে বর্ষাকালীন নদী উত্তাল থাকায় প্রকল্পের কাজ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। তবে আগামী অর্থবছরের মধ্যে ব্লক নির্মাণকাজসহ অন্যান্য কাজ সম্পন্ন করা হবে। যেসব স্থানে কার্যাদেশ দেয়া সম্ভব হয়নি তবে বর্ষায় ভাঙনের আশঙ্কা রয়েছে, সেসব স্থান আপৎকালীন জরুরি মেরামতের আওতায় এনে জিও ব্যাগ ডাম্পিংয়ের মাধ্যমে নদীভাঙন রোধের চেষ্টা করা হবে।

নিউজ ট্যাগ: লক্ষ্মীপুর

আরও খবর



মসজিদের ভেতর ইমামকে পিটিয়ে হত্যা

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভারতের রাজস্থানে মসজিদের ভেতর ঢুকে ইমামকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে আজমিরের মোহাম্মাদি মাদানি মসজিদের এ ঘটনায় তিন মুখোশধারী অংশ নেয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা হয়নি।

নিহত মাওলানা মোহাম্মাদ মাহির মসজিদের মাদ্রাসা পরিচালনা করতেন। মাদ্রাসায় অন্তত ১৫ জন শিক্ষার্থীর রয়েছে। পরিবারের দাবি, মাদ্রাসার নিয়ন্ত্রণ নিতে তাকে হত্যা করা হয়েছে।

এ ঘটনায় মামলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রামগঞ্জ থানার রবীন্দ্র খিঁচি। তিনি বলেন, কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে ওই রাতে মাওলানা মাহির একটি কক্ষে ছিলেন। রাত তিনটার দিকে শিশুরা চিৎকার শুরু করলে বিষয়টি আশপাশের লোকজনের নজরে আসে। তারপর পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।

তিনি আরও জানান, সন্দেহভাজন তিনজন ইমামের ফোনটি নিয়ে গেছে। তাদের ধরতে অভিযান চলছে।

মাহিরের ভাই মোহাম্মাদ আমির বলেন, তারা তিন ব্যক্তির নাম পুলিশকে জানিয়েছে। মাহির তাকে বিভিন্ন সময় জানিয়েছে, তার মাদ্রাসা পরিচালনা নিয়ে কিছু ব্যক্তি অসন্তুষ্ট। তারা মাদ্রাসার নিয়ন্ত্রণ নিতে চায়। তবে তিনি কখনও আজমিরে থাকতে পছন্দ করতেন না। গেল অক্টোবরে তার গুরু মাওলানা জাকির হোসাইন মারা গেলে তাকে মাদ্রাসা পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়।

পুলিশ ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে যাচাই করছে। মসজিদের কাছ থেকে দুটি লাঠি উদ্ধার করা হয়েছে। এই লাঠিগুলো হত্যায় ব্যবহৃত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেছে পুলিশের ডগ স্কোয়াড টিম।

সাত বছর আগে উত্তর প্রদশের রামপুর থেকে আজমিরে আসেন মাহির। তার মরদেহ রামপুরে দাফন করা হয়েছে।


আরও খবর



এবার সমাবেশ স্থগিত করল আওয়ামী লীগ

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিএনপির পর এবার রাজধানীতে সমাবেশ স্থগিত করেছে আওয়ামী লীগ। আগামী শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে শান্তি সমাবেশ করার কথা ছিল দলটির।

সোমবার (২২ এপ্রিল) পুলিশের অনুমতি না পাওয়ায় এই সমাবেশ স্থগিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ।

তিনি বলেন, ২৬ এপ্রিল ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সমাবেশ পুলিশ অনুমতি দেয়নি। যার কারণে সমাবেশ আপাতত স্থগিত। শান্তি সমাবেশের তারিখ পরে জানানো হবে।

এর আগে দুপুরে তীব্র দাবদাহের কারণে আগামী শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) অনুষ্ঠেয় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সমাবেশ স্থগিত করা হয়েছে। মহানগর দক্ষিণ বিএনপির দপ্তর সম্পাদক সাইদুর রহমান মিন্টু সোমবার (২২ এপ্রিল) এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নবীউল্লাহ নবীসহ নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে এই সমাবেশ হওয়ার কথা ছিল।

এক বার্তায় বিএনপি জানায়, সোমবার (২২ এপ্রিল) নয়াপল্টনস্থ ভাসানী ভবনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালামের সভাপতিত্বে এক যৌথসভায় এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। সভা থেকে জানানো হয়, দাবদাহ সহনীয় পর্যায়ে আসলে সমাবেশ ও মিছিল কর্মসূচির পরবর্তী তারিখ ও সময়সূচি জানানো হবে।

সভায় দাবদাহের কারণে জনজীবনে দুর্ভোগ মোকাবিলায় নাগরিকদের পাশে থাকার জন্য ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

নিউজ ট্যাগ: আওয়ামী লীগ

আরও খবর



দুপুরের মধ্যে ৮০ কিমি বেগে ঝড়ের আভাস

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীসহ দেশের ১৬ জেলার ওপর দিয়ে সর্বোচ্চ ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছে আবহাওয়া অফিস। সেই সঙ্গে বজ্রসহ বৃষ্টিও হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে সংস্থাটি। তাই এসব অঞ্চলের নদীবন্দরগুলোর জন্য ২ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত জারি করা হয়েছে।

আজ বুধবার দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া এক পূর্বাভাসে এসব তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ কবিরের স্বাক্ষর করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রংপুর, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও সিলেট জেলার ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ সময় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

এদিকে, আবহাওয়া অফিসের অপর এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আজ সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তিভাবে শিলাবৃষ্টিও হতে পারে।

এ সময় সারা দেশে তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।


আরও খবর



আজও দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্তবর্তী জেলা চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে টানা তীব্রতাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় চুয়াডাঙ্গায় ৪২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে, যা দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৪৮ শতাংশ।

গতকাল শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪২ ডিগ্রি ৭ সেলসিয়াস, যা চলতি মৌসুমে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, আজ চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী তিন দিন আরও তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে। ৪৩-৪৪ ডিগ্রি পর্যন্ত উঠতে পারে তাপমাত্রা। সবাইকে সতর্ক থাকার অনুরোধ করছি।

তীব্র গরমে ভোগান্তিতে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। এ ছাড়া গরমে জেলা সদর হাসপাতালে বেড়েছে ডায়রিয়া ও শিশু রোগীর সংখ্যা। ফলে ওয়ার্ডের মেঝেতে রেখে চিকিৎসা দিতে হচ্ছে। বহির্বিভাগেও রয়েছে রোগীদের চাপ। প্রতিদিন গড়ে গরমজনিত কারণে ৭০০-৮০০ রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মোহা. আতাউর রহমান।

এদিকে তীব্র গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে লোডশেডিং। এতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে চুয়াডাঙ্গার জনজীবন। সব থেকে বেশি কষ্ট পাচ্ছে শিশু ও বয়োবৃদ্ধরা। দিনে বাসায় থাকা দায় হয়ে পড়েছে। এর মধ্যে রয়েছে রাতে মশার যন্ত্রণা। গরমের সঙ্গে ঘন ঘন লোডশেডিং হওয়ায় সারা রাত নির্ঘুম কাটাতে হচ্ছে।

মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির চুয়াডাঙ্গা জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) আবু হাসান বলেন, জেলায় গরমে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়েছে। পল্লী বিদ্যুতের আওতাধীন এলাকায় প্রতিদিন প্রায় ১০৫ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে। কিন্তু সেখানে আমরা পাচ্ছি ৯০-৯২ মেগাওয়াট। তাই ঘাটতি পূরণ করতেই লোডশেডিং চলছে।

এদিকে তীব্র গরমে জেলাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে বৃষ্টি প্রার্থনা করলেও কৃষকরা এখনই বৃষ্টি চাচ্ছেন না। কয়েকজন কৃষক বলেন, তীব্র গরমে আমরাও অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছি। তবে এখন ধান কাটার মৌসুম চলছে। এ সময় বৃষ্টি হলে কৃষকরা অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হবেন।


আরও খবর



ভারতে ইউনিসেফের শুভেচ্ছা দূতের দায়িত্ব পেলেন কারিনা কাপুর

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

বলিউডে দু'দশক কাটিয়ে ফেলেছেন কারিনা কাপুর খান। অভিনেত্রী, দুই সন্তানের মা, ঘর-সংসার এবং কাজ সবই সমান তালে চালাচ্ছেন। এবার আরও বড় এক দায়িত্ব পেলেন তিনি। ভারতে ইউনিসেফের জাতীয় শুভেচ্ছা দূত হিসেবে মনোনীত হয়েছেন বলিউডের সুপারস্টার কাপুরকন্যা।

শনিবার নিজেই ইনস্টাগ্রামে এক পোস্টে এ খবর জানান কাপুরকন্যা।

তিনি লেখেন, আমার জন্য খুব আবেগের একটা দিন। ইউনিসেফের দূতের দায়িত্ব পেয়ে আমি ধন্য।

ভারতীয় গণমাধ্যম জিনিউজের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, গত দশ বছর ধরে ইউনিসেফের সঙ্গে কাজ করছেন কারিনা কাপুর। শুরুটা হয়েছিল সেই ২০১৪ সালে সেলেব্রিটি অ্যাডভোকেট হিসেবে। এবার সেই পদ থেকেই উত্তরণ হয়ে সরাসরি ইউনিসেফ-এর ন্যাশনাল অ্যাম্বাসাডরের দায়িত্ব পেলেন তিনি।

এ প্রসঙ্গে কারিনা বলেন, গত দশ বছর ধরে ইউনিসেফের সঙ্গে কাজ করছি। গত বছরগুলোতে দেশের শিশু এবং নারীদের অধিকার রক্ষার জন্য আমাদের টিম যে কাজগুলো করেছে, তাতে আমি সত্যিই গর্বিত। আমি প্রতিদিন অনুপ্রেরণা পাই সেগুলো থেকে। আশা রাখি ভবিষ্যতেও এই সংস্থার সঙ্গে যুক্ত থেকে কাজ করে যাব।


আরও খবর