আজঃ বৃহস্পতিবার ০৪ জুলাই ২০২৪
শিরোনাম

ভারতে আরও এক ব্যক্তির শরীরে মাঙ্কিপক্সের উপসর্গ

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ জুলাই ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ২৫ জুলাই ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ভারতে মাঙ্কিপক্স ঘিরে ক্রমশ আতঙ্ক বাড়ছে। ইতিমধ্যেই দেশটিতে চার জনের শরীরে এই ভাইরাস পাওয়া গিয়েছে। এ বার তেলঙ্গানার এক ব্যক্তির শরীরেও মাঙ্কিপক্সের উপসর্গ ঘিরে উদ্বেগ বাড়ল।

সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা যায়, তেলঙ্গানার কামারেড্ডি জেলার ইন্দিরানগর কলোনির বছর চল্লিশের এক বাসিন্দার শরীরে মাঙ্কিপক্স ভাইরাসের উপসর্গ দেখা গিয়েছে। তাকে হায়দরাবাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রাখা হয়েছে বিচ্ছিন্ন ভাবে।

গত ৬ জুলাই কুয়েত থেকে ওই ব্যক্তি এ দেশে ফেরেন। তার নমুনা পুণের গবেষণাগারে পাঠানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, ওই রোগীর দেহে প্রথমে র‌্যাশ দেখা যায়। এর পরই তিনি একটি বেসরকারি হাসপাতালে যান। সেখান থেকে তাকে এক সরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।

সে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের ডিরেক্টর জি শ্রীনিবাস জানিয়েছেন, ওই ব্যক্তির সংস্পর্শে এসেছেন ছয় থেকে সাত জন। তাদের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। তবে এখনও তাদের শরীরে এই ভাইরাসের কোনও উপসর্গ দেখা যায়নি।

এর আগে ভারতের কেরালায় প্রথম মাঙ্কিপক্সে আক্রান্তের হদিস পাওয়া যায়। প্রথম যিনি সংক্রমিত হয়েছিলেন, তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ফিরেছিলেন। উপসর্গ দেখার পর তার নমুনা পাঠানো হয়েছিল পুণের গবেষণাগারে। সেখানেই রিপোর্ট পজিটিভ আসে। ওই ব্যক্তি বিদেশে এক মাঙ্কিপক্স আক্রান্তের সংস্পর্শে এসেছিলেন। সে কারণেই সংক্রমণ ঘটেছে বলে জানা যায়।

এর পর, দুবাইফেরত ৩১ বছর বয়সি কেরলের এক যুবক এই ভাইরাসে সংক্রমিত হন। দেশে মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত তৃতীয় ব্যক্তিও কেরলের বাসিন্দা। গত ৬ জুলাই সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে মালাপ্পুরমে ফেরেন তিনি। রবিবার মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হয়েছেন পশ্চিম দিল্লির এক বাসিন্দা। তাকে হাসপাতালে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। 


আরও খবর
যুক্তরাজ্যে সাধারণ নির্বাচন আজ

বৃহস্পতিবার ০৪ জুলাই ২০২৪




নরসিংদীতে পিকাপ ও কাভার্ডভ্যান মুখোমুখি সংঘর্ষে চালক নিহত

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নরসিংদী প্রতিনিধি

Image

নরসিংদীর রায়পুরার মাহমুদাবাদ নামক স্থানে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে মালবাহী কাভার্ডভ্যান-পিকাপের মুখোমুখি সংঘর্ষে ১ জন চালক নিহত হয়েছে। গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন পিকাপের চালকের সহকারী। ঘটনার পর থেকে মহাসড়কের উভয় পাশে কয়েক কিলোমিটার জোরে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। বেলা ৩ টায় যান চলাচল শুরু করে।

শুক্রবার রায়পুরা উপজেলার মাহমুদাবাদের নামাপাড়া ঢাকা সিলেট মহাসড়কে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত মো বাচ্চু মিয়া (আনুমানিক ৩০) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার নয়নপুর গ্রামের বাসিন্দা। আহত ফয়সাল (২৩) কুমিল্লা জেলার বুড়িচং উপজেলার মুদ্রম এলাকার করিম মিয়ার ছেলে। তারা পিকাপের চালক ও চালকের সহকারী ছিলেন। গুরুতর আহত এক পিকাপের চালকের সহকারীকে পুলিশ ও স্থানীয়রা উদ্ধার করে স্থানীয় ভৈরব হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহতকে প্রথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

ভৈরব হাইওয়ে পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, ঢাকা থেকে চেড়ে আসা মাল বুজাই কুরিয়ার সার্ভিসেস একটি কাবার্ডভ্যান মহাসড়কের মাহমুদাবাদ নামাপাড়া এলাকায় পৌঁছলে বিপরীত দিখ (ভৈরব) থেকে ছেড়ে আসা একটি মালবাহী পিকাপের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এসময় দুটি গাড়ির সামনের অংশ দুমড়ে মুচড়ে যায় এবং ঘটনাস্থলেই পিকাপের চালাক ভেতরে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলে নিহত হন। এ সময় পিছনে থাকা যাত্রীবাহী লেগুনা কাভার্ড ভ্যানের পেছনে ধাক্কা দেয়। এতে লেগুনার সামনের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঘটনার পর থেকে কাবার্ডভ্যান ও লেগুনার চালক পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত পিকাপের চালকের সহকারীকে পুলিশ উদ্ধার করে স্থানীয় ভৈরব হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে খবর পেয়ে ভৈরব হাইওয়ে পুলিশ ও ভৈরব ফায়ারসার্ভিস কর্মীরা সকালে ঘটনাস্থলে এসে দীর্ঘ দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া ট্রাকের ভেতর চাপা পরে আটকা পড়া নিহত চালককে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে ভৈরব হাইওয়ে থানার নিয়ে আসা হয়েছে। দুমড়ে মুচড়ে যায় ট্রাক দুটো উদ্ধার করে ভৈরব হাইওয়ে থানার জব্দকরে নিয়ে আসে পুলিশ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, মহাসড়কে সিএনজিসহ নিষিদ্ধ যানবাহন পুলিশের সামনেই সময় অসময়ে চলাচল করে। সিএনজির কারণেই প্রায়ই দুর্ঘটনা গুলো ঘটছে। কিছুদিন পর পর ছোট বড় দুর্ঘটনায় মানুষ মারাও যায়। এ যেন দেখেও দেকার কেউ নেই। এই রখম দুর্ঘটনা থেকে মুক্তি চাই।

ভৈরব ফায়ার সার্ভিসের লিডার মো রাশেদ বলেন, বেলা ১টা ৪০ মিনিটে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে দীর্ঘ দেড় ঘন্টার চেষ্টায় চাপাপড়া নিহত চালকের মরদেহ উদ্ধার করি। লাশ ভৈরব হাইওয়ে পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।

ভৈরব হাইওয়ে থানার সার্জেন্ট সাকের আহমেদ বলেন, বেলা ১ টা ৩০ মিনিটে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে দীর্ঘদিন দেড় ঘন্টার চেষ্টায় পিকাপে চাপা পড়া চিহ্ন বিচিহৃ চালকের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যাচ্ছি। তিনটি গাড়ি জব্দ করে থানায় নিয়ে আসি। এ সংক্রান্ত পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

উল্লেখ্য, এর আগেও গত ছয় মাসে ওই এলাকায় একই স্থানে দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে চালক নিহত হন। এর আগেও নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কাভার্ড ভ্যানের চাপায় পাঁচজন সবজির ক্রেতা-বিক্রেতাসহ অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছিলেন।

নিউজ ট্যাগ: নরসিংদী

আরও খবর



মাদক মামলায় পুলিশ সদস্যকে বাঁচাতে চার্জশিটে ‘জালিয়াতি’

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৭ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রেদওয়ানুল হক মিলন, ঠাকুরগাঁও

Image

ঠাকুরগাঁওয়ে ইয়াবা ও হেরোইনসহ গ্রেপ্তার হওয়া পুলিশ কনস্টেবল মোশারফ হোসেনকে বাঁচাতে মামলার চার্জশিট থেকে তার নাম বাদ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক ফরহাদ আকন্দের বিরুদ্ধে।

ওই মামলার এক আসামি এ বিষয়ে অভিযোগ করলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা যায়, মামলার বাদী ফরহাদ আকন্দ চার্জশিটের পাতায় অগ্রগামীর জন্য ওই দপ্তরের সহকারী পরিচালকের অনুপস্থিতিতে তার স্থলে নিজেই স্বাক্ষর করেছেন এবং স্বাক্ষরকৃত চার্জশিট আদালতে দাখিলও করা হয়েছে।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বলছেন, এটি এক ধরনের জালিয়াতি। কোনোভাবেই সংশ্লিষ্ট ওই দপ্তরের সহকারী পরিচালকের অনুপস্থিতিতে মামলার বাদী স্বাক্ষর করতে পারেন না।

তবে ফরহাদ আকন্দ বলছেন, সফট কর্নার থেকেই পুলিশ কনস্টেবল মোশারফ হোসেনকে মাদক মামলা থেকে অব্যাহতির জন্য আদালতে সুপারিশ করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে বলা হয়, চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি ঠাকুরগাঁও শহরের আশ্রমপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১০২ পিস ইয়াবা ও ৫ গ্রাম হেরোইনসহ আতিকুল ইসলাম আতিক ও পুলিশ কনস্টেবল মোশারফ হোসেনকে গ্রেপ্তার করে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। এ ঘটনায় ঠাকুরগাঁও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক ফরহাদ আকন্দ ঠাকুরগাঁও সদর থানায় একটি মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করেন ঠাকুরগাঁও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপপরিদর্শক আজাহারুল ইসলাম।

মামলার এজাহারের মধ্যভাগে বলা হয়, গ্রেপ্তারকৃত দুজন আসামি দীর্ঘদিন যাবৎ ইয়াবা ট্যাবলেট ও হেরোইনের ব্যবসা করে আসছিল। পুলিশ কনস্টেবল মোশারফ হোসেন দীর্ঘদিন ধরে ঠাকুরগাঁও জেলায় কর্মরত ছিলেন। বর্তমানে তিনি খাগড়াছড়ি জেলায় কর্মরত।

এদিকে গত ২৫ এপ্রিল ঠাকুরগাঁও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে দায়িত্বরত সহকারী পরিচালক সৌমিক রায় বদলি হয়ে যায়। এ সময় মামলার চার্জশিট তৈরি করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। আর ওই চার্জশিটে সহকারী পরিচালকের অনুপস্থিতিতে তার সিল ব্যবহার করে মামলার বাদী ফরহাদ আকন্দ নিজেই চার্জশিট অগ্রগামীর জন্য স্বাক্ষর করেন এবং গত ২১ মে আদালতে তা দাখিল করা হয়।

স্বাক্ষরকৃত চার্জশিটে আতিকুল ইসলাম আতিককে অভিযুক্ত করা হয় এবং পুলিশ কনস্টেবল মোশারফ হোসেনকে অব্যাহতির জন্য সুপারিশ করা হয়েছে।

সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) ঠাকুরগাঁও জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল লতিফ বলেন, পুলিশ কনস্টেবল হওয়ার কারণেই মাদক মামলা থেকে বাঁচাতে তার নাম চার্জশিট থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে এটা বোঝা যায়। এখানে কৌশলের আশ্রয় নেওয়া হয়েছে, এটা গুরুতর অপরাধ।

ঠাকুরগাঁও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সাবেক সহকারী পরিচালক সৌমিক রায় বলেন, ২৫ এপ্রিল আমি বদলি হয়ে যায় এবং ২৭ এপ্রিল ঠাকুরগাঁওয়ে শেষ কর্মদিবস ছিল। মামলার চার্জশিট থেকে আসামিকে বাদ দেওয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই।

ফরহাদ আকন্দ বলেন, সফট কর্নার থেকে চার্জশিটে পুলিশ কনস্টেবল মোশারফ হোসেনের নাম বাদ দেওয়ার জন্য আদালতে সুপারিশ করা হয়েছে। চার্জশিট দেওয়ার সময় এখানে সহকারী পরিচালক ছিলেন না। তাই নিজেই চার্জশিট অগ্রগামীর জন্য সহকারী পরিচালকের পক্ষে স্বাক্ষর করে আদালতে জমা দিয়েছি এবং বিষয়টি রংপুর বিভাগীয় কর্মকর্তা অবগত রয়েছেন।

ঠাকুরগাঁও জজকোর্টের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোজাফ্ফর আহমেদ মানিক বলেন, দায়িত্বরত সহকারী পরিচালক বদলি হয়েছেন। এই সুযোগে জালিয়াতি করে ওই কর্মকর্তার সিল ব্যবহার ও স্বাক্ষর করে চার্জশিট অগ্রগামী করেন মামলার বাদী। কোনোভাবেই এটি তিনি করতে পারেন না। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা সংশ্লিষ্ট দপ্তর অথবা আদালত নিতে পারবেন।

বর্তমান দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠাকুরগাঁও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শরীফ উদ্দীন বলেন, আমার কর্মস্থল নীলফামারী জেলায়। কিন্তু ঠাকুরগাঁও জেলায় সহকারী পরিচালকের পদটি শূন্য। ফলে গত ২৮ মে অতিরিক্ত হিসেবে আমাকে ঠাকুরগাঁও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালকের দায়িত্ব দেওয়া হয়।

মাদক মামলা থেকে আসামিকে উপযুক্ত ডকুমেন্টস ছাড়া বাদ দেওয়ার সুযোগ নেই। সেই সঙ্গে সহকারী পরিচালকের সিল ব্যবহার ও স্বাক্ষর করার বিষয়টি নজরে এসেছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের রংপুর বিভাগীয় অতিরিক্ত পরিচালক আলী আসলাম হোসেন বলেন, চার্জশিটের বিষয়টি জানতে চেয়েছি, আসুক তারপর দেখব। আর সব মামলায় যে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার মতামত লাগবে এমনটি নয়। তবে কোনো মামলা যদি গুরুত্বপূর্ণ হয় তাহলে অবশ্যই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার জানা উচিত কীভাবে কী হলো। চার্জশিট দাখিলে অনিয়ম হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর



ছুটির দিনগুলোকে যেভাবে উপভোগ্য করে তুলবেন

প্রকাশিত:রবিবার ১৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

শুরু হয়েছে ঈদের ছুটি। ঈদের ছুটির সঙ্গে আরও ২-৩ দিন ক্যাজুয়াল লিভ নিয়ে কিছুদিন বেশ আনন্দে কাটাতে পারেন। পরিবারের সঙ্গে সময় যাপন করতে পারেন। আবার নিজেকে সময় দিতে পারেন নিজের মতো করে। ইচ্ছেমতো আলসেমিও করতে পারেন। কাজের ব্যস্ততায় যারা ঠিকঠাক ঘুমাতে পারেন না, ছুটিতে মর্জিমতো ঘুমিয়েও নিতে পারেন। যাই করেন না কেন, দিনগুলোকে আনন্দময় করে তুলুন।

পারিবারিক পরিবেশে আড্ডা: ঈদের ছুটিতে পরিবারকে সময় দিন। বাবা-মা, ভাই-বোন, স্ত্রী-সন্তান, আত্মীয়-স্বজন সবাইকে নিয়ে ব্যস্ত থাকুন। আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে যান। তাদের দাওয়াত দিন। শহুরে জীবন যাপনে একক পরিবারের সংখ্যাই বেশি। আর একক পরিবারে বাস করতে করতে একাকীত্বতা ভর করে। ছুটিতে গ্রামে যান কিংবা শহরে থাকুন, দিনগুলো পরিবার ও আত্মীয়দের সঙ্গে কাটান। গল্প-গুজব, অতীত স্মৃতি রোমন্থন, হাসি-ঠাট্টা ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের খেলা খেলতে পারেন। লুডু, দাবা, বালিশ খেলা, ক্যারাম ইত্যাদির মাধ্যমে দিনগুলোকে রঙিন করতে পারেন। সন্তানকেও তার বন্ধু, চাচাতো ভাই বোনদের সঙ্গে খেলতে দিন।

পছন্দের রান্না: ইদ-উল-আজহা মানেই ভরপুর খাওয়া দাওয়ার আয়োজন। গরুর মাংসের বাহারি পদ এসময়ই মানানসই। ঈদের দিন সকালে নিজের পছন্দমতো কোনো পদ রান্না করতে পারেন। যেমন আমের পুডিং, সাবুদানার ডেজার্ট, নবাবী সেমাই, শাহী জর্দা সেমাই ইত্যাদি। দুপুর কিংবা রাতে গরুর মাংসের স্টেক, রেইনবো বিফ কারি, চুই ঝালে গরুর মাংস, আচারি মাংস, কালাভুনা ইত্যাদি কোনো একটি বা দুটি পদ রাঁধতে পারেন। এক্সপেরিমেন্টাল অন্যান্য পদও রান্না করতে পারেন। পরিবারের অন্যদের সাহায্য নিতে পারেন। প্রয়োজনে পরিবারের ছোটদের সাহায্য নিন। এতে তাদের সময়টাও বেশ আনন্দে কাটবে।

ঘুরাঘুরি চাই-ই চাই: ঈদের ছুটিতে ঘুরাঘুরি হবে না, তা কী করে হয়। যদি ছুটিতে ঢাকাতেই থাকেন তাহলে ডে লং ট্যুরে যেতে পারেন। জিন্দা পার্ক, পানাম সিটি, ড্রিম হলিডে পার্ক, বালিয়াটি জমিদার বাড়ি, মহেরা জমিদার বাড়ি, গোলাপগ্রাম, ফ্যান্টাসি কিংডম ইত্যাদি জায়গা থেকে ঘুরে আসতে পারেন। তবে যাওয়ার আগে দেখবেন ভ্রমণস্থানগুলো খোলা আছে কিনা। শিশুদের নিয়ে চিড়িয়াখানা কিংবা জাদুঘরেও চলে যেতে পারেন। পুবাইল-গাজীপুরের দিকে অনেক রিসোর্ট আছে। পরিবার ও আত্মীয়দের নিয়ে কোনো একটি রিসোর্টেও যেতে পারেন। যদি ঈদে গ্রামের বাড়িতে যান, তাহলে নিজ জেলার ঐতিহ্যবাহী স্থানগুলোতে বেড়ান।

প্রিয় সিনেমা, ওয়েব সিরিজ: ঈদের আনন্দকে বাড়াতে সিনেমা হল কিংবা সিনেপ্লেক্সে সিনেমা দেখতে যেতে পারেন। যদি একান্তই যেতে না পারেন, তাহলে বাসায়ই সবার সঙ্গে একত্রে প্রিয় সিনেমা দেখুন। দেখতে পারেন প্রিয় ওয়েব সিরিজও। এতে সুন্দর সময় কাটবে। হৈচৈ, নেটফ্লিক্স, চরকি, বায়োস্কোপ, বিঞ্জ, দীপ্ত প্লেসহ অনেক ওটিটি প্ল্যাটফর্মে চোখ রাখতে পারেন। দারুণ কিছু পেয়ে যাবেন।

বই পড়ুন: ব্যস্ততার কারণে যে বই পড়া হয়নি, যে বই অর্ধেক শেষ করে পুরোটার স্বাদ নেওয়া হয়নি, সেগুলো পড়ে ফেলতে পারেন। পড়া শেষ হলে অন্যকে বই পড়তে উৎসাহী করে তুলুন। বইয়ের সঙ্গে সময় বেশ ভালো কাটবে। 

নিজের যত্ন নিতে ভুলবেন না: ঈদের ভারি খাবার খেয়ে নিজের যত্ন নিতে ভুলবেন না। মজাদার খাবার খাওয়ার সাথে সাথে শরীরচর্চা করা, হাঁটার কথা ভুলবেন না। অনেক কাজ করে যদি হাতে-পায়ে ময়লা জমে যায়, তবে কুসুম গরম পানির সঙ্গে লেবু মিশিয়ে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখুন। ৮-১০ মিনিট পর তা আলতো করে ঘষে ধুয়ে নিন। রান্নাঘর ও রোদে যাওয়ার আগে সানস্ক্রিন ক্রিম লাগান। ত্বকের সৌন্দর্য বাড়াতে ঘরোয়া উপাদান দিয়ে রূপচর্চা করুন।

নিউজ ট্যাগ: ঈদের ছুটি

আরও খবর



টালমাটাল এনবিআর: মতিউর-ফয়সালের পর ফাঁসছেন আরেক কর্মকর্তা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ জুলাই 2০২4 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০২ জুলাই 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ছাগলকাণ্ডে টালমাটাল অবস্থা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর)। সাদিক এগ্রোর ১৫ লাখ টাকার ওই ছাগল কিনে নেট দুনিয়ায় ঝড় তুলে দেন মুশফিকুর রহমান ইফাত নামে এক তরুণ। এ নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই সামনে চলে আসে তারা বাবা মতিউর রহমানের নাম। এনবিআরের উচ্চপদস্ত একজন কর্মকর্তা তিনি। এরপরই বের হতে থাকে তার একের পর এক অবৈধ আয়ের খবর। একদিকে হারান স্বীয় পদ, অন্যদিকে জোর তদন্তে নামে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

অনুসন্ধানে খোঁজ মেলে মতিউর আর তার পরিবারের অবৈধ সম্পদের পাহাড়ের। এই অনুসন্ধান চলাকালেই দুদকের নজরে পড়ে এনবিআরের প্রথম সচিব ও অতিরিক্ত কর কমিশনার কাজী আবু মাহমুদ ফয়সালের ওপর। নিজের এবং স্বজনদের নামে কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ গড়েছেন তিনিও। মতিউর ও ফয়সালের বিশাল অবৈধ সম্পদ অর্জনের খবর যখন মানুষের মুখে মুখে, ঠিক তখনই অবৈধভাবে কোটি টাকা অর্জনকারী আরেক এনবিআর কর্মকর্তার খোঁজ পেল দুদক।

প্রাথমিক অবস্থায় প্রায় ৪ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাস্টমস বিভাগের সাবেক সহকারী কমিশনার মোখলেছুর রহমান, তার স্ত্রী কান্তি রহমান ও ছেলে ফাইজুর রহমানের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে অভিযোগপত্র দেওয়ার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। কমিশনের পক্ষ থেকে অভিযোগপত্র অনুমোদন পাওয়ার পর এখন চলছে আদালতে দাখিল করার প্রক্রিয়া।

দুদক সূত্রে জানা গেছে, শিগগির এনবিআরের এ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত কর্মকর্তা ও দুদকের সহকারী পরিচালক আলমগীর হোসেন আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করবেন। এনবিআরের কাস্টমস বিভাগের সদস্য আলোচিত মতিউর রহমান ও কর বিভাগের প্রথম সচিব কাজী আবু মাহমুদ ফয়সালের বিরুদ্ধেও অনুসন্ধান চলছে।

এদিকে সোমবার (১ জুলাই) রাজস্ব বোর্ডের সাবেক আরেক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে মামলা হয়েছে। ৭ কোটি ৭৫ লাখ ৭ হাজার ৪৯৯ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক সহকারী পরিচালক বদরুন নাহারের নামে মামলা করেছে দুদক।

দুদক সূত্রে জানা গেছে, সাবেক এনবিআর কর্মকর্তা মোখলেছুর ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে চার কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের খোঁজ পাওয়া গেছে। মোখলেছুর রহমান ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত অর্থ দিয়ে স্ত্রী ও ছেলের নামে সম্পদ গড়ে নিজেকে রক্ষার চেষ্টা করেছেন। এমনকি দুদকের কাজে বাধা তৈরি করতে বিভিন্ন সময়ে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। অবশ্য আইনগত সব জটিলতা কাটিয়ে শেষ পর্যন্ত মোখলেছুর রহমানের পরিবারের তিন সদস্যকে এখন চার্জশিটভুক্ত করতে সক্ষম হয়েছে কমিশন।

জানা গেছে, গত ২৫ জুন কমিশনের পক্ষ থেকে কাস্টমস কর্মকর্তা মোখলেছুর রহমানসহ তিন জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিলের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ২০২১ সালের ২ নভেম্বর দুদকের ময়মনসিংহ জেলা কার্যালয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছিল।

তদন্ত প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, মো. মোখলেছুর রহমান খান ১৯৮০ সালের কাস্টমস ও এক্সসাইজ অফিস বিভাগে পরিদর্শক পদে যোগদান করেন। ২০১২ সালে সহকারী কমিশনার পদে পদোন্নতি পান তিনি। ২০১৬ সালের ৫ আগস্ট সহকারী কমিশনার হিসেবে ঢাকা দক্ষিণ কাস্টমস এক্সসাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট থেকে অবসর গ্রহণ করেন। চার্জশিটে দ্বিতীয় আসামি মোখলেছুরের স্ত্রী কান্তি রহমান। তাদের দুই ছেলের মধ্যে একজন ব্রিটিশ পাসপোর্টধারী এবং অন্যজন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন।

মোখলেছুর রহমান চাকরিকালে নিজ নামে ৫৪ লাখ ৯৮ হাজার ৪০৬ টাকার স্থাবর এবং দুই কোটি ৭৭ লাখ ৮৮ হাজার ৬৭৫ টাকার অস্থাবর সম্পদের মালিকানা অর্জন করেছেন। তার মোট স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ তিন কোটি ৩২ লাখ ৮৭ হাজার ৮১ টাকা। তার পারিবারিক ব্যয় এক কোটি ৬৩ লাখ ৪২ হাজার ২৪৬ টাকাসহ মোট অর্জিত সম্পদের পরিমাণ ৪ কোটি ৯৬ লাখ ২৯ হাজার ৩৩৩ টাকা। এর বিপরীতে তার মোট আয় পাওয়া যায় ৪ কোটি ৩০ লাখ ৮২ হাজার ২২০ টাকা। অর্থাৎ ৬৫ লাখ ৪৭ হাজার ১১৩ টাকা অবৈধ হিসাব হিসেবে প্রমাণ পাওয়া গেছে। যা দুদক আইন ২০০৪ এর ২৭(১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

মোখলেছুরের স্ত্রী কান্তি রহমানের নামে তিন কোটি ৪১ লাখ ৭০ হাজার ২০৫ টাকার স্থাবর এবং ৬ লাখ ৭৯ হাজার টাকার অস্থাবর সম্পদসহ মোট তিন কোটি ৪৮ লাখ ৪৯ হাজার ২০৫ টাকার সম্পদের বিবরণ পেয়েছে দুদক। যা পারিবারিক ব্যয়সহ মোট চার কোটি ২৯ লাখ ৩৬ হাজার ৩৭১ টাকা হয়। আর ওই সম্পদের বিপরীতে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ অর্থাৎ গ্রহণযোগ্য আয় পাওয়া যায় মাত্র এক কোটি ১৮ লাখ ৯ হাজার ৭১৮ টাকা। অর্থাৎ ৩ কোটি ১১ লাখ ২৬ হাজার ৬৫৩ টাকা অবৈধ হিসাবে প্রমাণিত হয়েছে দুদকের তদন্তে।

এদিকে, তৃতীয় আসামি ও মো. মোখলেছুর রহমান খানের বড় ছেলে মো. ফয়জুর রহমান খান বর্তমানে বিদেশে থাকলেও তার বিরুদ্ধে আইনগত অপরাধ মিলেছে দুদকের তদন্তে। একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরিরত অবস্থায় ফয়জুর রহমান ২০০৯ সালের ২৫ নভেম্বর গুলশান মডেল টাউন আবাসিক এলাকার সিডব্লিউএন (বি) ব্লকের ৩৬ নং রোডে জেনেটিক রিচমন্ড নামের একটি ভবনে কার পার্কিং স্পেসসহ ২১ লাখ ৩৮ হাজার ৮১৯ টাকায় ১৯৫০ বর্গফুটের ফ্ল্যাট ক্রয় করেন। দালিলিক মূল্য ওই টাকা হলেও বাস্তবে ফ্ল্যাটের মূল্য ছিল দুই থেকে তিন কোটি টাকা। এছাড়া, তার নামে কিশোরগঞ্জে ৫০ শতক জমি ও ৫ লাখ ৭৯ হাজার ৮০০ টাকা ব্যাংক ব্যালেন্সসহ অস্থাবর সম্পদ মিলিয়ে মোট ২৭ লাখ ৮৩ হাজার ৬১৯ টাকার সম্পদের সন্ধান মিলেছে। যার বিপরীতে তার প্রমাণযোগ্য মোট আয় পাওয়া যায় ৪০ হাজার টাকা। এখানে ২৭ লাখ ৪৩ হাজার ৬১৯ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনে তার বাবা মো. মোখলেছুর রহমান খান তাকে প্রত্যক্ষভাবে সহযোগিতা করেছেন এবং তিনি তার বাবার অবৈধ উপায়ে অর্জিত সম্পদকে বৈধ করার অপচেষ্টা করেছেন। কৌশল হিসেবে নিজের নামে রেখে তার বাবাকে আমমোক্তার নিয়োগ করেছেন। সে কারণে মো. ফাইজুর রহমান খানকে সহযোগী আসামি করা হয়েছে।


আরও খবর



মূল্যস্ফীতির কারণে ঈদ ব্যাহত হয়েছে, এ তথ্য ঠিক নয়: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ঈদুল আজহায় এক কোটি ৪০ লাখের বেশি কোরবানি হয়েছে। যা গতবারের তুলনায় বেশি। মূল্যস্ফীতির কারণে ঈদ ব্যাহত হয়েছে, বিএনপির এ তথ্য ঠিক নয়।

আজ মঙ্গলবার (১৮ জুন) রাজধানীর ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন।

সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, সমালোচনা করে বিএনপিসহ তাদের সমর্থকরা দেশটাকে শ্রীলঙ্কা বানিয়ে ফেলার চেষ্টা করেছে। মূল্যস্ফীতি আছে তবে এটা কমাতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ঈদের দিনেও সরকারের বিরুদ্ধে বিএনপির অপপ্রচার বন্ধ থাকেনি অভিযোগ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে তাদের (বিএনপি) বিরুদ্ধে কোনো বক্তব্য দেওয়া হয়নি।

মিয়ানমার ইস্যুতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে চ্যালেঞ্জ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, সার্বভৌমত্বে কোথায় আঘাত হানা হচ্ছে? অনুপ্রবেশকারীরা চলে গেছে জাহাজও সরে গেছে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা দিয়েছে শেখ হাসিনা এবং দুদকেও স্বাধীন করেছেন তিনি, যতই প্রভাবশালী হোক, দুর্নীতি করলে কারও ছাড় নেই। বিএনপি শাসনামলে এমন কোনো পদক্ষেপ দেখা যায়নি।


আরও খবর