আগামী ১৭ অক্টোবর
থেকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে এর আগে টিকা সংক্রান্ত
সব তথ্য ছক আকারে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে (ইউজিসি) পাঠাতে হবে। যে বিশ্ববিদ্যালয়
শতভাগ টিকার আওতায় আসবে সে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসন হলসহ সব কার্যক্রম শুরু করতে পারবে
বলে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার
(২৬ আগস্ট) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড.
কাজী শহীদুল্লাহ।
তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়
খোলার বিষয়ে আজ বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছে টিকা দেওয়া সাপেক্ষে
সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আগামী ১৭ অক্টোবর থেকে খুলতে পারবে। এ বিষয়ে টিকা
দানের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে স্ব স্ব বিশ্ববিদ্যালয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।
এর আগে বৃহস্পতিবার
দুপুরে করোনা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়
এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ টেকনিক্যাল কমিটির সঙ্গে বৈঠক হয়।
বৈঠকে অংশ নিয়েছেন
ইউজিসি সদস্য প্রফেসর দিল আফরোজা বেগম। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় খুলতে এখন একটিই সমস্যা
তা হলো শিক্ষার্থীদের তথ্য। কোন শিক্ষার্থী ভ্যাকসিন নিয়েছেন, কবে নিয়েছেন সে সংক্রান্ত
কোনো তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা আমাদের জানাতে পারেনি।
তিনি বলেন, অন্তত
এক ডোজ টিকা শিক্ষার্থীদের না দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় খোলা হবে না। অথবা যাদের টিকার সার্টিফিকেট
আছেন তারা শ্রেণি পাঠে সরাসরি অংশ নিতে পারবেন। তবে দীর্ঘ ২ মাস ধরে শিক্ষার্থীদের
জাতীয় পরিচয়পত্রের কোন সমাধান এমন কী বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এ সংক্রান্ত তথ্য আমাদের দিতে
ব্যর্থ হয়েছে।
ইউজিসির সদস্য
বলেন, শিক্ষার্থীদের তথ্যগুলো পেলে আমরা নির্বাচন কমিশন অথবা স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ের
সঙ্গে কোন একটি চুক্তি করতে পারতাম। কোন বিশেষ ব্যবস্থায় টিকা অথবা এনআইডি কার্ডের
ব্যবস্থা করা যেতো। কিন্তু এখন পর্যন্ত তথ্য না থাকায় কোনো সমাধান আসেনি। একারণে তিনি
শিক্ষার্থীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।