আজঃ বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

১০০ কোটি টাকার মামলা থেকে শমী কায়সারকে অব্যাহতি

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ মার্চ ২০২১ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ মার্চ ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

সাংবাদিকদের চোর বলে সম্বোধন করায় অভিনেত্রী শমী কায়সারের বিরুদ্ধে করা ১০০ কোটি টাকার মানহানি মামলায় অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। পিবিআইয়ের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে ঢাকা মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদার মামলার দায় থেকে তাকে অব্যাহতি দেন।

রোববার (৭ মার্চ) ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ মার্চ মামলাটির চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। বিচারক চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে মামলার দায় থেকে শমী কায়সারকে অব্যাহতি দেন।

এর আগে ৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদারের আদালতে এ প্রতিবেদন দাখিল করেন পিবিআইর পরিদর্শক লুৎফর রহমান। মূলত এ মামলায় সাক্ষী খুঁজে না পাওয়ায় তাকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতির আবেদন করে প্রতিবেদন দাখিল করেন পিবিআই।

পিবিআইর পরিদর্শক লুৎফর রহমান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, মামলাটি তদন্ত করতে গিয়ে কোনো সাক্ষী খুঁজে পাওয়া যায়নি। ফলে শমী কায়সারকে অব্যাহতি দিয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছি।

নিউজ ট্যাগ: শমী কায়সার

আরও খবর



চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রাধানগর ইউনিয়নের রোকনপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে সাইফুল ইসলাম (৩০) নামে এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় রাজু ইসলাম (২৫) নামে একজন আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।

মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সাইফুল ইসলাম নগরপাড়ার হাসান আলীর ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার রাতে সাইফুলসহ আরও কয়েকজন রোকনপুর সীমান্ত দিয়ে ভারতে গরু আনতে যান। সেসময় বিএসএফ সদস্যরা গুলি ছুঁড়লে ঘটনাস্থলেই মারা যান সাইফুল। পরে বিএসএফ সাইফুলের মরদেহ ভারতের অভ্যন্তরে নিয়ে যায়।

রাধানগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মতিউর রহমান বলেন, গরু আনতে গিয়ে বিএসএফের গুলিতে সাইফুল ইসলাম নামে এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। তার মরদেহ এখন ভারতেই আছে।

১৬ বিজিবি ব্যাটালিয়ন রোকনপুর বিওপি কমান্ডার নায়েব সুবেদার আজাদ রহমান বলেন, সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন বলে খবর পেয়েছি। এ বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।


আরও খবর



সিলেটে কালবৈশাখির তাণ্ডব: ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সিলেট প্রতিনিধি

Image

সিলেট ও সুনামগঞ্জে রবিবার (৩১ মার্চ) রাতে বেশ কয়েক ঘণ্টা ব্যাপক শিলাবৃষ্টি হয়েছে। রাত সাড়ে ১০টা থেকে শুরু হয় এ শিলাবৃষ্টি। একেকটি শিলা ছিল বিশাল আকারের। চৈত্রের শেষে এমন শিলাবৃষ্টি বোরোসহ বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এছাড়া শিলাবৃষ্টির পর থেকে সিলেটের প্রায় সব স্থানে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।

বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে- প্রবল ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে সিলেটে বিভিন্ন স্থানে বৈদ্যুতিক লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হবার কারণে বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করার কাজ চলমান রয়েছে। কারো এলাকায় বিদ্যুৎ লাইনের তার ছিড়ে থাকলে বা ব্যানার ফেস্টুন অথবা গাছের ডাল-পালা বৈদ্যুতিক লাইনে পরে থাকলে তাদের অবগত করতে বলা হয়েছে।

জানা যায়, রবিবার তারাবীর নামাজের পর সিলেট মহানগরসহ বিভাগের বিভিন্ন স্থানে ঘূর্ণিঝড় বয়ে যায়। এরপর শুরু হয় শিলাবৃষ্টি। ফলে রাস্তায় থাকা সাধারণ মানুষ, পথচারী ও ঈদের কেনাকাটায় যাওয়া লোকজন বিপাকে পড়েন। শিলায় প্রাইভেটকার ও সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ অন্যান্য যানবাহনের গ্লাস ক্ষতিগ্রস্ত হয়। একেকটি শিলা আকারে অনেক বড় বড় ছিলো।

এর আগে সিলেটে এরকম শিলাবৃষ্টি দেখা যায়নি বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মন্তব্য করছেন অনেকেই। অনেকেই গাড়ি ভাংচুরের ছবি আপলোড দিয়েছেন। কারও কারও বাসার টিনের চালা ফুটো ও জানালার কাঁচের গ্লাস শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এছাড়া অনেকের ছাদে থাকা পানির ট্যাংক ও পাইপ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জানা গেছে। আহত হয়েছেন খোলা জায়গায় ও রাস্তায় অবস্থান করা কেউ কেউ।

সিলেট মহানগরের টিলাগড় এলাকায় ঝড়ে আটকা পড়া বেসরকারি চাকরিজীবি সিরাজ উ্দ্দিন বলেন, যে বড় আকারের শিলা পড়েছে; তা আমরা ছোটবেলায় দেখেছি। এত বড় আকারের শিলাবৃষ্টিতে কৃষি ফসলের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।

এদিকে, সিলেট সদর উপজেলার কান্দিগাও ইউনিয়নের পশ্চিমদর্শা এলাকায় একটি গ্যাসের রাইজারে আগুন লেগে যায়। পরে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন ঘটনাস্থলে পৌছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এছাড়া এলাকায় ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পুরো এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।

অপরদিকে, সুনামগঞ্জে ঝড়ে বিভিন্ন স্থানে কাঁচা ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শিলাবৃষ্টিতে হাওরের আগাম জাতের ধানের ক্ষতি হতে পারে বলে জানিয়েছেন কৃষকরা।

শান্তিগঞ্জ উপজেলার এক বাসিন্দা বলেন- ঝড়ে পাগলা বাজারের টিনশেডের কয়েকটি দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সড়কে গাছপালা ভেঙে পড়ায় যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। সুনামগঞ্জ শহরের ইকবালনগরে সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কে গাছ ভেঙে পড়ে যানচলাচল বন্ধ ছিল। আধা ঘণ্টার ব্যবধানে রাত সোয়া ১১টায় আবারও বৃষ্টি ও বজ্রপাত শুরু হয়।

ঝড়ে শান্তিগঞ্জ উপজেলা পাগলা, কান্দিগাঁও, আসামপুর, বাঘেরকোনাসহ একাধিক গ্রামের অন্তত ২০ টি কাঁচা, আধাপাকা ঘর লন্ডভন্ড হয়েছে বলে জানা গেছে। ঝড়ে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পাগলাবাজারের। বাজারে সড়কের দুইপাশের অস্থায়ী দোকানপাট ঝড়ের বেগে লন্ডভন্ড হয়ে যায়।

এদিকে, সুনামগঞ্জ শহরের কালীবাড়ি এলাকায় চলন্ত সিএনজির উপর গাছ ভেঙ্গে পড়ায় চালকসহ ৫ জন আহত হয়েছেন। আহতরা সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা লক্ষণশ্রী ইউনিয়নের বৈষভেড় গ্রামের বাসিন্দা বলে জানা যায়।

সিলেট সুনামগঞ্জ সড়কের হাছন তোরণ এলাকায় একাধিক গাছ ভেঙ্গে সড়কে পড়ায় দুইপাশের পরিবহন আটকে তীব্র জানজটের সৃষ্টি হয়। ঘণ্টা ব্যাপী ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী দলের চেষ্টায় সড়কে জান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. নিরুপন রায় চৌধুরী বলেন, ঝড়ের কবলে পড়ে আহত সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে ৫ জন রোগী আসেন। তাদের মধ্যে সাদ্দাম নামের এক যুবকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সিলেট ওসমানি মেডিকেলে রেফার্ড করা হয়েছে। রয়েল নামের আরেক যুবক হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

সুনামগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিমল চন্দ্র সোম বলেন, ঝড়ের সঙ্গে মাঝারি শিলাবৃষ্টি হয়েছে। এতে হাওরের আগাম ধানের জাতের কিছু ক্ষতি হতে পারে। আমরা সব জায়গায় খবর পাঠিয়েছি। তবে এখন হাওরে ফসলের ক্ষতি তেমন হবে না বলে জানান তিনি।

সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী বলেন, রাত সোয়া ১০টায় তীব্র বেগে ঝড় আসে। সঙ্গে বজ্রপাত ও শিলাবৃষ্টি। এখন পর্যন্ত বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। তবে ঝড়ে গাছপালা, বৈদ্যুতিক খুঁটি, কিছু কাঁচা ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।


আরও খবর



মেসেঞ্জার ব্যবহারকারীদের জন্য বড় সুখবর

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক

Image

মেসেঞ্জারের সব ধরনের চ্যাট ও কলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন ব্যবস্থা চালু করেছে ফেসবুকের মূল প্রতিষ্ঠান মেটা। মেসেঞ্জারে এর আগেও এনক্রিপশন ছিল, তবে তা নিজে থেকে চালু করতে হত। যার ফলে অনেক ব্যবহারকারী এ সম্পর্কে জানতেন না। অনেকে বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হলেও সঠিক অপশন খুঁজে না পেয়ে ব্যবহার করার সুযোগ পাননি।

এই ফিচারটি নিয়ে মেটা গত কয়েকবছর ধরে পরীক্ষা-নীরিক্ষা করছিল। কিছু সংখ্যক মেটা ব্যবহারকারী ফিচারটি উপভোগও করছিলেন।

সম্প্রতি সকল ব্যবহারকারীদের জন্য এটি উন্মুক্ত করা হলো। অর্থাৎ হোয়াটসঅ্যাপের মতোই ফেসবুক চ্যাট ও মেসেঞ্জারের চ্যাট এন্ড টু এন্ড এনক্রিপটেড হলো।

একাধিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, ফেসবুক চ্যাট ও মেসেঞ্জার থেকে এই ফিচারটি চালু করতে কিছুই করতে হবে না। স্বয়ংক্রিয়ভাবে মেটা ফেসবুক ও মেসেঞ্জার ব্যবহারকারীদের ফিচারটি চালু করে দিয়েছে।

বর্তমানে অনলাইনে নিরাপদ যোগাযোগের ক্ষেত্রে এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য ও বিশ্বস্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এনক্রিপটেড মেসেজের সঙ্গে বিশেষ কোড যুক্ত করা থাকে। যার ফলে যাকে মেসেজ পাঠাচ্ছেন, তিনি ছাড়া আর কেউ সে মেসেজ পড়তে পারেন না। প্রাপকের কাছে মেসেজ পৌঁছানোর পর স্বয়ংক্রিয় প্রক্রিয়ায় মেসেজটি 'ডিকোড' করে তাকে দেখানো হয়। কলের ক্ষেত্রেও বিষয়টি একইরকম। এনক্রিপটেড কলে কোনো তৃতীয় পক্ষের আড়িপাতার সুযোগ নেই।

যার ফলে, প্রেরক ও প্রাপক ছাড়া এই মেসেজ বা কলের বিষয়বস্তু অন্য কেউ জানতে পারেন নাএমন কী, ফেসবুক বা মেটা কর্তৃপক্ষও নয়।


আরও খবর



সময়মতো কমলাপুর ছাড়ছে ট্রেন, খুশি যাত্রীরা

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আর মাত্র এক বা দুইদিন পরেই ঈদ। পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন রাজধানীবাসী। অনেকেই যাতায়াতের মাধ্যম হিসেবে ট্রেনকে বেছে নিয়েছেন। ঈদ উপলক্ষে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু করেছিল বাংলাদেশ রেলওয়ে। যারা অগ্রিম টিকিট সংগ্রহ করেছিলেন তারা এখন ভ্রমণ করতে পারছেন। এবার ট্রেনে ঈদ যাত্রায় খুশি যাত্রীরা। দেখা যায়নি ভোগান্তির তেমন কোন চিত্র, ট্রেনের সিডিউল বিপর্যয় নেই। সময়মতো গন্তব্যের উদ্দেশ্যে স্টেশন ছেড়ে যাচ্ছে ট্রেন।

সোমবার (৮ এপ্রিল) সকালে সরেজমিনে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে দেখা যায়, একের পর এক ট্রেন নির্দিষ্ট সময় অনুযায়ী স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম ছেড়ে যাচ্ছে। ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম রুটে যাতায়াতকারী মহানগর প্রভাতী ট্রেনটি স্টেশন ছাড়ার সময় ছিল ৭টা ৪৫ মিনিটে৷ ট্রেনটি এক মিনিটও বিলম্ব না করে নির্দিষ্ট সময়েই স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম ত্যাগ করে।

কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন সূত্র জানায়, সকাল থকে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত মহানগর প্রভাতী, বালাকা, ধুমকেতু, পারাবত, সুন্দরবন, নীলসাগর এক্সপ্রেসসহ মোট ১১ টি ট্রেন বিভিন্ন গন্তব্যে স্টেশন ত্যাগ করেছে।

ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার বলেন, ট্রেনের কোনো সিডিউল বিপর্যয় নেই। এমনকি ট্রেন যাত্রায় বিলম্বও নেই। প্রতিটি ট্রেন তার নির্দিষ্ট সময়সূচি অনুযায়ী স্টেশন ত্যাগ করছে। ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি এবং সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

এবারের ঈদ যাত্রায় রেলওয়ের ব্যবস্থাপনায় খুশি সাধারণ যাত্রীরা। তারা বলছেন, ট্রেনে ঈদ যাত্রায় আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় এবার স্বস্তিদায়ক৷ একদিনে ট্রেন যেমন সময়মতো ছাড়ছে অন্যদিকে বিনা টিকিটের কোন যাত্রী ভ্রমণ করতে পারছেন না। রেলওয়ের ব্যবস্থাপনায় যাত্রাও ভালো হচ্ছে।

বুড়িমারি এক্সপ্রেসে লালমনিরহাট যাবেন আশরাফুল ইমন৷ এবারের ঈদ যাত্রা সন্তোষজনক জানিয়ে তিনি বলেন, এবারের ব্যবস্থাপনা খুবই ভালো লেগেছে৷ বিশেষ করে বিনা টিকিটের যাত্রী ঠেকাতে এখানকার ব্যবস্থাপনা প্রশংসনীয়৷ এসে দেখলাম সবগুলো ট্রেনই সময়মতো ছেড়ে যাচ্ছে৷ আগে বিলম্বে ট্রেন ছাড়ার অহরহ ঘটনা ঘটলেও এবারের ঈদে সেটি দেখা যাচ্ছে না।

ট্রেনের আরেক যাত্রী আকলিমা আক্তার বলেন, গত ঈদে বাড়ি যেতে অনেক ভেগান্তিতে পোহাতে হয়েছিল। এবার স্টেশনে এসে ভালো লাগছে। ব্যবস্থাপনা ভালো। সবার ঈদযাত্রা আনন্দের হোক।


আরও খবর



বান্দরবানে ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় এক নারীসহ আরও তিনজন গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বান্দরবান প্রতিনিধি

Image

বান্দরবানের রুমায় ব্যাংক ডাকাতি ও অস্ত্র লুটের ঘটনায় আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বিত অভিযানে রুমা উপজেলা সদরের কাছাকাছি গির্জাপাড়া থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তাররা হলেন, গির্জাপাড়ার তরুণী লালরিন ত্লোয়াং বম (২০), যুবক ভাননুয়াম বম (৩৭) ও ভানলাং থাং বম (৪৫)।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানায়, গ্রেপ্তার তিনজন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গতিবিধির তথ্য প্রদানকারী এবং ব্যাংক ডাকাতিতে জড়িত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।

ব্যাংক ডাকাতি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও উপপরিদর্শক মদন মিয়া আসামিদের আদালতে পাঠানোর প্রতিবেদনে বলেছেন, ওই তিনজনকে যৌথ অভিযানে সেনাবাহিনী আটক করে থানায় হস্তান্তর করেছে। তাঁদের সবার বাড়ি গির্জাপাড়ায়। তিনজনকেই ব্যাংক ডাকাতি, পুলিশ-আনসারের অস্ত্র লুটের মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা চলমান সমন্বিত অভিযানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গতিবিধি কেএনএফের কাছে আদান-প্রদান করেন বলে স্বীকার করেছেন। তা ছাড়া রুমায় সোনালী ব্যাংকে ডাকাতি, ব্যাংকের ব্যবস্থাপককে অপহরণ ও পুলিশ-আনসারের অস্ত্র লুটের ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহ রয়েছে।

গত ২ এপ্রিল রাতে রুমার সোনালী ব্যাংক ও পরেরদিন দুপুরে থানচির সোনালী ও কৃষি ব্যাংকে হামলা চালায় কেএনএফ। রুমার সোনালী ব্যাংকের ভল্ট ভেঙে টাকা লুটের চেষ্টা করলে টাকা নিতে না পেরে ব্যাংকের ব্যবস্থাপককে অপহরণ করে। এ সময় পাহারায় থাকা পুলিশ-আনসারের ১৪টি অস্ত্র লুট করে নিয়ে যায় কেএনএফ। তবে ৩ এপ্রিল থানচির সোনালী ও কৃষি ব্যাংকে হামলা চালিয়ে ১০ লক্ষাধিক টাকা লুট করে নেয় পাহাড়ের এই সশস্ত্র গোষ্ঠী। এ ঘটনার পর থেকে সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ, র‌্যাব ও আনসার বাহিনী সমন্বিত অভিযান পরিচালনা করছে।


আরও খবর