চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় ইয়ামিন হোসেন নামের
৯ বছর বয়সী এক শিশুকে গলা কেটে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। আজ শনিবার বেলা ২টার দিকে উপজেলার
কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের কানাইডাঙ্গা গ্রামের একটি আমবাগানে থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা
হয়। ঘটনার পর থেকে হত্যাকারী হিসেবে অভিযুক্ত জাহিদ হাসান (১৬) পলাতক রয়েছে।
নিহত ইয়ামিন কানাইডাঙ্গা গ্রামের আব্দুর
রাজ্জাকের নাতি ও দামুড়হুদা উপজেলার জয়রামপুর গ্রামের সেলিম রেজার ছেলে। সে কানাইডাঙ্গা
বৃত্তিপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২য় শ্রেণির ছাত্র ছিল। বাবা-মায়ের বিচ্ছেদের পর মায়ের
সঙ্গেই নানার বাড়িতে থাকত ইয়ামিন।
হত্যাকারী অভিযুক্ত জাহিদ হাসান কার্পাসডাঙ্গা
ইউনিয়নের ৭ ওয়ার্ড কানাইডাঙ্গা গ্রামের মেম্বার আশাদুল ইসলামের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা বলছে, দুপুরে বন্ধুরা
মিলে বাড়ির পাশে খেলছিল ইয়ামিন ও তার বড় ভাই ইমন। এ সময় আশাদুল ইসলামের ছেলে জাহিদ
হাসান ৩০ টাকা দিয়ে মুড়ি কেনার জন্য ইয়ামিনকে দোকানে পাঠায়। মুড়ি কেনার পর অবশিষ্ট
থাকা ১০ টাকা খরচ করে ফেলে ইয়ামিন। পরে জাহিদ বাকি টাকা চাইলে ইয়ামিন দিতে না পারায়
তাকে দড়ি দিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধর করে। এ সময় ইয়ামিনের বড় ভাই ইমন ভয়ে পালিয়ে
এসে ঘটনা বাড়িতে জানালে পরিবারের লোকজন দ্রুত ঘটনাস্থলে যায়। ঘটনাস্থল বাড়ির পাশের
আম বাগানে গিয়ে ইয়ামিনের জবাই করা মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন পরিবারের সদস্যরা। পরে তারা
পুলিশে খবর দিলে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ
(ওসি) ফেরদৌস ওয়াহিদ।
দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ
(ওসি) ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, শিশু ইয়ামিনের হত্যাকারী জাহিদকে আটক করতে পুলিশ অভিযান
চলছে। হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্রটি এখনো উদ্ধার করা যায়নি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে
পাঠানো হয়েছে। শিশু ইয়ামিনকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। শিশুটির
পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে।