আজঃ শনিবার ০৪ মে ২০২৪
শিরোনাম

২০ প্রতিষ্ঠানের কাছে জিম্মি সোনালী ব্যাংক

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ অক্টোবর ২০২১ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১২ অক্টোবর ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

শীর্ষ ২০ খেলাপি প্রতিষ্ঠানের কাছে জিম্মি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সোনালী ব্যাংক। ঋণের অর্থও আদায় হচ্ছে না, আবার অর্থ আদায়ে দৃশ্যমান কোনো ব্যবস্থাও নিতে দেখা যাচ্ছে না। ফলে মন্দ ঋণের বোঝা চেপে বসেছে ব্যাংকটির ঘাড়ে। দিনের পর দিন দুর্বল হয়ে পড়ছে আর্থিক প্রতিষ্ঠানটি।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নানা অব্যবস্থাপনা ও অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে দেওয়া এসব ঋণ ফেরত পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। তবে বিদ্যমান আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করতে পারলে অনিয়ম কিছুটা কমে আসবে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, বিড়ালের গলায় ঘণ্টা বাঁধার লোক খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) সাবেক মহাপরিচালক ড. মইনুল ইসলাম বলেন, এটা অনেক পুরোনো এবং পাতানো খেলা। এর সঙ্গে ব্যাংকের পর্ষদ, ব্যাংকার ও সরকার জড়িত। সব জায়গায় একটা অসাধু চক্র থাকে। তারাই এই অপকর্ম করে। শুধু সোনালী ব্যাংক নয়, পুরো ব্যাংকিং খাতে এ চিত্র। ঋণ পুনঃতপশিলের পাশাপাশি অর্থঋণ আদালতেও আটকে আছে প্রায় ২ লাখ কোটি টাকার খেলাপি ঋণ। যদিও সব সময় বলে থাকি প্রকৃত খেলাপি ঋণ ৪ লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। কিন্তু মামলা চলমান থাকায় এসব টাকাকে খেলাপি বলা যাচ্ছে না। পুরো টাকাই বিদেশে পাচার হয়ে গেছে। এ টাকা আদায়ের সম্ভাবনা নেই। তবুও বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে এসব টাকা আদায়ের চেষ্টা করতে হবে।

সোনালী ব্যাংকের হালনাগাদ এক প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০২০ সালের ডিসেম্বর শেষে ব্যাংকের খেলাপি ঋণের অঙ্ক দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৭২১ কোটি টাকা, যা বিতরণ করা ঋণের ২০ দশমিক ৪৮ শতাংশ। এর মধ্যে শীর্ষ ২০ খেলাপির কাছেই পাওনা ৪ হাজার ৮৩ কোটি টাকা, যা মোট খেলাপির ৩৮ শতাংশ। চলতি বছরে এসব বড় খেলাপির কাছ থেকে ঋণ আদায়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ২ হাজার ২৩২ কোটি টাকা। কিন্তু জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত শীর্ষ ১৬ খেলাপি প্রতিষ্ঠান থেকে এক টাকাও আদায় হয়নি। এর মধ্যে রয়েছে হলমার্ক গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান মেসার্স টি অ্যান্ড ব্রাদার্সের ৪৯০ কোটি টাকা, মেসার্স হলমার্ক গ্রুপের ৪৮৪ কোটি টাকা, তাইপে বাংলা ফেব্রিক্সের ৩৩২ কোটি টাকা, মেসার্স ফেয়ার অ্যান্ড ফেব্রিক্সের ৩১৬ কোটি টাকা, মেসার্স রহমান গ্রুপের ৩১৪ কোটি টাকা, মেসার্স লীনা গ্রুপের ২১৫ কোটি টাকা, রতনপুর স্টিল রিরোলিং মিলসের ১৮২ কোটি টাকা, মেসার্স মেঘনা কনডেন্স মিল্কের ১৩১ কোটি টাকা, মেসার্স সোনালী জুট মিলের ১২৭ কোটি টাকা, মেসার্স এ কে জুট ট্রেডিংয়ের ১১৭ কোটি টাকা, মেসার্স ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ডের ১১৬ কোটি টাকা, মেসার্স সুপ্রিম জুট অ্যান্ড নিটেক্সের ১০৬ কোটি টাকা, মেসার্স ইস্টার্ন ট্রেডার্স ৯৩ কোটি টাকা, ফারুক ডাইং নিটিং অ্যান্ড ম্যানুফেকচারিংয়ের ৯০ কোটি টাকা, মেসার্স সানবীম টেক্সটাইল মিলস লিমিটেডের ৮৬ কোটি টাকা এবং মেসার্স সাইয়ান করপোরেশনের ৭৬ কোটি টাকা। তবে এ সময়ে বাকি চার খেলাপি প্রতিষ্ঠান থেকে আদায় হয়েছে লক্ষ্যমাত্রার ০.৪৩ শতাংশ মাত্র।

এদিকে ঋণ অবলোপন থেকে আদায় পরিস্থিতি আরও খারাপ। সোনালী ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী শীর্ষ ২০ গ্রাহক প্রতিষ্ঠানের ঋণ অবলোপন করা হয়েছে ২ হাজার ৭২৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে গত ৮ মাসে ১৮ প্রতিষ্ঠান এক টাকাও ফেরত দেয়নি। বাকি দুই প্রতিষ্ঠান থেকে আগস্ট পর্যন্ত আদায় হয়েছে মাত্র ১৮ কোটি টাকা, যা বার্ষিক লক্ষ্যমাত্রার ৬.৮৬ শতাংশ।

প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা যায়, বহুল আলোচিত হলমার্ক গ্রুপের ১ হাজার ২২৯ কোটি টাকা অবলোপন করেছে সোনালী ব্যাংক। তবে গত ৮ মাসে আদায় হয়নি এক টাকাও। হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল করপোরেট শাখা থেকে জালিয়াতি হওয়া এসব টাকার পুরোটাই এখন আদায় অনিশ্চিত। নারায়ণগঞ্জ করপোরেট শাখার গ্রাহক মেসার্স নিউ রাখী টেক্সটাইল মিলসের ১২৩ কোটি টাকা অবলোপন করা হয়েছে। এর বিপরীতে কোনো টাকাই ফেরত আসেনি। কাগজে-কলমে রয়ে গেছে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা। চলতি বছরে এই গ্রাহক থেকে ১২ কোটি টাকা আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল সোনালী ব্যাংক। কিন্তু ৮ মাস পার হয়ে গেলেও আদায়ের তালিকা শূন্য। এছাড়া আগ্রাবাদ করপোরেট শাখার গ্রাহক মেসার্স জাসমির ভেজিটেবল অয়েলের অবলোপন ১০৬ কোটি টাকা। ১০ কোটি টাকা আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করলেও জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত কোনো টাকা আদায় হয়নি। একই অবস্থা ৯৬ কোটি টাকা অবলোপন করা রমনা করপোরেট শাখার গ্রাহক মেসার্স ফেয়ার এক্সপোর। কোনো টাকা ফেরত নেই। অবলোপনের এক টাকাও ফেরত না দেওয়া গ্রাহকের তালিকায় আরও রয়েছে মেসার্স আলফা টোবাকো। যশোর করপোরেট শাখার এই গ্রাহকের অবলোপনের পরিমাণ ৯৬ কোটি টাকা। ঢাকার স্থানীয় কার্যালয়ের গ্রাহক মেসার্স ওয়ান স্পিনিং মিলসের অবলোপন করা হয়েছে ৯৪ কোটি টাকা। কিন্তু ফেরত আসেনি এক টাকাও। ফরিদপুর শাখা মেসার্স রোকেয়া টেক্সটাইল মিলসের ৮৩ কোটি টাকা অবলোপন করা হলেও তিনি কোনো টাকা ফেরত দেননি গত ৮ মাসে। নারায়ণগঞ্জ করপোরেট শাখার গ্রাহক মেসার্স সাহিল ফ্যাশন লিমিটেড। ১৮ কোটি টাকা অবলোপনের বিপরীতে ৮ কোটি টাকা আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত কোনো টাকা আদায় নেই। আগ্রাবাদ করপোরেট শাখার অপর গ্রাহক মেসার্স ইমাম ট্রেডার্স। ৮০ কোটি টাকা অবলোপন করা হয়েছে এই গ্রাহকের। তবে আদায় হয়নি কোনো টাকা। এছাড়া মেসার্স সুমিস সোয়েটার, মেসার্স ইউনিটি নিটওয়্যার, মেসার্স সিদ্দিক ট্রেডার্স, মেসার্স কেপিএফ টেক্সটাইল, মেসার্স মুন নিটওয়্যার, মেসার্স এআর খান সাইজিং অ্যান্ড ফেব্রিক্স, মেসার্স সাহিল নিটওয়্যার, যাদু স্পিনিং মিলস এবং মাস্ক সোয়েটার অবলোপন করা ঋণের কোনো টাকা ফেরত দেয়নি। তবে মেসার্স ইম্পেরিয়াল ডাইয়িং অ্যান্ড হোসিয়ারি লিমিটেড এবং মেসার্স রিভারসাইড লেদার অ্যান্ড ফুটওয়্যার লিমিটেড ফেরত দিয়েছে ১৮ কোটি ৭১ লাখ টাকা।

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. আতাউর রহমান প্রধান বলেন, ছোট গ্রাহকের ঋণ ফেরত আসছে। এছাড়া বড়দের মধ্যে একটি অংশ ভালো। এর বাইরে নতুন ঋণও নিয়মিত আছে। কিন্তু পুরোনো এবং ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিরা সবচেয়ে বিপজ্জনক। এটি সবাই জানেন। তবে ঋণ আদায়ে সব ধরনের চেষ্টা অব্যাহত আছে। ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপির সংজ্ঞা নির্ধারণ নিয়ে কাজ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এরপর হয়তো কোনো একটা সমাধান বেরিয়ে আসবে।


আরও খবর



ব্রিকসে অন্তর্ভুক্তির জন্য বাংলাদেশকে সহযোগিতা করবে ব্রাজিল: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ব্রিকসে অন্তর্ভুক্তির জন্য বাংলাদেশকে সহযোগিতা করবে ব্রাজিল বলে আশ্বস্ত করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাউরো ভিয়েরা। রবিবার (৭ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৪টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, প্রথম কোনো ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ সফর করছেন। খুব সফল আলোচনা হয়েছে আমাদের মধ্যে। আগামী জুলাইয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্রাজিল সফর করবেন তা এই বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।

তিনি বলেন, এ বৈঠকে তুলা আমদানি বৃদ্ধির বিষয়ে কথা হয়েছে। বাণিজ্যে শুল্ক কমানোর কথাও জানানো হয়েছে। এছাড়াও স্পেশাল ইকোনমিক জোনে বিনিয়োগে ব্রাজিলিয়ান বিনিয়োগকারীদের আহ্বান জানানো হয়েছে। এ সময় মিয়ানমারের সেনাবাহিনী নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে সহায়তার বিষয়ে কথা হয়েছে। এছাড়া জলবায়ুর পরিবর্তন এখন দুই দেশের বড় একটা সংকট। এটি মোকাবিলায় একযোগে কাজ করার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।

এর আগে সকাল ১০টার দিকে দুই দিনের সফরে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাউরো ভিয়েরা। এই সফরে দুই দেশের মধ্যে একটি চুক্তি ও তিনটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হওয়ার কথা রয়েছে।

ঢাকায় অবতরণের পর দুপুরে ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন ও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তারপর সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে। যেখানে কোরবানির ঈদ সামনে রেখে ব্রাজিল থেকে পশু আনার আগ্রহ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ। এছাড়া তৈরি পোশাক রফতানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে শুল্কমুক্ত সুবিধা দিতে ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।


আরও খবর



১৫৩ রোহিঙ্গার ভুয়া জন্ম নিবন্ধন, ইউপি চেয়ারম্যান সাময়িক বরখাস্ত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি

Image

মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার ১নং ইউনিয়ন চেয়ারম্যানকে ১৫৩ রোহিঙ্গার ভুয়া জন্ম নিবন্ধন তৈরির প্রক্রিয়ায় জড়িত থাকার অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সকালে মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক ড. উর্মি বিনতে সালাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গত ২৪ এপ্রিল সিনিয়র সহকারী সচিব এ কে এম আনিছুজ্জামানের স্বাক্ষারিত প্রজ্ঞাপনে উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নকুল চন্দ্র দাসকে বরখাস্তের এই আদেশ দেওয়া হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, মৌলভীবাজা জেলার রাজনগর উপজেলার ১নং ফতেপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান (নিবন্ধক) নকুল চন্দ্র দাস অসৎ উদ্দেশ্যে রোহিঙ্গাদের জন্ম নিবন্ধন তৈরির জন্য স্থানীয় সরকার আইন, ২০০৯ অনুযায়ী রেজিস্ট্রার জেনারেল, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ করেন। যেহেতু ফতেপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নকুল চন্দ্র দাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ তার দ্বারা ইউনিয়ন পরিষদের ক্ষমতা প্রয়োগ প্রশাসনিক দৃষ্টিকোণে সমীচীন নয় মর্মে সরকার মনে করে, ইউনিয়ন চেয়ারম্যান কর্তৃক সংঘটিত অপরাধমূলক কার্যক্রম ইউনিয়ন পরিষদসহ জনস্বার্থের পরিপন্থী বিবেচনায় আইন অনুযায়ী ইউনিয়ন চেয়ারম্যানকে স্বীয় পদ হতে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।

স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব এ কে এম আনিছুজ্জামান বলেন, আমরা রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছ থেকে তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর ওই ইউনিয়ন চেয়ারম্যানকে বরখাস্ত করি।

রাজনগর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নকুল চন্দ্র দাস বলেন, সার্ভার হ্যাক হয়ে ভুয়া নিবন্ধন করা হয়েছে। এসব নিবন্ধনে আমাদের স্বাক্ষর নেই। মন্ত্রণালয় থেকে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে আমার জানা নেই।

জানা যায়, গত ১৮ সেপ্টেম্বর শরীয়তপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে আসিয়া বিবি (২৭) নামে একজন রোহিঙ্গা নারী পাসপোর্ট করতে গিয়ে কর্তৃপক্ষের হাতে আটক হন। তার আইডি কার্ড না থাকায় জন্মনিবন্ধন দিয়ে পাসপোর্ট করতে যান তিনি। আসিয়া আক্তার যে নিবন্ধন দিয়ে পাসপোর্ট করতে গিয়েছিলেন সেটি রাজনগর উপজেলার ফতেহপুর ইউনিয়ন থেকে নিবন্ধিত, যা গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বর ইউনিয়ন কার্যালয় থেকে নিবন্ধিত হয়েছে।

আটক ওই নারী কক্সবাজারের টেকনাফ থানার আলী যোহার ও আম্বিয়া খাতুন দম্পতির মেয়ে বলে জানিয়েছেন। বিষয়টি যাচাই করার জন্য ওই সময় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠালে ইউএনও ফতেহপুর ইউনিয়নের সচিব পাপড়ি দত্তকে কার্যালয়ে ডেকে আনেন। পরে ওই ইউনিয়নের জন্মনিবন্ধনের আইডি নিষ্ক্রিয় করে রাখা হয়। ওই সময় কয়েক শ’ রোহিঙ্গা নিবন্ধন হয়েছে বলে ধারণা করেন সংশ্লিষ্টরা। যাচাই করে ওই সময় ইউএনও দেখতে পান ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১৫৩টি ভুয়া নিবন্ধন হয়েছে। তারা সবাই রোহিঙ্গা হিসেবে সন্দেহ করেন। এ ব্যাপারে ফতেহপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নকুল চন্দ্র দাস রাজনগর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।


আরও খবর



শপথ নিলেন আপিল বিভাগে নবনিযুক্ত ৩ বিচারপতি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে নবনিযুক্ত তিন বিচারপতি শপথ নিয়েছেন। তারা হলেন- বিচারপতি মুহাম্মদ আব্দুল হাফিজ, বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলাম ও বিচারপতি কাশেফা হোসেন।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায় সুপ্রিম কোর্টের জাজেজ লাউঞ্জে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান তাদের শপথবাক্য পাঠ করান। এসময় আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিরা উপস্থিত ছিলেন। শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. গোলাম রব্বানী।

এর আগে বুধবার সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে তিনজন বিচারপতি নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে তাদের নিয়োগ দিয়ে ওইদিন প্রজ্ঞাপন জারি করে আইন মন্ত্রণালয়।

আইন সচিব মো. গোলাম সারওয়ার স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৯৫(১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের, হাইকোর্ট বিভাগে কর্মরত তিনজন বিচারককে তাদের শপথ গ্রহণের তারিখ হতে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারক নিয়োগ করেছেন।

বর্তমানে প্রধান বিচারপতিসহ আপিল বিভাগে পাঁচজন বিচারপতি রয়েছেন। নতুন তিন বিচারপতি নিয়োগ দেওয়ায় আপিল বিভাগের বিচারপতির সংখ্যা দাঁড়াল আটজনে।


আরও খবর



টানা তিন দিন ধরে বায়ুদূষণে শীর্ষ দশের বাইরে ঢাকা

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় আজ রোববার রাজধানী ঢাকাকে শীর্ষ ১০-এর বাইরে দেখা গেছে।

বেশিরভাগ সময় দূষণে শীর্ষে থাকা এই শহরের সকাল সোয়া ৯টার দিকে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ছিল ৯৬। এই স্কোর বাতাসের মানকে মাঝারি বা গ্রহণযোগ্য বলে নির্দেশ করে। অবস্থানের দিক দিয়ে ১৬ নম্বরে।

গত শুক্রবার ও শনিবার সকালেও দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় দশের বাইরে ছিল ঢাকা।

এদিকে দূষিত শহরের তালিকায় ১৬৭ স্কোর নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে চীনের বেইজিং। ভারতের দিল্লি ১৬৫ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় এবং নেপালের কাঠমান্ডু ১৬৩ স্কোর নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে আছে।

৫১ থেকে ১০০ স্কোর হলে মাঝারি বা গ্রহণযোগ্য, ১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে বাতাসের মান সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর, ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে অস্বাস্থ্যকর বলে মনে করা হয়। ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে 'খুব অস্বাস্থ্যকর' বলা হয়, ৩০১+ একিউআই স্কোরকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের ৫টি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।

দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।


আরও খবর



২৪ ঘণ্টায় বঙ্গবন্ধু সেতুতে টোল আদায় তিন কোটি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঈদ উদযাপনে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরছে হাজার হাজার ঘরমুখো মানুষ। ফলে যানবাহনের চাপ দিগুণ বেড়েছে বঙ্গবন্ধু সেতুতে। গত ২৪ ঘণ্টায় এ সেতুর ওপর দিয়ে স্বাভাবিকের চেয়ে দিগুণেরও বেশি গাড়ি চলাচল করেছে। এতে টোল আদায় হয়েছে তিন কোটি টাকারও বেশি।

মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) সকালে বঙ্গবন্ধু সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্র জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় সেতু পার হয়েছে ৪৩ হাজার ৪২৭টি যানবাহন। এর মধ্যে ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গগামী লেনে ২৭ হাজার ২৩২ ও উত্তরবঙ্গ থেকে ঢাকামুখী লেনে ১৬ হাজার ১৯৫ গাড়ি চলাচল করেছে। মোট টোল আদায় হয়েছে তিন কোটি তিন লাখ ৬৬ হাজার ৮৫০ টাকা।

এর মধ্যে পূর্ব টোলপ্লাজায় এক কোটি ৭১ লাখ ৪ হাজার ৯৫০ টাকা ও পশ্চিম টোলপ্লাজায় আদায় হয়েছে এক কোটি ৩২ লাখ ৬১ হাজার ৯০০ টাকা।

এসব তথ্য নিশ্চিত করে বঙ্গবন্ধু সেতু কর্তৃপক্ষের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল হক পাভেল বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় স্বাভাবিকের তুলনায় দিগুণেরও বেশি গাড়ি পারাপার হয়েছে। আজকেও প্রচুর গাড়ি পার হচ্ছে।


আরও খবর