আজঃ শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪
শিরোনাম

ভারত থেকে ট্রেনের ২০০ বগি কিনবে বাংলাদেশ

প্রকাশিত:সোমবার ২০ মে ২০24 | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ভারতীয় প্রতিষ্ঠান আরআইটিইএস লিমিটেডের সঙ্গে বাংলাদেশ রেলওয়ের ব্রডগেজ লাইনের জন্য ২০০ যাত্রীবাহী বগি কেনার চুক্তি হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী সবধরণের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে ২০ মাস পর থেকে বগি দেওয়া শুরু হবে এবং ৩৬ মাসে মধ্যে সব বগি হস্তান্তর করা হবে।

আজ সোমবার রাজধানীর রেলওয়ে ভবনে এই চুক্তি সই করা হয়।

চুক্তি সই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রেলপথমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম, রেলপথ সচিব হুমায়ুন কবীর, মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী, ভারতীয় কোম্পানির চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাহুল মিত্তাল, ভারতীয় রেলওয়ের প্রোডাকশন ইউনিটের অতিরিক্ত সদস্য সঞ্জয় কুমার পংকজ ও ইউরোপিয় ইউনিয়নের হেড অফ করপোরেশন মিচেল ক্রেজা ও রেলওয়ের কর্মকর্তারা।

পরে রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম বলেন, আমাদের ক্যারেজের খুব সমস্যা। এই মুহূর্তে তারা (ভারতীয়) যে ক্যারেজ দিচ্ছেন এর জন্য ধন্যবাদ। আগামী দুইমাসের মধ্যে যদি দুই সেট ক্যারেজ দেওয়া হয় তবে সেটা আমাদের জন্য ভালো হবে। বাকিগুলো শিডিউল করে নিলে হবে। রেলের কর্মকর্তারা স্লো। এটা আমার জন্য দুঃখজনক। তারা ভাবে এটা ৫ থেকে ৬ মাস লাগবে।

রেলসচিব হুমায়ুন কবীর বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে দক্ষিণ অংশে রেলের সংযোগ স্থাপন হয়েছে। এতে করে ঢাকার সঙ্গে দক্ষিণের জেলাগুলোর যোগাযোগ বাড়ছে। এর ফলে এসব প্যাসেঞ্জার ক্যারেজ রেল যোগাযোগকে ত্বরান্বিত করবে।

মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী বলেন, রেলের লক্ষ্য হচ্ছে যোগাযোগ পরিধি বাড়ানো, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে রেল সংযোগ স্থাপন করা, যাত্রীসেবা দেওয়া। আর এই প্রকল্পের মাধ্যমে সেটা অনেকাংশে সম্ভব হবে।

জানা যায়, সারা দেশে রেলের নেটওয়ার্ক ছড়িয়ে পড়লেও যাত্রী পরিবহনের ক্ষেত্রে প্রত্যাশিত লক্ষ্যমাত্রা থেকে পিছিয়ে রয়েছে। এ লক্ষ্যমাত্রা পূরণে পদ্মাসেতু রেল সংযোগ প্রকল্প ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু নির্মাণ প্রকল্প দ্রুততার সঙ্গে শেষের দিকে এগিয়ে চলেছে। রেলওয়ে আশা করছে এসব প্রকল্পের কাজ শেষ হলে বাংলাদেশে রেলপথে যাত্রী পরিবহনের ক্ষেত্রে সম্ভাবনার এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে। এ প্রকল্প দুটি পরিপূর্ণভাবে শেষ হলে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলে যাত্রী বহনের সুবিধা বাড়বে।


আরও খবর



সিলেটে বন্যার পদধ্বনি: বিপৎসীমার ওপরে নদীর পানি

প্রকাশিত:বুধবার ২৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
এস এ শফি, সিলেট

Image

ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে দুইদিন ধরে ভারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে সিলেটে। টিানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে সিলেটের সুরমা কুশিয়ারাসহ প্রায় সবগুলো নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। সিলেট জেলার সবকটি নদীর পানি ইতোমধ্যে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বন্যা মোকাবেলায় প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের সিলেট কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা।

বুধবার (২৯ মে) দুপুর ১২টায় সিলেটের সুরমা ও কুশিয়ারাসহ তিন নদীর পানি বিপৎসীমা ছাড়িয়ে গেছে। আরও কয়েকটি পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমার কাছ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

পাউবো জানায়, বুধবার দুপুর ১২টায় সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্ট ১৩ দশমিক ৬ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এ পয়েন্টে পানির বিপৎসীমা ১২ দশমিক ৭৫ সেন্টিমিটার। কুশিয়ারা নদীর পানি অমলশীদ পয়েন্টে ১৫ দশমিক ৭৭ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। কুশিয়ারার অমলশীদ এলাকায় বিপৎসীমা ১৫ দশমিক ৪০। এছাড়া সারি নদীর সারিঘাট পয়েন্টে পানির বিপৎসীমা ১২ দমশিক ৩৫ সেন্টিমিটার। এ পয়েন্টে দুপুর ১২টায় ১২ দশমিক ৮৮ সেন্টিমিটার দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল।

গত দুইদিনের টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এই উপজেলার সবচেয়ে বড় নদী সারীনদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করেছে। আকস্মিক বন্যায় উপজেলার নিজপাট ইউনিয়নের গোয়াবাড়ী, বাইরাখেল, মযনাহাটি, বন্দরহাটি, মেঘলী, তিলকৈপাড়া, ডিবিরহাওর, ফুলবাড়ী, টিপরাখরা, খলারবন্দ, মাঝেরবিল, হর্নি, নয়াবাড়ী, কালিঞ্জিাদবাড়ী, জৈন্তাপুর ইউনিয়নে লামনীগ্রাম, মোয়াখাই, বিরাইমারা, মুক্তাপুর, বিরাইমারা হাওর, লক্ষীপুর, কেন্দ্রী, খারুবিল, নলজুরী, শেওলারটুক, বাওনহাওর, চারিকাটা ইউনিয়নের লাল, থুবাং, উত্তর বাউরভাগসহ বিভিন্ন গ্রাম পাহাড়ী ঢলের পানিতে তলিয়ে গেছে। 

বৈরী আবহাওয়া ও বন্যার আশঙ্কা নিয়ে গোয়াইনঘাট উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সতর্কতামূলক নির্দেশনাসহ ৫৬টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বাড়িতে পানি ঢুকার সম্ভাবনা দেখা দিলে বাড়িতে অবস্থান না করে অবশ্যই নিকটবর্তী আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া।

পাহাড়ি, টিলা এলাকায় ও এর পাদদেশে বসবাসকারীদের কেও অতি সত্ত্বর পাহাড় ধস ও মাটি ধসজনিত দুর্ঘটনা এড়াতে উপজেলা প্রশাসনের নির্ধারিত নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থানের জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলাম। এছাড়া প্রতিটি ওয়ার্ডে জরুরি উদ্ধার কার্যক্রম ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য পর্যাপ্ত নৌকা প্রস্তুত রাখার কথা বলা হয়েছে।

জরুরী প্রয়োজনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসিয়াল মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করে অবহিত করার জন্য বলা হয়েছে। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বৈরী আবহাওয়া অব্যাহত রয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাস বলেন, আমাদের নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পায় মূলত উজান থেকে নেমে আসা ঢলের কারণে। ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে বৃষ্টিপাততো আমাদের দেশেও ছিল। তাছাড়া প্রাক বর্ষাকালে বৃষ্টি হওয়া স্বাভাবিক। আর বৃষ্টি হলে নদনদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়াটাও স্বাভাবিক প্রক্রিয়া।

অপরদিকে সিলেট আবহাওয়া অফিস বলছে, যেহেতু প্রাক বর্ষাকাল চলছে তাই এখন প্রায় প্রতিদিনই বৃষ্টি হবে। গত ২৪ ঘন্টায় সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সিলেটে ১৪৬.১ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে।

সিলেট আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মোহাম্মদ সজিব হোসেন  বলেন, আগামী তিনদিন সিলেটে অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।


আরও খবর



ফ্রিজ ছাড়াই মাংস সংরক্ষণ করবেন যেভাবে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

এ বছর ঈদুল আজহায় সারা দেশে মোট ১ কোটি ৪ লাখ ৮ হাজার ৯১৮টি পশু কোরবানি হয়েছে। গত বছর কোরবানির এ সংখ্যা ছিল এক কোটি ৪১ হাজার ৮১২টি। গত বছরের তুলনায় এবার তিন লাখ ৬৭ হাজার ১০৬টি পশু বেশি কোরবানি হয়েছে।

কোরবানির ঈদে একসঙ্গে প্রচুর পরিমাণে মাংস বাসায় চলে আসে। অনেকের ফ্রিজ থাকে না বা ফ্রিজেও জায়গার অভাব দেখা দেয়। সংরক্ষণের অভাবে নষ্ট হয়ে যায় মাংস। এ রকম পরিস্থিতিতে ফ্রিজ ছাড়াই মাংস সংরক্ষণের উপায় জেনে নিন।

১. মাংস লম্বা ফালি করে কেটে নিন। চর্বি বাদ দিন। লবণ ও হলুদ মাখিয়ে কড়া রোদে শুকান। ভালোভাবে শুকিয়ে গেলে এয়ারটাইট বক্সে ভরে রেখে দিন। ব্যবহার করার আগপর্যন্ত বাটি খুলবেন না। মাঝে মাঝে বাটিটা রোদে দিতে পারেন। এভাবে মাংস অনেক দিন ভালো থাকবে। রান্নার আগে মাংস কুসুম গরম পানিতে আধা ঘণ্টা ভিজিয়ে তারপর রাঁধুন।

২. মাংস ভালোভাবে ধুয়ে নিন। পরিমাণমতো হলুদ ও লবণ মাখিয়ে পানি দিয়ে জ্বাল দিন। সেদ্ধ হলে জ্বাল বন্ধ করুন। পর্যাপ্ত আলো-বাতাস আছে এ রকম স্থানে মাংসের হাঁড়িটা রাখুন। অবশ্যই ঢাকনা দিয়ে রাখবেন। এই মাংস দিনে অন্তত দুবার জ্বাল দিলে এক সপ্তাহ পর্যন্ত ভালো থাকবে।

৩. মাংসের বড় টুকরা নিন। পানি ঝরিয়ে ফেলুন। চর্বিজাতীয় অংশ বাদ দিন। এবার সেটা লবণ ও লেবুর রস মাখিয়ে কয়েক ঘণ্টা রাখুন। মাংসের মধ্যে লেবুর রস ভালোভাবে ঢুকেছে কি না, খেয়াল করুন। মাংসগুলো এয়ারটাইট বক্সে ভরে সংরক্ষণ করুন। এভাবে বেশ কয়েক দিন ভালো থাকবে।

৪. ফালি করে মাংস কেটে নিন। আদা, রসুন এবং পেঁয়াজবাটা দিয়ে মাংসগুলো ম্যারিনেট করে রাখুন। ডুবো তেলে মাংসগুলো ভেজে ফেলুন। ভাজা মাংস থেকে তেল সরিয়ে নিন। ঢাকনা যুক্ত বাটিতে ভরে মাংস সংরক্ষণ করুন। এই মাংস এক দিন পর পর গরম করতে হবে। এভাবে মাংস ১৫ থেকে ২০ দিন পর্যন্ত ভালো থাকবে।

৫. চর্বিতে মাংস সংরক্ষণ করা যায়। মাংস মাঝারি সাইজে কেটে পানি ঝরিয়ে নিন। একটি পাত্রে বেশি পরিমাণে চর্বি দিয়ে তাতে মাংস দিন। চর্বি দেওয়ার সময় মনে রাখবেন মাংস যেন চর্বির অন্তত আধা ইঞ্চি নিচে ডুবে থাকে।


আরও খবর



ঈদের দিন ৬ ঘন্টার মধ্যে বর্জ্য অপসারণের ঘোষণা মেয়র আতিকের

প্রকাশিত:বুধবার ১২ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

এবারের কোরবানি ঈদে ৬ ঘন্টার মধ্যে বর্জ্য অপসারণ করার ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম। বুধবার (১২ জুন) কোরবানির বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য কেনা নতুন ৪০টি ট্রাক উদ্বোধনকালে এ ঘোষণা দেন তিনি। ট্রাকগুলো নিজস্ব অর্থায়নে ক্রয় করেছে ডিএনসিসি। খরচ হয়েছে ৩০ কোটি টাকা।

মেয়র আতিক বলেন, গত কোরবানির ঈদে তিনদিনে প্রায় ২০ হাজার টন বর্জ্য অপসারণ করে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন। নতুন গাড়িগুলোর মাধ্যমে এবার ঈদের দিন ৬ ঘণ্টার মধ্যে কোরবানির সব বর্জ্য অপসারণ করা হবে।

এ সময় ঈদের প্রথম দুই দিনের মধ্যে কোরবানি শেষ করার জন্য নাগরিকদের অনুরোধ করেন ডিএনসিসি মেয়র।

তিনি বলেন, পশুর হাটে ইজরাদাররা ঠিক মতো বর্জ্য অপসারণ করে না। তাই এবার হাটের সব বর্জ্য ডিএসসিসি পরিস্কার করবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এজন্য হাটের ইজারাদারদের কাছ থেকে ১০ শতাংশ টাকা কেটে রাখা হয়েছে।

পরে উত্তরা ১০ নম্বর সেক্টরে রাস্তার উপর হাট বসানো হয়েছে বলে জানানো হয় মেয়র আতিককে। এ ব্যাপারে তিনি জানান, কোনো হাট রাস্তার ওপর বসলে তাদের জামানতের টাকা বাজেয়াপ্ত করা হবে।


আরও খবর



মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন কনস্টেবল কাওসার: আইজিপি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর বারিধারার কূটনৈতিক এলাকায় গুলি করে পুলিশ সদস্য হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত আরেক পুলিশ সদস্য কাউসার আলী মানসিকভাবে অসুস্থ বলে মন্তব্য করেছেন আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন। মঙ্গলবার (১১ জুন) দুপুরে রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ অডিটোরিয়ামে হাইওয়ে পুলিশের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান শেষে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেন পুলিশ প্রধান।

তিনি বলেন, সহকর্মীকে গুলি করে হত্যা করা কনস্টেবল কাওসার যে মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন সেটি পুলিশ বিভাগ জানত। চিকিৎসার পর একজন চিকিৎসক কাওসারের রোগমুক্তির সনদ দিলে তাকে দায়িত্বে ফেরানো হয়। এখন এ বিষয়গুলোতে আমাদের আরও সতর্কতার প্রয়োজন কি না, সে বিষয়ে আমরা আলোচনা করছি।

উল্লেখ্য, শনিবার (৮ জুন) রাত পৌনে ১২টার দিকে ঢাকার ফিলিস্তিন দূতাবাসের উত্তর পাশের গার্ডরুমের সামনে দায়িত্ব পালনের সময় কাওসার এসএমজি দিয়ে এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে কনস্টেবল মনিরুল ইসলামকে হত্যা করেন। তার গুলিতে জাপান দূতাবাসের গাড়ি চালক সাজ্জাদ হোসেন শাহরুখও আহত হন।

ওই ঘটনায় নিহত মনিরুলের ভাই কনস্টেবল মাহাবুবুল হক গুলশান থানায় মামলা করেন। সেই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কাওসারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।

পুলিশের সুরতহাল প্রতিবেদনে বলা হয়, মনিরুলের শরীরে এলোপাতাড়ি গুলি করা হয়। মাথার বাঁ পাশে একাধিক গুলির চিহ্ন ছিল। বাঁ চোখ, বাম হাতের বাহু, ডান হাতের কনুই, গলার নিচ থেকে কোমর পর্যন্ত- বুকে, পেটে, পিঠে বিভিন্ন স্থানে গুলির ক্ষত রয়েছে।

পরিবারের সদস্যরা বলছেন, কাউসার ২০০৫ সালের ১৫ ডিসেম্বর বাংলাদেশ পুলিশে যোগ দেন। ২০১০ সালের দিকে তার মধ্যে মানসিক অসুস্থতার লক্ষণ দেখা দেয়। তিনি কারো সঙ্গে কথা বলতেন না এবং অল্পেই ক্ষিপ্ত হয়ে উঠতেন। তবে কাওসার মাদকাসক্ত ছিলেন না’ এবং পারিবারিকভাবে তেমন কোনো সমস্যাও ছিল না’ বলে তার স্বজনদের ভাষ্য।

কাওসারের স্ত্রী সাথী বলেন, গত ৪ থেকে ৫ দিন ধরে আমাদের সঙ্গে কম কথা বলছিল। মাঝেমধ্যে যখনই মানসিক রোগে আক্রান্ত হত, এরকম করত। কয়েকবার পাবনায় এক হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসাও করানো হয়েছে। চিকিৎসার কাগজপত্র আমার স্বামীর কাছে আছে।


আরও খবর



পাথরঘাটায় চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীর ওপর হামলার বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত:শনিবার ০১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অলিউল্লাহ্ ইমরান, বরগুনা

Image

বরগুনার পাথরঘাটায় উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী এনামুল হোসাইনের (দোয়াত-কলম মার্কা) ওপর হামলা হয়েছে। এরপর তার পক্ষে প্রেসক্লাবে সাংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

শনিবার (১ জুন) বরগুনা প্রেসক্লাব হলরুমে বিকেল ৫টায় এনামুল হোসেনের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তার ফুফাতো ভাই মো. নিজাম উদ্দিন খান (পান্না) এ সংবাদ সম্মেলন করেন।

এ সময়ে এনামুলের ফুফাতো ভাই সাংবাদিকদের বলেন, ৩০ মে রাতে দোয়াত-কলম মার্কার প্রার্থী জনাব এনামুল হোসাইন তার নির্বাচনী গণসংযোগ চলানোর সময় কাপ-পিরিচ মার্কার সমর্থকরা কাকাচিড়া এলাকায় ঢুকতে দিবে না বলে বাধার সৃষ্টি করে এবং অতর্কিতভাবে এনামুল ও তার সমর্থকদের ওপর হামলা করে। এ সময় দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে কাপ-পিরিচ মার্কার সন্ত্রাসীরা এনামুল হোসাইনের মাথায় কোপ দিয়ে গুরুতর জখম করে ও সন্ত্রাসীদের লাঠির আঘাতে তার ডান হাতের কবজির ওপর আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।

মো. নিজাম উদ্দিন খান (পান্না) জানান, বর্তমানে দোয়াত কলম মার্কার প্রার্থী এনামুল হোসাইন মাথায় গুরুতর আঘাত নিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি আছেন। এছাড়া সন্ত্রাসী হা্মলায় আহত এনামুলের ১৫-১৬ জন নেতা-কর্মী মারাত্বকভাবে আহত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য জাতির প্রতি যে অঙ্গীকার করেছেন তার প্রতি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। সন্ত্রাসী বাহিনীর মাধ্যমে একতরফা নির্বাচন করার পাঁয়তারা করা হচ্ছে। আমরা এ বর্বরোচিত হামলার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।


আরও খবর