আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

উগান্ডায় নৌকাডুবিতে ২৬ জনের মৃত্যু

প্রকাশিত:শনিবার ২৬ ডিসেম্বর ২০২০ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

উগান্ডা ও কঙ্গো সীমান্তের আলবার্ট হ্রদে নৌকাডুবির ঘটনায় অন্তত ২৬ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

বার্তা সংস্থা এএফপি বলছে, প্রবল বাতাসের তোড়ে নৌকাটি পানিতে ডুবে যায়। প্রত্যক্ষদর্শীর বক্তব্যের ভিত্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এএফপি।

তবে নৌকায় থাকা অন্তত ২১ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। একজন মেরিন কর্মকর্তা বলেন, হ্রদে নিরাপত্তা ব্যবস্থা অত্যন্ত কম এবং সে কারণে অহরহ এমন ঘটনা ঘটছে।

উগান্ডা থেকে নৌকাটি ছেড়ে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। দুর্ঘটনায় নিখোঁজ থাকা আর কারো  বেঁচে ফেরার আশা নেই বলে মনে করছেন উদ্ধারকর্মীরা।


আরও খবর



শরীরের সবচেয়ে অপরিষ্কার স্থান কোনটি?

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

শরীরের সবচেয়ে অপরিষ্কার স্থান কোনটি তা জানার আগে প্রথমে বুঝে নিতে হবে, অপরিষ্কার বলতে আসলে কী বোঝানো হয়েছে? আমাদের শরীরের এমন জায়গা আছে যেখানে অনেক জীবাণু জমে থাকে। অন্যান্য অঙ্গের তুলনায় সেই অঙ্গে প্রচুর ব্যাকটেরিয়া জমা হয়ে থাকে, আর একারণেই সেই স্থানকে সবচেয়ে অপরিষ্কার বলা হয়। এর মানে এই নয় যে সেই স্থান পরিষ্কার করা হয় না। কিন্তু তারপরও ব্যাকটেরিয়া জমে থাকার কারণে সেটিই শরীরের সবচেয়ে অপরিষ্কার স্থান বলে মনে করা হয়।

অনেকের কাছেই মনে হতে পারে শরীরের সবচেয়ে নোংরা স্থান হলো আমাদের পা। এর কারণ হিসেবে বলতে পারেন সারাদিনে পায়েই সবচেয়ে বেশি ধুলোময়লা জমে। কেউ হয়তো বলতে পারেন, মূত্রনালীর মুখ হলো শরীরের সবচেয়ে অপরিষ্কার জায়গা। কেউ বলতে পারেন পায়ুদ্বারের কথা। কিন্তু এসব স্থান নয়, ব্যাকটেরিয়ার হিসাব করা হলে এর থেকেও অপরিষ্কার স্থান শরীরে রয়েছে।

নমুনা পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, আমাদের শরীরের একটি বিশেষ অংশে অন্য যেকোনো স্থানের তুলনায় বেশি ব্যাকটেরিয়া বাসা বাঁধে। আর সেই স্থানটি হলো আমাদের নাভি। নাভিকেই শরীরের সবচেয়ে অপরিচ্ছন্ন স্থান বলা হয়ে থাকে। এখানে অনেক বেশি ব্যাকটেরিয়া জমে থাকতে পারে তাই নিয়মিত নাভির যত্ন নেওয়া প্রয়োজন।

শরীরের সবচেয়ে অপরিচ্ছন্ন স্থান হওয়ায় নাভি নিয়মিত ভালো করে পরিষ্কার করা জরুরি। শরীর থেকে কিংবা পোশাক থেকে নাভিতে ময়লা জমতে থাকে। সেখান থেকে দেখা দিতে পারে বিভিন্ন সংক্রমণও। নাভি মূলত মানব শরীরের একটি ক্ষতস্থান। শিশুর জন্ম হলে মায়ের শরীর থেকে তাকে আলাদা করার জন্যই এই ক্ষতের সৃষ্টি হয়। শিশু গর্ভে থাকার সময় এই নাভির মাধ্যমেই পুষ্টি পেয়ে থাকে।

নিয়মিত নাভি পরিষ্কার না করা হলে বের হতে পারে দুর্গন্ধ। যে কারণে নিয়মিত সাবান ও পানি দিয়ে নাভি পরিষ্কার করা উচিত। সেইসঙ্গে আরেকটি বিষয়ে খেয়াল রাখা উচিত। সেটি হলো, নাভিতে যখন তখন হাত দেওয়া উচিত নয়। কখনো হাত দেওয়া হলে সেই হাত না ধুয়ে কোনোকিছু খাওয়া কিংবা ধরা উচিত নয়। আবার নাভিতেও অপরিষ্কার হাত দেওয়া উচিত নয়।


আরও খবর



ঢাকার পরবর্তী মা‌র্কিন রাষ্ট্রদূত ডেভিড মিল

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে ডেভিড স্লেটন মিলকে মনোনীত করেছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সিনিটে এই মনোনয়ন চূড়ান্ত হলে ঢাকা দূতাবাসে পিটার হাসের স্থলাভিষিক্ত হবেন ডেভিড স্লেটন মিল। হোয়াইট হাউসের এক বিবৃতিতে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানানো হয়।

ডেভিড স্লেটন মিল বর্তমানে বেইজিংয়ে মা‌র্কিন দূতাবাসে ডেপুটি চিফ অব মিশনের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি এর আগে ঢাকায় ডেপুটি মিশন প্রধান ছিলেন।

বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্ট বাইডেন বাংলাদেশে পরবর্তী মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে ডেভিড স্লেটন মিলির নাম ঘোষণা ক‌রেন। সিনেটে শুনানির পর মিলকে যোগ্য মনে হলে তবেই মনোনয়ন চূড়ান্ত করে রাষ্ট্রদূত করে তাকে ঢাকায় পাঠানো হবে।

জ্যৈষ্ঠ কূটনীতিক মিল বেইজিংয়ে দা‌য়ি‌ত্ব পালনের আগে যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের ইকোনমিক ব্যুরোর ট্রেড পলিসি অ্যান্ড নেগোসিয়েশন বিভাগের উপ-সহকারী সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা নীতি ও বাস্তবায়ন বিভাগের পরিচালক ছিলেন তিনি।

মিনিস্টার কাউন্সেলর হিসেবে ১৯৯২ সালে ফরেন সার্ভিসে যোগ দেন তিনি। এরপর ওয়াশিংটনের ফরেইন সার্ভিস ইনস্টিটিউটের লিডারশিপ অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট স্কুলের সহযোগী ডিন, ঢাকায় অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অব মিশন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন ডেভিড মিল।


আরও খবর



মিল্টন সমাদ্দারের আশ্রমের দায়িত্ব নিলো শামসুল হক ফাউন্ডেশন

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আলোচিত মিল্টন সমাদ্দারের চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার’ আশ্রমের সব দায়িত্ব আলহাজ শামসুল হক ফাউন্ডেশন নিয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ।

সোমবার (৬ মে) মিন্টো রোডের গোয়েন্দা কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ডিবি প্রধান জানান, আলহাজ সামসুল হক ফাউন্ডেশনের কর্ণধারকে আপাতত মিল্টনের আশ্রমের সব দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। আশ্রয় নেয়াদের আশ্রমে রেখেই তিনি চিকিৎসা করাবেন এবং একজন ডাক্তার নিয়োগ দেবেন। এই বিষয়ে ডিবি তাকে নির্দেশনা দিয়েছে।

এর আগে গতকাল রোববার সাংবাদিকদের হারুন অর রশিদ আরও বলেন, মিল্টন সমাদ্দারকে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করছি। এতে ভয়াবহ ও লোমহর্ষক তথ্য বেরিয়ে এসেছে। মাদকাসক্ত মিল্টন মানুষের হাত-পা কেটে পৈশাচিক আনন্দ উপভোগ করতেন।

তিনি বলেন, মিল্টন বিভিন্ন জায়গা থেকে বৃদ্ধ, প্রতিবন্ধী ও রোগাক্রান্তদের ধরে আনতেন। তাদের দেখিয়ে বিভিন্ন জায়গা থেকে অনুদান নিতেন, যা এসব মানুষের পেছনে খরচ করতেন না। বরং তারা অসুস্থ হলে নিজেই তাদের চিকিৎসার নামে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ কেটে ফেলতেন। তার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ১ কোটি ৮৫ লাখ টাকা রয়েছে।’

ডিএমপির ডিবি প্রধান বলেন, মিল্টন সমাদ্দারের মতো সাইকোপ্যাথিক মানুষ কীভাবে মানবতার ফেরিওয়ালা হয়, তা আমাদের বোধগম্য নয়। তিনি যে নির্যাতন করে, ব্লেড ছুরিতে নিজেই অপারেশন করতেন, টর্চার সেলে মানুষকে পেটাতেন তাদের যে বানর বলে অভিহিত করতেন, পিটিয়ে নিস্তেজ করতেন। তিনি স্বীকার করেছেন, এসব করে তিনি পৈশাচিক আনন্দ পেতেন। আমরা তার টর্চার সেল থেকে আলামত জব্দ করেছি। কথিত অপারেশন থিয়েটার থেকে ব্লেড ছুরি জব্দ করেছি।

‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দার বিভিন্ন জায়গা থেকে বৃদ্ধ, প্রতিবন্ধী ও রোগাক্রান্তদের ধরে এনে তাদের দেখিয়ে বিভিন্ন জায়গা থেকে অনুদান সংগ্রহ করতেন। কিন্তু তাদের পেছনে খরচ না করে তা জমিয়েছেন তার ব্যাংক হিসাবে।

‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার’ নামের বৃদ্ধাশ্রমের আড়ালে মিল্টন সমাদ্দারের নানা অপকর্ম নিয়ে সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশের পর দেশব্যাপী তুমুল সমালোচনার ঝড় ওঠে।

যদিও কয়েকটি গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়ে তার বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করেন মিল্টন সমাদ্দার। নিজের পক্ষে কিছু তথ্যপ্রমাণ ও যুক্তিও তুলে ধরেন। কিন্তু তার দাবি এবং উপস্থাপিত তথ্যপ্রমাণ বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, মিল্টনের দেয়া বেশিরভাগ তথ্যই মিথ্যা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মিল্টন সমাদ্দারের সেবামূলক কর্মকাণ্ডের রয়েছে ব্যাপক প্রচারণা।

এতে দেখা যায়, অসহায়-দুস্থ মানুষের সেবায় তিনি গড়ে তোলেন চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ নামে একটি বৃদ্ধাশ্রম। রাস্তা থেকে অসুস্থ ও ভবঘুরেদের কুড়িয়ে এনে আশ্রয় দেন বৃদ্ধাশ্রমে।

জনসেবামূলক এসব কর্মকাণ্ডের স্বীকৃতি হিসেবে পেয়েছেন সরকারি-বেসরকারি নানা পুরস্কারও। তবে যেটুকু ভালো কাজ করেছেন, প্রচার করেছেন ঢের বেশি।

এ সব অভিযোগের ভিত্তিতে গত ১ মে রাতে রাজধানীর মিরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে মিল্টন সমাদ্দারকে আটক করে ডিবি। এরপর আশ্রমের মৃত ব্যক্তিদের জাল মৃত্যু সনদ দেয়ার অভিযোগের মামলায় তিন দিনের রিমান্ড নেয়া হয়। রোববার (৫ মে) রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মানবপাচার আইনে মিরপুর মডেল থানার অপর এক মামলায় মিল্টন সমাদ্দারের ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।


আরও খবর



গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার দায়িত্ব সরকারের: মঈন খান

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, আজকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও কথা বলার অধিকার নিয়ে মানুষের সংগ্রাম করতে হচ্ছে। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার সব দায়দায়িত্ব সরকারের। কারণ, সংবাদপত্রের স্বাধীনতায় সাধারণ মানুষ বাধা দেয় না, মানুষের কথায় বলায় আরেকজন বাধা দেয় না, বাধা দেয় সরকার।

রবিবার (৫ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরাম খাঁ হলে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) আয়োজিত বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, বাংলাদেশ গণতন্ত্রের আদর্শে সৃষ্টি হয়েছিল। আর গণতন্ত্র রক্ষার মূল কবজ হচ্ছে মুক্ত গণমাধ্যম। আজকে সেই গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে হলে নতুন করে বাংলাদেশের গণমাধ্যমের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা করবো। এটাই হোক বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসে আমাদের শপথ।

তিনি বলেন, গণমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। কিন্তু বিশ্বে এমনও আলোচনা হয়েছে গণমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ নয়, প্রথম স্তম্ভ। মিডিয়া একটি রাষ্ট্রের শক্তির চেয়েও বেশি শক্তিশালী। কারণ, সরকার যত বড় শক্তিশালী হোক না কেন, মিডিয়া অন্যায়কে প্রকাশ করে দিয়ে একটি রাষ্ট্রকে ভাঙতে পারে, নতুনভাবে গড়তেও পারে। এই সত্য আজকের সরকার যতই উপলব্ধি করবে, ততই তাদের জন্য ভালো হবে।

মঈন খান বলেন, বর্তমান সরকার নিজেদের স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি বলে দাবি করে। সেই স্বাধীনতা যুদ্ধের মূলমন্ত্র ছিল গণতন্ত্র। দেশে যদি গণতন্ত্র না থাকে, একদলীয় শাসন কায়েম হয়ে থাকে, মুক্ত চিন্তা বিকাশের সুযোগ না থাকে, ১৮ কোটি মানুষকে যদি আওয়ামী লীগের চিন্তা-ভাবনা অনুযায়ী একই লাইনে চলতে বাধ্য করা হয় সেখানে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা থাকে না।

বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, জাতীয় প্রেস ক্লাবের অবকাঠামোর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। তিনিই গণমাধ্যমের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠাতা করেছিলেন। আজকে আওয়ামী লীগ তাকে সৈনিক বলে সম্বোধন করে। একজন সৈনিক যদি সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে পারেন, তাহলে আওয়ামী লীগ কেন গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বাধা দেয়?

সভাপতির বক্তব্যে বিএফইউজে সভাপতি রুহুল আমিন গাজী বলেন, গত ১৫ বছরে ৬০ জন সাংবাদিককে হত্যা করা হয়েছে। সাগর-রুনির হত্যার আজও বিচার হয়নি। এমপি-মন্ত্রী বা সরকার দলীয় লোকজনের দুর্নীতির রিপোর্ট প্রকাশ করলেই সাংবাদিকের ওপর নেমে আসে নির্মম নির্যাতন।  গণতন্ত্র ও দেশের স্বাধীনতা রক্ষা করতে হলে আজকে গণমাধ্যমের স্বাধীন সর্বপ্রথম নিশ্চিত করতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন বিএফইউজের মহাসচিব ও বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্য সচিব কাদের গণি চৌধুরী, ডিইউজের সভাপতি শহীদুল ইসলাম, সহসভাপতি রাশেদুল হক, সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলম, বিএফইউজের যুগ্ম মহাসচিব বাছির জামাল প্রমুখ।


আরও খবর



প্লাস্টিক দূষণের জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী কোকা-কোলা ও পেপসিকো: গবেষণা

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

বিশ্বব্যাপী প্লাস্টিক দূষণের অর্ধেকের জন্য দায়ী মাত্র ৫৬টি কোম্পানি। এর মধ্যে কোকা-কোলা একাই মোট ১১ শতাংশ প্লাস্টিক দূষণের জন্য দায়ী। সম্প্রতি এক গবেষণায় উঠে এসেছে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য। কোকা-কোলা ছাড়াও ব্র্যান্ডেড প্লাস্টিক দূষণের জন্য দায়ী শীর্ষ কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে (শনাক্তকৃত) পেপসিকো, নেসলে এবং ড্যানোন।

দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট বলছে, বুধবার (২৪ এপ্রিল) 'সায়েন্স অ্যাডভান্স' জার্নালে প্রকাশিত একটি নতুন গবেষণায় ছয়টি মহাদেশের বেশ কিছু বড় কোম্পানি বা ব্র্যান্ড এর নাম উঠে এসেছে, যারা ব্র্যান্ডেড প্লাস্টিক দূষণের সাথে জড়িত। গবেষকরা এক লাখের বেশী স্বেচ্ছাসেবীদের সহায়তায় ১ দশমিক ৮ মিলিয়নের বেশি প্লাস্টিক বর্জ্য তাদের গবেষণার জন্য আলাদা করেছেন।

প্রতি বছর বিভিন্ন কোম্পানি সাড়া পৃথিবীতে প্রায় ৪০০ মিলিয়ন মেট্রিক টন প্লাস্টিক উৎপাদন করে। এই প্লাস্টিকের কিছু নদী বা সমুদ্র সৈকতে জমা হয়ে পানির স্বাভাবিক স্রোতে বাধা সৃষ্টি করে। আবার কিছু প্লাস্টিক ভেঙ্গে অতিক্ষুদ্র মাইক্রোপ্লাস্টিক বা ন্যানোপ্লাস্টিকেও পরিণত হয়। এ ধরনের অতিক্ষুদ্র প্লাস্টিক বাতাসে ভাসতে পারে। এমনকি মানুষের ফুসফুস ও রক্তসহ অন্যান্য অঙ্গে প্রবেশ করতে পারে।

তথ্য সংগ্রহের জন্য বিশ্বব্যাপী হাজার হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্লাস্টিক 'নিরীক্ষা' পরিচালনা করেছেন। তারা সতর্কতার সাথে সমুদ্র সৈকত, পার্ক, নদী এবং অন্যান্য এলাকায় অনুসন্ধান চালিয়ে প্লাস্টিকের ধ্বংসাবশেষ সংগ্রহ করেছেন। তারা প্লাস্টিক বর্জ্যের প্রতিটি অংশ পরীক্ষা করে দৃশ্যমান ব্র্যান্ড বা ট্রেডমার্ক চিহ্নিত করেছে। ২০১৮ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে ব্রেক ফ্রি ফ্রম প্লাস্টিক নামের সংস্থাটি এক হাজার ৫৭৬টি নিরীক্ষা সমন্বয় করেছে।

পরীক্ষা চালানো ১ দশমিক ৮ মিলিয়নেরও বেশি প্লাস্টিকের মধ্যে প্রায় ৯ লাখ ১০ হাজার প্লাস্টিকে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের দৃশ্যমান চিহ্ন পাওয়া গেছে। [সূর্যালোক এবং আবহাওয়ার সংস্পর্শে আসার কারণে প্লাস্টিক তার ব্র্যান্ড মার্কারগুলো (চিহ্ন) হারাতে পারে।]  ব্র্যান্ডের দৃশ্যমান চিহ্নের ওপর ভিত্তি করে ব্র্যান্ডেড প্লাস্টিক দূষণের জন্য দায়ী শীর্ষ কোম্পানিগুলো (শনাক্তকৃত) হলো কোকা-কোলা, পেপসিকো, নেসলে এবং ড্যানোন।

কোকা-কোলার একজন মুখপাত্র মেইলে কোম্পানিটির 'ওয়ার্ল্ড উইদাউট ওয়েস্ট' নামক কৌশলের কথা উল্লেখ করে জানান, কোকা-কোলা ২০২৫ সালের মধ্যেই বিশ্বব্যাপী শতভাগ পুনর্ব্যবহারযোগ্য প্যাকেজিং ব্যবস্থা চালু করার চেষ্টা করছে। পাশাপাশি ২০৩০ সালের মধ্যে কোম্পানিটি প্যাকেজিংয়ের জন্য ৫০ শতাংশ পুনর্ব্যবহারযোগ্য উপাদান ব্যবহার করতে চায়।

এ ছাড়া নেসলে জানিয়েছে, নতুন প্লাস্টিকের ব্যবহার এক-তৃতীয়াংশ কমিয়ে আনা এবং প্যাকেজিংয়ের জন্য আরো বেশি করে পুনর্ব্যবহারযোগ্য উপাদান ব্যবহার করা কোম্পানির মূল লক্ষ্য। আর পেপসিকো ইমেইলের মাধ্যমে জানিয়েছে, কোম্পানিটি প্লাস্টিক দূষণ মোকাবেলায় একটি বৈশ্বিক নীতি কাঠামোর পক্ষে এবং এমন একটি অর্থনীতি গড়ে তুলতে কাজ করছে যেখানে প্লাস্টিক পুনরায় ব্যবহার করা সম্ভব।

এদিকে বিশ্বব্যাপী প্লাস্টিক সমস্যা সমাধানে একটি চুক্তি করার ব্যাপারে আলোচনার জন্য এই সপ্তাহে অটোয়াতে বিশ্ব নেতারা এবং মধ্যস্ততাকারীরা একত্রিত হবেন। অনেক পরিবেশগত সংস্থা এবং দেশগুলো এমন একটি চুক্তি চায় যা প্লাস্টিক উৎপাদন হ্রাস করবে যা মার্কিন মধ্যস্ততাকারীরা প্রতিরোধ করে আসছে। শিল্প গোষ্ঠী এবং সংস্থাগুলো যুক্তি দিয়েছে, বারবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক উৎপাদন, উন্নত রিসাইকেল ব্যবস্থা এবং উন্নত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্লাস্টিক উৎপাদন ব্যাহত না করেই এ সমস্যাটির সমাধান করতে পারে।

ওয়ার্ল্ড প্লাস্টিক কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বেনি মারম্যানস বলেন, "আমাদের সদস্যরা বারবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের সরবরাহ বাড়াতে বিভিন্ন অবকাঠামোতে বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করছে যাতে ব্যবহৃত প্লাস্টিকগুলো বর্জ্য, ভূমি বা পুড়িয়ে ফেলার মাধ্যমে পরিবেশে প্রবেশ করতে না পারে।" তবে প্লাস্টিক শিল্পের সাথে জড়িত সংশ্লিষ্টদের দাবি, প্লাস্টিক বিশ্ব অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখে। এর উৎপাদন কমালে তা নিম্ন আয়ের মানুষের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।

গবেষকরা শুধু পুনর্ব্যবহার বাড়ানো বা বৃত্তাকার অর্থনীতির গুরুত্বের উপর জোর না দিয়ে প্লাস্টিক উৎপাদন কমানোর বিষয়টিকেও গুরুত্ব দিচ্ছেন। তেল ও গ্যাস উৎপাদনকে লক্ষ্য করে জলবায়ু নীতি থাকা সত্ত্বেও জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে তৈরি হওয়া প্লাস্টিক এ শিল্পকে টিকিয়ে রাখছে। আন্তর্জাতিক শক্তি সংস্থা ধারণা করছে, প্লাস্টিকের জন্য এ শতাব্দীর মাঝামাঝি তেলের চাহিদা অর্ধেক বৃদ্ধি পাবে। আর বিজ্ঞানীরা ইতোমধ্যেই জানিয়েছেন, প্লাস্টিক উৎপাদনে বিধিনিষেধ না থাকায় সেটি পরিবেশের ক্ষতি করার পাশাপাশি মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।


আরও খবর