আজঃ শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

ভূমি অফিস কেন্দ্রিক কিছু দালাল চক্রের যোগসাদৃশ্যে এই প্রতারণা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ অক্টোবর ২০২১ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৯ অক্টোবর ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ঢাকা কেরাণীগঞ্জ দক্ষিণে ঢাকা মাল্টি এগ্রিকালচারাল কমপ্লেক্স লিমিটেডের ৪৫ শতাংশ ভূমির জাল এওয়াজ বদল দলিল তৈরি করে নামজারি করার অভিযোগ উঠেছে এক সহোদরের নামে। এরা হলেন- কেরাণীগঞ্জের ইকুরিয়া পূর্ব মধ্যপাড়ার  মৃত নূরনবীর ছেলে আবু সাঈদ (৬২) ও আবু হোসেন (৫৯)। তারা জাল দলিলে  কেরাণীগঞ্জ দক্ষিণের ঢাকা মাল্টি এগ্রিকালচারাল কমপ্লেক্সের ইকুরিয়া মৌজার সি,এস ও এস,এ ১৩ দাগের ৪৫ শতাংশ ভূমি ইস্ট ওয়েস্ট প্রপার্টি ডেভেলপমেন্ট প্রাইভেট লিমিটেডের সঙ্গে এওয়াজ বদল দেখিয়েছেন সি,এস ও এস,এ ৯২২ দাগে। অথচ কেরাণীগঞ্জের ইকুরিয়ার মৌজায় ৯২২ দাগে ৪৫ শতাংশ ভূমির বাস্তবে কোনো অস্তিত্ব নেই। যে জাল দলিলে নামজারি করেছেন সেই দলিল (নং-৫৭৮৪) এদের নামে নেই বলে নিশ্চিত করেছেন কেরানীগঞ্জ দক্ষিণ সাব রেজিস্ট্রি অফিস। তারা ইস্ট ওয়েস্ট প্রপার্টি ডেভেলভমেন্ট প্রা. লি.-এর  কেরাণীগঞ্জের দক্ষিণের বেয়ারা মৌজার একটি দলিলকে (৫৭৮৪) কিছুটা অনুকরণ করে সেই জাল দলিল তৈরি করেছে বলে জানা গেছে।

কেরাণীগঞ্জের (দক্ষিণ) শুভাঢ্যা ভূমি অফিস কেন্দ্রিক কিছু দালাল চক্রের  মাধ্যমে ভূমি অফিসের কিছু অসাধু লোকের যোগসাদৃশ্যে এই জাল দলিলে আবু হোসেন ও আবু সাঈদ নামজারি করেছে বলে জানায় সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র। ২০১৯ সালে জাল দলিল তৈরি করে ২০২০ সালে নামজারি করেছে তারা।

এর আগে আবু সাঈদ ও আবু হোসেন ২০০৬ সালে ২৫ জুন মো. হানিফ হাওলাদার নামে একজনকে আম-মোক্তার নিযুক্ত করেন। যার দলিল নং ৮৫৯৭। সেই আম-মোক্তার একই বছর ২৯ জুন তাদের পক্ষে ঢাকা মাল্টি এগ্রিকালচারাল কমপ্লেক্সের কাছে ৪৫ শতাংশ জমি বিক্রি করেন। যার দলিল নং ৯১৩৯। নামজারি হয় ২০০৭ সালের ১৩ ফেব্রয়ারি (জোত নং-৪৬)। ১৪ বছর পর প্রতারণা করে এই নামজারির বিপরীতে এওয়াজ বদল জাল দলিল তৈরি করে আবার নামজারি করেছে তারা।

আবু সাঈদের কাছে জানতে চাইলে আম-মোক্তার নিয়োগের কথা অস্বীকার করে তিনি বলেন, আমি কাউকে আম-মোক্তার নিয়োগ দেইনি। এটা আমার পৈত্তিক সূত্রে পাওয়া জমি। কেরাণীগঞ্জ মডেল থানার কোনাখোলা সাব রেজিস্ট্রি অফিসে গিয়ে আবু সাঈদদের ২০০৬ সালে আম-মোক্তার নিযুক্ত করা এবং সেই জমি বিক্রির প্রমাণ পাওয়া গেছে বিষয়টি আবু সাঈদের কাছে তুলে ধরলে তিনি আর কোন সৃদুত্তর দিতে পারেন নি।

এসব জাল দলিল তৈরি করে নামজারিতে  কেরাণীগঞ্জের (দক্ষিণ) শুভাঢ্যা ইউনিয়নের ভূমি অফিসের তৎকালীন ভূমি সহাকারী কর্মকর্তা হাছান আহমেদসহ সে সময়ের সহকারী কমিশনার (ভূমি)  সানজিদা পারভীন, ভূমি কার্যালয়ের নামজারি সহকারী  মোহাম্মদ মজিরুল হক ও কানুনগো নাজমুল হোসেনের  গাফিলতি রয়েছে বলে জানা গেছে। এ সময় দলিলটি যাচাই বাছাই করা  হয়নি। এমনকি আবু সাঈদ ও আবু হোসেন  যে দলিলে নামজারি করছেন তাদের সঙ্গে বিনিময়কারী জমির মালিক পক্ষ যাকে দেখানো হয়েছে তাদের আইনি নোটিশের মাধ্যমে অবগত করেননি সংশ্লিষ্টরা।

এ বিষয়ে ঢাকা মাল্টি এগ্রিকালচারাল কমপ্লেক্স লিমিটিডের ডেপুটি জেনারেল ম্যানাজার এ টি এম জাহাঙ্গীর কবির বলেন, আবু সাঈদদের আম-মোক্তার নিযুক্তকারী ১৩ দাগের ৪৫ শতাংশ জমি ঢাকা মাল্টি এগ্রিকালচারাল কমপ্লেক্সের  কাছে বিক্রি করেছে। যারা জমির মালিকানা  সেসব কাগজ সংশ্লিষ্ট সকল অফিসে আছে। কিন্তু আবার তারা ১৪ বছর পরে একই জমি ভুয়া দলিলে ইস্ট ওয়েস্ট প্রপার্টিজকে বিনিময় পক্ষ বানিয়ে এওয়াজ বদল দেখিয়েছে । যা আমরা কোন পক্ষই অবগত নই।

ইস্ট ওয়েস্ট প্রপার্টিজের নির্বাহী পরিচালক এ কে এম নাজমুল হক বলেন, প্রথমত, আবু সাঈদরা বড় ধরণের প্রতারণা করেছে ঢাকা মাল্টি কমপ্লেক্স লি.-এর ভূমি ইস্ট ওয়েস্ট প্রপার্টি ডেভেলপমেন্ট লি.-এর সঙ্গে ভুয়া দলিলে বিনিময় দেখিয়ে। দ্বিতীয়ত, ভূমি অফিসের দালাল চক্র ও কতিপয় দূনীর্তিবাজ ভূমি অফিসের কিছু কর্মচারী-কর্মকর্তাদের মাধ্যমে ভুয়া দলিলে ঢাকা মাল্টি কমপ্লেক্সের জমির নামজারি কেটে তাদের নামে নামজারি করে। তাই এসব জালিয়াতিতে জড়িত সকলের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করছি।

কেরাণীগঞ্জ (দক্ষিণ) শুভাঢ্যা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের ভূমি সহকারী কর্মকর্তা রনজিৎ চন্দ্র নাথ বলেন, আবু সাঈদরা ঢাকা মাল্টি এগ্রিকালচারাল কমপ্লেক্সের ভূমি ইস্ট ওয়েস্ট প্রপার্টিজের সঙ্গে এওয়াজ বদল দেখিয়েছে। এখানে কাগজ পত্র দেখে  শতভাগ ভুল হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। এ অফিস থেকে যারা নামজারির প্রস্তাবনা দিয়েছে মনে হয় অনিচ্ছাকৃতভাবে ভুলটি করেছে। এখন মিস কেইস করলেই সমাধান হয়ে যাবে। তবে যারা ভুয়া দলিল করেছে তারা বড় ধরণের জালিয়াতি করেছে। এটা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

এসব বিষয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ সাব-রেজিস্ট্রার মো. শাহাজাহান আলী বলেন, যে দলিল (নং-৫৭৮৪) দিয়ে তারা নামজারি উল্লেখ করেছে। এটি দেখা যাচ্ছে এওয়াজ বদল দলিল ২০১৯ সালের ২৪ জুলাই রেজিস্ট্রিকৃত।  সে দলিলের সঙ্গে আমাদের রেজিস্ট্রিকৃত ও সংরক্ষিত একই নাম্বারের দলিলের কোন মিল নেই। এ দলিলটি ইস্ট ওয়েস্ট প্রপার্টিজের ২০১৯ সালের ২৫ জুলাই রেজিস্ট্রিকৃত এবং অপ্রত্যাহারযোগ্য পাওয়ার অব অ্যাটর্নি অন্য মৌজার একটি দলিল।

জাল দলিল দিয়ে নামজারির বিষয়ে জানতে চাইলে কেরাণীগঞ্জ দক্ষিণের ভূমি অফিসের কর্মকর্তারা জানান, যখন নামজারির জন্য দলিল এবং সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র দিয়ে আবেদন করা হয়। তখন সব কিছু যাচাই-বাছাইয়ের তেমন সুযোগ না থাকায় মাঝে মাঝে কিছু ভুয়া নামজারি হয়ে যায়। এভাবেই আবু সাঈদরা সুযোগ নিয়েছে। তবে এ মিস কেইস করলে দ্রুত সমাধান হয়ে যাবে।

সরেজমিনে এই ৪৫ শতাংশ ভূমি:

ঢাকা মাল্টি কমপ্লেক্স লিমিটেডের ইকুরিয়া মৌজার ইসলামনগর গ্রামে এই ৪৫ শতাংশ ভূমিকে (অর্ধ-ডোবা) ঘিরে গত বৃহস্পতিবার সরেজমিনে এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে আলাপকালে তারা জানান, একযুগেরও বেশী সময় ধরে তারা জানেন জায়গাটি একটি কম্পানির (ঢাকা মাল্টি কমপ্লেক্স লি.)। কিছুদিন ধরে আবু সাঈদ ও আবু হোসেন  ওই জমিটির ভুয়া কাগজপত্র দেখিয়ে বিক্রি করার চেষ্টা করছেন। অনেকের কাছ থেকে টাকাও নিচ্ছেন বলে জানান তারা। ওই এলাকার বাজার মূল্যে বর্তমানে এই জায়গার দাম প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা বলে জানায় এলাকাবাসী।

এলাকার বাসিন্দা ও খামার ব্যবসায়ী রমজান আলী বলেন, কয়েক বছর ধরে শুনে আসছি এই জমি একটি কম্পানির। কিছুদিন ধরে আবু-সাঈদরা এই জমির মালিক দাবি করে জমি বিক্রির প্রচারনা চালাচ্ছে। যদি কম্পানির জমি হয় তাহলে তাদের বুঝিয়ে দেওয়া ভালো। কম্পানি এখানে ফ্যাক্টরি করলে এলাকার বেকারদের কর্মসংস্থান হবে এবং সবার উপকার হবে।

শামসুল হক নামের একজন বলেন, আবু-সাঈদরা এই জমির আম-মোক্তার নিয়োগ করে অনেক বছর আগে। সেই আম-মোক্তারই জমি বিক্রি করে একটি কম্পানির কাছে। আম-মোক্তার মারা যাওয়ার পর এত বছর পর এসে অস্বীকার করছে  আম-মোক্তার নিয়োগ দেয়নি তারা। শুনেছি ভূমি অফিস এবং রেজিস্ট্রি অফিসে আম-মোক্তার নিযুক্ত করা ও জমি বিক্রি করার দলিলও আছে। তাহলে কেন তারা নিজেদের নামে জাল দলিল তৈরি করে জমির নামজারি করেছে। এবং সেটা দেখিয়ে অনেকের কাছে এই জমি বিক্রি করার চেষ্টা করছে। শামসুলের মতো এলাকার বাসিন্দা শফিকুল বাশার ও  স্বপন আলী শেখ প্রায় একই কথা বলেন।

ওই ভূমি ক্রয়ের জন্য টাকা দেওয়া মজিবর রহমান নামের এক ক্রেতার সঙ্গে আলাপ হয় এই প্রতিবেদকের। তিনি বলেন, আমরা জানি এই ভূমির মালিক আবু সাঈদ ও আবু হোসেন। সে মতেই ১৫ জনের মতো এই জমিটা কেনার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। এসময় ওই সাঈদদের  আম-মোক্তার নিযুক্তকারী ২০০৭ সালে যে ঢাকা মাল্টি এগ্রিকালচারাল লিমিটেডের কাছে জমি বিক্রি করেছে এসব তারা জানেন না বলে জানান।


আরও খবর



স্কুল বন্ধের আদেশ: আপিল করবে না শিক্ষা মন্ত্রণালয়

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশে তীব্র তাপদাহের মধ্যে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং মাদরাসার পাঠদান আগামী বৃহস্পতিবার (২ মে) পর্যন্ত বন্ধ রাখা নিয়ে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করবে না শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ফলে বৃহস্পতিবার (২ মে) পর্যন্ত স্কুল-মাদরাসায় ছুটি বহাল থাকছে।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবুল খায়ের আপিল না করার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে।

এর আগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের বিষয়ে গতকাল সোমবার হাইকোর্টের আদেশের পর অসন্তুষ্ট হয়ে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করার কথা জানান। ওইদিন শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সারাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধে এক ধরনের মানসিকতা তৈরি হচ্ছে। সবকিছুতেই কেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওপর আদালতের নিদের্শনা নিয়ে আসতে হবে? সাংবিধানিকভাবে যার যা দায়িত্ব তা পালন করা বাঞ্ছনীয় বলেও মন্তব্য করেন শিক্ষামন্ত্রী।

সোমবার আদেশে আদালত বলেন, যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শ্রেণিকক্ষে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (এসি) রয়েছে সেগুলোতে যথারীতি পাঠদান ও পরীক্ষা কার্যক্রম চলবে। এ ছাড়া যদি কোনো প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষার দিন ধার্য করা থাকে সেক্ষেত্রে সিডিউল অনুযায়ী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ সাইফুজ্জামান জামান আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শ্রেণিকক্ষে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা বা এসি নেই, তীব্র গরমের কারণে এ ধরনের প্রাথমিক-মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদরাসাগুলো বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

এ আইনজীবী আরও জানান, কোনো প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষার দিন ধার্য থাকলে নির্ধারিত সময়সূচিতে পরীক্ষা নেওয়া যাবে।


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪

একাদশের ক্লাস শুরু ৩০ জুলাই

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ব্যাটারি কমপ্লেক্স উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রামের হালিশহর আর্টিলারি সেন্টারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ব্যাটারি কমপ্লেক্স উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ রোববার সকালে এক আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নতুন এই স্থাপনা উদ্বোধন করেন তিনি। পরে তিনি ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে দরবার করেন।

মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান সেনাবাহিনী ছেড়ে আসা ৭৫ জন বাঙালি এবং বেসামরিক কিছু যোদ্ধা নিয়ে ১৯৭১ সালের ২২ জুলাই ত্রিপুরার কোনাবনে গঠিত হয় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর রেজিমেন্ট অব আর্টিলারির প্রথম ফিল্ড ব্যাটারি। এই ফিল্ড ব্যাটারি দেশ স্বাধীন হওয়ার আগ পর্যন্ত মান্দাবাগ বাজার, সালদা নদী, কসবা, আখাউড়া সিংগাইর বিল, ফেনী ও চট্টগ্রাম অভিমুখে পরিচালিত বিভিন্ন অপারেশনে কার্যকর ভূমিকা রাখে। স্বাধীনতার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামেই বাংলাদেশের প্রথম ফিল্ড ব্যাটারি নামকরণ করা হয়।

রোববার আর্টিলারি সেন্টার ও স্কুলের প্রশিক্ষণ সক্ষমতা বাড়াতে এবং মুক্তিযুদ্ধে এই ব্যাটারির অবদানকে স্মরণীয় করে রাখতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ব্যাটারি কমপ্লেক্স উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় চট্টগ্রামের হালিশহরে এই কমপ্লেক্স উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি। ফলক উন্মোচনের পর তিনি ঊর্ধ্বতন মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, চট্টগ্রামের মেয়র এবং সেনাপ্রধানকে নিয়ে মোনাজাতে অংশ নেন।

এরপর তিনি কমপ্লেক্সের ভেতর আর্টিলারি জাদুঘর পরিদর্শন করেন। জাদুঘরে এই আর্টিলারির মুক্তিযুদ্ধকালীন এবং তারপরের বিভিন্ন স্মারক রাখা হয়েছে।


আরও খবর



দুপুরে দেশের উদ্দেশে আল হামরিয়া বন্দর ছাড়বে এমভি আব্দুল্লাহ

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল-হামরিয়া বন্দরে নোঙর করা সোমালি জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্ত বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ আজ রবিবার দেশের উদ্দেশে রওনা হবে।

এর আগে গতকাল শনিবার সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল হামরিয়া বন্দরে ৫৫ হাজার মেট্রিক টন কয়লা খালাস শেষ করে জাহাজটি।

আজ রবিবার দুপুরে ২৩ নাবিকসহ জাহাজটি দেশের উদ্দেশে রওনা হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাহাজ মালিক পক্ষ কেএসআরএম গ্রুপ। তবে জাহাজটি চট্টগ্রাম পৌঁছাতে মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ লেগে যাবে।

জাহাজের মালিকপক্ষ কবির গ্রুপের মিডিয়া কর্মকর্তা মিজানুল ইসলাম বলেন, শনিবার দুবাইয়ের আল-হামরিয়া বন্দরের জেটিতে থাকা এমভি আবদুল্লাহতে কার্গো (পণ্য) লোড করা শেষ হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, রবিবার দিনের বেলায় জাহাজটি বাংলাদেশের উদ্দেশে রওনা হবে। তবে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছাতে তাদের সময় লাগবে মে মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত।

জলদস্যূ মুক্ত হয়ে গত ২২ এপ্রিল সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে দুবাইয়ের আল হামরিয়া বন্দরে ভেড়ে জাহাজটি। তখন সেখানকার বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবু জাফরসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং জাহাজ পরিচালনাকারী এসআর শিপিংয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ২১ এপ্রিল এমভি আবদুল্লাহ ওই বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছায়।


আরও খবর



পেঁয়াজ রপ্তানি থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলল ভারত

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে ভারত সরকার। শনিবার (৪ মে) এক প্রজ্ঞাপনে একথা জানানো হয়েছে। ভারতের ডিরেক্টর জেনারেল অব ফরেন ট্রেড প্রতি টন পেঁয়াজের রপ্তানি মূল্য নির্ধারণ করেছে ৫৫০ ডলার।

মহারাষ্ট্রে লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখেই মূলত এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সরকারের এমন পদক্ষেপে স্বস্তি মিলবে সেখানের ব্যবসায়ীদের।

ভারতের, বিশেষ করে পেঁয়াজের রাজ্যখ্যাত মহারাষ্ট্রের চাষি ও ব্যবসায়ীরা অনেক আগে থেকেই পেঁয়াজ রপ্তানির নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে আসছে। কারণ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পরই সেখানকার চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হতে থাকে।

যদিও নিষেধাজ্ঞা চলাকালেও সীমিত আকারে বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও আমিরাতে পেঁয়াজ রপ্তানি করেছে ভারত সরকার।

মূলত, দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদার সঙ্গে মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাওয়ার কারণে ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানিতে দিয়েছিল। সেই অবস্থান থেকে এবার সরে এল দেশটি।


আরও খবর



৮ শিক্ষকের মাদ্রাসায় দুই পরীক্ষার্থী, তারাও ফেল

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার ব্রজনাথপুর দাখিল মাদ্রাসা থেকে অংশ নিয়েছিল দুই পরীক্ষার্থী। তাদের কেউ এবার দাখিল পরীক্ষায় পাস করতে পারেনি। অথচ তাদের পড়ানোর জন্য ছিল আটজন শিক্ষক।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এবারের দাখিল পরীক্ষায় বসার জন্য ব্রজনাথপুর দাখিল মাদ্রাসা থেকে ফরমফিলাপ করেছিল মাত্র আটজন। তাদের মধ্য থেকে দুজন সাধারণ বিভাগ থেকে অংশ নেয় দাখিল পরীক্ষায়। কিন্তু তারা সবাই ফেল করেছে।

ওই মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা জানায়, করোনার প্রাদুর্ভারের পর থেকে ব্রজনাথপুর দাখিল মাদ্রাসায় শিক্ষার মান তলানিতে নেমে যায়। মাদ্রাসাটি এমপিওভুক্ত না হওয়ায় এ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা তাদের ক্লাস নিতেন না। ফলে তাদের এবার ফলাফল খারাপ হয়ে গেছে।

ব্রজনাথপুর দাখিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপারিন্টেনটেন্ড এজাজুল হক বলেন, এ প্রতিষ্ঠান থেকে আটজন দাখিল পরীক্ষার জন্য ফরমফিলাপ করে। তাদের মধ্য থেকে দুজন দাখিল পরীক্ষায় অংশ নেয়। ফল প্রকাশ হলে দেখা যায়, তারা দুজনই ফেল করেছে।

ফল খারাপ হওয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, এ প্রতিষ্ঠানটি এখনও এমপিওভুক্ত হয়নি। এখানে আটজন শিক্ষক আছে, তারা কেউই বেতন-ভাতা পান না। যার কারণে তারা অন্য কাজ করেন। যার কারণে তারা ক্লাস নিতে আগ্রহী নন। যদি মাদ্রাসাটি এমপিওভুক্ত হয় তাহলে শিক্ষার মান আরও বাড়বে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আহমেদ মাহবুব-উল- ইসলাম বলেন, আমরা প্রতিষ্ঠানটিকে পর্যবেক্ষণে রাখার পাশাপাশি এবারের ফলাফল কেন এত খারাপ হলো অবশ্যই যাচাই-বাছাই করা হবে।

ব্রজনাথপুর দাখিল মাদ্রাসাটি ২০০০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে এখানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা শতাধিক।

নিউজ ট্যাগ: চাঁপাইনবাবগঞ্জ

আরও খবর