আজঃ শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টার সময় ১১ বাংলাদেশি আটক

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৩ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৩ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টার সময় ১১ জন বাংলাদেশিকে আটক করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ভারতে পালিয়ে যাচ্ছিলেন তারা। সোমবার ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকর্তারা এই তথ্য জানিয়েছেন বলে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

বিএসএফ বলেছে, ভারতে প্রবেশের অনুমতি চেয়ে আরও শত শত বাংলাদেশি নাগরিক সীমান্তে অপেক্ষা করছেন। অনেকে সীমান্ত পেরিয়ে পশ্চিমবঙ্গে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছে।

বিএসএফের উপ-মহাপরিদর্শক অমিত কুমার ত্যাগী এএফপিকে বলেছেন, এখনও সীমান্ত পার হওয়ার জন্য কয়েকশ বাংলাদেশি নাগরিক নো-ম্যানস ল্যান্ডে অপেক্ষা করছেন।

এদিকে, সোমবার আসামের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত ব্শ্বিশর্মা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে বলেছেন, গতকাল রাত দেড়টার দিকে চার বাংলাদেশি নাগরিক ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের করিমগঞ্জ সেক্টর দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেছেন। তবে পুলিশ কার্যকরভাবে জিরো পয়েন্টে হস্তক্ষেপ করে এবং তাৎক্ষণিকভাবে ভারতে তাদের অবৈধ অনুপ্রবেশে বাধা দিয়েছে।

বাংলাদেশের সাথে ভারতের ৪ হাজার কিলোমিটারের বেশি সীমান্ত রয়েছে; যার বেশিরভাগ অংশই অরক্ষিত। বাংলাদেশে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে ভারত।

এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ বাংলাদেশে সংখ্যালঘু গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে হিন্দুরা সংখ্যায় বৃহৎ। চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতায় তারা অনেকেই পার্শবর্তী ভারতে আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টা করছেন। এছাড়াও সরকার পতনের পর আওয়ামী লীগের অনেক নেতা-কর্মীও ভারতে পালিয়ে যাচ্ছেন।


আরও খবর
মিয়ানমারে ভয়াবহ বন্যায় ৩৩ জনের মৃত্যু

শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

জিতলে ওভারটাইমে কর বাদ দেবেন ট্রাম্প

শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪




ধানমন্ডি থেকে আনোয়ার হোসেন মঞ্জু গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:সোমবার ০২ সেপ্টেম্বর 2০২4 | হালনাগাদ:সোমবার ০২ সেপ্টেম্বর 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

জাতীয় পার্টির (জেপি) চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জুকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এ বিষয়ে ডিবির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (উত্তর) মো. রবিউল হোসেন ভুঁইয়া বলেন, ডিবি পুলিশের একটি দল তাকে গ্রেপ্তার করেছে। তার বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলা রয়েছে। তাকে ডিবি কার্যালয় নেওয়া হয়েছে।

আনোয়ার হোসেন মঞ্জু একজন বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী ও সাংবাদিক, যিনি পিরোজপুর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবং সাবেক পানিসম্পদ মন্ত্রী। এর আগেও তিনি দুইবার দুই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী (যোগাযোগ মন্ত্রী ও বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের মন্ত্রী) ছিলেন। তিনি পিরোজপুর-২ আসন থেকে ছয়বারের (১৯৮৬,১৯৮৮, ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১, ২০১৪) নির্বাচিত সংসদ সদস্য।

তিনি জাতীয় পার্টির একটি অংশের নেতা, যা জেপি নামে পরিচিত। তার বাবা তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া একজন নামকরা রাজনীতিবিদ এবং দৈনিক ইত্তেফাকের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। আনোয়ার হোসেন মঞ্জু ১৯৭২-১৯৭৫ সাল পর্যন্ত দৈনিক ইত্তেফাকের সম্পাদক ছিলেন।

তিনি ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বরে গঠিত ৭৬ সদস্যবিশিষ্ট বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন। তিনি ১৯৯৬-২০০১ সময়ে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকারকে সমর্থন করেন। সেই সময় তিনি বাংলাদেশ সরকারের যোগাযোগ মন্ত্রী ছিলেন।


আরও খবর



ডেঙ্গুতে মৃত্যু বেড়ে ৮৮, হাসপাতালে ভর্তি ৩৩৫

প্রকাশিত:বুধবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও একজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে। এ নিয়ে চলতি বছর ৮৮ জনের মৃত্যু হলো ডেঙ্গুতে। এ ছাড়া ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে নতুন করে ৩৩৫ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, আক্রান্তদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৩৯ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৮৭ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৫৪ জন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ৫২ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ৫৫ জন, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৩৩ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) পাঁচ জন, রাজশাহী বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৯ জন এবং রংপুর বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) একজন রয়েছেন।

সব মিলিয়ে চলতি বছরের ২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন ১৩ হাজার ৯৪৩ জন। এর মধ্যে ৬১ দশমিক ৪ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৮ দশমিক ৬ শতাংশ মহিলা রয়েছেন।


আরও খবর



সারাদেশে বাদ পড়ছেন ২ হাজার ৮০০ আইন কর্মকর্তা

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩০ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ৩০ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নিয়োগ পাওয়া ২ হাজার ৮০০ আইন কর্মকর্তার নিয়োগ বাতিল করতে যাচ্ছে আইন মন্ত্রণালয়। এসব কর্মকর্তা দেশের ৬৪ জেলার অধস্তন আদালতে ২০০৯ সাল থেকে বিভিন্ন সময়ে নিয়োগ পেয়েছিলেন। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এবার তাদের বাদ দিয়ে নতুন আইন কর্মকর্তা নিয়োগ করা হবে। এ লক্ষ্যে নিয়োগপ্রত্যাশীদের তালিকা প্রণয়নের পাশাপাশি জীবনবৃত্তান্তসহ অন্যান্য তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের কাজ শুরু করছে আইন মন্ত্রণালয় ও সলিসিটর কার্যালয়। চলতি সপ্তাহে একযোগে বা পর্যায়ক্রমে বিদ্যমান আইন কর্মকর্তাদের নিয়োগ বাতিল করে নতুন নিয়োগ হওয়ার কথা রয়েছে।

আইন মন্ত্রণালয়ের সলিসিটর রুনা নাহিদ আকতার বলেন, কিছু কিছু তালিকা হচ্ছে। এ ব্যাপারে আইন মন্ত্রণালয় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক আইন মন্ত্রণালয়ের অন্যতম শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, পরিস্থিতি অনুযায়ী আইন কর্মকর্তা নিয়োগের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। আইন উপদেষ্টার কাছে নিয়োগপ্রত্যাশী অনেকে নাম ও তালিকা জমা দিয়েছেন। কিন্তু এসব বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। সরকার পরিবর্তনের পর আইন কর্মকর্তা পরিবর্তন হয়। সে হিসেবে এবারও পরিবর্তন হবে।

মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, তালিকা তৈরি হচ্ছে। শিগগিরই বিগত সরকারের আমলে নিয়োগ পাওয়া আইন কর্মকর্তাদের বাদ দিয়ে নতুন নিয়োগ সম্পন্ন করা হবে।

আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মতো বিরূপ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে আদালতের বিচারকাজেও। বিএনপি ও জামায়াতপন্থি আইনজীবীদের চাপের মুখে বিগত সরকারের আমলে নিয়োগ পাওয়া আইন কর্মকর্তারা শুনানিতে অংশ নিতে পারছেন না। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে তাদের অধিকাংশ এখন আদালতেও আসছেন না। একইভাবে গ্রেপ্তার হওয়া আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক মন্ত্রী, সংসদ সদস্যসহ অন্য নেতাকর্মী ও সমর্থকদের পক্ষেও আদালতে আইনজীবী পাওয়া যাচ্ছে না। তাদের পক্ষে কোনো আইনজীবী শুনানি করতে চাইলেও তাঁকে বা তাদের তোপের মুখে পড়তে হচ্ছে। ফলে রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের আইনজীবী ছাড়াই আদালতে বিচারকাজ চলছে। কিছু ক্ষেত্রে বিএনপি সমর্থক আইনজীবীরা স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে শুনানিতে অংশ নিলেও তারা আসামির বিরুদ্ধেই শুনানি করছেন। এমন পরিস্থিতিতে গত ২৫ আগস্ট সুপ্রিম কোর্ট থেকে সরকারি ব্যবস্থাপনায় লিগ্যাল এইডের আইনজীবীদের নিয়োগের জন্য আদালতগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

আইন মন্ত্রণালয় ও সলিসিটর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে দেশের ৬৪ জেলায় জিপি-পিপি, অতিরিক্ত পিপি-অতিরিক্ত জিপিসহ প্রায় ২ হাজার ৮০০ আইন কর্মকর্তা রয়েছেন। আওয়ামী লীগের আমলে নিয়োগ পাওয়া এসব কর্মকর্তার চাকরির মেয়াদকাল সরকারের সন্তুষ্টিকাল পর্যন্ত। এ প্রেক্ষাপটে ৬৪ জেলা আদালতে আইন কর্মকর্তা পদে নিয়োগের জন্য নিয়োগপ্রত্যাশীর তদবির শুরু হয়েছে। সারাদেশ থেকে বিএনপি-জামায়াত সমর্থক আইনজীবীরা প্রায় প্রতিদিনই আইন কর্মকর্তা পদে নিয়োগের জন্য আইন উপদেষ্টার কাছে তালিকা দিচ্ছেন। বিএনপি সমর্থিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের শীর্ষ নেতারা এরই মধ্যে তালিকা দিয়েছেন। অনেকে ব্যক্তিগতভাবেও নাম দিয়েছেন।

আইন কর্মকর্তাদের স্থায়ীভাবে নিয়োগের জন্য স্বাধীনতার পর থেকেই বিভিন্ন সময়ে দাবি উঠেছে। তবে কোনো সরকারই স্থায়ী নিয়োগের জন্য আইন করেনি। ২০০৭ সালে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার আইন কর্মকর্তা নিয়োগে স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস গঠনের লক্ষ্যে আইনের খসড়া করলেও পরবর্তী সময়ে সেটা আর বাস্তবায়ন হয়নি।

অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে জানা যায়, বর্তমানে জিপি, পিপি ও বিশেষ পিপিদের মাসিক রিটেইনার ফি বিভাগীয় শহরের ক্ষেত্রে ১৫ হাজার ও জেলা শহরের ক্ষেত্রে ১২ হাজার টাকা। জিপিদের মামলাপ্রতি মাসিক ভ্যালুয়েশন ফি সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা। এ ছাড়া মামলার শুনানির জন্য পিপি ও বিশেষ পিপিদের দৈনিক ফি পূর্ণ দিবসের জন্য ৬০০ টাকা ও অর্ধদিবসের জন্য ৩০০ টাকা। অতিরিক্ত  জিপি ও অতিরিক্ত পিপিদের মাসিক রিটেইনার ফি বিভাগীয় শহরের ক্ষেত্রে ১২ হাজার টাকা ও জেলা শহরের ক্ষেত্রে ৯ হাজার টাকা। অতিরিক্ত জিপিদের মামলাপ্রতি মাসিক ভ্যালুয়েশন ফি সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা এবং অতিরিক্ত পিপিদের দৈনিক ফি পূর্ণ দিবসের জন্য ৫০০ টাকা ও অর্ধদিবসের জন্য ৩০০ টাকা। এজিপি, এপিপি ও এলজিপিদের মাসিক রিটেইনার ফি বিভাগীয় শহরের ক্ষেত্রে ৬ হাজার টাকা ও জেলা শহরের ক্ষেত্রে ৪ হাজার টাকা। এজিপি ও এলজিপিদের মামলাপ্রতি মাসিক ভ্যালুয়েশন ফি সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা। মামলার শুনানির জন্য এপিপিদের দৈনিক ফি পূর্ণ দিবসের জন্য ২৫০ টাকা; অর্ধদিবসের জন্য ১৫০ টাকা।


আরও খবর



৯২ জন সাংবাদিক-আইনজীবী-ব্যবসায়ীকে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা রাশিয়ার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৯ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৯ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ওয়াশিংটনের রাশিয়াবিরোধী প্রচার-প্রচারণার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে ৯২ জন সাংবাদিক, আইনজীবী এবং ব্যবসায়ীকে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে রাশিয়া। বুধবার দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর সামরিক অভিযানকে কেন্দ্র করে মস্কোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রায় তলানিতে ঠেকেছে। শীতল যুদ্ধের অবসানের পর এই প্রথম বিশ্বের দুই শক্তিধর পরাশক্তির পারস্পরিক সম্পর্কে এই পরিমাণ তিক্ততা পরিলক্ষিত হচ্ছে। বৃহস্পতিবার রাশিয়ার পরারাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ যুক্তরাষ্ট্র ও তার পশ্চিমা মিত্রদের প্রচ্ছন্ন হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ইউক্রেনকে রাশিয়ার অভ্যন্তরে হামলা করার অনুমতি প্রদানের মাধ্যমে পশ্চিমা বিশ্ব আগুন নিয়ে খেলছে

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়া সেই ৯২ জনের নামের তালিকা প্রকাশ করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। যুক্তরাষ্ট্রের অন্তত ২৪ জন সাংবাদিক রয়েছেন এই তালিকায়। তাদের মধ্যে ১৪ জন ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে, ৫ জন নিউইয়র্ক টাইমসে এবং ৪ জন ওয়াশিংটন পোস্টে কর্মরত আছেন।

এক বিবৃতিতে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তথাকথিত স্বাধীনতা, মুক্তবিশ্বের নামে যারা রাশিয়া এবং রাশিয়ার জনগণের বিরুদ্ধে গুজব-প্রপাগান্ডা ছড়ায়, তাদের রুশ ভূখণ্ডে প্রবেশের প্রয়োজন নেই।

রাশিয়ায় ১৬ মাস কারাবাস শেষে চলতি মাসে ছাড়া পেয়েছেন ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ইভান গেরশোভিচ। রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই তালিকাকে হাস্যকর উল্লেখ করে গতকাল এক বিবৃতিতে গেরশোভিচ বলেন, ভ্লাদিমির পুতিনের নেতৃত্বাধীন প্রশাসন মুক্ত ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদিকাতা বিরেধী। বছরের পর বছর ধরে তারা সত্য প্রকাশকারীদের ওপর হামলা চালিয়ে আসছে। এই পদক্ষেপটিও সেই হামলারই অংশ। রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এ তালিকা হাস্যকর এবং আমরা এতে অবাক হইনি।

নিউইয়র্ক টাইমস এবং ওয়াশিংটন পোস্টের পক্ষ থেকে এ ইস্যুতে কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।

নিউজ ট্যাগ: রাশিয়া ইউক্রেন

আরও খবর
মিয়ানমারে ভয়াবহ বন্যায় ৩৩ জনের মৃত্যু

শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

জিতলে ওভারটাইমে কর বাদ দেবেন ট্রাম্প

শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪




বন্যা দুর্গত এলাকায় ত্রাণ ও উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ

প্রকাশিত:রবিবার ২৫ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৫ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রাম জেলার পানিবন্দি হাটহাজারী, ফটিকছড়ি, জোরারগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থানে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এক হাজার মানুষের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করেছে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের সদস্যরা।

রোববার (২৫ আগস্ট) সকালে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে হাটহাজারী, ফটিকছড়ি, জোরারগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকায় বন্যা কবলিত পরিবারগুলোর মাঝে এই শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। এসময় পানিবন্দি ১ হাজার মানুষকে খাবার দেওয়া হয়েছে।

চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সূত্র জানা যায়, আইজিপি স্যারের নির্দেশে আমরা বন্যা দুর্গতদের পাশে দাঁড়িয়েছি এবং বন্যা দুর্গত পরিবারকে ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে এই ত্রাণ সহায়তা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

এর আগে, শনিবার চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে বন্যায় আটকে পড়া লোকজনকে উদ্ধারে নেমেছে জেলা পুলিশ।

উদ্ধার ও খাবার বিতরণে নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (মিরসরাই সার্কেল) মনিরুল ইসলাম ও জোরারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল হারুন।

এসময় পুলিশ সদস্যরা বিভিন্ন বাড়িতে আটকে পড়া লোকজনকে নিরাপদ স্থানে পৌঁছে দেন। এছাড়া পানিবন্দি ৫০০ মানুষের মাঝে খাবার দেওয়া হয়।

নিউজ ট্যাগ: চট্টগ্রাম

আরও খবর
তিন উপকূলীয় এলাকায় নৌযান চলাচল বন্ধ

শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪