আজঃ শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪
শিরোনাম

যে পথে বাংলাদেশের সেমিফাইনাল

প্রকাশিত:রবিবার ২৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৩ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

হারলেই বিদায়। জিতলে টিকে থাকবে বিশ্বকাপ স্বপ্ন। এমন ম্যাচেই অবিশ্বাস্যভাবে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে দিল আফগানিস্তান। অসিদের বিপক্ষে ২১ রানের জয়ে ইতিহাস গড়ল আফগানরা। সেই সঙ্গে বাংলাদেশকেও সুখবর দিয়েছে রশিদ খানেদ দল।

আফগানদের জয়ে শেষ চারের আশা এখনও বেঁচে রইল বাংলাদেশের। চলুন দেখে নেওয়া যাক শেষ চারে যেতে কোন সমীকরণ মেলাতে হবে বাংলাদেশকে!

আফগানদের জয়ে জমে উঠেছে গ্রুপ ওয়ানের লড়াই। এই গ্রুপে ভারতের দুই জয়ে পয়েন্ট ৪। সেমির পথে এক পা বাড়িয়েই রেখেছেন রোহিতরা। অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়া-আফগানিস্তান দুদলের পয়েন্টই সমান দুই। এমনকি দুই দলের সামনেই শেষ চারে যাবার সুবর্ন সুযোগ।

অন্যদিকে শূন্য পয়েন্ট নিয়ে তলানিতে থাকা বাংলাদেশের আশাও এখনও বেঁচে আছে। সেক্ষেত্রে সুপার এইটে নিজেদের শেষ ম্যাচে যে করেই হোক আফগানিস্তানকে হারাতেই হবে বাংলাদেশের।

আফগানদের হারালে বাংলাদেশের তাকিয়ে থাকতে হবে ভারত-অস্ট্রেলিয়ার ম্যাচের দিকে। ওই ম্যাচে যদি অসিরা হেরে যায় তাহলে বাংলাদেশ, অস্ট্রেলিয়া ও আফগানিস্তান তিন দলেরই পয়েন্ট হবে সমান দুই। সেক্ষেত্রে রান রেটে যে এগিয়ে থাকবে সে যাবে ভারতের সঙ্গে সেমিতে। সে জন্য নিজেদের আশা বাঁচাতে যে করেই হোক আফগানদের বিপক্ষে বিশাল ব্যবধানেই জিততে হবে বাংলাদেশকে। কারণ নেট রান রেটে আফগানিস্তান ও অস্ট্রেলিয়া থেকে পিছিয়ে সবার নিচে আছে বাংলাদেশ। তাই বড় ব্যবধানে জিতলেই কেবল সমীকরণ মিলিয়ে শেষ চারে যেতে পারবে বাংলাদেশ। আপাতদৃষ্টিতে যা কঠিন হলেও ক্রিকেটের সবুজ গালিচায় অসম্ভব কিছু নয়। বাংলাদেশের শেষ ম্যাচ ২৫ জুন, বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায়!


আরও খবর



সুরমা-কুশিয়ারাসহ সুনামগঞ্জের ২০টি নদী খনন করা হবে

প্রকাশিত:শুক্রবার ২১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
এস এ শফি, সিলেট

Image

পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেছেন, সিলেটবাসীকে বন্যার কবল থেকে রক্ষা করতে সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামীতে সিলেট ও সুনামগঞ্জের বন্যাকবলিত এলাকা কীভাবে সহনীয় পর্যায় নিয়ে আসতে পারি সে লক্ষ্যে আমরা আলোচনা করেছি। সামগ্রিকভাবে সুরমা-কুশিয়ারা নদী খনন করব, সেই সঙ্গে সুনামগেঞ্জর ছোট বড় ২০টি নদী আমরা খনন করব।

শুক্রবার (২১ জুন) সকালে সিলেট নগরীর কিন ব্রিজ এলাকায় সুরমা নদী পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন।

পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ইতোমধ্যে সুরমা নদীর ১৫ কিলোমিটারের মধ্যে ১২ কিলোমিটার খনন কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বন্যার পানি কমে গেলে বাকিটুকু খনন করা হবে। এই খনন কাজ করলে নদীতে উজান থেকে নেমে আসা পানির ধারন ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। এ লক্ষ্যে আমি স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডকে নির্দেশনা দিয়েছি। উজান থেকে যে পরিমাণ পানি আসে তা ধারণ করার ক্ষমতা তৈরি করার জন্য যে সকল নদী ও খাল খনন করার দরকার সিলেটের প্রধান প্রকৌশলীকে তা খনন করার নির্দেশনা দিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিলেটের বন্যার খোঁজখবর রাখছেন। তিনি আমাকে সব সময় সজাগ থেকে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন। আমার আসার আগে এই সিলেটে ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রীকেও তিনি পাঠিয়েছেন। সার্বক্ষণিক তিনি সিলেটের খবর রাখছেন এবং সিলেটবাসীকে বন্যার কবল থেকে রক্ষা করার জন্য যা যা করণীয় তা করার নির্দেশনা দিয়েছেন।

এ সময় সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাস, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা সাজলু লস্কর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

নিউজ ট্যাগ: সিলেট

আরও খবর



রাজধানীতে কখন কোথায় ঈদের জামাত

প্রকাশিত:রবিবার ১৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে সোমবার (১৭ জুন)। বরাবরের মতো এবারও সকাল সাড়ে ৭টায় ঈদুল আজহার প্রধান জামাত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে।

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, মন্ত্রিসভার সদস্য, সংসদ সদস্য, রাজনীতিবিদসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষ ঈদের প্রধান জামাতে অংশ নেবেন।

তবে প্রতিকূল আবহাওয়া বা অন্য কোনো কারণে জাতীয় ঈদগাহে ঈদের নামাজ আদায় করা সম্ভব না হলে রাষ্ট্রপতি সকাল ৮টায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ঈদের নামাজ আদায় করবেন।

বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে এবারও পাঁচটি জামাত হবে। সকাল ৭টা, সকাল ৮টা, সকাল ৯টা, সকাল ১০টায় এবং ১০টা ৪৫ মিনিটে এসব জামাত হবে। জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় ঈদুল আজহার জামাত হবে সকাল সাড়ে ৮টায়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে সকাল ৮টায় এবং ৯টায় দুটি জামাত হবে। এছাড়া সলিমুল্লাহ মুসলিম হল মসজিদে সকাল ৭টায়, ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হলে সকাল ৮টায় ও ফজলুল হক মুসলিম হলের পূর্ব পাশের খেলার মাঠে সকাল ৮টায় জামাত হবে।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) খেলার মাঠে সকাল ৭টায় হবে ঈদের জামাত। এছাড়া সকাল ৮টায় আজিমপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আবাসিক এলাকার বায়তুন নূর জামে মসজিদে; সকাল ৮টায় মগবাজারের বিটিসিএল (সাবেক টিঅ্যান্ডটি) কলোনির জামে মসজিদে ঈদের জামাত হবে।

ধানমন্ডির ৩ নম্বর রোডের এনায়েত মসজিদে সকাল সাড়ে ৭টায়, ৭ নম্বর রোডের বাইতুল আমান মসজিদে সকাল ৮টায়, ১২এ রোডের তাকওয়া মসজিদে সকাল ৮টায়, সোবহানবাগ মসজিদে সকাল ৮টায় ঈদের জামাত হবে।

গুলশান সেন্ট্রাল মসজিদ অ্যান্ড ঈদগাহে ঈদের নামাজের তিনটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত সকাল ৬টায়, দ্বিতীয় জামাত সকাল সাড়ে ৭টায় এবং তৃতীয় জামাত ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে।

মিরপুর ১২ এর হারুণ মোল্লাহ ঈদগাহ, পার্ক ও খেলার মাঠে সকাল ৭টায় নামাজ অনুষ্ঠিত হবে।

বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার মারকাজুল ফিকরিল ইসলামিতে (বসুন্ধরা কমপ্লেক্স) সকাল ৭টায়, বসুন্ধরা সি ব্লকের উম্মে কুলসুম জামে মসজিদে ৭টা ১৫ মিনিটে, এফ ব্লক জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৭টায়, জি ব্লকের বায়তুল জান্নাত জামে মসজিদে সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটে, কে ব্লকের মদিনাতুল উলুম মাদরাসায় ৭টা ৪৫ মিনিটে এবং এন ব্লকের ফকিহুল মিল্লাত জামে মসজিদে সকাল ৮টায় ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর



ঈদের আগেই প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘরে উঠবে ১৮ হাজার পরিবার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সবার জন্য আবাসন নিশ্চিতকরণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্নের প্রকল্প আশ্রয়ণ-২। প্রকল্পটির আওতায় এবার জমিসহ বিনামূল্যে ঘর পাচ্ছেন আরও ১৮ হাজার ৫৬৬ ভূমি ও গৃহহীন পরিবার। এর মধ্য দিয়ে দেশের আরও ২৬টি জেলার সব উপজেলাসহ মোট ৭০টি উপজেলাকে ভূমি ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করা হবে। মঙ্গলবার (১১ জুন) বেলা ১১টায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে পঞ্চম পর্যায়ের দ্বিতীয় ধাপে দেওয়া এসব ঘর বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী।

আসন্ন ঈদুল আজহার আগেই শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে ঈদ উপহার হিসেবে ঘরগুলো হস্তান্তর করা হবে অসহায় পরিবারগুলোর মাঝে। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ, ভোলার চর ফ্যাশন ও কক্সবাজারের ঈদগাঁও এলাকার উপকারভোগীদের সঙ্গে কথাও বলবেন।

আশ্রয়ণ প্রকল্পের কর্মকর্তারা জানান, ঢাকা, গোপালগঞ্জ, শরীয়তপুর, ফরিদপুর, নেত্রকোনা, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী, কুমিল্লা, ফেনী, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট, নীলফামারী, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, সাতক্ষীরা, যশোর, খুলনা, নড়াইল, বাগেরহাট, বরগুনা, বরিশাল, হবিগঞ্জ ও সুনামগঞ্জের সব উপজেলাসহ মোট ৭০টি উপজেলা ভূমি ও গৃহহীনমুক্ত হচ্ছে।

এ হিসেবে আগে ঘোষিত জেলা-উপজেলাসহ মোট ৫৮টি জেলা ও ৪৬৪টি উপজেলা ভূমি ও গৃহহীনমুক্ত হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, ১৯৭২ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গৃহহীনদের পুনর্বাসন কর্মসূচি শুরু করেন। বঙ্গবন্ধুর এ কর্মসূচিকে অনুসরণ করে তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৭ সালে আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে গৃহ ও ভূমিহীনদের ঘর ও জমির মালিকানা দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেন।

আশ্রয়ণ প্রকল্প ও অন্যান্য প্রকল্পের আওতায় ১৯৯৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত সারা দেশে ৮ লাখ ৬৭ হাজার ৯০৪ ভূমি ও গৃহহীন পরিবারের প্রায় ৪৩ লাখ ৪০ হাজার মানুষকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। শুধুমাত্র আশ্রয়ণ প্রকল্পের অধীনে পুনর্বাসন করা হয়েছে ৫ লাখ ৮২ হাজার ৫৩ ভূমি ও গৃহহীন পরিবারের ২৯ লাখ ১০ হাজার ২৬৫ জনকে। এর মধ্যে শুধুমাত্র মুজিব শতবর্ষেই পুনর্বাসন করা হয়েছে ২ লাখ ৬৬ হাজার ১২টি ভূমি ও গৃহহীন পরিবারকে।


আরও খবর



নারীদের জন্য জিপিএইচ ইস্পাতের ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প

প্রকাশিত:শনিবার ০৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৮ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

জিপিএইচ ইস্পাত লিমিটেডের চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড কুমিরাস্থ প্ল্যান্টে কর্মরত নারী ও পুরুষ কর্মকর্তাদের পরিবারের নারী সদস্যদের জন্য সম্প্রতি দিনব্যাপী ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

জিপিএইচ ইস্পাতের সিওও টি মোহন বাবু এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করে বলেন, সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে জিপিএইচ নারীদের জন্য এ ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের আয়োজন করেছে।

এতে নারীদের সেবা দেন অ্যাপোলো ইমপেরিয়াল হাসপাতালের গাইনি বিভাগের চিকিৎসক ডা. সাবিনা ইয়াসমিন ও ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগের ডা. অনামিকা দত্ত।  

জিপিএইচ ইস্পাতের চিফ পিপল অফিসার শারমিন সুলতান বলেন, পরিবারের নারী সদস্যরা সুস্থ থাকলে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দুশ্চিন্তাহীন থাকবেন এবং দক্ষতার সঙ্গে কাজ করবেন।

জিপিএইচ ইস্পাতের মিডিয়া অ্যাডভাইজার অভীক ওসমান বলেন, মানুষের সেবায় সবসময়ই জিপিএইচ কাজ করে চলেছে। অতীতে করোনাকালীন জিপিএইচ ফ্রি অক্সিজেন সেবা ছাড়াও বর্তমানে স্থানীয় বাসিন্দাদের স্বাস্থ্য সেবায় হেলথ চেকআপ, বিশেষায়িত চিকিৎসা হেলথটক, চক্ষু শিবির, ডায়াবেটিস স্ক্রিনিং, শিশু স্বাস্থ্যসেবা ও খৎনা সম্পন্ন করেছে।

নিউজ ট্যাগ: জিপিএইচ ইস্পাত

আরও খবর



সিলেটে বন্যায় মৎস্য খাতে প্রায় ২০ কোটি টাকার ক্ষতি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
এস এ শফি, সিলেট

Image

টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় সিলেটের মৎস্যখাতে ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। এতে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন জেলার মৎস্য চাষী ও খামারিরা। টানা বর্ষণ আর পাহাড়ি ঢলে জেলার জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, কানাইঘাট, জকিগঞ্জ উপজেলায় ঢলের পানিতে ভেসে গেছে ১ হাজার ৫৮৩ দশমিক ৪৮ হেক্টর মাছের ঘের। সৃষ্ট বন্যায় সব মিলিয়ে প্রায় ১৯ কোটি ৭৩ লাখ ৪০ হাজার টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে বলে জেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে।

বিশেষ করে জৈন্তাপুর, জকিগঞ্জ, গোয়াইনঘাটসহ বিভিন্ন উপজেলায় শত-শত পুকুর বন্যার পানিতে ভেসে যায়। কোন কোন পুকুরের চিহ্ন ও দেখা যায়নি। আর বেশিরভাগ পুকুর বিশাল জলারাশির নিচে ঢাকা পড়ে যায়। খামারীরা শেষ চেষ্টা হিসেবে জাল ও নেট দিয়ে মাছগুলো আগলের রাখার শেষ চেষ্টা করলেও পানির তোড়ের কাছে তারা হার মানে না।

সিলেট জেলা মৎস্য কর্মকর্তা সীমা রাণী বিশ্বাস স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানা গেছে, বন্যার পানিতে ভেসে গেছে ৭ হাজার ৩৮২ জন মৎস্য চাষী ও খামারির ৮ হাজার ২৫৮টি পুকুর, দিঘি ও মৎস্য খামারের ৮ শত ৪৯ দশমিক ২৫ মেট্রিক টন মাছ ও ৫৬ দশমিক ৮৫ লাখ মাছের পোনা। এতে ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১৯ কোটি ৭৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা। এর মধ্যে মাছের মূল্য ১৬ কোটি ২৫ লাখ ৬০ হাজার, পোনার মূল্য ২ কোটি ৬৩ লাখ ৩০ হাজার ও অবকাঠামোগত ক্ষতি হয়েছে ৮৪ লাখ ৫০ হাজার টাকার। ক্ষতিগ্রস্ত পুকুর, দিঘি ও খামারের আয়তন ১ হাজার ৫৮৩ দশমিক ৪৮ হেক্টর।

জেলার জকিগঞ্জ উপজেলায় ৯০০ জন মৎস্য চাষী ও খামারির ৭৫০টি পুকুর, দিঘি ও মৎস্য খামারের ২৬০ মেট্রিক টন মাছ ও ১৪ লাখ মাছের পোনা। এতে ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৬ কোটি ২০ লাখ টাকা। এর মধ্যে মাছের মূল্য ৫ কোটি ৭২ লাখ, পোনার মূল্য ৪২ লাখ ও অবকাঠামোগত ক্ষতি হয়েছে ৬ লাখ টাকার। ক্ষতিগ্রস্ত পুকুর, দিঘি ও খামারের আয়তন ৫১০ হেক্টর।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ২৯ জন মৎস্য চাষী ও খামারির ২৯টি পুকুর, দিঘি ও মৎস্য খামারের ১০৫ দশমিক ২৫ মেট্রিক টন মাছ ও ৭ লাখ ২৫ হাজার মাছের পোনা। এতে ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১ কোটি ৭৩ লাখ ১০ হাজার টাকা। এর মধ্যে মাছের মূল্য ১ কোটি ২৯ লাখ ৬০ হাজার, পোনার মূল্য ৩৫ লাখ ও অবকাঠামোগত ক্ষতি হয়েছে ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকার। ক্ষতিগ্রস্ত পুকুর, দিঘি ও খামারের আয়তন ২০ দশমিক ৪৫ হেক্টর।

গোয়াইনঘাট উপজেলার ১ হাজার ৭০০ মৎস্য চাষী ও খামারির ২ হাজার ১০০টি পুকুর, দিঘি ও মৎস্য খামারের ৩৫০ মেট্রিক টন মাছ ও ২২ লাখ মাছের পোনা। এতে ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৭ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে মাছের মূল্য ৬ কোটি ৯৮ লাখ, পোনার মূল্য ৬০ লাখ ও অবকাঠামোগত ক্ষতি হয়েছে ২৫ লাখ টাকার। ক্ষতিগ্রস্ত পুকুর, দিঘি ও খামারের আয়তন ৩১০ হেক্টর।

জৈন্তাপুর উপজেলার ১ হাজার ৯৫৩ জন মৎস্য চাষী ও খামারির ২ হাজার ৭৫টি পুকুর, দিঘি ও মৎস্য খামারের ২৪ মেট্রিক টন মাছ ও ২১ দশমিক ৬০ লাখ মাছের পোনা। এতে ক্ষতি হয়েছে প্রায় ২ কোটি ১৫ লাখ ৩০ হাজার টাকা। এর মধ্যে মাছের মূল্য ৭২ লাখ, পোনার মূল্য ১ কোটি ৮ লাখ ৩০ হাজার ও অবকাঠামোগত ক্ষতি হয়েছে ৩৫ লাখ টাকার। ক্ষতিগ্রস্ত পুকুর, দিঘি ও খামারের আয়তন ৩৩৬ দশমিক ০৩ হেক্টর।

কানাইঘাট উপজেলার ২ হাজার ৮০০ জন মৎস্য চাষী ও খামারির ৩ হাজার ৩০০টি পুকুর, দিঘি ও মৎস্য খামারের ১১০ মেট্রিক টন মাছ ও ৬ লাখ মাছের পোনা। এতে ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১ কোটি ৮২ লাখ টাকা। এর মধ্যে মাছের মূল্য ১ কোটি ৫৪ লাখ, পোনার মূল্য ১৮ লাখ ও অবকাঠামোগত ক্ষতি হয়েছে ১০ লাখ টাকার। ক্ষতিগ্রস্ত পুকুর, দিঘি ও খামারের আয়তন ৪০৭ হেক্টর।

জৈন্তাপুর এলাকার এক মাছ চাষী বলেন, পুকুরে মাছ চাষের জন্য ঋণ নিয়েছি। বন্যার শুরুতে পুকুরের চারদিকে ঘের দিয়ে মাছ বাঁচানোর চেষ্টা করেও লাভ হয়নি। বন্যার তোড়ে সব মাছ ভেসে গেছে। একই উপজেলার আরেক মাছ চাষী বলেন, নির্ঘম রাত কাটিয়েও রক্ষা করতে পারিনি স্বপ্নের খামারটি। চোখের সামনেই ভেসে গেছে মাছ।

ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্য খামারিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ভেসে যাওয়া মাছের মধ্যে তেলাপিয়া, পাঙাশ, কাতল, রুই ও অন্যান্য জাতের মাছ ছিল। আকস্মিক সৃষ্ট বন্যায় তারা লোকসানের মুখে পড়েছেন। মাছের পাশাপাশি পোনা উৎপাদনের হ্যাচারি ভেসেও সকল পোনা চলে গেছে। এ অবস্থায় চরম ক্ষতির মুখে পড়েছেন তারা। মৎস্য চাষীদের অনেকে বেশি সুদে ঋণ নিয়ে মাছ চাষ করেছিলেন। এখন মাছ ভেসে যাওয়ায় একদিকে সংসার চালানোর চিন্তা, অন্যদিকে ঋণ শোধের চিন্তা। সব মিলিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন তারা। ক্ষয়ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে নিতে মৎস্য ঋণ মওকুফ ও সরকারি সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করলে আগামী দিনে নতুনভাবে মৎস্য চাষে আগ্রহী হবেন বলে জানান মৎস্য চাষীরা।

সিলেট জেলা মৎস্য অফিসের সিনিয়র সহকারী পরিচালক সীমা রাণী বিশ্বাস আলাপকালে জানান, ভেসে যাওয়া মাছের মধ্যে দেশি মাছের সংখ্যা ছিল বেশি। এ ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে। প্রাথমিকভাবে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে খামারিদের ক্ষয়ক্ষতির প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। বরাদ্দ পাওয়া গেলে খামারিদের সহায়তা করা হবে।


আরও খবর