আজঃ শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

১০ মার্চ: ইতিহাসে আজকের এই দিনে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১০ মার্চ ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১০ মার্চ ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সব সময় গুরুত্ব বহন করে। আজকের দিনটি কাল হয়ে যায় অতীত। তাই প্রতিটি দিনই এক একটি ইতিহাস। আজ ১০ মার্চ, ২০২২, বৃহস্পতিবার। ২৫ ফাল্গুন, ১৪২৮। জেনে নেই ইতিহাসে আজকের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, জন্ম ও মৃত্যুঃ

এক নজরে ইতিহাসের পাতায় ১০ মার্চ ঘটনাবলি:

ঘটনাবলি:

১৫৮৫ -  সম্রাট আকবর ফরমান জারি করেন, আমির ফতেহউল্লাহ সিরাজী উদ্ভাবিত বাংলা ফসলী সন প্রবর্তিত হয়। এই সনই বর্তমানে প্রচলিত বাংলা সন।

১৬২৪ -  ইংল্যান্ড ফ্রান্সের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে।

১৮০১ -  প্রথম ব্রিটিশ লোকগণনা শুরু হয়।

১৮৭৬ -  আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল তার নব আবিস্কৃত টেলিফোনের মাধ্যমে প্রথম বার্তা প্রেরণ করেন।

১৯০৭ -  ভবানীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় সাপ্তাহিক স্বরাজ সম্পাদনা শুরু করেন।

১৯১৯ -  মিশর তেকৈ সাঈদ জগলুল পাশাকে বহিষ্কারের ফলে  কায়রোতে জাতীয়তাবাদের দাঙ্গা শুরু হয়।

১৯৩৪ -  ব্রিটিশ রাজ বাংলার কমিউনিস্ট পার্টিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।

১৯৪২ -  জাপানিরা রেঙ্গুন দখল করে নেয়।

১৯৪৫ -  যুক্তরাষ্ট্রের এয়ারফোর্স জাপানে ফায়ার বোমা নিক্ষেপ করে। এতে লক্ষাধিক মানুষের মৃত্যু হয়, যার বেশির ভাগই ছিলেন বেসামরিক।

১৯৫৬ - বৈমানিক পিটার টুইস প্রথম মানব যিনি ঘণ্টায় ১০০০ মাইল বেগে বিমান চালনা করেন।

১৯৬৯ -  মার্টিন লুথার কিং-এর হত্যাকারী জেমস আর্ল রে-কে যুক্তরাষ্ট্রের মেফিস আদালত ৯৯ বছরের সাজা প্রদান করেন।

১৯৭০ -  ভিয়েতনামের মাইলাই গ্রামে বর্বরোচিত গণ-হত্যার দায়ে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর ক্যাপটেন আরর্নেস্ট মেডিনা এবং অপর চার সৈন্যকে অভিযুক্ত করা হয়।

১৯৭১ -  ভারতের ইন্দিরা গান্ধীর নেতৃত্বাধীন ভারতের কংগ্রেস পার্টি সাধারণ নির্বাচনে ব্যাপক বিজয় লাভ করে।

১৯৯৩ -  মিশরে মৌলবাদ দমন অভিযান শুরু হয়, এতে পুলিশের গুলিতে ২০ মুসলমানের প্রাণহানি ঘটে।

২০০০ -  দক্ষিণ আমেরিকার আন্দাজ পর্বতমালার পূর্বাঞ্চলীয় এলাকার এক মরুভূমিতে পৃথিবীর বৃহত্তম ডাইনোসোরের কঙ্কাল আবিষ্কার হয়।

২০২০ -  জয় বাংলাকে হাইকোর্ট কর্তৃক বাংলাদেশের জাতীয় স্লোগান ঘোষণা।

জন্ম:

১৬২৮ -  মার্সিলো মালপেগেই, তিনি ছিলেন ইতালির চিকিৎসক ও জীব বিজ্ঞানী।

১৭৭২ -  ফ্রিড্রিশ ফন শ্লেগেল, তিনি ছিলেন জার্মান কবি।

১৮১০ -  স্যামুয়েল ফার্গুসন, তিনি ছিলেন আইরিশ কবি।

১৮৭৩ -  ইয়াকপ ওয়াসায়মান, তিনি ছিলেন জার্মান ঔপন্যাসিক।

১৮৮৮ -  ব্যারি ফিটজগেরাল্ড, তিনি ছিলেন আইরিশ অভিনেতা।

১৯১১ -  ওয়ার্নার অ্যান্ডারসন, তিনি ছিলেন আমেরিকান অভিনেতা।

১৯২৩ -  ভ্যাল লজ্‌স্‌ডন ফিচ, তিনি ছিলেন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী আমেরিকান পদার্থবিদ ও শিক্ষাবিদ।

১৯৩৬ -  সেপ ব্ল্যাটার, তিনি ছিলেন ফিফার ৮ম প্রেসিডেন্ট।

১৯৫৬ -  রবার্ট লয়েওয়েল্ল্যন, তিনি ইংরেজ অভিনেতা ও লেখক।

১৯৬৮ -  ফেলিচে এরিনা, তিনি অস্ট্রেলিয়ান লেখক।

১৯৭৮ -  নিল আলেকজান্ডার, তিনি স্কটিশ ফুটবল খেলোয়াড়।

১৯৮৪ -  অলিভিয়া ওয়াইল্ড, তিনি আমেরিকান অভিনেত্রী ও প্রযোজক।

মৃত্যু:

১৮১১ -  বিজ্ঞানী হেনরী ক্যাভেল ভিলন।

১৮৭২ -  মাৎসিনি, তিনি ছিলেন ইতালীয় জাতীয়তাবাদী নেতা।

১৯৪০ -  মিখাইল বুলগাকভ, তিনি ছিলেন রুশ নাট্যকার ও ঔপন্যাসিক।

১৯৬৬ - ফ্রিৎস জের্নিকে, তিনি ছিলেন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ডাচ পদার্থবিদ ও একাডেমিক।

১৯৬৬ -  ফ্রাঙ্ক ওকনার, তিনি ছিলেন আইরিশ ছোট গল্পকার।

১৯৮০ -  সুবোধ ঘোষ, তিনি ছিলেন বাঙালি কথাসাহিত্যিক।

১৯৮৩ -  আতিকুজ্জামান খান, তিনি ছিলেন বাংলাদেশী কূটনীতিক, সাংবাদিক ও ক্রীড়া ভাষ্যকার।

১৯৮৮ -  অ্যান্ডি গিব্ব, তিনি ছিলেন ইংরেজি থেকে অস্ট্রেলিয়ান গায়ক।

১৯৯৮ -  লয়েড ব্রিজেস, তিনি ছিলেন আমেরিকান অভিনেতা।

২০০৩ -  নীলুফার ইয়াসমীন, তিনি ছিলেন বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পী।

২০১২ -  ফ্রাঙ্ক শেরউড রোল্যান্ড, তিনি ছিলেন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী আমেরিকান রসায়নবিদ ও শিক্ষাবিদ।

ইতিহাসে আজকে দিবস সমূহ:

 আজ জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস


আরও খবর
ইতিহাসে আজকের এই দিনে

শুক্রবার ২৬ জানুয়ারী ২০২৪

২৫ জানুয়ারি : ইতিহাসে আজকের এই দিনে

বৃহস্পতিবার ২৫ জানুয়ারী ২০২৪




বিরল সূর্যগ্রহণ কখন কোথায় দেখা যাবে জানাল নাসা

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক

Image

একটি বিরল মহাকাশীয় ঘটনার বাকি আর মাত্র একদিন। আগামী ৮ এপ্রিল উত্তর আমেরিকায় পূর্ণ সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে। এদিন সূর্যের পথে চলে আসবে চাঁদ এবং আলোকে পৃথিবীতে পৌঁছাতে বাধা দেবে। ফলে উত্তর আমেরিকার আকাশ সম্পূর্ণ অন্ধকার হয়ে যাবে। এই ধরণের ঘটনা অন্তত আগামী ২০ বছরে আর ঘটবেনা।

লাইভ সায়েন্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উত্তর আমেরিকার ১৫টি রাজ্যে চার মিনিটের জন্য ভয়ঙ্কর অন্ধকারের এই অভিজ্ঞতা পাওয়া যাবে। তবে সমস্ত আমেরিকান তাদের নিজ নিজ রাজ্য থেকে আংশিক গ্রহণ দেখতে পারবে।

নাসার মতে, এদিন সূর্যগ্রহণটি আংশিক গ্রহণ হিসেবে শুরু হবে এরপর সম্পূর্ণ সূর্যগ্রহণে পরিণত হবে। পরে আবার আংশিক গ্রহণ হিসেবে শেষ হবে। এটি টেক্সাসের ডালাস শহরে ১২টা ২০ মিনিটে প্রথম সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে। দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে চার মিনিটের জন্য পূর্ণ সূর্যগ্রহণের দেখা মিলবে।

এছাড়া, ওকলাহোমার ইডাবেলে দুপুর ১টা ৪৫ মিনিটে, আরকানসাসের লিটল রকে দুপুর ১টা ৫১ মিনিটে, পপলার ব্লাফে দুপুর ১টা ৫৬ মিনিটে, কেন্টাকির পাদুকাহে দুপুর ২টায়, ইলিনয়ের কার্বনডেলে দুপুর ১টা ৫৯ মিনিটে, ইন্ডিয়ানার ইভান্সভিলে দুপুর ২টা ২ মিনিটে, ওহাইও এর ক্লিভল্যান্ডে বিকেল ৩টা ১৩ মিনিটে, পেনসিলভেনিয়ার এরিতে বিকেল ৩টা ১৬ মিনিটে, নিউইয়র্কের বাফেলোয় বিকাল ৩টা ১৮ মিনিটে, ভারমন্টের বার্লিংটনে বিকাল ৩টা ২৬ মিনিটে, নিউ হ্যাম্পশায়ারের ল্যাঙ্কাস্টারে বিকাল ৩টা ২৭ মিনিটে ও মেইনের ক্যারিবউয়ে বিকাল ৩টা ৩২ মিনিটে চার মিনিটের জন্য পূর্ণ সূর্যগ্রহণ দেখা দেবে।

নিউজ ট্যাগ: সূর্যগ্রহণ

আরও খবর
ফের ফেসবুকে বিভ্রাট

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪




আজ রমজানুল মোবারকের দ্বিতীয় জুমা; ফজিলত ও করণীয়

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ধর্ম ও জীবন

Image

রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের বার্তা নিয়ে বিশ্বের মুসলমানদের দুয়ারে উপস্থিত হয়েছে মাহে রমজান। কুপ্রবৃত্তি দমন ও আত্মশুদ্ধির সর্বোত্তম মাস এই রমজান। দেখতে দেখতে ইতোমধ্যে আমাদের মাঝ থেকে রমজান মাসের রহমতের দশ দিন অতিবাহিত হয়ে গিয়েছে। আজ শুক্রবার (২২ মার্চ)। হিজরি ১৪৪৫ সালের রমজানুল মোবারকের দ্বিতীয় জুমা মোবারক।

রমজান মাসের অনন্য ইবাদত রোজা পালন। পবিত্র কোরআনে সুরা বাকারার ১৮৫ নম্বর আয়াতে মহান আল্লাহ বলেন, রমজান মাস, এতে মানুষের দিশারি এবং সৎপথের স্পষ্ট নিদর্শন ও সত্যাসত্যের পার্থক্যকারীরূপে কোরআন অবতীর্ণ হয়েছে। সুতরাং তোমাদের মধ্যে যারা এই মাস পাবে, তারা যেন এই মাসে রোজা পালন করে।

ফজিলত :

প্রত্যেক জুমার দিনই অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ। পবিত্র রমজানের জুমার দিন হওয়ায় এর ফজিলত আরও অনেকগুণ বেশি। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে জুমার দিনের বহু ফজিলত বর্ণিত হয়েছে।

মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনে বলেন, হে মুমিনগণ! জুমার দিন যখন নামাজের আহ্বান জানানো হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণে (মসজিদে) এগিয়ে যাও এবং বেচাকেনা (দুনিয়াবি যাবতীয় কাজকর্ম) ছেড়ে দাও। এটা তোমাদের জন্য কল্যাণকর, যদি তোমরা জানতে। (সুরা জুমা, আয়াত: ৯)।

হজরত মুহাম্মদ (সা.) এক হাদিসে বলেছেন, মুমিনের জন্য জুমার দিন হলো সাপ্তাহিক ঈদের দিন। (ইবনে মাজাহ, হাদিস: ১০৯৮)।

পক্ষান্তরে, রমজানে ইবাদত করলে সওয়াব বেশি। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, প্রত্যেক আদম সন্তান ভালো কাজের প্রতিদান দশ থেকে সাতশগুণ বেশি পাবে। রোজা আল্লাহর জন্য। আল্লাহ নিজেই এর প্রতিদান দেবেন। (মুসলিম, হাদিস: ২৭০৭)।

এছাড়া নবী (সা.) অন্য এক হাদিসে এরশাদ করেছেন, যে দিনগুলোতে সূর্য উদিত হয়, ওই দিনগুলোর মধ্যে জুমার দিন সর্বোত্তম। ওই দিন হযরত আদমকে (আ.) সৃষ্টি করা হয়েছে। ওই দিন তাকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হয় এবং ওই দিনই তাকে জান্নাত থেকে বের করে দেওয়া হয়। আর ওই দিনই কিয়ামত অনুষ্ঠিত হবে। (মুসলিম শরিফ, হাদিস নম্বর ৮৫৪)।

তাই এ বর্ণনার আলোকে আমরা পাই, সাধারণত বান্দার নেক আমল দশ থেকে সাতশত গুণ পর্যন্ত বর্ধিত করে সাওয়াব লিপিবদ্ধ করা হয়, আর রমযানে এটা আরও বৃদ্ধি পায়।

করণীয় :

রমজানের প্রতিটি মুহূর্ত মহান আল্লাহর অনুগ্রহে ভরপুর। আর জুমার দিন হওয়ায় এর গুরুত্ব আরও বেশি। পবিত্র কোরআনে জুমার দিন দ্রুত মসজিদে গমনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এছাড়া হাদিসেও কিছু গুরুত্বপূর্ণ আমলের কথা বর্ণিত হয়েছে। বলা হয়েছে, জুমার দিন একটি সময় আছে, যখন মানুষ আল্লাহর কাছে কোনো দোয়া করলে আল্লাহ তা কবুল করেন। জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, জুমার দিন কোনো মুসলিম আল্লাহর কাছে ভালো কিছুর দোয়া করলে আল্লাহ তাকে তা দেন। তোমরা সময়টি আসরের পর অনুসন্ধান করো। (আবু দাউদ, হাদিস নম্বর : ১০৪৮)

জাবের ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, জুমার দিনের বারো ঘণ্টার মধ্যে এমন একটি মুহূর্ত রয়েছে যদি কোনো মুসলিম এ সময় আল্লাহর কাছে কিছু প্রার্থনা করে, তাহলে মহান ও সর্বশক্তিমান আল্লাহ তাকে দান করেন। এই মুহূর্তটি তোমরা আছরের শেষ সময়ে অনুসন্ধান করো। (আবু দাউদ, হাদিস : ১০৪৮)

শুক্রবারে বিশেষ কিছু আমল ও সুন্নত রয়েছে। বিভিন্ন হাদিসে সেগুলো বর্ণিত হয়েছে। সেগুলোর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ধারাবাহিক কয়েকটি হলো- গোসল করা, উত্তম পোশাক গায়ে দেওয়া, সুগন্ধি ব্যবহার করা ও মনোযোগের সঙ্গে খুতবা শোনা।

আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি জুমার দিন গোসল করে উত্তম পোশাক পরিধান করবে এবং সুগন্ধি ব্যবহার করবে, যদি তার নিকট থাকে। তারপর জুমার নামাজে আসে এবং অন্য মুসল্লিদের গায়ের ওপর দিয়ে টপকে সামনের দিকে না যায়। নির্ধারিত নামাজ আদায় করে। তারপর ইমাম খুতবার জন্য বের হওয়ার পর থেকে সালাম পর্যন্ত চুপ করে থাকে। তাহলে তার এই আমল পূর্ববর্তী জুমার দিন থেকে পরের জুমা পর্যন্ত সমস্ত সগিরা গুনাহর জন্য কাফ্ফারা হবে। (আবু দাউদ, হাদিস : ৩৪৩)

এছাড়া, জুমার দিন নবীজি (সা.)-এর ওপর বেশি বেশি দুরুদ পাঠ করা কর্তব্য। আউস বিন আবি আউস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, তোমাদের দিনগুলোর মধ্যে জুমার দিন সর্বোত্তম। এই দিনে আদম (আ.)-কে সৃষ্টি করা হয়েছে। এই দিনে তিনি ইন্তেকাল করেছেন। এই দিনে শিঙায় ফুঁ দেয়া হবে এবং এই দিনে সবাইকে বেহুঁশ করা হবে। অতএব, তোমরা এই দিনে আমার ওপর বেশি পরিমাণ দুরুদ পড়ো। কারণ জুমার দিনে তোমাদের দুরুদ আমার কাছে পেশ করা হয়।

সাহাবারা বললেন, আমাদের দুরুদ আপনার কাছে কিভাবে পেশ করা হবে, অথচ আপনার দেহ একসময় নিঃশেষ হয়ে যাবে? তিনি বলেন, আল্লাহ জমিনের জন্য আমার দেহের ভক্ষণ নিষিদ্ধ করেছেন। (আবু দাউদ, হাদিস : ১০৪৭)

জুমার অন্যতম আমল হচ্ছে সুরা কাহাফ পাঠ করা। আবু সাইদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি জুমার দিন সুরা কাহাফ পড়বে তা দুই জুমার মধ্যবর্তী সময়ে তার জন্য আলোকিত হয়ে থাকবে। আর যে ব্যক্তি এই সুরার শেষ ১০ আয়াত পাঠ করবে অতঃপর দাজ্জাল বের হলে তার কোনো ক্ষতি করতে পারবে না। (সহিহ তারগিব, হাদিস : ১৪৭৩, আল মুসতাদরাক : ২/৩৯৯)


আরও খবর
কুরবানি ঈদ কবে, জানাল আরব আমিরাত

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪

শুক্রবারের বিশেষ ৪ আমল

শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪




মুক্তিপণে সন্তুষ্ট জলদস্যুরা, কততে নির্ধারিত হল জিম্মি জাহাজ ও ২৩ নাবিকের জীবন?

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঈদের আগেই মুক্তি পেতে যাচ্ছে সোমালি জলদস্যুদের হাতে জিম্মি হওয়া ২৩ বাংলাদেশি নাবিক। মুক্তির পর বিমানযোগে তাদের দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। একই সঙ্গে কয়লাবাহী এমভি আবদুল্লাহ জাহাজটিকেও দুবাইয়ে পৌঁছাতে প্রস্তুত রাখা হয়েছে নাবিকদের আরেকটি দলকে। জলদস্যুদের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনার পর তাদের মুক্তিপণ দিয়েই ফিরিয়ে আনা হচ্ছে ২৩ নাবিকসহ জাহাজটিকে।

জলদস্যুদের হাতে আটক জাহাজ ও নাবিকদের মুক্তিপণের বিষয়ে কথা বলতে এরই মধ্যে জাহাজে আনা হয়েছে ইংরেজি জানা দোভাষিকে। তার মাধ্যমেই জাহাজের মালিকপক্ষ কবীর গ্রুপের সাথে দর কষাকষি করে চূড়ান্ত হয়েছে মুক্তিপণ। ফলে যে কোনো মুহূর্তে মুক্তি পেতে যাচ্ছেন বাংলাদেশি মালিকানাধীন জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর ২৩ নাবিক। তবে কততে নির্ধারিত হয়েছে জিম্মি জাহাজ ও ২৩ নাবিকের জীবন তা এখনো জানা যায়নি।

জানা গেছে, মুক্তিপণ আলোচনায় সন্তুষ্ট হয়েই জলদস্যুরা বুধবার থেকে নাবিকদের কেবিনে থাকার পাশাপাশি জাহাজে কাজ করার সুযোগও দিচ্ছে। ঈদের আগেই নাবিকদের ফিরিয়ে আনতে চায় বলে জানিয়েছেন কবীর গ্রুপের মুখপাত্র মিজানুল ইসলাম।

তিনি আরও জানান, জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পেলেই ২৩ নাবিককেই বিমানযোগে বাংলাদেশে নিয়ে আসা হবে। আর জাহাজটিতে থাকা ৫৫ হাজার মেট্রিক টন কয়লা দুবাইয়ের গন্তব্যে পৌঁছে দিতে জাহাজের মালিক পক্ষ কবির স্টিল এরই মধ্যে ২৩ নাবিকের আরেকটি দলকে প্রস্তুত রেখেছে। তারাই নতুন করে এমভি আবদুল্লাহর দায়িত্ব নেবে।’

 সোমালি জলদস্যুদের ওপর যেমন নানামুখী চাপ সৃষ্টি করা হয়েছিলো, তেমনি নাবিকদের অক্ষত অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে মুক্তিপণ দেয়ারও কোনো বিকল্প নেই বলে মনে করছেন মেরিন বিশেষজ্ঞরা।

মোজাম্বিকের মাপুতু বন্দর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ার পথে ১২ মার্চ বাংলাদেশ সময় বেলা দেড়টায় জাহাজটিতে উঠে নিয়ন্ত্রণ নেয় সোমালিয়ার জলদস্যুরা। জাহাজটি চট্টগ্রামের কবির গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান এস আর শিপিং লিমিটেডের মালিকানাধীন। পণ্যবাহী জাহাজটি কয়লা নিয়ে ভারত মহাসাগর হয়ে মোজাম্বিক থেকে আরব আমিরাতের আল-হামরিয়া বন্দরের দিকে যাচ্ছিল। গন্তব্য ছিল দুবাই।

প্রসঙ্গত, ২০১০ সালে একই গ্রুপের মালিকানাধীন জাহাজ এমভি জাহান মণি ছিনতাই হওয়ার তিন মাস পর মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়িয়ে এনেছিল গ্রুপটি। আবার কোনো জাহাজ ছয় থেকে আট মাস পর মুক্ত হওয়ার নজির রয়েছে। এদিক থেকে এবার বেশ দ্রুতই মুক্তিপণের আলোচনা হয়েছে। সে হিসেবে ঈদের আগেই সবাই মুক্তি পাবেন বলে আশা করা যাচ্ছে।


আরও খবর



২৪ ঘণ্টায় বঙ্গবন্ধু সেতুতে টোল আদায় তিন কোটি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঈদ উদযাপনে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরছে হাজার হাজার ঘরমুখো মানুষ। ফলে যানবাহনের চাপ দিগুণ বেড়েছে বঙ্গবন্ধু সেতুতে। গত ২৪ ঘণ্টায় এ সেতুর ওপর দিয়ে স্বাভাবিকের চেয়ে দিগুণেরও বেশি গাড়ি চলাচল করেছে। এতে টোল আদায় হয়েছে তিন কোটি টাকারও বেশি।

মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) সকালে বঙ্গবন্ধু সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্র জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় সেতু পার হয়েছে ৪৩ হাজার ৪২৭টি যানবাহন। এর মধ্যে ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গগামী লেনে ২৭ হাজার ২৩২ ও উত্তরবঙ্গ থেকে ঢাকামুখী লেনে ১৬ হাজার ১৯৫ গাড়ি চলাচল করেছে। মোট টোল আদায় হয়েছে তিন কোটি তিন লাখ ৬৬ হাজার ৮৫০ টাকা।

এর মধ্যে পূর্ব টোলপ্লাজায় এক কোটি ৭১ লাখ ৪ হাজার ৯৫০ টাকা ও পশ্চিম টোলপ্লাজায় আদায় হয়েছে এক কোটি ৩২ লাখ ৬১ হাজার ৯০০ টাকা।

এসব তথ্য নিশ্চিত করে বঙ্গবন্ধু সেতু কর্তৃপক্ষের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল হক পাভেল বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় স্বাভাবিকের তুলনায় দিগুণেরও বেশি গাড়ি পারাপার হয়েছে। আজকেও প্রচুর গাড়ি পার হচ্ছে।


আরও খবর



টংক আন্দোলনের নেত্রী কুমুদিনী হাজং আর নেই

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

নেত্রকোনার পাহাড়ি সীমান্তবর্তী দুর্গাপুর উপজেলা স্মৃতি নিয়ে বেঁচে থাকা শেষ স্বাক্ষী কুমুদিনী হাজং মারা গেছেন। শনিবার (২৩ মার্চ) দুপুরে উপজেলার সীমান্ত গ্রাম বহেরাতলীতে স্বামীর ভিটায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। দুর্গাপুর কালচারাল একাডেমির পরিচালক সুজন হাজং এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বার্ধক্যজনিত কারণে দীর্ঘদিন মত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। ভারতের মেঘালয় রাজ্যের তলদেশে বিজয়পুর সীমান্তের দুর্গাপুর উপজেলার কুল্লাগড়া ইউনিয়নের বহেরাতলি গ্রাম। যে গ্রাম থেকে খাজনা প্রথা বিলুপ্তিতে আন্দোলনের গণজাগরণ হয়েছিল যার মৃত্যুতে সেই রাশি মণি হাজংয়ের স্মৃতি ধরে রেখেছিলেন কুমুদিনী হাজং।

রাশিমণির সমাপ্তিতে খাজনা বিদ্রোহে প্রজা আন্দোলনের ইতিহাস ঐহিত্যর বীরত্বগাঁথা মনিষীদেরও চারণভূমিও বলা চলে। এ এলাকায় কুমুদিনী হাজংয়ের কাছে মানুষ শুনতে আসতেন টংক প্রথা বিলুপ্তির ইতিকথা। কিন্তু তিনি মৃত্যুর কয়েক বছর আগে থেকে কথা বলতে পারেন না। তবে যাদের চেনেন। তাদের সন্মান করতেন। বসিয়ে রাখতে চাইতেন পাশে। বার্ধক্যজনিত কারণে তিনি শয্যাশায়ী থাকাকালীন মেঝো ছেলে ও ছেলে বউ দেখভাল করেছেন। রাশিমণি স্মৃতিসৌধ দেখতে গিয়েই সকলে কুমুদিনী হাজংয়ের খোঁজ নেন সবাই। তার তিন ছেলে দুই মেয়ের মধ্যে বড় ছেলে কয়েক বছর আগেই মারা যান। কুমুদিনী হাজংয়ের মেঝো ছেলে অর্জুন হাজং জানায়- রবিবার শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।

১৯৪৬ সনের কথা। কমরেড মণিসিংহ ভারত থেকে দুর্গাপুর মামা বাড়িতে চলে আসেন। শুরু করেন টংক প্রথা বা ধান কড়াড়ি খাজনা বাতিল আন্দোলন। আন্দেলনে যোগ দেন সীমন্তের কুল্লাগড়া ইউনিয়নের লঙ্কেশ্বর হাজং, রাশিমণি হাজংসহ আদিবাসীরা। এরই জেরে সে বছরের ৩১ জানুয়ারী লঙ্কেশ্বর হাজংসহ বেশ ক’জন হাজং বিদ্রোহী নেতাকে ধরে নিতে ব্রিটিশ ফন্ট্রিয়ার পুলিশ আসে বহেরাতলী গ্রামে। তাদের না পেয়ে লঙ্কেশ্বর হাজংয়ের সদ্য বিয়ে করা স্ত্রী কুমুদিনী হাজংকে তুলে নিয়ে যায়।

এ খবর এক কৃষক বিদ্রোহ সভায় রাশি মণি হাজংয়ের কাছে পৌঁছে। ছুটে যান তিনি। নারীকে নিয়ে যাওয়া মানে মান নিয়ে যাওয়া উল্লেখ করে তিনি ঝাপিয়ে পড়েন। হাতে থাকা দা দিয়েই পুলিশের উপর হামলা চালান। পরে পুলিশের বন্দুকের গুলিতে তিনিসহ দুজন হাজং নেতার প্রয়াণ ঘটে। তবে রক্ষা হয় গৃহবধূ কুমুদিনী হাজং।


আরও খবর