আজঃ মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪
শিরোনাম

১০ মাস ধরে স্কুলে পাঠদান না করিয়ে শিক্ষা অফিসে কাজ করছেন শিক্ষক

প্রকাশিত:রবিবার ০১ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০১ অক্টোবর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি

Image

বিগত ১০ মাস ধরে স্কুলে শিক্ষার্থীদের পাঠদান না করিয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসে কাজ করছেন সহকারী শিক্ষক মোঃ রেজাউল হক। পাঠদান ব্যহত হচ্ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। বারবার বলা সত্ত্বেও শিক্ষককে স্কুলে পাঠানো হচ্ছে না। বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি ও অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ।

তবে বিষয়টি নিয়ে নিয়ে ঈশ্বরদী উপজেলা শিক্ষা অফিসরা (টিইও) মোঃ আসাদুজ্জামান বলেছেন, আমার শিক্ষককে দিয়ে কি করাবো সেটা আমার বিষয়। আর পাবনা জেলা শিক্ষা অফিসার (ডিপিইও) সিদ্দীক মোঃ ইউসুফ রেজা বলেছেন, শিক্ষককে দিয়ে টিইও অফিসে কাজ করানো অবৈধ। এটা কোনভাবেই করানো যাবে না।

এমনই চিত্র পাবনা ঈশ্বরদীর সলিমপুর ইউনিয়নের ৪২ নং মিরকামারি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের।

গত বুধবার দুপুরে সরেজমিনে বিদ্যালয়ে গিয়ে বিদ্যালয়ে গিয়ে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সলিমপুর ইউনিয়নের মধ্যে শ্রেষ্ঠ এই বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ২৭৮ জন। শিক্ষক ৯ জন। শিক্ষকদের মধ্যে রেজাউল হক নামের এক সহকারী শিক্ষক বিগত ১০ মাস ধরে বিদ্যালয়ে পাঠদান করান না। তিনি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (টিইও) অফিসে কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে কাজ করেন। আর সপ্তাহে এক দুইবার এসে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে যান। এই কারণে পাঠদান প্রদানে অন্যান্য শিক্ষকগণ হাফিয়ে উঠেছেন। শিক্ষকদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ্ট দেখা দিয়েছে।

অপর শিক্ষকগন বলেন, শিক্ষক রেজাউল হক উপজেলায় শিক্ষা অফিসে কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে কাজ করেন। একজন শিক্ষক হয়ে অফিসে ক্লার্কের কাজ করেন। তিনি কাজ করে শিক্ষকদের নিকট থেকে আর্থিক সুবিধা গ্রহণ করেন। এই কারণে তিনি এখন অফিসের ক্লার্ক হিসেবে কাজ করতেই বেশি পছন্দ করছেন। উপজেলার সকল শিক্ষকদের মধ্যেই অসন্তোষ্ট সৃষ্টি হয়েছে। চলছে তীব্র সমালোচনা। তবে টিইও স্যারের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস করছেন না বলে দাবী করেন এসব শিক্ষকগণ।

বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থী মায়েশা, মেঘলা,তাসনুভা ও তিথিসহ অন্তত ৩৫জন শিক্ষার্থী বলেন, রেজাউল হক স্যার মাঝে মাঝে বিদ্যালয়ে আসেন। কিন্তু তিনি ক্লাস নেন না। চলে যান।

বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ বলেন, ৯জন শিক্ষকের মধ্যে একজন ক্লাস না নেন না। তার ক্লাসগুলো তাদের নিতে হয়। এতে তারা রোবট হয়ে পড়েছেন।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আলাউদ্দিন বলেন, আমরা টিইও স্যারের অধীনে চাকরী করি। তিনি একজন শিক্ষককে বিদ্যালয় থেকে নিয়ে গিয়ে অফিসিয়াল কাজ করালে আমার কিছু করার নেই। তবে শিক্ষক রেজাউল হকের অনুপস্থিতিতে পাঠদানের কোন অসুবিধা হচ্ছে না। তিনি মাঝে মধ্যে এসে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে উপজেলা শিক্ষা অফিসে চলে যান।

বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোঃ রিয়াজুল ইসলাম বলেন, বিদ্যালয়ের শিক্ষককে দিয়ে শিক্ষা অফিসে ক্লার্কেও কাজ করানোটা খারাপ। উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের ব্যবস্থাপনা খারাপ বলেই এই ধরণের কাজ করানো হচ্ছে। বিষয়টি খুবই লজ্জার ও দুঃখজনক। তাই বিষয়টি নিয়ে টিইও সাহেবকে কিছু বলেনি।

সহকারী শিক্ষক মোঃ রেজাউল হক বলেন, আমার কোন বক্তব্য নেই। টিইও স্যার যেটা বলেছেন সেটাই ঠিক।

উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার (এটিইও) মোঃ জহুরুল ইসলাম বলেন, আমি বিগত ৩ মাস ধরে  বিদ্যালয়টিতে পরিদর্শন করে শিক্ষক রেজাউল হককে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত পেয়েছি। বিষয়টি শিক্ষা কর্মকর্তা (টিইও) স্যারকে জানানো হয়েছে। এখন সঙ্গে সহকারী শিক্ষক রেজাউল হককে বিদ্যালয়ে ফেরত পাঠানোর অনুরোধ করা হয়েছে।

ঈশ্বরদী উপজেলা শিক্ষা অফিসার (টিইও) মোঃ আসাদুজ্জামান বলেন, শিক্ষকরা আমার অধীনে চাকরী করে। তাদের দিয়ে আমি কি কাজ করাবো সেটা আমার বিষয়। শিক্ষককে দিয়ে নিজের অফিসে ক্লার্কেও কাজ করানোটা চাকরীবিধিতে আছে কিনা জানতে চাইলে শিক্ষা কর্মকর্তা বলেন, নেই। মৌখিক নির্দেশে তাকে কম্পিউটারে কিছু কাজ করানোর জন্য আনা হয়েছে। কারণ তিনি কম্পিউটারের কাজ ভাল বোঝেন। তবে কাজ করে দিয়ে অন্যান্য শিক্ষকদের নিকট থেকে টাকা নেওয়ার বিষয়টি সঠিক নয়।

পাবনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার (ডিপিইও) সিদ্দীক মোঃ ইউসুফ রেজা বলেন, শিক্ষককে দিয়ে টিইও অফিসে কাজ করানোর কোন নিয়ম বা সুযোগ নেই। বিষয়টি আমার জানা নেই। বিষয়টি আমি দেখছি।


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




উপজেলা পরিষদ নির্বাচন

নাজিরপুরে জনপ্রিয়তার দৌড়ে এগিয়ে সাংবাদিক এস.এম. নুরেআলম সিদ্দিকী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ফাহাদ মশিউর রহমান

Image

আগামী ৮ মে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে নাজিরপুর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন। আজ মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) প্রতীক বরাদ্দের মধ্যদিয়ে শুরু হয়েছে আনুষ্ঠানিক প্রচারণা। চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনের মাঠে জনপ্রিয়তার দৌড়ে এগিয়ে আছেন সাংবাদিক ও সমাজসেবক এস.এম. নুরেআলম সিদ্দিকী (শাহিন)।

নাজিরপুর উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন ঘুরে ভোটারদের সাথে কথা বলে জানাগেছে, সৎ-পরিচ্ছন্ন ব্যক্তি হিসেবে চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহীনের এলাকায় রয়েছে ব্যপক গ্রহণযোগ্যতা। বয়োজ্যেষ্ঠ, তরুণ ও নতুন ভোটারদের কাছেও সমান জনপ্রিয় তিনি।

নাজিরপুরের বাসিন্দা শেখ রাসেল বলেন, আমরা তরুণ ভোটার, আর শাহিন ভাই তারুণ্যের প্রতীক, তাই আমার পরিবার স্বজন ও বন্ধুদের ভোট তিনিই পাবেন। নির্বাচিত হয়ে তিনি এলাকার উন্নয়নে অবদান রাখবেন। তাই অধিকাংশ ভোটার তাকেই ভোট দিবেন। এছাড়া তার বিকল্প কেউ নেই।

সাংবাদিক সাকিল আহমদ অরণ্য বলেন, ২০০৭ সালের ১১ নভেম্বর এ অঞ্চলের উপর দিয়ে বয়ে যায় প্রলয়ঙ্কার ঘূর্ণিঝড় সিডর। সেই সময় শাহিন ভাই নিজের পকেটের টাকা ব্যয় করে দুস্থ মানুষের পাশে যেভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। তা ভুলে যাওয়ার নয়। মানুষের সেবা করার জন্য মন থাকতে হয়, যা তাঁর রয়েছে। একারণেই নাজিরপুরবাসী আগামী ৮ মে দোয়াত কলম প্রতীকে ভোট দিয়ে তাঁকে নির্বাচিত করবেন।

উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি তুহিন হালদার তিমির বলেন, শাহিন ভাই একজন মানবিক মানুষ, যাকে বিশ্বাস করে ভোট দেওয়া যায়। তিনি জনগণের আমানতের প্রতিদান অবশ্যই দিবে।

নামপ্রকাশ না করা শর্তে এক ছাত্রনেতা জানান, বিগত সময়ে যারা এই দায়িত্বে ছিলেন তারা ব্যস্ত ছিল নিজের ও পরিবারের উন্নয়ন নিয়ে। কিন্তু শাহিন ভাই ব্যতিক্রম। আমি তাঁকে খুব কাছ থেকে দেখেছি, তিনি নিজের উন্নয়নে বিশ্বাস করেন না, তিনি বিশ্বাস করেন নাজিরপুরের উন্নয়ন। শাহিন ভাই মনে করেন নাজিরপুরের সবাই ভালো থাকলে তিনিও ভালো থাকবেন।

রুহুল আমীন হাওলাদার নামে একজন প্রবীন বলেন, তাকে (এস.এম. নুরেআলম সিদ্দিকী) ছোট থেকে বড় হতে দেখেছি, কিন্তু তার ভিতরে কখনও অহংকার বা কারো সাথে খারাপ ব্যবহার করতে দেখিনি। জীবনের শেষ বয়সে এসে ভোট-টা তাকেই দিব।

নামপ্রকাশ না করা শর্তে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা জানান, শাহিনের পিতা ও তিন ভাই মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন। তার পরিবার অনেক আগে থেকেই প্রতিষ্ঠিত, চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে তার ভাগ্য বদলাতে হবে না। তাকে নির্বাচিত করলে এলাকায় প্রকৃত উন্নয়ন হবে, মানুষ ভালো থাকবে।

উপজেলা যুবলীগের সভাপতি এম খোকন কাজী জানান, চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহিনকে ৯০ এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন এবং সিডর, আইলা, করোনাসহ সকল প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও দলের সংকটকালে নেতা-কর্মীদের কাছে পেয়েছি। তাই তাকে নিয়ে মাঠে নেমেছি।

চেয়ারম্যান প্রার্থী এস এম নূরে আলম সিদ্দিকী (শাহিন) বলেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা ও তাঁর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণের স্বপ্ন নাজিরপুর উপজেলায় বাস্তবায়ন করতে চাই। বাংলাদেশের মধ্যে দুর্নীতি-মাদকমুক্ত মডেল উপজেলা হবে নাজিরপুর উপজেলা। উপজেলা পরিষদ থেকে অর্থ নিয়ে আমার বা পরিবারের ভাগ্য উন্নয়নের প্রয়োজন নেই, আমি চাই নাজিরপুরের মানুষ ভালো থাকুক।  

নাজিরপুর উপজেলা তথ্য বাতায়ন সূত্রে দেখা যায়, ৯টি ইউনিয়ন ৬৮টি মৌজা ও ১৭১টি গ্রাম নিয়ে গঠিত নাজিরপুর উপজেলার মোট ভোটারের সংখ্যা ১ লাখ ২৩ হাজার ১ শ ১৩ জন। তার মধ্যে ৬২ হাজার ৮শ ৪০ জন পুরুষ ও ৬০ হাজার ২শ ৭৩ জন নারী।

উল্লেখ্য, আগামী ৮ মে প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হিসাবে ওই উপজেলার ৭২টি কেন্দ্রে ইভিএমএর মাধ্যমে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।  


আরও খবর



জব্বারের বলিখেলায় এবারের চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লার শরীফ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

Image

চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী জব্বারের বলিখেলার ১১৫তম আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন কুমিল্লার শরীফ। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেল ৫টা ৪১ মিনিটে তাকে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করেন রেফারিরা। এবারের আসরে রানার আপ হয়েছেন কুমিল্লার মোহাম্মদ রাশেদ।

বিকেল ৫টা ২৯ মিনিটে দুই বলির চূড়ান্ত কুস্তি শুরু হয়। ১২মিনিট পর শরীফ বলীকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। এবারের বলিখেলায় ৮৬ জন কুস্তিগির অংশ নিয়েছিলেন। প্রতিযোগিতায় তৃতীয় ও চতুর্থ স্থান অধিকার করেন যথাক্রমে সৃজন চাকমা ও সীতাকুণ্ডে রাশেদ।

বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন জব্বারের বলিখেলায় প্রধান অতিথি রেলপথ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান রাউজানের সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী।

এর আগে বিকেল ৪টার দিকে বলিখেলা উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন বলিখেলার স্পন্সর প্রতিষ্ঠান এনএইচটি স্পোর্টস কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মোহাম্মদ তানসীর।

বলীখেলায় চ্যাম্পিয়ন হওয়া শরীফ ট্রফির পাশাপাশি প্রাইজ মানি পেয়েছেন ৩০ হাজার টাকা। এছাড়া দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ স্থান অধিকারীরা ট্রফির সঙ্গে পেয়েছেন যথাক্রমে ২০ হাজার, ১০ হাজার ও ৫ হাজার টাকা। বলীখেলায় সেমিফাইনালে পর্যায়ের আগে মোট ৪৩ রাউন্ড খেলা হয়। প্রাথমিক রাউন্ডে জয়লাভকারী প্রত্যেকে দেড় হাজার টাকা পেয়েছেন।

জব্বারের বলিখেলার ইতিহাস

১৯০৯ সালে বকশিরহাটের স্থানীয় ধনী বণিক বদরপাতি এলাকার বাসিন্দা আব্দুল জব্বার সওদাগর এই কুস্তি প্রতিযোগিতার সূচনা করেন। জানা যায়, এই ব্যবসায়ীর শুধু কুস্তির প্রতি ভালোবাসা ছিল না বরং তার মধ্যে ছিল দেশের প্রতি ভালোবাসা। ওই সময় ভারতে ব্রিটিশ শাসনে অবসানে চট্টগ্রামে দানা বাঁধছিল আন্দোলন। পরে তার নাম অনুসারেই এই আয়োজনের নামকরণ হয়েছে।

আয়োজক কমিটির সেক্রেটারি ও প্রতিযোগিতার প্রতিষ্ঠাতা আব্দুল জব্বারের নাতি শওকত আনোয়ার বাদল বলেন, আমার দাদা এই আয়োজনের সূচনা করলেও এটা এখন আর পারিবারিক ঐতিহ্য নয়। এটা চট্টগ্রামের সকল মানুষের এবং তারা এই অনুষ্ঠানকে বাঁচিয়ে রেখেছেন।


আরও খবর



এমআইএসটিতে ৬ষ্ঠ আন্তর্জাতিক সম্মেলন উদ্বোধন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
প্রেস বিজ্ঞপ্তি

Image

মিরপুর সেনানিবাসস্থ মিলিটারী ইন্সটিটিউট অব সাইন্স এ্যান্ড টেকনোলজী (এমআইএসটি)- তে ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ইনফরমেশন ও কমিউনিকেশন টেকনোলজিবিষয়ক ৩ দিনব্যাপী ৬ষ্ঠ International Conference on Electrical Engineering and Information & Communication Technology (ICEEICT 2024) শীর্ষক সম্মেলন আজ বৃহস্পতিবার শুরু হয়েছে।

এই আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে বাংলাদেশসহ যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, নরওয়ে, সুইডেন, মালয়েশিয়া, দক্ষিন কোরিয়া এবং জাপান এরস্বনামধন্য বিশেষজ্ঞ এবং গবেষকগণ অংশগ্রহণ করছেন।

সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, এসবিপি (বার), ওএসপি, এনডিইউ, পিএসসি, পিএইচডি। মেজর জেনারেল মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম, আরসিডিএস, এনডিসি,  পিএসসি, কমান্ড্যান্ট, এমআইএসটি কনফারেন্সের চীফ প্যাট্রোন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর সাইফুর রহমান, ২০২৩ আইইইই সভাপতি এবং এডভ্যান্স্ড রিসার্চইন্সটিটিউট, ভার্জিনিয়া টেক, ইউএসএ এর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক এবং প্রফেসর ড.মোহাম্মদ মশিউল হক, চেয়ার, আইইইই বাংলাদেশ সেকশন।

সম্মেলনে আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্স, বায়ো মেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, কম্পিউটার নেটওয়ার্ক এ্যান্ড সিকিউরিটি, কমিউনিকেশন টেকনোলোজি, ডিজিটাল সিগন্যাল এ্যান্ড ইমেজ প্রসেসিং, অপ্টো-ইলেক্ট্রনিক্স এ্যান্ড ফোটোনিক্স, পাওয়ার ইলেক্ট্রনিক্স এ্যান্ড ড্রাইভস, পাওয়ার সিস্টেম এ্যান্ড রিনিউএ্যাবল এনার্জি, সেমি-কনডাক্টর ডিভাইস এ্যান্ড ন্যানো টেকনোলজি, সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং, ভিএলএসআই এ্যান্ড সার্কিটস্, মাইক্রোওয়েভ ইঞ্জিনিয়ারিং, স্যাটেলাইট নেভিগেশন, ওয়্যারলেস কমিউনিকেশন এবং রাডার ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ক সাম্প্রতিক গবেষণা, প্রবন্ধ উপস্থাপন ও আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে।

সম্মেলনের মাধ্যমে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, শিল্পোদ্যোক্তা, প্রকৌশলী, শিক্ষার্থী এবং গবেষকদের সমন্বয়ে একটি সার্বজনীন ক্ষেত্র তৈরী হবে যা ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ক্ষেত্রে নব ও টেকসই প্রযুক্তি উদ্ভাবনের মাধ্যমে উন্নয়নের নতুন দ্বার উন্মোচন করবে এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে বিশেষ অবদান রাখবে বলে আশা করা যায়।

উল্লেখ্য, সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠান আগামী ০৪ মে এমআইএসটিতে অনুষ্ঠিত হবে। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক উপস্থিত থাকবেন।

নিউজ ট্যাগ: এমআইএসটি

আরও খবর



কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতিকে শোকজ

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রফিকুল ইসলাম, কুষ্টিয়া

Image

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আদর্শ পরিপন্থী ও সংগঠনের রীতিনীতি পরিপন্থী বক্তব্য দেওয়ায় কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সদর উদ্দিন খানকে শোকজ নোটিশ দিয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটি। শনিবার তাকে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক নোটিশে এ কারণ দর্শানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়।

নোটিশে বলা হয়, সম্প্রতি গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত আপনার বক্তব্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে এবং তা সংগঠনের রীতিনীতি ও আদর্শ পরিপন্থি। এসব বক্তব্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

নোটিশে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, কেন তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না- তার ব্যাখ্যাসহ লিখিত জবাব ১৫ দিনের মধ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা এমপির রাজনৈতিক কার্যালয়ে জানাতে বলা হয়েছে।

বুধবার সন্ধ্যায় খোকসা উপজেলার আমবাড়িয়া ইউনিয়নের গোসাইডাঙ্গি গ্রামে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আপন ছোট ভাইয়ের নির্বাচনী পথসভায় গিয়ে সদর উদ্দিন খান বলেন, আল্লাহ পাক উন্নয়ন করাবে আমাকে দিয়ে। আমার সঙ্গে যারা বিরোধিতা করবে তারা আল্লাহর সঙ্গে বিরোধিতা করবেন।

জেলা সভাপতি আরও বলেন, শয়তানরাও মসজিদে আসবে, শয়তানরাও গোরস্থানে শোবে। শয়তানরা মসজিদে এসে সুখে থাকতে পারবে না। আর গোরস্থানে গেলে শয়তানদের যেভাবে মাটি চাপা হবে আপনারা কল্পনাই করতে পারবেন না।

১ মে বুধবারের ওই পথসভায় তার বক্তব্যের ২ মিনিট ১৮ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এমন বক্তব্যর পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলা আওয়ামী লীগের একাংশের নেতাকর্মীরাসহ সাধারণ ভোটাররা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এর প্রেক্ষিতে তাকে এই কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হলো সংগঠনটির পক্ষ থেকে।

এর আগে খোকসা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তার ভাইয়ের পক্ষে নির্বাচন করার জন্য থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলমগীর হোসেনকে তুলে নিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে। সে সময় তাকে দল থেকে বহিষ্কারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করে আওয়ামী লীগের একাংশের নেতাকর্মীরা।


আরও খবর



প্রতিবন্ধীর প্রশিক্ষণ ভাতা প্রধান শিক্ষকের পেটে!

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি:

প্রতিবন্ধী জান্নাতী আক্তারের প্রতিবন্ধী প্রশিক্ষণ ভাতা না দিয়ে বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক শাহ আলম কবির আত্মসাৎ করেছেন অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ বিষয়ে জান্নাতীর বাবা নিজাম মীর আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। ইউএনও মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে নির্দেশ দিয়েছেন। প্রতিবন্ধীর বাবা আরো অভিযোগ এ বিষয়টি নিয়ে ইউএনওকে লিখিত অভিযোগ দেয়ায় প্রধান শিক্ষক তার মেয়েকে টিসি দেয়ার হুমকি দিচ্ছেন।

জানা গেছে, আমতলী পৌর শহরের নয়াবেঙ্গলী গ্রামের নিজাম মীরের প্রতিবন্ধী কন্যা জান্নাতী আক্তার মফিজ উদ্দিন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভোকেশনাল শাখায় নবম শ্রেণিতে লেখাপড়া করে। জান্নাতী প্রতিবন্ধী হওয়ায় তার মা ফাতেমা বেগমকে ন্যাশনাল একাডেমি ফর অটিজম এন্ড নিউরো ডেভেলটমেন্টাল ডিজএ্যাবিলিটিজ প্রকল্পে আয়োজিত ৫ দিন ব্যাপী প্রতিক্ষণে আমন্ত্রণ পায়। অভিযোগ রয়েছে বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক শাহ আলম কবির প্রতিবন্ধী জান্নাতী আক্তারের মাকে প্রশিক্ষণে না পাঠিয়ে তার বোনকে ভূয়া প্রতিবন্ধীর অভিভাবক বানিয়ে প্রশিক্ষণ ভাতা আত্মসাৎ করেছেন। এ বিষয়ে জান্নাতির বাবা নিজাম মীর আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। ইউএনও মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে নির্দেশ দিয়েছেন। তার আরো অভিযোগ এ বিষয়টি নিয়ে ইউএনওকে লিখিত অভিযোগ দেয়ায় প্রধান শিক্ষক তার মেয়েকে টিসি দেয়ার হুমকি দিচ্ছেন।

প্রধান শিক্ষক শাহ আলম কবির প্রতিবন্ধীর প্রশিক্ষণ ভাতা নেয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, তদন্ত কর্মকর্তা প্রশিক্ষণে যাকে পাঠিয়েছি তার ফরোয়াডিং চেয়েছেন। অল্প দিনের মধ্যেই ফরোয়াডিং এনে দেয়া হবে।

আমতলী উপজেলা মাধ্যমিক অফিসার ও তদন্ত কর্মকর্তা অলী আহাদ বলেন, অল্প দিনের মধ্যেই তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে।

আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন পেলে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরও খবর