আজঃ বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

ওয়ালটন ক্যাম্পেইনে ফ্রিজ কিনে ১০ লাখ টাকা পেলেন সিলেটের লাকি

প্রকাশিত:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঈদ উৎসবকে সামনে রেখে দেশব্যাপী চলমান ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২০ এ ক্রেতাদের ননস্টপ মিলিয়নিয়ার হওয়ার সুবিধা দিচ্ছে দেশের ইলেকট্রনিক্স জায়ান্ট ওয়ালটন। এর আওতায় দেশের সুপারব্র্যান্ড ওয়ালটন ব্র্যান্ডের ফ্রিজ কিনে মিলিয়নিয়ার হলেন সিলেটের বালাগঞ্জের গৃহিণী লাকি বেগম। মাত্র ১০ হাজার টাকা জমা দিয়ে কিস্তিতে ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে ডিজিটাল ক্যাম্পেইনের ৩১তম মিলিয়নিয়ার হলেন তিনি। ওয়ালটনের ১০ লাখ টাকায় বদলে গেলো লাকি বেগমের ভাগ্য।

উল্লেখ্য, ডিজিটাল ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে এর আগেও ওয়ালটন পণ্য কিনে মিলিয়নিয়ার হয়েছিলেন ৩০ জন ক্রেতা। ঈদকে সামনে রেখে ক্রেতাদের জন্য বিশেষ উপহার হিসেবে সিজন-২০ এ সেরা পণ্যে সেরা অফার স্লোগানে আবারো এই সুবিধা দিচ্ছে ওয়ালটন।

সিজন-২০ চলাকালীন দেশের যেকোনো ওয়ালটন প্লাজা, পরিবেশক শোরুম ও অনলাইন সেলস প্ল্যাটফর্ম ই-প্লাজা থেকে ফ্রিজ, এসি, টিভি, ওয়াশিং মেশিন এবং ফ্যান কিনে আবারো মিলিয়নিয়ার হওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন ক্রেতারা। এছাড়াও রয়েছে কোটি কোটি টাকার নিশ্চিত উপহার। চলতি বছরের ১ মার্চ থেকে পরবর্তী ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত ননস্টপ মিলিয়নিয়ার হওয়ার এই সুযোগ পাবেন ক্রেতারা।

রোববার (১০ মার্চ) সিলেটের ওয়ালটন প্লাজা তাজপুর শাখা কর্তৃক তাজপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে মিলিয়নিয়ার লাকি বেগমের হাতে ১০ লাখ টাকার চেক তুলে দেন জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস এবং চিত্রনায়ক আমিন খান।

সে সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটনের চিফ মার্কেটিং অফিসার দিদারুল আলম খান, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মোহাম্মদ শাহজাদা সেলিম, ওয়ালটন প্লাজার চিফ সেলস এক্সিকিউটিভ ওয়াহিদুজ্জামান তানভীর, ওয়ালটন প্লাজা তাজপুর শাখার ব্যবস্থাপক নাজিম উদ্দিন, ওসমানিনগর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. শামীম আহমেদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আতাউর রহমান চৌধূরী, তাজপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি মামুনুর রশিদ খলকু ও প্রধান শিক্ষক শিল্পি পাল, কদমতলা বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নোমান আহমদ জাহাঙ্গির প্রমুখ।

ক্রেতা লাকি বেগম উছমান পুরের দক্ষিণ রাইগ দাড়া এলাকার বাসিন্দা। স্বামী ও দুই ছেলেসহ ৪ সদস্যের পরিবার তার। অভাবের সংসারে স্বামী খাজা মিয়ার মুদি দোকানই একমাত্র ভরসা। দোকানে ব্যবহারের জন্য চলতি মাসের ২ তারিখে ওয়ালটন প্লাজা তাজপুর শাখা থেকে কিস্তিতে ৩৫ হাজার ৬৬৬ টাকা মূল্যের একটি ফ্রিজ কেনেন লাকি বেগম। ফ্রিজটি কেনার পর তার নাম, মোবাইল নাম্বার এবং ক্রয়কৃত ফ্রিজের মডেল নাম্বার ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করা হয়। কিছুক্ষণ পরেই তার মোবাইলে ওয়ালটনের কাছ থেকে একটি ম্যাসেজ যায়। ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে ১০ লাখ টাকা পেয়েছেন। সেই টাকায় ঋণ শোধ করার পাশাপাশি স্বামীর ব্যবসাকে আরো বড় করবেন তিনি।

পুরস্কারপ্রাপ্তির প্রতিক্রিয়ায় লাকি বেগম জানান, গ্রামের অধিকাংশ লোকই ওয়ালটনের ফ্রিজ ব্যবহার করেন। দাম সাধ্যের মধ্যে, দেখতে সুন্দর এবং দীর্ঘ বছর চলে বিধায় ওয়ালটন ফ্রিজই কেনার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।

তিনি বলেন, ওয়ালটনের একটা ফ্রিজ কিনে ১০ লাখ টাকা পাবো তা কল্পনাতেও আসেনি। এ ঘটনায় গ্রামে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এই টাকায় আমার ভাগ্যের চাকা ঘুরে যাবে। ওয়ালটন প্রমাণ করলো- তারা ক্রেতাদের যা বলে, তা তারা পুরোপুরি মেনে চলে।

চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস বলেন, দেশের টাকা দেশে রাখতে হলে দেশে তৈরি পণ্য কেনার কোনো বিকল্প নেই। দেশে তৈরি পণ্য কিনলে দেশের অর্থনৈতিক ভিত্তি শক্তিশালী হবে। ওয়ালটন দেশেই নিজস্ব কারখানায় পণ্য তৈরি করে। সেসব পণ্য শুধু দেশের চাহিদাই মিটাচ্ছে না; ৪০টিরও বেশি দেশে পণ্য রপ্তানি করছে। ওয়ালটন আমাদের গর্বের প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। ওয়ালটন যে ক্রেতাদের দেয়া প্রতিশ্রুতি রাখে তার প্রমাণ আজকের এই অনুষ্ঠান।

জানা গেছে, প্রতিবছরের মতো এবারের ঈদেও স্থানীয় বাজারে ফ্রিজের প্রায় ৮০ ভাগ চাহিদা এককভাবে নিজেরাই পূরণের টার্গেট নিয়েছে ওয়ালটন। টার্গেট পূরণে ওয়ালটন বাজারে ছেড়েছে তিন শতাধিক মডেল ও ডিজাইনের রেফ্রিজারেটর, ফ্রিজার ও বেভারেজ কুলার। এসব ফ্রিজের দাম ১৪ হাজার ৯৯০ টাকা থেকে ২ লাখ টাকার মধ্যে। ওয়ালটন ফ্রিজে এআইওটি বেজড স্মার্ট প্রযুক্তি, ইন্টেলিজেন্ট ইনভার্টার, ন্যানো হেলথ কেয়ার ও অ্যান্টি ফাংগাল ডোর গ্যাসকেট প্রযুক্তি ব্যবহারের পাশাপাশি সর্বোচ্চ ৩৬ মাসের সহজ কিস্তি সুবিধা ১ বছরের রিপ্লেসমেন্টসহ কম্প্রেসরে ১২ বছরের গ্যারান্টি, ৫ বছরের ফ্রি বিক্রয়োত্তর সেবা, দেশব্যাপী বিস্তৃত সার্ভিস সেন্টার থেকে দ্রুত বিক্রয়োত্তর সেবা দেয়ায় গ্রাহকপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে ওয়ালটন ফ্রিজ।


আরও খবর



মৌসুমের আগেই চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গু

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সাধারণত বর্ষার ঠিক আগে আগে শুরু হয় ডেঙ্গুর প্রকোপ। বছরের মে থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়টাকে ডেঙ্গুর মৌসুম ধরা হয়। তবে গত কয়েক বছর ধরে সারা বছরই কম-বেশি ডেঙ্গু রোগী পাওয়া যাচ্ছে। এ বছর ৯ এপ্রিল পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২২ জন। এ সময়ের মধ্যে ১ হাজার ৭৮৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন। ফলে আশঙ্কা করা হচ্ছে, সামনে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে।  

ডেঙ্গু এডিস মশাবাহিত রোগ। এ রোগের ভাইরাসের একমাত্র বাহক স্ত্রী এডিস মশা। এ মশার মাধ্যমে ভাইরাস মানবদেহে সংক্রমিত হলে ডেঙ্গু হওয়ার আশঙ্কা থাকে। ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট জ্বরে আক্রান্ত ব্যক্তিকে এডিস মশা কামড়ালেও মশার মধ্যে ভাইরাস সংক্রমিত হয়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, ডেঙ্গু আক্রান্ত বাহক অন্য জায়গায় ভ্রমণের মাধ্যমে রোগটি ছড়িয়ে পড়ে। অর্থাৎ একজন আক্রান্ত ব্যক্তি যখন অন্য জায়গায় ভ্রমণ করেন, সেখানে তাকে এডিস মশা কামড়ালে সেই মশার ভেতরেও ডেঙ্গুর জীবাণু ছড়িয়ে পড়ে, আর সেসব মশা যাদের কামড়ায় তাদের ডেঙ্গুরোগ হতে পারে।

বর্ষা মৌসুমে এডিস মশার প্রজনন বৃদ্ধি পায় বলে এ সময় ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয় এমন ধারণা প্রচলিত থাকলেও বিগত কয়েক বছরে দেখা গেছে, উপযুক্ত পরিবেশ পেলে বছরের যেকোনও সময় এ মশার বংশবিস্তার ঘটে এবং ডেঙ্গুরোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এ বছরের জানুয়ারি থেকে ৯ এপ্রিল পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১ হাজার ৭৮৯ জন এবং মারা গেছেন ২২ জন। এর মধ্যে জানুয়ারিতে রোগী ছিল ১ হাজার ৫৫ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৩৩৯ জন এবং মার্চে ৩১১ জন। এপ্রিলের ৯ দিনে রোগী পাওয়া গেছে ৮৪ জন।

গত বছর এযাবৎকালের সর্বাধিক ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন ডেঙ্গুরোগী শনাক্ত হয়। তবে তখন রোগী বেশি ছিল মে থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত। এ বছর জানুয়ারিতেই হাজারের বেশি রোগী পাওয়া গেছে, যা আগে কখনও পাওয়া যায়নি। ২০২২ সালের জানুয়ারিতে রোগী পাওয়া যায় ১২৬ জন, ২০২১ সালের জানুয়ারিতে রোগী ছিল ৩২ জন।

বিগত দিনগুলোর তুলনায় এ বছর মৃত্যুও বেড়েছে। এ বছরের জানুয়ারিতে মারা গেছেন ১৪ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৩ জন এবং মার্চে ৫ জন। গত বছরের জানুয়ারিতে মারা যান ৬ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৩ জন এবং মার্চে কোনও মৃত্যু ছিল না। ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত ডেঙ্গুতে কেউ মারা যায়নি। তার আগে ২০২১ সালেও এই সময়ের মধ্যে এই রোগে মৃত্যুর কোনও ঘটনা ঘটেনি।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, কীটতত্ত্ববিদ ও চিকিৎসকরা বলছেন, এবারে পরিস্থিতি গতবারের চেয়ে নাজুক হতে পারে। সংক্রমণ ও মৃত্যু সেই পূর্বাভাস দিচ্ছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ডা. এবিএম আবদুল্লাহ বলেন, বিভাগীয় ও জেলা শহরে স্বাস্থ্য অবকাঠামো যথেষ্ট আছে। কিন্তু প্রান্তিক পর্যায়ে বেশি রোগী হলে তা সামলানো কঠিন হয়ে যাবে।

রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) এক কীটতত্ত্ববিদ বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতামূলক কার্যক্রম বছরজুড়ে চালাতে হবে। গত বছর আমরা গ্রামাঞ্চলে রোগী পেতে শুরু করেছি। এ বছর এই পরিমাণটা আরও বাড়তে পারে। বাড়লে আমাদের চিকিৎসা সক্ষমতার ওপর অনেক চাপ পড়বে।

কীটতত্ত্ববিদ ড. জি এম সাইফুর রহমান বলেন, ২০১৩ সালের আগ পর্যন্ত আমরা দেখেছি, মার্চ-এপ্রিলে ডেঙ্গুরোগী পাওয়া যায়। ২০১৩ সালের পর থেকে ২০১৬ পর্যন্ত দুই-এক মাস বাদ দিয়ে প্রায় সব মাসেই ডেঙ্গুরোগী পাওয়া গেছে। ২০১৬ থেকে আজ পর্যন্ত প্রতি মাসেই একটি উল্লেখযোগ্য সংখ্যক রোগী পাওয়া যাচ্ছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, এডিস মশার উপদ্রব বন্ধ করতে হবে। চিকিৎসা পরের কথা। চিকিৎসার জন্য যা যা দরকার সেটা নিয়ে আমরা এরইমধ্যে একটা মিটিং করেছি। এখন আবার বসবো যেন চিকিৎসায় কোনও ঘাটতি না হয়।


আরও খবর



ইরানের হামলায় যে ক্ষয়ক্ষতি হলো ইসরায়েলের

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইরানের নজিরবিহীন হামলায় অনেকটাই কুপোকাত ইসরায়েল। দেশটির এখন পর্যন্ত কী পরমিাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা জানাতে নতুন একটি বিবৃতি দিয়েছে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফ দাবি করেছে, ইরানের বিপুলসংখ্যক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন তারা প্রতিহত করেছে। রোববার (১৪ এপ্রিল) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আইডিএফ জানায়, শক্তিশালী আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ব্যবহার করে ইরানের সংখ্যাগরিষ্ঠ হামলা প্রতিহত করেছে তারা। ইসরায়েলি ভূখণ্ড অতিক্রম করার আগেই এই অঞ্চলের কৌশলগত মিত্রদের সঙ্গে আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা অ্যারো ব্যবহার করে তারা হামলা প্রতিহত করেছে বলেও দাবি করে ইসরায়েলের এই বাহিনী।

তবে ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে একটি ঘাঁটিতে কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন আঘাত হেনেছে বলে জানিয়েছে আইডিএফ। এতে সামান্য অবকাঠামোগত ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করে এই বাহিনী। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি ও কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য তুলে ধরে।

অ্যারো প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ধীরগতির ড্রোনের বদলে উচ্চতায় থাকা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরাস্ত করতে পারে। এটির নকশাই এভাবে তৈরি। গাজা যুদ্ধের শুরুতে ইয়েমেন থেকে উৎক্ষেপণ করা হুতিদের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করতে এই প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ব্যবহার করে ইসরায়েল।

আইডিএফের মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বলেছেন, ইরানের হামলায় একজন আহত হওয়ার খবর জেনেছেন তারা। তিনি বলেন, ইরানের বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলে আঘাত হানার পরে একটি সামরিক ঘাঁটিতে সামান্য ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে কোন ঘাঁটিতে কী ধরনের ক্ষতি হয়েছে, তা জানানো হয়নি।

হামলায় কে আহত হয়েছেন, তা নিয়ে হাগারি বিস্তারিত কিছু জানাননি। তবে এর আগে ইসরায়েলের অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবার পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্যারামেডিক সাত বছরের এক মেয়েকে চিকিৎসা দিয়েছে। আরাদ অঞ্চলে বেদুইন অধ্যুষিত এলাকায় গোলার আঘাতে মেয়েটি আহত হয়েছে।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বিবিসিকে জানিয়েছে, দেশটির ভেতরে চলাচলে কিছু নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়েছে। টাইমস অব ইসরায়েলে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, নাগরিকদের আর আশ্রয়কেন্দ্রের কাছে থাকতে হবে না। তবে জমায়েত ও সব ধরনের শিক্ষা কার্যক্রম এবং স্কুলে যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা বহাল রয়েছে।


আরও খবর



পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিল বিজিপির আরও ১২ সদস্য

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

মিয়ানমারের বিজিপির আরও ১২ সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকালে নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউপির আষাঢ়তলী, জামছড়ি ও ঘুমধুম ইউপির রেজু সীমান্ত দিয়ে তারা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।

স্থানীয় সূত্র জানায়, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সরকারি জান্তা বাহিনী সদস্যরা সংঘাতে বিদ্রোহীদের সঙ্গে টিকতে না পেরে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। তাদেরকে নিরস্ত্রীকরণ করে বিজিবির তত্ত্বাবধানে রাখা হয়েছে।

নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আবছার ইমন বলেন, ৮ নম্বর ওয়ার্ড জামছড়ি সীমান্ত দিয়ে ১০ বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। তাদেরকে বিজিবির তত্ত্বাবধানে রাখা হয়েছে।

ঘুমধুম ইউপির ৮ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য বাবুল কান্তি চাকমা জানান, ওয়ার্ডের ফাত্রাঝিরি রেজু আমতলি পাড়া সীমান্ত দিয়ে দুই বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। তাদের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বিজিবির গণসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম সকালে ১২ বিজিপি সদস্য আশ্রয় নেওয়ার বিষয়টি সত্যতা নিশ্চিত করেন।

এর আগে ১৭৭ বিজিপি সদস্য আশ্রয় নিয়েছেন। আশ্রয় নেওয়া সব সদস্যদের নিরস্ত্র করে বিজিবিদের হেফাজতে নেওয়া হয়েছিল।


আরও খবর



দেশের বাজারে ফের কমলো স্বর্ণের দাম

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

সোনার দাম কমানোর ঘোষণা দিয়েছে জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। ভালো মানের সোনার দাম ভরিতে ২ হাজার ৯৯ টাকা কমানো হয়েছে। এখন ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ক‌মে হ‌চ্ছে ১ লাখ ১৪ হাজার ১৯০ টাকা। এর আগে দাম ছিল ১ লাখ ১৬ হাজার ২৯০ টাকা।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এর আগে চল‌তি এপ্রিল মাসের ৬, ৮ ও ১৮ তারিখ সোনার দা‌ম বা‌ড়ি‌য়ে‌ছিল বাজুস। এর ম‌ধ্যে ৬ এপ্রিল বাড়ানো হয়েছিল ১৭৫০ টাকা, ৮ এপ্রিল ১৭৫০ টাকা এবং ১৮ এপ্রিল দুই হাজার ৬৫ টাকা। পরে ২০ এপ্রিল ৮৪০ টাকা কমানোর একদিন পর ২১ এপ্রিল আবার ভরিতে ৬৩০ টাকা বাড়ায় বাজুস। এরপর দুদফায় ভরিতে ৩১৩৮ ও ২০৯৯ টাকা কমানোর ঘোষণা দিলো বাজুস।

সোনার ব্যবসায়ীদের সংগঠনটি জানায়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার দাম কমেছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। ২৪ এপ্রিল বিকেল ৪টা থেকেই নতুন দাম কার্যকর করা হবে।

নতুন দাম অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সোনা ১ লাখ ১৪ হাজার ১৯১ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ১ লাখ ৯ হাজার টাকা, ১৮ ক্যারেটের ৯৩ হাজার ৪২৮ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির সোনার দাম হবে ৭৫ হাজার ২০৯ টাকা।

সোনার দাম কমানো হ‌লেও অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে রুপার দাম। ক্যাটাগরি অনুযায়ী বর্তমানে ২২ ক্যারেটে প্রতি ভরি রুপার দাম দুই হাজার ১০০ টাকা, ২১ ক্যারেটের দাম ২ হাজার ৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের দাম ১৭১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপার দাম ১ হাজার ২৮৩ টাকা।


আরও খবর



জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা পেছানোর নির্দেশ ইসির

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আগামী ৮ মে শুরু হচ্ছে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোট। এদিনের সকল পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি বিশ্ববিদ্যালয়টির ভিসিকে পাঠিয়েছে ইসি।

চিঠিতে বলা হয়েছে, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোটগ্রহণ আগামী ৮ মে অনুষ্ঠিত হবে। ২০২২ সালের অনার্স তৃতীয় বর্ষ (নিয়মিত, অনিয়মিত ও গ্রেড উন্নয়ন) পরীক্ষার সংশোধিত সময়সূচি অনুযায়ী ৮ মে পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে এবং ২০২২ সালের ডিগ্রি পাস ও সার্টিফিকেট কোর্স ১ম বর্ষ পরীক্ষার সংশোধিত সময়সূচি অনুযায়ী ৮ মে পরীক্ষার তারিখ নির্ধারিত রয়েছে। আগামী ২১ মে, ২৯ মে ও ৫ জুন দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ ধাপের নির্বাচনের জন্য নির্ধারিত রয়েছে। ভোটগ্রহণের দিন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহ ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হবে। এ ছাড়া বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, কর্মকর্তা/কর্মচারীকে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

একই দিনে ভোটগ্রহণ ও উল্লিখিত পরীক্ষা কার্যক্রম একসঙ্গে চালানো সম্ভব নয় বলে উক্ত পরীক্ষার সময়সূচি পরিবর্তন করে ৮ মে এর পরিবর্তে অন্য কোনো (২১ মে, ২৯ মে ও ৫ জুন ব্যতীত) তারিখে নির্ধারণের জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত প্রদান করেছেন। এই অবস্থায়, কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুসারে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

ইসির ঘোষিত তপশিল অনুযায়ী, প্রথম ধাপে ১৫০ উপজেলায় ভোট হবে আগামী ৮ মে। দ্বিতীয় ধাপে ১৬০ উপজেলায় ভোট ২১ মে, তৃতীয় ধাপে ১১২ উপজেলায় ২৯ মে ও চতুর্থ ধাপে ৫৫ উপজেলায় ৬ জুন ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপে ২২টি, দ্বিতীয় ধাপে ২৪টি, তৃতীয় ধাপে ২১ ও চতুর্থ ধাপে দুটি উপজেলায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হবে।


আরও খবর