আজঃ শুক্রবার ০৫ জুলাই ২০২৪
শিরোনাম

ভারতের আমজনতার কাছে আদানি কেন এতো গুরুত্বপূর্ণ?

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ ফেব্রুয়ারী 2০২3 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ ফেব্রুয়ারী 2০২3 | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভারতের আদানি শিল্পগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ নামে একটি মার্কিন সংস্থা শেয়ার বাজারে ব্যাপক অনিয়ম ও হিসেবে কারচুপির যেসব অভিযোগ এনেছে তা খন্ডন করতে আদানি গ্রুপের দেওয়া বক্তব্যের চেয়েও, তারা যেভাবে সেটি উপস্থাপন করেছে সেটিই ছিল বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আদানি শিল্পগোষ্ঠীর চিফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার (সিএফও) যুগশিনদার সিং ভারতের একটি বিশাল তেরঙ্গা জাতীয় পতাকাকে পেছনে রেখে ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে ওই বিবৃতি দিয়েছেন।

আর্থিক বিষয় নিয়ে সংবাদ পরিবেশন করা মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের ভাষায়, তাকে দেখে একটি কোণঠাসা ও অভিযুক্ত কোম্পানির কর্মকর্তা মনে হচ্ছিল না। বরং মনে হচ্ছিল ভারত সরকারের পক্ষ থেকে কেউ যেন বক্তব্য পেশ করছেন। ওই ভিডিও-বিবৃতির মধ্য দিয়ে আদানি গ্রুপ যে বার্তা দিয়েছিল সেটাও পরিষ্কার: একটি বিদেশি সংস্থা যদি আদানিকে আক্রমণ করে থাকে, তাহলে ধরে নিতে হবে তারা ভারতকে নিশানা করতে চাইছে। আসলে গত কয়েক বছরের মধ্যে ভারতের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ধারা ও আদানি শিল্পগোষ্ঠীর প্রসার যেরকম সমার্থক হয়ে উঠেছে, তার ভিত্তিতে তারা এতটা জোরের সঙ্গে এই দাবিটা করতে পারছে।

এর পাশাপাশি এই তথ্যও ক্রমশ প্রকাশ পেয়েছে যে ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক ও বীমা সংস্থাগুলোরও আদানি শিল্পগোষ্ঠীতে হাজার হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ আছে। ভারতের সবচেয়ে বড় ব্যাংক স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া (এসবিআই) এবং বৃহত্তম বীমা সংস্থা লাইফ ইনস্যুরেন্স করপোরেশন (এলআইসি) এই তালিকায় অগ্রগণ্য। এসবিআই ও এলআইসিতে অ্যাকাউন্ট বা পলিসি নেই, ভারতে এমন পরিবার কার্যত নেই বললেই চলে।

হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের প্রতিবেদন প্রকাশের পর আদানি গোষ্ঠীর বিভিন্ন শেয়ারের দর যেভাবে হু হু করে পড়তে শুরু করেছিল, তাতে সেই এসবিআই ও এলআইসির লগ্নি দারুণভাবে বিপন্ন বলেও অনেক বিশেষজ্ঞ আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন। ঠিক এই কারণেই অনেকে মনে করছেন, ভারতে আদানি ইজ টু বিগ টু ফেইল অর্থাৎ দেশে কোটি কোটি আমজনতার অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎ এমনভাবে আদানি গোষ্ঠীর ভবিষ্যতের সঙ্গে জড়িয়ে আছে যে আদানির কোনও বিপর্যয় রাষ্ট্র হিসেবে ভারত অ্যাফোর্ডই করতে পারবে না। কেন আর কীভাবে আদানি শিল্পগোষ্ঠী সাধারণ ভারতীয়দের জন্য এত গুরুত্বপূর্ণ, এই প্রতিবেদনে তারই উত্তর খোঁজার চেষ্টা হয়েছে।

উত্থান অনিবার্য ছিল: সুপরিচিত অর্থনৈতিক বিশ্লেষক মিহির শর্মা মনে করেন, ভারত এখন যে ধরনের অর্থনৈতিক উন্নয়নের মডেল নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে তাতে গৌতম আদানির মতো একজন জাতীয় চ্যাম্পিয়নের উঠে আসা অবধারিত ছিল, যিনি অসম্ভব ঝুঁকি নেওয়ারও সাহস দেখাতে পারেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা বহু বছরের। সম্ভবত সে কারণেই গৌতম আদানি আজ এই জায়গাটায় পৌঁছেছেন, তিনি না-থাকলে এক্স, ওয়াই বা জেড অন্য কেউ একটা ঠিক এই জায়গাতেই আসতেন। এটাই আসলে হবার ছিল। আরও অনেক দেশের মতো ভারতও। কিন্তু উন্নয়নের জন্য পুরোনো ধাঁচের শিল্পনীতি প্রণয়নের রাস্তায় হেঁটেছে, বাজারকে সাপোর্ট করবে এমন কোনও কাঠামোগত সংস্কারের দিকে যায়নি। এই ব্যবস্থায় গৌতম আদানিদের জন্ম হতে বাধ্য, বলেন তিনি। বস্তুত আজকের ভারতে বন্দর, রাস্তা, রেল, বিদ্যুৎ, এয়ারপোর্টসহ বৃহৎ অবকাঠামো খাতের সর্বত্র যেভাবে আদানি তাদের সাম্রাজ্য বিস্তার করেছে, তাতে তারা ভারতের অর্থনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষার প্রতীক হয়ে উঠেছে।

মিহির শর্মা আরও বলেন, হিন্ডেনবার্গ কিন্তু এমন কোনও নতুন তথ্য দেয়নি যা ভারতের লগ্নিকারীরা জানতেন না। বহু বছর ধরেই তাদের জানা ছিল এই শিল্পগোষ্ঠীর যেটা ফালক্রাম, সেই আদানি এন্টারপ্রাইজেস দেনায় ডুবে আছে। কিংবা আদানির অর্থায়নের উৎসটা যে খুবই অস্বচ্ছ্ব, সেটাও অজানা কিছু নয়। তার পরেও তারা আদানিতে টাকা ঢেলেছেন, এসবিআই বা এলআইসিও কিন্তু আদানির ওপর ফাটকা খেলতে দ্বিধা করেনি।

সাম্প্রতিক এই বিতর্কের পর আদানি গোষ্ঠী তাদের প্রকল্পগুলো ঠিকমতো শেষ করতে পারবে কি না, অর্থাৎ বন্দর-বিমানবন্দরের কাজ ঠিক সময়ে শেষ হবে কি না কিংবা রাস্তা আদৌ তৈরি হবে কি না, সেটাই ভারতীয়দের জন্য বড় দুশ্চিন্তার বিষয় বলে শর্মার অভিমত। আসলে সরকারের সমর্থন পাওয়ার বিরাট ভরসা, আমলাতান্ত্রিক জটিলতাকে পাশ কাটাতে পারার দক্ষতা এবং বিরাট অঙ্কের অর্থ লগ্নি করার ক্ষমতা এই ধরনের প্রোফাইল নিয়ে মোদির আমলে এত বড় মাপের আর কোনও শিল্পপতি ভারতে উঠে আসেননি।

লগ্নিকারীরা কী বিপদে: আদানি শিল্পগোষ্ঠীতে ভারতের ব্যাংকগুলোর মোট বিনিয়োগ অন্তত ৮০ হাজার কোটি রুপি (প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার) বলে ধারণা করা হয়। এই অংকটি আদানির মোট ঋণের পরিমাণের ৩৮ শতাংশের মতো।

তবে বিনিয়োগকারী ব্যাংকগুলোর মধ্যে বৃহত্তম স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া বা এসবিআই একটি বিবৃতি দিয়ে বলেছে, ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ ব্যাংকের যে লার্জ এক্সপোজার ফ্রেমওয়ার্ক আছে, আদানিতে তাদের এক্সপোজার তার চেয়ে অনেক নিচেই। তা ছাড়া এই লগ্নি ক্যাশ-জেনারেটিং অ্যাসেটের মাধ্যমে সুরক্ষিত বলেও তারা দাবি করেছে, তবে এক্সপোজারের নির্দিষ্ট পরিমাণটা তারা জানায়নি। ভারতের বৃহত্তম বীমা সংস্থা এলআইসিও গত কয়েক বছরে আদানি গ্রুপের শেয়ারে বিপুল অংকের বিনিয়োগ করেছে।

এই পটভূমিতেই ভারতের বিরোধী বামপন্থী দল সিপিআইএমের নেতা সীতারাম ইয়েচুরি টুইট করেছেন, হিন্ডেনবার্গের অভিযোগ সত্যি হলে যে কোটি কোটি ভারতীয় তাদের সারা জীবনের কষ্টার্জিত সঞ্চয় এসবিআই ও এলআইসিতে জমা করেছেন, তাদের জীবন শেষ হয়ে যাবে।

প্রধান বিরোধীদল কংগ্রেসের মুখপাত্র জয়রাম রমেশ আবার অভিযোগ করেছেন, এত কিছুর পরও আদানি গ্রুপের কোম্পানিগুলোকে বেইল আউট করার জন্য এসবিআই ও এলআইসির ওপর অব্যাহতভাবে চাপ দেওয়া হচ্ছে। ভারতের শেয়ার বাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা সেবি ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক আরবিআই সব দেখেশুনেও উদ্দেশ্যপূর্ণভাবে নীরব, টুইটে মন্তব্য করেছেন তিনি।

কংগ্রেসের শীর্ষস্থানীয় নেতা বি কে হরিপ্রসাদ সোমবার একটি হিসেব দিয়ে বলছেন, এসবিআই ইতিমধ্যে প্রায় ৫৫ হাজার কোটি রুপি এবং এলআইসি সাড়ে ২৩ হাজার কোটি রুপি খুইয়েছে। ফলে আদানি গোষ্ঠীর শেয়ারের দাম আগামী দিনে কোন দিকে যায় সে দিকে কোটি কোটি ভারতীয় এখন চরম উৎকণ্ঠার সঙ্গে নজর রাখছেন। তাদের অনেকেরই হয়তো নিজস্ব পোর্টফোলিওতে আদানির একটিও শেয়ার নেই। কিন্তু এসবিআই ও এলআইসি তাদের অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎকেও আদানির ভাগ্যের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে ফেলেছে।

শেয়ার বাজারে প্রভাব: আমেরিকা-প্রবাসী ভারতীয় শিল্পপতি ও শেয়ার বাজারের বিশেষজ্ঞ বিপ্লব পাল মনে করছেন, এই হিন্ডেনবার্গ বিতর্কের জেরে ভারতের শেয়ার বাজারে একটা ইতিবাচক পরিবর্তন আসতে পারে। বিবিসিকে তিনি বলেন, ভারতের শেয়ার মার্কেটে অ্যাক্টিভিস্ট শর্ট সেলার কম। ফলে ভারতের শেয়ার মার্কেটে জালিয়াতির সম্ভাবনা শতকরা একশ ভাগ। এর কারণ হল ভারতের মার্কেট কন্ট্রোলাররা সবাই রাজনৈতিক পার্টির সমর্থনে ক্ষমতায় আসে। আদানির জালিয়াতি ভারতের মার্কেট কন্ট্রোলার (সেবি) ধরতে গেলে, সেবির চেয়ারম্যানের চাকরি নিয়ে আগে টানাটানি পড়বে। সুতরাং এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ভারতে মার্কেট কনফিডেন্স ফেরাতে হিন্ডেনবার্গ যে আহ্বান জানিয়েছে, ভারতে অ্যাক্টিভিস্ট শর্ট-সেলাররা আরো সক্রিয় হোক, যারা করপোরেট জালিয়াতি ধরবে এবং তার থেকে শর্ট সেলিং করে লাভ করবে। সেটা হলে কিন্তু মার্কেটের ওপর বিশ্বাস অনেক বাড়বে,  মনে করেন বিপ্লব পাল। 

তবে পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, আদানি গোষ্ঠীর দেউলিয়া হওয়ার প্রায় সম্ভাবনা নেই। কারণ তাদের পোর্ট-এনার্জি-সিমেন্টের ব্যবসা বেশ ভালো লাভেই চলে। শেয়ারের দাম কম হলেও, তারা মনোপলি ব্যবসার জন্য ধার শোধ করতে এখনো সমর্থ।  সুতরাং জনগণের টাকা মার যাবে, সেই ভয় এখনো নেই। আদানি কিন্ত টাকার সদ্ব্যবহার করেছে ইনফ্রাস্টাকচারে টাকা ঢেলে, যেটা ভারতের এখন এই মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি দরকার। ফলে স্বল্পমেয়াদে হয়তো ভারতের খুচরা বিনিয়োগকারীরা ক্ষতির মুখে পড়বেন, এসবিআই বা এলআইসির মতো কোম্পানিগুলোও কিছুটা বিপদের সম্মুখীন হবে। কিন্তু আদানি শিল্পগোষ্ঠীকে ঘিরে এই বিশাল বিতর্কের পরিণতি শেষ পর্যন্ত কী দাঁড়াবে তা আন্দাজ করা সত্যিই মুশকিল!।


আরও খবর



রাখাইনে গায়ে পেট্রোল ঢেলে মারধর, নির্যাতনে নিহত ৫০

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

মিয়ানমারের রাখাইনে গত সপ্তাহে অভিযান চালিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী। এতে কমপক্ষে ৫০ জন নিহত হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা এবং বিরোধী বাহিনীগুলো এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বিবিসিকে বলেন, গ্রামটিতে দুই দিনের বেশি সময় ধরে আগ্রাসন চালানো হয়েছে। লোকজনকে চোখ বেঁধে মারধর করা হয়েছে। তাদের গায়ে গরম পেট্রোল ঢেলে দেওয়া হয়েছে এবং গ্রামের বেশ কয়েকজনকে প্রস্রাব পান করতে বাধ্য করেছে সেনাবাহিনী।

বিভিন্ন এলাকায় আরাকান আর্মির (এএ) সমর্থকদের খুঁজতে অভিযান চালানো হয়েছে। বর্তমানে মিয়ানমারের সবচেয়ে সক্রিয় বিদ্রোহী গোষ্ঠী হিসেবে নিজেদের প্রমাণ করেছে এএ।

১৫ থেকে ৭০ বছর বয়সী ৫১ জন বেসামরিক নাগরিকের ওপর সহিংস নিপীড়ন চালিয়ে হত্যা করেছে সেনাবাহিনী। মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত বেসামরিক সরকারের প্রতিনিধিত্বকারী ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট (এনইউজি) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

তবে আরাকান আর্মি বলছে, নিহতের সংখ্যা ৭০ জনের বেশি হতে পারে। তবে এ ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে মিয়ানমার জান্তা।

এক নারী বিবিসিকে বলেন, তারা এসে লোকজনকে জিজ্ঞাসা করছিল যে আরাকান আর্মির সদস্যরা গ্রামে এসেছে কি না। লোকজন সেনাবাহিনীর প্রশ্নের উত্তরে যদি বলেছে যে, তারা জানে না বা আরাকান আর্মির লোকজন আছে বা নেই, তারা যেই উত্তরই দিয়েছে সেনারা তাদের মারধর করেছে।

মাত্র ছয় মাসের প্রচেষ্টায় রাখাইন রাজ্যের বেশিরভাগ এলাকা দখল করেছে আরাকান আর্মি। তারা সেনাবাহিনীকে পিছু হটতে বাধ্য করেছে।

এক নারী বিবিসিকে বলেন, আমার চোখের সামনে সেনাবাহিনীর গাড়িতে করে আমার স্বামীকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আমাদের কাছ থেকে আমাদের সন্তানকে আলাদা করা হয়েছে। আমরা জানিনা যে সে কোথায় আছে। আমি এখন জানি না যে, আমার স্বামী এবং সন্তান বেঁচে আছে কি না।

ভুক্তভোগীরা জানান, লোকজনকে সারাদিন ধরে রোদে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে। তারা যখন পানি চেয়েছে তখন সেনা সদস্যরা বোতলে প্রস্রাব করে সেগুলো তাদের খেতে দিয়েছে।


আরও খবর



মুক্তির আগেই ‘কল্কি’র আয় প্রায় চারশো কোটি টাকা

প্রকাশিত:সোমবার ২৪ জুন 20২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৪ জুন 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

বলিউডের বহুল অপেক্ষিত সিনেমা কল্কি মুক্তি পাবে আগামী ২৭ জুন। প্রভাস, দীপিকা পাড়ুকোন, অমিতাভ বচ্চন, কমল হাসান অভিনীত সিনেমাটি মুক্তির আগেই প্রায় চারশো কোটি টাকা আয় করে ফেলেছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম অনুযায়ী, অন্ধ্রপ্রদেশে বিক্রি হওয়া সিনেমার স্বত্ব থেকে ৮৫ কোটি রুপি আয় হয়েছে। কিছু স্বত্বের বিনিময়ে ২৭ কোটি টাকা পাওয়া গেছে। স্বত্ব মারফত আরও আয় হয়েছে ৭০ কোটি রুপি। ফলে অন্ধ্রপ্রদেশ টেকনোলজি সার্ভিস থেকে সিনেমাটির প্রযোজকরা এখনই পকেটে ভরেছেন ১৮২ কোটি রুপি।

একইভাবে স্বত্ব থেকে তামিলনাড়ু এবং কেরালায় কল্কির আয় ২২ কোটি রুপি। কর্ণাটক থেকে পাওয়া গেছে ৩০ কোটি রুপি। আর গোটা উত্তর ভারত থেকে ৮০ কোটি রুপির ব্যবসা করার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।

বিদেশের স্বত্বের বিনিময়ে আরও ৮০ কোটি রুপি ধরা হচ্ছে। সব মিলিয়ে মুক্তির আগেই কল্কি ২৮৯৮ এডির আয়ের পরিমাণ দাঁড়াচ্ছে ৩৯৪ কোটি টাকা। এর পর আবার অগ্রিম বুকিংও রয়েছে।

নাগ অশ্বিন পরিচালিত সিনেমাটিতে আছে মহাভারতের যোগ। তার ওপর ভিত্তি করেই ভবিষ্যতের গল্প সাজিয়েছেন পরিচালক নাগ অশ্বিন। এই সিনেমার সুবাদেই দীর্ঘ ৩৮ বছর পর অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করেছেন কমল হাসান। অশ্বথামার চরিত্রে অভিনয় করেছেন বিগ বি। আর কমল হাসান প্রধান খল চরিত্র সুপ্রিম ইয়াসকিন।

এছাড়াও ছবিতে রয়েছেন দক্ষিণী অভিনেতা ব্রহ্মানন্দম, পশুপতি, শোভনা। ভৈরবের ছায়াসঙ্গী বুজ্জির জন্য কণ্ঠ দিয়েছেন কীর্তি সুরেশ। আর সিনেমায় বাঙালির পাওনা কমান্ডার মানসের চরিত্রে শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়।


আরও খবর
১৭ বছর পর সিনেমায় শাওন

বৃহস্পতিবার ০৪ জুলাই ২০২৪




সাধারণ মানুষ আমার প্রাণশক্তি, বিচ্ছিন্ন হতে চাই না: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ২৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাকে বাঁচাতে গিয়ে আওয়ামী লীগের অসংখ্য নেতাকর্মীকে জীবন দিতে হয়েছে। যেহেতু আমার জীবন ঝুঁকিতে থাকে, সেজন্য স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের (এসএসএফ) সদস্যরা নিয়োজিত থাকে। কিন্তু নিরাপত্তার জন্য যেন জনবিচ্ছিন্ন না হয়ে যাই সেদিকটা সংবেদনশীলতার সঙ্গে দেখতে এসএসএফকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

তিনি বলেন, জনবিচ্ছিন্ন হতে গুলি-বোমা লাগে না। এমনিতেই শেষ হয়ে যায়। সাধারণ মানুষ থেকে বিচ্ছিন্ন হতে চাই না। কেননা সাধারণ মানুষই আমার প্রাণ শক্তি।

বুধবার (২৬ জুন) দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এসএসএফের ৩৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৫ আগস্টের পর যারা ক্ষমতায় এসেছিলো, তারা দেশকে এগিয়ে নিতে পারেনি। বরং ক্যু হয়েছে। বিমান বাহিনীর হাজার হাজার সদস্যকে হত্যা করা হয়েছিলো। দেশ যে তিমিরে সেই তিমিরেই রয়ে গিয়েছিলো। তবে এতো বড় গুরু দায়িত্ব নিতে হবে সে প্রস্তুতি কখনোই ছিলো না। তখন দেশের দুরাবস্থা সহ্য করার মতো ছিলো না।

যতোক্ষণ নিঃশ্বাস আছে ততোক্ষণ মানুষকে উন্নত জীবন দেয়ার চেষ্টা করে যাবো, এমন অঙ্গিকার করে শেখ হাসিনা বলেন, জীবন ঝুঁকি জেনেই দেশে ফিরেছি। দেশে ফেরার পর থেকে শত বাধা পেয়েও পিছিয়ে যাইনি। দেশের জন্য কাজ করছি।

এদিকে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়নের জন্য সরকার ফোর্সেস গোল ২০৩০ নামে একটি দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এ পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে, সশস্ত্র বাহিনীর আকার বৃদ্ধি, আধুনিক যুদ্ধ সরঞ্জাম সংগ্রহ ও সর্বোচ্চ পর্যায়ের প্রশিক্ষণ।

সরকারপ্রধান বলেন, ২০০৯ থেকে ধারাবাহিকভাবে ক্ষমতায় আছি বলেই উন্নয়ন দৃশ্যমান ও টেকসই করতে পেরেছি। সশস্ত্র বাহিনীর জন্য ফোর্সেস গোল ২০৩০ প্রণয়ন করে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

অপরদিকে, সম্প্রতি কক্সাবাজারে মায়ানমার সীমান্তে কিছুটা উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। সীমান্তের ওপার থেকে কখনও কখনও ছুটে আসছে গুলিও। কক্সবাজার সীমান্তে বাংলাদেশের জনগণ ও স্থাপনা লক্ষ্য করে মিয়ানমার থেকে গুলি ছোড়ার ঘটনা ইতিমধ্যে জাতিসংঘে তুলে ধরেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের যে কোনো সংঘাত তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তবে এটি যেন বাংলাদেশের জনগণ ও সম্পদকে প্রভাবিত না করে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা কাউকে আক্রমণ করতে যাবো না, তবে আক্রান্ত হলে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় প্রস্তুত থাকতে হবে।

১৯৮২ সালের ২৪ মার্চের ঘোষণা অনুসারে, তৎকালীন রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ ১৯৮৬ সালে প্রেসিডেন্সিয়াল সিকিউরিটি ফোর্স অর্ডিন্যান্স নামে একটি অধ্যাদেশ জারি করেন। যা একই বছর ১৯ জুন থেকে কার্যকর হয়।

পূর্বের ঘোষণা অনুসারে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি এরশাদের তত্ত্বাবধানে রাষ্ট্রপতি ও বিদেশ থেকে আগত রাষ্ট্রপ্রধানদের নিরাপত্তার জন্য ১৯৮৬ সালের ১৫ জুন  প্রেসিডেন্ট সিকিউরিটি ফোর্স নামে একটি বিশেষ নিরাপত্তা দল গঠন করেন। পরে বাংলাদেশে সংসদীয় সরকার পদ্ধতি চালু হওয়ার পর ১৯৯১ সালে ২৭ সেপ্টেম্বর এর নাম পরিবর্তন করে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ) নামকরণ করা হয়।

যদিও প্রাথমিকভাবে শুধু রাষ্ট্রপতি ও রাষ্ট্র কর্তৃক ঘোষিত অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিরাপত্তা দিতে এসএসএফ গঠিত হয়েছিল। কিন্তু সংসদীয় সরকার পদ্ধতি চালু হওয়ার পর রাষ্ট্রপতি ছাড়াও সরকারপ্রধানকেও এসএসএফ নিরাপত্তা দিয়ে আসছে এবং এ সংস্থাটিকে তখন থেকে পরোয়ানা ছাড়া গ্রেপ্তারের অধিকার দেওয়া হয়। ২০০৯ সালের ১৫ অক্টোবর জাতির পিতার পরিবার-সদস্যগণের নিরাপত্তা আইন গ্যাজেট আকারে প্রকাশ হওয়ার পর সংস্থাটি বর্তমানে জাতির পিতার পরিবার-সদস্যদেরও সর্বস্থানে নিরাপত্তা দিয়ে আসছে।

এসএসএফ রাষ্ট্র কর্তৃক ঘোষিত অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের (ভিভিআইপি) নিরাপত্তায়ও নিয়োজিত। সংস্থাটি বেসামরিক প্রশাসন, নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে দেশ ও দেশের বাইরে উল্লেখিত ব্যক্তিদের শারীরিক নিরাপত্তায় যেকোনো ধরনের হুমকি থেকে রক্ষা ও সেগুলো প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকে। এছাড়াও তারা অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের বাড়ি ও অফিসে নিরাপত্তা দিয়ে থাকে।


আরও খবর



প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে বরাদ্দ বেড়েছে ৫১০ কোটি টাকা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের জন্য ১ হাজার ২১৭ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৬ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এ প্রস্তাব করেন। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের তুলনায় এ মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ বেড়েছে ৫১০ কোটি টাকা।

গত অর্থবছরে (২০২৩-২৪) প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের জন্য ১ হাজার ১৮ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব ছিল। পরবর্তীতে সংশোধিত বাজেটে সেটি ৭০৭ কোটি টাকা নির্ধারণ হয়।

বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, বৈদেশিক কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাওয়ায় রেমিট্যান্স আহরণের গতি বহুলাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০০৯-১০ অর্থবছরে প্রবাসী আয়ের পরিমাণ ছিল ১০ দশমিক ৯৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা ২০২২-২৩ অর্থবছরে দ্বিগুণ হয়ে ২১ দশমিক ৬১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। বিদেশ ফেরত কর্মীদের সহজ শর্তে ঋণ প্রদানের জন্য প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের অনুকূলে সরকার ৫০০ কোটি টাকার বরাদ্দ প্রদান করেছে।


আরও খবর



নওগাঁয় চাঞ্চল্যকর নাজিম হত্যা মামলায় দুই আসামি গ্রেফতার

প্রকাশিত:বুধবার ১২ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ফয়সাল আহম্মেদ, নওগাঁ প্রতিনিধি

Image

নওগাঁয় চাঞ্চল্যকর নাজিম উদ্দিন ফকির ক্লুলেস হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন, জড়িত দুইজনকে প্রেফতার ও হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ।

বুধবার দুপুরে সদর থানা প্রাঙ্গনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই তথ্যটি জানিয়েছেন নওগাঁর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: গাজিউর রহমান।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান সদর উপজেলার বিলভবানীপুর গ্রামের নিহত নাজিম উদ্দীন প্রায় এক বছর আগে মারপিটের ঘটনায় একটি গ্রাম্য সালিশ দরবার করেছিল এলাকায়। সেই শালিসে ৩০হাজার টাকা অর্থ জরিমানা করেন তিনি। ওই গ্রাম্য শালিসে সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তি ক্ষিপ্ত ছিল নাজিমের উপর। তৈরি হয়েছিল শত্রুতা। এছাড়া প্রায় ৬-৭মাস আগে পারিবারিক জমি সংক্রান্ত বিষয়ে একটি আপস করেন নিহত নাজিমুদ্দিন। এরই জেরে গত সোমবার (১০ জুন) দিবাগত রাত ১০টার দিকে নাজিম উদ্দিন ফকির বিলভবানীপুর মৎস্যজীবী পাড়ায় জনৈক ব্যক্তির শালিস শেষে নিজের বাড়ি ফেরার সময় অজ্ঞাতনামা আসামীরা ধারালো অস্ত্র ও হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে গুরুত্বর জখম করে। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে নাজিম উদ্দিনের মৃত্যু হয়।

হত্যাকান্ডের বিষয়টি পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রাশিদুল হক স্যারকে জানালে স্যারের সার্বিক দিক নির্দেশনায় পুলিশের একটি চৌকস দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও তথ্য প্রযুক্তি এবং সাক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদ করার মাধ্যমে মঙ্গলবার শহরের দপ্তরীপাড়া এলাকা হতে ওই গ্রামের মৃত-আব্দুস সামাদের ছেলে সুজাত আলী (৩২) ও রঘুনাথপুর গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে মেহেদী হাসান (২৮) কে গ্রেফতার করা হয়। আটকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পূর্বের রাগ ও ক্ষোভের জ্বেরে দীর্ঘ পরিকল্পনার মাধ্যমে তারা নাজিম উদ্দিন ফকিরকে হত্যা করার বিষয়টি স্বীকার করে।

এসময় তাদের দেয়া তথ্য মোতাবেক বিভিন্ন স্থান থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র চাকু ও ভাঙ্গা হাতুড়ী উদ্ধার করে পুলিশ। আটকৃতদের মঙ্গলবার বিকেলে আইনী প্রক্রিয়া শেষে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। এই কত্যাকান্ডের সঙ্গে আরো কেউ জড়িত আছে কি না সেই বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য আদালতের কাছে আসামীদের রিমান্ডের আবেদন করা হবে। রিমান্ডের মাধ্যমে আরো তথ্য জানা জেতে পারে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা। এসময় সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফৌজিয়া হাবিব খান, সদর থানার ওসি জাহিদুল হকসহ থানার অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর
জামালপুরে যমুনার পানি বিপদসীমার ওপরে

বৃহস্পতিবার ০৪ জুলাই ২০২৪