আজঃ শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

১৫ ও ২১ আগস্টের কুশীলবরা এখনও সক্রিয়: কাদের

প্রকাশিত:রবিবার ০১ আগস্ট ২০২১ | হালনাগাদ:রবিবার ০১ আগস্ট ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ১৫ ও ২১ আগস্টের কুশীলবরা এখনও সক্রিয় রয়েছে। তারা উন্নয়ন, শান্তি ও স্বস্তির বাংলাদেশ চায় না।

ওবায়দুল কাদের রবিবার (১ আগস্ট) সকালে তাঁর বাসভবনে ব্রিফিংকালে একথা বলেন।

ইতিহাসের নিষ্ঠুরতম রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড ছিলো ১৫ আগস্ট, নির্মমতার দিক থেকে এমন রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের নজির পৃথিবীতে আর নেই উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, জগতে অন্যান্য হত্যাকাণ্ডে নিষ্পাপ শিশুকে হত্যা করা হয়নি, টার্গেট করা হয়নি অবলা নারীকে, অন্তঃসত্ত্বা নারীকে।

তিনি বলেন, সেদিন শুধু বঙ্গবন্ধুই নন, তাঁর সহধর্মিণী মহীয়সী নারী বঙ্গমাতা বেগম মুজিবসহ নৃশংসভাবে নিহত হন পরিবারের অন্যান্য সদস্যগণ।

১৫ আগস্টের নির্মম হত্যাযজ্ঞ ঘটিয়ে ষড়যন্ত্রকারীরা থেমে থাকেনি, তারা পরবর্তীতে তিন নভেম্বর জাতীয় চার নেতাকে জেলের অভ্যন্তরে কারাকক্ষে হত্যা করে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলা ছিলো একই ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতা।

তিনি বলেন, পনের আগস্ট প্রাইম টার্গেট ছিলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আর একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার প্রাইম টার্গেট ছিলো বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা।

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সমৃদ্ধ আগামীর পথে এগিয়ে যাওয়া তাদের গাত্রদাহ উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা চায় সংঘাতে জর্জরিত রক্তময় প্রান্তর।

আগস্ট এলেই বঙ্গবন্ধু কন্যার নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকি জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ১৯৮১ সালে তিনি দেশে ফিরে আসার পর তাঁকে প্রায় বিশ বার হত্যার চেষ্টা করা হয়।

যারা খুনের কুশীলব ছিলো তাদের অপমৃত্যু হয়েছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করিনি, ক্ষমা করেও না। এদেশে যারা রক্তাক্ত আগস্ট ঘটিয়েছিলো, যারা ছিলো বেনিফিশিয়ারি তাদের বিচার প্রকৃতির আদালতেই সম্পূর্ণ হয়েছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, তিন নভেম্বরের হত্যাকাণ্ড মূলত আওয়ামী লীগ ও জাতিকে নেতৃত্ব শূন্য করতেই করা হয়েছিলো। পনের আগস্ট, তিন নভেম্বর ও একুশে আগস্টের হত্যাকাণ্ড একই ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতা।

ব্যবসায়ীদের অনুরোধে আজ থেকে রফতানিমুখী শিল্প-কারখানা বিধিনিষেধের আওতামুক্ত ঘোষণা করেছে সরকার।

ব্যবসায়ী নেতারা প্রতিশ্রুতি দিয়ছিলেন কারখানার আশপাশের শ্রমিকদের নিয়ে প্রথমে কারখানা চালু করবেন এমনটা স্মরণ করে দিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল অনেক প্রতিষ্ঠান শ্রমিকদের দ্রুত কাজে যোগ দেওয়ার নোটিশ দেয়, এতে বাঁধভাঙা জোয়ারের মত স্বাস্থ্যবিধি তোয়াক্কা না করে মানুষের রাজধানীমুখী যে শ্রোত তাতে সংক্রমণের হার বেড়ে যেতে পারে বলেও মনে করেন তিনি।


আরও খবর
বিএনপির আন্দোলন এখনো শেষ হয়নি: রিজভী

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪




গরম বাড়ছে, সুস্থ থাকতে যা করবেন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

বাড়ছে তাপমাত্রা। এই গরমে নিজেকে সুস্থ রাখাই অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ। গরমে একটু অসতর্ক হলেই নানা ধরনের অসুখ-বিসুখে আক্রান্ত হওয়ার ভয় থাকে। তাই এসময় নিজের প্রতি থাকতে হবে বাড়তি যত্নশীল। গরমের তীব্রতাকে পাশ কাটিয়ে নিজেকে সুস্থ রাখার জন্য আপনাকে করতে হবে কিছু কাজ। প্রতিদিনের সেসব ছোট ছোট কাজের দিকে খেয়াল রাখলেই সুস্থ থাকা অনেকটা সহজ হয়ে যাবে। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক গরমে সুস্থ থাকতে কী করবেন-

পর্যাপ্ত পানি পান করুন : তাপপ্রবাহ আমাদের শরীরে একটি শুষ্ক প্রভাব ফেলে, যা শরীরের তাপমাত্রায় ডিহাইড্রেশন এবং ব্যাঘাত ঘটায়। তাই পানির ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এবং ডিহাইড্রেশন প্রতিরোধ করতে আপনার প্রতিদিনের তালিকায় আরও পানি যোগ করুন। মনে রাখবেন, মাত্র ৪% পানির ক্ষয় ডিহাইড্রেশন হতে পারে এবং ১৫% হলে, এটি মারাত্মক হতে পারে।

মৌসুমী খাবার খান : সাধারণত বিশেষজ্ঞরা স্বাস্থ্যকর শরীর বজায় রাখতে ডায়েটে পর্যাপ্ত প্রোটিন এবং ফাইবার যোগ করার পরামর্শ দেন। তবে বছরের এই সময়ে এই জাতীয় খাবার পরিহার করার পরামর্শ দেওয়া হয় কারণ এগুলো হজম হতে সময় নেয়। গ্রীষ্মে স্বাস্থ্যকর হজম বাড়াতে এবং অন্ত্রের সমস্যা, বদহজম, ডিহাইড্রেশন ইত্যাদি এড়াতে মৌসুমী খাবার, উদ্ভিদ-ভিত্তিক খাবার এবং তাজা শাক-সবজি বেছে নেওয়ার পরামর্শ দেয়।

বাইরে যাওয়ার সময় ঠান্ডা খাবার এবং পানীয় সঙ্গে রাখুন : গ্রীষ্মের অসহনীয় তাপেও কিন্তু কাজের জন্য বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন হয়। তাই সারাদিন সতেজ থাকার জন্য বাইরে যাওয়ার সময় ঠান্ডা খাবার ও পানীয় সঙ্গে রাখুন। ইউনাইটেড স্টেটস ডিপার্টমেন্ট অফ এগ্রিকালচার (ইউএসডিএ) এর মতে, বাতাসে তাপ ব্যাকটেরিয়ার দ্রুত বৃদ্ধি করে, যা খাদ্য দূষণ এবং খাদ্যজনিত অসুস্থতার ঝুঁকি বাড়ায়। তাই বিশেষজ্ঞরা হালকা এবং শীতল খাবার, আস্ত ফল এবং সাইট্রাস পানীয় সঙ্গে রাখার পরামর্শ দেন। এই খাবার এবং পানীয়গুলো প্রচণ্ড গরমেও আপনার শরীরের তাপমাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে।

টাটকা রান্না করা খাবার খান : আগেই বলা হয়েছে, গ্রীষ্মের মৌসুমে খাদ্য দূষণের ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই খাদ্যজনিত অসুস্থতার ঝুঁকি এড়াতে প্রতিদিন তাটকা রান্না করা খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। কোনো খাবার প্যাক করার আগে তা স্বাভাবিক তাপমাত্রায় এনে তবেই করুন।


আরও খবর



বঙ্গোপসাগরে ভাসতে থাকা ১২ জেলেকে জীবিত উদ্ধার

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আবু বকর সিদ্দিক, মোংলা প্রতিনিধি

Image

ইঞ্জিন বিকল হয়ে ৪ দিন ধরে সাগরে ভাসতে থাকা ১২ জেলেকে জীবিত উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড। শনিবার (২৩ মার্চ) বিকাল সাড়ে ৪টার সময় জরুরি সেবা ৯৯৯ ফোন করে জেলেরা সহায়তা চাইলে রাতে কোস্টগার্ড জেলেদের উদ্ধার করে।

কোস্টগার্ড জানায়, পাথরঘাটা থেকে হানিফ মুন্সি নামক একটি ফিশিং বোট গত ১৫ মার্চ মাছ ধরার উদ্দেশ্যে সমুদ্রে যাত্রা করে। এরপরে গত ১৯ মার্চ বোটের ইঞ্জিন বিকল হয়ে সাগরে ভাসতে থাকে। পরবর্তীতে ৯৯৯ নম্বরে ফোন দেওয়া বোটের মাঝি মাসুম মৌলভি এর মোবাইল নাম্বার ট্রাকিং করে তাদের অবস্থান নিশ্চিত করে কোস্ট গার্ড। এরপর আজ রাতে ওইসব জেলেদের জীবিত উদ্ধার করে কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের দুবলা ও কচিখালী যৌথ অভিযানিক দল।

উদ্ধার হওয়া জেলেদের বাড়ি বরগুনা জেলার পাথরঘাটা এলাকায় বলে জানায় কোস্ট গার্ড।


আরও খবর



বুয়েট শিক্ষার্থীদের আন্দোলন: ছাত্রলীগের বিবৃতি

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলন নিয়ে বিবৃতি দিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। এ ছাড়া এ আন্দোলনের প্রতিবাদে সমাবেশও করবে সংগঠনটি। রবিবার (৩১ মার্চ) বেলা ১১টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এ সমাবেশ করবে তারা।

ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, ২৯ মার্চ বুয়েট কর্তৃক বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১ ব্যাচের পুরকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ হোসেন রাহিমের আবাসিক হলের বরাদ্দকৃত সিট বাতিল ঘোষণা করার সিদ্ধান্তকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা-গণতন্ত্রকামী মানুষ ও ছাত্রসমাজ চূড়ান্তভাবে প্রত্যাখ্যান করছে। বাংলাদেশের ছাত্রসমাজ বুয়েট প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তকে একটি অন্যায্য, অসাংবিধানিক, মৌলিক অধিকার পরিপন্থী ও সর্বোচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃক নৈতিক স্খলনজনিত শিক্ষাবিরোধী কর্মকাণ্ড হিসেবে আখ্যায়িত করে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ও এই রাষ্ট্রে সাধারণের শিক্ষার অধিকার একটি গৌরবোজ্জ্বল সংগ্রামের মাধ্যমে অর্জিত হয়েছে, যার নেতৃত্ব দিয়েছে এদেশের ছাত্রসমাজ। কিন্তু পরিতাপের বিষয়, সাম্প্রতিককালে সংবিধানসম্মত ছাত্র-রাজনীতি নিয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয়টিতে এমন কিছু কর্মকাণ্ড পরিচালিত হচ্ছে, আশ্রয়-প্রশ্রয় পাচ্ছে যা ৩০ লাখ শহিদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশের মহান সংবিধানের চূড়ান্ত লঙ্ঘন।

এতে বলা হয়, দ্য ইঞ্জিনিয়ারিং টেকনোজিক্যাল ইউনিভার্সিটি অর্ডিন্যান্স, ১৯৬১ অনুযায়ী বুয়েট বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অভ্যন্তরে এবং বাংলাদেশের জনগণের অর্থে পরিচালিত একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। বিধায়, সর্বাবস্থায় এই রাষ্ট্রের সংবিধান ও প্রচলিত আইনের দ্বারা এটি পরিচালিত হতে হবে। কিন্তু তা না করে, এই আইনের কোথাও ছাত্র-রাজনীতি নিষিদ্ধ করার ক্ষমতা বুয়েটকে প্রদান করা না হলেও বুয়েট প্রশাসন বেআইনি ও অসাংবিধানিকভাবে তা বাস্তবায়ন করছে।

ছাত্রলীগের বিবৃতিতে বলা হয়, মূলধারার প্রকাশ্য ছাত্র-রাজনীতি নিষিদ্ধের এই প্রচেষ্টার মাধ্যমে বুয়েটকে দেশ ও বিশ্ব মানবতাবিরোধী নিষিদ্ধ, অন্ধকার জগতের বিভিন্ন সংগঠনের কর্মকাণ্ড পরিচালনার তীর্থস্থানে পরিণত করা হয়েছে। টাঙ্গুয়ার হাওরে জঙ্গি আস্তানায় গোপন মিটিং, শিক্ষার্থীদের অফিসিয়াল মেইলে জঙ্গিবাদের প্রচারণা, ক্যাম্পাসে কিউআর কোডের মাধ্যমে রাষ্ট্রবিরোধী তৎপরতা চালানো, বিশ্ববিদ্যালয় পরিমণ্ডল এ শ্রেণিকক্ষে মহান স্বাধীনতাকে কটাক্ষ ইত্যাদি কর্মকাণ্ড বুয়েটকে তার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য থেকে পশ্চাৎ দিকে ধাবিত করছে।

এতে বলা হয়, বুয়েট প্রশাসন ইমতিয়াজ হোসেন রাহিমের বরাদ্দকৃত সিট বাতিলের মাধ্যমে তার সংগঠন করার সাংবিধানিক অধিকার (অনুচ্ছেদ ৩৮) প্রয়োগ করতে বাধা সৃষ্টি করেছে। এটি একইসঙ্গে সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২৭ (আইনের দৃষ্টিতে সমতা), অনুচ্ছেদ-৩১ (আইনের আশ্রয় লাভের অধিকার), অনুচ্ছেদ-৩২ (জীবন ও ব্যক্তি স্বাধীনতায় অধিকার-রক্ষণ), অনুচ্ছেদ-৩৬ (চলাফেরার স্বাধীনতা), অনুচ্ছেদ-৩৭ (সমাবেশের স্বাধীনতা) ও অনুচ্ছেদ-৩৯ (চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতা ও বাক্‌-স্বাধীনতা)-এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

বিবৃতিতে বলা হয়, সাম্প্রতিক বছরে বুয়েটের একজন মেধাবী শিক্ষার্থীর অনাকাঙ্ক্ষিত, দুঃখজনক ও মর্মান্তিক মৃত্যু এদেশের প্রতিটি মানুষের হৃদয়কে গভীরভাবে ছুঁয়ে গেছে, ব্যথিত করেছে। এই ঘটনায় জড়িতদের দেশের প্রচলিত আইনে বিচার সম্পন্ন করা হয়েছে। এদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে বহু বছর ধরে সন্ত্রাসজনিত কারণে বহু মেধাবী শিক্ষার্থীর প্রাণ অকালে ঝরে গেছে। একইসঙ্গে এদেশের মহান স্বাধীনতা, ভাষা ও ভোটের অধিকার, গণতন্ত্র ও মুক্তির সংগ্রামে এদেশের বহু শিক্ষার্থী অকাতরে তাদের জীবন বিলিয়ে দিয়েছে, অনেকের প্রাণ হরণ করা হয়েছে। এদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ১৭ হাজার নেতাকর্মী জীবন উৎসর্গ করেছে, স্বাধীনতা উত্তর সময়ে গণতন্ত্র ও শিক্ষার অধিকার আদায়ের সংগ্রামে ছাত্রলীগের অসংখ্য নেতা-কর্মীর প্রাণ কেড়ে নেওয়া হয়েছে।

বিবৃতিতে ছাত্রলীগ বলছে, এ কারণে শহিদের রক্তস্নাত সংগঠন হিসেবে ছাত্রলীগ এদেশের প্রতিটি শিক্ষার্থীর জীবনকে মূল্যবান বিবেচনা করে, প্রতিটি শিক্ষার্থীর নিরাপদ জীবনযাপন ও শিক্ষা নিশ্চিত করাকে নিজেদের সাংগঠনিক মূলমন্ত্র গণ্য করে। এরই ধারাবাহিকতায় বিগত ১৫ বছরের অধিক সময় ধরে দেশের শিক্ষাঙ্গন থেকে সন্ত্রাস ও অস্ত্র বিতাড়িত হয়েছে, সেশনজট দূর হয়েছে, শিক্ষার্থীরা উপযুক্ত শিক্ষা গ্রহণ করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে চলেছে সমৃদ্ধি ও অগ্রগতির সোপানে।

বিবৃতিতে বলা হয়, এমতাবস্থায়, বুয়েট প্রশাসন, শিক্ষকমণ্ডলি ও শিক্ষার্থীদের প্রতি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আহ্বান জানাচ্ছে, একটি অন্যায়ের প্রতিকার হিসেবে আপনারা ধারাবাহিক অসংখ্য অন্যায় ও সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত হবেন না। যে মহান শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাটিতে এদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রতীক জাতীয় পতাকা নির্মিত হয়েছে, সেই প্রতিষ্ঠানের অংশ হিসেবে আপনারা এমন কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন না, রীতি-পদ্ধতি-সামাজিকতা প্রচলন করবেন না যেটি এদেশের সংবিধানকে অমান্য করে, একজন শিক্ষার্থীর মৌলিক অধিকার ও ব্যক্তি স্বাধীনতাকে খর্ব করে, শিক্ষার অধিকারকে অস্বীকার করে, স্বাভাবিক ও পারিবারিক জীবনযাত্রাকে বিঘ্নিত করে। আপনাদের এরূপ কর্ম-সিদ্ধান্ত এদেশের সামগ্রিক অগ্রযাত্রায় অন্তরায় হিসেবে বিবেচিত হবে এবং এদেশের সাধারণ মানুষ যাদের শ্রম-ঘামের বিনিময়ে এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালিত হয় তারা কোনোভাবেই তা মেনে নেবে না।

ছাত্রলীগ বলছে, বাংলাদেশের অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রার অবিকল্প সারথী, বাংলার মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা-নির্ভরতার একমাত্র ঠিকানা, বিশ্বের বুকে বাংলাদেশকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে শেখানো রাষ্ট্রনায়ক, প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা এদেশের শিক্ষাব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন সাধনের মাধ্যমে এদেশের তরুণ প্রজন্মকে সঙ্গে নিয়ে অর্থনৈতিক যে উন্নতি সাধন করেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণের যে পথনকশা বাস্তবায়ন করে চলেছেন সেখানে দেশের সর্বোচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বুয়েট নিঃসন্দেহে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করে চলেছে, আগামীতেও করবে।

বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলার মানুষ বিশ্বাস করে, স্বাধীনতা সংগ্রামের অবিচ্ছেদ্য অংশ বুয়েট সঙ্কোচের বিহ্বলতায়’ দেশ গঠনে নিজেদের অবদান ম্লান হতে দিবে না, সংকটের কল্পনাতে’ হবে না ম্রিয়মান। এদেশের ছাত্রসমাজ বুয়েটের প্রতি আহ্বান জানায়, আপনা-মাঝে শক্তি ধর, নিজেরে কর জয়’।


আরও খবর
ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিবের ঢাকা সফর স্থগিত

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪




অবসর নিয়ে মুখ খুললেন চোটে ভোগা মেসি

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

ক্যারিয়ারে চোটের সঙ্গে খুব বেশি যুদ্ধ করা না লাগলেও মেজর লিগ সকারের ক্লাব ইন্টার মায়ামিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই লিওনেল মেসিকে ভোগাচ্ছে চোট। চোটের কারণে মায়ামির হয়ে ঠিকঠাক খেলতে পারেননি প্রাক-মৌসুমে। আর্জেন্টিনার হয়ে সর্বশেষ প্রীতি ম্যাচেও খেলতে পারেননি বিশ্বকাপজয়ী এই তারকা। তাইতো ভক্তদের মনে শঙ্কা জেগেছে, তবে কি অবসরের সময় ঘনিয়ে আসছে প্রিয় তারকার?

একটি সাক্ষাৎকারে অবসরের বিষয়ে অবশেষে মুখ খুলেছেন মেসি। অবসর নিয়ে সঞ্চালকের করা প্রশ্নের জবাবে মেসি বলেন, আমি যেই মুহূর্তে মনে করব যে আমি আর পারফর্ম করার জন্য তৈরি না, নিজেকে (মাঠে) উপভোগ করছি না বা সতীর্থদের সাহায্য করতে পারছি না, আমি অবসরে যাব।’

নিজের ব্যাপারে বিশ্বসেরা এই ফুটবলার বলেন, আমি নিজের অনেক বড় সমালোচক। আমি জানি কখন আমি ভালো, কখন খারাপ, কখন আমি ভালো খেলি, কখন খারাপ খেলি। যখন আমি অনুভব করব যে পদক্ষেপ (অবসরের) নেওয়ার সময় এসেছে, আমি বয়সের কথা চিন্তা না করেই নিয়ে নেব। যদি আমি ভালো বোধ করি, আমি খেলা চালিয়ে যাবো। কারণ, এটিই আমি পছন্দ করি এবং আমি জানি কীভাবে করতে হয়।’

অবসরের পর কী করবেন সেই চিন্তাও এখনো পর্যন্ত করেননি মেসি, অবসর নেওয়ার পর আমি কী করব তা নিয়ে এখনো ভাবিনি। ভবিষ্যতের কথা না ভেবে, প্রতিদিন, প্রতি মুহূর্তগুলো উপভোগের চেষ্টা করি আমি। আমার কাছে এখনও কিছু স্পষ্ট নয়, আমি আশা করি খেলা আরও দীর্ঘ সময় চালিয়ে যেতে পারব, যা আমি পছন্দ করি।’

খেলোয়াড়ি জীবনে কোনো কিছু অপূর্ণ নেই উল্লেখ করে মেসি বলেন, আমি ভাগ্যবান ছিলাম যে, খেলাধুলার ক্ষেত্রে আমার পক্ষে যা কিছু সম্ভব, সব স্বপ্ন আমি পূরণ করতে পেরেছি।’


আরও খবর



হাজারীবাগে বস্তির আগুন নিয়ন্ত্রণে

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর হাজারীবাগে টিনশেড বস্তির আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ফায়ার সার্ভিসের সাতটি ইউনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আজ শুক্রবার বেলা ১২টার দিকে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। বেলা ১২টা ৪০ মিনিটের দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

এ তথ্য জানান ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের ডিউটি অফিসার রোজিনা আক্তার। তিনি বলেন, হাজারীবাগ বেড়িবাঁধ সংলগ্ন বস্তিতে আগুন লাগার খবর আসে বেলা ১২টার দিকে। খবর পেয়ে হাজারীবাগ ফায়ার স্টেশনের দুটি, লালবাগের দুটি, মোহাম্মদপুরের দুটি ও সিদ্দিকবাজার ফায়ার স্টেশনের একটি আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। প্রায় এক ঘণ্টায় চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। 


আরও খবর
ঢাকার বাতাসের মান আজও ‘অস্বাস্থ্যকর’

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪