আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

ভার্চুয়াল কোর্ট প্রবর্তন প্রধানমন্ত্রীর চিন্তার ফসল: আইনমন্ত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ৩১ মার্চ ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩১ মার্চ ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image
বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার যে অনন্য বাতিঘর প্রতিষ্ঠা করে গেছেন, তা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের সুহৃদ আন্তরিকতায় এবং সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতি, প্রশাসন ও আইনজীবীগণের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বিকশিত হয়ে আজ শক্তিশালী ও সুমহান প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে

করোনাকালীন তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ, ২০২০ প্রণয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশে ভার্চুয়াল কোর্ট প্রবর্তনকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চিন্তার ফসল বলে উল্লেখ করেছেন আইন বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।

আইনমন্ত্রী তার বক্তৃতায় বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তথা বাঙালি জাতির মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম লক্ষ্য ছিলো বৈষম্যহীন ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করা।

তিনি বলেন, আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীনতাকে অর্থনৈতিক ও সামাজিক বৈষম্য হতে মুক্তি এবং ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার সোপান হিসেবে দেখতে চাইলে সর্বক্ষেত্রে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার বিকল্প নাই। সর্বক্ষেত্রে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব রাষ্ট্রের সকল অঙ্গ প্রতিষ্ঠানের হলেও, বিচার বিভাগ এক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে থাকে। সে কারণেই নব্য স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধান কার্যকর হওয়ার পর কালবিলম্ব না করে বঙ্গবন্ধু ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার বাতিঘর স্বরূপ বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্ট প্রতিষ্ঠা করেন এবং এ কোর্টকে তিনি সাংবিধানিকভাবে বিশেষ মর্যাদার আসনে স্থান দেন।

আইনমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার যে অনন্য বাতিঘর প্রতিষ্ঠা করে গেছেন, তা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের সুহৃদ আন্তরিকতায় এবং সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতি, প্রশাসন ও আইনজীবীগণের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বিকশিত হয়ে আজ শক্তিশালী ও সুমহান প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে।

দেশব্যাপী ছড়িয়ে দিচ্ছে ন্যায়বিচারের বাণী। অবদান রাখছে সামাজিক শান্তি, সমতা ও মানবিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠায়।

আনিসুল হক বলেন, কোন প্রতিষ্ঠানের উন্নতি ও সাফল্য নির্ভর করে মূলত সেই প্রতিষ্ঠানের সততা, কর্মদক্ষতা, সক্ষমতা এবং সেবার মানের ওপর। এই বাস্তবতার নিরিখেই সরকার বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্টসহ গোটা বিচার বিভাগের কর্মদক্ষতা, সক্ষমতা এবং বিচার সেবার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে বাস্তবমুখী বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে ও করে যাচ্ছে।

আইনমন্ত্রী বলেন, সুপ্রিমকোর্ট প্রতিষ্ঠার একেবারে গোড়ার দিকে ফিরলে দেখতে পাই, ১৯৭২ সালে হাইকোর্ট বিভাগে মাত্র ১০ জন এবং আপিল বিভাগে ৩ জন বিচারক নিয়ে বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্ট যাত্রা শুরু করেছিল।

আইনমন্ত্রী বলেন, আজ গর্বের সাথে বলতে হয় ১৯৭২ সালের ১৩ জন বিচারকের বিপরীতে বর্তমানে সুপ্রিমকোর্টের ৯৪ জন বিচারক নির্ভয়ে ও স্বাধীনভাবে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।

তিনি বলেন, অবকাঠামোর ক্ষেত্রে আমরা দেখতে পাই, ২০০১ সালে এনেক্স ভবন উদ্বোধন করার পূর্বে সুপ্রিমকোর্টে মাত্র ২৭টি এজলাস কক্ষের ব্যবস্থা ছিল এবং তা ছিল সুপ্রিমকোর্টের মূল ভবনে। কিন্তু ১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা প্রথমবার সরকার গঠন করলে তাঁর পিতার হাতে গড়া এ প্রতিষ্ঠানে তিনি ৩৫টি এজলাসের সংস্থান সম্বলিত এনেক্স ভবন নির্মাণ করে দেন এবং ২০০১ সালের জানুয়ারি মাসে তা স্বয়ং তিনিই উদ্বোধন করেছিলেন।

আনিসুল হক বলেন, আজ বিজয়-৭১ নামে যে ভবন উদ্বোধন করা হলো সেখানেও অতিরিক্ত ৩২টি এজলাসের ব্যবস্থাসহ বিচারপতিগণের জন্য ৫৬টি আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত চেম্বারের সংস্থান রাখাসহ বিভিন্ন সুবিধা রাখা হয়েছে।

আইনমন্ত্রী বলেন, সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতিগণের আবাসন সমস্যা নিরসনের লক্ষে তাঁর সরকার ২০১৭ সালে ১০৯ কোটি টাকা ব্যয়ে ঢাকার কাইরাইলে ২০তলা বিশিষ্ট বিচারপতি ভবন নির্মাণ করে দেয়, যেখানে রয়েছে ৩৫০০ বর্গফুটের ৭৬টি ফ্লাট। এ ভবন নির্মাণের ফলে বিচারপতিগণের দীর্ঘ দিনের আবাসন সমস্যারও নিরসন হয়।

আইনমন্ত্রী বলেন, আদালত কর্তৃক তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ, ২০২০ প্রণয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশে ভার্চ্যুয়াল কোর্ট প্রবর্তণও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চিন্তার ফসল। করোনার মহামারির সেই মহাআতঙ্কের সময়ে প্রধানমন্ত্রীর উৎসাহ ও দিক নির্দেশনা, সুপ্রিমকোর্টের নিরলস পরিশ্রম, আইনজীবীগণের সহযোগিতা এবং ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে আমরা খুবই তাড়াতাড়ি ভার্চ্যুয়াল কোর্ট চালু করতে পেরেছিলাম।

বক্তৃতায় বিচার বিভাগের জন্য বর্তমান সরকারের নেয়া বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরেন আইনমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে ভবনটি উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ভবনটি উদ্বোধন উপলক্ষে সুপ্রিমকোর্টের জাজেস স্পোর্টস কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক এমপি। শুভেচ্ছা বক্তৃতা করেন এটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। স্বাগত বক্তৃতা করেন আইন সচিব মো. গোলাম সারওয়ার। উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিমকোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিগন, সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবীবৃন্দ।

বর্তমান সরকার সুপ্রিমকোর্টকে আরো আধুনিক ও নান্দনিক করতে ১২তলা এই ভবন নির্মাণে উদ্যোগ নেয়। সুপ্রিমকোর্টের এনেক্স এক্সটেনশন ভবন বিজয়-৭১ নির্মাণে সরকার বরাদ্দ দেয় ১৫৮ কোটি চার লাখ ২২ হাজার টাকা। এনেক্স ভবনের পশ্চিম পাশে ১৮ হাজার ১৩৪ বর্গমিটার জায়গায় নির্মিত হলো এ ভবন।


আরও খবর



৮০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা, নদীবন্দরে সতর্ক সংকেত

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশের ২ অঞ্চলের ওপর দিয়ে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের আশঙ্কা করছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। একইসঙ্গে বজ্রসহ বৃষ্টিও হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। রবিবার (৫ মে) দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া এক পূর্বাভাসে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, নোয়াখালী ও চট্টগ্রাম অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ সময় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। তাই এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ২ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এদিকে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বেশকিছু অঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। এই অবস্থায় নতুন করে হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। শনিবার (৪ মে) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার জন্য এই সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

অপর এক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টিও হতে পারে।


আরও খবর
বৃষ্টির পর আসছে হিট ওয়েভ

শনিবার ১৮ মে ২০২৪




সৌদি পৌঁছেছেন ১২ হাজার ৬৪৯ হজযাত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চলতি বছর হজ পালনের উদ্দেশ্যে এখন পর্যন্ত সৌদি আরব পৌঁছেছেন ১২ হাজার ৬৪৯ জন যাত্রী। গতকাল রবিবার দিবাগত রাতে হজ পোর্টাল থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

সৌদিতে যাওয়া হজযাত্রীদের মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৩ হাজার ৭৪৭ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনার গেছেন ৮ হাজার ৯০২ জন।

বাংলাদেশ থেকে ৩২টি ফ্লাইটে এসব হজযাত্রী সৌদি পৌঁছেছেন। এরমধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ১১টি, সৌদি এয়ারলাইনসের ৭টি এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইনস ১৪টি ফ্লাইট পরিচালনা করে।

এর আগে, গত ৯ মে বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের প্রথম ডেডিকেটেড ফ্লাইট ৪১৫ জন হজযাত্রী নিয়ে সৌদির উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। এর মাধ্যমেই চলতি বছরের হজের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। শেষ হবে ১০ জুন।

উল্লেখ্য, চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। হজযাত্রীদের প্রথম ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে ২০ জুন এবং শেষ হবে ২২ জুলাই।


আরও খবর



চলতি মৌসুমের প্রথম হজ ফ্লাইট ৯ মে

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

আগামী ৯ মে শুরু হচ্ছে চলতি মৌসুমের হজ ফ্লাইট। হজযাত্রীদের নিয়ে ওইদিন প্রথম ফ্লাইট সৌদি আরবের উদ্দেশে রওনা দেবে। তবে হজের প্রথম ফ্লাইটের তারিখ ঘোষণা করা হলেও চূড়ান্ত হয়নি ফ্লাইট শিডিউল।

৯ মে হজ ফ্লাইট শুরু হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা হজ অফিসের পরিচালক মুহম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, এখনো শিডিউল ঘোষণা হয়নি। দ্রুত এই শিডিউল যাত্রীদের জানানো হবে।

ধর্ম মন্ত্রণালয় বলছে, গত বছর এক লাখ ১৯ হাজার ৬৯৫ জন হজযাত্রীকে বহন করার জন্য বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, সৌদি এরাবিয়ান এয়ারলাইন্স (সৌদিয়া) ও সৌদির বেসরকারি এয়ারলাইন্স ফ্লাইনাস মোট ৩৩৫ হজ ফ্লাইট শিডিউল ঘোষণা করে। চুক্তি অনুযায়ী, মোট হজযাত্রীর অর্ধেক বহন করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এবং বাকি অর্ধেক বহন করে সৌদিয়া ও ফ্লাইনাস এয়ার। এবারও এই তিন এয়ারলাইনস হজযাত্রীদের বহন করবে।

জানা গেছে, চলতি বছর সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ পালন করতে যাবেন ৮৩ হাজার ২০২ জন। এরমধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় রয়েছেন ৪ হাজার ৩০৭ জন, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় রয়েছেন ৭৮ হাজার ৮৯৫ জন।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন পালিত হতে পারে পবিত্র ঈদুল আজহা। প্রতিবছর ঈদের একমাস আগে থেকেই শুরু হয় হজ ফ্লাইট। তার আগে হজযাত্রীদের ভিসা, ফ্লাইট শিডিউল সংক্রান্ত কাজ সম্পন্ন করে ধর্ম মন্ত্রণালয় ও এয়ারলাইন্সগুলো। অথচ এবার এখনো শুরু হয়নি ভিসা কার্যক্রম। চূড়ান্ত হজযাত্রীদের তালিকা না পাওয়ায় ঘোষণা হয়নি ফ্লাইট শিডিউলও।


আরও খবর



নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশ আজ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার চিকিৎসা ও নিঃশর্ত মুক্তি এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ কারাবন্দি নেতাদের মুক্তির দাবিতে নয়াপল্টনে সমাবেশ করবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি।

আজ (শুক্রবার) বিকেল ৩টায় নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এ সমাবেশে অনুষ্ঠিত হবে।

বিএনপির চেয়ারপার্সনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার জানান, সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। এছাড়া বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা সমাবেশে বক্তব্য রাখবেন।

দিদার বলেন, সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। পূর্বের ঘোষণা অনুযায়ী সমাবেশ হবে।

এদিকে সমাবেশ সফল করতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি কয়েক দফায় যৌথ সভাও করেছে।

উল্লেখ্য, গতকাল বৃহস্পতিবার ১৯টি শর্তে নয়াপল্টনে বিএনপিকে সমাবেশ করার অনুমতি দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (অপারেশন্স) মো. আবু ইউসুফের স্বাক্ষর করা এক চিঠিতে বলা হয়, বিএনপির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ১৯ শর্ত যথাযথভাবে পালন সাপেক্ষে ১০ মে বিকেল ৩টায় নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হলো।

ডিএমপির শর্তগুলো হলো—

১. এই অনুমতিপত্র স্থান ব্যবহারের অনুমতি নয়, স্থান ব্যবহারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট থেকে অনুমোদন নিতে হবে।

২. স্থান ব্যবহারের অনুমতিপত্রে উল্লেখিত শর্তাবলী যথাযথভাবে পালন করতে হবে।

৩. অনুমোদিত স্থানের মধ্যেই সমাবেশের যাবতীয় কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখতে হবে।

৪. নিরাপত্তার জন্য নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পর্যাপ্ত সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক (দৃশ্যমান আইডি কার্ডসহ) নিয়োগ করতে হবে।

৫. অনুমোদিত স্থানের বাইরে বা সড়কের পাশে মাইক/সাউন্ডবক্স ব্যবহার করা যাবে না।

৬. অনুমোদিত স্থানের বাইরে বা সড়কের পাশে প্রজেক্টর স্থাপন করা যাবে না।

৭. অনুমোদিত স্থানের বাইরে রাস্তায় বা ফুটপাতে কোথাও লোক সমবেত হওয়া যাবে না।

৮. আযান, নামাজ ও অন্যান্য ধর্মীয় সংবেদনশীল সময় মাইক/শব্দযন্ত্র ব্যবহার করা যাবে না।

৯. ধর্মীয় অনুভূতির উপর আঘাত আনতে পারে এমন কোন বিষয়ে ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন বক্তব্য প্রদান বা প্রচার করা যাবে না।

১০. অনুমোদিত স্থানের আশপাশসহ রাস্তায় কোনো অবস্থাতেই সমবেত হওয়াসহ যান ও জন চলাচলে কোন প্রকার প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা যাবে না।

১১. সমাবেশস্থলে পতাকা, ব্যানার, ফেস্টুন বহনের আড়ালে কোন ধরণের লাঠি-সোটা, রড ব্যবহার করা যাবে না।

১২. আইন-শৃঙ্খলা পরিপন্থি ও জননিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় এমন কার্যকলাপ করা যাবে না।

১৩. রাষ্ট্র বিরোধী কোনো কার্যকলাপ ও বক্তব্য প্রদান করা যাবে না।

১৪. উস্কানিমূলক কোনো বক্তব্য প্রদান বা প্রচারপত্র বিলি করা যাবে না।

১৫. জন দুর্ভোগ সৃষ্টি করে মিছিল সহকারে সমাবেশস্থলে আসা যাবে না।

১৬. পার্কিংয়ের জন্য নির্ধারিত স্থানে গাড়ি পার্কিং করতে হবে, মূল সড়কে কোনো গাড়ি পার্কিং করা যাবে না।

১৭. সমাবেশস্থলে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি হলে আয়োজনকারী কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবেন।

১৮. উল্লিখিত শর্তাবলী যথাযথভাবে পালন না করলে তাৎক্ষণিকভাবে এই অনুমতির আদেশ বাতিল বলে গণ্য হবে।

১৯. জনস্বার্থে কর্তৃপক্ষ কোনো কারণ দর্শানো ব্যতিরেকে এই অনুমতি আদেশ বাতিল করার ক্ষমতা সংরক্ষণ করেন।


আরও খবর



বাংলাদেশ-পাকিস্তান-রাশিয়া থেকে শিক্ষা নিয়ে ভোট করছেন মোদি: কেজরিওয়াল

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ব্যাপক সমালোচনা করে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেছেন, রাশিয়া-পাকিস্তান-বাংলাদেশ থেকে শিক্ষা নিয়ে ভোট করার চেষ্টা করছেন মোদি।’

শনিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল গত শুক্রবার ভারতের পরিস্থিতিকে রাশিয়ার সঙ্গে তুলনা করেছেন। এ সময় তিনি প্রধানমন্ত্রী মোদিকে পরোক্ষভাবে উপহাস করেছেন। একইসঙ্গে ভারত খুব বিপজ্জনক’ পর্যায়ে যাচ্ছে বলেও দাবি করেছেন।

এক সমাবেশে কেজরিওয়াল বলেন, বর্তমানে দেশের পরিস্থিতি খুবই বিপজ্জনক। পুতিন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট, তিনি হয় তার সব প্রতিদ্বন্দ্বী নেতাদের জেলে পাঠিয়েছেন, আর না হয় তাদের হত্যা করেছেন। তারপর পুতিন নির্বাচন পরিচালনা করেন এবং ৮৭ শতাংশ ভোট পেয়েছেন।’

অরবিন্দ কেজরিওয়াল আরও বলেন, বাংলাদেশে সম্প্রতি নির্বাচন হয়েছে। নির্বাচনের আগে বাংলাদেশে সব বিরোধী নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল এবং নির্বাচনে শেখ হাসিনা জয়ী হয়েছেন।’

তিনি বলেন, পাকিস্তানের নির্বাচনে দেশটির প্রবীণ নেতা ইমরান খানকে জেলে পাঠানো হয়েছিল, তার দলকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে, তার দলীয় প্রতীক ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং এরপরই নির্বাচন পরিচালিত হয়েছে।’

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মোদিজি, বাংলাদেশ ও পাকিস্তান থেকে শেখার পরে এখন ভারতে একই জিনিস প্রয়োগ করার চেষ্টা করছেন।’


আরও খবর