আজঃ বুধবার ০৩ জুলাই ২০২৪
শিরোনাম

ভোটার হালনাগাদের তথ্য সংগ্রহ ‍শুরু ২০ মে

প্রকাশিত:রবিবার ২৭ মার্চ ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ২৭ মার্চ ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

আগামী ২০ মে থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার হালনাগাদের তথ্য সংগ্রহ শুরু করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। রোববার (২৭ মার্চ) এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইসির দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা।

এ প্রসঙ্গে এনআইডি মহাপরিচালক এ কে এম হুমায়ূন কবীর বলেন, ভোটার হালনাগাদের তথ্য সংগ্রহ করা উচিত। এই সময়ের মধ্যে হালনাগাদের তথ্য নিতে পারলে আমাদের জন্য ভালো হবে। কারণ হালনাগাদের তথ্যের পর আমাদের কিছু কাজ থাকে। হালনাগাদ শুরু হলে আমাদের কাজগুলো শুরু করতে পারব। আগামী ২০ মে থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ২০০৭ সালের ১ জানুয়ারি বা তার আগে যাদের জন্ম এমন নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহ করা হবে। তিন সপ্তাহ পর্যন্ত বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহের কাজ চলবে। এরপর ছবি, বায়োমেট্রিক ও চোখের আইরিশের জন্য কেন্দ্র ঠিক করে সেখানে নেওয়া হবে।

ইসি জানায়, করোনার কারণে গতবার ভোটার তালিকা হালনাগাদের জন্য বাড়ি বাড়ি গিয়ে নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহ করতে পারেনি নির্বাচন কমিশন। সর্বশেষ গত ২ মার্চ ইসির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে ১১ কোটি ৩২ লাখ ৮৭ হাজার ১০ জন ভোটার রয়েছে। এরমধ্যে ৫ কোটি ৭৬ লাখ ৮৯ হাজার ৫২৯ জন পুরুষ, ৫ কোটি ৫৫ লাখ ৯৭ হাজার ২৭ জন নারী এবং ৪৫৪ জন তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন।

ইসি সূত্র জানায়, ২০০৭-২০০৮ সালের ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়নের পর ২০০৯, ২০১২, ২০১৪, ২০১৫, ২০১৭ এবং সর্বশেষ ২০১৯-২০২০ সালে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের তথ্য সংগ্রহ করা হয়। সেইবার একইসঙ্গে তিন বছরের তথ্য অর্থাৎ যাদের বয়স ২০০৪ সালের ১ জানুয়ারি বা তার আগে এমন নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহ করা হয়।

নিউজ ট্যাগ: ভোটার হালনাগাদ

আরও খবর



বিশ্ব শান্তি সূচকে ভারত-পাকিস্তানকে পিছনে ফেলে এগিয়ে বাংলাদেশ

প্রকাশিত:বুধবার ১২ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বিশ্ব শান্তি সূচকে দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ দেশের তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে বাংলাদেশ। শান্তি সূচকের এ তালিকায় ভারত, পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কার থেকে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। বৈশ্বিক সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ৯৩তম।

মঙ্গলবার (১২ জুন) প্রকাশিত হয়েছে গ্লোবাল পিস ইনডেক্স ২০২৪-এর প্রতিবেদন। এই তালিকা প্রকাশ করেছে অস্ট্রেলিয়াভিত্তিক ইন্সটিটিউট ফর ইকনমিক্স অ্যান্ড পিস’ নামের একটি সংস্থা। তারা জানিয়েছে, সামাজিক নিরাপত্তা ও সুরক্ষা, সামরিকীকরণ এবং চলমান অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক সংঘাতের পরিস্থিতি মূল্যায়ন করে দেশগুলোকে মুল্যায়ন করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে দেখা গেছে, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা এবং আফগানিস্তানের থেকে এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। গ্লোবাল পিস ইনডেক্স (জিপিআই) ২০২৪-এর রিপোর্টে জানানো হয়েছে, ২ দশমিক ১২৬ স্কোর নিয়ে বাংলাদেশ ১৬৩টি দেশের মধ্যে ৯৩তম স্থানে একটি মাঝারি মানের শান্তির দেশ বলে চিহ্নিত হয়েছে।

সংস্থাটি জানিয়েছে, সূচকে যে দেশের স্কোর পয়েন্ট যত কম সেই দেশ তত বেশি শান্তিপূর্ণ। তারা বিশ্ব শান্তি সূচক অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ উৎস থেকে ২৩টি গুণগত এবং পরিমাণগত সূচক ব্যবহার করেছে। সেইসঙ্গে সামাজিক নিরাপত্তা ও সুরক্ষার মাত্রা, চলমান অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক সংঘাতের পরিধি এবং সামরিকীকরণের মাত্রা এই তিনটি ক্ষেত্রে শান্তি পরিস্থিতি পরিমাপ করেছে।

চলমান অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক সংঘাতের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ২ দশমিক ৫১৫, সামাজিক নিরাপত্তা এবং সুরক্ষা ক্ষেত্রে ২ দশমিক ৩২২ এবং সামরিকীকরণ ক্ষেত্রে ১ দশমিক ৫০৬ স্কোর পেয়েছে।

দক্ষিণ এশিয়ায় সবথেকে শান্তিপূর্ণ দেশ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে ভুটান। বিশ্ব শান্তি সূচকে ২০১১ সাল থেকে এই অবস্থান ধরে রেখেছে ভুটান। বিশ্বে সব থেকে শান্তিপূর্ণ দেশের তালিকায় ২১তম স্থানে আছে এই দেশ। দক্ষিণ এশিয়ায় ভুটানের পরেই আছে নেপাল। বিশ্ব সূচকে নেপাল ৮১তম আর দক্ষিণ এশিয়ায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।

দক্ষিণ এশিয়ায় চতুর্থ এবং বিশ্বে ১১০তম স্থানে আছে শ্রীলঙ্কা। দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তিপূর্ণ দেশগুলোর তালিকায় পঞ্চম স্থানে আছে ভারত। বিশ্বে ভারতের অবস্থান ১১৬তম। শান্তিপূর্ণ দেশের তালিকায় পাকিস্তান ১৪০তম এবং আফগানিস্তান ১৬০তম স্থানে আছে।


আরও খবর



দেশে ফিরে বিশ্বকাপ ব্যর্থতা নিয়ে মুখ খুললেন তাসকিন

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ মিশন শেষে দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। শুক্রবার (২৮ জুন) সকাল ৯ টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে পা রাখেন ক্রিকেটাররা। অ্যান্টিগা থেকে যুক্তরাষ্ট্রের মায়ামি ও দুবাই হয়ে ঢাকায় এসেছে তারা।

দলের সঙ্গে বাংলাদেশে আসেননি বিদেশি কোচরা। হেড কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহেসহ সবাই বিশ্বকাপ শেষে নিজ নিজ দেশে ছুটিতে গেছেন। আজ ফেরা হয়নি লিটন দাস ও সৌম্য সরকারের। সাকিব গতকালই ঢাকায় এসেছেন। সৌম্য ও লিটন আসবেন শনিবার।

বিমানবন্দরে পা রেখেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বাংলাদেশ দলের সহ-অধিনায়ক তাসকিন আহমেদ। বাংলাদেশ দলের বিশ্বকাপ পারফরম্যান্স নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি বারবার আফগানিস্তানের বিপক্ষে সুপার এইট পর্বের শেষ ম্যাচের প্রসঙ্গ টেনেছেন।

টাইগারদের পারফরম্যান্সের প্রসঙ্গে তাসকিন বললেন, না, আসলে সত্যি কথা বলতে, ভালোর তো শেষ নেই। হ্যাঁ, আরও অনেক ভালো হতে পারত। বিশেষ করে শেষ ম্যাচটা, আমরা সবাই একটু হতাশ হয়েছি। আমরা জেতার চেষ্টা করেছি প্রথমে, ১২ ওভারের মধ্যে, যখন বুঝতে পারলাম ১২ ওভারের মধ্যে শেষ করা সম্ভব না, তখন স্বাভাবিকভাবে খেলার চেষ্টা করেছিল সবাই। তাও জিততে পারিনি।

দলের বোলারদের পারফরম্যান্স নিয়ে এই পেসার বলেন, হ্যাঁ, ইতিবাচক দিক আছে। পুরো টুর্নামেন্টে বোলিং যথেষ্ট ভালো করেছে। সুপার এইটে এসেছি। সর্বপ্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আমরা তিনটা জয় পেয়েছি। মানে পজেটিভ আছে। কিন্তু নেগেটিভের সংখ্যাটা একটু বেশি। সবার মতো আমরাও জানি, প্রত্যাশা অনুযায়ী ভালো হয়নি। বোলিং ইউনিট আগাগোড়াই কয়েক বছর ধরে ভালো করছে। সে ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছে। সামনে আরও ভালো হবে। ভালোর তো শেষ নেই।

ব্যাটিং ব্যর্থতা নিয়ে সহ-অধিনায়ক বলেন, আর ব্যাটিং, বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ডে যুক্তরাষ্ট্রে যখন খেলা হয়েছে, তখন উইকেট ব্যাটসম্যানদের পক্ষে কম ছিল। আপনারা যদি পরিসংখ্যান দেখেন, অন্য দেশের বড় বড় ব্যাটসম্যানকেও সেখানে ধুঁকতে হয়েছে। সেখানে বোলারদের একটু বাড়তি সুবিধা ছিল। ওয়েস্ট ইন্ডিজে যাওয়ার পর আমরা কিছুটা ভালো উইকেটে খেলেছি। পরে এ কথাও বলেছেন, কিন্তু আমি বাংলাদেশ দলের হয়ে ক্রিকেট খেলার সময়, লাস্ট ১০ বছর ধরে খেলছি, কখনোই এত লম্বা ব্যাডপ্যাচ দেখিনি। আশা করি এটা কাটিয়ে উঠবে।

দলের দুই সিনিয়র ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহ ছিলেন পুরো বিশ্বকাপ জুড়ে ব্যর্থ। তাদের ফর্মহীনতা দলকে ভুগিয়েছে, এমনটা মানেন তাসকিন। তার কথা, দুজন সিনিয়রের ফর্মে না থাকা অবশ্যই প্রভাব ফেলেছে। কিন্তু মাঠের বাইরে প্রভাব পড়েনি। ৪৭ দিন একসঙ্গে ছিলাম, সবাই একসঙ্গে ছিলাম। অফ দ্য ফিল্ডে সব ভালো ছিল। দলের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়রা অফ ফর্মে থাকলে ওই দলে সমস্যা হওয়াটাই স্বাভাবিক। আশা করছি দ্রুত সামনে এসব কাটিয়ে উঠব।


আরও খবর



ধামরাইয়ে সাপের কামড়ে বৃদ্ধার মৃত্যু, এলাকাবাসী আতঙ্কে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
ধামরাই প্রতিনিধি

Image

ঢাকার ধামরাইয়ে সাপের কামড়ে তহিরন নেছা (৬৫) নামে এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। তবে কোন সাপের কামড়ে তার মৃত্যু হয়েছে তা জানা যায়নি।

বৃহস্পতিবার (২০ জুন) সকালে উপজেলার আমতা ইউনিয়নের কাচা রাজাপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত তহিরন নেছা আগজেঠাইল কাঁচা রাজাপুর গ্রামের মৃত মজিবুরের স্ত্রী ।

নিহতের পরিবার সূত্র জানায়, নাতনীর বিয়ে উপলক্ষে সকালে আদা-রসুন ব্লেন্ডার করছিলেন তহিরন নেছা। হঠাৎ পাশের ঝোপ থেকে এসে একটি সাপ তার পায়ে কামড় দেয়। দ্রুত তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।

আমতা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আরিফ হোসেন বলেন, সাপটি রাসেল ভাইপার কিনা তা আমরা সঠিক জানতে পারিনি। তবে পাশের সাটুরিয়ার এলাকায় ও ধামরাইয়ের জালসা এলাকায় রাসেল ভাইপারে দেখা পাওয়ার খরব পাওয়া গেছে। সাপের কামড়ে মারা যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে এলাকা জুড়ে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।

এলাকার সচেতন ব্যাক্তিরা জানান, রাসেল ভাইপার সাপ আতঙ্ক সারা দেশেই প্রায় ছড়িয়ে পড়েছে। আমরাও তার বাইরে নই। তাই তা দ্রুত প্রতিহত করতে সরকারি ভাবে পদক্ষেপ নেয়া জরুরি। সকল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সাপের কামড়ের রোগীদের এন্টিভেনম রাখার অতি প্রয়োজন।


আরও খবর



সুন্দরবন থেকে ১৩২ কেজি হরিণের মাংস উদ্ধার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
তারিক লিটু, কয়রা (খুলনা) প্রতিনিধি

Image

খুলনার কয়রা উপজেলার আওতাধীন সুন্দরবনে ১৩২ কেজি হরিণের মাংস রেখে পালিয়েছে শিকারীরা। এ সময় একটি নৌকাও জব্দ করে বন বিভাগ।

সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে সুন্দরবন পশ্চিম বনবিভাগের আওতাধীন শাকবাড়ীয়া ক্যাম্পের চালকি খাল এলাকায় অভিযান চালানো হয়।

বনবিভাগ সূত্রে জানা গেছে, অভিযান টের পেয়ে শিকারিরা সুন্দরবনের ভেতরে পালিয়ে যায়।

কাশিয়াবাদ ফরেস্ট স্টেশন কর্মকর্তা নির্মল চন্দ্র মন্ডল বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কাশিয়াবাদ ও শাকবাড়ীয়া ক্যাম্পের যৌথ অভিযানে রাত সাড়ে ৩টার দিকে চালকি খাল এলাকা থেকে ১৩২ কেজি হরিণের মাংসসহ একটি নৌকা জব্দ করা হয়েছে। এ সময় দু'জন শিকারী সুন্দরবনের ভেতরে পালিয়ে গেলে কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। এ ব্যাপারে বনবিভাগের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে।


আরও খবর



ছুটির দিনগুলোকে যেভাবে উপভোগ্য করে তুলবেন

প্রকাশিত:রবিবার ১৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

শুরু হয়েছে ঈদের ছুটি। ঈদের ছুটির সঙ্গে আরও ২-৩ দিন ক্যাজুয়াল লিভ নিয়ে কিছুদিন বেশ আনন্দে কাটাতে পারেন। পরিবারের সঙ্গে সময় যাপন করতে পারেন। আবার নিজেকে সময় দিতে পারেন নিজের মতো করে। ইচ্ছেমতো আলসেমিও করতে পারেন। কাজের ব্যস্ততায় যারা ঠিকঠাক ঘুমাতে পারেন না, ছুটিতে মর্জিমতো ঘুমিয়েও নিতে পারেন। যাই করেন না কেন, দিনগুলোকে আনন্দময় করে তুলুন।

পারিবারিক পরিবেশে আড্ডা: ঈদের ছুটিতে পরিবারকে সময় দিন। বাবা-মা, ভাই-বোন, স্ত্রী-সন্তান, আত্মীয়-স্বজন সবাইকে নিয়ে ব্যস্ত থাকুন। আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে যান। তাদের দাওয়াত দিন। শহুরে জীবন যাপনে একক পরিবারের সংখ্যাই বেশি। আর একক পরিবারে বাস করতে করতে একাকীত্বতা ভর করে। ছুটিতে গ্রামে যান কিংবা শহরে থাকুন, দিনগুলো পরিবার ও আত্মীয়দের সঙ্গে কাটান। গল্প-গুজব, অতীত স্মৃতি রোমন্থন, হাসি-ঠাট্টা ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের খেলা খেলতে পারেন। লুডু, দাবা, বালিশ খেলা, ক্যারাম ইত্যাদির মাধ্যমে দিনগুলোকে রঙিন করতে পারেন। সন্তানকেও তার বন্ধু, চাচাতো ভাই বোনদের সঙ্গে খেলতে দিন।

পছন্দের রান্না: ইদ-উল-আজহা মানেই ভরপুর খাওয়া দাওয়ার আয়োজন। গরুর মাংসের বাহারি পদ এসময়ই মানানসই। ঈদের দিন সকালে নিজের পছন্দমতো কোনো পদ রান্না করতে পারেন। যেমন আমের পুডিং, সাবুদানার ডেজার্ট, নবাবী সেমাই, শাহী জর্দা সেমাই ইত্যাদি। দুপুর কিংবা রাতে গরুর মাংসের স্টেক, রেইনবো বিফ কারি, চুই ঝালে গরুর মাংস, আচারি মাংস, কালাভুনা ইত্যাদি কোনো একটি বা দুটি পদ রাঁধতে পারেন। এক্সপেরিমেন্টাল অন্যান্য পদও রান্না করতে পারেন। পরিবারের অন্যদের সাহায্য নিতে পারেন। প্রয়োজনে পরিবারের ছোটদের সাহায্য নিন। এতে তাদের সময়টাও বেশ আনন্দে কাটবে।

ঘুরাঘুরি চাই-ই চাই: ঈদের ছুটিতে ঘুরাঘুরি হবে না, তা কী করে হয়। যদি ছুটিতে ঢাকাতেই থাকেন তাহলে ডে লং ট্যুরে যেতে পারেন। জিন্দা পার্ক, পানাম সিটি, ড্রিম হলিডে পার্ক, বালিয়াটি জমিদার বাড়ি, মহেরা জমিদার বাড়ি, গোলাপগ্রাম, ফ্যান্টাসি কিংডম ইত্যাদি জায়গা থেকে ঘুরে আসতে পারেন। তবে যাওয়ার আগে দেখবেন ভ্রমণস্থানগুলো খোলা আছে কিনা। শিশুদের নিয়ে চিড়িয়াখানা কিংবা জাদুঘরেও চলে যেতে পারেন। পুবাইল-গাজীপুরের দিকে অনেক রিসোর্ট আছে। পরিবার ও আত্মীয়দের নিয়ে কোনো একটি রিসোর্টেও যেতে পারেন। যদি ঈদে গ্রামের বাড়িতে যান, তাহলে নিজ জেলার ঐতিহ্যবাহী স্থানগুলোতে বেড়ান।

প্রিয় সিনেমা, ওয়েব সিরিজ: ঈদের আনন্দকে বাড়াতে সিনেমা হল কিংবা সিনেপ্লেক্সে সিনেমা দেখতে যেতে পারেন। যদি একান্তই যেতে না পারেন, তাহলে বাসায়ই সবার সঙ্গে একত্রে প্রিয় সিনেমা দেখুন। দেখতে পারেন প্রিয় ওয়েব সিরিজও। এতে সুন্দর সময় কাটবে। হৈচৈ, নেটফ্লিক্স, চরকি, বায়োস্কোপ, বিঞ্জ, দীপ্ত প্লেসহ অনেক ওটিটি প্ল্যাটফর্মে চোখ রাখতে পারেন। দারুণ কিছু পেয়ে যাবেন।

বই পড়ুন: ব্যস্ততার কারণে যে বই পড়া হয়নি, যে বই অর্ধেক শেষ করে পুরোটার স্বাদ নেওয়া হয়নি, সেগুলো পড়ে ফেলতে পারেন। পড়া শেষ হলে অন্যকে বই পড়তে উৎসাহী করে তুলুন। বইয়ের সঙ্গে সময় বেশ ভালো কাটবে। 

নিজের যত্ন নিতে ভুলবেন না: ঈদের ভারি খাবার খেয়ে নিজের যত্ন নিতে ভুলবেন না। মজাদার খাবার খাওয়ার সাথে সাথে শরীরচর্চা করা, হাঁটার কথা ভুলবেন না। অনেক কাজ করে যদি হাতে-পায়ে ময়লা জমে যায়, তবে কুসুম গরম পানির সঙ্গে লেবু মিশিয়ে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখুন। ৮-১০ মিনিট পর তা আলতো করে ঘষে ধুয়ে নিন। রান্নাঘর ও রোদে যাওয়ার আগে সানস্ক্রিন ক্রিম লাগান। ত্বকের সৌন্দর্য বাড়াতে ঘরোয়া উপাদান দিয়ে রূপচর্চা করুন।

নিউজ ট্যাগ: ঈদের ছুটি

আরও খবর