আজঃ শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

ভার্চুয়াল বইমেলার প্রস্তাবে ক্ষুব্ধ লেখক-প্রকাশকরা

প্রকাশিত:শনিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২০ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

শপিংমল, সিনেমা হল, বিনোদন কেন্দ্র সব খুলে রেখে সভা সমাবেশ চলছে যখন তখন জাতীয় চেতনার ধারক অমর একুশে গ্রন্থমেলা স্থগিত করে ভার্চুয়াল মেলার প্রস্তাবে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন লেখক, প্রকাশক, অ্যাক্টিভিস্টরা। বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছাড়া কোথাও কিছু আটকে নেই, সেখানে বইমেলা নিয়ে কেন এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে সে প্রশ্ন তুলেছেন তারা। বলছেন, একুশে মেলা কেবল বই কেনা-বেচার জায়গা নয়। ভার্চুয়ালি বই বিক্রির অনেক প্ল্যাটফর্ম আছে। সবকিছু স্বাভাবিকভাবে সাবধানতার সঙ্গে চলবে বলা হচ্ছে। সেটি নিশ্চিত করলেই এই প্রাণের মেলা বন্ধ করতে হয় না। পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটলে বরং কিছুদিন পিছিয়ে দেওয়া যেতে পারে।

করোনাভাইরাস মহামারির বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে আগামী বছরের অমর একুশে গ্রন্থমেলার আয়োজন আপাতত স্থগিত রাখার আবেদন করবে বাংলা একাডেমি বলে জানান একাডেমির মহাপরিচালক হাবিবুল্লাহ সিরাজী। রবিবার সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ে করতে যাওয়া আবেদনে অনলাইনে বইমেলা আয়োজন করা যায় কিনা, সেটাও বিবেচনায় রাখতে অনুরোধ করা হবে বলে জানান তিনি।

বইমেলার দৃশ্যমান যে উৎসব মুখর অবয়ব বা উদযাপন,  তার বাইরেও এর অদৃশ্য বিশাল একটা সক্রিয়তা রয়েছে উল্লেখ করে জনপ্রিয় তরুণ লেখক সাদাত হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, সেই সক্রিয়তা মূলত এর সঙ্গে যুক্ত অসংখ্য মানুষের জীবিকা ও অস্তিত্বের সঙ্গে যুক্ত। আমাদের বাস্তবতায় লেখকদের কথা না হয় বাদই দিলাম। কিন্তু বেশিরভাগ প্রকাশক থেকে শুরু করে ছাপাখানার কর্মী, মালিক, বাঁধাইখানার শ্রমিক, এমনকি দোকান ভাড়া থেকে শুরু করে অসংখ্য মানুষের জীবন ও জীবিকার সঙ্গেও এর সরাসরি সম্পৃক্ততা রয়েছে। সারা বছর কী পরিমাণ বই বিক্রি হয়, তা আমরা জানি। আমরা এও জানি, এই সংশ্লিষ্ট প্রত্যেকটি মানুষ মূলত অপেক্ষায় থাকেন এই এক মাসের বইমেলার জন্যই। এর ওপরই মূলত এই শিল্পের সঙ্গে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে যুক্ত অসংখ্য মানুষের টিকে থাকা নির্ভর করে। ফলে, বইমেলা না হলে এদের পরিস্থিতিটা কী হবে, সেটি ভেবে দেখাটা জরুরি। যেখানে এই করোনাকালে শপিং মল থেকে শুরু করে সব ধরনের জন-জমায়েতই আমরা দেখছি। নানান সভা-সমাবেশ, ওয়াজ-মাহফিল, মুক্ত গ্যালারিতে আন্তর্জাতিক ফুটবল ম্যাচ পর্যন্ত। সেখানে করোনার দোহাই দিয়ে কেন কেবল বইমেলাই স্থগিতের প্রস্তাব উঠছে, বিষয়টি পরিষ্কার নয়। আমার মনে হয় করোনার বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েই বিকল্প নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করে হলেও বইমেলাটা হওয়া উচিত। সেটি মাসখানেক পিছিয়ে হলেও।

ভার্চুয়ালি আবার বইমেলা হয় কী করে? প্রশ্ন করে লেখক ও সাংস্কৃতিক অ্যাক্টিভিস্ট সৈয়দ তানজীনা ইমাম বলেন, মহান একুশে গ্রন্থমেলা কি শুধুই বই ব্যবসা? বইমেলা লেখক পাঠক প্রকাশকসহ কত শত মানুষের মিলন মেলা। একুশে গ্রন্থমেলা এ ভূখণ্ডের ঐতিহ্যের অংশ।

তিনি আরও বলেন, কোভিড ১৯ মহামারির কারণে শপিং সেন্টার কি বন্ধ আছে? শপিং সেন্টারগুলোর সামনে দিয়ে যাওয়া যায় না এমন যানজট। বন্ধু-বান্ধবদের টাইমলাইন ভর্তি বিভিন্ন অবকাশ কেন্দ্র আর রিসোর্টে বেড়ানোর ছবি। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে গিজগিজ করছে মানুষ। কই এসব ক্ষেত্রে তো কোনও নিষেধাজ্ঞা দেখি না।

আমরা ভার্চুয়ালি নয় একচুয়ালি বইমেলা চাই। প্রয়োজনে আরও বড় পরিসরে আরও ছড়িয়ে দূরে দূরে স্টল তৈরি করেন। স্বাস্থ্যবিধি রক্ষা ও দূরত্ব বজায়ের ব্যবস্থা করেন। তবু অমর একুশে গ্রন্থমেলা বাংলার সংস্কৃতির এক মাইলফলক এর কোনও ব্যত্যয় ঘটানো চলবে না।

প্রয়োজনে কিছুটা পিছিয়ে হলেও ২১ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে ২৬ মার্চ শেষ হোক প্রস্তাব দিয়ে লেখক সাখাওয়াত টিপু বলেন, বইমেলা অনলাইনে নেওয়ার বুদ্ধি দিলো কে? দেশে তো সবকিছুই খোলা। সবাই তো স্বার্থমতো সভা সমাবেশ করতে পারে। তাহলে কেন বইমেলা খোলা ময়দানে হবে না? বইমেলা খোলা ময়দানে হোক।

ইউপিএল প্রকাশনীর মাহরুখ মহিউদ্দীন মনে করেন, ভার্চুয়াল পার্ট রাখা যেতে পারে কিন্তু ডিসটেন্স রেখে স্টল করে ভিড় নিয়ন্ত্রণ রাখা অসম্ভব না। তিনি বলেন, আমাদের তো করোনা পরিস্থিতিতে পরিস্থিতিতে অনির্দিষ্টকাল থাকতে হবে বলে সবকিছুর সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে হচ্ছে। সেখানে মেলা কেন হবে না। আমাদের যে টেকনোলজি আছে, ফ্যাসিলিটি আছে সেসবকে কাজে লাগিয়ে আমরা খোলা জায়গায় নিয়ম মেনেই মেলা করতে সক্ষম। ফলে প্রকাশকদের সঙ্গে বসে মতামত নিয়ে একটা সিদ্ধান্তে আসা সমীচীন হবে।

নিউজ ট্যাগ: বইমেলা

আরও খবর



ডিমের বাজার মধ্যস্বত্বভোগীদের পকেটে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

এক যুগের বেশি সময় ধরে মুরগির ডিম উৎপাদন করছেন ঢাকার ধামরাই এলাকার বাসিন্দা সুলতান উদ্দিন। তার খামারে মুরগির সংখ্যা প্রায় আড়াই হাজার। খাদ্য, ওষুধ, বিদ্যুৎ ও আনুষঙ্গিক খরচ মিলিয়ে একেকটি মুরগির পেছনে দৈনিক ৭ থেকে সাড়ে ৮ টাকা ব্যয় হয় তার। তবে ডিমপ্রতি ১ টাকা লাভ ধরে খামারি পর্যায়ে প্রতি পিস ডিম বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৯ টাকা দরে। যা বাজারে বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ১২ টাকায়।

সংশ্লিষ্ট তথ্য বলছে, দেশে প্রতিদিন ডিমের চাহিদা প্রায় চার কোটি। যার বিপরীতে উৎপাদন হচ্ছে প্রায় সাড়ে চার কোটি ডিম। তবে খামারিরা ১ টাকা লাভে সাড়ে ৯ টাকা দরে ডিম বিক্রি করলেও রাজধানীর বাজারে তা বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ১২ টাকা দরে। বাড়তি এই ৩ টাকা যাচ্ছে মধ্যস্বত্বভোগীদের পকেটে।

সুলতান উদ্দিন বলেন, আমরা যারা উৎপাদন করি, তারা আসলে ন্যায্যমূল্য পাই না। আবার যারা ক্রেতা, সাধারণ মানুষ তারাও কিন্তু চড়া মূল্যেই ডিম কিনে। মাঝখানে যারা ব্যবসায়ী তারাই এতে লাভবান হচ্ছে।

গেলো বছর লাগামহীন পণ্যমূল্যের আলোচনায় বাড়তি অস্বস্তি যোগ হয় মুরগির ডিমের দামের ঊর্ধ্বগতিতে। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ডিম আমদানির ঘোষণা দেয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় দেশের বাজারে আসে প্রায় ৬২ হাজার ভারতীয় ডিম। তবুও গেলো কয়েক মাসে ডিমের দামের সূচক উঠানামা করে ঠিকই। এরমধ্যেই সপ্তাহখানেক আগে থেকে নতুন করে ভোক্তাদের মধ্যে দাম নিয়ে অস্বস্তি শুরু হয়েছে। কারণ, খোলাবাজারে প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়।

এক ক্রেতা বলেন, আমাদের দেশে তো অনেক ফার্ম আছে। তারা যদি ডিম সরবরাহ করে তাহলে তো এমনিতেই ডিমের দাম কম থাকা উচিত। অপরজন বলেন, বর্তমান সময়ে কৃষক দাম পাচ্ছে না, মধ্যস্বত্বভোগীরা দাম পাচ্ছে- এমন ঘটনাই ঘটছে। ক্ষুব্ধ আরেক ক্রেতা বলেন, সরকার তো কোনো পদক্ষেপই নেয় না। ফলে আমাদের মতো সাধারণ মানুষ ধুঁকে ধুঁকে মরছে।

এদিকে পাইকারি ব্যবসায়ীদের দাবি, ডিমের চাহিদার তুলনায় যোগান কম। আবার মধ্যস্বত্বভোগীদের কৃত্রিম কারসাজিও রয়েছে। তেজগাঁও ডিম ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সভাপতি মো. আমানত উল্লাহ বলেন, খামারি কত পাবে, আমরা আড়তদাররা কততে নিয়ে আসবো, যারা ক্রেতা তারা কততে ডিম নিতে পারবে- এসবের জন্য একটা সিস্টেম করা উচিত। প্রকৃতপক্ষে কিন্তু এরকম কোনো প্রক্রিয়া নেই। দেশের বাজারে চাহিদা নেই, বাজার কমছে, খামারি লোকসান গুনছে।


আরও খবর



সৌদিতে প্রবল বৃষ্টিতে ভেঙে পড়ল মসজিদের ছাদ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

সৌদি আরবে তুমুল বৃষ্টিতে ভেঙে পড়েছে একটি মসজিদের ছাদ। বুধবার দাহরানের কিং ফাহাদ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের একটি মসজিদের ছাদ বেঙে পড়ে। তবে কেউ হতাহত হননি। মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজের এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।

মরুভূমির দেশ সৌদি আরবের বিভিন্ন অঞ্চলে দুইদিন প্রচণ্ড বৃষ্টিপাত হয়েছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, মসজিদটির বাইরের অংশের ছাদটি ধসে পড়েছে। মসজিদ সম্প্রসারণের অংশ হিসেবে মূল ভবনের বাইরে স্টিলের এই ছাদটি স্থাপন করা হয়েছিল।

ছাদটির ওপর এতই পানি জমা হয়েছিল যে এটি আর ভার বহন করতে পারেনি। এরপর একটি পর্যায়ে এটি ভেতরের দিকে ধসে পড়ে। তখন মসজিদের ভেতর বৃষ্টির পানি প্রবেশ করে এবং মসজিদে যেসব কার্পেট ছিল সেগুলো পানিতে ভিজে যায়।

সৌদির মতো মধ্যপ্রাচ্যের আরেক দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতেও প্রচণ্ড বৃষ্টিপাত হচ্ছে। বৃষ্টির কারণে আমিরাতের দুবাই বিমানবন্দরে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত ১৩টি ফ্লাইট বাতিল করে দেওয়া হয়।

নিউজ ট্যাগ: সৌদি আরব

আরও খবর



পটুয়াখালীতে ইউপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করায় বিএনপি নেতা বহিষ্কার

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
পটুয়াখালী প্রতিনিধি

Image

দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে পটুয়াখালী সদর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনির রহমান মৃধাকে বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় বিএনপি।

রোববার (২১ এপ্রিল) রাতে বিএনপির সহদপ্তর সম্পাদক মুহম্মদ মুনির হোসেন স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে পটুয়াখালী সদর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনির রহমান মৃধাকে বিএনপির প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

দল থেকে বহিষ্কারের বিষয়ে মনির রহমান মৃধাকে তার ব্যবহৃত মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি তা রিসিভ করেনি।

উল্লেখ, আগামী ২৮ এপ্রিল পটুয়াখালী সদর উপজেলার ৫ নং কমলাপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আনারস মার্কা প্রতীক নিয়ে লড়ছেন মনির রহমান মৃধা।


আরও খবর



দাম কমলো সোনার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

দেশের বাজারে এক লাফে ৩১৩৮ টাকা কমিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। আজ মঙ্গলবার বিকেল ৪টা থেকেই সারা দেশে সোনার নতুন এ দর কার্যকর হবে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সোনার এ দাম কমার তথ্য জানায়। এতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবী (পিওর গোল্ড) সোনার মূল্য হ্রাস পেয়েছে। সে কারণে সোনার দাম সমন্বয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাজুস।

নতুন করে প্রতি ভরি ভালো মানের সোনার দাম কমেছে তিন হাজার ১৩৮ টাকা। এখন থেকে দেশের বাজারে ভালো মানের সোনা প্রতি ভরি (২২ ক্যারেট) বিক্রি হবে এক লাখ ১৬ হাজার ২৯০ টাকায়।

নতুন মূল্য অনুযায়ী ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম কমে এক লাখ ১০ হাজার ৯৯৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ৯৫ হাজার ১৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনার দাম ৭৬ হাজার ৫৮৬ টাকা করা হয়েছে।

তবে দেশের বাজারে রুপার দাম অপরিবর্তীত রেখেছে বাজুস।


আরও খবর



এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণের সময় বাড়ল

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণের সময় আগামী ২০ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। রোববার (১২ মে) ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মো. আবুল বাশারের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সংশ্লিষ্ট সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে, ২০২৪ সালের এইচএসসি পরীক্ষার শিক্ষার্থীদের বিলম্ব ফিসহ ফরম পূরণের চলমান কার্যক্রমের সময় আগামী ২০/০৫/২০১৪ তারিখ পর্যন্ত বর্ধিত করা হলো। সোনালী সেবার মাধ্যমে ফি পরিশোধের সর্বশেষ তারিখ ২১/০৫/২০২৪ পর্যন্ত পুনঃনির্ধারণ করা হলো।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, উল্লিখিত সময়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের ফরম পূরণের কাজ সম্পন্ন করবে। প্রতিষ্ঠানপ্রধান বিষয়টি নিশ্চিত করবেন।

এবার বিজ্ঞান শাখার পরীক্ষার্থীদের ২ হাজার ৬৮০ টাকা এবং মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষার জন্য ২ হাজার ১২০ টাকা করে ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখার কোনো পরীক্ষার্থীর চতুর্থ বিষয়ে ব্যবহারিক পরীক্ষা থাকলে এ ফির সঙ্গে অতিরিক্ত ১৪০ টাকা যুক্ত হবে। মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখার কোনো শিক্ষার্থীর নৈর্বাচনিক বিষয়ে ব্যবহারিক থাকলে বিষয়প্রতি আরও ১৪০ টাকা যোগ করা হবে।

এ ছাড়া পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে ফি বাবদ পত্রপ্রতি ১১০ টাকা, ব্যবহারিকের ফি বাবদ পত্রপ্রতি ২৫ টাকা, একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্টের ফি বাবদ পরীক্ষার্থীপ্রতি ৫০ টাকা, মূল সনদ বাবদ ১০০ টাকা, বয়েজ স্কাউট ও গার্লস গাইড ফি বাবদ ১৫ টাকা এবং জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ফি বাবদ পরীক্ষার্থীপ্রতি ৫ টাকা নেওয়া হবে। অনিয়মিত শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে পরীক্ষার্থী প্রতি ১০০ টাকা অনিয়মিত ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। জিপিএ উন্নয়ন ও প্রাইভেট পরীক্ষার্থীদের জন্য ১০০ টাকা তালিকাভুক্তি ফি নির্ধারণ এবং রেজিস্ট্রেশন নবায়ন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ২৫০ টাকা। বিলম্ব ফি ১০০ টাকা।

কেন্দ্র ফি বাবদ প্রত্যেক পরীক্ষার্থীকে ৪৫০ টাকা ও ব্যবহারিক পরীক্ষার ফি বাবদ পরীক্ষার্থীদের পত্রপ্রতি ২৫ টাকা দিতে হবে। আর ব্যবহারিক উত্তরপত্র মূল্যায়ন ফি দিতে ২০ টাকা।

উল্লেখ্য, গত ১৬ এপ্রিল এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফরম পূরণ শুরু হয়। এ কার্যক্রম ছিল ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত। বিলম্ব ফি দিয়ে ফরম পূরণ করার সুযোগ ছিল ২৯ এপ্রিল থেকে ২ মে পর্যন্ত। এরপর ফরম পূরণের সময় ৫ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়। বিলম্ব ফিসহ ফরম পূরণের সময় ছিল ৭ মে থেকে ১২ মে পর্যন্ত। এবার আবারও ফরম পূরণের সময় বাড়ানো হলো।


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪

একাদশের ক্লাস শুরু ৩০ জুলাই

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪