আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

১০ জুন বছরের প্রথম সূর্যগ্রহণ

প্রকাশিত:শনিবার ০৫ জুন ২০২১ | হালনাগাদ:শনিবার ০৫ জুন ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

চন্দ্রগ্রহণের পর এবার আসছে সূর্যগ্রহণ। গত ২৬ মে চন্দ্রগ্রহণের দিন সুপার মুন ও ব্লাড মুন দেখা গিয়েছিল। তার কয়েকদিন পর এবার সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে। এর ফলে অন্ধকারে ঢাকা পড়বে সূর্যের প্রায় ৯৪.৩ শতাংশ।

আগামী ১০ জুন সূর্য ও পৃথিবীর মাঝখানে চলে আসবে চাঁদ। ফলে গ্রহণে ঢাকা পড়বে সূর্য। তবে কেবল একটা বলয় দৃশ্যমান থাকবে। একে বলে রিং অব ফায়ার। সহজেই অনুমান করা যায়, আকাশের কোলে কেমন সৌন্দর্য বিচ্ছুরণ করবে এই দৃশ্য।

রাশিয়া, কানাডা, গ্রিনল্যান্ড ও উত্তর মেরু থেকে আগুনের বলয় দেখা যাবে। এর মধ্যে গ্রিনল্যান্ড থেকেই গ্রহণের চূড়ান্ত অবস্থা প্রত্যক্ষ করা যাবে।

এ ছাড়া ইউরোপ ও এশিয়ার উত্তরাংশ থেকেও গ্রহণ দেখা যাবে। তবে সেখানে আংশিকভাবেই তা দেখা যাবে।

সাধারণভাবে সূর্যের খণ্ডগ্রাস, পূর্ণগ্রাস গ্রহণ ছাড়াও এই বলয়গ্রাস গ্রহণ দেখা যায়। এ বছরের দ্বিতীয় সূর্যগ্রহণ হতে পারে আগামী ৪ ডিসেম্বর। সেটি হবে পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ।

দক্ষিণ আমেরিকা, আন্টার্কটিকার বিভিন্ন প্রান্ত ও প্রশান্ত মহাসাগর, আটলান্টিক মহাসাগর ও ভারত মহাসাগরের কিছু অঞ্চল থেকে সেটা দৃশ্যমান হবে।


নিউজ ট্যাগ: সূর্যগ্রহণ

আরও খবর
গুগল ডুডলে মহান স্বাধীনতা দিবস

মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪




হাইতির প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

হাইতির প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরি পদত্যাগ করেছেন। গুয়েনার প্রেসিডেন্ট এবং ক্যারিবিয়ান কমিউনিটির (কেরিকম) বর্তমান চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইরফান আলী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। কেরিকমের নেতারা হাইতির পরিস্থিতি নিয়ে একটি জরুরি শীর্ষ সম্মেলন করার সময় এরিয়েল হেনরির পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করেন ইরফান আলী।

হাইতিতে বর্তমানে ভয়াবহ পরিস্থিতি বিরাজ করছে। সেখানে বিভিন্ন অপরাধী গোষ্ঠীর মধ্যে সহিংসতা বাড়তে থাকায় দেশজুড়ে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

দেশজুড়ে সহিংসতা এবং অস্থিরতা বৃদ্ধি পাওয়ায় দীর্ঘদিন ধরেই পদত্যাগের চাপে ছিলেন হাইতির প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরি। হাইতির বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে সোমবার জ্যামাইকাই বৈঠকে বসেন আঞ্চলিক নেতারা।

বর্তমানে পুয়ের্তো রিকোতে অবস্থান করছেন হেনরি। তবে বর্তমান সহিংস পরিস্থিতির কারণে তিনি দেশেও ফিরতে পারছেন না। ২০২১ সালের জুলাই মাসে দেশটির তৎকালীন প্রেসিডেন্ট নিহত হওয়ার পর থেকেই দেশের নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন হেনরি।

সে সময় নিজ বাসভবনে হত্যার শিকার হন প্রেসিডেন্ট জোভেনেল মইসি। আততায়ীরা প্রেসিডেন্টের বাসভবনে ঢুকে তাকে গুলি করে হত্যা করে। সশস্ত্র একটি দল প্রেসিডেন্ট জোভেনেলের বাড়িতে মাঝ রাতে হামলা চালায়। পরে তাকে গুলি করে হত্যা করে। হামলায় প্রেসিডেন্ট জোভেনেল মইসির স্ত্রীও আহত হন।

জ্যামাইকার রাজধানী কিংস্টনে বৈঠকের পর বক্তৃতাকালে ক্যারিবিয়ান কমিউনিটির চেয়ারম্যান এবং গায়ানার প্রেসিডেন্ট ইরফান আলী বলে, আমরা তার (এরিয়েল হেনরি) পদত্যাগের বিষয়টি জানতে পেরেছি। একটি অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট কাউন্সিল প্রতিষ্ঠা এবং অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রীর নামকরণের বিষয়ে আলোচনার কথাও জানান তিনি।

হেনরি এরিয়েলের পদত্যাগের দাবিতে সাম্প্রতিক সময়ে হাইতির রাজধানী পোর্ট-অব-প্রিন্সের রাস্তাগুলো নিয়ন্ত্রণ করছে ভারী অস্ত্রধারী বিভিন্ন গ্যাং।

হাইতি পশ্চিম ভারতীয় দ্বীপপুঞ্জের স্বাধীন দ্বীপরাষ্ট্র। এর সরকারি নাম হাইতি প্রজাতন্ত্র। ক্যারিবীয় সাগরের হিস্পানিওলা দ্বীপের পশ্চিম এক-তৃতীয়াংশ এলাকা নিয়ে রাষ্ট্রটি গঠিত। দ্বীপের বাকি অংশে ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্র অবস্থিত।

১৮০৪ সালে হাইতি লাতিন আমেরিকার প্রথম স্বাধীন দেশ হিসেবে আবির্ভূত হয়। এটিই দাসদের সফল বিপ্লবের ফলে সৃষ্ট একমাত্র রাষ্ট্র। হাইতি প্রথমে স্পেনীয় ও পরে ফরাসি উপনিবেশ ছিল। হাইতির সংখ্যাগরিষ্ঠ আফ্রিকান দাসেরা ফরাসি ঔপনিবেশিকদের উৎখাত করলে হাইতি স্বাধীনতা লাভ করে।

এ পাহাড়ি দেশটি একসময় অরণ্যে আবৃত ছিল। বেশির ভাগ গাছই কেটে ফেলা হয়েছে, ফলে মৃত্তিকার ক্ষয় ঘটেছে। পল্লী অঞ্চলে কৃষকরা পাহাড়ের পাদদেশে ক্ষুদ্রাকার জমিতে চাষবাস করে। অপুষ্টি ও বেকারত্ব হাইতির বড় সমস্যা।

ইতিহাসজুড়ে হাইতির জনগণ দুই ভাগে বিভক্ত। একদিকে ক্ষুদ্র একটি শিক্ষিত অভিজাত শ্রেণি, যারা বেশিরভাগ সম্পদ ও রাজনৈতিক ক্ষমতার অধিকারী। অন্যদিকে বিশাল নিম্নবিত্ত শ্রেণি, যাদের কোনো ক্ষমতা নেই। বর্তমানে হাইতি পশ্চিম গোলার্ধের সবচেয়ে দরিদ্র দেশ। অনেক হাইতীয় দেশ ছেড়ে চলে গেছেন।

হাইতির রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার ইতিহাস দীর্ঘ। দেশটিতে অনেকগুলো স্বৈরশাসক শাসন করেছেন। এদের মধ্যে ফ্রঁসোয়া দুভালিয়ে-র নাম উল্লেখযোগ্য। ২১০০ শতকের প্রারম্ভে এসে হাইতি একটি গ্রহণযোগ্য সরকার প্রতিষ্ঠা এবং জনগণের অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবস্থা উন্নয়নের চেষ্টা করছে।

সম্প্রতি হাইতির বৃহত্তম দুই কারাগার থেকে কয়েক হাজার বন্দি পালিয়ে যাওয়ার পর দেশটির সরকার কারফিউ এবং জরুরি অবস্থা জারি করা হয়। বেশ কয়েকটি গ্যাংয়ের সদস্যদের মধ্যে সহিংসতার পর কারাগার দুটি থেকে প্রায় চার হাজার বন্দি পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।


আরও খবর



নিয়ন্ত্রণে এসেছে বেইলি রোডের ‘কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্ট’ ভবনের আগুন

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানী বেইলি রোডের কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্ট ভবনে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। রাত সাড়ে ৯টার দিকে লাগা এ আগুন ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে নিয়ন্ত্রণে আসে।

আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার বিষয়টি নিশ্চিত করে ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন বলেন, আমরা ভেতরে তল্লাশি চালাচ্ছি। আটকেপড়াদের জীবিত উদ্ধারে যতটুকু করা সম্ভব আমরা সেটা করার চেষ্টা করছি। বাকি পরিস্থিতি এখনো বলার সময় হয়নি। আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে, তারপরও ভেতরে ধোঁয়া আছে।

কতজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে, আহত বা নিহত কতজন সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছি। জীবিতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠাচ্ছি।

ফায়ার সার্ভিস ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ভবনের ভেতর থেকে এখন পর্যন্ত ৬৫ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর ভেতরে বডি ব্যাগ নিয়ে যান ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। নিচে অ্যাম্বুলেন্সও প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

তবে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ফায়ার সার্ভিসের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, ভেতরে প্রচণ্ড ধোঁয়া রয়েছে। কয়েকজনকে পড়ে থাকতে দেখা গেছে। তাদের মৃত্যু হয়েছে নাকি অচেতন হয়ে পড়ে আছে, তা নিশ্চিত নয়। মৃতদেহ পাওয়া গেলে তা উদ্ধারের পর যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হবে।

অপর এক ফায়ার সার্ভিসের কর্মী বলেন, এখন পর্যন্ত তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন শিশু রয়েছে।

দীর্ঘ দুই ঘন্টা পর ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিটের চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আসে ভয়াবহ এ আগুন। তবে, পুরোপুরি নির্বাপণে সময় লাগছে। পাশাপাশি চলছে ভবনে আটকেপড়াদের উদ্ধার অভিযান।

আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসকে সহযোগিতা এবং উদ্ধার অভিযান ত্বরান্বিত করতে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন পুলিশ, আনসার ও বিজিবির সদস্যরা।

ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের ডিউটি অফিসার এরশাদ হোসেন বলেন, রাত ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে, ভেতরে আরও অনেকে আটকা রয়েছেন। তাদের উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে। রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ৬৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন আহত রয়েছেন। তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে রাজধানীর বেইলি রোডে অবস্থিত কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্ট ভবনে আগুন লাগার সংবাদ পায় ফায়ার সার্ভিস।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দ্বিতীয় তলায় আগুন লাগার পর তা উপরের তলাগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। আতঙ্কিত লোকজন উপরের দিকে উঠে যান। এ সময় ভবন থেকে তাড়াহুড়ো করে নামতে গিয়ে কয়েকজন আহত হন।


আরও খবর



আবারও ৫৯৫ টাকায় মাংস বিক্রির ঘোষণা খলিলের

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

উত্তর শাহজাহানপুরের মাংস বিক্রেতা খলিল বলেছেন, লাভ-লোকসান বুঝি না ২০ রমজান পর্যন্ত ৫৯৫ টাকায় মাংস বিক্রি করবো। আমি কথা দিয়েছিলাম সেটা রাখবো। প্রতিদিন ২০টি করে গরু জবাই হবে বিকেল পর্যন্ত।

রোববার (২৪ মার্চ) অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে সাশ্রয়ী মূল্যে গরুর মাংস বিক্রি বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন খলিল। এসময় অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম শফিকুজ্জামান, পুরান ঢাকার মাংস বিক্রেতা নয়ন, মিরপুরের মাংস বিক্রেতা উজ্জ্বলসহ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

মাংস বিক্রেতা খলিল বলেন, আমি ৫৯৫ টাকায় মাংস বিক্রি করে আসছিলাম। গরুর দাম বেড়ে যাওয়ায় আমি ১০০ টাকা বাড়িয়েছিলাম। আমার লোকসানের অবস্থা হয়েছিল। আমার স্টাফদের নিয়ে চলতে কষ্ট হচ্ছিল এ কারণে দর বৃদ্ধি করা হয়েছিল।

তিনি বলেন, যেহেতু আমি কথা দিয়েছিলাম তাই আবারও বলছি ৫৯৫ টাকায় বিক্রি করা হবে ২০ রমজান পর্যন্ত। প্রতিদিন ২০টি গরু জবাই করা হবে। আমার দোকান চলবে সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত।

মিরপুরের মাংস বিক্রেতা উজ্জ্বল বলেন, আমি সেবামূলক কাজ করেছি। ৫৯৫ টাকায় বিক্রি করেছি আমার সাধ্য অনুযায়ী। এখন ৩৫ টাকা বাড়িয়েছি। আমি সেবা করছি আবার নিজেও লাভ করছি। লোকসান করে বিক্রি করবো না তাই ৬৩৫ টাকা মাংসের দর নির্ধারণ করেছি। যতদিন পারবো আমি এ দামে সেবা দিয়ে যাবো।

পুরান ঢাকার মাংস বিক্রেতা নয়ন বলেন, আমি ৫৭০ টাকায় মিক্সড মাংস বিক্রি করেছিলাম। এখন ৩৫ টাকা বাড়িয়ে ৬০০ টাকায় বিক্রি করবো। আর ঝুলানো মাংস ৬৫০ টাকায় বিক্রি করবো। এতদিনে মিক্সড মাংস ছিল ৫৭০ টাকা আর ঝুলিয়ে রাখা মাংস ৬০০ টাকায় বিক্রি করা হয়েছিল।


আরও খবর



নেচে-গেয়ে বিএসএমএমইউর নতুন উপাচার্যকে বরণ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

নতুন উপাচার্যকে বরণ করে নিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নাচ-গানে মেতে ওঠেন।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিএসএমএমইউয়ে কার্যালয়ে গিয়ে  দেখা গেছে, ব্যান্ডপার্টি দলের বাজনার সাথে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নাচ-গানে মেতে উঠেছেন। প্রায় অনেকটা সময় ধরে তারা এ আনন্দ উৎসব করেন। এ সময় সেখানে হাসপাতালের দায়িত্বরত অনেকে উপস্থিত হন। আবার  তারা হাততালি দিয়ে সবাই উৎসাহিত করেন।  

এর আগে সোমবার (১১ মার্চ) দেয়া এক প্রজ্ঞাপন বলা হয় বিএসএমএমইউয়ের উপাচার্য হিসেবে স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হক ১২তম উপাচার্য হিসেবে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে দায়িত্ব পালন করবেন।

এতে উল্লেখ করা হয়, রাষ্ট্রপতি ও আচার্যের অনুমোদনক্রমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ১৯৯৮ এর ১২ ধারা অনুসারে স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হককে বিএসএমএমইউয়ের উপাচার্য পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে আরও উল্লেখ করা হয়, উপাচার্য হিসেবে অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হকের মেয়াদ হবে চার বছর। তিনি উপাচার্য পদে অবসর অব্যহিত পূর্ব পদের সমপরিমাণ বেতন-ভাতাদি প্রাপ্য হবেন। এছাড়া বিধি অনুযায়ী উপাচার্যের পদ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সুবিধা ভোগ করবেন।

রাষ্ট্রপতি ও আচার্য প্রয়োজনে যে কোনো সময় এ নিয়োগ বাতিল করতে পারবেন বলেও প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়।

দেশব্যাপী চক্ষু রোগী ও চক্ষু বিশেষজ্ঞদের কাছে খুবই প্রিয় ও সুপরিচিত নাম অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক। চক্ষু চিকিৎসক হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর সর্বোচ্চ সম্মাননা ডা. আলীম মেমোরিয়াল অ্যাওয়ার্ড লাভ করেছেন এ চিকিৎসক। তার জন্মস্থান কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার হোসেন্দী এলাকায়।

বিএসএমএমইউয়ের বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদের তিন বছর মেয়াদ আগামী ২৯ মার্চ শেষ হবে। ২০২১ সালের ২৯ মার্চ তিনি উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পান।


আরও খবর



ঠাকুরগাঁওয়ে মেয়রের বিরুদ্ধে কাউন্সিলরদের অবস্থান, চলছে কর্মবিরতি

প্রকাশিত:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রেদওয়ানুল হক মিলন, ঠাকুরগাঁও

Image

দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা ও ব্যর্থতার সুরাহা চেয়ে ঠাকুরগাঁও পৌরসভার মেয়র আঞ্জুমান আরা বন্যার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে পৌরসভার সকল কাউন্সিলগণ। প্রতিবাদ স্বরূপ তারা দুইদিন থেকে কর্মবিরতিতে রয়েছেন। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ।

সোমবার (১১ মার্চ) বেলা ১১টায় কর্মবিরতিতে থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেন ঠাকুরগাঁও পৌরসভার প্যানেল মেয়র কাইয়ূম। পৌরসভার ১৫ জনের সকলেই এই কর্মবিরতি পালন করছেন বলে তিনি জানান।

ঠাকুরগাঁও পৌরসভার প্যানেল মেয়র কাইয়ূম চৌধুরী বলেন, পৌরসভায় সর্বমোট ১২টি ওয়ার্ড রয়েছে যার কোনোটিতে কোনো উন্নয়ন নেই। রাস্তাঘাটের বেহাল দশা। জনগণ আমাদেরকে ভোট দিয়েছে এমন পরিস্থিতিতে এই ব্যর্থতার দায় মেয়রকে নিতে হবে। সেই সাথে বিভিন্ন প্রকল্পে ব্যাপক দুর্নীতি রয়েছে। পৌরসভার হেল্প ডেস্কে সীমাহীন অব্যবস্থাপনায় ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে পৌর নাগরিকদের। আমরা এগুলার সুরাহা ও জবাবদিহিতা চাই। এর আগে আমাদের কর্মবিরতি থামবেনা।

পৌরভার ২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মানিক ইসলাম বলেন, আমাদের মেয়র গত ৩ বছরে ৪৭বার ঢাকা গেছে যা সম্পূর্ণ পৌরসভার খরচে। ঠাকুরগাঁওয়ে কোনো মেয়রের ইতিহাসে এমনটা নেই। নিজের ভোগবিলাসে সে পৌরসভার টাকা খরচ করে, এই টাকাতো তার নিজস্ব সম্পদ না। এরকম চলতে থাকলে আমাদের এলাকার উন্নয়ন কিভাবে হবে, আমি আমার ভোটারদের কি জবাব দিবো।

৯নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা লুৎফর বলেন, গত দুইদিন থেকে কর্মবিরতিতে থাকার ফলে পৌরসভার কোনো কাজ করছেনা কাউন্সিলররা। এতে সেবা নিতে এসে বার বার ফিরে যাচ্ছে সেবা গ্রহীতারা। কাউন্সিলরদের এই অবস্থান বিপাকে ফেলেছে পৌরবাসীকে। দ্রুতই এই জটিলতার সুরাহা চাই।

আরেক বাসিন্দা রফিক বলেন, বেশ কয়বার আমি জন্ম নিবন্ধন এর কাগজ নিয়ে গেলেও কাজ করাতে পারিনি। জন্ম নিবন্ধন ছাড়া এখন শিশুর টিকা দেয়া যায় না। আমি কি করবো বুঝতে পারছিনা।

এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও পৌর মেয়র আঞ্জুমান আরা বন্যা বলেন, বিষয়টি নিয়ে কাউন্সিলরদের সাথে আলোচনা চলছে। আশাকরি দ্রুতই এর একটা সুরাহা হবে।


আরও খবর