আজঃ শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে গৃহবধূর আত্মহত্যা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৯ মে ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৯ মে ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় স্বামীর সঙ্গে অভিমান করে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে মিতা খাতুন (৩৪) নামে এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন।

বুধবার বিকালে উপজেলার চন্ডিপুর এলাকায় খুলনা থেকে চিলাহাটিগামী রকেট ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দেন তিনি। মিতা খাতুন মিরপুর উপজেলার চক ধুবইল গ্রামের রিপন আলী প্রামাণিকের স্ত্রী।

পোড়াদহ রেলওয়ে থানার এসআই মোছা. নারগিস খাতুন বলেন, সম্প্রতি মিতা খাতুনের ফোনে মেসেজ আসে- ৫০ হাজার টাকা দিলে এক লাখ টাকা পাওয়া যাবে। এরপর তিনি তার স্বামীকে না জানিয়ে ৫০ হাজার টাকা দেন। এ নিয়ে তার স্বামীর সঙ্গে তার কলহের সৃষ্টি হয়। এর জেরেই তিনি আত্মহত্যা করেন।পোড়াদহ রেলওয়ে থানার ওসি মনজের আলী জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।


আরও খবর



থাইল্যান্ড সফর শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

Image

থাইল্যান্ডে ছয় দিনের সরকারি সফর শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার (২৯ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১১টায় প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিমানটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

এর আগে থাইল্যান্ডের স্থানীয় সময় সকাল ১০টা ১০ মিনিটে থাইল্যান্ডের ডন মুয়াং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে যাত্রা করে বিমানটি।

শেখ হাসিনা থাই প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদারে দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক উভয় সফরে ২৪ এপ্রিল বিকেলে ব্যাংককে যান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমনে ডন মুয়াং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে লালগালিচা উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়। সেখানে তাকে গার্ড অব অনার ও গান স্যালুট জানানো হয়।

শেখ হাসিনা এই সফরকে প্রতিবেশী’ নীতির ওপর বৃহত্তর ফোকাসের অংশ বলে বর্ণনা করেছেন, কারণ এটি দুদেশের জন্য দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের গতিকে আরও নবায়নের চমৎকার সুযোগ দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, এ সফর দুদেশের সম্পর্ককে আরও গভীর করার ক্ষেত্রে অনেক দূর এগিয়ে যাবে।

থাই প্রধানমন্ত্রী আয়োজিত মধ্যাহ্নভোজ বৈঠকে শেখ হাসিনা বলেন, তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন যে, এ সফর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের পূর্ণ সম্ভাবনার বিকাশে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় প্রেরণা জোগাবে।

তিনি আরও বলেন, সরকারি এ সফর আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে। এটি আমাদের দুদেশের মধ্যে ফলপ্রসূ অংশীদারত্বের একটি নতুন যুগের সূচনা করেছে। আমাদের জনগণ ও দেশের পারস্পরিক সুবিধার জন্য আগামীতেও সম্পর্কের নবায়নের এ গতিকে আমাদের ধরে রাখতে হবে।

সফর চলাকালীন (২৬ এপ্রিল) বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী থাই প্রধানমন্ত্রী থাভিসিনের সঙ্গে গভর্নমেন্ট হাউসে (প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়) দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করেন, যেখানে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করতে পাঁচটি দ্বিপাক্ষিক নথি স্বাক্ষরিত হয়।

নথিগুলো হচ্ছে- একটি চুক্তি, তিনটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ), একটি লেটার অব ইনটেন্ট (এলওআই), যা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের উপস্থিতিতে স্বাক্ষর হয়।

নথির মধ্যে অফিসিয়াল পাসপোর্ট হোল্ডারদের জন্য ভিসা ছাড়সংক্রান্ত চুক্তি, জ্বালানি সহযোগিতা, শুল্ক বিষয়ে সহযোগিতা ও পারস্পরিক সহায়তা এবং পর্যটন ক্ষেত্রে সহযোগিতাবিষয়ক সমঝোতা স্মারক এবং ২০২৪ সালের মধ্যে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) নিয়ে আলোচনা সংক্রান্ত লেটার অব ইনটেন্ট (এলওআই) রয়েছে।

শেখ হাসিনা গভর্নমেন্ট হাউসে থাই প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া একটি আনুষ্ঠানিক মধ্যাহ্নভোজেও যোগ দেন। গভর্নমেন্ট হাউসে পৌঁছালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে থাই কুহ ফাহ ভবনের সামনের উন্মুক্ত স্থানে লালগালিচা উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৫ এপ্রিল জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসক্যাপ) ৮০ তম অধিবেশনে যোগ দেন। এ অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে তিনি সব বিশ্বনেতাকে যুদ্ধ, আক্রমণ এবং আগ্রাসন বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে যুদ্ধকে না’ বলার আহ্বান জানান।

জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ও এসক্যাপের নির্বাহী সচিব আরমিদা সালসিয়াহ আলিসজাবানা এবং ইউএনএসক্যাপ সম্মেলনস্থলে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

একই দিনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুসিত প্রাসাদের অ্যামফোর্ন সাথার্ন থ্রোন হলে থাইল্যান্ডের রাজা ও রানি মহা ভাজিরালংকর্ন ফ্রা ভাজিরা-ক্লাওচা-উয়ুয়া এবং রানি সুথিদা বজ্রসুধা-বিমলা-লক্ষণের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।


আরও খবর



টানা ৮ দফা কমার পর বাড়লো সোনার দাম

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

টানা আট দফা কমার পর দেশের বাজারে সোনার দাম আবারও বাড়ানো হয়েছে। সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম এক হাজার ৫০ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে ভালো মানের এক ভরি সোনার দাম হয়েছে ১ লাখ ১০ হাজার ২১৩ টাকা।

স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার (পাকা সোনা) দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এ দাম বাড়ানো হয়েছে। রোববার (৫ মে) থেকে এ দাম কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।

এর আগে গত ৩ মে এবং ৩০ এপ্রিল, ২৯ এপ্রিল ২৮ এপ্রিল, ২৭ এপ্রিল, ২৫ এপ্রিল, ২৪ এপ্রিল ও ২৩ এপ্রিল আট দফা সোনার দাম কমানো হয়। এর মধ্যে ৩ মে এক হাজার ৮৭৮ টাকা কমানো হয়। তার আগে ৩০ এপ্রিল ৪২০ টাকা, ২৯ এপ্রিল ১ হাজার ১১৫ টাকা, ২৮ এপ্রিল ৩১৫ টাকা, ২৭ এপ্রিল ৬৩০ টাকা, ২৫ এপ্রিল ৬৩০ টাকা, ২৪ এপ্রিল ২ হাজার ৯৯ টাকা এবং ২৩ এপ্রিল ৩ হাজার ১৩৮ টাকা কমানো হয়। এতে আট দফায় ভালো মানের সোনার দাম ভরিতে ১০ হাজার ২৬২ টাকা কমানো হয়।

আট দফা দাম কমার পর এখন সোনার দাম বাড়লো। শনিবার (৪ মে) বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৈঠকে নতুন করে দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার দাম বেড়েছে। তাই সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বাজুস সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করেছে, যা রোববার থেকে কার্যকর হবে।

নতুন মূল্য অনুযায়ী, সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম এক হাজার ৫০ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ১০ হাজার ২১৩ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৩ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ৫ হাজার ১৯৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ৮৬৩ টাকা বাড়িয়ে ৯০ হাজার ১৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনার দাম ৭১২ টাকা বাড়িয়ে ৭৪ হাজার ৯৮৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

অবশ্য সোনার গহনা কিনতে ক্রেতাদের এর থেকে বেশি অর্থ গুনতে হবে। কারণ বাজুস নির্ধারণ করা দামের ওপর ৫ শতাংশ ভ্যাট যোগ করে সোনার গয়না বিক্রি করা হয়। সেইসঙ্গে ভরিপ্রতি মজুরি ধরা হয় ন্যূনতম ৩ হাজার ৪৯৯ টাকা। ফলে আগামীকাল থেকে ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার গহনা কিনতে ক্রেতাদের ১ লাখ ১৯ হাজার ২২৩ টাকা গুনতে হবে।

এর আগে ৩ এপ্রিল সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম এক হাজার ৮৭৮ টাকা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয় ১ লাখ ৯ হাজার ১৬৩ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম এক হাজার ৮০৭ টাকা কমিয়ে এক লাখ ৪ হাজার ১৯৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

এছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম এক হাজার ৫৫২ টাকা কমিয়ে ৮৯ হাজার ৩১১ টাকা নির্ধারণ করা হয়। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ২৮৩ টাকা কমিয়ে ৭৪ হাজার ২৭৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়। আজ পর্যন্ত এ দামেই সোনা বিক্রি হবে।

সোনার দাম কমানো হলেও অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ১০০ টাকা, ২১ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ১ হাজার ৭১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি রুপার দাম ১ হাজার ২৮৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।


আরও খবর



ডোমারে রেললাইনে কাটা পড়লো নেশাগ্রস্থ যুবক

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি:

নীলফামারীর ডোমারে বাড়ির পাশে রেললাইনে বসে মাদক সেবনরত অবস্থায় সাদ্দাম হোসেন(২৩) নামের এক যুবক ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত হয়েছে।

মরদেহের পাশে পড়ে রয়েছে নেশার সরঞ্জাম সলিউশন আঠাঁর কৌটা। সাদ্দাম ওই এলাকার তেলিপাড়ার মৃত আবু হানিফার ছেলে।

রবিবার (২১ এপ্রিল) রাত সাড়ে এগারোটার দিকে ডোমার রেল স্টেশনের তিন কিলোমিটার উত্তরে হাজিপাড়া রেলক্রসিং এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, রাতে চিলাহাটি হতে খুলনাগামী সীমান্ত ট্রেনে কাটা পড়ে সাদ্দাম হোসেন ঘটনাস্থলে মারা যায়। সে সময় সে রেললাইনে বসে ক্যামিক্যাল আঠা(ডান্ডি) নেশা করেছিল। নেশার কারণে আগে থেকেই মানষিক ভারসাম্যহীন ছিলো সাদ্দাম।

সৈয়দপুর রেলওয়ে থানা ওসি নুরুল ইসলাম জানান, নিহত সাদ্দাম মানষিক ভারমাস্যহীন ছিল। আইনী প্রক্রিয়া শেষে স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।


আরও খবর



ছলিমপুর গ্রামবাসীর স্বেচ্ছাশ্রম ও অর্থে সাঁকো নির্মাণ কাজ শুরু

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

Image

ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলায় গ্রামবাসীর স্বেচ্ছাশ্রম ও অর্থে কাঠের সাঁকো নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে।

সম্প্রতি উপজেলার মঠবাড়ী ও ত্রিশাল সদর ইউনিয়নের সাধারণ মানুষ নিরূপায় হয়ে নিজ অর্থ ব্যয়ে উপজেলার আম্লিতলা নামক স্থানে নাগেশ্বরী নদীর উপর এ সাঁকোটির নির্মাণ কাজ শুরু করেছেন। নির্মাণ কাজ শেষ হলে উপজেলার এই দুই ইউনিয়ন এবং উপজেলা সদরের সাথে কয়েক হাজার মানুষের যোগাযোগ সহজতর হবে।

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, সেতুটির ৬০ শতাংশ কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। সেতুটির মূল কাঠামোর কাজ শেষ হলেও উপরের কাঠের পাটাতন বসানো এবং ত্রিশাল উপজেলার ছলিমপুর অংশের সংযোগ সড়কে মাটি ভরাটের কাজ অর্থাভাবে আটকে রয়েছে। বাকি কাজ শেষ করতে অর্থ সংগ্রহের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন গ্রামবাসী। কাজ শেষ না হওয়ায় এই সেতু দিয়েই ঝুঁকি নিয়ে স্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষার্থীরাসহ আশেপাশের লোকজন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মঠবাড়ী ইউনিয়নের অলহরী ইজারাবন্দ, জয়দা ও পার্শ্ববর্তী উপজেলা ফুলবাড়িয়ার ধুরধুরিয়া গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ দীর্ঘদিন ধরে আম্লিতলার বাঁশের সাঁকো ব্যবহার করে উপজেলা সদর ও পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসায় যাতায়াত করত এবং ভারী বস্তু ও পণ্য পরিবহনে কয়েক কিলোমিটার ঘুরে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করে সেগুলো আনা-নেওয়া করত। এ এলাকার কয়েক হাজার মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল একটি পাঁকা ব্রিজ নির্মাণের। সেটি এখনো বাস্তবায়িত না হওয়ায় প্রায় চার লাখ টাকা ব্যয়ে তাঁরা একটি কাঠের সাঁকো নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে। এলাকার লোকজন সাধ্যানোযায়ী ধান, চাল, বাঁশসহ নগদ অর্থকড়ি ও শ্রম দিয়ে এ কাজে অংশগ্রহণ করছেন। সেতুটির কাজ শেষ হলে এ এলাকার হাজারো মানুষের দুর্ভোগ কিছুটা লাগব হবে। তখন সেতুটি দিয়ে তিন চাকার ছোট ছোট যানবাহন চলাচল করতে পারবে।

অলহরী ইজারাবন্দ গ্রামের স্কুল শিক্ষক হাসান বিএসসি বলেন, সাঁকোটি নির্মাণ হলে আমাদের আশেপাশের কয়েক গ্রামের বাসিন্দার চলাচল সহজ হবে। এলাকার সকলের সহায়তায় কাজ শুরু হয়েছে। তবে একটি পাকা ব্রিজ নির্মাণ এ এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবি।

ছলিমপুর দাখিল মাদ্রাসা ও ছলিমপুর আদর্শ নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী স্বপ্না আক্তার, বীথী আক্তার, পারভেজ মিয়া, রতন মিয়া সহ আরও জনাদশেক বলেন, সেতুটি পাড় হলেই নদীর পাড়ের আম্লিতলায় আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এই সেতুটি পাড় হয়ে প্রতিনিয়ত আমাদের পড়াশোনা করতে আসতে হয়। অন্য প্রতিষ্ঠান কয়েক কিলোমিটার দূরে হওয়ায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আমাদের চলাচল করতে হয়। বর্তমানে আমাদের এপার-ওপারের লোকজন মিলে  সেতুটি পুননির্মাণ কাজ শুরু করেছেন। টাকার অভাবে এখন কাজ বন্ধ রয়েছে। আমরা চাই সরকার আমাদের এখানে একটি পাকা সেতু নির্মাণ করে দিক।

ছলিমপুর আদর্শ নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: আব্দুর রাজ্জাক বলেন, কোন এলাকার মানুষের যাতায়াত ব্যবস্থা সুগম না হলে ওই এলাকার মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন হয় না। নদীর ওই পাড়ের লোকজন একটি ব্রিজের জন্য দীর্ঘদিন ধরে ভোগান্তি পোহাচ্ছে। ওই পাড়ের অনেক ছাত্রছাত্রী আমার স্কুলে পড়াশোনা করে। ভাঙাচোরা সাঁকোটি পার হতে তাদের অনেক বিড়ম্বনা পোহাতে হতো। পানি বেশি হলে কয়েক কিলোমিটার ঘুরে আসার ভয়ে নিয়মিত স্কুলমুখী হতে পারতনা শিক্ষার্থীরা। এখানে একটি পাকা সেতু হলে সবার জন্য ভালো হয়।'

স্থানীয় আক্কাছ আলী মাস্টার মডেল স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি অধ্যাপক খবিরুজ্জামান বলেন, এপার-ওপারের তিনগ্রামের সমন্বয়ে একটি ঈদগাহ মাঠ, একটি মসজিদ, একটি দাখিল মাদ্রাসা, একটি হাইস্কুল, একটি কিন্ডারগার্টেন ও একটি বাজার রয়েছে এখানে। তাই স্বাভাবিক ভাবেই সেতুটি অত্যন্ত গুরুত্ব বহন করে এপার-ওপারের মানুষের আসা-যাওয়ার জন্য। সম্প্রতি একজন মহিলা তার সন্তানসহ সাঁকো পাড়ি দিতে গিয়ে নিচে পড়ে গিয়ে মারাত্মকভাবে আহত হয়। তারই প্রেক্ষিতে ঝুঁকিমুক্ত নদী পারাপারের জন্য স্থানীয়ভাবেই এই কাঠের ব্রিজ নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করে।

ত্রিশাল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাকির হোসাইন বলেন, নদীর দু'পাড়ের মানুষের জন্য সেতুটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই সেতুটির নির্মাণ কাজে আমিও ব্যক্তিগতভাবে সহযোগিতা করেছি। পরিষদের পক্ষ থেকে সেতুটির ত্রিশাল অংশের সংযোগ সড়কে মাটি ফেলার কাজ দ্রুতই শুরু করবো ইনশাআল্লাহ।


আরও খবর



রাজশাহীতে সাংবাদিকের নামে সাইবার আইনে মামলা, প্রতিবাদে মানববন্ধন

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাজশাহী প্রতিনিধি

Image

সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলার ঘটনায় বাংলাদেশ প্রতিদিন ও দেশ টিভির সাংবাদিক কাজী শাহেদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের ঘটনায় প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে মানববন্ধন করেছেন রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাব ও  রুর‍্যাল জার্নালিস্ট ফাউন্ডেশন (আরজেএফ) রাজশাহী শাখা। দ্রুত সাইবার নিরাপত্তা আইনে করা মামলা নিঃশর্তে প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয় মানববন্ধনে।

শনিবার (১১ মে) বেলা ১১ টায় রাজশাহী মহানগরীর এ এইচ এম কামারুজ্জামান চত্ত্বর রেলগেটে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাবের সদস্য রহমতুল্লাহ'র সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম, মানববন্ধনটি পরিচালনা করেন সভাপতি শামসুল ইসলাম।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন প্রতিষ্ঠাতা সহ-সভাপতি ফারুক আহমেদ, ক্লাবের প্রেসিডিয়াম মেম্বার শাহিনুর রহমান সোনা, লিয়াকত হোসেন, সিনিয়র সাংবাদিক ইত্তেফাক পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার আনিসুজ্জামান আনিস, রুর‍্যাল জার্নালিস্ট ফাউন্ডেশন রাজশাহী শাখার সাধারণ সম্পাদক আল আমিন হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহীন সাগর। এসময় মানববন্ধনে প্রায় শতাধিক সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সাংবাদিকরা সংবাদ সংগ্রহ করবেন এবং সংবাদ প্রকাশ করবেন। প্রচলিত আইনে সংবাদের ভুল তথ্য বা সম্মানহানি হলে প্রতিবাদসহ বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলে অভিযোগ করার সুযোগ আছে। কিন্তু একটি সংবাদ প্রকাশকে কেন্দ্র করে রাজশাহীর সিনিয়র সাংবাদিক কাজী শাহেদের বিরুদ্ধে কালো আইনে সাইবার আদালতে মামলা করে হয়রানি করা হয়েছে। এ ঘটনায় সাংবাদিকরা চরমভাবে হতাশ হয়েছেন। টেলিভিশনের একজন সংবাদকর্মী হিসেবে কাজী শাহেদ ওই সংবাদে অভিযোগকারীর বক্তব্য এবং সে অনুযায়ী বিভিন্ন পক্ষের বক্তব্য প্রচার করেছেন। সংবাদে কাজী শাহেদ নিজস্ব কোনো বক্তব্য প্রচার বা মতামত প্রদান করেননি। তবুও অতি উৎসাহী হয়ে রাসিকের ১৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌহিদুল হক সুমন সাইবার আদালতে মামলা দায়ের করেন। এ মামলার প্রতিবাদে শনিবার এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা আরও বলেন, টেলিভিশনে প্রচারিত কোনো সংবাদে টিভি রিপোর্টারের নিজস্ব কোনো বক্তব্য প্রচারের সুযোগ থাকে না। কিন্তু এই প্রক্রিয়ার বাইরে গিয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের জন্য বিতর্কিত সাইবার নিরাপত্তা আইনের ২৯/৩১/৩৫ ধারায় মামলা দায়ের প্রকৃত আইনের অপব্যবহার, যা না করার ব্যাপারে সরকারের সুস্পষ্ট অঙ্গীকার আছে। দেশের গণমাধ্যমকর্মীরা দীর্ঘদিন ধরে সাইবার নিরাপত্তা আইন নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে। অবিলম্বে সাইবার আদালতের উক্ত মামলা নিঃশর্তে প্রত্যাহারের জোর দাবী জানানো হয়েছে এবং দ্রুত মামলা প্রত্যাহার না করলে কঠোর কর্মসূচি দেয়ার হুশিয়ারি প্রদান করা হয়।

মানববন্ধনে সিনিয়র সাংবাদিকরা বলেন, ক্ষমতার অপব্যবহার করে রাসিক ১৯ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তৌহিদুল হক সুমন এ আইন দিয়ে একজন সিনিয়র সাংবাদিকের কণ্ঠ রোধ করতে চাইছেন। তিনি তাঁর অতীত ভুলে যেতে পারেন আমরা কিন্তু ভুলিনি। কোনো আইন দিয়ে সংবাদ কর্মীদের কণ্ঠ রোধ করা যাবে না।

সুমনকে উদ্দেশ্য করে বক্তারা বলেন, আপনি সাংবাদিকদের এ কালো আইনে ভয় দেখাতে এবং নিজের অপরাধ ঢাকতে চাইছেন। সে সুযোগ আপনি পাবেন না, দ্রুত মামলা প্রত্যাহার করে নিয়ে ক্ষমা চেয়ে নেন। তা না হলে থলের কালো বিড়াল বের হয়ে যাবে। কতজনের নামে মামলা করবেন। এক এক করে সবাই যখন সংবাদ প্রকাশ শুরু করবে তখন কোথায় যাবেন?


আরও খবর