আজঃ মঙ্গলবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

উপদেষ্টারা আর যেন রাজনৈতিক বক্তব্য না দেন: আন্দালিব রহমান পার্থ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৩ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৩ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টারা যেন রাজনৈতিক বক্তব্য দেওয়া থেকে বিরত থাকেন, এ ব্যাপারে অনুরোধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ। সোমবার (১২ আগস্ট) রাতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে কী কথা হয়েছে পরে তা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন তিনি।

ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ বলেন, আমি রিকোয়েস্ট করেছি, উপদেষ্টারা যারা আছেন উনারা যেন রাজনৈতিক বক্তব্য না দেন। হঠাৎ করেই দেখা যাচ্ছে রাজনৈতিক বক্তব্য। এতে করে মানুষের মধ্যে একটা রিঅ্যাকশন আসতে পারে বা অন্য কোনো মেসেজ যেতে পারে। বিষয়টি মাথায় রেখে উনারা যেন বক্তব্য দেওয়া থেকে বিরত থাকেন।

উপদেষ্টার বক্তব্য ঘিরে আন্দোলনরত ছাত্র-জনতা আবার আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছে- এ প্রসঙ্গে ব্যারিস্টার পার্থ বলেন, এই প্রথম স্টেপে আমার কাছে মিস আন্ডারস্ট্যান্ডিং মনে হচ্ছে। যেটা ট্রিগার হয়েছে তা এই রাজনৈতিক বক্তব্য দেওয়ার জন্য। আওয়ামী লীগের যাওয়া হয়েছে একটা রেভ্যুলিউশনের মাধ্যমে। এটা কুল ডাউন করতে দিতে হবে জাতিকে, আমাদেরকে। আমরা সবাই এফেক্টেড। হাজার মানুষের বেশি মারা গেছেন। ১৭ বছরের শাসন তাদের। আমার মনে হয়, উপদেষ্টারা যদি রাজনৈতিক বক্তব্য দেওয়া থেকে বিরত থাকেন তাহলে এই কনফিউশনটা ক্রিয়েট হবে না। কিংবা তাদের একজন স্পোকসম্যান থাকতে পারে।

শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে আন্দালিব রহমান পার্থ বলেন, না না এইগুলো এখন টু... আর্লি টু সে। কাউকে ফিরিয়ে আনার ব্যাপার জনগণ ঠিক করবে, জনগণ এই রেভ্যুলিউশন করেছে, আগামীতে আওয়ামী লীগের ভবিষ্যত কী হবে।

তিনি আরও বলেন, সামনে গণহত্যার বিচার হবে। আরও অনেক ইনভেস্টিগেশন আছে, কোথা থেকে কী বের হবে, কী হচ্ছে না হচ্ছে। সব কিছুর পর মানুষ ঠিক করবে। রাজনৈতিক দল তো আসলে কাগজে কলমে হয় না। এটার ভাগ্য নিয়ন্ত্রণ কলমের খোঁচায়ও হয় না। জনগণই দাঁড় করায় আবার জনগণই ছিটকে ফেলে দেয়। সময়ই বলে দেবে কী হবে।

এর আগে সোমবার (১২ আগস্ট) সকালে আওয়ামী লীগ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, লোক জড়ো করুক, আর যাই করুক, আমি আপনাদের একটা অনুরোধ করি, এমন কিছু করবেন না যে আপনাদের (আওয়ামী লীগ) জীবন বিপন্ন হয়। এ দেশের পাবলিক এখনো আপনাদের গ্রহণ করতে আসেনি। আমি বরং মনে করি, আপনারা আপনাদের পার্টি রিঅর্গানাইজ (পুনর্গঠন) করুন।

বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের অনেক অবদান আছে উল্লেখ করে এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, এটা আমরা অস্বীকার করতে পারি না। দলকে পুনর্গঠন করুন, রাজনৈতিক দলের মতো যেভাবে থাকে, নির্বাচন এলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন, জনগণ ভোট দিলে ভোটে যাবেন।

নতুন নেতৃত্বে দল গোছানোর পরামর্শ দিয়ে এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, আপনারা দল গুছিয়ে নিন, আপনাদের দলকে তো কেউ নিষিদ্ধ করেনি। যেকোনো দল নিষিদ্ধ করা বাজে সংস্কৃতি।

আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে যাওয়া শেখ হাসিনার উদ্দেশে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আপনি আসবেন, আপনার দেশ। আপনি আসেন না কেন? নাগরিকত্ব তো যায়নি। ২১ বছর প্রধানমন্ত্রিত্ব করেছেন। আপনি স্বেচ্ছায় চলে গেছেন, কেউ তো যেতে বলেননি। স্বেচ্ছায় আসেন, ভালো থাকবেন, আবার আসবেন। আমরা সবাই আপনাকে শ্রদ্ধা করি। কিন্তু গন্ডগোল পাকিয়ে কোনো লাভ হবে না। বরং লোকজন আবার খেপে উঠবে।

এ সময় জাতীয় পার্টির উদাহরণ তুলে ধরেন এম সাখাওয়াত হোসেন। এইচ এম এরশাদ কারাগারে যাওয়ায় দলটি বেঁচে যায় বলেও মন্তব্য করেন তিনি। সংখ্যালঘুদের ওপর হামলাসহ বিভিন্ন সংঘাত বন্ধ করার ব্যবস্থা নিতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। তিনি বলেন, আপনারা আপনাদের এলাকা ঠিক করুন। যদি সংসদীয় এলাকা অনুযায়ী হিসাব নিতে থাকি, আপনারা আমাকে ভালো করে জানেন। আমি নতুন লোক নই। আমি নিশ্চিত করব, (সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায়) নির্বাচন যাতে হয়। তিনি আরও বলেন, দয়া করে দেশকে অরাজকতার দিকে ঠেলে দেবেন না। ইনক্লুডিং সদ্য যে পার্টি (আওয়ামী লীগ), আপনারা দল গোছান, আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আপনাদের সাহায্য করব। আপনারা গোছান নতুন মুখ (নতুন নেতৃত্ব), নতুন অঙ্গীকার নিয়ে। আশা করি, রাজনৈতিক দল আইন অনুযায়ী হবে।

একইদিন বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে আয়োজিত এক সমাবেশে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, আমরা উপদেষ্টাদের মনে করিয়ে দিতে চাই, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আপনারা উপদেষ্টা হয়েছেন, আপনারা বক্তব্য দেওয়ার আগে ৫ আগস্টের গণভবনের চিত্র মনে রাখবেন। খুনিদের পুনর্বাসনের বিষয়ে সতর্ক করে দিতে চাই, আমরা যেভাবে স্বৈরাচারকে ক্ষমতা থেকে নামিয়েছি, ঠিক একইভাবে স্বৈরাচার পুনর্বাসনের চেষ্টাকারীদেরও নামাতে সময় লাগবে না।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় আরেক সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, আমরা আজকে আপনাদের কিছু বিষয়ে সতর্ক করতে এসেছি। ৫ আগস্ট স্বৈরাচার তাড়ানোর পরদিন থেকে কিছু কুচক্রী মহল ক্যু করার চেষ্টা করছিল। আমরা ছাত্র-জনতা তা দমন করি, এরপর সর্বশেষ বিচার বিভাগীয় ক্যু করার চেষ্টা করলে আপনাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে তা রুখে দিতে সক্ষম হয়েছি। আমাদের বিপ্লবকে নস্যাৎ করতে এখনও একটি মহল ক্যু করার ষড়যন্ত্র করছে। আমরা ছাত্র-জনতা তাদের পরিকল্পনা সফল হতে দেবো না।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক রিফাত রশীদ ফেসবুকে লিখেছেন, গণ-বিমুখী আলাপ দিলে হাসিনার মতো আপনাকেও ছুড়ে ফেলা হবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সাখাওয়াত হোসেন। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান শেষ হয় নাই, আমরা রাজপথ দখলে রাখতেছি। ভুলে যাইয়েন না...


আরও খবর



শ্রমিক অসন্তোষ, সাভারে আরও ৬০ কারখানা ছুটি

প্রকাশিত:বুধবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সাভার প্রতিনিধি

Image

শিল্পাঞ্চল সাভারে গত গয়েকদিনের শ্রমিক অসন্তোষের জেরে আরও অন্তত ৬০ কারখানায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ৩ তারিখ থেকেই যৌথ বাহিনীর কার্যক্রম শুরু করে শিল্পাঞ্চল সাভারে।

বুধবার প্রথম প্রহরে আন্দোলনকারীদের আন্দোলন শুরু হলে, সকাল ১০টার দিকে টঙ্গী-আশুলিয়া ও বাইপাইল থেকে জিরাবো পর্যন্ত মহাসড়কের উভয়পাশের কারখানাগুলো ছুটি ঘোষণা করা হয়। এর আগে বৃহস্পতিবারও সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত আশুলিয়ার মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে আন্দোলন করেছিলো শ্রমিকরা।

শিল্প পুলিশ জানায়, আজ সকালে যথা নিয়মে কারখানায় যায় শ্রমিকরা। কিন্তু কাজ না করে বিভিন্ন দাবী আদায়ে বিক্ষোভ শুরু করলে কর্তৃপক্ষ একের পর এক কারখানা ছুটি ঘোষণা করতে বাধ্য হয়। পরে শ্রমিকরা বেরিয়ে উৎপাদন অব্যাহত রাখা কারখানা গুলোর সামনে গিয়ে বিক্ষোভ ও ইট পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করলে সেসব কারখানাতেও ছুটি ঘোষণা করতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ। সকাল সাড়ে ১০ টা পর্যন্ত অন্তত শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ার ছোট-বড় অন্তত ৬০টি পোশাক কারখানা ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।

জিরাবো এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, কারখানা ছুটি ঘোষণা করা হলেও বিক্ষিপ্ত অবস্থায় বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নিয়েছেন শ্রমিকরা। এতে করে সড়কটিতে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে শিল্প পুলিশ, সেনাবাহিনী ও বিজিবি সদস্যরা।

শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার মো. সারোয়ার আলম বলেন, শ্রমিকদের বিক্ষোভের মুখে টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কের জিরাবো এলাকা পর্যন্ত সড়কের উভয় পাশে হামীম, শারমীনসহ অন্তত ৬০ টি কারখানা কর্তৃপক্ষ কারখানা ছুটি ঘোষণা করতে বাধ্য হয়েছে। সকাল সাড়ে ৮ টা থেকে শ্রমিকরা উদ্ভুত পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। পরে কতৃপক্ষ কারখানা ছুটি ঘোষণা করেন। শ্রমিকরা এখনো সড়কে রয়েছেন, আমরা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

প্রসঙ্গত, গত কয়েকদিন ধরে তৈরি পোশাক কারখানা গুলোতে সমানুপাতিক হারে নারী ও পুরুষ শ্রমিক নিয়োগসহ নানা দাবিতে সাভারের আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে অস্থিরতা বিরাজ করছে। তবে গতকাল পোশাক শিল্পের নিরাপত্তায় যৌথ অভিযান শুরুর ঘোষণা আসার পর আজ সকাল থেকে শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ার পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলেও বিকেলে আবারও অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। শ্রমিকদের বিক্ষোভের মুখে গতকাল বিকেলেই সৃষ্ট বিশৃঙ্খলার কারণে এ পর্যন্ত অন্তত ৬০টি পোশাক কারখানার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ।


আরও খবর



ছাত্রদের ত্রাণসামগ্রী ছিনিয়ে নিল বিএনপি নেতা, উদ্ধার করল সেনাবাহিনী-পুলিশ

প্রকাশিত:বুধবার ২৮ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৮ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নোয়াখালী প্রতিনিধি

Image

নোয়াখালীর কবিরহাটের সুন্দলপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. একরামের বিরুদ্ধে ছাত্রদের ত্রাণসামগ্রীর ৬০০ প্যাকেট ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ওই সময় বিএনপি নেতা একরামের অনুসারীরা এক ছাত্রকে কুপিয়ে ও আরেকজনকে বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে। 

মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে সেনাবাহিনী ও কবিরহাট থানার পুলিশ ছিনিয়ে নেওয়া ত্রাণগুলো উদ্ধার করে।

এর আগে একই দিন বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে কবিরহাট উপজেলার সুন্দলপুর ইউনিয়নের কালামুন্সি বাজারে এ ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী একজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। 

আটক মো. সৌরভ (১৮) একই উপজেলার সুন্দলপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের দই বাড়ির জাহের হোসেনের ছেলে। 

হামলার শিকার শিক্ষার্থী তাসরিফউর রহমান ওরফে নিহাদ অভিযাগ করে বলেন, উপজেলার কালামুন্সি বাজার এলাকার ছাত্ররা ঢাকা থেকে ৬০০ প্যাকেট ত্রাণসামগ্রী সংগ্রহ করে নিজেদের এলাকার বন্যাদুর্গতদের মধ্যে বিতরণ করার জন্য যান। মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে ত্রাণসামগ্রীর প্যাকেটগুলো কালামুন্সি বাজারে আসে। তখন ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি একরাম নানা অজুহাতে ছাত্রদের ত্রাণগুলো ছিনিয়ে নিয়ে সুন্দলপুর ইউনিয়ন পরিষদে আটকে রাখেন। তখন ছাত্রদল নেতা সোহেলের নেতৃত্বে সৌরভ, রিপাত, নোমান ও বাপ্পী ছাত্রদের ওপর হামলা চালায়।

হামলাকারীরা মো. মাইন উদ্দিন আকাশ (১৬) নামে এক ছাত্রকে কুপিয়ে ও নিহাদ (১৬) নামে আরেক ছাত্রকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে। পরে ছাত্ররা বিষয়টি পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে জানালে তারা ঘটনাস্থলে এসে ছাত্রদের ত্রাণসামগ্রী উদ্ধার করে।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সুন্দলপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. একরাম অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোকজন ত্রাণগুলো উদ্ধার করেছে। এরপর যাদের ত্রাণ তাদের ফেরত দেওয়া হয়েছে। তারা তাদের লোক দিয়ে ত্রাণসামগ্রীগুলো বিতরণ করেছে।

স্থানীয়রা জানান, সেখানে ১৪০-১৫০ ত্রাণের প্যাকেট ছিল।

কবিরহাট উপজেলা বিএনপির সভাপতি কামরুল হুদা চৌধুরী লিটন বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। অভিযুক্ত বিএনপি নেতাকে দল থেকে বহিষ্কারের কথা হয়েছে। দলীয় বৈঠকে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করব। 

কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির বলেন, খবর পেয়ে ছাত্রদের ত্রাণসামগ্রীগুলো উদ্ধার করে ফেরত দেওয়া হয়েছে। তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল থেকে একজনকে আটক করা হয়েছে। ছাত্ররা লিখিত অভিযোগ দিলে পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিএনপি নেতারা অভিযুক্ত বিএনপি নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করার কথাও জানান তিনি।  

নিউজ ট্যাগ: নোয়াখালী

আরও খবর



বন্যার্তদের সহায়তায় রাজনৈতিক-ধর্মীয় পরিচয় নয়: তারেক রহমান

প্রকাশিত:শনিবার ২৪ আগস্ট 20২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৪ আগস্ট 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশের বন্যাদুর্গত মানুষদের সহায়তায় রাজনৈতিক বা ধর্মীয় পরিচয় না দেখার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

শুক্রবার (২৩ আগস্ট) এক ভিডিও বার্তায় দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে এই আহ্বান জানান তিনি।

তারেক রহমান বলেন, আপনারা সমন্বীতভাবে বন্যাকবলিত এলাকার মানুষের পাশে দাঁড়ান। তাদের প্রতি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিন। বন্যাকবলিত অঞ্চলের মানুষের জন্য খাদ্য, বস্ত্র, চিকিৎসা ও ওষুধের সহায়তা দিন এবং ব্যবস্থা নিন।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তারেক রহমান বলেন, আপনাদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানাব যে, দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া স্বৈরাচার দেশে মানুষে মানুষে হিংসা-বিরোধী-বিভেদ তৈরি করেছিল। কিন্তু আপনাদের প্রতি একান্ত অনুরোধ, মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রে আপনারা দয়া করে কারও রাজনৈতিক ও ধর্মীয় পরিচয়কে প্রাধান্য দেবেন না। একই সঙ্গে আপনারা ব্যক্তিগত ও দলীয় উদ্যোগের পাশাপাশি বন্যার্তদের সহায়তার জন্য সরকার ও প্রশাসন আপনাদের কাছে কোনো সহযোগিতা চাইলে দয়া করে সাধ্যমত সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিন।

দেশবাসীর উদ্দেশে বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, দলমত নির্বিশেষে আমরা যদি ঐক্যবদ্ধভাবে বন্যাকবলিত মানুষের পাশে দাঁড়াই, যার যার সাধ্যমত বিপদগ্রস্ত মানুষের সহায়তায় এগিয়ে আসি আল্লাহর রহমতে অবশ্যই এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় সক্ষম হবো।

তারেক রহমান বলেন, হঠাৎ করেই আকস্মিক বন্যায় দেশের উত্তর-পূর্ব এবং দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে লাখ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। পূর্বাঞ্চলে জেলার পর জেলা প্লাবিত হওয়ায় মানবেতর জীবন-যাপন করতে বাধ্য হচ্ছেন লাখ লাখ মানুষ। জীবন ও যানমালের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এরইমধ্যে জীবন গেছে কয়েকজন মানুষের। ভয়াবহ বন্যায় বিপর্যস্থ হয়ে পড়েছে জনজীবন।

বাংলাদেশের এই আকস্মিক বন্যার জন্য ভারতকে দায়ী করেন তারেক রহমান। তিনি বলেন, বাংলাদেশের এই বন্যা দেশের অভ্যন্তরে উদ্ভূত কোনো কারণে নয়। বন্যা কবলিত অঞ্চলে ভারি বৃষ্টিপাত হলেও সেটি পূর্বাঞ্চলের বন্যার মূলকারণ নয়। বরং এবারের বন্যার মূল কারণ উজানের দেশ প্রতিবেশী ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য প্রশানের দায়িত্বহীনতা ও খামখেয়ালিপনা। হঠাৎ করে বাঁধ খুলে বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ এলাকা ডুবিয়ে দিলেও একটি বারের জন্যও বাংলাদেশকে আগাম কোনো সতর্কতা দেইনি তারা। ফলে বিস্তীর্ণ এলাকা ভাসিয়ে নিলেও বন্যা মোকাবিলায় বাংলাদেশ সামন্যটুকু প্রস্তুতি নেওয়ার সুযোগ পর্যন্ত পায়নি।

বন্যা কবলিত এলাকার মানুষগুলো এখন সহায়সম্বল হারিয়ে লাখ লাখ মানুষ এখন নিদারুন অসহায় বলে উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, এমন পরিস্থিতিতে কোনো অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ করে এখন সময় ক্ষেপণেরও সময় নেই। বিএনপি বিশ্বাস করে বন্যাকবলিত মানুষের জীবন সম্পদ রক্ষা করাই এই মুহূর্তে প্রধান অগ্রাধিকার। দেশের বন্যা পরিস্থিতিতে আমি সারা দেশে বিশেষ করে যেসব এলাকা এখনো আক্রান্ত হয়নি, সেসব এলাকার বিএনপি এবং এর অঙ্গ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলতে চাই, আপনারা সমন্বিতভাবে বন্যা কবলিত মানুষের পাশে দাঁড়ান, সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিন। তাদের নিরাপত্তায় পাশে দাঁড়ান।


আরও খবর



২৪ ঘণ্টার মধ্যে উপকূলে আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড় ‘আসনা’

প্রকাশিত:শনিবার ৩১ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ৩১ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

আরব সাগরের উত্তরাংশে কয়েক দিন আগে যে গভীর নিম্নচাপ দেখা দিয়েছিল, সেটি ইতোমধ্যে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ঝড়টি ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য গুজরাটের উপকূলে আছড়ে পড়বে বলে সর্বশেষ পূর্বাভাসে জানিয়েছে দেশটির কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তর (আইএমডি)।

ধেয়ে আসতে থাকা ঘূর্নিঝড়টির নাম দেওয়া হয়েছে আসনা। আরব সাগরের তীরবর্তী অপর দেশ পাকিস্তান রেখেছে এই নামটি। গুজরাটের পাশাপাশি পাকিস্তানের দক্ষিণপূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ সিন্ধেও আসনা আঘাত হানবে বলে জানিয়েছে দেশটির আবহাওয়া দপ্তর।

শনিবার আইএমডির সর্বশেষ পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এই মুহূর্তে গুজরাটের নালিয়া শহরের পশ্চিম উপকূল থেকে ২৫০ কিলোমিটার, পাকিস্তানের করাচির উপকূল থেকে ১৬০ কিলোমিটার এবং বেলুচিস্তানের পাসনি উপকূল থেকে ৩৫০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে। বর্তমানে ঘণ্টায় ১৪ কিলোমিটার গতিতে এগোচ্ছে আসনা

এদিকে, আসনার প্রভাবে গুজরাটের জামনগর, সুরাট, পোরবন্দর, মোরবি, স্বর্কা এবং কুচ জেলায় গত বুধবার রাত থেকে শুরু হয়েছে ভারী বর্ষণ। অতি বর্ষণের জেরে এসব জেলার অনেক এলাকায় বন্যা দেখা দিয়েছে।

তবে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে কচ্ছ জেলায়। আইএমডির জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ রামাশ্রয় যাদব এনডিটিভিকে বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় কচ্ছ জেলাায় ৮৮২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে, যা স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় অন্তত ৫০ শতাংশ বেশি। এছাড়া সুরাট এবং কুচ জেলাতেও গত ২৪ ঘণ্টায় ভারী বর্ষণ হয়েছে।


আরও খবর



মৌলভীবাজার ও ফেনীতে কোস্ট গার্ডের ত্রাণ বিতরণ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৭ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৭ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ফেনী ও মৌলভীবাজার জেলার বন্যার্তদের মধ্যে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা ও প্রয়োজনীয় ওষুধসহ ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেছে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড। গতকাল সোমবার দুপুরে কোস্ট গার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সাব্বির আলম সুজন এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় মানুষদের উদ্ধারকার্য, বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা ও ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ অব্যাহত রেখেছে কোস্ট গার্ড। এরই ধারাবাহিকতায় বন্যাদুর্গত ফেনীর ফুলগাজী ও মৌলভীবাজার জেলার চানপুর, গুজারাই এলাকায় কোস্ট গার্ড মেডিকেল ক্যাম্পেইন পরিচালনা করে অসহায়, গরিব, দুস্থ ও শিশুদের বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা ও প্রয়োজনীয় ওষুধ সামগ্রী প্রদানের পাশাপাশি বন্যার্তদের মধ্যে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেছে।

তিনি আরও বলেন, বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রমের পাশাপাশি চিকিৎসাসেবা প্রদান অব্যাহত রাখবে কোস্ট গার্ড।


আরও খবর