আজঃ শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

‘২ বছরে ডিজিটাল আইনে অভিযুক্ত ২০৮ জন সাংবাদিক’

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ এপ্রিল ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ২৪ এপ্রিল ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

গত দুই বছরে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ১০৮টি মামলায় ২০৮ জন সাংবাদিককে অভিযুক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশিষ্ট রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ও লেখক আলী রীয়াজ। শনিবার (২৩ এপ্রিল) সকালে সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত অন্তহীন দুঃস্বপ্ন-বাংলাদেশের ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট-২০১৮ শীর্ষক এক ওয়েবিনারে মুখ্য আলোচকের আলোচনায় তিনি এই তথ্য জানান।

ওয়েবিনারে মূল প্রবন্ধ তুলে ধরে রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ও লেখক আলী রীয়াজ জানান, ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ৮৯০টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় ২ হাজার ২৪৪ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৮৪২ জনকে আটক করা হয়। ওয়েবিনারে আলোচকেরা মানুষের ব্যক্তিগত তথ্য ও পরিধি হরণকারী এবং বিতর্কিত এসব আইন প্রতিরোধের আহ্বান জানিয়েছেন।

আলী রীয়াজ বলেন, প্রতি মাসে গড়ে ৩৪টি মামলায় ৮৬ জনের বেশি মানুষকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তাঁদের কেউ কেউ জামিন পেলেও অনেকেই এখনো জামিন পাননি। তথ্য না পাওয়ায় কতজন আটক আছে, তা-ও জানা সম্ভব হচ্ছে না।  এই আইনে রাজনীতিবিদ ও সাংবাদিকেরা সবচেয়ে বেশি অভিযুক্ত হচ্ছেন। ৮২০ জনের পেশার তথ্য পেয়েছি। এর মধ্যে প্রায় ৩১ শতাংশ রাজনীতিবিদ ও ২৫ শতাংশ সাংবাদিক। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্যভাবে এই আইনের শিকার হচ্ছেন ছাত্র ও ব্যবসায়ীরা। এই আইনে এখন পর্যন্ত অভিযুক্ত ১৯ জনের বয়স ১৮ বছরের নিচে। এই আইনে ১০৮টি মামলায় ২০৮ জন সাংবাদিককে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এই ১০৮টি মামলা করেছেন ৯৬ জন অর্থাৎ একই ব্যক্তি একাধিক মামলা করেছেন। অভিযুক্ত এবং আটক ব্যক্তিদের মধ্যে স্থানীয় সাংবাদিকদের সংখ্যা বেশি। রাজধানীর বাইরে যাঁরা সাংবাদিকতা করছেন, এই আইন তাঁদের জন্য একটি বড় রকমের বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এসব মামলা প্রসঙ্গে আলী রীয়াজ বলেন, যাঁরা এই মামলাগুলো করছেন, তাঁদের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সরকারদলীয় রাজনীতিবিদের সংখ্যাই বেশি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তারা মোট ১৫৪টি মামলা করেছেন। এগুলো কোনো না কোনোভাবে সরকারের অনুমোদন বা ইঙ্গিত পেয়েই করা হয়েছে বলে ধরে নেওয়া যায়। এ ছাড়া সরকারদলীয় রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত এমন ব্যক্তিগত মামলা হয়েছে ২০৬টি।

ওয়েবিনারে আন্তর্জাতিক সংস্থা আর্টিকেল ১৯-এর দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক ফারুখ ফয়সল বলেন, একটি বিশেষ মতাদর্শের মানুষকে রক্ষা করার জন্য কোনো আইন হতে পারে না। ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলো নিয়ে যে আইনটি হচ্ছে, তা নিয়েও আমরা খুবই চিন্তিত। এটা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন (ডিএসএ) থেকেও ভয়ংকর। আমাদের সাইবার ট্রাইব্যুনালে যেসব বিচারককে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, তাঁদের সাইবার সম্পর্কে ধারণা খুবই কম। ডিএসএ মামলায় জেলে মানুষ মারা গেছে, অনেকে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে। নির্বাচন আসছে, ভবিষ্যতে ডিএসএর ব্যবহার কত ব্যাপক হবে, তা নিয়ে আমরা শঙ্কিত।

আইসিটি আইনে যে সমস্যাগুলো ছিল ডিএসএতেও সেই সমস্যাগুলো রয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর। তিনি বলেন, এখন আবার আরেকটি আইন করা হচ্ছে। রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি বলতে কী বোঝায়? রাষ্ট্র এবং সরকার কিন্তু এক বিষয় না। আগে রাজা-বাদশা যারা ছিল তারাই ছিল রাষ্ট্র-সরকার। কিন্তু স্বাধীন দেশ হওয়ার পর মানুষের চিন্তায় রাষ্ট্র-সরকারের ধারণা আলাদা হলেও আমাদের দেশে তা আসলে কতটুকু হয়েছে, তা ভেবে দেখা দরকার। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত বলতে কী? কারও অনুভূতি যদি ঠুনকো হয়ে থাকে? কার অনুভূতি? এ রকম ব্লাসফেমি অফেন্স আমরা রাখতে চাই কি না? আধুনিক রাষ্ট্রে এমন ব্লাসফেমি আইন আছে কি? এসব প্রশ্নের সমাধান জরুরি। সবচেয়ে জরুরি হলো, ডেটা প্রটেকশন। আমার তথ্যের মালিক যদি আমি হই তাহলে সরকার কেন আমার তথ্য নিয়ে যাবে? চুনকাম করে, মেকআপ করে ভাবমূর্তি রক্ষা করে লাভ নেই। নিজের ভেতরে ঠিক করতে হবে। জনগণ হচ্ছে মালিক। তাঁর তথ্য তাঁর সম্পত্তি। তাঁর তথ্য, সম্পত্তি রক্ষা করাই রাষ্ট্রের কাজ।

সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, আমাদের হাতে কড়া পরিয়ে শৃঙ্খলিত করার একটা প্রচেষ্টা চলছে। কর্তৃত্ববাদী রাষ্ট্র কতগুলো আইন করে জনগণের অধিকার রক্ষা করার বদলে আরও ক্ষুণ্ণ করছে। এই আইনগুলো এখন অস্ত্রে পরিণত হয়েছে। এসব অস্ত্র যখন যার বিরুদ্ধে প্রয়োজন সেখানে প্রয়োগ করা হয়। ক্ষমতাসীন ও তাদের অনুগতরা শুধু আইন দিয়ে না, তারা নিজেরাও নানান অপপ্রচার চালাচ্ছে। কিন্তু এই অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে কখনো কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। যে আইনগুলো হচ্ছে, এসবের কোনোটাই জনগণের স্বার্থে নয়, এগুলো ক্ষমতাসীনদের স্বার্থে। এগুলো প্রতিরোধ করা না গেলে আমাদের জীবযাপন আরও দুঃসহ হবে।

সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ড. এম সাখাওয়াত হোসেন (অব.) বলেন, আমাদের ব্যক্তিস্বাধীনতা নানাভাবে খর্ব হচ্ছে। রাজনৈতিক স্বাধীনতা কী মানুষের আছে? রাজনৈতিক দলের নেতারাই যদি কথা বলতে না পারেন, তাহলে সাধারণ মানুষ কথা বলবে কীভাবে? ডিএসএর ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অবাধ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। মুক্তভাবে তথ্য, কথা আদান-প্রদানের যে জায়গা ছিল, তা সংকুচিত হয়ে গেছে। আমি নতুন বই লিখতে এখন ভয় পাই। এখন আরও একটি আইন হচ্ছে। সামনে নির্বাচন, নির্বাচনের আগে এসব আইন করে গণতান্ত্রিক সরকারের খুব বেশি সুবিধা হবে না।


আরও খবর



যেকোনো মূল্যে নির্বাচন সুষ্ঠু করতে হবে: সিইসি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

যে কোনো মূল্যে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠু করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেন, এবারের উপজেলা নির্বাচন ব্যর্থ হলে ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তা ক্ষুণ্ন হবে।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের অডিটোরিয়ামে সব জেলা প্রশাসক, পুলিশ, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শুরুর আগে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, আমাদের উপজেলা পরিষদের নির্বাচন শুরু হতে যাচ্ছে। এবার প্রতিটি জেলায় চারটি ধাপে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এটা নতুন মাত্রা হলো জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার সমন্বিতভাবে আইন-শৃঙ্খলার বিষয়টি দেখতে পারবেন। মোতায়েন সহজ হবে, যেহেতু চারটি পর্বে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

তিনি বলেন, আবেগ-অনুভূতির কারণে দেশে নির্বাচনে অনেক সময় কিছুটা উচ্ছৃঙ্খলতা হয়ে থাকতে পারে, সহিংসতাও হতে পরে। এগুলো যেন না হয়, সেই দিকটাও আমাদের দেখতে হবে। নির্বাচনটা যাতে অবাধ হয়। যারা ভোটার, তারা যেন এসে নির্বিঘ্নে ভোট প্রদান করে আবার নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরে যেতে পারেন।

সিইসি বলেন, যদি এ ক্ষেত্রে আমরা ব্যর্থ হই, তাহলে আমাদের গণতন্ত্রের যে অগ্রযাত্রা, যেটার দৃষ্টান্ত আপনারা প্রতিষ্ঠিত করেছেন ৭ জানুয়ারির সাধারণ নির্বাচনে; সেটাও ক্ষুণ্ন হয়ে যেতে পারে। আমরা আশা করব, আগামীতে আমাদের প্রত্যেকটা নির্বাচন সুন্দর-সুষ্ঠু হবে।


আরও খবর
চাকরি ছাড়লেন দুদকের ১৫ কর্মকর্তা

শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪




যাত্রী কল্যাণ সমিতির দুর্ঘটনার পরিসংখ্যান বিভ্রান্তিমূলক

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

এবারের ঈদযাত্রায় ৩৯৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪০৭ জন মানুষ নিহত হয়েছেন ও এক হাজার ৩৯৮ জন মানুষ আহত হয়েছেন এমন একটি তথ্য প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। গতকাল (শনিবার) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে এই তথ্য প্রকাশ করেন সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী।

যাত্রী কল্যাণ সমিতি বলছে, বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) হতাহতের সংখ্যা কম প্রকাশ করে আত্মতুষ্টিতে ভোগার মধ্য দিয়ে সড়ক দুর্ঘটনা বৃদ্ধিকে উৎসাহিত করছে। এদিকে, তাদের এই তথ্যকে বিভ্রান্তিমূলক বলে মন্তব্য করেছে বিআরটিএ।

রোববার (২১ এপ্রিল) দুপুরে বনানীর বিআরটিএর সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন বিআরটিএ চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার।

তিনি বলেন, এবারের ঈদযাত্রার ১৭ দিনে সারা দেশে ২৬৮টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। ৪ থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত সময়ে ঘটা এসব সড়ক দুর্ঘটনায় ৩২০ জন নিহত ও ৪৬২ জন আহত হয়েছেন। এই সময়ে গড়ে প্রতিদিন ১৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৯ জন নিহত ও ২৭ জন আহত হয়েছেন।

বিআরটিএ চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার বলেন, পরিতাপের বিষয় একটি বেসরকারি সংগঠন (যাত্রী কল্যাণ সমিতি) আমাদের প্রকাশিত রিপোর্ট সম্পর্কে আমাদের পরিসংখ্যানগত কোনো গরমিল প্রসঙ্গে অবহিত না করে ৪-১৮ এপ্রিল অর্থাৎ ১৫ দিনের সড়ক দুর্ঘটনার যে তথ্য প্রকাশ করেছে, তাতে নিহতের সংখ্যা বিআরটিএর তথ্য থেকে শতাধিক বেশি। যা কিছুতেই গ্রহণযোগ্য নয়। একই সঙ্গে এ তথ্য বিভ্রান্তিমূলক।

এদিকে, বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ২০২৩ সালে সারা বছর দেশের বড় সাতটি মেডিকেল কলেজের রেকর্ড বইয়ের তথ্য বলছে, ওই বছর সারা দেশে প্রায় ৫৩ হাজার মানুষ সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিয়েছেন। ওই বছর বিআরটিএ বলল মাত্র সাত হাজার কি সাড়ে সাত হাজার মানুষ সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন। আমরা তাদের কাছে এটার ব্যাখ্যা চেয়েছি। কিন্তু তারা এটার কোনো ব্যাখ্যা আমাদের দিতে পারেনি।

তিনি বলেন, অন্যজনকে বিভ্রান্তিমূলক তথ্যর কথা বলতে হলে আপনাকে সঠিক তথ্য জানাতে হবে। আমরা এখন পর্যন্ত ১১টির বেশি রিপোর্ট বিআরটিএকে দিয়েছি। এখন আমরা বিআরটিএ রিপোর্ট যাচাই করতে চাই। কারণ কোন রিপোর্ট আমাদের খাতায় আছে, কিন্তু তাদের খাতায় নেই?

তিনি বলেন, হতাহতের সংখ্যা কম দেখানো মানে সড়ক দুর্ঘটনা বৃদ্ধিকে উৎসাহিত করা। কারণ সরকার তাদের রিপোর্টকেই প্রায়োরিটি দেয়। সরকার তাদের রিপোর্টকে প্রায়োরিটি দেওয়ার কারণে মনে করেন দুর্ঘটনা কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় হচ্ছে না, অর্থাৎ কম হচ্ছে। ফলে সরকার এটিতে কম মনোযোগ দেয়। বিআরটিএ কম সংখ্যা প্রকাশ করে আত্মতুষ্টিতে ভোগার মধ্য দিয়ে সড়ক দুর্ঘটনা বৃদ্ধিকে উৎসাহিত করছে। ফলে সড়ক দুর্ঘটনার দায় তাদেরই নিতে হবে।

মূলত বিআরটিএ সারা দেশে তাদের থাকা সার্কেল অফিসের মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনার তথ্য সংগ্রহ করে থাকে। অন্যদিকে, বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি দেশের জাতীয়, আঞ্চলিক ও অনলাইন সংবাদপত্রে প্রকাশিত সড়ক দুর্ঘটনার সংবাদ মনিটরিং করে প্রতিবেদন তৈরি করে থাকে।


আরও খবর
চাকরি ছাড়লেন দুদকের ১৫ কর্মকর্তা

শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪




চাঁদ রাতে অমির নতুন গান, সঙ্গী আঁচল

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

এ সময়ের শ্রোতাপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী সৈয়দ অমি। চলতি বছরের শুরুতে তিনি নিয়ে আসেন দক্ষিণের আদলে মাতাল শিরোনামের একটি মিউজিক ভিডিও। এতে তিনি হাজির হয়েছিলেন জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা আঁচল আঁখির সঙ্গে। গানটি প্রকাশ্যে আসতেই দর্শকদের মধ্যে তুমুল সাড়া ফেলে। খুব কম সময়ে দর্শক-শ্রোতাদের মধ্যে গানটি ছড়িয়ে যায়। ইউটিউবে গানটি এ পর্যন্ত পাঁচশ মিলিয়ন দর্শক দেখেছেন। প্রতিনিয়ত বাড়ছে এর ভিউ। ডিজিটালের অন্য মাধ্যমেও মাতাল গানটি বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। সেখানেও হয়েছে কয়েক কোটি ভিউ।

তারই ধারাবাহিকতায় অমির নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে চাঁদ রাতে আসছে নতুন আরও একটি গান-ভিডিও। শিরোনাম বেবি কথা ছুইনা যাও। পুরান ঢাকার কথায় গানটির কথা ও সুর গায়কের। এবারও গানটিতে মডেল হিসেবে আছেন সুলতানা বিবিয়ানাখ্যাত চিত্রনায়িকা আঁচল। গানটির সঙ্গীতায়োজন করেছেন এ এম ফরহাদ, কোরিওগ্রাফি করেছেন হাবিবুর রহমান। মিউজিক ভিডিও পরিচালনা করেছেন শুভ্র মেহরাজ।

মাতালর সাফল্য প্রসঙ্গে আঁচল-অমি বলেন, সবমিলিয়ে গানটি পাঁচশ মিলিয়ন মানুষ দেখেছে। তাদের এই ভালোবাসায় আমরা অভিভূত। একটি কাজ যখন মানুষের কাছে পৌঁছায় এবং তাদের পছন্দের তালিকায় যুক্ত হয় সেই অনুভূতি ব্যক্ত করা যায় না। এটি নতুন কাজের অনুপ্রেরণা দেয়।

নতুন গান প্রসঙ্গে সৈয়দ অমি বলেন, এই প্রথম পুরান ঢাকার ভাষায় গান লিখেছি। গানের কথায় পুরান ঢাকার অনেক ঐতিহ্য তুলে ধরা হয়েছে। তবে গানের শুটিং আমরা পুরান ঢাকায় করিনি। কুমিল্লা ম্যাজিক প্যারাডাইস পার্কে শুটিং করেছি। আমার বিশ্বাস মাতাল গানের মতো এই গানটিও জনপ্রিয়তা পাবে।

জানা গেছে, বেবি কথা ছুইনা যাও গানটিতে আঁচল হাজির হচ্ছেন কোটিপতি বাপের আদরের মেয়ে চরিত্রে। ওয়েস্টার্ন লুক, লন্ডন আমেরিকা বিভিন্ন দেশে ঘুরতে পছন্দ করেন। অন্যদিকে, সৈয়দ অমি খাঁটি পুরান ঢাকার ছেলে।

এছাড়াও আসন্ন ঈদে অমির আরো কয়েকটি গান মুক্তি পাচ্ছে। তার মধ্যে অন্যতম জসিম উদ্দিন জাকির পরিচালিত আনিসুর রহমান মিলন, সাইমন সাদিক, শবনম বুবলী ও রোশান অভিনীত মায়া দ্য লাভ সিনেমার তুমি ছাড়া চাই না কিছু অন্যতম। বুধবার সন্ধ্যায় গানটি মুক্তি পেয়েছে। এই গানটি নিয়েও বেশ আশাবাদী সৈয়দ অমি।


আরও খবর
নতুন খবর দিলেন বিদ্যা সিনহা মিম

বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪

নিজেকে দেখে নিজেই মুগ্ধ পরীমণি

বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪




ঈদে পোশাক শ্রমিকদের জন্য থাকছে বিশেষ ট্রেন: রেলমন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
শাকিল মোল্লা, রাজবাড়ী

Image

আসন্ন ঈদুল ফিতরে ঘরমুখো পোশাক শ্রমিকদের জন্য বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম। আজ রবিবার দুপুর ২টায় রাজবাড়ীর পাংশায় জেলা পরিষদ ডাক বাংলোতে গার্ড অব অনার গ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের এ জানান রেলমন্ত্রী।

মন্ত্রী বলেন, গার্মেন্টস শ্রমিকদের বাড়ি ফেরা নিয়ে আমরা খুব চিন্তিত। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ঈদযাত্রায় নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দের সঙ্গে যাতে তারা বাড়ি যেতে পারে, এ ব্যাপারে আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। এবার গার্মেন্টস শ্রমিকদের জন্য আগামী দুই দিন আমরা আলাদা বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করে দিয়েছি।

মো. জিল্লুল হাকিম আরও বলেন, গার্মেন্টস শ্রমিকদের দাঁড়িয়ে যাওয়ার জন্য স্ট্যান্ডিং টিকিটের ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং তাদের জন্য আলাদা বগি ও সকল প্রকার সুবিধার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন পাংশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাফর সাদিক চৌধুরী, সহকারী পুলিশ সুপার (পাংশা সার্কেল) সুমন কুমার সাহা, পাংশা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ স্বপন কুমার মজুমদার।


আরও খবর



নারী ইউপি মেম্বারকে চড় দিয়ে খেলেন জুতাপেটা

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে সরকারি চাল বিতরণকে কেন্দ্র করে স্থানীয় ইউপি সদস্য (মেম্বার) ও সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্যের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। ভাঙচুর করা হয়েছে কয়েকটি বাড়িঘর।

বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১২টার দিকে নবীগঞ্জ উপজেলার মান্দারকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার কালিয়ারভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে বিনামূল্যে ভিজিএফের চাল বিতরণ করা হয়। এ সময় কোন একটি বিষয় নিয়ে কালিয়ারভাঙ্গা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আব্দুল হাই ও ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য একই গ্রামের রাহেলা বেগমের মাঝে বাগবিতণ্ডা হয়।

একপর্যায়ে আব্দুল হাই উত্তেজিত হয়ে রাহেলা বেগমকে চড় মারলে রাহেলা বেগম আব্দুল হাইকে জুতাপেটা করেন। এ ঘটনার পর আব্দুল হাই ও রাহেলা বেগমের লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। যার জেরে রাত ১২টার দিকে উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। সংঘর্ষ চলাকালে উভয় পক্ষের অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। ভাঙচুর করা হয়েছে ৫টি বাড়িঘর।

আহতদের উদ্ধার করে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গুরুতর আহত অবস্থায় ৫ জনকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুক আলী বলেন, সরকারি চাল বিতরণ নিয়ে মান্দারকান্দি গ্রামের ইউপি সদস্য ও সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্যের মধ্যে ঝামেলা হয়। এ ঘটনার জেরে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়। খবর পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।


আরও খবর