আজঃ বৃহস্পতিবার ০৪ জুলাই ২০২৪
শিরোনাম

ভৌতিক চরিত্রে সোনাক্ষী

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৮ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৮ আগস্ট ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

এ বছরের ১২ মে প্রথমবারের মতো ওয়েব সিরিজে নাম লেখান বলিউডের দাবাংকন্যা সোনাক্ষী সিনহা। মুম্বাই পুলিশের গল্প নিয়ে নির্মিত সিরিজটির নাম দাহাদ। সিরিজটিতে পুলিশ অফিসার অঞ্জলি ভাটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। চারদিকে তার অভিনয়ের প্রশংসা চলছে পুলিশ চরিত্রে।

এবার তাকে হরর সিনেমায় অভিনয় করতে দেখা যাবে। সোনাক্ষী এই প্রথম হরর সিনেমায় অভিনয় করবেন। সিনেমার নাম নিকিতা রয় অ্যান্ড দ্য বুক অব ডার্কনেস। সিনেমাটির কাজ ২০২২ সালে শুরু হয়। শুটিং সম্পন্ন হয় এ বছরের জানুয়ারিতে। এখন মুক্তির অপেক্ষা।

সিনেমায় প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন সোনাক্ষী। যেখানে তিনি ভৌতিক চরিত্রে অভিনয় করেন।

নিকিতা রয় অ্যান্ড দ্য বুক অব ডার্কনেস সিনেমাটি নিয়ে সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন সোনাক্ষী। তিনি বলেন, এমন একটি চরিত্রে অভিনয় করার জন্য অনেক দিন ধরেই মুখিয়ে ছিলাম। গল্পটি শোনার পর আমি কাজটি করার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করি। এরপর নির্মাতা আমাকে স্ক্রিপ্ট পাঠান; যা দেখে রীতিমতো ভয় পেয়ে যাই। মনে হচ্ছিল আমি বাস্তবেই অমন ঘটনার সম্মুখীন হতে যাচ্ছি। ইতোমধ্যে কাজটি সম্পন্ন হয়েছে। আশা করি দর্শক নতুন এক সোনাক্ষীকে দেখবেন। সেই সোনাক্ষী এর আগে তারা দেখেননি।

নিকিতা রয় অ্যান্ড দ্য বুক অব ডার্কনেস সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন কুশ এস সিনহা। সোনাক্ষী ছাড়াও এ সিনেমার বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন পরেশ রাওয়াল, অর্জুন রামপাল, অতুল শর্মা, নিনা কুমার, সুহাইল নায়ার, লে রিভারসহ অনেকে। এ বছরের ডিসেম্বরে সিনেমাটি ওটিটিতে মুক্তি দেওয়ার কথা রয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: সোনাক্ষী সিনহা

আরও খবর



দোহারে হাট কাঁপাবে টিসিএল এগ্রো ডেইরী ফার্মের গরু

প্রকাশিত:শনিবার ০৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৮ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নাজনীন শিকদার (দোহার-নবাবগঞ্জ)

Image

আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে ঢাকার দোহার উপজেলায় কোরবানি যোগ্য দুই শতাধিক পশু প্রস্তুত করেছে টিসিএল এগ্রো এন্ড ডেইরী ফার্ম।

তাই শেষ সময়ে হাটে তুলতে বিভিন্ন জাতের পশু পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। গরু মোটাতাজা করতে কোন রকম রাসায়নিক জাতীয় ওষুধ প্রয়োগ না করে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক এবং অর্গানিক উপায়ে গরুগুলোর খাদ্য প্রস্তুত করা হয়ে থাকে। এসব পশু দেখতে দূর দূরান্ত থেকে আসছেন ক্রেতারা।

আগে ভাগে অনেকে খামারে গিয়ে কোরবানির পশু পছন্দ করে অগ্রিম টাকা পরিশোধ করে বুকিং দিচ্ছেন ক্রেতারা। আবার অনেকে খামার থেকেই কিনে নিয়ে যাচ্ছেন পছন্দের পশু।

ঢাকার দোহার উপজেলার বানাঘাটা এলাকায় অবস্থিত টিসিএল এগ্রো এন্ড ডেইরী ফার্ম। মাত্র ২টি গরু দিয়ে ২০২০ সালে টিসিএল এগ্রো এন্ড ডেইরী ফাম কর্ণধার তানভীর আহমেদের বাবা ও দাদার কৃষি কাজে জড়িত থাকার অনুপ্রেরণায় শুরু হয় ফার্মটি।

আসন্ন কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে ইতিমধ্যে প্রস্তুত করেছে ছোট, বড় ও মাঝারি আকারের প্রায় দুই শতাধিক ষাঁড় গরু। ক্রেতাদের চাহিদার উপর ভিত্তি করেই শাহীওয়াল, দেশী, ফিজিয়ান, গির ও হলেস্টাইন ফ্রিজিয়ানসহ ৫ জাতের ষাড় এখানে লালন পালন করা হচ্ছে। আর এসব ষাঁড় পরিচর্চায় সার্বক্ষনিক ২ জন প্রতিষ্ঠিত পশু চিকিৎসক, একজন প্রাণিসম্পদ অফিসারসহ ২৫জন অধিক কর্মচারী নিয়োজিত রয়েছেন। সকাল থেকে শুরু হয় তাদের পরিচর্চার কাজ।

টিসিএল এগ্রো এন্ড ডেইরী ফার্মের স্বত্বাধিকারী তানভীর আহমেদ বলেন, আমাদের খামারে ২ শতাধিক কোরবানীর পশু রয়েছে। এরই মধ্যে কিছু গরু বিক্রি হয়ে গেছে। আমাদের খামারে ছোট, বড় ও মাঝারি সব ধরনের গরু রয়েছে। দামও ক্রেতাদের সামর্থের মধ্যে। সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা দামের গরু আছে। সর্বনিম্ন ২ লাখ টাকা। লাইভ ওয়েট ২৫০ কেজি ৮০০ কেজির অধিক।

তিনি বলেন, আশা করছি এবারের ঈদে বিক্রি ভালো হবে। ইতোমধ্যে বেচাকেনা শুরু হয়ে গেছে এবং আমাদের কিছু গরু বুকিং হয়ে গেছে। বাকিগুলোও আশা করছি ঈদের আগে শেষ হয়ে যাবে। প্রতিদিন বিভিন্ন ক্রেতা খামারের শতভাগ মানসম্পন্ন গরু দেখতে এবং বুকিং দিতে ভিজিট করছে।

টিসিএল এগ্রো ফার্মেও স্বার্বখনিক ডাঃ মো. মিজানুর রহমান বলেন, আমাদের এ খামারে বায়োসিকিউরিটি হাইজিন এবং সার্বক্ষণিক পরিচর্চার বিষয়গুলো মনিটরিং করার জন্য আধুনিক সার্ভিলেন্ট সফটওয়ারের মাধ্যমে স্মার্ট সিষ্টেম চালু করা হয়েছে যার মাধ্যমে আমরা সকল পশুগুলো সার্বক্ষণিক তদারকি নিশ্চিত করতে পারছি।

দোহার উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. শামীম হোসেন বলেন, দোহার উপজেলায় ৩ হাজার ৩শ প্রান্তিক খামারি তাদের গবাদি পশু প্রস্তুত করেছেন। চাহিদার তুলনার চেয়েও এবার বেশি গরু প্রস্তুত করা হয়েছে। পশুর কোন ঘাটতি হবে না।


আরও খবর



দু’একদিনের মধ্যেই বিদ্যুৎ বিভ্রাট দূর হবে: প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, দুএকদিনের মধ্যেই বিদ্যুতের লোডশেডিং দূর হয়ে যাবে। আদানির একটি ইউনিট উৎপাদনে এসেছে, আরেকটিও কাল-পরশু উৎপাদনে আসবে। আর গ্যাসের সংকট ১৫ জুলাই নাগাদ দূর হয়ে যাবে।

সোমবার (১ জুলাই) নিজ দফতরে এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন প্রতিমন্ত্রী।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণে ছিল আদানির একটি ইউনিট। সেটিও কাল-পরশুর মধ্যে উৎপাদনে আসবে। আর যে ইউনিটটির টেকনিক্যাল সমস্যার কারণে বন্ধ হয়েছিল, সেটি ইতোমধ্যেই উৎপাদনে এসেছে। আমাদের পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের একটি ইউনিট নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণে রয়েছে। সেটিও শিগগিরই উৎপাদনে আসবে। তখন আর বিদ্যুতের উৎপাদন ঘাটতি থাকবে না।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, একটি ভাসমান এলএনটি টার্মিনাল বন্ধ থাকায় গ্যাস সরবরাহ কমে গেছে। ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত সামিটের ভাসমান এলএনজি টার্মিনালটি ১৫ জুলাই নাগাদ অপরেশনে আসবে। তখন গ্যাস সংকট দূর হয়ে যাবে। গ্যাস সরবরাহ পূর্বের অবস্থায় চলে আসবে।

ঈদের পর দেশের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে বিদ্যুতের লোডশেডিংও বেড়ে যায়। ওই সময়ে নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণে থাকা কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দুটি ইউনিটের পাশাপাশি আদানি গ্রুপের একটি ইউনিটে ত্রুটির কারণে বন্ধ হলে সংকট চরম আকার ধারণ করে।

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৫ জুন সবচেয়ে বেশি লোডশেডিং হয়েছে। ওই দিন সান্ধ্যকালীন পিক আওয়ারে ১৭২৭ মেগাওয়াট লোডশেডিং করা হয়। ওই দিন ১৫ হাজার ৫১৯ মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে ১৩ হাজার ৭৯২ মেগাওয়াট সরবরাহ করা হয়।

২৫ জুন গ্যাস দিয়ে ৫ হাজার ৪১৫ মেগাওয়াট, তেল দিয়ে ৩ হাজার ৯৬৯ মেগাওয়াট, কয়লা থেকে ২ হাজার ৮৮৪, হাইড্রো ও সৌর থেকে ১৪৫ মেগাওয়াট উৎপাদন করা হয়। একই দিনে ত্রিপুরা থেকে ৮৮ মেগাওয়াট, ভেড়ামারা দিয়ে ভারত থেকে ৯২১ মেগাওয়াট ও আদানি থেকে ৩৭০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হয়। আর ২৬ জুন লোডশেডিং করা হয় ১৪৫৭ মেগাওয়াট। যদিও বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের ওই তথ্যের সঙ্গে অনেকেই একমত নন।


আরও খবর



ইসলাম প্রচারের পর কীভাবে কোরবানির প্রচলন শুরু হয়

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

ইসলামিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মক্কায় প্রতি বছরই কোরবানি দেওয়া হতো। কিন্তু তখন মক্কার বাসিন্দার বিভিন্ন দেবদেবীর নামে সেগুলো কোরবানি দিতেন। ফলে ইসলামের নবী সেই সময় মক্কায় থাকলেও তিনি এই রীতি অনুসরণ করতেন না।

নবুয়ত প্রাপ্তির প্রায় তের বছর পরে মদিনায় হিজরত করার পর আনুষ্ঠানিকভাবে কোরবানি দেয়ার রীতি চালু হয়।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের হালাল সনদ বিভাগের উপ-পরিচালক মাওলানা মোঃ আবু ছালেহ পাটোয়ারী বলেন,ইসলামের অনেক বিধিবিধান রাসুল (সাঃ) মদিনায় আসার পর কার্যকর হয়েছে। কারণ তিনি ইসলাম প্রচার শুরু করার পর মক্কার মানুষের মধ্যে একাত্মবাদ প্রতিষ্ঠা ছিল প্রাথমিক কাজ। আর মদিনায় হিজরত করে আসার পর ইসলামের বিধিবিধান জারি হয়।

হিজরি দ্বিতীয় সনে রোজা এবং ঈদুল ফিতরের প্রবর্তন হয়েছিল। অবশ্য তার আগে থেকেই মদিনার মানুষজন অনেকটা একই আদলে উৎসব এবং রোজা পালন করতেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক মোঃ আতাউর রহমান মিয়াজী বলেছেন, হিজরি দ্বিতীয় সনে ঈদের প্রবর্তন করা হয়েছিল।

আনাস নামে নবী মুহাম্মদের একজন সাহাবী বা সাথীর বর্ণনা করা একটি হাদিসের উদ্ধৃতি দিয়ে বাংলাদেশের জাতীয় জ্ঞানকোষ বাংলাপিডিয়া বলছে, মদিনায় যাওয়ার পর নবী দেখলেন যে সেখানকার মানুষ বছরে দুইটি বড় উৎসব পালন করে।

তিনি তখন জানতে চান, সেগুলো কী উৎসব?

এগুলো ছিল নওরোজ এবং মিহিরজান নামে দুটি উৎসব - যেগুলো সেখানকার বাসিন্দাদের ধর্ম এবং গোত্রের রীতি অনুযায়ী একটি শরতে এবং আরেকটি বসন্তকালে উদযাপিত হত।

অধ্যাপক মিয়াজী বলেছেন, তখন ওই দুইটি উৎসবের আদলে মুসলমানদের জন্য বছরে দুইটি ধর্মীয়, সামাজিক এবং জাতীয় উৎসব পালনের রীতি প্রবর্তন করা হয়।

সেই দুই ঈদের একটি হজের সময় পালন করা হতো, যা ঈদুল আজহা নামে পরিচিত। তবে ইসলাম প্রচারের পর ঠিক কবে আর কীভাবে প্রথম কোরবানি দেয়া হয়েছে সেই সম্পর্কে নির্ভুল তথ্য পাওয়া যায় না।

কোন কোন ইতিহাসবিদ বলেন, মদিনায় আসার পর ইসলামের নবী প্রথম দুইটা দুম্বা নিজ হাতে কোরবানি দিয়েছেন। তখন তিনি বলেছিলেন, একটা আমার নিজের পক্ষ থেকে আরেকটা আমরা উম্মতের পক্ষ থেকে।

মাওলানা মোঃ আবু ছালেহ পাটোয়ারী বলেন, ইসলামের অনেক কিছুই আগের পয়গম্বরদের রীতি মেনে করা হয়েছে। যেমন প্রথম দিকে বায়তুল মোকাদ্দেসের দিকে সিজদা করা হলেও পরবর্তীতে ইব্রাহিম (আঃ) এর আদর্শ অনুযায়ী কাবার দিকে সিজদা করা হয়। কোরবানির ব্যাপারটিও তেমনি এসেছে।

তিনি বলছেন, ইসলামের কোরআন ও হাদিস অনুযায়ী, আদম (আঃ) থেকে কোরবানি শুরু হয়েছে। তবে সুরা কাওসার ও সুরা হজে কোরবানি করার নির্দেশনা পাওয়া যায়। এই সুরা কাওসার নাজিল হয়েছিল হিজরতের আগেই, রাসুল (সাঃ) মক্কায় থাকার সময়। আর সুরা হজ মক্কা ও মদিনায় মিলিয়ে নাজিল হয়েছিল বলে মনে করা হয়।

এই দুইটি সুরাতেই কোরবানি দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

পাটোয়ারি বলছেন, এ থেকে বোঝা যাচ্ছে, রাসুল (সাঃ) মক্কায় থাকার সময় থেকেই কোরবানির বিষয়টা এসেছে।

তবে তিনি প্রথম কবে কোরবানি দিয়েছেন, সেই বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।

মাওলানা মোঃ আবু ছালেহ পাটোয়ারী জানাচ্ছেন, তিরমিজি হাদিসে উল্লেখ আছে, আবদুল্লাহ ইবনে ওমর বলেছেন, হিজরতের পরে রাসুল (সাঃ) ১০ বছর মদিনায় ছিলেন, ১০ বছরেই কোরবানি করেছেন। আর আনাস ইবনে মালিক বলেছেন, রাসুল (সাঃ) দুইটা শিং ওয়ালা নাদুস-নুদুস দুম্বা জবাই করেছেন আর বলেছেন একটি আমার উম্মতের পক্ষ থেকে একটা আমার পক্ষ থেকে।

আরেকটি হাদিসে বলা হয়েছে, তিনি সবসময়ে দুটা দুম্বা কোরবানি দিতেন, বলেন পাটোয়ারি।

যারা হজ বা ওমরাহ করতে যেতেন, তারা কোরবানির জন্য উট বা দুম্বার মতো পশু সঙ্গে করে নিয়ে যেতেন। এসব পশুকে বলা হতো হাদি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক মোঃ আতাউর রহমান মিয়াজী বলেন, ষষ্ঠ হিজরিতে বা ৬২৮ খৃষ্টাব্দে যখন রাসুল (সাঃ) ওমরাহের উদ্দেশ্যে রওনা হন, তখন হুদাইবিয়ায় বাধা দেয়া হলে তিনি তাবুতে অবস্থান করেন। হুদাইবিয়ার সন্ধি হলে তিনি সেই সময় নিজের ও পরিবারের জন্য উট কোরবানি দেন।

এ সময় তিনি ৬৩টি উট কোরবানি দেন বলে জানা যায়। সেই সময় ইসলামের বিধিবিধানে উট, মহিষ, গরু, ছাগল, ভেড়া, দুম্বা কোরবানি দেওয়ার তথ্য পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে মাওলানা মোঃ আবু ছালেহ পাটোয়ারী বলেছেন, ষষ্ঠ হিজরিতে ওমরাহ করতে যাচ্ছিলেন, সেই সময় পশুগুলোকে সাথে করে নিয়ে যাওয়ার নিয়ম ছিল। তখন কোরবানি ছাড়া আরেকটা রীতি ছিল। পশুগুলোর সিনায় কেটে দাগ লাগিয়ে মক্কার দিকে ছেড়ে দেয়া হতো, যাতে বোঝা যেতো যে এগুলো কোরবানির পশু। হুদাইবিয়ার সন্ধির পর কিছু পশু কোরবানি দেয়া হয়, আর কিছু পশুকে সিনায় দাগ লাগিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়।

পাটোয়ারি বলছেন, দশম হিজরিতে রাসুল (সাঃ) মক্কা বিজয়ের পর সেই বছর তিনি নিজে আনুষ্ঠানিকভাবে হজ করেন এবং কোরবানি দেন।

এর আগের বছর সাহাবী আবুবকরের নেতৃত্বে একটি দলকে হজের জন্য পাঠানো হয়েছিল। সেই দলের সঙ্গেও কোরবানির জন্য হাদি বা পশু ছিল।


আরও খবর



চসিকের ১৯৮১ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৭ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ১ হাজার ৯৮১ কোটি ৫২ লক্ষ টাকার বাজেট ঘোষণা করেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)। এবারের বাজেট নিজস্ব উৎস থেকে সর্বোচ্চ ১ হাজার ২৬ কোটি ৪৫ লাখ টাকা আয় ধরা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে নগরের নন্দনকাননে থিয়েটার ইন্সটিটিউটে আয়োজিত বাজেট অধিবেশনে এ ঘোষণা দেন চসিক মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।

নতুন অর্থবছরের বাজেটের পাশাপাশি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের চসিকের ১ হাজার ৬৬১ কোটি ৯ লাখ ৪০ হাজার টাকার সংশোধিত বাজেটও উপস্থাপন করেন মেয়র। ওই অর্থবছরে ১ হাজার ৮৮৭ কোটি ২৮ লাখ টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়। চসিকের ইতিহাসে এবার বাজেট বাস্তবায়ন হয়েছে রেকর্ড ৮৮ শতাংশ।

বাজেট ঘোষণার সময় মেয়র রেজাউল করিম চট্টগ্রামকে একটি আধুনিক এবং স্মার্ট নগর হিসেবে গড়ে তুলতে একগুচ্ছ পরিকল্পনা তুলে ধরেন। বর্তমান ও ভবিষ্যতের আলোকে, নগরবাসীর আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটানোর প্রত্যাশা করেন তিনি।

সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আশরাফুল আমিন বাজেট অধিবেশনে  সভাপতিত্ব করেন। বাজেট অধিবেশনে বাজেট বিবরণী উপস্থাপন করেন অর্থ ও সংস্থাপন বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর মো. ইসমাইল। এ সময় প্যানেল মেয়র আফরোজা কালাম, প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির, ওয়ার্ড কাউন্সিলরবৃন্দ, বিভাগীয় প্রধানবৃন্দসহ কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



লোকসভার স্পিকার পদে নির্বাচিত হলেন ওম বিড়লা

প্রকাশিত:বুধবার ২৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

লোকসভার স্পিকার পদে নির্বাচিত হলেন ওম বিড়লা। এনডিএ প্রার্থী ওম বিড়লার বিরুদ্ধে ইন্ডিয়া জোটের প্রার্থী ছিলেন কে সুরেশ। বুধবার (২৬ জুন) ১১টা নাগাদ শুরু হয় ভোটাভুটি। দেখা যায় ধ্বনিভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছেন ওমই। এই নিয়ে পর পর দুবার তিনি স্পিকার পদে নির্বাচিত হলেন, যা নজির।

তাঁকে অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

এদিকে মঙ্গলবার দিনভর লোকসভার স্পিকার নির্বাচন নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানায়নি তৃণমূল কংগ্রেস। বুধবার সকালে এই বিষয়ে দলের সিদ্ধান্ত কংগ্রেসকে জানিয়ে দেওয়া হবে বলে জানা যায় ঘাসফুল শিবিরের সূত্রানুসারে।

অবশেষে এদিন লোকসভা চত্বরে সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, গতকাল বৈঠক হয়েছিল ইন্ডিয়া জোটের। সেখানে যা আলোচনা হয়েছিল, সেই আলোচনার ভিত্তিতে আমরা সিদ্ধান্ত নিই ইন্ডিয়া জোটের স্পিকার পদপ্রার্থী কে সুরেশকে তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থন জানাবে।


আরও খবর
যুক্তরাজ্যে সাধারণ নির্বাচন আজ

বৃহস্পতিবার ০৪ জুলাই ২০২৪