আজঃ বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4
শিরোনাম

ভালোবাসা দিবসে সেন্টমার্টিনে গিয়ে যে আট কাজ করতে ভুলবেন না

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ভ্রমণ ডেস্ক

Image

বছরের এই সময়ে সমুদ্র অনেকটাই থাকে শান্ত। সূর্যের মিষ্টি আলো দিনভর আনন্দ দেয়। সৈকতের ধারে মৃদু ঠাণ্ডার রাতগুলো দেয় অবিস্মরণীয় অভিজ্ঞতা। সবমিলিয়ে এ সময়টাতে সেন্টমার্টিন নিঃসন্দেহে আদর্শ গন্তব্য। প্রবাল এবং সুন্দর বালুকাময় সমুদ্রসৈকত, তাজা নীল জলরাশির মনোমুগ্ধকর দৃশ্য অবাক করে দেবে ভ্রমণপিপাসুদের।

বাংলাদেশে নভেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত সেন্টমার্টিন রুটে সাধারণত সরকারি অনুমোদন নিয়ে জাহাজ পরিচালনা করা হয়। এই সময়ে কক্সবাজার থেকে জাহাজে করে সেন্টমার্টিন যেতে পারেন। মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সংঘর্ষের কারণে টেকনাফ রুটটি বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। এই মৌসুমে অনেক লোক সেন্টমার্টিন-এ ভ্রমণ করে তাই সম্ভাবনা বেশি যে আপনি আপনার পছন্দসই হোটেল পেতে সমস্যার সম্মুখীন হবেন। ভ্রমণের পরিকল্পনা থাকলে হোটেল-রিসোর্টগুলো আগে থেকেই বুকিং করে রাখা ভালো।

সেন্টমার্টিনে জাহাজ থেকে নেমেই আপনি ছোট বাজারের মধ্য দিয়ে একটি দীর্ঘ হাঁটা পথ দেখতে পাবেন। কিছুটা এগিয়ে গেলেই গভীর নীল সমুদ্রের সাক্ষী হবেন। সাগরের বাতাস স্পর্শ করলেই আপনার সমস্ত ক্লান্তি দূর হয়ে যাবে। সেন্টমার্টিনে থাকাকালীন অনেক কিছুই আছে, যা উপভোগ্য। আপনার ভ্রমণকে করবে মোহনীয়। এসব উপভোগের সুযোগ কোনোভাবেই হাতছাড়া করা উচিত না। সেই বিষয়গুলোই এই লেখায় তুলে ধরছি।

১. সাইকেল নিয়ে সমুদ্র সৈকতে ঘোরাঘুরি : সেন্টমার্টিনের সকালটা থাকে খুব মনোরম। সকালের দৃশ্য উপভোগের সময় সমুদ্র সৈকতে সাইকেল চালাতে পারেন। বাজার এলাকা থেকে প্রতি ঘণ্টায় সাইকেল ভাড়া নিতে পারেন। খেয়াল রাখবেন, সাইকেল নেওয়ার সময় সাইকেল মালিক সময়টা সঠিক লিখেছেন কি-না। সাধারণত প্রতি ঘণ্টা ভাড়া আনুমানিক ৬০-১০০ টাকা পর্যন্ত হয়। রাইড শেষ করার পরে সাইকেলটি দোকানে ফেরত দিতে ভুলবেন না।

২. বার বি কিউ পার্টি : সেন্টমার্টিনে থাকাকালীন সন্ধ্যেটা উপভোগ্য করে তুলতে চাইলে বার বি কিউ পার্টি হতে পারে অন্যরকম সুন্দর। দ্বীপটি রেস্টুরেন্ট দিয়ে ঘেরা। এসব খাবারের দোকান থেকে সামুদ্রিক মাছ কিনে নিতে পারেন। ওয়াটার পমফ্রেট, টুনা, স্যামন, গলদা চিংড়ি, কাঁকড়া এবং আরও অনেক ধরনের মাছ রয়েছে। যেটা আপনার পছন্দ হয়, কিনে নিতে পারবেন।

৩. ভ্যানে ঘোরা : দ্বীপটি এতই ছোট যে সেখানে খুব কম পরিবহনের বিকল্প পাওয়া যায়। এক গন্তব্য থেকে অন্য গন্তব্যে যেতে স্থানীয়রা বেশিরভাগই হাঁটা পছন্দ করেন। তবে হাঁটতে ভালো না লাগলে আপনি ভ্যান ভাড়া করতে পারেন। চার থেকে পাঁচজন ভ্যানে চড়ে দ্বীপের চারপাশটা দেখে আসতে পারেন।

৪. রোমাঞ্চকর চাঁদের আলো উপভোগ : আপনার সফরের তারিখগুলো যদি জ্যোৎস্নার সঙ্গে মেলে, তাহলে আপনি চাঁদের আলোর নিচে সবচেয়ে মোহনীয় অভিজ্ঞতা পেতে পারেন। চাঁদের আলো সবকিছুকে আরও একটু জীবন্ত করে তোলে। সেন্টমার্টিনে পূর্ণিমার সৌন্দর্য এমন একটি বিষয়, যা আপনি সেখানে পর্যবেক্ষণ করতে না যাওয়া পর্যন্ত বুঝতে পারবেন না।

৫. সমুদ্র সৈকতে একটি রাত : যদি আপনি চাঁদনী রাতের অভিজ্ঞতার সুযোগটি হাতছাড়া করেন, সৈকতের পাশে একটি রাত- আপনার জীবনের সবচেয়ে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। সেন্টমার্টিনে বিদ্যুৎ না থাকায়, নারকেল গাছের মৃদু আওয়াজসহ রাতগুলো আপনাকে শান্তি দেবে ভীষণ। সমুদ্রের শান্ত শব্দ পুরো সফরটিকে সার্থক করে তুলতে যথেষ্ট।

৬. সূর্যোদয় বা সূর্যাস্ত : সেন্ট মার্টিন দ্বীপে, আপনাকে অবশ্যই সকালে উঠতে হবে। প্রতিদিন সূর্যোদয় দেখাটা বাধ্যতামূলক। সূর্যোদয়ের সময় সকালের তাজা বাতাস বুক ভরে নিলে ঘুমের জন্য অনুশোচনা থাকবে না। অন্যদিকে, সূর্যাস্তও একইভাবে আকর্ষণীয়। সৈকতে দুর্দান্ত সব ছবি তোলার জন্য এটি উপযুক্ত সময়। এ সময়টাতে আকাশ রঙ পরিবর্তন করে এবং সৌন্দর্য বাড়িয়ে দেয় কয়েকগুণ।

৭. শুটকির জন্য যুদ্ধ : শুটকি মাছ উপকূলীয় মানুষের মধ্যে খুব জনপ্রিয়। স্থানীয় দোকানদাররা পর্যটকদের কাছে বেশি দাম দাবি করে। তাই স্বস্তায় পেতে কেনাকাটা করার সময় দর কষাকষি করতে ভুলবেন না।

৮. ছেড়াদ্বীপ : ছেড়াদ্বীপ, দেশের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্য। জোয়ারের সময় সেন্টমার্টিন থেকে এটি বিচ্ছিন্ন থাকে। ভাটার সময়, প্রায় দেড় ঘন্টা হেঁটে সেখানে যাওয়া সম্ভব। তবে নৌকা এবং মোটরবোটেও সেখানে যেতে পারবেন। সেজন্য বাজারেই ঘাঁটে নৌকার মালিকদের কাছ থেকে ভাড়া ঠিক করে নিতে হবে।


আরও খবর



পেরুতে যাত্রীবাহী বাস খাদে পড়ে নিহত ২৫

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

পেরুতে পাহাড়ি রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় যাত্রীবাহী একটি বাস খাদে পড়ে কমপক্ষে ২৫ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১৩ জন। স্থানীয় কর্মকর্তারা এই ঘটনা নিশ্চিত করেছেন। খবর রয়টার্সের।

কাজামারকা অঞ্চলের প্রাদেশিক প্রসিকিউটর ওলগা বোবাডিলা স্থানীয় রেডিও স্টেশন আরপিপিকে জানিয়েছেন, রবিবার (২৮ এপ্রিল) সন্ধ্যায় বাসটি সেলেনডিন থেকে সোরোচুকো শহরের দিকে যাচ্ছিল। অসমতল রাস্তার কারণে হঠাত বাসটি উল্টে নদীতে বিধ্বস্ত হয়।

স্থানীয় সরকার এই দুর্ঘটনায় তিন দিনের শোক ঘোষণা করেছে।

পেরুতে বাস দুর্ঘটনা খুবই সাধারণ বিষয়। বিশেষ করে রাতে এবং পাহাড়ের হাইওয়েতে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। এছাড়া দ্রুত গতি, রাস্তার খারাপ অবস্থা, রোড সাইনের অভাব এবং ট্রাফিক নিয়ম-কানুনের দুর্বল প্রয়োগের কারণে পেরুর রাস্তায় প্রায়ই এই ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে থাকে।

গত বছর, দক্ষিণ আমেরিকার এই দেশটিতে সড়ক দুর্ঘটনায় ৩১০০ জনেরও বেশি প্রাণহানির তথ্য নিবন্ধিত করা হয়েছে।


আরও খবর



নারী ইউপি মেম্বারকে চড় দিয়ে খেলেন জুতাপেটা

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে সরকারি চাল বিতরণকে কেন্দ্র করে স্থানীয় ইউপি সদস্য (মেম্বার) ও সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্যের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। ভাঙচুর করা হয়েছে কয়েকটি বাড়িঘর।

বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১২টার দিকে নবীগঞ্জ উপজেলার মান্দারকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার কালিয়ারভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে বিনামূল্যে ভিজিএফের চাল বিতরণ করা হয়। এ সময় কোন একটি বিষয় নিয়ে কালিয়ারভাঙ্গা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আব্দুল হাই ও ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য একই গ্রামের রাহেলা বেগমের মাঝে বাগবিতণ্ডা হয়।

একপর্যায়ে আব্দুল হাই উত্তেজিত হয়ে রাহেলা বেগমকে চড় মারলে রাহেলা বেগম আব্দুল হাইকে জুতাপেটা করেন। এ ঘটনার পর আব্দুল হাই ও রাহেলা বেগমের লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। যার জেরে রাত ১২টার দিকে উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। সংঘর্ষ চলাকালে উভয় পক্ষের অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। ভাঙচুর করা হয়েছে ৫টি বাড়িঘর।

আহতদের উদ্ধার করে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গুরুতর আহত অবস্থায় ৫ জনকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুক আলী বলেন, সরকারি চাল বিতরণ নিয়ে মান্দারকান্দি গ্রামের ইউপি সদস্য ও সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্যের মধ্যে ঝামেলা হয়। এ ঘটনার জেরে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়। খবর পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।


আরও খবর



শবে কদর নিয়ে প্রচলিত ভুল ধারণা

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ধর্ম ও জীবন

Image

মহিমান্বিত রাত শবে কদর।  এ রাতে ইবাদতের সুযোগ পেলে আল্লাহ তায়ালা পেছনের সব গুনাহ মাফ করে দেন। রাসূল সা. বলেছেন, যে ব্যক্তি রমজানে ইমানের সঙ্গে সওয়াবের আশায় রোজা রাখবে, তার অতীতের গুনাহসমূহ মাফ করে দেওয়া হবে এবং যে ব্যক্তি ইমানের সঙ্গে সওয়াবের আশায় লাইলাতুল কদরে রাত জেগে দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করবে, তার অতীতের গুনাহসমূহ মাফ করে দেওয়া হবে। (বুখারি : ১০১৪; মুসলিম : ৭৬০)

রাসূল সা. হাদিসের সুসংবাদ অনুযায়ী প্রত্যেক মুসলমান এই রাতের ফজিলত লাভের চেষ্টা করেন। ফজিলতের প্রতি মানুষের আগ্রহ থেকে এই রাত নিয়ে অনেক ভুল ধারণার প্রচলন হয়েছে। এখানে এমন কিছু ভুল ধারণা তুলে ধরা হল

প্রত্যেক মুসলমানের হৃদয়েই মহিমান্বিত এই রাতের বরকত হাসিলের আকাঙ্ক্ষা থাকে। তবে এই রাতকে কেন্দ্র করে কিছু ভুল ধারণা প্রচলিত হয়ে আছে আমাদের সমাজে। এখানে তিনটি ভুল ধারণার কথা তুলে ধরা হলো

নির্দিষ্ট কোনো দিনে লাইলাতুল কদর অনুসন্ধান করা : অনেকে রমজানের ২৭ তম রাতকেই নিশ্চিত লাইলাতুল কদর মনে করেন। অথচ বিষয়টি সঠিক নয়। রমজানের শেষ দশকের যেকোনো বেজোড় রাতই হতে পারে লাইলাতুল কদর।

হজরত আয়েশা রা. বলেন, রাসূল সা. বলেছেন, তোমরা মাহে রমজানের শেষ দশকের বেজোড় রাতগুলোতে লাইলাতুল কদর তালাশ করো। (বুখারি: ২০১৭)

এতএব, শুধু ২৭ রমজানকে লাইলাতুল কদর নির্দিষ্ট করা ঠিক নয়।

গোসলের বিশেষ ফজিলত : যেকোনো ইবাদতের আগে পূতঃপবিত্র হওয়া আবশ্যক। তাই অনেকেই লাইলাতুল কদরে ইবাদতের আগে পবিত্র হওয়ার জন্য গোসল করার বিশেষ ফজিলত ও সওয়াব আছে বলে মনে করেন। ইসলামের দৃষ্টিতে বিষয়টি সঠিক নয়।

যারা ফজিলতের কথা বলেন, তাদের দলিল হলো, একটি দুর্বল হাদিস, যা মূলত রমজানের শেষ দশ রাতের প্রতি রাতে মাগরিব ও এশার মধ্যবর্তী সময়ে নবীজির গোসল করার কথা জানায়। (ইবনে রজব) তবে এর সঙ্গে শবে কদরের কোনো সম্পর্ক নেই এবং এর কোনো ফজিলতও বর্ণিত হয়নি।

বিশেষ নিয়মে নামাজ আদায় করা : লাইলাতুল কদরে অনেকের মুখে বিশেষ নামাজ, এর নিয়ত, নিয়ম, রাকাতসংখ্যা, বিশেষ সুরা ইত্যাদি নিয়ে কথা শোনা যায়। কেউ কেউ বলেন, এক রাকাতে সুরা কদর অন্য রাকাতে সুরা ইখলাস পড়া হবে।  কিন্তু ইসলামি শরীয়তে এসব কথার কোনো ভিত্তি নেই। শবে কদরে ইবাদতের কথা থাকলেও নির্দিষ্ট কোনো ইবাদতের উল্লেখ নেই। (আবদুল হাই লখনবি, আল-আসার: ১১৫)


আরও খবর
কুরবানি ঈদ কবে, জানাল আরব আমিরাত

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪




মালদ্বীপ নির্বাচন: ভারতবিরোধী মুইজ্জুর দলের নিরঙ্কুশ জয়

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

মালদ্বীপের পার্লামেন্ট নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জুর দল পিপলস ন্যাশনাল কংগ্রেস (পিএনসি) বিশাল জয় পেয়েছে, প্রকাশিত প্রাথমিক ফলাফলে এমনটি দেখা গেছে। দেশটির ৯৩ আসনের পার্লামেন্টে পিএনসির প্রার্থীরা দুই-তৃতীয়াংশেরও বেশি আসনে জয়ী হয়েছে।

নির্বাচনের এই ফল ভারত মহাসাগরের দ্বীপ দেশটিকে দীর্ঘ দিনের মিত্র ভারত থেকে দূরে সরিয়ে চীনের আরও ঘনিষ্ঠ করে তুলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মালদ্বীপের ভোটাররা প্রেসিডেন্ট মুইজ্জুর চীনমুখি নীতির প্রতি ব্যাপক সমর্থন দিয়েছে।

মালদ্বীপের নির্বাচন কমিশন পার্লামেন্টের যে ৮৬টি আসনের ফল প্রকাশ করেছে তার মধ্যে পিএনসির প্রার্থীরা পেয়েছেন ৬৬টি আসন। পার্লামেন্টে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য এ অবস্থান যথেষ্ট।

ফলাফলের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতিতে সপ্তাহখানেক সময় লাগবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আর মে মাসের প্রথম দিক থেকে নতুন পার্লামেন্টের কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা আছে।

এই নির্বাচনে মোট ৪১ জন নারী প্রার্থী ছিলেন। তাদের মধ্যে মাত্র তিনজন নির্বাচিত হয়েছেন। তারা সবাই মুইজ্জুর দল পিএনসির বলে জানিয়েছে স্থানীয় মিহারু সংবাদপত্র।

গত বছর নির্বাচনে জয়ী হয়ে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট হন মুইজ্জু। তিনি নির্বাচনি প্রচার শুরুই করেছিলেন তার দেশের দীর্ঘদিনের ভারত-প্রথম’ নীতির অবসান ঘটনার প্রতিশ্রুতি দিয়ে। প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণের পর তিনি প্রথা ভেঙে প্রথম আন্তর্জাতিক সফরে দিল্লি না গিয়ে বেইজিং যান। যেখান থেকে ফিরে তিনি মালদ্বীপে অবস্থান করা ভারতীয় সব সেনাদের দ্রুত সে দেশ ত্যাগ করতে বলেন। চলতি মাসেই দেশটিতে থাকা ৮৯ জন ভারতীয় সেনা নিজ দেশে ফিরে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।


আরও খবর



কেনিয়ায় বৃষ্টি-বন্যায় মৃত্যু বেড়ে ১৬৯, নিখোঁজ ৯১

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

আফ্রিকার দেশ কেনিয়ায় বৃষ্টি ও বন্যায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে গত ১ মার্চ থেকে দেশটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬৯। এছাড়া নিখোঁজ রয়েছেন ৯১ জন। খবর বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

কেনিয়ার সরকারের মুখপাত্র আইজ্যাক মওয়াউরা এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, মঙ্গলবার ভূমিধসে ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৬৯ জনে দাঁড়িয়েছে।

তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় আমরা সারাদেশে ৬৬ জনকে হারিয়েছি। এর মধ্যে ৬০ জন প্রাপ্তবয়স্ক এবং ৬ জন শিশু রয়েছে।

কেনিয়ার সরকারের মুখপাত্র বলেন, বন্যার কারণে ৩০ হাজার ২১৪টি কেনিয়ান পরিবার বাস্তুচ্যুত হয়েছে। আর জনসংখ্যার হিসেবে বাস্তুচ্যুতদের সংখ্যা প্রায় ১ লাখ ৯০ হাজার ৯৪২ জন। কেনিয়ার রাজধানীতে বাস্তুচ্যুতরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

এদিকে, ক্রমবর্ধমান পরিস্থিতির প্রতিক্রিয়া হিসেবে কেনিয়ার সরকার ঘোষণা করেছে, তারা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য হাসপাতালের সব বিল বহন করবে। বিশেষ করে মঙ্গলবার যারা ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের। এছাড়া বাস্তুচ্যুতির পাশাপাশি ক্ষয়ক্ষতির শিকার পরিবারগুলোর আর্থিক বোঝাও কমিয়ে দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

ভারী বৃষ্টিপাত ও নদীর পানি উপচে পড়ে সৃষ্ট বন্যায় ঘরবাড়ি প্লাবিত হয়েছে, অবকাঠামো ধ্বংস হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে। মানবিক সংস্থা এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জরুরি সহায়তা দিতে কাজ করছে কেনিয়ার সরকার।


আরও খবর