আজঃ মঙ্গলবার ০২ জুলাই 2০২4
শিরোনাম

ওয়ানডে ক্রিকেটকে বিদায় বলে দিলেন স্টোকস

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ জুলাই ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ১৮ জুলাই ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) ডারহামে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচটি হবে বেন স্টোকসের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে শেষ ওয়ানডে। সোমবার (১৮ জুলাই) এক টুইটে এমন ঘোষণা দিয়েছেন ইংল্যান্ডের তারকা অলরাউন্ডার।

ইংল্যান্ডের পক্ষে ১০৪টি ওয়ানডে খেলেছেন স্টোকস। ৩১ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডার নিজেকে কিংবদন্তির কাতারে নিয়ে গেছেন লর্ডসে ২০১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালে ম্যাচসেরা পারফরম্যান্স দেখিয়ে। মঙ্গলবার চেস্টার লি স্ট্রিটে নিজের হোম গ্রাউন্ড সিট ইউনিক রিভারসাইডে শেষ ম্যাচটি খেলবেন স্টোকস।

২০১৯ সালে ইংল্যান্ড প্রথমবারের মতো ওয়ানডে বিশ্বকাপ জেতার কৃতিত্ব দেখায়। সুপার ওভারে গড়ানো শ্বাসরুদ্ধকর ওই ম্যাচে অপরাজিত ৮৪ রানের ইনিংস খেলেছিলেন স্টোকস।

২০১১ সালে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে অভিষেক হয় স্টোকসের। প্রায় ১১ বছরের ক্যারিয়ারে তিনটি সেঞ্চুরিসহ ২৯১৯ রান এবং ৭৪ উইকেট শিকার করেন এই অলরাউন্ডার।

এক বিশাল টুইটবার্তায় স্টোকস তার অবসরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সেই টুইটে তিনি লিখেছেন, আমি ডারহামে মঙ্গলবার ইংল্যান্ডের হয়ে ওয়ানডেতে নিজের শেষ ম্যাচটি খেলব। আমি এই ফরম্যাট থেকে অবসরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

‘আমার জন্য সিদ্ধান্তটা ভীষণ কঠিন ছিল। ইংল্যান্ডের হয়ে আমার সতীর্থদের সঙ্গে খেলাটা আমি প্রতি মিনিটই উপভোগ করেছি। আমাদের অবিশ্বাস্য এক ভ্রমণ ছিল।’

কিন্তু কেন হঠাৎ অবসরের সিদ্ধান্ত? স্টোকস জানালেন, ব্যস্ত ক্রিকেটের ধকল থেকে বের হতেই একটি ফরম্যাট ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এখন কেবল টেস্ট আর টি-টোয়েন্টি নিয়ে ভাবতে চান।

স্টোকস তার টুইটে লিখেছেন, সিদ্ধান্তটা কঠিন হলেও এটা মেনে নেওয়া কঠিন নয় যে আমি আমার সতীর্থদের এই ফরম্যাটে শতভাগ দিতে পারছি না। যারা ইংল্যান্ডের এই জার্সিটা পরেন, তাদের কাছ থেকে দল কখনই কম আশা করে না।’

‌‌‘তিনটি ফরম্যাট এই মুহূর্তে আমার জন্য এখন চালিয়ে যাওয়া কঠিন। ব্যস্ত সূচির জন্য শুধু আমার শরীর যে কুলোচ্ছে না, তাই নয়; আমার মনে হচ্ছে আমি আরেকজন খেলোয়াড়ের জায়গা ধরে আছি যে কিনা জস (অধিনায়ক) এবং তার দলকে আরও বেশি দিতে পারবে।’

‘আমি টেস্ট ক্রিকেটে সব কিছু দিতে প্রস্তুত। এই মুহুর্তে, এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে আমার মনে হচ্ছে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটেও পরিপূর্ণ মনোযোগ দিতে পারব’-যোগ করেন স্টোকস।


আরও খবর



মিয়ানমার থেকে দেশে ফিরেছেন কারাবন্দী ৪৫ বাংলাদেশি

প্রকাশিত:রবিবার ০৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

মিয়ানমারের জেলে বন্দী থাকা ৪৫ জন বাংলাদেশি নাগরিক দেশে ফিরেছেন। রোববার (৯ জুন) সকালে দেশে ফেরেন তারা। এর আগে শনিবার (৮ জুন) সকালে রাখাইন রাজ্যের সিতওয়ে শহরের জেলে বন্দী এসব নাগরিক মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে রওনা হন। তাদের অধিকাংশই কক্সবাজার, নরসিংদী ও নারায়ণগঞ্জ জেলার বাসিন্দা।

রাখাইন রাজ্যে চলমান সংঘাতের কারণে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয়গ্রহণকারী মিয়ানমারের প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যদের ফিরিয়ে নিতে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে আসা মিয়ানমার নৌবাহিনীর একটি জাহাজে করে ওই ৪৫ জন দেশে ফিরেছেন।

গত ২৩ এপ্রিল সর্বশেষ ও বৃহত্তম প্রত্যাবর্তনে ১৭৩ জন বাংলাদেশি নাগরিককে মিয়ানমার থেকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছিল। বাংলাদেশ দূতাবাস, ইয়াঙ্গুন এবং বাংলাদেশ কনস্যুলেট, সিতওয়ের কর্মকর্তাগণ রাখাইনের সিতওয়েতে সশরীরে উপস্থিত থেকে এসব নাগরিকদের পরিচয় যাচাই ছাড়াও তাদের জন্য ভ্রমণের অনুমতি প্রদান (ট্রাভেল পারমিট) এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পুরো প্রক্রিয়ায় সমন্বয় করেন।

প্রসঙ্গত, এই দফায় ৪৫ জনসহ গত এক বছরে মিয়ানমারের বাংলাদেশ দূতাবাস মোট ২৪৭ জন বাংলাদেশি নাগরিককে দেশে ফেরত পাঠাতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে।

নিউজ ট্যাগ: মিয়ানমার

আরও খবর



সর্বজনীন পেনশন স্কিমের নিবন্ধন ৩ লাখ ছাড়ালো

প্রকাশিত:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

কার্যক্রম শুরুর ১০ মাসের মাথায় সর্বজনীন পেনশন স্কিমে নিবন্ধন সংখ্যা ৩ লাখ ছাড়িয়েছে। সোমবার (১০ জুন) দুপুর ১২টার দিকে পেনশন স্কিমে নিবন্ধনের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৩ হাজার ১৭৬ জন। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. শরীফ উদ্দিন গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

বয়স্ক জনগোষ্ঠীকে একটি টেকসই ও সুসংগঠিত সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে ২০২৩ সালের ১৭ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী সর্বজনীন পেনশন স্কিমের শুভ উদ্বোধন করেন।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, উদ্বোধনের পর হতেই জনকল্যাণকর এ কর্মসূচিতে মানুষের উল্লেখযোগ্য আগ্রহ পরিলক্ষিত হচ্ছে। ফলশ্রুতিতে, সর্বজনীন পেনশন স্কিমে নিবন্ধন সংখ্যা ১০ মাসে ৩ লাখের মাইলফলক অতিক্রম করেছে।

বর্তমানে প্রবাস, প্রগতি, সুরক্ষা ও সমতা নামে চারটি স্কিমে নিবন্ধনের সুবিধা চালু রয়েছে। এ চারটি স্কিমের মধ্যে সমতা স্কিমে ২ লাখ ২৪ হাজার ১৬৪ জন, প্রগতি স্কিমে ২১ হাজার ২৯৪ জন, সুরক্ষা স্কিমে ৫৬ হাজার ৯১৯ জন এবং প্রবাস স্কিমে ৭৯৯ জন নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন। এতে চার স্কিমে নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন ৩ লাখ ৩ হাজার ১৭৬ জন।

অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, এরই মধ্যে ৮৭টি এনজিও প্রগতি স্কিমে নিবন্ধিত হয়ে তাদের কর্মচারীদের অনুকূলে সাবস্ক্রিপশন প্রদান করছে। ৫ম স্কিম হিসেবে প্রত্যয়'নামে নতুন স্কিম চালু করা হচ্ছে যা সব স্ব-শাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, ও রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানসমূহের কর্মকর্তা-কর্মচারী যারা ১ জুলাই ২০২৪ থেকে উল্লিখিত প্রতিষ্ঠানে নতুন যোগদান করবেন তাদের ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলকভাবে কার্যকর হবে।

জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ সর্বজনীন পেনশন স্কিম সম্পর্কে জনগণকে আগ্রহী করতে প্রচার-প্রচারনাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। এ লক্ষ্যে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগ, বেসরকারি সংস্থা, জনপ্রতিনিধি, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব, সুশিল সমাজের প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্টদের সম্পৃক্ত করে কার্যক্রম গ্রহণ করা হচ্ছে।

এরই মধ্যে মাঠ প্রশাসনকে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ হতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবকে সভাপতি করে জাতীয় পর্যায়ে সর্বজনীন পেনশন কার্যক্রম বাস্তবায়ন ও সমন্বয় কমিটি গঠন করা হয়েছে।

মাঠ পর্যায়ে সর্বজনীন পেনশন কার্যক্রমকে মনিটরিং ও সমন্বয়ের লক্ষ্যে বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়েও বাস্তবায়ন ও সমন্বয় কমিটি গঠন করে বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের প্রয়োজনীন নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।

সে অনুযায়ী বিভাগীয় পর্যায়ে সর্বজনীন পেনশন মেলা ও কর্মশালার আয়োজন করে সকল শ্রেণি-পেশার জনগণকে সম্পৃক্ত করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এরইমধ্যে গত ১৯ এপ্রিল রাজশাহীতে এবং ৫ মে রংপুর বিভাগে বিভাগীয় পেনশন মেলা ও কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং জেলা পর্যায়ে সর্বজনীন পেনশন মেলা আয়োজনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

মাঠ প্রশাসনকে কার্যকরভাবে সম্পৃক্ত করার ফলে সম্প্রতি সর্বজনীন পেনশন স্কিমে নিবন্ধন সংখ্যা উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে, যার ফলশ্রুতিতে ৩ লাখ নিবন্ধনের এ মাইলফলক অর্জিত হয়েছে এবং সাবস্ক্রিপশন বাবদ মোট ৮৬ কোটি ৬৮ লাখ ৬৮ হাজার ৫০০ টাকা জমা হয়েছে বলে জানিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়।

অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে আরও জানানো হয়েছে, এরই মধ্যে নিবন্ধনকারীদের অর্থ থেকে সরকারি ট্রেজারি বন্ডে ৬২ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে।

সর্বজনীন পেনশন কার্যক্রমে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের (ইউডিসি) উদ্যোক্তাদের সম্পৃক্ত করতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সর্বজনীন পেনশন কার্যক্রমে সক্রিয় সহযোগিতা করতে অনুরোধ করা হয়েছে।

প্রবাস স্কিমে নিবন্ধন প্রত্যাশিত পরিমাণে আনয়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ দূতাবাস সমূহের কূটনৈতিক শাখা ও শ্রম উইং শাখার সঙ্গে জুম প্ল্যাটফর্মে সভা করে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম নেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে। এছাড়া প্রবাস স্কিমে অংশগ্রহণে আগ্রহ সৃষ্টির জন্য জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বিপুল সংখ্যক তথ্যবহুল ফ্লায়ার বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনগুলোত পাঠানো হয়েছে।

বর্তমানে ২টি সরকারি ও ২টি বেসরকারি ব্যাংক এবং একটি মোবাইল ফাইন্যান্সিং সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান সর্বজনীন পেনশন স্কিমে নিবন্ধনসহ মাসিক জমা আদায়ে সম্পৃক্ত আছে। এর আওতা আরো বৃদ্ধির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যার ফলে আরো ৪টি সরকারি ও ৪টি বেসরকারি ব্যাংক ও ১টি মোবাইল ফাইন্যান্সিং সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান খুব শিগগির এ কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত হবে।

এতে করে নিবন্ধন ও মাসিক জমা পরিশোধ সেবা জনগণের জন্য অধিকতর সহজলভ্য হবে। এ প্রক্রিয়ায় সর্বজনীন পেনশন স্কিমে জনগণের অংশগ্রহণের হার আরো দ্রুততর হবে, যা প্রধানমন্ত্রীর এ বিশেষ জনকল্যাণকর কর্মসূচির সফল বাস্তবায়নে সহায়ক হবে বলে জানিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়।


আরও খবর



সেপটিক ট্যাংকে নেমে দুই পরিচ্ছন্নতাকর্মীর মৃত্যু

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৪ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৪ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
শরীয়তপুর প্রতিনিধি

Image

শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলায় সেপটিক ট্যাংক পরিষ্কার করতে নেমে ভেতরের বিষাক্ত গ্যাসে দম বন্ধ হয়ে দুই পরিচ্ছন্নতাকর্মীর মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার রাত দেড়টার দিকে উপজেলার দারুল আমান ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর ডামুড্যা এলাকার কবির সরদারের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

মারা যাওয়া দুই পরিচ্ছন্নতাকর্মী হলেন- বগুড়া জেলার সোনাতলা থানার পশ্চিম টেকানী এলাকার দুলু শেখের ছেলে মালেক শেখ (৪৫) ও পূর্ব টেকানী এলাকার আফসার বেপারীর ছেলে লিটন বেপারী (৩৫)।

স্থানীয় ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, কবির সরদারের বাড়ির সেপটিক ট্যাংক পরিষ্কার করার জন্য ১০ হাজার টাকা চুক্তি করেন মালেক ও লিটন। তারা ট্যাংকের ভেতরে পাইপ বসিয়ে ময়লা অপসারণ করছিলেন। এ সময় লিটন ট্যাংকের ভেতরে নামলে হঠাৎ করেই নিচে পড়ে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করতে মালেক শেখ নামলে তিনিও আর উপরে উঠে আসতে পারেননি। তাদের কোনো সাড়া না পেয়ে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেন বাড়ির লোকজন। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা এসে দুজনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে গেলে চিকিৎসক দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন।

ডামুড্যা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমারত হোসেন বলেন, মরদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর



বাংলাদেশ পুলিশ জনগণের কল্যাণে কাজ করে: আইজিপি

প্রকাশিত:বুধবার ২৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বাগেরহাট প্রতিনিধি

Image

পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সাথে সাংবাদিক নেতাদের বৈঠক হয়েছে, আশা করি বিষয়টি আলোচনার মধ্য দিয়ে নিরসন হবে। সকল প্রকার ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটবে।

বুধবার (২৬ জুন) বিকেলে বাগেরহাটের রামপাল এলাকায় নৌপুলিশের ট্রেনিং একাডেমিক ভবন এবং ফায়ারিং অবজারভেশন ভবনের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপ কালে তিনি একথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ জনগণের কল্যাণে কাজ করে। পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছিটিয়ে থাকে। নৌপুলিশ নদীর নিরাপত্তা বজায় রাখতে কাজ করে যাচ্ছে। তাদের প্রশিক্ষনের জন্য জন্য বাগেরহাটের রামপালে নৌপুলিশের ট্রেনিং একাডেমির একাডেমিক ভবন এবং ফায়ারিং অবজারভেশন ভবনের উদ্বোধন করা হয়। এটি নতুন মাইলফলক হবে এই অঞ্চলের জন্য।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, যেখানে এই ট্রেনিং একাডেমি হয়েছে স্থানটি অনেক সুন্দর। পরবর্তিতে সম্ভব্যতা যাচাই করে এখানে পুলিশ বিভাগের জন্য ট্রেনিং একাডেমি করার পরিকল্পনা রয়েছে।

পুলিশ প্রধান বলেন, আমরা দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়ে দেশের মানুষের আস্থা ও ভালবাসা অর্জন করব, মানুষকে সেবা দিয়ে গর্বিত হব। প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ পুলিশের জনবল বৃদ্ধি করেছেন, দেশে-বিদেশে পুলিশ সদস্যদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছেন, লজিস্টিকস বাড়িয়েছেন। ফলে পুলিশ বাহিনীর সক্ষমতা বেড়েছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নৌপুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি মোহা: আবদুল আলীম মাহমুদ, কেএমপি কমিশনার মোঃ মোজাম্মেল হক, খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি মইনুল হক, বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহা: খালিদ হোসেন, বাগেরহাটের পুলিশ সুপার নৌপুলিশের খুলনা অঞ্চলের পুলিশ সুপার মো: শরীফুর রহমান, বাগেরহাট প্রেসক্লাবের সভাপতি আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল বাকী, সধারণ সম্পাদক মীর জায়েসী আশরাফী জেমসসহ খুলনা রেঞ্জ, নৌপুলিশ খুলনা অঞ্চল, বাগেরহাট জেলা পুলিশ এবং পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এরআগে আইজিপি স্পীডবোট যোগে নৌপুলিশ ট্রেনিং একাডেমির জন্য নির্মিত বিভিন্ন অবস্টাকল, প্যারেড গ্রাউন্ড এবং খেলার মাঠ ঘুরে দেখেন এবং সেখানে চলমান প্রশিক্ষণ এ অংশগ্রহণকারী প্রশিক্ষক ও প্রশিক্ষনার্থীদের সাথে কথা বলেন।

পরে রামপালে নৌপুলিশ ট্রেনিং একাডেমির লেকে মাছের পোনা অবমুক্ত এবং বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন তিনি।


আরও খবর



হাসিনা-মোদি বৈঠকে ১০ সমঝোতা স্মারক সই

প্রকাশিত:শনিবার ২২ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২২ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর স্বাক্ষরিত হয়েছে ১০টি সমঝোতা স্মারক। যার মধ্যে ৩টি সমঝোতা নবায়ন করা হয়েছে।

শনিবার (২২ জুন) স্থানীয় সময় বেলা সাড়ে ১২টার পর ভারত সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকে বসেন। দিল্লির হায়দরাবাদ হাউসে অনুষ্ঠিত দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে এসব সমঝোতা স্মারক সই হয়।

সই হলো যেসব সমঝোতা স্মারক:

১. বাংলাদেশ-ভারত ডিজিটাল পার্টনারশিপ।

২. ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ গ্রিন পার্টনারশিপ।

৩. সমুদ্র সহযোগিতা ও সুনীল অর্থনীতি।

৪. স্বাস্থ্য ও ওষুধ সংক্রান্ত পুরনো সমঝোতা নবায়ন।

৫. ভারতের ইন-স্পেস এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সমঝোতা।

৬. দুই দেশের রেল মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সংযোগ সংক্রান্ত সমঝোতা।

৭. সমুদ্র বিষয়ক গবেষণায় দুই দেশের সমঝোতা।

৮. দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও প্রশমনে ভারতের ন্যাশনাল ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি ও বাংলাদেশ ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের বিদ্যমান সমঝোতা নবায়ন।

৯. মৎস্যম্পদের উন্নয়নে বিদ্যমান সমঝোতা নবায়ন।

১০. কৌশলগত ও অপারেশনাল খাতে সামরিক শিক্ষা সহযোগিতায় ডিফেন্স সার্ভিসেস স্টাফ কলেজ, ওয়েলিংটন-ইন্ডিয়া এবং মিরপুর ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজের মধ্যে সমঝোতা।

শনিবার সকাল ১০টার দিকে দিল্লির রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধীর সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান শেখ হাসিনা। এর আগে দিল্লির স্থানীয় সময় ৯টার দিকে ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে যান শেখ হাসিনা। সেখানে তাকে রাজকীয় সংবর্ধনা ও গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। এরপর শেখ হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিসহ দেশটির মন্ত্রী ও পদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। এ সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও সেখানে উপস্থিত বাংলাদেশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।

সকাল ১০টার দিকে দিল্লির রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধীর সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান শেখ হাসিনা। এরপর সেখানে থাকা পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেন।

এর আগে গতকাল শুক্রবার (২১ জুন) নয়াদিল্লির তাজ হোটেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করেন ভারতের শিল্পপতিদের সংগঠন কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রির (সিআইআই) প্রতিনিধিরা। এই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়াতে ভারতের শিল্পপতিদের আহ্বান জানান।

সন্ধ্যায় একই হোটেলে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর। পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রাসহ দুদেশের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী চলে এই সৌজন্য বৈঠক।

এই বৈঠকের পর তাজ প্যালেসেই সাংবাদিকদের প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া জানান, অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই সফরের বহুমাত্রিক তাৎপর্য রয়েছে। বাংলাদেশ নিয়ে ভারতের বিশেষ আগ্রহ স্পষ্ট হচ্ছে আঞ্চলিক প্রেক্ষাপটেও।


আরও খবর