আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

যুক্তরাষ্ট্র জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকার অনুমোদন দিল

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২১ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

করোনা প্রতিরোধে তৃতীয় কোন ভ্যাক্সিন হিসেবে বেলজিয়ামের আবিষ্কৃত জনসনের টিকা অনুমোদন দিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এর আগে ফাইজার-বায়োনটেকের টিকা অনুমোদন দিয়েছে করোনায় সর্বোচ্চ ক্ষতিগ্রস্ত দেশটি। খবর বিবিসির।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়, বেলজিয়ামের জনসেন কোম্পানি এক ডোজের এই টিকা উৎপাদন করেছে। আগামী সপ্তাহের শুরুর দিকে যুক্তরাষ্ট্রে জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা পাওয়া যাবে। জুনের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে তারা ১০০ মিলিয়ন টিকা দেবে বলে কোম্পানির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বলছে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে জনসন অ্যান্ড জনসন কোম্পানির তৈরি এক ডোজের ভ্যাকসিন নিরাপদ ও কার্যকর। অন্য টিকার মতো জনসনের টিকায় দুটি ডোজ নেয়ার প্রয়োজন হয় না।

নিয়ন্ত্রকদের এই স্বীকৃতির তিন দিনের মাথায় ভ্যাক্সিনটি অনুমোদন দিল বাইডেনের দেশ। যা সে দেশে অনুমোদন পাওয়া কোভিড-১৯ এর তৃতীয় ভ্যাকসিন এবং ফাইজার ও মডার্নার টিকার অর্থ-সাশ্রয়ী বিকল্প।

জনসনের এই টিকা রেফ্রিজারেটরের স্বাভাবিক তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা যাবে। কোন ফ্রিজারের প্রয়োজন পড়বে না। মানব দেহের ওপর জনসনের এই ভ্যাকসিনের পরীক্ষায় দেখা গেছে, এটি সার্বিকভাবে করোনার বিরুদ্ধে ৬৬% কার্যকর। ব্রিটেন, ইইউ এবং কানাডাও এই টিকা কেনার অর্ডার দিয়েছে। দরিদ্র দেশগুলোর সহায়তায় জনসন কোভ্যাক্স কর্মসূচির আওতায় ৫০ কোটি ডোজ টিকা সরবরাহ করবে।

যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন এফডিএ তাদের কাছে জনসন অ্যান্ড জনসনের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান জ্যানসেনের দাখিল করা তথ্য-উপাত্ত প্রকাশ করেছে যেখানে মানবদেহের ওপর তাদের টিকার কার্যকারিতার পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে।

পর্যালোচনা শেষে এই টিকার কার্যকারিতা সম্পর্কে এফডিএ বলছে, কোভিড-১৯ এর উপসর্গ-যুক্ত অসুস্থতা এবং গুরুতর অসুস্থতা - এই দুই ক্ষেত্রেই জনসনের টিকা কার্যকর দেখা গেছে। যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ব্রাজিলে মানব দেহের ওপর জনসনের টিকার পরীক্ষায় দেখা গেছে, ভাইরাসের তীব্র সংক্রমণের বিরুদ্ধে এই ভ্যাকসিন উচ্চমাত্রায় একই রকম কার্যকর।

কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকা ও ব্রাজিলে কোভিডের নতুন ধরনের বিরুদ্ধে এটি কম কার্যকর বলে দেখা গেছে। তথ্য-উপাত্তে দেখা গেছে, গুরুতর অসুস্থতার ক্ষেত্রে জনসনের টিকা ৮৫ শতাংশেরও বেশি কার্যকর। তবে সার্বিকভাবে মধ্যম মাত্রার অসুস্থতার বিরুদ্ধে এটি ৬৬ শতাংশ কার্যকর।

ওষুধ বিশেষজ্ঞদের একটি কমিটি শুক্রবার এক বৈঠকে বসে জনসনের টিকার অনুমোদন দেয়া এফডিএর উচিত হবে কি না, সে বিষয়ে সুপারিশ করবে। হোয়াইট হাউসের একজন কর্মকর্তা বলছেন, এফডিএ-র জরুরি অনুমোদন সাপেক্ষে আগামী সপ্তাহের মধ্যে জনসনের অন্তত তিন কোটি ডোজ টিকা বিতরণ করা যাবে বলে প্রশাসন আশা করছে।

জনসন অ্যান্ড জনসন বলেছে, মার্চ মাসের শেষ নাগাদ তারা দুই কোটি ডোজ টিকা সরবরাহ করার পরিকল্পনা করছে। এবং মার্কিন সরকারের সাথে চুক্তি মতো আগামী জুনের মধ্যে তারা ১০ কোটি ডোজ টিকা সরবরাহ করবে।

কোভিড-১৯ প্রতিরোধে যেখানে ফাইজার ও মডার্নার টিকায় দুটি ডোজের প্রয়োজন হয়, সেখানে জনসনের টিকা শুধু এক ডোজই লাগবে না বরং টিকাদানের জন্য রোগীদের জন্য কম অ্যাপয়েন্টমেন্টের প্রয়োজন হবে এবং কম সংখ্যক চিকিৎসাকর্মী লাগবে।


আরও খবর



চোখ রাঙাচ্ছে ফ্লু ভাইরাস, রূপ নিতে পারে মহামারীতে

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
স্বাস্থ্য ডেস্ক

Image

অদূর ভবিষ্যতে মহামারীতে রূপ নিতে পারে ফ্লু ভাইরাস, এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। আগামী সপ্তাহে প্রকাশিত হতে যাওয়া একটি আন্তর্জাতিক গবেষণা অনুযায়ী, অভিজ্ঞ রোগ বিশেষজ্ঞদের প্রায় ৫৭ শতাংশই মনে করছেন ফ্লু ভাইরাসের একটি স্ট্রেইন আগামীতে বিশ্বজুড়ে মহামারীর কারণ হতে পারে।

কলোগনি ইউনিভার্সিটির সালম্যানটন গার্সিয়া দীর্ঘ সময় ধরে তার করা সমীক্ষায় দেখান যে ইনফ্লুয়েঞ্জা প্রতিনিয়ত বিবর্তিত হচ্ছে এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এ ভাইরাসের ধরনে নানা পরিবর্তন আসছে।

তিনি বলেন, প্রতি শীতেই ইনফ্লুয়েঞ্জার প্রকোপ দেখা দেয়। এটাকে ছোটখাটো মহামারীই বলা চলে। ইনফ্লুয়েঞ্জা কম-বেশি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়, কারণ বেশিরভাগ ধরন তুলনামূলক কম ক্ষতিকারক। তবে আগামীতেও যে এটি এমনই থাকবে তা তো নিশ্চিত নয়।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন ফ্লুর পরে বড় মহামারীটি ডিজিজ এক্স নামক ভাইরাস থেকে আসতে পারে। তবে ভাইরাসটি বিজ্ঞানীদের কাছে এখনও অজানা। গবেষণা অনুযায়ী, প্রায় ২১ শতাংশ বিশেষজ্ঞ বিশ্বাস করেন পরবর্তী মহামারী একটি নতুন অণুজীবের কারণে ঘটবে, যা এখন পর্যন্ত শনাক্ত করা যায়নি। এটা সেভাবেই পৃথিবীকে আক্রমণ করবে, যেভাবে হুট করেই ঠিক সার্স-কোভ-২ ভাইরাস ২০১৯ সালে আক্রমণ করেছিল।

অন্যদিকে, প্রায় ১৫ শতাংশ বিজ্ঞানী মনে করেন কোভিড-১৯ ভাইরাসই এখন পর্যন্ত আগামী মহামারীর হুমকি হিসেবে রয়ে গেছে।

গত সপ্তাহে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ইনফ্লুয়েঞ্জার এইচফাইভএনওয়ান (H5N1) স্ট্রেইনের উদ্বেগজনক বিস্তার সম্পর্কে আশঙ্কা প্রকাশ করে জানিয়েছে, বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ মানুষ এভিয়ান ফ্লুতে আক্রান্ত হচ্ছে। ২০২০ সালে শুরু হওয়া এ প্রাদুর্ভাবে এরই মধ্যে লাখ লাখ হাঁস-মুরগির মৃত্যু হয়েছে এবং লাখ লাখ বন্যপাখি নিশ্চিহ্ন হয়েছে।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ১২টি রাজ্যে ভাইরাসটি স্তন্যপায়ী প্রজাতির মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে, যার মধ্যে গৃহপালিত গবাদিপশুও রয়েছে। এটি মানুষকেও আক্রান্ত করার ঝুঁকি বাড়াচ্ছে।

হ্যাটফিল্ডের রয়্যাল ভেটেরিনারি কলেজের ড্যানিয়েল গোল্ডহিল গত সপ্তাহে নেচার জার্নালে বলেন, ভাইরাসটি যত বেশি স্তন্যপায়ী প্রাণীর প্রজাতিকে সংক্রমিত করে, ততই এটি মানুষের জন্য বিপজ্জনক স্ট্রেইনে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা প্রবল হয়।’

গ্লাসগো ইউনিভার্সিটির ভাইরোলজিস্ট এড হাচিনসন বলেন, এইচফাইভএনওয়ান ভাইরাসের উপস্থিতি বিস্ময়কর ছিল। এর আগে প্রাণীদের মধ্যে শূকর এতে আক্রান্ত হলেও গবাদিপশুর ওপর এভিয়ান ফ্লুর আক্রমণ একেবারেই নতুন ছিল। তারা এ রোগের নিজস্ব স্ট্রেইনে আক্রান্ত হয়েছিল। তাই গরুতে এইচফাইভএনওয়ানের উপস্থিতি একটি বিরাট ধাক্কা হিসেবে এসেছে।’

এর মানে হলো- ভাইরাসটি আরও বেশিসংখ্যক খামারের প্রাণীতে এবং তারপর খামারের প্রাণী থেকে মানুষের মধ্যে প্রবেশের ঝুঁকি বেড়েছে। ভাইরাসটি যত বেশি ছড়াবে, ততই এটির পরিবর্তন হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। ফলে এটি মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে পারে।

তবে এইচফাইভএনওয়ান মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ার এমন কোনও ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি। কিন্তু যদি ছড়িয়ে পড়ে তাহলে এর প্রভাব মারাত্মক হবে তাতে কোনও সন্দেহ নেই। কারণ দুই দশকে শত শত ক্ষেত্রে মানুষ প্রাণীদের সংস্পর্শে এসে এ ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বিজ্ঞানী জেরেমি ফারার বলেছেন, ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর হার অস্বাভাবিক বেশি, কারণ মানুষের এই ভাইরাস প্রতিরোধ করার প্রাকৃতিক ক্ষমতা নেই।


আরও খবর



আচরণবিধি লঙ্ঘন: শ্রীপুরের এক প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করল ইসি

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে শ্রীপুর উপজেলার চেয়ারম্যান পদে মো. জামিল হাসানের প্রার্থিতা বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বুধবার (১৫ মে) নির্বাচন ভবনে শুনানি শেষে এই তথ্য জানান ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।

এ বিষয়ে ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, আচরণবিধি ভঙ্গ করায় গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. জামিল হাসানের প্রার্থিতা বাতিল করেছে কমিশন। প্রার্থীর শুনানি শেষে নির্বাচন কমিশন এ সিদ্ধান্ত দেয়।

জামিল হাসান গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে ঘোড়া প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিলেন। কয়েক দফা আচরণবিধি লঙ্ঘনের মধ্যে তাকে তলব করে কমিশন।

এছাড়া গেল ৮ মে উপজেলা ভোটে বরিশাল-৬ আসনের সংসদ সদস্য আবদুল হাফিজ মল্লিক প্রকাশে ভোট দেওয়ার কমিশনের সামনে এসে দুঃখ প্রকাশ করেছেন বলে জানান ইসির অতিরিক্ত সচিব।


আরও খবর



৪৬তম বিসিএসের প্রিলির ফল প্রকাশ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ হয়েছে। এতে উত্তীর্ণ হয়েছেন ১০ হাজার ৬৩৮ জন। বৃহস্পতিবার (৯ মে) বিকেলে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) বিশেষ সভা শেষে এ ফলাফল প্রকাশ করে।

গত ২৬ এপ্রিল ক্যাডার পদে নিয়োগের জন্য ৪৬তম বিসিএস প্রিলিমিনারি টেস্ট (এমসিকিউ টাইপ) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহের বিভিন্ন কেন্দ্রে চাকরিপ্রার্থীরা অংশ নেন।

সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ২০০ নম্বরের এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষায় ২ লাখ ৫৪ হাজার ৫৬১ প্রার্থী অংশ নেন। এ ছাড়া পরীক্ষা দেননি ৮৩ হাজার ৪২৫ জন। আর উপস্থিতির হার ছিল ৭৫।

২০২৩ সালের ৩০ নভেম্বর ৪৬তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এ বিসিএসে ৩ হাজার ১৪০ জনকে নিয়োগ দেয়া হবে। সবচেয়ে বেশি নেয়া হবে স্বাস্থ্য ক্যাডারে সহকারী সার্জন ১ হাজার ৬৮২ জন, সহকারী ডেন্টাল সার্জন ১৬ জন, শিক্ষা ক্যাডারে শিক্ষায় ৫২০ জন। পাশাপাশি প্রশাসন ক্যাডারে ২৭৪ জন, পররাষ্ট্রে ১০, পুলিশে ৮০, আনসারে ১৪, মৎস্যে ২৬ ও গণপূর্তে ৬৫ জনকে নেয়া হবে। মোট ৩ হাজার ১৪০ শূন্য পদের বিপরীতে ৩ লাখ ৩৮ হাজার আবেদন জমা পড়ে।


আরও খবর



ননস্টিক পাত্র কী স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ হতে পারে

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

বর্তমান সময়ে অধিকাংশ রান্নাঘরেই ননস্টিক পাত্রে রান্না করা হয়। মূলত রান্নার কাজকে সহজ করার জন্যই রাঁধুনিদের পছন্দ এটি। তবে এসব পাত্রের ভুল ব্যবহারে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়তে পারেন। এর কারণ মূলত প্রচলিত ননস্টিক পাত্র তৈরি করার সময় এমনকিছু উপকরণ ব্যবহার করা হয় যেটার বিষয়ে আমাদের স্পষ্ট ধারণা না থাকলেই বিপদ। তাই প্রচলিত ননস্টিক পাত্র ব্যবহারে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা ভালো। মার্কিন স্বাস্থ্য বিষয়ক ওয়েব সাইটহেলথলাইনের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে ননস্টিক পাত্রের বিভিন্ন তথ্য। 

প্রচলিত ননস্টিক পাত্রে পার অ্যান্ড পলিফ্লুরোঅ্যালকাইল সাবস্ট্যান্সেস (পিএফএএস) ব্যবহার করা হয়। কিছু বিশেষ রাসায়নিক উপাদানকে সংক্ষেপে পিএফএএস বলা হয়। আর ইংরেজিতে বলা হয় ফরএভার কেমিক্যাল

কয়েক বছর আগে ননস্টিক পাত্রে যে ধরনের পিএফএএস ব্যবহার করা হতো, তার নাম ছিল পার ফ্লুরো অক্টানয়িক অ্যাসিড। সংক্ষেপে এর নাম পিএফওএ। ২০১৫ সালের আগে ননস্টিক পাত্র তৈরি করা হতো পিএফওএ দিয়ে। তবে স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণে যুক্তরাষ্ট্রের এনভায়রনমেন্টাল প্রোটেকশন এজেন্সি (ইপিএ)-এর হস্তক্ষেপে সেই উপকরণ বদলে ফেলা হয়। কিন্তু এখনো ভিন্ন ধরনের পিএফএএস ব্যবহার করা হচ্ছে আর তাতেও কাছাকাছি ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকির সম্ভাবনা থেকে যায়।

পিএফএএস-এর কারণে কিডনির ক্যানসার, রক্তে চর্বির মাত্রাধিক্যসহ কিছু রোগের ঝুঁকি আছে বলে জানা যায়। আগেকার দিনের সেই পিএফওএ ব্যবহারে এসবের পাশাপাশি গর্ভাবস্থায় উচ্চ রক্তচাপ আর থাইরয়েডের সমস্যার ঝুঁকিও ছিল। অন্যদিকে পরিবেশের নানা জায়গাতেই পিএফএএস ছড়িয়ে আছে তাই যদি কেউ এ ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পরেন তবে কেবল ননস্টিক পাত্রকে সরাসরি দায়ী করতে পারবেন না।

রান্নার পাত্রের কারণে বাড়তি কোনো স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে কয়েকটি বিষয়ে নজর দিতে হবে। এবারে সে বিষয়গুলো জেনে নেওয়া যাক: 

পাত্রের ননস্টিক স্তরটা ক্ষয়ে গেলে বা নষ্ট হয়ে গেলে ওই পাত্র আর ব্যবহার করা যাবে না।

অত্যধিক উত্তাপ সৃষ্টি হয়, এমন চুলায় ননস্টিক পাত্র ব্যবহার করবেন না।

ননস্টিক পাত্র খালি থাকা অবস্থায় তা গরম করবেন না।

যদি আপনি রান্নাঘর থেকে ননস্টিক পাত্র বিদায় করতে চান আর রান্নাও সহজে করার পথ খুঁজেন তবে বিকল্প হিসেবে সিরামিক বা স্টেইনলেস স্টিলের পাত্র ব্যবহার করতে পারেন। এসব পাত্রে  বাড়তি কোনো কোটিং বা স্তর থাকে না তাই যেভাবে ইচ্ছা রান্না করতে পারবেন। 


আরও খবর



ভুঁইফোড় নিউজপোর্টালগুলো অপসাংবাদিকতার চর্চা করে : আরাফাত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ভুঁইফোড় অনলাইন নিউজপোর্টালগুলো সাংবাদিকতা নয়, অপসাংবাদিকতার চর্চা করে বলে জানালেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। আজ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে সাতক্ষীরা-১ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) ফিরোজ আহমেদ স্বপনের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।

এমপি ফিরোজ আহমেদ স্বপন তার প্রশ্নে বলেন, সাংবাদিকতার পাশাপাশি অপসাংবাদিকতায় বাংলাদেশ ভরে গেছে। আমাদের অনলাইন পত্রিকার নিয়মকানুন কী, আমরা জানি না। অনিবন্ধিত অনলাইন পত্রিকার জ্বালায় আমরা অস্থির। এটা নিয়ন্ত্রণের কোনো পদক্ষেপ আছে কি না?

জবাবে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়গুলো নিয়ে আমরা খুব নিবিড়ভাবে কাজ করছি। উনি যথার্থই বলেছেন, বেশ কিছু ভুঁইফোড় অনলাইন পোর্টাল ব্যাঙের ছাতার মতো বিভিন্ন জায়গায় গজিয়ে গেছে। তারা সাংবাদিকতা নয়, অপসাংবাদিকতার চর্চা করে। অপপ্রচার করে সমাজে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা তৈরি করে। মজার বিষয় হলো, যারা পেশাদারত্বের সঙ্গে সাংবাদিকতা করেন, তারা এ ধরনের পোর্টাল ও অনলাইনভিত্তিক পত্রিকাগুলো বন্ধের দাবি করেছেন।

মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, সাংবাদিক বন্ধুরাই বলছেন এ ধরনের অপসাংবাদিকতার চর্চা যারা করেন, তারা আসলে পেশাদার সাংবাদিকদের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ দাবিটি শুধু সংসদ সদস্যদের নয় বা রাজনীতিবিদ বা সমাজের অন্যান্য স্তরের জনগণের নয়, খোদ সাংবাদিক সমাজ থেকে এসেছে। তাদের (সাংবাদিক) থেকে দাবি এসেছে, যতগুলো অনিবন্ধিত পোর্টাল আছে, যেগুলো অপপ্রচার করছে, অপসাংবাদিকতা করছে, সেগুলো বন্ধ করে দেওয়ার জন্য।

তিনি বলেন, এ জন্য আমি কিছুদিন আগে একটি নির্দেশনা দিয়েছি। একেবারে প্রতিষ্ঠিত গণমাধ্যম যেগুলো আছে, ইলেকট্রনিক মিডিয়া, প্রিন্ট মিডিয়া তাদের যে নিবন্ধিত পোর্টাল আছে, সেই পোর্টালগুলো ছাড়া যতগুলো পোর্টাল যেগুলো আবেদন করছে, প্রক্রিয়াধীন আছে, তার পুরো লিস্ট বিটিআরসিকে পাঠাব। এর বাইরে যতগুলো অনলাইন পোর্টাল আছে। এমনকি যারা একটা আবেদনও করেনি, তাদের সবগুলোকে বন্ধ করে দেওয়ার জন্য বিটিআরসিকে অনুরোধ জানাব।

সরকারদলীয় সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা, ২০১৭ (সংশোধিত ২০২০) অনুযায়ী অনলাইন গণমাধ্যমের নিবন্ধন প্রদান করা হয়। বিটিআরসির সহযোগিতায় অনিবন্ধিত অনলাইন পোর্টাল বন্ধের কার্যক্রম চলমান আছে।


আরও খবর