আজঃ শনিবার ১১ মে ২০২৪
শিরোনাম

তিন মাসে রেকর্ড ৩ লাখ ৩৩ হাজার রিটার্ন দাখিল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১১ অক্টোবর ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১১ অক্টোবর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার সেবা পেতে আয়কর বিবরণী দাখিল বাধ্যতামূলক করার ঘোষণায় আশাতীত সাড়া মিলেছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসেই আয়কর রিটার্ন দাখিল তিন লাখ ছাড়িয়ে গেছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে এখন পর্যন্ত ৩ লাখ ৩৩ হাজার করদাতা আয়কর রিটার্ন দাখিল করেছেন। যেখানে একই সময়ে গত অর্থবছরে এক লাখ আয়কর রিটার্ন দাখিল করেছিল করদাতারা। আর গত ২০২১-২০২২ অর্থবছরে ২৪ লাখ করদাতা আয়কর রিটার্ন দাখিল করেছিল।

এনবিআর কর্মকর্তাদের ধারণা চলতি ২০২২-২৩ অর্থ বছরে রিটার্ন দাখিলের সংখ্যা ৪০ লাখ ছাড়িয়ে যেতে পারে। বর্তমানে নিবন্ধিত ই-টিআইএন সংখ্যা প্রায় ৭৯ লাখ।

এ বিষয় এনবিআরের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, এনবিআর দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন কৌশল প্রণয়ন ও আইনি সংস্কারের মাধ্যমে আয়কর রিটার্ন দাখিলের সংখ্যা বাড়াতে হিমশিম খাচ্ছে। করদাতা শনাক্তকরণ নম্বরধারীর (টিআইএন) সংখ্যা ৭৬ লাখে পৌঁছালেও গত অর্থবছর পর্যন্ত রিটার্ন জমা হয় ২৪ লাখের মতো। এ বছর ৪০ ধরনের সেবায় রিটার্ন দাখিল শুধু বাধ্যতামূলকই নয়, আয়কর রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ দেখানো বাধ্যতামূলক করা হয়। এর ফল আসতে শুরু করেছে।

সাধারণত কোনো ব্যক্তি-করদাতার আয় যদি বছরে ৩ লাখ টাকার বেশি হয়; তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তি, নারী ও ৬৫ বছর বা তার বেশি বয়সের করদাতার আয় যদি বছরে সাড়ে তিন লাখ টাকার বেশি হয়, গেজেটভুক্ত যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা করদাতার আয় যদি বছরে ৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকার বেশি হয় এবং প্রতিবন্ধী করদাতার আয় সাড়ে ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকার বেশি হলে তার রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক।

এছাড়া আরও অনেক কারণে ব্যক্তিকে আবশ্যিকভাবে রিটার্ন দাখিল করতে হয়। চলতি অর্থবছর থেকে শুধু রিটার্ন দাখিল করলেই হবে না। সরকারি সেবা পেতে হলে রিটার্ন দাখিলের প্রমাণপত্রও দেখাতে হবে।

নিউজ ট্যাগ: এনবিআর

আরও খবর



ফের ২০ বিলিয়নের নিচে নামল রিজার্ভ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

দীর্ঘদিন ধরেই দেশে ডলার সংকট চলছে। ঈদের আগে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ার কারণে কিছুটা বাড়লেও আবারো বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমেছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দিন শেষে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়ায় ১৯ দশমিক ৮৯ বিলিয়ন ডলার। গত সপ্তাহ শেষে রিজার্ভ ২০ দশমিক ১০ বিলিয়ন ডলার ছিল। হুন্ডি প্রবণতা বেড়ে যাওয়ায় ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স কমাসহ বিভিন্ন কারণে রিজার্ভ কমেছে বলে জানা গেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালের আগস্টে দেশের ইতিহাসে রিজার্ভ সর্বোচ্চ ৪৮ বিলিয়ন ডলারের ঘর ছাড়িয়েছিল। বিদেশ থেকে ঋণ নেওয়াসহ বিভিন্ন উপায়ে ওই সময় রিজার্ভ বাড়ানো হয়। এরপর থেকে ডলার সংকট কাটাতে গিয়ে ২৯ বিলিয়ন ডলারের বেশি বিক্রি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতে কমতে কমতে গত নভেম্বর শেষে রিজার্ভ ১৯ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলারে নেমেছিল। এরপর আবার বেড়ে ডিসেম্বরে ২১ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন হয়। তারপর আবার কমতে কমতে গত মার্চ শেষে ১৯ দশমিক ৯১ বিলিয়ন ডলারে নেমেছিল। এরপর গত সপ্তাহ শেষে তা বেড়ে ২০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছিল।

সাধারণত প্রতি বছর রমজান ও ঈদকে কেন্দ্র করে রেমিট্যান্স বাড়ে। তবে এবার তার উলটো চিত্র দেখা গেছে। গত মার্চে প্রবাসীরা ব্যাংকিং চ্যানেলে ১৯৯ কোটি ৬৮ লাখ ডলার দেশে পাঠিয়েছেন, যা আগের বছরের একই মাস বা আগের মাস ফেব্রুয়ারির তুলনায় কম।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ২০১৩-১৪ অর্থবছরে রিজার্ভ ছিল ২১ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলার। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ছিল ২৫ দশমিক ০২ বিলিয়ন ডলার। ২০১৫-১৬ তে  ৩০ দশমিক ৩৫ বিলিয়ন ডলার। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৩৩ দশমিক ৬৭ বিলিয়ন ডলার। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে রিজার্ভ ছিল ৩২ দশমিক ৯৪ বিলিয়ন ডলার। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ছিল ৩২ দশমিক ৭১ বিলিয়ন ডলার। ২০১৯-২০ অর্থবছরে ছিল ৩৬ দশমিক ৩ বিলিয়ন। ২০২০-২১ অর্থবছরে রিজার্ভ ছিল ৪৬ দশমিক ৩৯ বিলিয়ন ডলার। ২০২১-২২ অর্থবছরে ৪১ দশমিক ৮২ বিলিয়ন ডলার এবং সব শেষ ২০২২-২৩ অর্থবছরে রিজার্ভ কমে দাঁড়ায় ৩১ বিলিয়ন ডলার।


আরও খবর



তিনদিন বন্ধ থাকতে পারে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সিলেট প্রতিনিধি

Image

সিলেটের ওসমানীনগরে কুশিয়ারা নদীর ওপর নির্মিত শেরপুর সেতুর নিচের আরসিসি ঢালাই খসে পড়ায় মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে যান চলাচল। সেতুর ওপরের দিকের একাধিক স্থানেও ফাটল দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় মঙ্গলবার দিনভর সেতুর একপাশে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। পরে রাতে ঝুঁকিপূর্ণ অংশ ঢালাই করে সাময়িকভাবে দুপাশে যান চলাচল স্বাভাবিক করা হয়। ফলে গতকাল বুধবার সকাল থেকে সেতু দিয়ে যান চলাচল করছে।

তবে সেতুর ওপরের অংশ সাময়িক শঙ্কামুক্ত হলেও সেতুর নিচ দিয়ে চলাচলের রাস্তা ঝুঁকির মধ্যেই থেকে গেছে। এতে করে অন্তত ১০ গ্রামের মানুষকে দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করতে হবে। এ পরিস্থিতিতে স্থায়ীভাবে মেরামত করতে হলে অন্তত তিনদিন সেতু দিয়ে যান চলাচল বন্ধ রাখতে হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ এবং ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ছয়লেন প্রকল্পের দায়িত্বশীলরা। এতে করে ওই তিনদিনই ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যাবে।

যান চলাচল বন্ধ না রাখার বিকল্প কোনো পথ না থাকায় দ্রুততম সময়ের মধ্যে কীভাবে কাজ করা যায় তা নিয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের বিশেষজ্ঞরা পরিকল্পনা করবেন বলে জানিয়েছে সওজ।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার মধ্যরাত ১২টার দিকে হঠাৎ করে সেতুর উত্তরপাড়ের দক্ষিণ অংশের নিচের আরসিসি ঢালাই ভেঙে পড়া শুরু হয়। এ সময় ঢালাইয়ের একটি টুকরো গায়ে পড়ে স্থানীয় এক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। আহত সুয়েব আহমদ উপজেলার সৈয়দপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে আছেন।

খবর পেয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, ওসমানীনগর থানার ওসি ও শেরপুর হাইওয়ে থানার ওসি সেতু পরিদর্শন করেন। পরে বস্তা ও প্লাস্টিকের স্ট্যান্ড দিয়ে ভাঙা অংশসহ একপাশে যান চলাচল বন্ধ করে দেন সংশ্লিষ্টরা। পরে মঙ্গলবার রাতে সেতুর ঝুঁকিপূর্ণ অংশ ঢালাই করে সাময়িক মেরামত করা হয়।

স্থানীয়রা জানান, সেতুতে যখন যানবাহন চলাচল করে তখন কম্পনের সৃষ্টি হয়। পুরো সেতুই দুলতে থাকে। এতে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। একইভাবে সেতুর নিচ দিয়ে শেরপুর নতুন বাজার-লামা তাজপুর রাস্তা দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন অন্তত ১০ গ্রামের বাসিন্দা।

শেরপুর সৈয়দপুর গ্রামের আনোয়ার আলী বলেন, সোমবার রাতে তাজপুর-সৈয়দপুর রাস্তা দিয়ে বাড়ি যাওয়ার পথে শেরপুর সেতুর নিচে পৌঁছামাত্র হঠাৎ করে সেতুর নিচ থেকে ঢালাই ভেঙে মাটিতে পড়ে। এতে অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছি। একজন ব্যক্তির ওপর ঢালাইয়ের টুকরো ভেঙে পড়ায় তিনি আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন। এ অবস্থায় মানুষজন সেতুর নিচ দিয়ে খুবই আতঙ্ক নিয়ে চলাচল করছেন।

সাদিপুর ইউপি চেয়ারম্যান সাহেদ আহমদ মুছা বলেন, সেতুর বেশকিছু অংশ ভেঙে পড়ার খবর পেয়ে সোমবার রাতেই ঘটনাস্থলে যাই। দ্রুত সেতু সংস্কার করার জন্য সংশ্লিষ্টদের জানানো হয়েছে।

সড়ক ও জনপথ বিভাগের সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী আমির হোসেন বলেন, সেতুর নিচের অংশ থেকে আরসিসি ঢালাইয়ের টুকরো ভেঙে পড়ার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। পরে এটি সংস্কারের জন্য ঢাকা-সিলেট ছয়লেন প্রকল্পের দায়িত্বশীলদের জানানো হয়। ছয়লেন প্রকল্প থেকে আমাদের অনুরোধ করা হয় সাময়িকভাবে সেতুটি সংস্কার করে দেওয়ার জন্য। মঙ্গলবার রাতে আমরা ঝুঁকিপূর্ণ অংশ ঢালাই করে যান চলাচল স্বাভাবিক করেছি। একইভাবে সেতুর নিচ থেকে যাতে আর ঢালাইয়ের টুকরো ধসে না পড়ে সে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তবে সেতুর নিচ দিয়ে যান চলাচলের পথ কিছুটা সীমিত করা হয়েছে।

সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী আরও বলেন, স্থায়ীভাবে সমাধান করতে হলে এ সেতুতে যান চলাচল বন্ধ রাখতে হবে। এর আগেও একবার যান চলাচল বন্ধ রেখে কাজ করা হয়েছে। এবারও অন্তুত তিনদিন যান চলাচল বন্ধ না রেখে এ কাজ করা যাবে না।

তবে বিষয়টি যেহেতু ছয়লেন প্রকল্পের অধীনে, তাই প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা ভালোভাবে বলতে পারবেন বলে জানান তিনি।

ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ছয়লেন প্রকল্প পরিচালক সৈয়দ গিয়াস উদ্দিন বলেন, সেতুটি মেরামতের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। ঢাকা থেকে একটি বিশেষজ্ঞ দল এসে পরিদর্শন করবে। এরপর কীভাবে কাজ করা যাবে তা জানানো হবে। তবে যান চলাচল বন্ধ করা ছাড়া বিকল্প পথ নেই।

কবে থেকে কাজ শুরু হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখনই বিষয়টি বলা যাচ্ছে না। আমাদের টিম পরিদর্শন করার পর বলতে পারবে কবে কাজ শুরু হবে। তবে এ কাজে বেশি দেরি করা হবে না।


আরও খবর



তানজানিয়ায় ভারী বৃষ্টিপাতে বন্যা-ভূমিধস, নিহত অন্তত ১৫৫

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

পূর্ব আফ্রিকার দেশ তানজানিয়ায় বন্যা ও ভূমিধসে কমপক্ষে ১৫৫ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুই শতাধিক মানুষ। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের জেরে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।

প্রাকৃতিক এই দুর্যোগে ইতোমধ্যেই প্রায় ২ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তানজানিয়ায় এল নিনোর কারণে প্রবল বৃষ্টিপাতের ফলে বন্যা ও ভূমিধসে অন্তত ১৫৫ জন মারা গেছেন বলে দেশটির প্রধানমন্ত্রী কাসিম মাজালিওয়া জানিয়েছেন। তিনি সতর্ক করে বলেছেন, মে মাস পর্যন্ত বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে।

আর এই কারণে মানুষ ও পরিবারগুলোকে বন্যাপ্রবণ এলাকা ছেড়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী কাসিম আরও জানিয়েছেন, প্রায় ২ লাখ মানুষ এবং ৫১ হাজারেরও বেশি পরিবার ইতোমধ্যেই এই দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

বিবিসি বলছে, ভারী বৃষ্টিপাত প্রতিবেশী কেনিয়া এবং বুরুন্ডিতেও হচ্ছে, যার ফলে এই অঞ্চলে মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে দেশের পরিস্থিতি নিয়ে তানজানিয়ার সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী মাজালিওয়া বলেন, ১৫৫ জন নিহত ছাড়াও ২৩৬ জন আহত হয়েছেন।

তিনি বলেন, দেশের বিভিন্ন অংশে প্রবল বাতাস, বন্যা এবং ভূমিধসের সাথে এল নিনোর কারণে প্রবল বৃষ্টিতে উল্লেখযোগ্য ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে জীবনহানি, ফসল, বাড়িঘর, নাগরিকদের সম্পত্তি এবং রাস্তা, সেতু এবং রেলপথের মতো অবকাঠামোর ধ্বংসও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।’

উত্তর তানজানিয়ার সিহা জেলার একজন বাসিন্দা বিবিসিকে বলেছেন, তার বাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে। তিনি বলেন, আমার কিছুই অবশিষ্ট নেই, সবকিছু ভেসে গেছে।’

অন্যদিকে কেনিয়ায় দেশটির প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুটো সেনাবাহিনীকে উদ্ধার অভিযানে সহায়তা করার নির্দেশ দিয়েছেন। মূলত এই দেশটিতেও ভারী বৃষ্টিপাত রাজধানী নাইরোবিসহ দেশের বড় অংশে আঘাত হেনেছে এবং কিছু বস্তি এলাকার বাড়িঘর, আসবাবপত্র এবং অন্যান্য জিনিসপত্রসহ বহু জিনিস পানিতে ভেসে গেছে।

এই সপ্তাহে কেনিয়ায় ১০ জনের বেশি মানুষ মারা গেছেন। আর গত মার্চ মাস থেকে দেশটিতে অন্তত ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে রেড ক্রস জানিয়েছে।

এছাড়া বুরুন্ডিতে, ভারী বর্ষণে প্রায় ১ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।


আরও খবর



হবিগঞ্জে ট্রাক-প্রাইভেটকার মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৫

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

হবিগঞ্জের মাধবপুরে ট্রাক-প্রাইভেটকারের সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত হয়েছেন। গতকাল বুধবার রাত দেড়টার দিকে উপজেলার হরিতলা নামক এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

মাধবপুর থানার ওসি রাকিবুল ইসলাম খান জানান, রাত দেড়টার দিকে হরিতলা নামক জায়গায় একটি ট্রাকের সঙ্গে প্রাইভেটকারেরে সংঘর্ষ হয়। এতে প্রাইভেটকারটি দুমড়েমুচড়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, প্রাইভেটকার থেকে এক নারীসহ পাঁচজনের মরদেহ উদ্বার করা হয়েছে। তাদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। মরদেহগুলো হবিগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। দুর্ঘটনার কবলে পড়া গাড়ি দুটি জব্দ করা হয়েছে।

তবে একটি সূত্র জানিয়েছে, সিলেট থেকে মাজার জিয়ারত শেষে ৫ জন ঢাকায় ফিরছিলেন।পথে সিলেটগামী একটি ট্রাকের সঙ্গে প্রাইভেটকারটির সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে ৫ জন নিহত হয়েছেন।


আরও খবর



ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ধান শুকানো নিয়ে সংঘর্ষে আহত অর্ধশত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোঃ রাসেল আহমেদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

Image

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে ধান শুকানোর খলা দখল নিয়ে দুপক্ষের দফায় দফায় সংঘর্ষে আহত হয়েছে পুলিশসহ অন্তত ৫০ জন।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকালে উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের পরমানন্দপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের নারী-পুরুষ ও পুলিশসহ অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, গ্রামের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে স্থানীয় কাঞ্চন গ্রুপ ও জিয়াউল আমিন গ্রুপের মধ্যে পূর্ব বিরোধ ছিল। এর জের ধরে সকালে কাঞ্চন গ্রুপের মান্নান মিয়ার সঙ্গে জিয়াউল আমিন গ্রুপের রশিদ মিয়ার ধান শুকানোর খলা দখল নিয়ে কথাকাটাকাটি হয়। এর জের ধরে উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। এ সময় ৫ পুলিশসহ উভয়পক্ষের অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়। আহতদের পার্শ্ববর্তী উপজেলা ভৈরবসহ আশপাশের বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

সরাইল থানার ওসি এমরানুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ কাঁদানো গ্যাসে ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনাস্থল থেকে এ পর্যন্ত ১৫ জনকে আটক করা হয়েছে। গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

তিনি বলেন, এ ঘটনায় একজন এসআইসহ ৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।


আরও খবর